• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
সাগর-রুনি হত্যা / ১০৭ বার পেছাল মামলার প্রতিবেদন
সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার তারিখ ফের পেছানো হয়েছে। এনিয়ে ১০৭ বার পেছাল। র‌্যাব প্রতিবেদন দাখিল না করায় মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হক আগামী ১৬ মে নতুন দিন ধার্য করেন। আদালতের শেরে বাংলা থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা আলমগীর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনিকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।  প্রথমে এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন ওই থানার এক উপপরিদর্শক (এসআই)। এরপর চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার তদন্তভার দেওয়া হয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি)। তারা রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থ হলে হাইকোর্টের নির্দেশে মামলার তদন্তভার র‌্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
০২ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৫৩

সাত দিনেও প্রতিবেদন দেয়নি তদন্ত কমিটি, যা বললেন অবন্তিকার মা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় গঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটি সাত দিনের মধ্যেও প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি। প্রতিবেদন কবে দেওয়া হবে তাও জানায়নি তদন্ত কমিটি।  শুক্রবার (২২ মার্চ) দীর্ঘ আড়াই ঘণ্টা অবন্তিকার মা তাহমিনা শবনমের সঙ্গে আত্মহত্যার বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা। এ সময় তারা বিভিন্ন বিষয়ে অবন্তিকার মায়ের কাছে জানতে চান। আলোচনা শেষে অবন্তিকার মা সাংবাদিকদের বলেন, তদন্ত কমিটি আসছে তদন্ত করার জন্য, তারা আমাদের কাছ থেকে যে ঘটনা ঘটেছিল তার তথ্য নিয়েছে। আমি তাদের বিস্তারিত ঘটনার বিবরণ দিয়েছি। তারা আমাকে আশ্বস্ত করেছে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেবে। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখন যতটা আন্তরিক, আগে এতটা আন্তরিক হলে হয়তো আমার মেয়েকে হারাতে হতো না। তদন্ত কমিটির প্রধান অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন বলেন, তদন্তের স্বার্থে তথ্য সংগ্রহের জন্য কুমিল্লায় এসেছি। অবন্তিকার মায়ের সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টার মতো কথা বলেছি। বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেছি। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁদের কাছ থেকে কোনো তথ্য-উপাত্ত থাকলে সেগুলো নেব। তিনি বলেন, আমাদের তদন্তকাজ চলছে। তবে কবে নাগাদ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে, সেটি নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। চেষ্টা করছি দ্রুত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শীবেন বিশ্বাস বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্তকারী দল আবন্তিকার মামলার প্রয়োজনীয় নথিপত্র নিয়েছেন। বিভিন্ন তথ্য জানতে চেয়েছেন। আমরা তাদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করেছি। এর আগে গত ১৫ মার্চ ফেসবুক স্ট্যাটাসে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীকে মৃত্যুর জন্য দায়ী করে আত্মহত্যা করেন ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা। 
২৩ মার্চ ২০২৪, ০০:২২

মেট্রোরেলে ঢিল : চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল
প্রায় এক বছর আগে মেট্রোরেলে ঢিল ছুড়ে কাচ ভাঙার ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় মামলা হয়েছে। ঘটনার সত্যতাও মিলেছে। তবে প্রকৃত আসামিদের শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। এমনকি অভিযুক্ত অজ্ঞাতনামা আসামি ভবনের ছাদ থেকে হঠাৎ ঢিল ছুড়ে মারায় কেউ আসামি সম্পর্কে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্যও দিতে পারেনি। এরই মধ্যে মামলাটি নিষ্পত্তির লক্ষ্যে চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে রাজধানীর কাফরুল থানা পুলিশ। চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদনে পুলিশ এসব তথ্য উল্লেখ করেছে। সোমবার (১৮ মার্চ) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মঈনুল ইসলাম পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনটি গ্রহণ করেন। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) আদালতে কাফরুল থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক রয়েল জিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেন। চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মামলার অভিযোগে অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে মেট্রোরেল আইন-২০১৫ এর ৩৫ ও ৪৩ ধারাসহ দণ্ডবিধি ৪২৭ ধারায় অপরাধ প্রাথমিকভাবে সত্য প্রতীয়মান হয়েছে। কিন্তু মামলা হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন কলাকৌশলে তদন্ত অনুসন্ধান করা এবং সংঘটিত ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত রেলে স্থাপন করা সিসি ক্যামেরা পর্যবেক্ষণসহ ঘটনাস্থলের আশপাশের বিভিন্ন সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করে ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রকৃত আসামি শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। সেহেতু মামলাটি আরও তদন্ত করে ভবিষ্যতে সুফল পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া গেলে মামলা পুনরুজ্জীবিত করা হবে মর্মে আপাতত মামলাটি নিষ্পত্তি করার লক্ষ্যে তদন্ত চূড়ান্ত প্রতিবেদন সত্য ধারা-৩৫/৪৩ মেট্রোরেল আইন, ২০১৫; তৎসহ 427 The Code, 1860, তাং-২২-০২-২০২৪ দাখিল করলাম। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৩০ এপ্রিল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর কাজীপাড়া ও শেওড়াপাড়ার মধ্যবর্তী স্থানে মেট্রোরেল লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়া হয়। ওই ঘটনায় ১ মে মেট্রোরেলের লাইন অপারেশন শাখার সহকারী ব্যবস্থাপক সামিউল কাদের বাদী হয়ে রাজধানীর কাফরুল থানায় একটি মামলা করেন। ঢিল ছোড়ায় মেট্রোরেলের প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
১৯ মার্চ ২০২৪, ১৪:১১

সাংবাদিককে কারাদণ্ডের ঘটনায় অনুসন্ধান প্রতিবেদন জমা
ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার সাংবাদিক শফিউর রহমান রানাকে কারাদণ্ড প্রদানের ঘটনার অনুসন্ধান প্রতিবেদন জমা দিয়েছে তথ্য কমিশন। সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুরে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতের নিকট প্রতিবেদন জমার বিষয়টি উপস্থাপন করেন প্রধান তথ্য কমিশনার ড. আবদুল মালেক। সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর দপ্তরে এ সময় উপস্থিত ছিলেন, তথ্য কমিশনার শহীদুল আলম ঝিনুক ও তথ্য কমিশনার মাসুদা ভাট্টি। সাংবাদিককে কারাদণ্ড প্রদানের ঘটনাটি দ্রুততম সময়ের মধ্যে অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দেওয়ায় তথ্য কমিশনকে এ সময় ধন্যবাদ জানান তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী। প্রধান তথ্য কমিশনারের সাথে আলাপকালে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার গণমাধ্যম ও পেশাদার সাংবাদিকদের সম্পূর্ণ স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় যেকোন পেশাদার সাংবাদিকের অনাকাঙ্ক্ষিত হয়রানির বিপক্ষে এবং পেশাদার সাংবাদিকদের সুরক্ষায় বদ্ধপরিকর। প্রতিমন্ত্রী এ সময় আরও বলেন, জনগণের তথ্য পাওয়ার অধিকার আছে। সরকারের কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তথ্য অধিকার আইন করেছেন। এ আইনের আওতায় জনগণের তথ্য অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।   তথ্য কমিশনার শহীদুল আলম ঝিনুক বলেন, আগামীকাল (১৯ মার্চ) এ বিষয়ে আইনানুগ কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট উভয়পক্ষকে তথ্য কমিশনে সমন করা হবে বলেও প্রতিমন্ত্রীকে জানান প্রধান তথ্য কমিশনার। এ বিষয়ে তিনি তথ্য কমিশনের সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কেও প্রতিমন্ত্রীকে অবহিত করেন। এর আগে ঘটনাটি তদন্তের জন্য তথ্য কমিশনার শহীদুল আলম ঝিনুককে দায়িত্ব দেয় তথ্য কমিশন। দায়িত্ব পেয়েই তিনি গত ১০ মার্চ সকালে শেরপুর জেলা কারাগারে গিয়ে সাংবাদিক শফিউজ্জামান রানার সঙ্গে কথা বলেন এবং তার বক্তব্য লিপিবদ্ধ করেন। একইদিন দুপুরে তিনি নকলায় সাংবাদিক রানার বাসায় গিয়ে তার স্ত্রীর সাথেও কথা বলেন। বিকেলে তথ্য কমিশনার নকলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া উম্মুল বানিনের সঙ্গে সাংবাদিকের আবেদনের বিষয়ে কথা বলেন ও সাজার নথি দেখেন। গত পাঁচ মার্চ দেশ রূপান্তরের শেরপুরের নকলা উপজেলা সংবাদদাতা শফিউজ্জামান রানাকে ভ্রাম্যমাণ আদালত ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শিহাবুল আরিফ পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে এ দণ্ডাদেশ দেন।  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সাংবাদিক রানার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি  ইউএনও কার্যালয়ে প্রবেশ করে সরকারি গুরুত্বপূর্ণ নথি জোরপূর্বক কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় কর্মরত সিএ শিলা আক্তার তাকে বাধা দিলে রানা তার সঙ্গে অসদাচরণ করেন এবং তাকে গালিগালাজ করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানানো হলে তার সঙ্গেও রানা অসদাচরণ করেন।  এ অভিযোগে নকলা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রানাকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নকলা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শিহাবুল আরিফ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে রানাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
১৮ মার্চ ২০২৪, ১৫:১৪

মার্কিন সংস্থার প্রতিবেদন নিয়ে যা বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে মার্কিন সংস্থা ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট (এনডিআই) এবং ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই)-এর প্রকাশিত প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।  রোববার (১৭ মার্চ) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‌এনডিআই-আইআরআই কী বলল না বলল তাতে কিছু আসে যায় না।  হাছান মাহমুদ বলেন, পূর্ববর্তী নির্বাচনগুলোর তুলনায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সহিংসতা কম হয়েছে বলে এনডিআই ও আইআরআই স্বীকার করেছে। একইসঙ্গে বাংলাদেশে আগের সব নির্বাচনের তুলনায় ৭ তারিখের নির্বাচনের মান অনেক উন্নত ছিল। তিনি বলেন, এনডিআই ও আইআরআই কী বলল না বলল, এতে কিছু আসে যায় না। কিন্তু দেশে একটি সুন্দর, সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।  পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সাত তারিখের নির্বাচনে বিএনপিসহ তার মিত্ররা অংশগ্রহণ না করে প্রতিহতের ডাক দিয়েছিল। তারা নির্বাচন প্রতিহত করার জন্য সহিংসতা করেছে, মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছে সে বিষয়গুলোও তো তাদের (এনডিআই ও আইআরআই) প্রতিবেদনে আসতে হবে। হাছান মাহমুদ বলেন, তারা প্রতিবেদন দিয়েছে, আমরা দেখছি। আমরা পর্যবেক্ষণগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছি।  উল্লেখ্য, আইআরআই এবং এনডিআই হলো নির্দলীয় বেসরকারি সংস্থা যা বিশ্বব্যাপী গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান এবং অনুশীলনকে সমর্থন ও শক্তিশালী করে। ইনস্টিটিউটগুলো গত ৩০ বছরে ৫০টিরও বেশি দেশে সম্মিলিতভাবে ২০০টিরও বেশি নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছে।  
১৭ মার্চ ২০২৪, ২২:৫৩

এন্ডোস্কোপি করাতে গিয়ে মৃত্যু / তদন্ত প্রতিবেদন ৩ মাসের মধ্যে দাখিলের নির্দেশ 
রাজধানীর ধানমন্ডিতে অবস্থিত ল্যাবএইড হাসপাতালে এন্ডোস্কোপি করাতে গিয়ে রাহিব রেজা (৩১) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তদন্তের প্রতিবেদন আগামী তিন মাসের মধ্যে দাখিলের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।  সোমবার (১১ মার্চ) নিহতের পরিবারের রিট আবেদনের শুনানি শেষে এ নির্দেশনা দেন বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ। পাশাপাশি চিকিৎসা অবহেলায় মৃত্যু তদন্তে বোর্ড কেন গঠন করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেছেন হাইকোর্ট। রাহিব রেজা পরিবারের আইনজীবী ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম জানান, রিটে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত এবং ল্যাবএইড ও সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের লাইসেন্স বাতিলের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া চিকিৎসকদের অবহেলায় মৃত্যুর ঘটনায় রাহিবের পরিবারকে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ারও নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে রিটে। জানা গেছে, পেটে গ্যাসজনিত সমস্যা নিয়ে রাজধানীর ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারভেনশনাল হেপাটোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাবের (স্বপ্নীল) কাছে যান রাহিব রেজা। এরপর গত ১৫ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় ল্যাবএইডে এন্ডোস্কোপি করানোর পরামর্শ দেন ডা. স্বপ্নীল। রাহিবের স্বজনরা জানান, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় খালি পেটে ল্যাবএইড হাসপাতালে যেতে বলা হয় রাহিবকে। যথাসময়ে তিনি হাসপাতালে গেলেও এন্ডোস্কোপি শুরু হয় রাত ১১টার দিকে। কিন্তু  দেড় ঘণ্টা পরও রোগীকে বাইরে বের করা না হলে স্বজনদের একজন জোর করে এন্ডোস্কোপি রুমে ঢোকেন এবং রাহিবকে মুমূর্ষু অবস্থায় দেখতে পান। এরপর অবস্থা জটিল হলে তাকে ল্যাবএইড হাসপাতালের আইসিইউতে নেওয়া হয়। সবশেষে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৯ ফেব্রুয়ারি সকালে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।  
১১ মার্চ ২০২৪, ১৮:০৪

বিশ্বকাপ ব্যর্থতার তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে মুখ খুললেন পাপন
আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপের ১৩তম আসরের আগে নানান ঘটনাপ্রবাহ ও বিশ্বমঞ্চে নজিরবিহীন ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছিল বাংলাদেশ। এর প্রেক্ষিতে তিন সদস্যের বিশেষ তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল বিসিবি।  নানান নাটকীয়তা শেষে প্রতিবেদনও জমা দিয়েছে সেই কমিটি। এরপর বিষয়টি প্রকাশ্যে না এলেও গণমাধ্যমে নানান রকমের গুঞ্জন ছড়ায়। এ-ও দাবি করা হয়, বিশ্বমঞ্চে ব্যর্থতায় কোচ-অধিনায়ক একে অন্যকে দোষারোপ করেছেন। একই সঙ্গে দলের সঙ্গে থাকা দুই পরিচালকের দিকেও অভিযোগের তীর ছুটে আসে। তবে সব গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়েছেন বিসিবি বস নাজমুল হাসান পাপন। তার মন্তব্য, গণমাধ্যমে যেসব খবর প্রকাশিত হয়েছে, তা সত্য নয়। শনিবার (৯ মার্চ) বিসিবিতে বোর্ড সভা শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে পাপনের ভাষ্য, একটা কমিটি করা হয়েছিল। তারা বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে কথা বলেছে। তাদের সঙ্গে কথা বলে তারা কিছু সাজেশন ও রিকমেন্ডেশন দিয়েছে। আমাকে যদি জিজ্ঞেস করেন, সেখানে আসলে এমন কোনো তথ্য নেই; যা আমি জানি না বা আপনারা জানেন না। কী আসতে পারে, পারফরম্যান্স খারাপের জন্য? যে কাউকে জিজ্ঞেস করলে সে বলতে পারবে। তবে বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছে এবং সে অনুযায়ী কাজও শুরু করে দিয়েছে। শেষ মিটিংয়ের পর তো বলেছিলাম আপনাদের। যেসব বিভাগের কাজ, তা শুরু হয়ে গেছে। এদিকে গণমাধ্যমে দুই বোর্ড পরিচালকের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠে এসেছে, তা একেবারেই অসত্য বলে দাবি পাপনের। ক্রীড়ামন্ত্রীর ভাষ্যমতে, আমাকে চেয়ারম্যান একটা রিপোর্টই দিয়েছে। এখানে কোনো পরিচালক দূরে থাক, এমন কোনো লাইনই নেই, শব্দও নেই। এরকম রিপোর্ট তো প্রতিদিনই আসে। আমাকে যে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে, এখানে কিচ্ছু নেই। আজ আমি জালাল ভাই, সুজন ও কয়েকজন পরিচালকের সামনে পুরো রিপোর্ট পড়ে শুনিয়েছি। বলেছি দেখেন, কোথায় কী আছে। উনারা দেখলেন এরকম কিচ্ছু নেই। যে দুজনের নাম এসেছিল ওই দুজনকেও পড়ে শুনিয়েছি, দেয়ার ইজ নাথিং। এর বাইরে কেউ কিছু বললে আমাদের করার কিছু থাকে না। বিসিবি সভাপতি যোগ করেন, আজ কে জানি আকরামের একটা বক্তব্য পাঠাল। আকরামকে সঙ্গে সঙ্গে পাঠালাম, আকরাম লিখেছে এক্স্যাক্টলি ফেইক নিউজ (ভাইয়া)। আমি তো আকরামকে অবশ্যই বিশ্বাস করি। ফেইক নিউজ করলে আমার কী করার আছে? যে পরিমাণ নিউজ হয়, আমাদের কাজ কি খালি এসবের উত্তর দেওয়া?
০৯ মার্চ ২০২৪, ১৯:৫৫

বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ইইউর চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ
গত ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন গণতন্ত্রের কিছু গুরুত্বপূর্ণ মানদণ্ড পূরণ করতে পারেনি বলে মনে করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদনে এমনটি জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্বাচন বিশেষজ্ঞ দল। ৩৩ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে মতামতের পাশাপাশি ২১টি সুপারিশও করেছে ২৭ দেশের এই জোট। ইইউর ইলেকশন অবজারভেশন অ্যান্ড ডেমোক্র্যাসি সাপোর্টের (ইওডিএস) ওয়েবসাইটে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের নির্বাচনে প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ ছিল না। একদিকে যেমন নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার ছিল না। অন্যদিকে আন্দোলন করার অবাধ সুযোগও সীমিত করা হয়েছিল। বিচারিক কার্যক্রম ও গণগ্রেপ্তারের মাধ্যমে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর তৎপরতা মারাত্মকভাবে সীমিত হয়ে পড়ে। গণগ্রেপ্তারের কারণে বিরোধী দল ব্যস্ত ছিল আদালত পাড়ায়। ভোটাররা ভোট দেওয়ার সুযোগ পায়নি উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজনৈতিক দলগুলোর আসন ভাগাভাগি চুক্তি এবং আওয়ামী লীগের নিজস্ব প্রার্থী ও দলের সঙ্গে যুক্ত ‌‘স্বতন্ত্র প্রার্থীদের’ মধ্যে প্রতিযোগিতার কারণে ভোটারদের পছন্দমতো প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার সুযোগ ছিল না। প্রতিবেদনে বলা হয়, ৭ জানুয়ারির নির্বাচন ছিল একটি অত্যন্ত মেরুকৃত রাজনৈতিক পরিবেশে পরিচালিত। বিএনপি ও তার শরিকরা নির্বাচন বয়কট করায় আসল প্রতিদ্বন্দ্বিতার অভাব ছিল। বিরোধীরা সরকারের পদত্যাগ ও নির্বাচন পরিচালনায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি জানিয়েছিলো, যা প্রত্যাখ্যান করা হয়। নির্বাচনকালীন সময়ে বিরোধী দলগুলোর সমাবেশ, সমিতি, আন্দোলন এবং বক্তৃতার স্বাধীনতা কঠোরভাবে সীমিত করা হয়। বিএনপির প্রায় সব সিনিয়র নেতাকে কারাবন্দি করায় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা বিএনপির পক্ষে অসম্ভব ছিল। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, যথেষ্ট সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও নির্বাচনকে বিশ্বাসযোগ্য করতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ব্যর্থ হয়েছে। এ ছাড়া নির্বাচনে নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষক ছিল না। কয়েকটি কেন্দ্রে ব্যালট বাক্স চুরির অভিযোগ ছাড়াও পাওয়া গেছে বিচ্ছিন্ন সহিংসতার খবরও। নির্বাচনের দিন ব্যালট বাক্স ভর্তি এবং জালিয়াতির প্রচেষ্টাসহ নির্বাচন কমিশনে প্রার্থীরা ভোটে অনিয়মের অভিযোগ করেছেন। এর মধ্যে কয়েকটির তাৎক্ষণিকভাবে মোকাবিলা করা হয়েছিল। ২৫টি ভোট কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। তবে অন্যান্য ঘটনার যথেষ্ট তদন্ত করা হয়নি। প্রতিবেদনে ইইউ কারিগরি মিশন সুষ্ঠু, অবাধ, গ্রহণযোগ্য ও আন্তর্জাতিক মানের নির্বাচনের জন্য মোট ২১টি পরামর্শ দিয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরামর্শগুলো হলো- গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ সহ সংসদীয় সম্পর্কিত সমস্ত আইন, প্রবিধান এবং বিধিগুলোর একটি ব্যাপক পর্যালোচনা আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে গণতান্ত্রিক নির্বাচনের আইনি নিশ্চয়তা বাড়াতে পারে। বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনার বোর্ড নিয়োগের ব্যবস্থা যোগ্যতাভিত্তিক ও স্বাধীন নিয়োগের মাধ্যমে হওয়া উচিত। যা জনস্বার্থে কাজ করার লক্ষ্যে কমিশনের হাত শক্তিশালী করবে। সর্বোত্তম অনুশীলনের সাথে সংগতিপূর্ণ একটি স্বাধীন প্যানেল বিষয়টি তত্ত্বাবধান করতে পারে। বাকস্বাধীনতার আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের বিধান মেনে সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট, ২০২৩-এর বিধানগুলোর পর্যালোচনা করতে হবে। অস্পষ্ট এবং অসামঞ্জস্যপূর্ণ বিধিনিষেধগুলো সরানো যেতে পারে। সুশীল সমাজ যাতে নিষেধাজ্ঞা ছাড়াই কাজ করতে পারে তা নিশ্চিত করার জন্য বিদেশি অনুদান (স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রম) আইনের বিধান, ২০১৬ এর সীমাসহ সুশীল সমাজের কার্যক্রম এবং অতিমাত্রায় এর ওপর আমলাতান্ত্রিক নিবন্ধনের বিষয়টি পর্যালোচনা করা যেতে পারে। ভোট ও গণনার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য বর্ধিত সুরক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করা যেতে পারে। তার জন্য ভোট কেন্দ্রের আশপাশে রাজনৈতিক দলের কার্যক্রমের ওপর সম্পূর্ণ স্থগিতাদেশ অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
০৯ মার্চ ২০২৪, ০১:১৮

বিশ্লেষণী গোয়েন্দা প্রতিবেদন দাখিল করে পুরস্কার পেলেন পুলিশ কর্মকর্তা
বিশ্লেষণী গোয়েন্দা প্রতিবেদনের জন্য বাংলাদেশ পুলিশ মেডেল (বিপিএম- সেবা) পদক পেয়েছেন পুলিশের বিশেষ শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার (ওপেন সোর্স ইন্টেলিজেন্স) অতিরিক্ত ডিআইজি হিসাবে পদোন্নতিপ্রাপ্ত মোহাম্মদ আনিসুর রহমান। আনিসুর রহমান ২০০৫ সালের ২ জুলাই সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন। ২০২২ সালের ২৯ জুন তিনি স্পেশাল সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ হিসেবে স্পেশাল ব্রাঞ্চে যোগদান করেন। প্রকাশিত ম্যাগাজিন থেকে জানা যায়, আনিসুর রহমান ২৪ ঘণ্টা ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট ও অনলাইন গণমাধ্যম মনিটরিং করতেন এবং নিয়মিত ওপেন সোর্স মনিটরিং প্রতিবেদনসহ স্পর্শকাতর বিষয়ে গোয়েন্দা প্রতিবেদন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাতেন। তিনি ১ ডিসেম্বর ২০২২ থেকে ১০ জানুয়ারি ২০২৪ পর্যন্ত ৯৬টি বিশ্লেষণধর্মী গোয়েন্দা প্রতিবেদন দাখিল করেন। এ ছাড়া বিদেশে সরকারবিরোধী গোষ্ঠীর অপপ্রচার, ধর্মীয় অস্থিরতা, রোহিঙ্গা ইস্যু, অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরক চোরাচালান, জঙ্গিবাদ, সাম্প্রদায়িক উসকানি, দ্রব্যমূল্যবৃদ্ধি, ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতে অনিয়ম, ডলার সংকট, পোশাক খাতে শ্রমিক অসন্তোষ, পুলিশসংক্রান্ত অপপ্রচারসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষ গোয়েন্দা প্রতিবেদন দাখিল করেন তিনি- যার সবগুলোই সরকারের গুরুত্বপূর্ণ নীতি নির্ধারণ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে।  আনিছুর রহমান দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও ব্যাপক অসন্তোষ সৃষ্টি করতে ফেসবুক, ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাষ্ট্রবিরোধী মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অডিও, ভিডিও প্রচারে জড়িত ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর কার্যক্রম নিয়মিত মনিটরিং করে প্রোফাইল প্রস্তুতসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহ তাৎক্ষণিক ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন।
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৩৪

খতনা যেন আতঙ্কের নাম (ভিডিও)
খতনা যেন আতঙ্কের নামে পরিণত হয়েছে। বেসরকারি হাসপাতালে একের পর এক শিশু মৃত্যু আর অঙ্গহানির ঘটনায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। খতনার মতো ছোট অস্ত্রোপচারে একের পর এক শিশু মৃত্যুর ঘটনাই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় দেশের স্বাস্থ্য খাতের বেহাল দশার চিত্র। চলতি বছরের সাত জানুয়ারি ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে খতনা করাতে গিয়ে ৫ বছরের শিশু আয়ানের মৃত্যু হয়। এর মাসখানেক পরেই গত ২০ ফেব্রুয়ারি মালিবাগ চৌধুরীপাড়ার একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আহনাফ তাহমিন আয়হাম নামের ১০ বছরের আরও এক শিশুর মৃত্যু হয়। এরমধ্যেই অভিযোগ উঠেছে কয়েক মাস আগে রাজধানীর নাখালপাড়ার কুলসুম বেগমের ছেলে ইসমাইল হোসেনের খতনা করাতে গিয়ে মূত্রনালী কেটে ফেলেন পদ্মা জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক মিজানুর রহমান।  পরিবারের অভিযোগ খতনা করার পর বাসায় গেলে এই ঘটনা ধরা পড়ে। ক্ষতিপূরণ চাইলে চিকিৎসক নানা হুমকি দেয় বলেও অভিযোগ তাদের। পদ্মা জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে জানা যায়, চিকিৎসক মিজান এই হাসপাতালে ডাক্তারই নয়, তিনি ওটি চার্জ দিয়ে এই অপারেশনটি করেছিলেন। এ ছাড়া মিজানুর রহমানের নামে নানা অভিযোগ রয়েছে। শ্লীলতাহানির অভিযোগে জেলও খেটেছেন তিনি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) এনেস্থেসিওলজি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর দেবব্রত বণিক বলেন, এই ঘটনায় পদ্মা জেনারেল হাসপাতাল এবং চিকিৎসক দায় এড়াতে পারে না।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:১১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়