• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo
লন্ডন-ঢাকা ফ্লাইটে আসন ফাঁকা নিয়ে ফেসবুক পোস্ট, প্রতিবাদ বিমানের
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের লন্ডন-ঢাকা ফ্লাইটের আসন ফাঁকাসংক্রান্ত এক পোস্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেখা গেছে। ওই পোস্ট জাতীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের সুনাম ক্ষুণ্ন করার অপপ্রয়াস বলে মনে করে সংস্থাটি। ফেসবুক পোস্টে বলা হয় ‘আসন খালি থাকা সত্ত্বেও টিকিট কিনতে গেলে বলে টিকিট নেই’- এটি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ঢালাও মনগড়া অভিযোগ বলছে সংস্থাটি।        শুক্রবার (১৫ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই প্রতিবাদ জানায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লন্ডন-ঢাকা ফ্লাইটের আসন ফাঁকাসংক্রান্ত একটি পোস্ট কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে। বিষয়টি নিয়ে বিমানের যাত্রী এবং সর্বসাধারণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। এই পোস্ট বাংলাদেশের অন্যতম আইকনিক প্রতিষ্ঠান জাতীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের সুনাম ক্ষুণ্ন করার অপপ্রয়াস। বিজ্ঞপ্তি আরও বলা হয়, ‘আসন খালি থাকা সত্ত্বেও টিকিট কিনতে গেলে বলে টিকিট নেই’- এটি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ঢালাও মনগড়া অভিযোগ। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের সব টিকিট সবার কাছে বিক্রির জন্য উন্মুক্ত। যেকোনো অনুমোদিত ট্রাভেল এজেন্ট ছাড়াও বিমানের নিজস্ব ওয়েবসাইট, মোবাইল অ্যাপ এবং বিমানের নিজস্ব বিক্রয় কেন্দ্র থেকে বিমানের টিকিট কেনা যাবে। অন্যান্য সব রুটের মতো বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের যুক্তরাজ্য থেকে ঢাকা রুটের সব এয়ার টিকিটই এসব মাধ্যমে বুকিং করা যায়। এতে আরও বলা হয়, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের অভ্যন্তরে অনুমতি ছাড়া ছবি ও ভিডিও ধারণ এবং তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ ডিজিটাল যেকোনো মাধ্যমে প্রচার করে বিমানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। এ অবস্থায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর, মানহানীকর ও বেআইনি তথ্য সম্বলিত কোনো পোস্ট ফেসবুক অথবা অন্য কোনো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ ও প্রচার না করতে অনুরোধ জানিয়েছে বিমান। বিমান বাংলাদেশ জানায়, এয়ারলাইনস ব্যবসায় লিন বা পিক মৌসুম থাকে। পবিত্র রমজান মাসের শুরুর দিকে এবং মার্চ মাসে সাধারণত যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশের যাত্রী চাহিদা কম থাকে। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্যগামী যাত্রীর চাহিদা থাকে। বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্যগামী সবগুলো ফ্লাইট আসন সংখ্যার প্রায় সমসংখ্যক যাত্রী নিয়ে পরিচালনা করছে। কিন্তু যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশগামী ফ্লাইটে বর্তমানে লিন মৌসুমের কারণে কম সংখ্যক যাত্রী নিয়ে পরিচালিত হচ্ছে। এপ্রিল মাসের শেষের দিকে যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশগামী ফ্লাইটে যাত্রীর সংখ্যা বাড়তে থাকবে। গত সপ্তাহেও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের গড়ে ৮৬ শতাংশ যাত্রী (কেবিন ফ্যাক্টর) ছিল।
১৫ মার্চ ২০২৪, ১৭:৪০

নোবিপ্রবিতে পরীক্ষার হলে ছাত্রলীগের বিশৃঙ্খলা, শিক্ষক সমিতির প্রতিবাদ
পরীক্ষার হলে বিশ্ববিদ্যালয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে বাধা দেওয়ায় ছাত্রলীগ নেতা কর্তৃক হল পর্যবেক্ষক শিক্ষকদের সাথে চরম ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের প্রতিবাদ জানিয়েছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) শিক্ষক সমিতি।  বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. বিপ্লব মল্লিক এবং সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ মোহাইমিনুল ইসলাম সেলিম সংবাদ সম্মেলনে এক যৌথ বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানান। সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক নেতৃবৃন্দ বলেন, গত বুধবার (১৩ মার্চ) পরীক্ষার হলে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের জনৈক এক ছাত্রনেতার শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে বাধা দেওয়ায় ঐ শিক্ষার্থী হল পর্যবেক্ষক শিক্ষকদের সঙ্গে চরম ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করে। পরীক্ষার সময় শেষ হওয়ার পর, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের উপস্থিতিতে কতিপয় ছাত্রনেতা হল-পর্যবেক্ষক একজন শিক্ষককে রুমে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরবর্তী সময়ে, ঐ শিক্ষক, পরিচালক (ছাত্র-পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগ), প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) এবং উপস্থিত অন্যান্য শিক্ষকদেরকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ ও কুরুচিপূর্ণ ইঙ্গিত দিয়ে কথা বলতে থাকে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।  বিবৃতিতে শিক্ষক নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে ছাত্রলীগের পদধারী কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল শিক্ষার্থী পরীক্ষার হলসমূহে নিয়মবহির্ভূত হস্তক্ষেপ করছে এবং কর্তব্যরত শিক্ষকদের সঙ্গে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করে আসছে। প্রতিবাদ জানিয়ে তারা বলেন, ক্যাম্পাসে শিক্ষা ও গবেষণার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে শিক্ষক সমিতি বদ্ধ পরিকর। কিন্তু মুষ্ঠিমেয় শিক্ষার্থীদের এরূপ অছাত্রসুলভ আচরণের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের দৈনন্দিন শিক্ষা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সুস্থ পরিবেশ বজায় রাখতে এবং পরীক্ষার হলসমূহে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে এরূপ কার্যক্রম বন্ধের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। পাশাপাশি এ ঘটনার প্রেক্ষিতে আগামী ৩ কার্যদিবসের মধ্যে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ঘটনার সঙ্গে জড়িত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পদক্ষেপ নিতে হবে। অন্যথায় শিক্ষক সমিতি কঠোর কর্মসূচী দিতে বাধ্য হবে। ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে নোবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নাঈম রহমান বলেন, শিক্ষককে রুমে অবরুদ্ধ করার ঘটনা ঘটেনি। বিপ্লব মল্লিক স্যার নিজেই দায়িত্বরত ম্যাডামকে স্যারের রুমে নিয়ে বসিয়ে আমাদের সঙ্গে কথা বলতে এসেছিলেন। যার বিরুদ্ধে অভিযোগ তার ফোনও অফ ছিল কিন্তু দায়িত্বরত ম্যাডামের ফোন এবং ল্যাপটপ দুটোই চালু ছিল। আমার প্রশ্ন হচ্ছে শিক্ষকরা পরীক্ষার হলে ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ইউজ করতে পারবে এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন কি বলে? আমি দোষীদের পক্ষ নিচ্ছি না। শিক্ষার্থী যদি দোষী হয় তাহলে এ ক্ষেত্রে ম্যাডাম ও দোষী। শাস্তি ২ জনেরই হওয়া উচিত। নকল করলে তাকে শাস্তি দিবে এটাতে আমার কোনো দ্বিমত নাই। কিন্তু বিনা অপরাধে কাউকে দোষী সাব্যস্ত করার তো দরকার নেই।   
১৫ মার্চ ২০২৪, ১২:২০

নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদ জানিয়ে নোবিপ্রবি ও শাবিপ্রবিতে গণইফতার
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) ক্যাম্পাসে ইফতার পার্টির আয়োজনের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে সাধারণ শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে গণইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় দুটিতে।  মঙ্গলবার (১২ মার্চ) নোবিপ্রবির বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে গণইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এর আগে দুপুরে জোহরের নামাজের পরে সাধারণ শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেন।  এর আগে, গত সোমবার (১১ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ইফতার মাহফিল আয়োজনের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রদান করে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. মুহাম্মদ আলমগীর সরকার স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তে শুরু থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় সৃষ্টি হয়। প্রতিবাদস্বরূপ সাধারণ শিক্ষার্থীরা গণ-ইফতার কর্মসূচির আয়োজন করে।  সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে বানী ইয়ামিন বলেন, শাবিপ্রবি ও নোবিপ্রবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বাঙালি মুসলমানদের হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি পবিত্র মাহে রমজানের ইফতার পার্টিকে ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ করে নোটিশ দিয়েছে। ৯৫ শতাংশ মুসলমানের দেশে এ ধরনের নোটিশ বড় ধরনের ধৃষ্টতা এবং হাজার বছরের ধর্মীয় ঐতিহ্যকে অবমাননার শামিল। বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ এখানে শত বছর ধরে হিন্দু মুসলমান ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরা মিলেমিশে স্বাধীনভাবে তাদের ধর্মীয় উৎসব পালন করে আসছে। আমরা একে অপরকে সংখ্যালঘু ও সংখ্যাগুরু ট্যাগ দিয়ে আসি নাই। কিন্তু আজ ৯৫ শতাংশ মুসলমানের দেশে সংখ্যালঘুদের মতো আচরণ করা হচ্ছে। আমরা ইতিমধ্যে জানতে পেরেছি ইফতার পার্টি নিষেধাজ্ঞার নোটিশটি সংশোধন করা হয়েছে। প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তকে আমরা সাধুবাদ জানাই পাশাপাশি ভবিষ্যতে এরকম নোটিশ জারি করার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করার জন্য প্রশাসনের নিকট আমাদের উদাত্ত আহ্বান রইলো।  এদিকে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে গণ-ইফতার কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। এ কর্মসূচির মাধ্যমে গত ১০ মার্চ প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির বিরুদ্ধে নীরব প্রতিবাদ জানালো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। সরেজমিন দেখা যায়, ইফতারের এক ঘণ্টা আগে থেকেই হল ও ক্যাম্পাসের বাইরে থেকে শিক্ষার্থীদের আগমন শুরু হয়। শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই ইফতার সম্পন্ন হয়। গণ ইফতারে অংশ নেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ওমর ফারুক বলেন, ইফতার মাহফিল করা এটা আমাদের মুসলমানদের ঐতিহ্য। ক্যাম্পাসে ইফতার মাহফিল করা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ঐতিহ্য। অথচ ক্যাম্পাসে ইফতার মাহফিল না করার জন্য অনুরোধ করে আমাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আমরা এর প্রতিবাদে গণ-ইফতার কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছি। সবার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে ইফতার মাহফিল সম্পন্ন হয়েছে। আরেক শিক্ষার্থী দেলওয়ার হোসেন বলেন, ক্যাম্পাসে ইফতার পার্টি না করার বিজ্ঞপ্তিতে গণ-ইফতার আমাদের মৌন প্রতিবাদ। আমরা চাই, ক্যাম্পাসে সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে ইফতার পার্টি অব্যাহত থাকুক। মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানে এমন সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতে কখনো না নেওয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। জানা যায়, রমজান মাসে শাবিপ্রবি ক্যাম্পাসে ইফতার পার্টি না করার অনুরোধ জানিয়ে রোববার (১০ মার্চ) বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে প্রশাসন। সোমবার (১১ মার্চ) বিজ্ঞপ্তিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে সমালোচনার ঝড় ওঠে বিভিন্ন মহলে। সমালোচনার মুখে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির ব্যাখ্যা দিয়ে মঙ্গলবার (১২ মার্চ) নতুন করে বিজ্ঞপ্তি দিতে বাধ্য হয় শাবিপ্রবি প্রশাসন। নতুন বিজ্ঞপ্তিতে ক্যাম্পাসে ইফতার পার্টি করতে কোনো নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে না বলে জানানো হয়। তবে ইফতার পার্টিতে প্রশাসন থেকে কোনো অর্থ সহায়তা করা হবে না বলে জানায় প্রশাসন।  
১২ মার্চ ২০২৪, ২৩:৪৮

টিআইবির গবেষণা প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে বিআরটিএর প্রতিবাদ
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) উপস্থাপিত প্রতিবেদন অনুমান নির্ভর, অসত্য ও উদ্দেশ্যমূলক বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার। তবে টিআইবি যে গঠনমূলক ও বাস্তবধর্মী সুপারিশগুলো করেছে তা আমরা আমলে নিয়ে কাজ করবো। সম্প্রতি বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) সম্পর্কিত মোটরযান নিবন্ধন-রেজিস্ট্রেশন, ফিটনেস সনদ ইস্যু, নবায়ন, রুট পারমিট ইস্যু ও নবায়নে ঘুষ প্রদান নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে টিআইবি। বুধবার (৬ মার্চ) রাজধানীর বনানী সড়ক পরিবহন ভবনের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিআরটিএ চেয়ারম্যান আরও বলেন, তথ্য প্রকাশের বিরুদ্ধে বিআরটিএ তীব্র প্রতিবাদ এবং তা প্রত্যাখ্যান করছে। কারণ, এতে বিআরটিএসহ সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের অনুমান নির্ভর তথ্য যা জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টিসহ সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে এরূপ প্রতিবেদন প্রকাশে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে। আমরা টিআইবির কাছে এর লিখিত ব্যাখ্যা চাইব। বিআরটিএ সার্ভিস পোর্টাল (bsp.brta.gov.bd)-এর মাধ্যমে সেবাগ্রহীতারা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স, রাইডশেয়ারিং সার্ভিসের আবেদন ঘরে বসে দাখিল ও ঘরে বসেই সার্টিফিকেট প্রিন্ট করতে পারছেন জানিয়ে বিআরটিএ চেয়ারম্যান বলেন, অধিকন্তু, ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদনকারী পরীক্ষার দিনই বায়োমেট্রিক প্রদান করে দক্ষতা যাচাই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে অনলাইনে প্রযোজ্য ফি জমা প্রদানপূর্বক আবেদন দাখিল করে ই-ড্রাইভিং লাইসেন্স ওই দিনই পেয়ে যাচ্ছে যা ব্যবহার করে গাড়ি চালাতে পারছে। এছাড়াও অনলাইনে আবেদন দাখিলের ৭ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স ডাকযোগে আবেদনকারীর কাঙ্ক্ষিত ঠিকানায় পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। যেহেতু সেবা পেতে সশরীরে বিআরটিএতে আসার প্রয়োজন হয় না, সেহেতু উল্লেখিত সেবা পেতে ঘুষ, দুর্নীতি বা হয়রানির শিকার হওয়ার বিষয়টি যুক্তিযুক্ত নয় বলে দাবি করেন তিনি। বিআরটিএ চেয়ারম্যান আরও বলেন, মোটরযান মালিক ডিলার বা শো-রুম থেকে মোটরযান ক্রয়ের পর অনলাইনে মোটরযান রেজিস্ট্রেশনের জন্য নিজে বা ডিলার /শো-রুম এর মাধ্যমে বিআরটিএ সার্ভিস পোর্টাল এ দাখিল করতে পারেন। অনলাইনে আবেদন দাখিলের পর নির্ধারিত তারিখ ও সময়ে সংশ্লিষ্ট বিআরটিএ অফিসে মোটরযান সরেজমিনে পরিদর্শন পূর্বক একই দিনে রেজিস্ট্রেশন নম্বর প্রদান করা হচ্ছে। সুতরাং এক্ষেত্রে সেবা পেতে ঘুষ, দুর্নীতি বা হয়রানির শিকার হওয়া এবং সংশ্লিষ্ট সেবা পেতে গবেষণা প্রতিবেদনে উল্লেখিত গড় ব্যয়িত সময় ৩০ কর্মদিবসের বিষয়টি অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত। তিনি বলেন, রুট পারমিট সার্টিফিকেট ইস্যু/নবায়নের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অধিক্ষেত্রের যাত্রী, ও পণ্য পরিবহন কমিটির সুপারিশের আলোকে বিআরটিএ থেকে নির্ধারিত সময়ে ডিজিটাল পদ্ধতিতে রুট পারমিট সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। ১৫ অক্টোবর ২০২০ থেকে ফিটনেস নবায়নে অনলাইনে অ্যাপয়নমেন্ট গ্রহণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে জানিয়ে  বিআরটিএ চেয়ারম্যান বলেন, অ্যাপয়নমেন্ট অনুযায়ী নির্ধারিত তারিখ ও সময়ে মোটরযান সংশ্লিষ্ট সার্কেল অফিসে হাজির করে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় উপযুক্ততা সাপেক্ষে ফিটনেস সার্টিফিকেট একই দিনে প্রদান করা হয়। এক্ষেত্রে যেহেতু স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হয়েছে সেহেতু সংশ্লিষ্ট সেবা পেতে ঘুষ, দুর্নীতি বা হয়রানির শিকার হওয়ার বিষয়টি সঠিক নয় এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
০৬ মার্চ ২০২৪, ২২:০৫

ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় এসএসসি পরীক্ষার্থীকে কুপিয়ে হত্যা
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার ভাগ্যকূল ইউনিয়নে নিরব (১৭) নামের এক স্কুলছাত্রকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে ইউনিয়নের কামারগাঁও এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিরব মধ্য কামারগাঁও এলাকার মৃত দেলোয়ার হোসেনের ছেলে। সে লৌহজং মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল। স্বজনদের অভিযোগ, বিদ্যালয়ে ছাত্রীকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় তাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ। প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার ভাগ্যকূল ইউনিয়নের কাজী ফজলুল হক উচ্চ বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ছিল। ওই অনুষ্ঠানে গিয়েছিল নিরব ও তার বন্ধু সাব্বিরসহ কয়েকজন। অনুষ্ঠানে এক ছাত্রীকে কয়েকজন ইভটিজিং করলে প্রতিবাদ করে নিরব ও তার বন্ধুরা। এনিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে বিরোধ দেখা দিলে স্থানীয় চেয়ারম্যান বিষয়টি মীমাংসার কথা বলেন। এর জের ধরে আজ কামারগাঁও এলাকায় বিদ্যালয়ের পাশে অবস্থানকালে বাঘড়া এলাকা থেকে প্রতিপক্ষ ১০-১৫ জন যুবক নিরবের ওপর হামলা চালায়। তারা কুপিয়ে জখম করে। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। লৌহজং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল তায়বীর গণমাধ্যমকে বলেন, ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। মরদেহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে।
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:৪৯

সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ / প্রতিবাদ করে শিরোপা উদ্ধার করল বাংলাদেশ, যৌথ চ্যাম্পিয়ন দুই দল
সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৪ সালে ফাইনাল ম্যাচ ইতিহাসে পাতায় হয়তো স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। কারণ শ্বাসরুদ্ধকর ফাইনালে যা ঘটেছে তা ফুটবল ইতিহাসে এর আগে কখনও ঘটেনি। এই ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের সঙ্গে যৌগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। তবে সব কিছু ছাড়িয়ে আলোচনায় ম্যাচের ঘটনাগুলো। শিরোপা ধরে রাখার মিশন নিয়ে ঘরের মাঠে সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ নিয়েছিল বাংলাদেশ। গ্রুপ পর্বে অপরাজিত থেকে ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হয়েছিল স্বাগতিকরা। ফাইনালে ভারত রেফারির সিদ্ধান্ত অমান্য করে মাঠ ত্যাগ করায় নাটকীয়তার সৃষ্টি হয়। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে নির্ধারিত সময়ে ১-১ গোলে ড্র হলে ম্যাচ গড়ায় টাইবেকারে সময়ে। যেখানে ‍দুই দলই নৈপুণ্য দেখিয়ে ২২ গোল করে ম্যাচ সমতায় রাখে। পরে টস করে ভারতকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করলে আপত্তি জানায় বাংলাদেশ। কারণ সাফের নিয়ম অনুসারে টস করে ম্যাচের রেজাল্ট ঘোষণা করার নিয়ম নেয়। ফলে প্রতিবাদ করায় ম্যাচ রেফারি ডি সিলভা ক্ষমা চেয়ে তার সিদ্ধান্ত পর পরিবর্তন করেন। আবারও টাইবেকারের সিদ্ধান্ত দেন তিনি। তবে মানতে রাজি হয়নি ভারত। এরপর মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যায় ভারতীয় দল। এরপর ম্যাচ রেফারি তাদের মাঠের নামার জন্য ৩০ মিনিটের সময় বেঁধে দেন। তবে সেই ৩০ মিনিটের পর প্রায় এক ঘণ্টা অপেক্ষার ম্যাচের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে রেফারি। তবে নির্দিষ্ট কোনো দল নয়, দুই দলকে যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করেছে রেফারি ডি সিলভা। এর আগে ম্যাচের শুরুতেই স্বাগতিক দর্শকদের চুপ করিয়ে দেয় ভারতের মেয়েরা। ম্যাচের ৮ মিনিটের মাথায় লিন্ডার পাস থেকে ভারতকে ১-০ গোলের লিড এনে দেন শিবানী দেবী।  ১৭ মিনিটের সময় আরও একবার এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ মিস করে ভারত। ডি-বক্সের মধ্যে একা বল পেলেও ক্রসবারের উপর দিয়ে মারেন ভারতের রাইট উইঙ্গার। এরপর বার বার আক্রমণ করে গোলের সুযোগ তৈরি করলেও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি বাংলাদেশ। এতে ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতে যায় ভারত। দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমে গোল শোধ করতে মারিয়া হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। আক্রমণের পর আক্রমণ করে ভারতের রক্ষণভাগকে ব্যস্ত রাখে সাগরিকারা। তবে ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ের তৃতীয় মিনিটে গোল করে সমতায় ফেরে বাংলাদেশ। এতে ম্যাচ গড়ায় টাইবেকারে।  
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:৪৯

এখন থেকে প্রতিবাদ নয়, প্রতিশোধ নেওয়া হবে : গয়েশ্বর
সরকারের রাজত্ব জনগণই ভেঙে ফেলবে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছে, ‍এখন থেকে আর প্রতিবাদ নয় প্রতিশোধ নেওয়া হবে। মঙ্গলবার (৬ ফ্রেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন। গয়েশ্বর বলেন, আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখলে দেশ নিরাপদ থাকবে না। মিয়ানমার ও পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তে অস্থিরতা দেখা দিলেও সরকার প্রতিবাদ করতে পারে না।  তিনি বলেন, মিয়ানমারের মতো দেশ গুলি করে এটা কিসের আলামত। রাখাইন থেকে সৈন্যরা এ দেশে আসছে কীসের আলামত? গুলি খেয়ে মানুষ মরছে আর প্রতিবাদ করতে পারছে না। বিএনপির এই নেতা বলেন, দেশ নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে, অচিরেই এর জবাব পাবে। সব অপকর্মের জবাব সরকারকে একবারেই দিতে হবে। সরকারের রাজত্বের প্রাসাদ ভেঙে পড়বে। এখন থেকে আর প্রতিবাদ নয়, প্রতিশোধ নেওয়া হবে। এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, সীমান্তে রক্ত ঝরছে, অথচ প্রতিবাদ করতে পারি না। সমস্ত জনগণ রাস্তায় নেমে না আসলে দেশ রক্ষা করা যাবে না। দেশ রক্ষায় সবাই রাজপথে নেমে আসুন। মানববন্ধনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, বিএনপির সহ-তথ্য গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমতুল্লাহ, নিপুন রায় চৌধুরী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সদস্য আরিফা সুলতানা রুমা, সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজীসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:৩১

মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে কড়া প্রতিবাদ
মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টার শেলের আঘাতে বাংলাদেশে দুজনের মৃত্যু এবং সীমান্তে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়েকে তলব করে কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হয়। পরে ১১টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবনে আসেন রাষ্ট্রদূত। জানা গেছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিয়ানমার অনুবিভাগের মহাপরিচালক মিয়া মুহাম্মদ মাইনুল কবির তাকে তলব করে কড়া প্রতিবাদ জানান। এর আগে সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টারশেলে বান্দরবানের এক বাংলাদেশি নারী ও এক রোহিঙ্গা নাগরিক নিহত হয়েছেন। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউপির ৪ নম্বর ওয়ার্ডের জলপাইতলি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষের জেরে এখন পর্যন্ত মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ২২৯ জন সদস্য অস্ত্রসহ বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছেন। একইদিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ তার দপ্তরে সাংবাদিকদের বলেন, মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ আছে। মিয়ানমারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তারা তাদের নাগরিক ও সীমান্তরক্ষীদের ফিরিয়ে নিয়ে যাবেন। এখন তাদেরকে বিমান নাকি নৌকায় ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে, তা নিয়ে আলোচনা চলছে। সীমান্ত পরিস্থিতি এবং তৃতীয় দেশ বা জাতিসংঘের যুক্ততা নিয়ে জানতে চাইলে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের সীমান্ত যথেষ্ট সুরক্ষিত আছে। তারা পালিয়ে আসায় তাদের আশ্রয় দিয়েছি। যেহেতু দুই দেশের মধ্যে আলাপ-আলোচনা চলছে, সেহেতু তৃতীয় পক্ষকে এখানে জড়িত করার কোনো প্রশ্ন নেই।’
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:৫৯

প্রতিবাদ জানাতে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের ওপার থেকে ছোঁড়া মর্টার শেলের আঘাতে দুজনের মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বাংলাদেশ। একইসঙ্গে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা শতাধিক সীমান্তরক্ষীকে দ্রুত তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া নিয়ে ভাবছে সরকার। এর জেরে আজ ঢাকায় নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়েকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়েছে।  পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হয়েছে। তাকে ডেকে সীমান্তের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিবাদ জানাবে বাংলাদেশ। এর আগে সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টারশেলে বান্দরবানের এক বাংলাদেশি নারী ও এক রোহিঙ্গা নাগরিক নিহত হয়েছেন। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউপির ৪ নম্বর ওয়ার্ডের জলপাইতলি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এছাড়া মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষের জেরে এখন পর্যন্ত মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ১১৩ জন সদস্য অস্ত্রসহ বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছেন। একইদিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ তার দপ্তরে সাংবাদিকদের বলেন, মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ আছে। মিয়ানমারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তারা তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিয়ে যাবেন। তাদের সীমান্তরক্ষীদেরও ফিরিয়ে নিয়ে যাবেন। এখন তাদেরকে বিমান নাকি নৌকায় ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে, সেটি নিয়ে আলোচনা চলছে। সীমান্ত পরিস্থিতি এবং তৃতীয় দেশ বা জাতিসংঘের যুক্ততা নিয়ে জানতে চাইলে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের সীমান্ত যথেষ্ট সুরক্ষিত আছে। তারা পালিয়ে আসায় তাদের আশ্রয় দিয়েছি। যেহেতু দুই দেশের মধ্যে আলাপ–আলোচনা চলছে, সেহেতু তৃতীয় পক্ষকে এখানে জড়িত করার কোনো প্রশ্ন নেই।’  
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০১

সীমান্তে মর্টার শেলে বাংলাদেশি নিহতের ঘটনায় বিজিবির প্রতিবাদ
মিয়ানমার জান্তার মর্টারশেল বাংলাদেশের ভূখণ্ডে বসতবাড়িতে বিষ্ফোরণে দুইজন নিহতের ঘটনায় কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে বডারগার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। একই সঙ্গে পালিয়ে আসা জান্তা সরকারের সীমান্তরক্ষীদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া কথা জানিয়েছেন বিজিবির কক্সবাজার রিজিয়ন কমান্ডার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোরশেদ আলম। সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্ত পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোরশেদ আলম বলেন, গত কয়েকদিন ধরে সীমান্তের উত্তপ্ত পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। এখন পর্যন্ত সেদেশের ৯৫ জন সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সদস্যদের নিরস্ত্রকরণের মাধ্যমে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। কক্সবাজার রিজিয়ন কমান্ডার জানান, বিজিবি সদর দপ্তর, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে মায়ানমারের সঙ্গে আলোচনা করছে। সেখান থেকে সিদ্ধান্ত আসলে তাদের ফেরত পাঠাবো। তিনি আরও জানান, এখন পর্যন্ত কোনো মিয়ানমার নাগরিক বা রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারেনি। চলমান সংঘাতে নতুন করে যাতে কেউ অনুপ্রবেশ করতে না পারে সে জন্য বিজিবি সতর্ক রয়েছে। একই সঙ্গে অতিরিক্ত বিজিবি সদস্য মোতায়েন করার তথ্যও জানান রিজিয়ন কমান্ডার। প্রসঙ্গত, সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে মিয়ানমার জান্তার মর্টারশেল বাংলাদেশের ভূখণ্ডের বসতবাড়িতে বিষ্ফোরণে দুইজন নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন- ঘুমধুমের জলপায়তলী সীমান্তের বাদশা মিয়ার স্ত্রী হুসনে আরা (৫০) ও নবী হোসেন। আর নিহত রোহিঙ্গা নবী হোসেন বাদশা মিয়ার বাড়িতে কাজ করতেন। অন্যদিকে সোমবার দুপুরের দিকে টেকনাফের হোয়াইক্যং উলুবনিয়া পয়েন্টে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে রোহিঙ্গারা। পরে তাদের পুশব্যাক করে বিজিবি। অনুপ্রবেশের চেষ্টাকারী মিয়ানমারের নাগরিকরা হলেন- মংডু জেলার ভৌগনী গ্রামের হোসেন আলীর ছেলে মো. রহমত উল্লাহ (৩০), তার স্ত্রী সাজেদা (২৫), ছেলে হায়াতুন নূর (৫), জোনাইদ (৩) ও দেড় বছরের মেয়ে আমাতনুর।
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৫০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়