• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
সার্বজনীন পেনশন প্রজ্ঞাপন প্রত্যাখ্যান বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির
পেনশনের বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি) শিক্ষক সমিতি। সম্প্রতি শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. ফায়েকুজ্জামান মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক ড. বশির উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত প্রজ্ঞাপনটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের স্বার্থের পরিপন্থী। কারণ প্রজ্ঞাপনটিতে ২০২৪ এর জুলাই বা তৎপরবর্তী নতুন যোগদানকৃতরা সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার আওতাভুক্ত হবেন মর্মে জানানো হয়েছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে প্রজ্ঞাপনটি যেমন বৈষম্যমূলক ঠিক একই সাথে অধিকার বিবেচনায় সংবিধানের মূল চেতনার সাথে সাংঘর্ষিক। এই প্রজ্ঞাপন বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির নিকট বৈষম্যমূলক, হতাশাসৃষ্টিকারী, পক্ষপাতদুষ্ট ও চরমভাবে অগ্রহণযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। এছাড়াও বিবৃতিতে শিক্ষক সমিতি বলেন, জারিকৃত প্রজ্ঞাপনটি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শিক্ষা ও দর্শনের সম্পূর্ণ পরিপন্থী। এই ধরনের প্রজ্ঞাপনের ফলে বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে শিক্ষকতা পেশায় অনীহা তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। এর ফলে সৃষ্ট বৈষম্যের কারণে উচ্চ শিক্ষা ক্ষেত্রে যোগ্য ও মেধাবী শিক্ষক সংকট তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শিক্ষকদের অমর্যাদা, অবজ্ঞা ও মানসিক নিপীড়নের মধ্যে রেখে কোনো সভ্য জাতির উন্নতি হয়েছে এমন নজির বিশ্বের ইতিহাসে নেই। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষাকে অত্যন্ত গুরুত্ব ও সম্মান দিয়েছিলেন এ কারণে তার হাত ধরেই বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠা হয়, তারই সুযোগ্য কন্যা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন জাতির পিতার আদর্শের হাত ধরেই। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় তিনিও গুরুত্ব দিয়ে চলছেন বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার প্রতি। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য এই ধরনের বৈষম্যমুলক সার্বজনীন পেনশন পরিকল্পনা উচ্চ শিক্ষার জন্য যেমন অন্তরায় হবে ঠিক তেমনই স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাঁধা হয়ে দাঁড়াবে। ধারাবাহিক উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে ও দেশকে মেধাশূণ্য করতেই এই ধরনের প্রজ্ঞাপন, যা নিঃসন্দেহে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সাথে প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই নয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে প্রতিষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি তীব্রভাবে জারিকৃত প্রজ্ঞাপন প্রত্যাখ্যান করছে এবং শিক্ষক সমিতি উচ্চ শিক্ষাকে আরো গতিশীল, আধুনিকায়ন এবং গবেষণা বান্ধব করার লক্ষ্যে শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেলের জোর দাবি জানাচ্ছে।
৩০ মার্চ ২০২৪, ১৪:৫৮

গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান নেতানিয়াহুর
ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য দেশটির স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের দেওয়া প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। নেতানিয়াহু হামাসের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শর্তগুলোকে ‘উদ্ভট’ বলেও মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, হামাস যদি গাজায় টিকে থাকে তাহলে পরবর্তীতে তারা আবারও হুমকি হয়ে উঠবে। গাজায় একটি সম্পূর্ণ এবং চূড়ান্ত বিজয় ছাড়া অন্য কোনো সমাধান নেই। আর কয়েক মাসের মধ্যেই গাজায় সম্পূর্ণ বিজয় সম্ভব হবে। এদিকে হামাসের শীর্ষ কর্মকর্তা সামি আবু জুহরি রয়টার্সকে বলেছেন, নেতানিয়াহুর মন্তব্য রাজনৈতিক বাহাদুরির একটি রূপ। এর মাধ্যমে বোঝা যায় তিনি ওই অঞ্চলে সংঘাত চালিয়ে যেতে চান। এর আগে, গাজায় যুদ্ধ বন্ধে তিন ধাপে ১৩৫ দিনের চুক্তির প্রস্তাব দেয় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, হামাসের হাতে জিম্মি সব ইসরায়েলিকে ছেড়ে দেওয়া হবে। বিনিময়ে অবরুদ্ধ উপত্যকা থেকে ইসরায়েলকে সব সৈন্য ফিরিয়ে নিতে হবে এবং বন্দি ফিলিস্তিনি নারী-শিশুদের মুক্তি দিতে হবে। গত সপ্তাহে  গাজায় যুদ্ধবিরতির বিষয়ে কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতাকারীরা একটি প্রস্তাব দিয়েছিল। সেটির জবাবেই যুদ্ধবিরতির জন্য বিভিন্ন শর্ত দেয় হামাস। গত পাঁচ মাসের মধ্যে ইসরায়েল-হামাস সংঘাত বন্ধে এটিই সবচেয়ে বড় কূটনৈতিক প্রচেষ্টা বলে উল্লেখ করা হচ্ছে।
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:২৪

বরিশালের ফিক্সিংয়ের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করল শোয়েব মালিক
চলমান বিপিএলের দ্বিতীয় ম্যাচে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে বড় পুঁজি সংগ্রহ করেও ম্যাচ জিততে পারেনি ফরচুন বরিশাল। এই ম্যাচে এক ওভারে তিনটি নো বলসহ ১৮ রান দের পাকিস্তানি তারকা ক্রিকেটার শোয়েব মালিক। এরপর এক বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শোয়েবের ওপর ফিক্সিংয়ে অভিযোগ আনেন বরিশালের কর্নধার মিজানুর রহমান। মিজানুর রহমান জানান, মালিকের এমন কাণ্ডে স্পট ফিক্সিংয়ের গন্ধ পাচ্ছেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি বিসিবির দুর্নীতি দমন ইউনিটকে তদন্তের আহবান জানান। এই ম্যাচের পরই দুবাই চলে যান শোয়েব। সেখানে থেকেই বরিশালের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেন তিনি। শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) নিজের ভেরিফাইড এক্স অ্যাকাউন্টে একটি পোস্টে ফিক্সিংয়ের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে শোয়েব মালিক। শোয়েব বলেন, ফরচুন বরিশালে আমার ভূমিকা নিয়ে সম্প্রতি যে গুজব ছড়ানো হয়েছে, সেগুলো আমি প্রত্যাখ্যান করছি। তামিম ইকবালের সঙ্গে আমার বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে এবং আমরা মিলিতভাবেই সামনে এগিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছি। পূর্ব-প্রতিশ্রুতির কারণে মিডিয়া এঙ্গেজমেন্টের জন্য আমাকে বাংলাদেশ ছেড়ে দুবাই যেতে হয়েছে।  বাকি ম্যাচগুলোর জন্য বরিশালকে শুভকামনা জানিয়ে এই পাকিস্তানি ক্রিকেটার বলেন, সামনের ম্যাচগুলোর জন্য ফরচুন বরিশালকে আমার শুভকামনা। যদি তাদের প্রয়োজন হয়, আমি তাদের সহায়তা করার জন্য প্রস্তুত আছি। খেলায় আমি সব সময়ই আনন্দ খুঁজে পাই এবং সামনেও তাই খুঁজে যাব। আমি পরিষ্কার করে বলতে চাই, আমি কড়াভাবেই এসব ভিত্তিহীন গুজব প্রত্যাখ্যান করছি।  তিনি বলেন, মিথ্যাচার মানুষের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে পারে এবং অপ্রয়োজনীয় দ্বিধাদ্বন্দ্ব তৈরি করতে পারে। সম্প্রতি যেসব গুজব ছড়ানো হয়েছে বিশেষ করে সেগুলোর কারণেই আমি এটার ওপর জোর দিচ্ছি।  এ ছাড়াও সেই পোস্টে মিজানুর রহমানের একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন শোয়েব মালিক। যেখানে মিজানুর রহমান বলেন, শোয়েব মালিককে নিয়ে কদিন যাবত অনেক ধোঁয়াশা হচ্ছে। এটা পুরোপুরি ভুল একটা তথ্য। আমরা কোনো নিউজ চ্যানেল বা কাউকে এমন তথ্য দেইনি। খেলতে গিয়ে হার-জিত হতেই পারে, এটা ভিন্ন গল্প। শোয়েব মালিক তার সেরাটা দিয়ে খেলেছেন। আমরা কাউকে অভিযোগ করিনি। এমনকি তার সঙ্গেও কথা বলিনি। বরিশালের মালিক আরও বলেন, আজকে অনেক মিডিয়া আমাকে কল করেছে, যেটা আমার কাছে ভালো লাগছে না। যে কারণে আমি এই বার্তাটা দিচ্ছি যে, তার প্রতি আমাদের কোনো অভিযোগ নেই। দয়া করে, বিষয়টি বড় করার চেষ্টা করবেন না। 
২৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:৪৭

নির্বাচন নিয়ে ৬ আন্তর্জাতিক সংস্থার বিবৃতি প্রত্যাখ্যান বাংলাদেশের
সদ্য সমাপ্ত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে ছয়টি আন্তর্জাতিক সুশীল সমাজ সংস্থার পক্ষপাতদুষ্ট ও অযৌক্তিক বিবৃতি প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ সরকার। শ‌নিবার (১৩ জানুয়া‌রি) ছয় আন্তর্জাতিক সংস্থার বিবৃতি নি‌য়ে নি‌জেদের অবস্থান জা‌নি‌য়ে‌ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বিবৃ‌তি‌তে বলা হয়, বিবৃতিতে উত্থাপিত অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। সদ্য অনুষ্ঠিত অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য ও শান্তিপূর্ণ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে ছয়টি আন্তর্জাতিক সুশীল সমাজ সংস্থার পক্ষপাতদুষ্ট ও অযৌক্তিক বিবৃতি বাংলাদেশ সরকার দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করে।   অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন পরিচালনার জন্য ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং বিভিন্ন দেশ প্রশংসা করেছে এবং নতুন সরকারকে স্বাগত জানিয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে, নতুন করে নির্বাচন অনুষ্ঠানের আহ্বান অযৌক্তিক এবং অগ্রহণযোগ্য।  বিবৃ‌তি‌তে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অত্যন্ত অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ, উৎসবমুখর পরিবেশে এবং জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৮টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মোট ১,৫৩৪ জন প্রার্থী এবং ৪৩৬ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। এ নির্বাচনে কোনো কোনো জায়গায় বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায় ভোট প্রদানের হার ৭০ শতাংশ বা তার চেয়েও বেশি ছিল। তবে শহর এলাকায় তুলনামূলকভাবে কম ভোটার উপস্থিতির কারণে সারাদেশে গড় ভোটের হার ছিল ৪১.৮ অর্থাৎ প্রায় ৪২ শতাংশ।  বি‌বৃ‌তি‌তে আরও বলা হয়, স্বাধীন নির্বাচন কমিশন অত্যন্ত সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন পরিচালনা করেছে। নির্বাচনের আগে বিএনপির সহিংসতা এবং নির্বাচন বানচাল করার হুমকি সত্ত্বেও, হাতে গোনা কয়েকটি ভোট কেন্দ্রে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া ভোটের দিনটি ছিল শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর। আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষক এবং সাংবাদিক, যারা সক্রিয়ভাবে মাঠ থেকে নির্বাচনের প্রতিবেদন করেছেন, তারা তাদের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ার এর সত্যতা প্রকাশ করেছেন। রাজনৈতিক কারণে কোনো ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়নি জা‌নি‌য়ে বিবৃ‌তি‌তে বলা হ‌য়ে‌ছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নির্বাচনকে সামনে রেখে সংযম এবং আইনি সীমানা মেনে সহিংসতার ঘটনাগুলোর মোকাবিলা করেছেন। রাজনৈতিক কারণে কোনো ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। নির্বাচন বানচালের জন্য যারা মানুষ ও যানবাহনে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করেছে, আগুন দিয়েছে, মানুষকে হত্যা ও আহত করেছে এবং জনজীবন ব্যাহত করেছে তাদের সুনির্দিষ্ট অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আইনের শাসন সমুন্নত রাখতে এবং সকল নাগরিকের অধিকার রক্ষার জন্য এই পদক্ষেপগুলো প্রয়োজনীয় ছিল। তাই এই যৌথ বিবৃতি বিভ্রান্তিকর, একতরফা এবং অগ্রহণযোগ্য। গণতন্ত্র বিরোধী ও নির্বাচন বিরোধী শক্তি যারা নির্বাচনকে বানচাল করার অপচেষ্টা করেছিল তাদেরকে উৎসাহিত করার জন্য এটি বিবৃতি উদ্দেশ্যমূলকভাবে জারি করা হয়েছে বলে প্রতীয়মান। এদিকে গতকাল শুক্রবার একটি যৌথ বিবৃতিতে বাংলাদেশে রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তি দিয়ে নতুন করে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের আহ্বান জানিয়েছে বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক ছয়টি নাগরিক সংগঠন। সংস্থাগু‌লোর বিবৃ‌তি‌তে বলা হয়, এই নির্বাচন যথাযথ বা প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক- কোনোটিই হয়নি। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধসমূহ ও আন্তর্জাতিক নির্বাচনী মানদণ্ড মেনে এই নির্বাচন হয়েছে কিনা, সে বিষয়েও গুরুতর প্রশ্ন উঠেছে। যৌথ বিবৃতি দেওয়া সংগঠনগুলো হলো  এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশনস (এএনএফআরইএল), ওয়ার্ল্ড অ্যালায়েন্স ফর সিটিজেন পার্টিসিপেশন (সিআইভিআইসিইউএস), ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন ফর হিউম্যান রাইটস (এফআইডিএইচ), এশিয়ান ডেমোক্রেসি নেটওয়ার্ক (এডিএন), ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট জাস্টিস প্রোজেক্ট (অস্ট্রেলিয়া) ও অ্যান্টি-ডেথ পেনাল্টি এশিয়া নেটওয়ার্ক (এডিপিএএন)।
১৩ জানুয়ারি ২০২৪, ২২:৩৩

‘জনগণ এই নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে’
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে বলে মন্তব্য করেছেন খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির শায়খুল হাদিস মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী। শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন। আহমদ আলী কাসেমী বলেন, এই নির্বাচন কোনো ভালো নির্বাচন হয়নি। জনগণ এই নির্বাচন মানে না। জনগণ এই নির্বাচনকে প্রত্যাখ্যান করেছে। ২৬ জনের যে মন্ত্রিপরিষদ গঠন করা হয়েছে, জনগণ তা মানে না। তিনি বলেন, এই নির্বাচনে নির্বাচিত সরকারকে জনগণ পাঁচ বছর কেন, পাঁচ দিনও দেখতে চায় না। সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ করে জনগণের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। জনগণের নির্বাচন প্রতিষ্ঠা করার জন্য আমাদের মাঠে থাকতে হবে। জনগণের নির্বাচন প্রতিষ্ঠা হওয়ার আগ পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ব না। সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা আবদুল বাছিত আজাদ বলেন, গত ৭ জানুয়ারি দেশে একটি তামাশার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে তফসিল ঘোষণা থেকে শুরু করে ফলাফল ঘোষণা পর্যন্ত সবকিছুতেই জাতির সঙ্গে তামাশা হয়েছে। তিনি বলেন, ভোটকেন্দ্রে প্রকৃত ভোটারের গড় উপস্থিতি একেবারেই কম ছিল। পিঠা ভাগাভাগির এই নির্বাচনে সরকারি দল নিজেদের মধ্যেও ভাগাভাগি সুষ্ঠুভাবে করতে পারেনি। যার কারণে স্বতন্ত্র বা ডামি প্রার্থীরা হাইকোর্টে পর্যন্ত রিট করেছে, নির্বাচন বয়কট করেছে। সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের, যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মোহাম্মদ আবদুল জলিল, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান, কেন্দ্রীয় প্রকাশনা ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম, ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি সাইফুদ্দিন আহমদ খন্দকার এবং ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা আজিজুল হক প্রমুখ।
১২ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:৪২

প্রহসনের নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে জনগণ : বিএনপি
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে ভোটের নামে প্রহসন হয়েছে উল্লেখ করার সঙ্গে সঙ্গে জনগণ এই নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে বলে দাবি করেছে বিএনপি। একইসঙ্গে শেষের এক ঘণ্টায় কীভাবে ভোট ২৭ শতাংশ থেকে ৪০ শতাংশ হয়, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে দলটি।  আজ সোমবার (৮ জানুয়ারি) বেলা ১১ টায় বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন পরবর্তী প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বিএনপি। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে দলের পক্ষে বক্তব্য পাঠ করেন সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ড. আবদুল মঈন খান। এ সময় বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনের দাবির পক্ষে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে আগামীকাল মঙ্গলবার ও বুধবার দুদিনের গণসংযোগ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে ড. আবদুল মঈন খান বলেন, ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের জনগণ ও বিশ্ববাসী বাংলাদেশে আরও একটি ভোটারবিহীন প্রহসনের ডামি নির্বাচন প্রত্যক্ষ করল। দেশের প্রায় সব রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ, বুদ্ধিজীবী ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য আন্দোলন করে আসছেন। গণতান্ত্রিক বিশ্ব ও বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্রগুলো বাংলাদেশে অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করার ব্যাপারে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছে। কিন্তু সরকার সব মতামত অগ্রাহ্য করে ৭ জানুয়ারি একটি প্রহসনের নির্বাচনের আয়োজন করে। প্রহসনের এই নির্বাচন দেশের জনগণ একচেটিয়াভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। তাই নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনের দাবির পক্ষে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে আগামীকাল মঙ্গলবার ও বুধবার দুদিনের গণসংযোগ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। ৪০ শতাংশ ভোট নিয়ে নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য প্রসঙ্গে মঈন খান বলেন, প্রথমে বলা হলো ২৭.৫ পারসেন্ট ভোট পড়েছে। টেকনোলজির কল্যাণে জানা গেছে, পাশ থেকে এক কর্মকর্তা বলছেন ৪০ পারসেন্ট বলতে হবে। তিনি বলেন, জনগণ ডামি নির্বাচন বর্জন করে প্রমাণ করেছে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন ভুয়া। নির্বাচন কমিশন দুই একটা কেন্দ্র বন্ধ করে প্রমাণ করতে চেয়েছে সুষ্ঠু ভোট হয়েছে। এসব নাটক জনগণ বুঝে গেছে। বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, আগামীতে সরকার যে সরকার গঠন করবে তা হবে ফর দ্যা ডামি, বাই দ্যা ডামি, এমন ডামি সরকার চায় না। দেশের মানুষ এ সরকারের পরিবর্তন চায়, কারণ তারা ক্ষমতার অপব্যাবহারের মাধ্যমে সৃষ্টি করেছে ‘অলিগার্ক’। সুতরাং জনগণের কাছে জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাবো। আন্দোলনের মাধ্যমেই সরকারকে জবাবদিহির আওতায় আনতে চায় বিএনপি। আরেকটি নির্বাচনের জন্য বিএনপি আরও পাঁচ বছর অপেক্ষা করবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে নজরুল ইসলাম খান বলেন, সরকার ভুয়া নির্বাচন করেছে। আমরা বলেছিলাম, দলীয় সরকারের অধিনে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। জনগণকে ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়েছিলাম। আমাদের আহ্বানে তারা ভোট দিতে যায়নি। তাই এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচন দিতে হবে। যে নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারবে। নতুন নির্বাচনের দাবিতে কাল থেকেই আমাদের গণসংযোগ কর্মসূচি শুরু হবে।    
০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:৩৭

নৌকাকে প্রত্যাখ্যান করে লাঙ্গলকে ভোট দেওয়ার আহ্বান!
জামালপুরের বকশীগঞ্জে নির্বাচনী প্রচারের শেষ দিনে নৌকা প্রতীক প্রত্যাখ্যান করে লাঙ্গল প্রতীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জামালপুর-১ (বকশীগঞ্জ ও দেওয়ানগঞ্জ) আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী এসএম আবু সায়েম। বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) রাত ৯টায় বকশীগঞ্জ পৌর শহরের পান হাটি মোড়ে নির্বাচনী পথসভায় বক্তব্য একথা বলেন তিনি। এসএম আবু সায়েম আরও বলেন, এক সময় বকশীগঞ্জ শান্তির শহর ছিলো, সব রাজনৈতিক দলের মধ্যে সম্প্রীতি ছিল। অতীতে বকশীগঞ্জে হানাহানি ছিল না। বর্তমানে বকশীগঞ্জকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, গত বছর বকশীগঞ্জে সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম নির্মমভাবে হত্যার শিকার হন। সেই হত্যার পেছনেও রাজনীতি জড়িত ছিল। অসুস্থ রাজনীতির কারণে তাকে হত্যার শিকার হতে হয়েছে। আওয়ামী লীগের আমলে বকশীগঞ্জ ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়েছে। তাই সকল অপশক্তির অবসান ঘটাতে তিনি আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক প্রত্যাখ্যান করে লাঙ্গল প্রতীকে ভোট দিয়ে তাকে বিজয়ী করার আহ্বান জানান জাতীয় পার্টির প্রার্থী এসএম আবু সায়েম। পথসভার আগে বকশীগঞ্জ শহরে লাঙ্গল প্রতীকে ভোট চেয়ে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করেন জামালপুর-১ আসনের জাতীয় পার্টির এ প্রার্থী।
০৫ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:৪৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়