• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন তিনি। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।  প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে আওয়ামী লীগের অঙ্গ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।  ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের জন্য বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন।
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১১:২১

বুয়েটে রাজনীতি চালু রাখার সিদ্ধান্তে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) সব রাজনৈতিক সংগঠন ও এর কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণার ‘জরুরি বিজ্ঞপ্তির’ কার্যক্রম স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। ক্যাম্পাসে রাজনীতি চালু রাখার এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বুয়েটে অবস্থিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন ছাত্রলীগের সমমনা কয়েকজন শিক্ষার্থী। সোমবার (১ এপ্রিল) বিকেল পৌনে ৫ টার দিকে ওই শিক্ষার্থীরা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। সেখানে কিছুক্ষণ ‘জয় বাংলা’ স্লোগানও দেন তারা।  ছাত্রলীগের তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ও বুয়েটের সদ্য সাবেক ছাত্র হাসিন আজফারসহ ১১ জন শিক্ষার্থী এতে অংশ নেন। কর্মসূচি পালনের সময় প্রতিকৃতি সংলগ্ন শহীদ মিনারের সামনেই অবস্থান করছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি ও বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ কনক। শ্রদ্ধা নিবেদনের পর বুয়েটের ২০তম ব্যাচের ছাত্র আশিক আলম বলেন, ‘উচ্চ আদালতের রায়ের মাধ্যমে নিজেদের রাজনৈতিক মতপ্রকাশের সাংবিধানিক অধিকার ফিরে পেয়েছি আমরা। জয় বাংলা স্লোগান ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে আমরা এ রায়কে সাধুবাদ জানালাম। প্রগতিশীল সব সংগঠনকে আমরা বুয়েটে স্বাগত জানাই। অন্ধকার কোনো সংগঠন এবং স্বাধীনতাবিরোধী কোনো চেতনা বুয়েটে ঠাঁই পাবে না।’ বুয়েটে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি জানিয়ে সেইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সব প্রগতিশীল সংগঠন যেন বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি শুরু করে এবং শিক্ষার্থীদের অধিকারের জন্য লড়াই করে, এটাই আমাদের চাওয়া। পরিবেশ তৈরি হলে যদি ছাত্র সংসদ নির্বাচন দেওয়া হয়, তাহলে আমরা অবশ্যই খুশি হব।’ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা হাসিন আজফারও এ সময় উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, ‘আদালতের এ রায়ের মাধ্যমে বুয়েটে ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠিত হলো, এমন নয়; বরং ছাত্ররাজনীতি প্রতিষ্ঠিত হলো।’
০১ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৩৫

বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
৫৪তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকাল ৭টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডিতে সরকার প্রধান হিসেবে প্রথমে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী। এরপর দলীয় প্রধান হিসেবে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে শ্রদ্ধা জানান শেখ হাসিনা। এর আগে ভোর ৫টা ৫৬ মিনিটে মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুকও বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। প্রথমে রাষ্ট্রপতি ও ভুটানের রাজা জাতীয় স্মৃতিসৌধের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। রাষ্ট্রীয় সালাম জানায় বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর একটি চৌকস দল। এ সময় বিউগলে করুণ সুর বেজে ওঠে। পরে আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দলীয় নেতাদের সঙ্গে আরও একবার জাতীয় স্মৃতিসৌধের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান শেখ হাসিনা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।  
২৬ মার্চ ২০২৪, ১২:১১

বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে নির্বাচন কমিশনের পুষ্পস্তবক অর্পণ
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে তার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রোববার (১৭ মার্চ) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। রোববার সকালে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবন চত্বরে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ইসির পক্ষে ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান (অব.) ও নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। অপরদিকে ইসি সচিবালয়ের পক্ষে অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথের নেতৃত্বে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এ ছাড়া নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, আইডিয়া, ও ইভিএম প্রকল্পসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
১৭ মার্চ ২০২৪, ২৩:৫৮

জন্মদিনে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসে তার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার (১৭ মার্চ) সকাল ৭টা ৪ মিনিটে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে ছোট বোন রেহেনাকে সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে এ শ্রদ্ধা জানান তিনি। প্রথমে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এবং পরে আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে শ্রদ্ধা জানান শেখ হাসিনা। সকাল সাড়ে ৬টায় বঙ্গবন্ধু ভবন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং সারা দেশে সংগঠনের সব কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল ১০টায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতীয় নেতারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। একইসঙ্গে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল এবং শিশু সমাবেশে অংশগ্রহণ করবেন তারা। এরপর গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিতে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া যাবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী ঘিরে তার জন্মভিটায় বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। সমাধি সৌধ কমপ্লেক্সে আয়োজন করা হয়েছে শিশু সমাবেশ। থাকবে নাচ-গান ও কবিতা আবৃত্তির আয়োজন। জানা গেছে, টুঙ্গিপাড়া পৌঁছে প্রথমে রাষ্ট্রপতি ও পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধের বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন। এ সময় বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেবেন তারা। এরপর রাষ্ট্রপতিকে বিদায় জানিয়ে সমাধি সৌধ কমপ্লেক্সের ১ নম্বর গেটে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত শিশু দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ঢাকা ফিরবেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন। তবে গোপালগঞ্জে বেশ কিছু অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। নানা কর্মসূচির পাশাপাশি দিনটিতে দেশের সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিদেশে বাংলাদেশ মিশনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। বিশ্বের অন্যান্য দেশে বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোতেও দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় উদযাপন করা হবে। এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন দিবসটি উপলক্ষে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। সরকারি বেসরকারি টেলিভিশন ও বেতার এ উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করবে। এছাড়াও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষ্যে আগামীকাল ১৮ মার্চ (সোমবার) সকালে তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবনে দলের পক্ষ থেকে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উল্লেখ্য, জাতির মহানায়ক শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী আজ। ১৯২০ সালের এই দিনে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। কিশোর বয়স থেকেই রাজনীতি সচেতন ছিলেন শেখ মুজিব। গোপালগঞ্জের মিশন স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে অধ্যয়নকালে তৎকালীন ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে যোগদানের কারণে শেখ মুজিবুর রহমান প্রথমবারের মতো কারাবরণ করেন। ম্যাট্রিক পাসের পর কলকাতা ইসলামিয়া কলেজে অধ্যয়নকালে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও আবুল হাশিমের মতো রাজনৈতিক নেতাদের সান্নিধ্যে আসেন তিনি। এসব নেতার সাহচার্যে নিজেকে ছাত্র-যুবনেতা হিসেবে রাজনীতির অঙ্গনে প্রতিষ্ঠিত করেন। ১৯৪০ সালে সর্বভারতীয় মুসলিম ছাত্র ফেডারেশনে যোগদানের মাধ্যমে তার রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়। ১৯৪৬ সালে কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ (বর্তমানে মওলানা আযাদ কলেজ) ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন তিনি। ১৯৪৮ সালে ছাত্রলীগ গঠন করেন। ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন আওয়ামী লীগ গঠন হলে যুগ্ম সম্পাদক পদ পান বঙ্গবন্ধু। তিনি ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ১৯৫৮ সালের সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, ১৯৬৬ সালের ৬-দফা ও পরবর্তী সময়ে ১১ দফা আন্দোলন এবং ১৯৬৯ সালে গণঅভ্যুত্থানসহ প্রতিটি গণতান্ত্রিক ও স্বাধিকার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন এবং বঙ্গবন্ধু উপাধি লাভ করেন। ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জিত হলেও তৎকালীন পাকিস্তানের সামরিক জান্তা ক্ষমতা হস্তান্তর না করে বাঙালি জাতির ওপর নানা নির্যাতন শুরু করে। এরপর বঙ্গবন্ধু স্বায়ত্তশাসনের আন্দোলনকে নানা ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে প্রথমে স্বাধিকার আন্দোলন এবং চূড়ান্ত পর্বে স্বাধীনতার আন্দোলনে রূপ দেন। এ আন্দোলন-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় একাত্তরের মার্চে নজিরবিহীন অসহযোগ আন্দোলন শুরু করেন বঙ্গবন্ধু। ৭ মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানের (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) জনসমুদ্রে ঐতিহাসিক ভাষণে তিনি বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’। এরই ধারাবাহিকতায় ২৬ মার্চে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়। দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধের মধ্য দিয়ে দেশ স্বাধীন হয়। স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু বেশি দিন দেশ গঠনের কাজ করতে পারেননি। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু নানামুখী কার্যক্রম গ্রহণ করেন। ঠিক সেই মুহূর্তে তার বিরুদ্ধে ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র শুরু করে। ওই ষড়যন্ত্রেরই অংশ হিসেবে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তিনি ধানমন্ডির বাসভবনে কতিপয় বিপথগামী সেনা কর্মকর্তার হাতে সপরিবারে নিহত হন। বিদেশে অবস্থান করায় প্রাণে বেঁচে যান তার দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা।
১৭ মার্চ ২০২৪, ১১:১৩

বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সকাল ৭টায় ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে গভীর শ্রদ্ধা জানান তিনি। এরপর সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন প্রথমে প্রধানমন্ত্রী এবং পরে আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান শেখ হাসিনা। এরপর যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পরে সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর।  ১৯৭১ সালের এই দিনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে (তদানীন্তন রেসকোর্স ময়দান) বিশাল জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ওই দিন লাখ লাখ মুক্তিকামী মানুষের উপস্থিতিতে এই মহান নেতা বঙ্গবন্ধু বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেন, ‘রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেব, এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব, ইনশাআল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একাত্তরের ৭ মার্চ দেওয়া ঐতিহাসিক ভাষণ পরবর্তীতে স্বাধীনতার সংগ্রামের বীজমন্ত্র হয়ে পড়ে। একইভাবে এ ভাষণ শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলিলই নয়, জাতির সাংস্কৃতিক পরিচয় বিধানের সম্ভাবনাও তৈরি করে। বঙ্গবন্ধুর এ ভাষণের আহ্বানেই মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু করে বাঙালি। এদিকে দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় পালনের জন্য আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক এবং সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এদিন বিকাল ৪ টায় ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবনে (তেজগাঁও) আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
০৭ মার্চ ২০২৪, ১১:৫৩

টি-শার্টে অশ্লীল বাক্য, জুতা পায়ে নাচানাচি বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের সংবর্ত-৩৬ ব্যাচের আয়োজনে ‘ব্যাচ ডে’ পালিত হয়েছে। যেখানে ব্যাচটির শিক্ষার্থীরা টি-শার্টে বিভিন্ন অশ্লীল বাক্য লিখে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি মৃত্যঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরালে জুতা পায়ে নাচানাচি করে। এ বিষয়ে ফেসবুকে নিন্দা জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।  বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা। এতে বিভিন্ন বিভাগের শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। সরজমিনে দেখা যায়, অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা একে অপরের সাদা টি-শার্টে বিভিন্ন কুরুচিপূর্ণ বাক্য লিখে উদযাপন করছে। কেউ কেউ শিক্ষকদের নিয়েও বিভিন্ন অশ্লীল বাক্য লিখেছে নিজেদের টি-শার্টে। এদের মধ্যে কয়েকজনকে জুতা পায়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরালের ওপর নাচানাচি করতে দেখা যায়।  এ ব্যাচ ডে’ অনুষ্ঠানের সমন্বয়ক ও ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী মারুফ হাসান বলেন, যেটা হয়েছে তার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। এমনটা হওয়ার কথা ছিল না। আমরা নতুন হওয়ায় অনেক কিছু বুঝে উঠতে পারিনি।  টি-শার্টে অশ্লীল বাক্যের বিষয়ে তিনি বলেন, কে বা কারা করেছে এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।  বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী এবং শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, ব্যাচ ডে নামক যে অপসংস্কৃতি দেশে চালু আছে যেখানে টি-শার্টে বিভিন্ন কুরুচিপূর্ণ বাক্য লেখা। শিক্ষার্থীরা এক সঙ্গে আনন্দ করবে তাই বলে তারা কুরুচিপূর্ণ আচরণ করবে এটা মানানসই নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে একজন শিক্ষার্থীর কাছে এমন আচরণ প্রত্যাশা করা যায় না।  তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের আদর্শের জায়গা। তার প্রতিকৃতিতে জুতা পায়ে নাচানাচি করা অবশ্যই জাতির জন্য অসম্মানজনক। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের বিষয়টি নজরে রাখা উচিত।  বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাৎ হোসেন আজাদ বলেন, আচরণবিধির বিষয়ে দিকনির্দেশনা সাপেক্ষে তাদেরকে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল কিন্তু তারা আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছে। আমরা বিষয়গুলো দেখেছি এবং আগামী শনিবার প্রক্টর অফিসে তাদেরকে ডেকেছি। সার্বিক বিষয়গুলো আমরা খতিয়ে দেখব। এ নিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, এটার আয়োজক কারা বা কেন করেছে তা আমি জানি না। তবে যদি এমন কুরুচিপূর্ণ বাক্য কেউ ব্যবহার করে তাহলে অবশ্যই সেটি একটি নিন্দনীয় কাজ। আমি বিষয়টা খোঁজ খবর নিয়ে দেখব।
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:২৯

বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে নতুন মন্ত্রিসভার শ্রদ্ধা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা। শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় মন্ত্রিসভার সদস্যরা ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান। এরপর বেলা ১১টায় সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাবেন তারা। এছাড়াও আগামীকাল শনিবার (১৩ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা।  এর আগে বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে টানা চতুর্থবার ও সবমিলিয়ে পঞ্চমবার দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। পঞ্চম মেয়াদে রাষ্ট্র পরিচালনায় এবার শেখ হাসিনার সঙ্গী হয়েছেন ২৫ জন মন্ত্রী এবং ১১ জন প্রতিমন্ত্রী। একই অনুষ্ঠানে বঙ্গভবনে শপথ নিয়েছেন তারা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্যদের শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
১২ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:২৭

স্মৃতিসৌধ-বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে আজ শ্রদ্ধা জানাবে মন্ত্রিসভা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ধানমন্ডিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি এবং সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মন্ত্রিসভার সদস্যরা শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাবেন। এরপর বেলা ১১টায় সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাবেন তারা। এছাড়া শনিবার (১৩ জানুয়ারি) গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা। এতে  নেতৃত্ব দিবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পঞ্চম মেয়াদে রাষ্ট্র পরিচালনায় এবার শেখ হাসিনা সরকারে স্থান করে নিয়েছেন ২৫ জন মন্ত্রী এবং ১১ জন প্রতিমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে টানা চতুর্থবার ও সবমিলিয়ে পঞ্চমবার দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তার সঙ্গে বঙ্গভবনে শপথ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও তার মন্ত্রিসভার ৩৬ জন সদস্য। সন্ধ্যা ৭টায় তাদের শপথ-বাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
১২ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:২৫

বঙ্গবন্ধু প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শ্রদ্ধা
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ জয়লাভের পর ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) সকালে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন তিনি।  এরপর বনানী কবরস্থানে ১৫ আগস্ট নিহত স্বজনদের কবর জিয়ারত করেন শেখ হাসিনা।    এর আগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরদিন সোমবার (৮ জানুয়ারি) বিদেশি সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকদের পাশাপাশি দেশের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকদের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। গণভবনের সবুজ লনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠান সংবাদ সম্মেলনে রূপ নেয়। এসময় বিদেশি সাংবাদিকদের নানান প্রশ্নের জবাব দেন শেখ হাসিনা। রোববার (৭ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত হয়েছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ২৯৯ আসনে ভোটগ্রহণ শুরু হলেও পরে একটিতে বাতিল করা হয়। ভোটগ্রহণ শেষে ২৯৮ আসনের ফলাফল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। এতে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয় ২২২টি আসনে, স্বতন্ত্র বিজয়ী হয় ৬২টিতে, জাতীয় পার্টি ১১টি আসনে এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জয়ী হয় একটি আসনে।
০৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:০১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়