• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
এক পা নিয়ে জন্ম নিলো শিশু, পরিবারের পাশে জেলা প্রশাসন
দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলায় মলদ্বার ও প্রসাবের রাস্তা ছাড়া ও এক পা নিয়ে জন্ম নিয়েছে এক শিশু। অস্বাভাবিক হওয়া শিশুটিকে নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে পরিবার। শিশুটির চিকিৎসার জন্য পাশে দাঁড়িয়েছে দিনাজপুর জেলা প্রশাসন।  বুধবার (২৭ মার্চ) রাত সাড়ে ১১টায় শিশুটিকে গুরুতর অবস্থায় দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। এর আগে বিকেলে বিরামপুর সিটি ক্লিনিকে সিজারিয়ানের মাধ্যমে দুটি সন্তানের জন্ম দেন নবাবগঞ্জ উপজেলার শালখুড়িয়া গ্রামের দরিদ্র ভ্যান চালক মাহফুজুল ইসলামের স্ত্রী তাসলিমা বেগম। দুটি সন্তানের মধ্যে একটি স্বাভাবিক হলেও অপর শিশুটি মলদ্বার ও প্রসাবের রাস্তা ছাড়া ও এক পা নিয়ে জন্ম নিয়েছে। মলদ্বার ও প্রসাবের রাস্তা না থাকায় শিশুটিকে কোনো কিছু খাওয়ানো যাচ্ছে না। এদিকে শিশুটির সুস্থ্যতা কামনায় সকলের দোয়া চেয়েছে পরিবার।   শিশুর নানি আক্তারা বেগম বলেন, বিকেলে বিরামপুরে সিজারের মাধ্যমে দুটি সন্তানের জন্ম হয়। এর মধ্যে এক মেয়ে শিশু সুস্থ আছে। অপরটি শিশুটির একটি পা নিয়ে জন্ম নিয়েছে। পাশাপাশি তার মলদ্বার ও প্রসাবের রাস্তা নেই। তাকে রাতে দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছি। শিশুটির সুস্থতার জন্য সকলের কাছে দোয়া চাচ্ছি। এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের ইন্টার্ন চিকিৎসক ফজলে রাব্বী বলেন, রাতে শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সে এখন বর্তমানে সুস্থ আছে। কিন্তু তার মলদ্বার ও প্রসাবের রাস্তা না থাকায় আপাতত কোন ধরনের খাবার দেয়া হচ্ছে না। শিশুটির বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হবে। এরপর পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। যদি পরীক্ষার রিপোর্ট ভালো হয় তাহলে এনাল ওপেনিং সার্জারির মাধ্যমে মলদ্বার চালু করা সম্ভব হবে। ইতিপূর্বে এই হাসপাতালে সার্জারির মাধ্যমে বহু মলদ্বার চালু করা হয়েছে। কিন্তু শিশুটির প্রসাবের রাস্তা চালুর বিষয়ে সংশয় রয়েছেন তিনি।  এদিকে বুধবার রাতে শিশুটির চিকিৎসার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দেবাশীষ চৌধুরী ও জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আনিসুর রহমান আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেছে। ভবিষ্যতে শিশুটির চিকিৎসার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দেবাশীষ চৌধুরী। তিনি বলেন, শিশুটির জন্মের পর পর থেকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। এছাড়াও শিশুর পরিবারকে কিছু আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করা হয়েছে। ভবিষ্যতে শিশুর সকল বিষয়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগিতা প্রদান করা হবে।   
১৩ ঘণ্টা আগে

একদিন পরেই জয় বাংলা কনসার্ট, প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে
সাতই মার্চ এক দিন পরেই। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চে ভাষণ দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এদিন স্মরণে এবার চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘জয় বাংলা কনসার্ট’। বর্তমানে কনসার্টটির আয়োজনে ব্যস্ত সময় পার করছেন আয়োজকরা। প্রতি বছর ঢাকা আর্মি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হলেও এবারই প্রথমবারের মতো চট্টগ্রামে এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে এই কনসার্টের আয়োজন চলছে। ইতোমধ্যে দর্শক-শ্রোতাদের মনমাতাতে প্রায় সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসন ও মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) তত্ত্বাবধানে নগরীর এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে এ আয়োজন হতে যাচ্ছে। পাশাপাশি সম্পূর্ণ আয়োজন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি নিয়মিত মনিটরিং করছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। কনসার্টে আসছে দেশের স্বনামধন্য আর্টসেল, নেমেসিস, চিরকুটসহ বিভিন্ন ব্যান্ড দল। এছাড়াও মঞ্চ মাতাবেন জনপ্রিয় সব সংগীতশিল্পীরা। এরই মধ্যে ব্যান্ডদলগুলোকে নিয়ে নিয়ে নিজেদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে প্রমোও প্রকাশ করেছে ইয়াং বাংলা।   বরাবরেই মতই এবারও রেজিস্ট্রেশন করা যাবে একেবারেই বিনামূল্যে। নির্ধারিত সময়ে ইয়াং বাংলার ওয়েবসাইট বা ফেসবুক পেইজ থেকে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন লিংকে প্রবেশ করে জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট অথবা জন্মনিবন্ধন সনদ, মোবাইল নম্বর এবং ইমেইল অ্যাড্রেস দিতে হবে। অনলাইনেই নিবন্ধন হলেই পাওয়া যাবে প্রবেশ টিকেট। এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের ওয়েব টিমের সমন্বয়ক তন্ময় আহমেদ জানান, ২০২৪ সালের ৭ মার্চ চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘জয় বাংলা কনসার্ট’। তরুণরা দীর্ঘদিন ধরেই ঢাকার বাহিরে কনসার্ট আয়োজনের অনুরোধ করে আসছিল। মূলত তাদের ইচ্ছাতেই এবার চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জয় বাংলা কনসার্ট। বরাবরই জয় বাংলা কনসার্ট নিয়ে তরুণদের মধ্যে থাকে বাড়তি উন্মাদনা। এবারও তার ব্যতিক্রম হলো না। কনসার্টের ঘোষণার পর থেকেই ইয়াং বাংলার পেজ জুড়ে মন্তব্য করছে তরুণরা। এ ছাড়াও চট্টগ্রামের তরুণরা এই কনসার্ট উপভোগ করতে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তরুণদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন চট্টগ্রামে। ইয়াং বাংলার  অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে জান্নাতুল নাইম নামক এক জন চট্টগ্রামের ভাষায় মন্তব্য করেন, ‘চলি আইয়্যু অনেরা সবাই, আঁরার চিটাঙ্গত অনেরার সকলেরে সাদর আমন্ত্রণ।’  ২০১৫ সাল থেকে এই কনসার্ট ঢাকার আর্মি স্টেডিয়ামে আয়োজিত হয়ে আসছিল সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) এর তারুণ্যের প্লাটফর্ম ইয়াং বাংলা। মাঝে করোনা মহামারির কারণে ২০২১–২২ সালে কনসার্ট আয়োজন করা হয়নি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ বিশ্বের শ্রেষ্ঠ শত ভাষণের একটি। আর একাত্তরে মুক্তিকামী মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল ‘জয় বাংলা’ স্লোগান। ‘বেলা বিস্কুট আর চা লইয়েরে, রেডি অওন রেজিস্ট্রেশন হরিবার লাই’— বিস্তারিত জানতে  ক্লিক করুন। এভাবেই এবার চট্টগ্রামের ভাষায় ‘জয় বাংলা কনসার্ট-২০২৪’ এর রেজিস্ট্রেশনের আহ্বান জানিয়েছে আয়োজক ইয়াং বাংলা। তারুণ্যের সর্ববৃহৎ এই প্লাটফর্ম তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে করা এক পোস্টে শনিবার সকাল ১০টা থেকে কনসার্টে উপস্থিত থাকতে আগ্রহী সকলকে রেজিস্ট্রেশনের আহ্বান জানায়। এই লিংকে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন। 
০৬ মার্চ ২০২৪, ১৮:৩০

অভাবে সন্তান দত্তক, পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিলো প্রশাসন
কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীতে অভাবের তাড়নায় দত্তক দেওয়া সেই কন্যা সন্তান মুক্তিকে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিয়েছে ভুরুঙ্গামারী উপজেলা প্রশাসন।  শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে বঙ্গসোনাহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কক্ষে আনুষ্ঠানিকতা শেষে বাবার কাছে মুক্তিকে হস্তান্তর করা হয়।  মুক্তি ভুরুঙ্গামারী উপজেলার বঙ্গসোনাহাট ইউনিয়ন বানুরকুটি গ্রামের পাথর শ্রমিক শফিকুল-মরিয়ম দম্পতির পঞ্চম সন্তান।  এর আগে শনিবার ভোরে জন্ম গ্রহণ করে মুক্তি। পরে জন্মের কয়েক ঘণ্টা পরে প্রতিবেশী মামাতো বোন লাকি-আলমগীরের কাছে দত্তক দেওয়া হয়। দত্তকের বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর নড়েচড়ে বসেন প্রশাসন। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে মুক্তিকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। অভিযোগ উঠেছিলে ২০ হাজার টাকায় ওই কন্যাসন্তানকে বিক্রি করে দিয়েছিল তার বাবা শফিকুল ইসলাম। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে শফিকুল ইসলাম বলেন, টাকা নিয়ে আমার সন্তানকে আমি অন্যের কাছে বিক্রি করি নাই। অভাবের সংসারে এতগুলো সন্তানের ভরণপোষণ করতে পারবো না বলে দত্তক দিয়েছিলাম। যাতে আমার সন্তানরা অন্যের কাছে ভালো থাকে। এর আগেও আরেক মেয়েকেও অন্যের কাছে দত্তক দিয়েছি। এখন ফিরে পেয়ে খুশি হয়েছি। তবে বর্তমানে ছোট ছোট চার সন্তানের ভরণপোষণ নিয়ে দুঃচিন্তায় রয়েছি। কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, বাচ্চাটিকে দত্তক দেওয়ার খবর পাওয়ার পর উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় বাচ্চাটিকে উদ্ধার করে তার পরিবারের কাছে ফেরত দেওয়া হয়েছে। ওই দম্পতি  এরকম আরও একটি ঘটনা ঘটিয়েছেন তাই তাদেরকে সতর্ক করা হয়েছে। এবং স্থানীয় চেয়ারম্যানকে অবগত করা হয়েছে যাতে তারা এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটায়। এ ছাড়া পরিবারটিকে সরকারি সহযোগিতা করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।  
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৪৬

নোয়াখালীতে ৪৩ হাজার শিক্ষার্থীর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশগ্রহণ
সারা দেশের ন্যায় আজ বৃহস্পতিবার থেকে নোয়াখালীতে শুরু হয়েছে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। নোয়াখালীতে এ পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ৪৩ হাজার ৭৫১ জন পরীক্ষার্থী শিক্ষার্থী। এর মধ্যে এসএসসিতে ৩২ হাজার ৩৯৪ জন, দাখিলে ৯ হাজার ৫১৯ জন, এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনাল ১ হাজার ৩৮ জন। মোট ৭৫টি কেন্দ্রে একযোগে শুরু হয় এই পরীক্ষা। এসব তথ্য নিশ্চিত করেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নুর উদ্দিন মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, নোয়াখালীল সদর উপজেলায় এসএসসি পরীক্ষার্থী ৫ হাজার ৯০৩ জন, দাখিলে ১ হাজার ৪৫৯ জন, এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনাল ৪৭৫ জন। সুবর্ণচর উপজেলায় এসএসসিতে ২ হাজার ৫৫৫ জন, দাখিলে ৮২৩ জন, এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনাল ১৩১ জন। কবিরহাট উপজেলায় এসএসসিতে ২ হাজার ৫৪৩ জন, দাখিলে পরীক্ষার্থী ৬৯২ জন, এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনাল ৬৬ জন। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় এসএসসিতে ২ হাজার ৮১৬জন, দাখিলে ১ হাজার ৩২ জন, এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনাল ১৯৭ জন। সেনবাগে উপজেলায় এসএসসিতে ২ হাজার ৮২৮ জন, দাখিলে ১ হাজার ১৬ জন, এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনাল ১৮৭ জন। চাটখিল উপজেলায় এসএসসিতে ২ হাজার ৬ জন এবং দাখিলে ৭২৫ জন, এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনাল ২৭৪ জন। সোনাইমুড়ী উপজেলায় এসএসসি পরীক্ষার্থী ৩ হাজার ৭৪৮ জন, দাখিলে ৯৮২ জন, এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনাল ২০ জন। হাতিয়া উপজেলায় এসএসসি পরীক্ষার্থী ২ হাজার ৭১৭ জন, দাখিলে পরীক্ষার্থী ৯৪২ জন, এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনালে ৯৯ জন। বেগমগঞ্জ উপজেলায় ৬ হাজার ৪৫৫ জন এসএসসি পরীক্ষার্থী হাজার জন, দাখিলে ১ হাজার ৭৪৮ জন, এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনালে ৩৮৯ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার কথা রয়েছে। শিক্ষা কর্মকর্তা নুর উদ্দিন মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বলেন, আজ থেকে বাংলা বিষয়ের পরীক্ষা শুরু হয়ে শেষ হবে ১২ মার্চ।
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৩২

ইরানিদের ওপর হামলা চালাবে আমেরিকা!
জর্ডানে সেনা নিহতের বদলা নিতে সিরিয়া-ইরাকে থাকা ইরানি ও তাদের বিভিন্ন স্থাপনায় বিমান হামলা চালানোর পরিকল্পনার অনুমোদন দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএসের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের নীতিনির্ধারক পর্যায় থেকে এ অনুমোদনের তথ্য জানা গেছে। মার্কিন প্রশাসন জানিয়েছে, টানা কয়েক দিন এ হামলা অব্যাহত থাকবে। তবে কখন কোথায় এ হামলা হবে সে বিষয়ে কিছু জানায়নি তারা। মনে করা হচ্ছে, পরিবেশ ও পরিস্থিতি বুঝে মার্কিন বিমান হামলা হবে। এর আগে গত রোববার জর্ডানের সিরিয়া সীমান্ত এলাকায় মার্কিন সেনা ঘাটিতে ড্রোন হামলা চালায় ইরান সমর্থিত মিলিশিয়া গোষ্ঠী। এতে ৩ মার্কিন সেনা নিহত ও অন্তত ৪১ সেনা আহত হন। এ ঘটনার জবাব দিতেই এবার পাল্টা হামলার সিদ্ধান্ত অনুমোদন দিলো মার্কিন প্রশাসন।  গত ৭ অক্টোবর হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধের পর থেকে মধ্যপ্রাচ্যের মার্কিন ঘাটিগুলো বিভিন্ন গোষ্ঠীর হামলার শিকার হচ্ছে। 
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:২৯

অ্যাপিয়ার্ড দিয়ে আবেদন, প্রশাসন ক্যাডারে সাইফুল্লাহ 
সম্প্রতি ৪৩তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশিত হয়েছে। এতে বিভিন্ন ক্যাডারে ২ হাজার ১৬৩ জন সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন। ৪৩তম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থী মো. খালিদ সাইফুল্লাহ। তার বাড়ি নেত্রকোণা জেলার দুর্গাপুর উপজেলার রামনগরে। শাবিপ্রবির লোকপ্রশাসন বিভাগের সর্বোচ্চ নম্বরধারী এ শিক্ষার্থী আরটিভি নিউজকে তার বিসিএস যাত্রার গল্প শুনিয়েছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন শাবিপ্রবির প্রতিনিধি নাঈম আহমদ শুভ। আরটিভি নিউজ : বিসিএসে ক্যাডার পদে সুপারিশপ্রাপ্ত হওয়ার জার্নিটা কেমন ছিল? খালিদ সাইফুল্লাহ : বিজ্ঞান বিভাগে এইচএসসি পাস করার পর মেডিকেলে ভর্তির জন্য পরীক্ষা দেই। কিন্তু এসএসসি ও এইচএসসি কোনোটাতেই এ প্লাস (A+) না থাকায় মোট নম্বরে পিছিয়ে পড়ায় মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ পাইনি। এরপর অনেকগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিলেও শাবিপ্রবি ছাড়া কোথাও ভর্তির সুযোগ পাইনি। মেডিকেলে সুযোগ না পাওয়ার ব্যর্থতা থেকে মনে মনে সিদ্ধান্ত নেই নিজেকে এমনভাবে গড়ে তুলতে হবে; যাতে সামনের জীবনে সহজে কোনো ব্যর্থতা না আসে। সেই লক্ষ্যে লোকপ্রশাসন বিভাগের শুরুর দিকের ক্লাসগুলো মনোযোগ দিয়ে করতে চেষ্টা করি। কিন্তু আমি বিজ্ঞান ব্যাকগ্রাউন্ডের হওয়ায় সামাজিক বিজ্ঞানের বিষয়গুলো আমার কাছে দুর্বোধ্য মনে হচ্ছিল। এমন সময় আমি হঠাৎ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইউটিউবে ড. সলিমুল্লাহ খানের (স্যার) একটা লেকচার শুনি। আমি অবাক হয়ে দেখি, তিনি সামাজিক বিজ্ঞানের এই দুর্বোধ্য বিষয়গুলোকে শব্দ বিশ্লেষণের মাধ্যমে সহজেই বোধগম্য করে ব্যাখ্যা করছেন। এরপর এই শব্দ বিশ্লেষণের কৌশল আমি আমার জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রয়োগ করি। বলতে গেলে এই কৌশলের জন্যই আমার স্মরণশক্তি যথেষ্ট কম থাকা সত্ত্বেও বেশ সহজেই আমি আমার বিভাগের রেকর্ড ফল নিয়ে স্নাতক পাস করি। এমনকি একই সময়ে (স্নাতকোত্তর চলাকালে) প্রথমবারই বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক পদে সুপারিশপ্রাপ্ত হই এবং অ্যাপিয়ার্ড সার্টিফিকেট দিয়ে আবেদন করে (কোনো কোচিং সেন্টারে লিখিত পরীক্ষার মডেল টেস্ট দেওয়া ছাড়া) প্রথমবারেই বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হই। আমার বিসিএস জার্নিতে সলিমুল্লাহ খান (স্যার) পরশপাথর তুল্য (গুরু)। আরটিভি নিউজ : আপনার পছন্দের ক্যাডার কোনটি ছিল?   খালিদ সাইফুল্লাহ : লোকপ্রশাসন বিভাগের একজন ছাত্র হিসেবে প্রশাসন ক্যাডার আমার পছন্দের ক্যাডার ছিল। আরটিভি নিউজ : কখন থেকে আপনার বিসিএসের প্রতি আগ্রহ জন্মেছে? খালিদ সাইফুল্লাহ : বিসিএসের প্রতি আগ্রহ কৈশোরকাল থেকে হলেও প্রশাসন ক্যাডারের প্রতি আমার বিশেষ আগ্রহ জন্মে সাবেক ক্যাবিনেট সচিব ড. আকবর আলী খান সম্পর্কে জানার পর। তিনি অনেক জটিল বিষয় রম্য ও বৈঠকি ঢংয়ে তার বইয়ে উপস্থাপন করেন। তার বইগুলো পড়েই আমার মধ্যে পাঠ্যসূচির বাইরের বই পড়ার আগ্রহ জন্মায়। আকবর আলী খানের বইগুলো পড়ার পর তার ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে আমার মনে কৌতূহল হয়। সেই কৌতূহল থেকে জানতে পারি যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইতিহাস বিভাগের ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট এই লেখক মূলত প্রশাসন ক্যাডারের একজন কর্মকর্তা ছিলেন। এরপর সিভিল সার্ভিসে তার বর্ণাঢ্য ও চ্যালেঞ্জিং কর্মজীবনের কথা জানতে পেরে মনে মনে স্থির করি প্রশাসন ক্যাডার হওয়ার চেষ্টা করতে হবে। আরটিভি নিউজ : এ জার্নিতে আপনাকে কি ধরনের প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করতে হয়েছে? খালিদ সাইফুল্লাহ : বিসিএস ক্যাডার হওয়ার এই জার্নিতে আমাকে খুব বড় কোনো প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করতে হয়নি। তবে আমার মাস্টার্সের প্রথম সেমিস্টারের ফাইনাল পরীক্ষার পাঁচদিন পর ৪৩তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ায় কিছুটা বেগ পেতে হয়। অন্যদিকে ৪৩তম বিসিএসের ভাইভার ২০ দিন আগেই বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক পদে নতুন কর্মস্থলে যোগদান করায় এবং ভাইভার তিনদিন আগে মাস্টার্সের থিসিস প্রেজেন্টেশন থাকায় (যদিও পরে আর থিসিস প্রেজেন্টেশন দেওয়া হয়নি) ভাইভা নিয়ে বেশ মানসিক চাপ অনুভব করেছিলাম। আরটিভি নিউজ : বিসিএসের এ জার্নিতে আপনাকে কারা অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে? খালিদ সাইফুল্লাহ : বিসিএসের এ জার্নিতে আমার মা-বাবাই আমাকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন। এ ছাড়া মান্যবর শাহরিয়ার কবির শুভ (ভাই), বন্ধু রুবেল-সাদেকুল এবং অনুজ নজরুল-শরীফ তারা আমার অনুপ্রেরণার বড় উৎস ছিলেন। আরটিভি নিউজ : বিসিএস প্রস্তুতির জন্য আপনার পরিকল্পনা কেমন ছিল? খালিদ সাইফুল্লাহ : আমার স্মরণশক্তি কম থাকায় আমি বিসিএসের সিলেবাসের প্রতিটি টপিকের স্পষ্টভাবে ‘কনসেপচুয়াল আন্ডারস্ট্যান্ডিং’ গড়ে বিসিএসের প্রস্তুতি নেই। আরটিভি নিউজ : আগামীতে যারা বিসিএস দেবেন, তাদের প্রতি আপনার কি বার্তা? খালিদ সাইফুল্লাহ : বিসিএস প্রস্তুতি নিয়ে মানুষের মনে একটি ভুল ধারণা আছে যে বিসিএসের জন্য অনেক কিছু মুখস্ত করতে হয়। আমার প্রথম কথা হচ্ছে, আপনারা এ ধারণা থেকে বেরিয়ে আসেন। কারণ, বিসিএসের বিগত সময়ের প্রশ্নের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সিলেবাসের প্রতিটি বিষয়ের সবগুলো টপিকের উপর স্পষ্টভাবে ‘কনসেপচুয়াল আন্ডারস্ট্যান্ডিং’ গড়ে তুলতে পারলে বেশ সহজেই বিসিএসের বৈতরণী পার হওয়া সম্ভব।
২৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:৫৬

বাড়ছে আত্মহত্যার প্রবণতা, উদ্বিগ্ন ববি প্রশাসন
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) একের পর এক আত্মহননের ঘটনা চলমান। সবশেষ এক বছরে প্রায় এক ডজন আত্মহত্যাচেষ্টার ঘটনার স্বাক্ষী হয়েছে শিক্ষার্থীরা। এরমধ্যে দুজন ছাত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে মারা গেছেন। এভাবে ঘন ঘন আত্মহত্যা চেষ্টার বিষয়টি যথেষ্ট উদ্বেগের বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।  গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মুখে অবস্থিত একটি মেসে নিজ রুমে গলায় শাড়ি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষার্থী বৃষ্টি সরকার। গত জুলাইয়ে একই ভাবে আত্মহত্যা করেন উদ্ভিদ বিজ্ঞানের শিক্ষার্থী শাহরিন রিভানা। এছাড়া গত ফেব্রুয়ারী থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ১০ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যার প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। এদের মধ্যে- বঙ্গবন্ধু হলে ২ ছাত্র, শেরে বাংলা হলে ৩ ছাত্র, শেখ হাসিনা হলে ১ ছাত্রী, মেসে ৩ ছাত্র ও ১ ছাত্রী এবং ঝালকাঠিতে নিজ বাসভবনে ১ ছাত্র আত্মহত্যাচেষ্টা করেছেন। এসব ঘটনার বেশিরভাগই প্রেমঘটিত বিষয়। শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতায় কাজ করা অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী সৈয়দা নাবিলা হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বেশিরভাগ সময় সম্পর্কের টানাপোড়েন ও উদ্বিগ্নতায় কাটায়। তাদেরকে ওখান থেকে বের করে আনার মত বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন সাইকোলজিস্ট নাই। দ্রুত একজন সাইকোলজিস্ট নিয়োগের দাবি জানাই। একই সাথে ক্যাম্পাসে যারা মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করে তাদের পাশে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে চাই।  সম্প্রতি এসব দুর্ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। নবনিযুক্ত প্রক্টর ড. মো. আবদুল কাইয়ুম বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীরা যেভাবে ঘন ঘন নিজেদের জীবণনাশের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে তা শিক্ষক হিসেবে আমাদের রীতিমতো উদ্বিগ্নতায় ফেলেছে। তাদের এরকম সিদ্ধান্তের পিছনের কারণ খুঁজে বের করতে ইতোমধ্যে কাজ চলছে। শীঘ্রই এ ঘটনা রোধে বিভিন্ন কর্মসূচী নেওয়া হবে।  এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড.মোঃ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া জানান, দ্রুত মনোরোগ বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দেওয়া হবে।
১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:১৬

ঝিনাইদহে দুই স্থানে ১৪৪ ধারা জারি
ঝিনাইদহ শহরের দুটি স্থানে একই সময়ে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থীর কর্মী ও সমর্থকরা নির্বাচনী সভার আহ্বান করায় দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করেছে জেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) সকালে শহরের ওয়াজীর আলী স্কুল মাঠ ও পানি উন্নয়ন বোর্ড মাঠে এ নির্দেশ জারি করে জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসক এস এম রফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, শহরে একই সময়ে পৃথক দুই স্থানে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থীর সমর্থকরা সভা আহ্বান করে। এতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার শঙ্কায় দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ওই দুই এলাকায় ৪০০ গজের মধ্যে জননিরাপত্তার স্বার্থে সব ধরনের সভা-সমাবেশ, গণজমায়েত ও মিছিল-মিটিং সম্পূর্ণ অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ আদেশ অমান্য করলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, ঝিনাইদহ শহরের পানি উন্নয়ন বোর্ড মাঠে নৌকা প্রার্থী তাহজীব আলম সিদ্দিকী সমির জনসভা বিকেল ৩টায় হওয়ার কথা ছিল। অন্যদিকে একই সময়ে শহরের ওয়াজির আলী স্কুল মাঠে ছিল সতন্ত্র প্রার্থী নাসের শাহরিয়ার জাহেদি মহুলের জনসভা।
০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:৩২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়