• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
২৫ বছর পর নতুন চমক নিয়ে বলিউডে প্রত্যাবর্তন জ্যোতিকার (ভিডিও)
দক্ষিণের জনপ্রিয় অভিনেত্রী জ্যোতিকা। ক্যারিয়ারে অসংখ্য হিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি। একসময় পর্দা মাতিয়েছেন বলিউডেও। তবে মাঝে বলিউড থেকে একরকম গায়েবই হয়ে গিয়েছিলেন এই অভিনেত্রী। দীর্ঘ ২৫ বছর বিরতির পর ফের নতুন চমক নিয়ে বলিউডে প্রত্যাবর্তন করলেন জ্যোতিকা।     শিগগিরই অজয় দেবগন প্রযোজিত ও অভিনীত সিনেমা ‘শয়তান’-এ দেখা যাবে জ্যোতিকাকে। সিনেমায় অজয়ের স্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন তিনি। এটি নির্মাণ করেছেন বিকাশ বহেল।  মূলত আধিভৌতিক থ্রিলারধর্মী এই সিনেমায় বশীকরণ ও কালো জাদুর মতো বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে। আর এই সিনেমায় শয়তান হয়ে আসছেন বলিউড অভিনেতা মাধবন। গত ২২ ফেব্রুয়ারি মুম্বাইতে ‘শয়তান’ সিনেমার ট্রেলার মুক্তি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে হাজির হয়েই সিনেমার নানান প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলেন জ্যোতিকা।       ১৯৯৮ সালে ‘ডোলি সাজা কে রাখনা’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে  অভিষেক হয়েছিল জ্যোতিকার। কিন্তু মাঝে বলিউডে থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়ে দক্ষিণী সিনেমায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন তিনি। দীর্ঘ সময় পর বলিউডে ফিরে এসে রীতিমতো উচ্ছ্বসিত জ্যোতিকা।  এ প্রসঙ্গে জ্যোতিকা বলেন, ২৫ বছর পর বলিউডে কাজ করলাম আমি। দক্ষিণে কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করেছি। তবে বলিউড ফেরার জন্য বিশেষ কিছুর অপেক্ষায় ছিলাম। অবশেষে সেই সুযোগটা হলো। আমি মনে করি, ক্যারিয়ারের এই পর্যায়ে দাঁড়িয়ে ভিন্ন ধরনের কাজ করা প্রয়োজন। আর এটা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং।   অজয়ের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা শেয়ার করে অভিনেত্রী বলেন, অভিনেতা হিসেবে  অজয় অত্যন্ত উদার। আমার কাছে এই সিনেমার জন্য সবচেয়ে বড় চমক ছিলেন অজয়। শুটিংয়ের পুরো সময়টাতে অজয়ের ব্যবহার মুগ্ধ করেছে আমাকে। আমি অনেক অভিনেতার সঙ্গে কাজ করেছি। বিশেষ করে দক্ষিণের প্রায় সব অভিনেতার সঙ্গে কাজ করেছি। দক্ষিণে কেউ আমাকে সিনেমার পোস্টারে সুযোগ দেননি। কিন্তু এখানে সিনেমার পোস্টারে জায়গা পেয়েছি। অজয়কে সামনে থেকে কাজ করতে দেখা অত্যন্ত আনন্দের বিষয়।  মাধবনের সঙ্গে এর আগে একাধিক সিনেমায় কাজ করেছেন জ্যোতিকা। তবে অধিকাংশ সময়ই পর্দায় মাধবনের সঙ্গে রোমান্স করতে দেখা গেছে তাকে। কিন্তু ‘শয়তান’ সিনেমায় খলনায়কের চরিত্রে দেখা যাবে মাধবনকে।  এই অভিনেতার প্রসঙ্গে জ্যোতিকা বলেন, মাধবনের সঙ্গে আগে কাজ করেছি। তবে এই সিনেমায় আমরা অন্যভাবে আসতে চলেছি। তার সঙ্গে আবার কাজ করতে পেরে ভীষণ খুশি আমি।  জানা গেছে, গুজরাটি সিনেয়া ‘বশ’র হিন্দি রিমেক ‘শয়তান’। এই সিনেমায় অজয়ের স্ত্রী ছাড়া দুই সন্তানের মায়ের চরিত্রেও অভিনয় করেছেন জ্যোতিকা। এতে মেয়ের জন্য অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে দেখা যাবে তাকে।   প্রসঙ্গত, আগামী ৮ মার্চ মুক্তি পাবে অজয়-জ্যোতিকা অভিনীত সিনেমা ‘শয়তান’।   
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:০১

শিশু একাডেমিতে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপন
বাংলাদেশ শিশু একাডেমিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপিত হয়েছে।  বুধবার (১০ জানুয়ারি) দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শিশু একাডেমি চত্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান লাকী ইনাম।  প্রধান অতিথির বক্তব্যে লাকী ইনাম বলেন, যিনি স্বাধীনতার জন্য এত ত্যাগ তিতিক্ষায় নিজের জীবনটা উৎসর্গ করেছিলেন সেই বঙ্গবন্ধু যদি আমাদের মাঝে ফিরে না আসতেন, তাহলে আমাদের স্বাধীনতাই বৃথা হয়ে যেত। তিনি শিশুদের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, তোমরা বড় হয়ে আরও জানবে বঙ্গবন্ধুর ত্যাগের কথা, বঙ্গবন্ধুর জীবনের ঐতিহাসিক ঘটনার কথা, সেদিন তোমরা উপলব্ধ করবে বঙ্গবন্ধুই বাংলাদেশ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ শিশু একাডেমির মহাপরিচালক আনজীর লিটন। সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু যখন দিল্লি হয়ে ফিরছিলেন, বঙ্গবন্ধু বিমানের জানালা দিয়ে তাকিয়ে ছিলেন আর আপন মনে অশ্রুসিক্ত নয়নে গেয়ে উঠেছিলেন আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি। আমরা সেই সংগীতের উত্তরাধিকার। সভাপতির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, আজকে যারা শিশু, আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম তাদেরকে আমাদের দেশ সম্পর্কে, এই ইতিহাস সম্পর্কে জানাতে হবে। বাংলাদেশের ইতিহাস সম্পর্কে জানা মানে বাংলাদেশকে জানা, বাংলাদেশকে জানলেই বঙ্গবন্ধুকে চেনা যাবে আর বঙ্গবন্ধুকে চেনা মানে বাংলাদেশকে চেনা। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় মহিলা সংস্থার অতিরিক্ত সচিব প্রভাষ চন্দ্র রায়, যুগ্ম সচিব শাহনাজ বেগম নীনা, ডিএনএ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডাঃ এ এম পারভেজ রহিম এবং জয়ীতা ফাউন্ডেশন ও দপ্তর সংস্থার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ।  আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে শিশু একাডেমির শিশুশিল্পীদের অংশগ্রহণে কবিতা আবৃত্তি ও গান পরিবেশিত হয়। 
১১ জানুয়ারি ২০২৪, ০৩:৫১

ঢাকায় যেসব সড়ক বন্ধ আজ
আজ ১০ জানুয়ারি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে  দুপুরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের জনসভা। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও তার আশপাশ এলাকায় ভিভিআইপি গমনাগমন শেষ না-হওয়া পর্যন্ত কিছু এলাকার রাস্তা বন্ধ বা রোড ডাইভারশন দেওয়ার কথা জানিয়েছে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ। আরও পড়ুন : রাজধানীতে গ্রেপ্তার ৩২   কাঁটাবন ক্রসিং, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ক্রসিং, মৎস্য ভবন ক্রসিং, দোয়েল চত্বর ক্রসিং, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টার, জগন্নাথ হল ক্রসিং, ভাস্কর্য ক্রসিং ও  ভিসি বাংলো ক্রসিংকে সম্ভাব্য ডাইভারশন পয়েন্ট ধরা হয়েছে। আজ নগরবাসীকে উল্লিখিত এলাকা বা রোড পরিহার করে বিকল্প রাস্তা ব্যবহার করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে ঢাকা মহানগর (ডিএমপি) পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ। আরও পড়ুন : শপথ অনুষ্ঠান শুরু   অনুষ্ঠান উপলক্ষে আগত গাড়ি যে এলাকায় পার্কিং করবে মুহসীন হল মাঠ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ভিআইপি); মলচত্বর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; পলাশী ক্রসিং থেকে ভাস্কর্য ক্রসিং পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে; ফুলার রোড রাস্তার দুই পাশে; দোয়েল চত্বর ক্রসিং থেকে শহিদুল্লাহ হল ক্রসিং পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে; নবাব আব্দুল গণি রোড রাস্তার দুই পাশে এবং দিলকুশা ও মতিঝিল এলাকার রাস্তার দুই পাশে।
১০ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:১৯

বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (১০ জানুয়ারি) সকালে ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে রক্ষিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থেকে মহান নেতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন সরকারপ্রধান। পরে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে দলের পক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে আরও একটি পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। আরও পড়ুন : ঘন কুয়াশায় বাড়তে পারে শীত   এরপর যুবলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগসহ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন এবং বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংস্থার নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধুর প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু তার স্বপ্নের স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশে ফিরে আসেন। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ বরাবরের মতো এবারও নানা কর্মসূচি আয়োজন করেছে। আরও পড়ুন : ঘন কুয়াশায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা-কাজীরহাট নৌরুট বন্ধ   কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সকাল সাড়ে ৬টায় দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়, বঙ্গবন্ধু ভবন ও সারাদেশে সংগঠনের সকল কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন। সকাল সাড়ে ৮টায় বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে রক্ষিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এক জনসভার আয়োজন করেছে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।  
১০ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:২৯

১০ জানুয়ারি : ইতিহাসে আজকের এই দিনে
আজ বুধবার, ১০ জানুয়ারি, ২০২৪। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়। ঘটনাবলি: ১০৭২ - রবার্ট গিসকার্ড পালেরমো দখল করেন। ১৬১৬ - রাজদূত স্যার টমাস রো সম্রাট জাহাঙ্গীরের দরবারে হাজির হন। ১৬৪২ - রাজা প্রথম চার্লস সপরিবারে লন্ডন থেকে অক্সফোর্ডে পালিয়ে যান। ১৬৬৩ - ব্রিটেনের রাজা দ্বিতীয় চার্লস রাজকীয় আফ্রিকান উপনিবেশের সনদ মঞ্জুর করেন। ১৮১১ - যুক্তরাষ্ট্রের নিউ অরলেন্স অঙ্গরাজ্যে কৃষ্ণাঙ্গ দাসদের এক বিদ্রোহ নিষ্ঠুরভাবে দমন করা হয়। ১৮১৫ - ব্রিটেনে সিলোনে (বর্তমান শ্রীলঙ্কা) ক্যান্ডির রাজার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। ১৮২৪ - ব্রিটিশ নাগরিক জোসেপ অ্যাসপডিন এক জাতের সিমেন্ট তৈরি করেন। ১৮৩৯ - ভারত থেকে প্রথম যুক্তরাজ্যে চা আসে। ১৮৬১ - ফ্লোরিডা যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য হয়। ১৮৬৩ - লন্ডনে প্রথম পাতাল রেল চালু হয়। ১৮৮৯ - আইভরি কোস্টের ওপর ফ্রান্সের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা। ১৯০১ - টেক্সাসে তেল শ্রমিকরা মহা ধর্মঘটে শামিল হয়। ১৯০১ - যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের একটি এলাকায় খনন চালানোর সময় প্রচন্ড বেগে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল বের হয়ে আসতে থাকে। ১৯২০ - লিগ অব নেশন্স প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ১৯২৩ - ফ্রান্স আর বেলজিয়ামের সৈন্যবাহিনী জার্মানীর লুয় অঞ্চল দখল করে। ১৯৪০ - বিশ্ব ট্রেড ইউনিয়নের যুক্ত সমিতি প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৪৬ - জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের প্রথম বৈঠক লন্ডনে অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৪৮ - জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বিশ্বমানবাধিকার দিবস ঘোষণা গৃহীত হয়। ১৯৫৭ - মেকমিলেন এডেনের স্থলাভিষিক্ত হয়ে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হন। ১৯৬৪ - পানামা যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে। ১৯৬৮ - চাঁদে মহাশূন্য যানের পদাপর্ণ এবং পৃথিবীতে ছবি প্রেরণ শুরু হয়। ১৯৬৪ - চীন আর তিউনিসিয়ার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৭২ - পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি লাভের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করেন। ১৯৭৫ - ৫শ বছরের পর্তুগিজ শাসন থেকে এঙ্গোলার স্বাধীনতা লাভ। ১৯৭৭ - অগ্ন্যুৎপাতে জায়ারে ২ সহস্রাধিক লোকের মৃত্যু হয়। ২০০২ - ১০ জানুয়ারী ডাভি আন্তর্জাতিক টেবিল-টিনিস ভ্রাম্যমান প্রতিযোগিতা চীনের থিয়েচিং শহরে অনুষ্ঠিত হয়। জন্ম: ১৫৫৪ - জার্মান জ্যোতির্বিজ্ঞানী সাইমন মারিয়াসের জন্ম। ১৮৮৩ - রুশ ঔপন্যাসিক আলেক্সেই‌ নিকলাইয়েভিচ তল্‌স্তোয় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯১০ - শিশুসাহিত্যিক মোহাম্মদ নাসির আলীর জন্ম। ১৯৭০ - সার্বিয়ান দাবা গ্রান্ডমাস্টার আলিসা মারিখ জন্মগ্রহন করেন। ১৯৭২ - আমেরিকান মুস্টিযোদ্ধা ব্রায়ান ললার জন্মগ্রহন করেন। ১৯৭৩ - আমেরিকান বাস্কেটবল খেলোয়াড় গ্লেন রবিনসন জন্মগ্রহন করেন। ১৯৭৪ - ভারতীয় অভিনেতা ঋত্বিক রোশন জন্মগ্রহন করেন। ১৯৭৫ - আমেরিকান ফুটবল খেলোয়াড় জ্যাক ডেলোমি জন্মগ্রহন করেন। ১৯৭৬ - আমেরিকান বেসবল খেলোয়াড় এডাম কেনেডী জন্মগ্রহন করেন। ১৯৭৮ - আমেরিকান গায়ক ব্রেন্ট স্মিথ জন্মগ্রহন করেন। মৃত্যু: ১৮৬২ - পিস্তল আবিষ্কারক শ্যামুয়েল কোল্ট মৃত্যুবরণ করেন। ১৯৫১ - নোবেলজয়ী [১৯৩০] মার্কিন ঔপন্যাসিক সিনক্লেয়ার লুইস মৃত্যুবরণ করেন। ১৯৫৭ - চিলির নোবেলজয়ী [১৯৪৫] মহিলা সাহিত্যিক গ্যাব্রিয়েল মিস্ত্রালের মৃত্যুবরণ করেন। ১৯৮২ - সঙ্গীত শ্রষ্টা সুধীন দাশগুপ্ত মৃত্যুবরণ করেন। ১৯৮৬ - নোবেলজয়ী [১৯৮৪] চেক কবি-সাংবাদিক ইয়ারোস্লাভ সেইফের্ত মৃত্যুবরণ করেন। দিবস: আজ জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস।
১০ জানুয়ারি ২০২৪, ০১:৩৮

বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ
আজ ১০ জানুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। পাকিস্তানের বন্দীদশা থেকে মুক্তি পেয়ে ১৯৭২ সালের এই দিন তিনি সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে প্রত্যাবর্তন করেন। এর আগে ৮ জানুয়ারি পাকিস্তানের মিয়ানওয়ালি কারাগারে দীর্ঘ ৯ মাস কারাভোগের পর মুক্তি লাভ করেন তিনি। পরে তিনি পাকিস্তান থেকে লন্ডন যান। তারপর দিল্লী হয়ে ঢাকা ফেরেন বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আলাদা বাণীতে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি এ মহান নেতার অম্লান স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান তারা। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করে বঙ্গবন্ধু সর্বস্তরের জনগণকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান। স্বাধীনতা ঘোষণার অব্যবহিত পর পাকিস্তানের সামরিক শাসক জেনারেল ইয়াহিয়া খানের নির্দেশে তাকে গ্রেপ্তার করে তদানীন্তন পশ্চিম পাকিস্তানের কারাগারে নিয়ে আটক রাখা হয়। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি সৈন্যদের বিরুদ্ধে নয় মাস যুদ্ধের পর চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হলেও ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে জাতি বিজয়ের পূর্ণ স্বাদ গ্রহণ করে। জাতির পিতা পাকিস্তান থেকে ছাড়া পান ১৯৭২ সালের ৭ জানুয়ারি ভোর রাতে ইংরেজি হিসেবে ৮ জানুয়ারি। এদিন বঙ্গবন্ধু ও ড. কামাল হোসেনকে বিমানে তুলে দেয়া হয়। সকাল সাড়ে ৬টায় তাঁরা পৌঁছান লন্ডনের হিথরো বিমানবন্দরে। বেলা ১০টার পর থেকে বঙ্গবন্ধু কথা বলেন, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড হিথ, তাজউদ্দিন আহমদ ও ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীসহ অনেকের সঙ্গে। পরে ব্রিটেনের বিমান বাহিনীর একটি বিমানে করে পরের দিন ৯ জানুয়ারি দেশের পথে যাত্রা করেন। দশ তারিখ সকালেই তিনি নামেন দিল্লীতে। সেখানে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভিভি গিরি, প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী, সমগ্র মন্ত্রিসভা, প্রধান নেতৃবৃন্দ, তিন বাহিনীর প্রধান এবং অন্যান্য অতিথি ও সেদেশের জনগণের কাছ থেকে উষ্ণ সংবর্ধনা লাভ করেন সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের পিতা শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধু ভারতের নেতৃবৃন্দ এবং জনগণের কাছে তাদের অকৃপণ সাহায্যের জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানান। তার এই স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে আখ্যায়িত করেছিলেন ‘অন্ধকার হতে আলোর পথে যাত্রা হিসেবে। এদিন বেলা ১টা ৪১ মিনিটে তিনি ঢাকা এসে পৌঁছেন। চূড়ান্ত বিজয়ের পর ১০ জানুয়ারি বাঙালি জাতি বঙ্গবন্ধুকে প্রাণঢালা সংবর্ধনা জানানোর জন্য প্রাণবন্ত অপেক্ষায় ছিল। আনন্দে আত্মহারা লাখ লাখ মানুষ ঢাকা বিমান বন্দর থেকে রেসকোর্স ময়দান পর্যন্ত তাঁকে স্বতঃস্ফূর্ত সংবর্ধনা জানান। বিকেল পাঁচটায় রেসকোর্স ময়দানে প্রায় ১০ লাখ লোকের উপস্থিতিতে তিনি ভাষণ দেন।   পরের দিন দৈনিক ইত্তেফাক, সংবাদসহ বিভিন্ন পত্রিকায় বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন নিয়ে এভাবেই লিখা হয়- ‘স্বদেশের মাটি ছুঁয়ে বাংলাদেশের ইতিহাসের নির্মাতা শিশুর মতো আবেগে আকুল হলেন। আনন্দ-বেদনার অশ্রুধারা নামলো তার দু’চোখ বেয়ে। প্রিয় নেতাকে ফিরে পেয়ে সেদিন সাড়ে সাত কোটি বাঙালি আনন্দাশ্রুতে সিক্ত হয়ে জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু ধ্বনিতে প্রকম্পিত করে তোলে বাংলার আকাশ-বাতাস।’ জনগণ নন্দিত শেখ মুজিব সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দাঁড়িয়ে তাঁর ঐতিহাসিক ধ্রুপদি বক্তৃতায় বলেন, ‘যে মাটিকে আমি এত ভালবাসি, যে মানুষকে আমি এত ভালবাসি, যে জাতিকে আমি এত ভালবাসি, আমি জানতাম না সে বাংলায় আমি যেতে পারবো কিনা। আজ আমি বাংলায় ফিরে এসেছি বাংলার ভাইয়েদের কাছে, মায়েদের কাছে, বোনদের কাছে। বাংলা আমার স্বাধীন, বাংলাদেশ আজ স্বাধীন। সশ্রদ্ধ চিত্তে তিনি সবার ত্যাগের কথা স্মরণ করেন এবং সবাইকে দেশ গড়ার কাজে উদ্বুদ্ধ করে বলেন, ‘আজ থেকে আমার অনুরোধ, আজ থেকে আমার আদেশ, আজ থেকে আমার হুকুম ভাই হিসেবে, নেতা হিসেবে নয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নয় প্রেসিডেন্ট হিসেবে নয়। আমি তোমাদের ভাই, তোমরা আমার ভাই। এ স্বাধীনতা আমার পূর্ণ হবে না যদি বাংলার মানুষ পেট ভরে ভাত না পায়, এ স্বাধীনতা আমার পূর্ণ হবে না যদি বাংলার মা-বোনেরা কাপড় না পায়, এ স্বাধীনতা আমার পূর্ণ হবে না যদি এদেশের যুবক যারা আছে তারা চাকরি না পায়। মুক্তিবাহিনী, ছাত্র সমাজ তোমাদের মোবারকবাদ জানাই তোমরা গেরিলা হয়েছো, তোমরা রক্ত দিয়েছো, রক্ত বৃথা যাবে না, রক্ত বৃথা যায় নাই। বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘একটা কথা- আজ থেকে বাংলায় যেন আর চুরি-ডাকাতি না হয়। বাংলায় যেন আর লুটতরাজ না হয়। বাংলায় যারা অন্য লোক আছে অন্য দেশের লোক, পশ্চিম পাকিস্তানের লোক বাংলায় কথা বলে না, তাদের বলছি তোমরা বাঙালি হয়ে যাও। আর আমি আমার ভাইদের বলছি তাদের উপর হাত তুলো না আমরা মানুষ, মানুষ ভালোবাসি।   ‘তবে যারা দালালি করেছে যারা আমার লোকদের ঘরে ঢুকে হত্যা করেছে তাদের বিচার হবে এবং শাস্তি হবে’ উল্লেখ করে জাতির পিতা বলেন, ‘তাদের বাংলার স্বাধীন সরকারের হাতে ছেড়ে দেন, একজনকেও ক্ষমা করা হবে না। তবে আমি চাই স্বাধীন দেশে স্বাধীন আদালতে বিচার হয়ে এদের শাস্তি হবে। আমি দেখিয়ে দিতে চাই দুনিয়ার কাছে শান্তিপূর্ণ বাঙালি রক্ত দিতে জানে, শান্তিপূর্ণ বাঙালি শান্তি বজায় রাখতেও জানে।’ বঙ্গবন্ধু আরও বলেন, ‘আমায় আপনারা পেয়েছেন। আমি আসছি। জানতাম না আমার ফাঁসির হুকুম হয়ে গেছে আমার সেলের পাশে, আমার জন্য কবর খোঁড়া হয়েছিল। আমি প্রস্তুত হয়েছিলাম, বলেছিলাম আমি বাঙালি, আমি মানুষ, আমি মুসলমান, মুসলমান একবার মরে দুইবার মরে না। আমি বলেছিলাম, আমার মৃত্যু আসে যদি আমি হাসতে হাসতে যাবো। আমার বাঙালি জাতকে অপমান করে যাবো না, তোমাদের কাছে ক্ষমা চাইবো না। এবং যাবার সময় বলে যাবো জয় বাংলা, স্বাধীন বাংলা, বাঙালি আমার জাতি, বাংলা আমার ভাষা, বাংলার মাটি আমার স্থান।’   দিনের নানা কর্মসূচি: দিনটি ঘিরে আজ বুধবার আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন দল ও সংগঠন নানা কর্মসূচি উদযাপন করবে। আওয়ামী লীগের কর্মসূচিতে রয়েছে– সকাল সাড়ে ৬টায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়, বঙ্গবন্ধু ভবনসহ সারাদেশে দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, সাড়ে ৮টায় বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির পিতার প্রতিকৃতি ও বেলা ১১টায় টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে দলের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের শ্রদ্ধা নিবেদন এবং দুপুর আড়াইটায় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিশাল জনসভা। জনসভায় সভপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সারাদেশে দল ও সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন অনুরূপ কর্মসূচির আয়োজন করবে। এক বিবৃতিতে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের কর্মসূচি উদযাপনের জন্য দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীসহ সব সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের । 
১০ জানুয়ারি ২০২৪, ০৮:৪০

বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে নানান কর্মসূচি হাতে নিয়েছে আওয়ামী লীগ। বুধবার (১০ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। ওইদিন সকাল সাড়ে ৬টায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়, বঙ্গবন্ধু ভবন ও সারাদেশে সংগঠনের সকল কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।  এ ছাড়া সকাল সাড়ে ৮টায় বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে রক্ষিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করবে আওয়ামী লীগ। এরপর দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এক জনসভার আয়োজন করেছে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।  বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস যথাযথ মর্যাদায় উদযাপনের জন্য দেশের প্রতিটি জেলা, মহানগর, উপজেলা, থানা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে আওয়ামী লীগ এবং সকল সহযোগী সংগঠন কেন্দ্রীয় কমিটির অনুরূপ কর্মসূচির আয়োজন করবে।
০৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:১২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়