• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বাংলাদেশের প্রয়োজন বুঝতে পারছে এডিবি, আরও সহায়তার প্রতিশ্রুতি
বাংলাদেশের প্রয়োজন বুঝতে পারছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। সে অনুযায়ী আরও সহায়তার প্রতিশ্রুতি মিলেছে ব্যাংকটির পক্ষ থেকে।   মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সচিবালয়ে এডিবি ভাইস প্রেসিডেন্ট (সেক্টর ও থিমস) ফাতিমা ইয়াসমিনের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সামনে এসব কথা জানান অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। বৈঠকে অর্থসচিব মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদারও উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রী ও সচিব বলেন, এডিবির কাছে আরও বাজেট সহায়তা চাওয়া হয়েছে। এডিবি ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেছেন, বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। এডিবি এখন বাংলাদেশের প্রয়োজন বুঝতে পারছে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা এডিবির সঙ্গে সম্পর্ক ডেভেলপ করছি ৫০ বছর ধরে। এটা আরও ভালো হবে, আরও শক্তিশালী হবে। আমরা এডিবির বার্ষিক সম্মেলনে যাচ্ছি। সেখানে আরও আলোচনা হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমরা খুবই সন্তুষ্ট। যেভাবে আমাদের সম্পর্কের উন্নতি হচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে, তারা আমাদের প্রয়োজন বুঝতে পারছে।  এ সময় অর্থসচিব বলেন, এডিবি আমাদের ৫০ বছরের বন্ধু। আমরা এডিবির কাছ থেকে ফান্ড পেয়ে আসছি, ভবিষ্যতে যেন আরও পাই, সেজন্য স্যার (অর্থমন্ত্রী) অনুরোধ করেছেন। করোনার সময় এডিবি আমাদের বাজেট সহায়তা দেওয়ায় আমরা অর্থনৈতিক সংকট দ্রুত উতরাতে পেরেছি। এই বাজেট সাপোর্ট যাতে আরও বাড়ে সেজন্য অনুরোধ করা হয়েছে। আমাদের অর্থনীতির বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে এডিবি প্রতিনিধি দলের কোনো পর্যবেক্ষণ আছে কি না– এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, কোনো পর্যবেক্ষণ নেই। তারা খুব খুশি। উল্লেখ্য, চলতি বছরের জন্য ইতোমধ্যে বাংলাদেশকে ৪০ কোটি ডলার বা চার হাজার কোটি টাকার বেশি বাজেট সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এডিবি। গত বছরের ১১ ডিসেম্বরে এ বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষর হয়। আরও ৯ কোটি ডলারের বাজেট সহায়তার প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে দক্ষিণ কোরিয়ার কাছ থেকে। সাম্প্রতিক অর্থবছরগুলোতে সরকারের বাজেট সহায়তা নেওয়ার পরিমাণ বাড়তে দেখা যাচ্ছে। মূলত করোনা-পরবর্তী সময়ে টিকা কেনা এবং অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য বাজেট সহায়তার পরিমাণ বেড়েছে। এ ছাড়া ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে সরকারের বাজেট সহায়তা নেওয়ার কার্যক্রম জোরদার হয়েছে। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরে সরকার ১৭৬ কোটি ডলার, ২০২১-২২ অর্থবছরে ২৫৯ কোটি ডলার, ২০২০-২১ অর্থবছরে ১০৯ কোটি ডলার এবং ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১০০ কোটি ডলার বাজেট সহায়তা নিয়েছে। এর আগে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সরকারের বাজেট সহায়তার পরিমাণ ছিল প্রায় ২৫ কোটি ডলার। সাম্প্রতিক সময়ে সরকারের ঋণ পরিশোধের প্রবণতাও বেড়েছে একইসঙ্গে। ইআরডির তথ্যমতে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আট মাসে সুদ ও আসল বাবদ আন্তর্জাতিক ঋণদাতাদের প্রায় ২০৩ কোটি ডলার পরিশোধ করেছে সরকার। গত অর্থবছরের একই সময়ে পরিশোধ করা হয়েছিল ১৪২ কোটি ডলার। অর্থাৎ, ঋণ পরিশোধের পরিমাণ বেড়েছে ৪৩ শতাংশ। এর মধ্যে সুদ পরিশোধ করা হয়েছে ৮০ কোটি ৬০ লাখ ডলার; আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় যা দ্বিগুণ।  
০২ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:১৫

নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণ ও জনগণের কল্যাণে শেখ হাসিনার সরকার বদ্ধপরিকর
শেখ হাসিনার সরকারের অধীনে প্রকৃত গণতন্ত্র চর্চার ধারাবাহিকতা বজায় রেখে গত ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণ পুনরায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবাহী এবং জাতির পিতার আদর্শকে বুকে ধারণ করে পরিচালিত আওয়ামী লীগের প্রতি আস্থা রেখেছে।  ফলে, দেশ ও জনগণের উন্নয়ন ও কল্যাণকে বজায় রাখতে জনগণ ভোট প্রদানের মাধ্যমে শেখ হাসিনার সরকারকে পুনরায় নির্বাচিত করেছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন খুব স্বচ্ছ ও সুন্দরভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। শেখ হাসিনার সরকারের অধীনে জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পেরে অত্যন্ত কৃতজ্ঞ।  এই কৃতজ্ঞতার প্রমাণ হচ্ছে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগকে পুনরায় জয়ী করা। দেশের জনগণ প্রমাণ করে দিয়েছে দেশে সুষ্ঠু গণতন্ত্রচর্চা এবং দেশ ও জনগণের কল্যাণ একমাত্র জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত আওয়ামী লীগ সরকারের দ্বারা সম্ভব। এছাড়াও, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বেশ প্রশংসা অর্জন করেছে।    বিগত দিনে আমরা দেখেছি, শেখ হাসিনার সরকার সকল নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছে এবং জনগণের কল্যাণ সাধনে শতভাগ বদ্ধপরিকর থেকেছে।  তারই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে শেখ হাসিনার সরকার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পরই কালক্ষেপণ না করে দেশ ও জনগণের কল্যাণের জন্য বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আমরা জানি যেকোনো রাষ্ট্রে সুষ্ঠুভাবে সরকার পরিচালনা করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে সরকারের মন্ত্রিসভা। আজকে আমরা দেখতে পাচ্ছি, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে শেখ হাসিনা সুযোগ্য নেতৃবৃন্দকে নিয়ে মন্ত্রিসভা গঠন করেছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গঠিত এই মন্ত্রিসভা দেশ ও জনগণের কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাবে এবং সফল হবে নিঃসন্দেহে। পুনরায় দায়িত্ব গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গেই বর্তমান শেখ হাসিনার সরকার নানারকম পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে নির্বাচনী ইশতেহারের প্রতিশ্রুতি রক্ষা এবং দেশ ও জনগণের কল্যাণের জন্য মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে নানারকম দিকনির্দেশনা প্রদান করেছেন।  জাতির পিতা যেমন সর্বদা অন্যায়, অত্যাচার কিংবা দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন ঠিক তেমনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সন্ত্রাস, মাদক ও  দুর্নীতির বিরুদ্ধে সর্বদা জিরো টলারেন্স অবস্থান গ্রহণ করেছেন।  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনী ইশতেহার পূরণ, দেশে মূল্যস্ফীতি ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, দুর্নীতি মোকাবিলায় জিরো টলারেন্স এবং জাতীয় ও  বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলায় নতুন মুদ্রানীতিবিষয়ক একগুচ্ছ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। শেখ হাসিনার সরকার সর্বদা দেশ ও জনগণের কল্যাণের জন্য কাজ করে চলেছে। সীমিত আয়ের জনগণকে সহযোগিতায় পারিবারিক কার্ডের মাধ্যমে বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয় ও অতিদরিদ্রদের জন্য বিনা পয়সায় খাদ্য প্রদানসহ নানা কর্মসূচি নিয়ে শেখ হাসিনার সরকার কাজ করছে। ইতোমধ্যে শেখ হাসিনার সরকারের গৃহহীনদের জন্যে গৃহায়ন প্রকল্পটি প্রশংসা অর্জন করেছে। বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখার অন্যতম খাত হচ্ছে কৃষি। জাতির পিতার আদর্শের ধারক ও বাহক শেখ হাসিনার সরকার সর্বদা কৃষি ও কৃষকের কথা ভেবেছে, দেশের খেটে খাওয়া মানুষের জীবনমান উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে গেছে। তারই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে বর্তমান শেখ হাসিনার সরকার কৃষি উৎপাদন ও কৃষিপণ্য সংরক্ষণের জন্য আরও বেশি সংরক্ষণাগার তৈরির পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এ ছাড়াও বর্তমান শেখ হাসিনার সরকার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের চারটি স্তম্ভ (স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট সোসাইটি, স্মার্ট ইকোনমি ও স্মার্ট গভর্নমেন্ট) নিয়ে কাজ করার পাশাপাশি নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখতে, দেশের পণ্য রপ্তানির বহুমুখীকরণ, পণ্যের নতুন নতুন বাজার অনুসন্ধান, পোশাক শিল্পের বিকাশের মতো চামড়া, পাট ও কৃষি শিল্পের বিকাশ এবং শিক্ষাক্ষেত্রে যুগোপযোগী আইসিটি শিক্ষার প্রচার, প্রসার ও বাস্তবায়নে কাজ করবে।  সুতরাং দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের প্রতি জনগণের আস্থার প্রতিদান নির্বাচনী ইশতেহারের প্রতিশ্রুতি পূরণ এবং সর্বোপরি দেশ ও জনগণের কল্যাণ সাধনের মাধ্যমে প্রাপ্তি হবে নিঃসন্দেহে। আর নির্বাচনী ইশতেহারের প্রতিশ্রুতি পূরণ এবং দেশ ও জনগণের কল্যাণে শেখ হাসিনার সরকার শতভাগ বদ্ধপরিকর। লেখক : সহকারী অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৫২

সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়ে শেখ হাসিনাকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর চিঠি
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি পাঠিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা অংশীদারিত্ব জোরদার করতে এবং স্বল্পোন্নত দেশের স্ট্যাটাস থেকে বাংলাদেশের উত্তরণে সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।  বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন এ তথ্য জানিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা চিঠিতে ঋষি সুনাক বলেছেন, আপনারা সরকারের ঐতিহাসিক পঞ্চম মেয়াদে যাত্রা শুরু করেছেন এবং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আপনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে চমকপ্রদ উন্নয়ন অর্জনের প্রতিফলন ঘটিয়েছেন। এ অবস্থায় ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা অংশীদারিত্ব জোরদার এবং এলডিসি মর্যাদা থেকে উত্তরণে বাংলাদেশের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি আমি আবারও স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, আমাদের অংশীদারিত্ব এক গভীর অভিন্ন ইতিহাস ও বন্ধুত্বের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে, যা মানুষে-মানুষে দৃঢ় বন্ধনের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, অধিকার ও স্বাধীনতার অগ্রগতির পাশাপাশি রাজনৈতিক সমঝোতার মাধ্যমে বাংলাদেশ এগিয়ে যেতে পারে। তিনি বলেন, এই মূল্যবোধগুলো কমনওয়েলথ পরিবারের মূল ভিত্তি এবং এটি একটি গতিশীল গণতান্ত্রিক সমাজ গঠন করে, যা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ আকর্ষণ করে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, আমি অভিবাসন বিষয়ে সহযোগিতাকে আমাদের দ্বিপক্ষীয় আলোচ্যসূচির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে দেখছি। আপনি সদয়ভাবে যুক্তরাজ্যে অবৈধভাবে অবস্থানরত বাংলাদেশি নাগরিকদেরকে ফেরত পাঠানোর একটি টেকসই ও সুশৃঙ্খল উপায়কে সমর্থন করেছেন। তিনি লিখেছেন, আমি আশা করছি, পারস্পরিক সহযোগিতার বৃহত্তর আলোচ্যসূচির অংশ হিসেবে প্রক্রিয়াটি চূড়ান্ত হয়েছে।
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৪৯

অর্থছাড়ের প্রতিশ্রুতি রাখতে সমস্যা হচ্ছে : চীনা রাষ্ট্রদূত
ডলার সংকটের কারণে বাংলাদেশকে দেওয়া অর্থছাড়ের প্রতিশ্রুতি রাখতে সমস্যা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। অর্থছাড় বাড়াতে চীন ও বাংলাদেশের নিজস্ব মুদ্রার মধ্যে সমন্বয় করা যায় কি না, এ ব্যাপারে কাজ করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালামের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এসব কথা বলেন চীনা রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, চীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর আমরা (পাকিস্তান আমল থেকে) বাংলাদেশের চতুর্দশ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছি। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, চীনের সঙ্গে আমাদের ভালো সম্পর্ক রয়েছে। তারা আমাদের পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহযোগিতা করছে। চীনের দেওয়া প্রতিশ্রুতির অর্থছাড়ে ধীরগতি কেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ছোটখাটো কোনো সমস্যা থাকলে আলোচনা করে সমাধান করা হবে। একই প্রশ্নের উত্তরে ইয়াও ওয়েন বলেন, আমেরিকার ভুল মনিটারি ও ফিসকেল পলিসির কারণে বিশ্বব্যাপী ডলার সংকট হচ্ছে। এ কারণে সারাবিশ্ব সমস্যায় পড়েছে। চীনও একই ধরনের সমস্যা মোকাবিলা করছে। তিনি বলেন, সমস্যা সমাধানে আমরা বাংলাদেশকে প্রস্তাব দিয়েছি যাতে অর্থছাড় ও বিনিয়োগের অর্থ নিজস্ব মুদ্রায় লেনদেন করা হয়। আর বিশ্বে ডলার সংকট কেটে গেলে পরে অর্থছাড় বাড়বে। চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন, বর্তমানে খুব কম দেশেই পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা রয়েছে। এর মধ্যে চীন একটি। বাংলাদেশেরও আছে। চীনের ইতোমধ্যে ১৪টি পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা হয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা নিয়ে যৌথভাবে কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে। কারণ, চীনে ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড রিফর্মস কমিটি আছে, সেটি হুবহু বাংলাদেশের পরিকল্পনা কমিশনের কমিটির মতো। আমরা কীভাবে অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে পারি, কীভাবে আমরা একসঙ্গে কাজ করতে পারি সেসব বিষয়ে কথা হয়েছে পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুস সালামের সঙ্গে।  
৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:২৯

প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে : পরিকল্পনামন্ত্রী
পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম বলেছেন, জাতির কাছে বর্তমান সরকারের প্রতিশ্রুতি ছিল একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংবিধানের ধারা অনুযায়ী একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই নির্বাচন অনেকটা চ্যালেঞ্জিং ছিল। নির্বাচন পরিচ্ছন্ন হয়েছে বলে আন্তর্জাতিক মহলে প্রশংসিত হয়েছে। নির্বাচন নিয়ে বিদেশি কোনো মিডিয়াতে নেতিবাচক সংবাদ পরিবেশিত হয়নি। এটি তুমুল প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন ছিল। বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, কর্তব্য ও নিষ্ঠার সহিত নিজ নিজ দপ্তরের কাজ পরিচালনা করবেন। পরিকল্পনা মাফিক কর্মপন্থার মাধ্যমে পরিচ্ছন্নভাবে কাজ সম্পন্ন করবেন। আমরা জনগণের সরকার, আমরা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। জনগণের দোরগোড়ায় সরকারকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা থাকতে হবে। গ্রামীণ অবকাঠামো, সংযোগ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা খাতসহ অন্যান্য খাতে মানোন্নয়নের চেষ্টা করতে হবে। দুর্নীতি, চাঁদাবাজি কোনভাবেই চলবে না। এসব নির্মূল করতে আপনাদের রুখে দাঁড়াতে হবে। প্রশাসনকে জনগণের কাছে জবাবদিহিতা থাকতে হবে। জনগণের প্রয়োজন বুঝে সর্বদা সেবা দিতে হবে। জনগণের জন্য একটি স্বস্থিপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করে দিতে হবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী সম্পদের সুষ্ঠু ও সমবন্টনে কাজ করতে হবে। এই মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অরুন কৃষ্ণ পাল। এতে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রীর একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবদুল হামিদ মিয়া, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হাসান মাহমুদ জুয়েল, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. সারোয়ার হাসান জিটু, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মনোয়ারা জুয়েলসহ উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা।  
১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:১৪

দ্রুত দেনা পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দিলেন ইভ্যালির রাসেল
দ্রুত গ্রাহকের সব পাওনা পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল।  মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ প্রতিশ্রুতি দেন।  ইভ্যালির সিইও বলেন, বর্তমানে ইভ্যালিতে যে মুনাফা অর্জিত হচ্ছে গ্রাহকের অভিযোগ নিষ্পত্তি করতে বেশি দিন লাগবে না। সবাই সহযোগিতা করলে যত গ্রাহক আমাদের কাছে টাকা পান তার মুনাফাও দিতে পারবো। তিনি বলেন, ইভ্যালিতে এখন ক্যাশ অন ডেলিভারি পদ্ধতিতে গ্রাহক পণ্য পাওয়ার পর টাকা পরিশোধ করছেন। সরাসরি পণ্যের মূল্য গ্রাহকদের ব্যাংক হিসাব থেকে নেওয়া হচ্ছে। সেখানেই সরকারের কর পরিশোধ করা হচ্ছে। রাসেল বলেন, বর্তমানে আমাদের সব পণ্য মুনাফার সঙ্গে বিক্রি হচ্ছে। ‘বেশি বিক্রি মুনফা কম’ এটি ই-কমার্স ব্যবসার নিয়ম। এতে স্টোরে মাল পড়ে থাকেনা বিনিয়োগ উঠে আসে। ফলে পণ্যের মালিক ৫ থেকে ৬ শতাংশ মুনাফায় তা আমাদের কাছে ছেড়ে দেয়। আমাদের বেশি পণ্য বিক্রি করার সুযোগ থাকায় আমরা তা ৮-৯ শতাংশ মুনাফায় বিক্রি করতে পারি। ফলে গ্রাহকরাও আমাদের কাছে তা সস্তায় কিনতে পারেন। 
১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:২৬

শপথ নিয়েই ভোটারদের দেওয়া যে প্রতিশ্রুতি পূরণ করলেন এমপি আজাদ
প্রতিশ্রুতি মোতাবেক সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধ করলেন কুমিল্লা-৪ আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ। বুধবার (১১ জানুয়ারি) সকালে এমপি হিসেবে শপথগ্রহণ শেষে দেবিদ্বারে সিএনজি স্ট্যান্ডের চাঁদাবাজি বন্ধ করে ন স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচিত মো. আবুল কালাম আজাদ। শপথ নেওয়ার দিন সামাজিকমাধ্যমে চাঁদাবাজি বন্ধ করার ঘোষণা আবুল কালাম আজাদ। এতে উপজেলার দুই শতাধিক সিএনজি স্ট্যান্ড, অটোরিকশা, পিকআপ ভ্যান থেকে চাঁদা (জিপি) আদায় বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঘোষণায় ক্ষুদ্র যানবাহন চালক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে। আবুল কালাম আজাদের অভিযোগ, তার আসনের দুই শতাধিক সিএনজি স্ট্যান্ডে গত ১০ বছর ধরে সাবেক সংসদ সদস্য রাজী মোহাম্মদ ফখরুলের নাম ভাঙিয়ে তার লোকজন ইজারা নিয়ে সিএনজি স্ট্যান্ডের নামে লাখ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করতেন। জানা গেছে,  দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার বিপক্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল কালাম আজাদকে রায় দেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন। তাদের দাবি ছিল, রাজী মোহাম্মদ ফখরুলের লোকজনের চাঁদাবাজির বন্ধ করতে হবে। কারণ, চাঁদাবাজির কারণে অতিষ্ঠ ছিল খেটেখাওয়া ক্ষুদ্র যানবাহনের চালক এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা।  এমপি আবুল কালাম আজাদের ভাষ্য, ‘গরিব অসহায় মানুষের কাছ থেকে যারা চাঁদা নিয়েছে তারা এ নির্বাচনে সঠিক জবাব পেয়েছে। আমি এসেছি মানুষের কল্যাণে কাজ করতে। কোনো সিএনজি স্ট্যান্ডে চাঁদাবাজি চলবে না।’
১১ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:২৬

শপথ গ্রহণের পর যে প্রতিশ্রুতি দিলেন ফেরদৌস
নব নির্বাচিত সংসদ সদস্য চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ। বুধবার (১০ জানুয়ারি) সকালে সংসদ ভবনে শপথ নিয়েছেন তিনি।  শপথ গ্রহণের পর ফেরদৌস বলেন, জনগণ আমার ওপর আস্থা রেখেছেন। আমি তাদের আস্থার প্রতিদান দেব। কোনো কাজ বিঘ্নিত না হয় সে চেষ্টাই করে যাব।  তিনি আরও বলেন, আমি যেন সততার সঙ্গে দেশের প্রতি, জনগণের প্রতি বিশেষ করে আমার ঢাকা-১০ আসনের সম্মানিত নাগরিকদের জন্য অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে পারি। পাশাপাশি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। সেই সঙ্গে ঢাকা-১০ কে উন্নয়নে দশে দশ রাখার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি। গত ৮ জানুয়ারি বিকেল তিনটার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন ফেরদৌস।  শুধু তাই নয়, সেখানে কার্যক্রম শেষে নিজ হাতে নির্বাচনী এলাকার পোস্টার অপসারণ করেন ফেরদৌস।  নির্বাচনে বিপুল ভোটে জেতার পর গণমাধ্যমে ফেরদৌস বলেন, আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করার জন্য সব ভোটারদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে এলাকার উন্নয়ন করতে চাই আমি। আশা করছি, পাশে থাকবেন আপনারা। প্রসঙ্গত, গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১০ আসনে নৌকা প্রতীকে বিজয়ী হয়েছেন ফেরদৌস। ৬৫ হাজার ৮৯৮ ভোট পেয়ে জয় পেয়েছেন তিনি।  
১০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:৩২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়