• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
প্রতি বছর দূষণে প্রাণ হারাচ্ছেন পৌনে ৩ লাখ বাংলাদেশি
পরিবেশ দূষণের কারণে প্রতি বছর প্রাণ হারাচ্ছেন পৌনে ৩ লাখ বাংলাদেশি। আর বায়ু দূষণের ফলেই ৫৫ শতাংশ অকাল মৃত্যু হচ্ছে বলে বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি এনভায়রনমেন্টাল অ্যানালাইসিস-২০২৩ শীর্ষক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। রাজধানীর একটি হোটেলে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবেদন প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বিশ্বব্যাংক জানায়, বায়ু দূষণ, অনিরাপদ পানি, নিম্নমানের স্যানিটেশন ও হাইজিন এবং সীসা দূষণ বছরে ২ লাখ ৭২ হাজারের বেশি অকাল মৃত্যুর কারণ। পরিবেশগত কারণে ২০১৯ সালে বাংলাদেশের জিডিপির ১৭.৬ শতাংশ সমপরিমাণ ক্ষতি হয়েছে। ঘর এবং বাইরের বায়ু দূষণ স্বাস্থ্যের ওপর সবচেয়ে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে, যা ৫৫ শতাংশ অকালমৃত্যুর জন্য দায়ী এবং যা ২০১৯ সালের জিডিপির ৮ দশমিক ৩২ শতাংশের সমপরিমাণ। বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, পরিবেশ দূষণ শিশুদের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। সীসা বিষক্রিয়া শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশে অপরিবর্তনীয় ক্ষতি করছে। এর ফলে বছরে প্রাক্কলিত আইকিউ ক্ষতি হচ্ছে প্রায় ২০ মিলিয়ন পয়েন্ট। গৃহস্থালিতে কঠিন জ্বালানির মাধ্যমে রান্না বায়ু দূষণের অন্যতম উৎস এবং তা নারী ও শিশুদের বেশি ক্ষতি করছে। শিল্পের বর্জ্য এবং অনিয়ন্ত্রিত প্লাস্টিকসহ বিভিন্ন বর্জ্য এবং অন্যান্য উৎস থেকে আসা অপরিশোধিত ময়লাযুক্ত পানির কারণে বাংলাদেশের নদীগুলোর পানির গুণগত মানের মারাত্মক অবনতি ঘটেছে। বাংলাদেশ এবং ভুটানে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেক বলেন, বাংলাদেশের জন্য পরিবেশের ঝুঁকি মোকাবিলা একই সঙ্গে উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক অগ্রাধিকার। আমরা পৃথিবীর নানা দেশে দেখেছি যে, পরিবেশের ক্ষতি করে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হলে তা টেকসই হতে পারে না। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের বায়ুদূষণের ৩৫ শতাংশই হয় ট্রান্সবাউন্ডারি বায়ুদূষণের কারণে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আমাদের অস্তিত্ব সংকটের মুখে পড়েছে। রিজিওনাল ডাইমেনশনে এখন বায়ুদূষণ হচ্ছে। এসব সমস্যা সমাধানের জন্য আঞ্চলিকভাবে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র পরিবেশ বিশেষজ্ঞ এবং এই রিপোর্টের সহপ্রণেতা আনা লুইসা গোমেজ লিমা বলেন, সময়মতো এবং সঠিক নীতি ও কার্যক্রমের মাধ্যমে বাংলাদেশ পরিবেশ দূষণের ধারা পাল্টে ফেলতে পারে।
২৮ মার্চ ২০২৪, ২২:৩৩

নতুন কারিকুলামে প্রতি বিষয়ে হবে ৫ ঘণ্টার পরীক্ষা!
নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়ন এবং মূল্যায়ন পদ্ধতি চূড়ান্ত করতে চলতি মাসের শুরুতে সমন্বয় কমিটি গঠন করে সরকার। সবশেষ তথ্য অনুযায়ী মূল্যায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে একটি খসড়া চূড়ান্ত করেছে তারা। খসড়া অনুযায়ী, এখন থেকে আর আগের পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়া হবে না। পরীক্ষাকে এখন ‘মূল্যায়ন’ বলা হবে। প্রতি বিষয়ে ৫ ঘণ্টার লিখিত ও ব্যবহারিক ‘মূল্যায়ন’ নেওয়া হবে। আর শ্রেণিভিত্তিক এ ‘মূল্যায়ন’ হবে বছরে দুটি। রোববার (২৪ মার্চ) শিক্ষা বোর্ডগুলোর প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে এ খসড়া চূড়ান্ত হয় বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলাম বলেন, রোববার মূল্যায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে সভা হয়েছে। সেখানে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। সভায় পরীক্ষা পদ্ধতি ফেরানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। আরেকটি সভা করে বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে। খসড়া অনুযায়ী, প্রতিটি মিডটার্ম ও চূড়ান্ত পরীক্ষা হবে পাঁচ ঘণ্টার। এক ঘণ্টা বিরতি দিয়ে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত মূল্যায়ন প্রক্রিয়া চলবে। এতে ছয়টি সেশন থাকবে। চার ঘণ্টা থাকবে ব্যবহারিক। মিডটার্ম ও বার্ষিক পরীক্ষায় সামষ্টিক মূল্যায়ন হবে। ধারাবাহিক মূল্যায়ন হবে নতুন কারিকুলামের আলোকে। এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা হবে অন্য কেন্দ্রে। আর চতুর্থ থেকে নবম শ্রেণির পরীক্ষা হবে নিজ স্কুলে। চলতি বছরের জুন মাস থেকে এ প্রক্রিয়ায় মূল্যায়ন হবে স্কুলে। এর আগেই সব চূড়ান্ত হবে জানিয়ে এনসিটিবির সদস্য (কারিকুলাম) অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান বলেছেন, অভিজ্ঞ শিক্ষাবিদদের নিয়ে খসড়া করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বিষয়টি চূড়ান্ত করবেন। জানা গেছে, নতুন মূল্যায়ন পদ্ধতির পরীক্ষায় মার্কিং (চিহ্নিত) করার নিয়ম থাকবে না। ‘রিপোর্ট ভালো’, ‘অর্জনের পথে’ এবং ‘প্রাথমিক পর্যায়’— এমন তিনভাগে ফলাফল হবে। চতুর্থ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মিডটার্ম ও ফাইনাল পরীক্ষা হবে। এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়ন হবে চূড়ান্ত পরীক্ষার মাধ্যমে। প্রসঙ্গত, নতুন কারিকুলামে পরীক্ষা না থাকায় অভিভাবক মহলে সমালোচনার ঝড় ওঠে। শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন কীভাবে হবে তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে দাবি করে পরীক্ষা পদ্ধতি ফিরিয়ে আনতে আন্দোলনে নামেন অভিভাবকরা। এরই প্রেক্ষিতে পরীক্ষা পদ্ধতি ফিরিয়ে আনতে নতুন এ সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে সরকার।
২৫ মার্চ ২০২৪, ১৯:৩২

সাদি মহম্মদের প্রতি আওয়ামী লীগের শ্রদ্ধা
কিংবদন্তি রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী, শিক্ষক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন রবিরাগের পরিচালক সাদি মহম্মদের প্রতি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) বাদ জোহর ঢাকার মোহাম্মদপুরে তাজমহল রোড কবরস্থান মসজিদে নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তার মরদেহে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এ সময় আওয়ামী লীগের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, দলের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আফজাল হোসেন এবং কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য নির্মল কুমার চ্যাটার্জি। এর আগে বুধবার (১৪ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টার মোহাম্মদপুরের নিজ বাসায় আত্মহত্যা করেন সাদি মহম্মদ। গুণী এই শিল্পীর মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন তার ছোট ভাই প্রখ্যাত নৃত্যশিল্পী শিবলী মোহম্মদ। শিবলী নিজেই প্রথমে ঘরের দরজা ভেঙে ভাইয়ের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান। যে মুহূর্ত কোনোভাবেই ভুলতে পারছেন না তিনি। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সাংবাদিকদের শিবলী মহম্মদ বলেন, আমার ভাই মনে কষ্ট নিয়ে চলে গেছে। সে মনে করত, তাকে মূল্যায়ন করা হয়নি। কত মানুষ কত পদক পাচ্ছে, এসব তাকে খুব ভাবাতো। সে বড্ড অভিমানী ছিল। আমরা তাকে বোঝাতাম, আমাদেরকে মানুষ ভালোবাসে। পদক দিয়ে কী হবে? কিন্তু তার মনে চাপা কষ্ট ছিল। সেই কষ্ট নিয়েই চলে গেল। বুধবার সন্ধ্যার পরের ঘটনা বর্ণনা করে এই নৃত্যশিল্পী বলেন, ইফতার করে ভাই নিজের রুমে গিয়ে গানের রিহার্সেল করছিল। এরপর তার সহকারীকে বলেছে, তুমি বাইরে যাও আমি রিহার্সেল শেষ করে ফোন করলে এসো। তখন আমি তার রুমের সামনে গিয়ে দেখি ভেতর থেকে দরজা বন্ধ। যেটা আমার কাছে অস্বাভাবিক মনে হয়। কারণ, তিনি কখনোই রুমের দরজা বন্ধ করেন না রিহার্সেলের সময়। এরপর কড়া নাড়লেও ভেতর থেকে কোনো শব্দ মেলে না। পরে আমি বলি দরজা ভাঙো। শিবলী মহম্মদ বলেন, আমার ভাই রাষ্ট্রীয় কোনো স্বীকৃতি পেলে একটু তৃপ্তি পেত। সাদি মহম্মদ তো আমার বড়, তার সামনে যখন আমি একুশে পদক পাই সেটা ছিল আমার জন্য বিব্রতকর। আমি ভাইকে বলি, একুশে পদক নেব না। কিন্তু সে আমাকে বলে, কেন নিবি না? তুই তো নাচের জন্য বাংলাদেশে কম কিছু করিসনি। পরে তাকে যখন একুশে পদক অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য কার্ড দিলাম, সে বলল- না থাক রে। তুই যা। আমি সেখানে যাব না। গেলে অনেকেই প্রশ্ন করবে, আমি কেনো পদক পাই না। এগুলো বিব্রত করবে। এর আগে সাদি মহম্মদের ব্যক্তিগত সহকারী সোহেল মাহমুদ জানান, বুধবার সন্ধ্যায় বেগুনি ও মুড়ি দিয়ে ইফতারি শেষে নিজ রুমে যান শিল্পী। বেশ কিছুক্ষণ রেয়াজ করেন তানপুরা দিয়ে। এরপর অনেকসময় চুপচাপ থাকায় রুমে ঢুকতে গিয়ে দেখেন দরজা বন্ধ। ডাকাডাকিতে সাড়া মিলছিল না। পরে দরজা ভেঙে ঢুকে পরিবারের সদস্যরা দেখেন ঝুলন্ত অবস্থায় শিল্পীর নিথর দেহ। বিশ্বভারতী থেকে রবীন্দ্রসংগীতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করা সাদি মহম্মদ একাধারে শিল্পী, শিক্ষক ও সুরকার ছিলেন। ২০০৭ সালে ‘আমাকে খুঁজে পাবে ভোরের শিশিরে’ অ্যালবামের মাধ্যমে তিনি সুরকার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। ২০০৯ সালে তার ‘শ্রাবণ আকাশে’ ও ২০১২ সালে তার ‘সার্থক জনম আমার’ অ্যালবাম প্রকাশিত হয়। অসংখ্য সিনেমা ও নাটকে প্লেব্যাক করেছেন সাদি। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি ছিলেন সাংস্কৃতিক সংগঠন রবিরাগের পরিচালক। ২০১২ সালে সাদি মহাম্মদকে আজীবন সম্মাননা দেয় চ্যানেল আই। ২০১৫ সালে বাংলা একাডেমি তাকে রবীন্দ্র পুরস্কার দেয়।
১৫ মার্চ ২০২৪, ০০:১৪

রমজানে দরিদ্রের প্রতি আওয়ামী লীগের সহানুভূতি ও বিএনপির ইফতারের রাজনীতি
রমজান উপলক্ষে রাজনৈতিক দলগুলো চাঙ্গা হয়ে ওঠে। রমজান মাসজুড়ে ইফতার পার্টির মাধ্যমে দলীয় রাজনীতি চাঙ্গা করার পাশাপাশি মানুষের দৃস্টি আকর্ষণের কৌশল নেয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। তারা নামিদামি হোটেল, রেস্তোরাঁ ও কমিউনিটি সেন্টার বুকিং দিয়ে বিশাল ইফতার পার্টির আয়োজন করে। তবে এবার কিছুটা ভিন্ন। কিছুদিন আগে শেষ হয়েছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন।সেই নির্বাচন বর্জন করে সরকার পতনের আন্দোলন ডাক দিয়েছিল বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো। কিন্তু সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে, আবার সরকার গঠন করেছে আওয়ামী লীগ। নির্বাচন ’বয়কটের’  ডাক দিয়ে ব্যর্থ বিএনপি এখন ইফতার মাহফিলের নামে দলটির নেতা কর্মীদের চাঙ্গা করতে চাইছে। কিন্তু বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার এই সময়ে কম আয়ের মানুষের জন্য কোনো কর্মসূচি নেই। অথচ  রোজায় ‘মানবসেবা’মূলক কর্মসূচি নিয়ে মাঠে রয়েছে আওয়ামী লীগ। দলটি এবার পুরো রোজায় ঢাকা ও ঢাকার বাইরে দরিদ্রদের মধ্যে ইফতারসামগ্রী বিতরণ করছে। রোজার শেষ সপ্তাহে ঈদসামগ্রীও বিতরণ করা হবে। রমজানে বিএনপির ইফতার রাজনীতি মঙ্গলবার রোজা শুরুর দিনে কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত নানা স্তরে পাঁচশ’র বেশি ইফতার আয়োজন করেছে বিএনপি। এইদিনেই রাজধানীর ইস্কাটন লেডিস ক্লাবে এ ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা এবং দলের সিনিয়র নেতারা এতিম, আলেম ও ওলামা মাশায়েখদের সঙ্গে নিয়ে ইফতার করেন। সেখানে মেন্যু হিসেবে ছিল- খেজুর, ফল, পেয়াজু, বেগুনি, ছোলা, জিলাপি, জুস, ডিমসহ মোরগ পোলাও রোজার মাসে রাজপথে তেমন কোনো কর্মসূচি না থাকলেও ইফতার ‘পার্টি’র নামে কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি। বিএনপির নেতারা মনে করছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে বিএনপিতে নানামুখী সংকটের কারণে সৃষ্ট ক্ষোভ ও হতাশা কাটিয়ে ইফতার মাহফিলের মাধ্যমে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করতে চান তারা।  গেল ১২ মার্চে ঢাকার ইস্কাটন লেডিস ক্লাবে বিএনপির ইফতার পার্টি। কাচ্চি বিরিয়ানির পাশাপাশি ৬-৭ পদের আইটেম দিয়ে অনুষ্ঠিত ওই ইফতার পার্টিতে দেখা গেল পাকিস্তানি ব্র্যান্ড ‘সেজান’ জ্যুস। অথচ গত ১১ মার্চ এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস বলেছিলেন, ‘আওয়ামী লীগ জনগণের জন্য সস্তা খাবার বরাদ্দ রেখে নিজেরা ‘দামি ফল, খেজুর, আঙুর’ খাবে।’ আর বাস্তবতা হলো, ঢাকার ইস্কাটন লেডিস ক্লাবে বিএনপির ইফতার পার্টিতেই দেখা মিললো দামী খেজুরের। রমজানে আওয়ামী লীগের কৃচ্ছ্রতা সাধন অসহায়-ছিন্নমূল ও গরীব মানুষের কথা চিন্তা করে এবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি বাসভবন গণভবনে কোনো ইফতারের আয়োজন না করার কথা রোজা শুরুর আগেই জানিয়েছেন। একইসঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ইফতার মাহফিল না করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। দলীয়প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আওয়ামী লীগ এবার তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত কোথাও ইফতার মাহফিল না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে ইফতার আয়োজনের সকল অর্থ অসহায়-গরিব মানুষের মাঝে সহায়তা হিসেবে প্রদান করবে। রমজানে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “আমরা রমজান ইফতার পার্টি করতাম। এবার রমজানে আমরা ইফতার পার্টির না করে সব টাকা ও খাদ্য সাধারণ মানুষের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা মানুষের জন্য কাজ করি। মানুষের কল্যাণে কাজ করি।” প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন দলের নেতারা। তারা মনে করছেন, এতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে আওয়ামী লীগ সরকারের ইতিবাচক ভাবমূর্তি বাড়াবে।  আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘পবিত্র রমজান মাসে কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনগুলো কোন ইফতার মাহফিলের আয়োজন করবেন না। সেই টাকা দিয়ে দরিদ্র মানুষের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করবেন।’তিনি আরও বলেন, ‘রমজান সংযমের মাস। রমজান মাসে  কর্মসূচি চলমান রাখার ঘোষণার মধ্য দিয়ে বিএনপি জনগণের ধর্মীয় মূল্যবোধ ও অনুভূতির বিপক্ষে দাঁড়িয়েছে। তারা দেশের জনগণকে কোনোভাবেই স্বস্তিতে থাকতে দিতে চায় না। আমরা আগেই বলেছি, রমজানে ঘোষিত কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বিএনপি আরও জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে।’ পবিত্র রমজান উপলক্ষে বিভিন্ন সামাজিক ও মানবিক কাজে যোগ দিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। সারাদেশের নেতাকর্মীদের আটটি নির্দেশনা দিয়ে মাঠ থাকার নির্দেশ দিয়েছে সংগঠনটি। এরমধ্যে- শিক্ষার্থী, শ্রমজীবী, অসহায় মানুষের মাঝে ইফতার ও সেহরি বিতরণ; বিনামূল্যে খাদ্যসামগ্রী ও নিত্যপ্রয়োজনীয় উপকরণ বিতরণ; রমজান মাসে স্বেচ্ছা রক্তদান ইত্যাদি। অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ। সারাদেশে অসচ্ছল মানুষের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণের আয়োজন করেছে সংগঠনটি।  রমজান সবচেয়ে ফজিলতপূর্ণ একটি মাস রমজান মুসলিম জাতির কাছে সবচেয়ে ফজিলতপূর্ণ একটি মাস। মহাগ্রন্থ আল-কোরআন অবতীর্ণ হওয়া, ইবাদতের মাধ্যমে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে ক্ষমা পাওয়ার উপযুক্ত সময়ও রমজান মাস। ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের তৃতীয় স্তম্ভ রোজা। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেন- 'আর তোমরা জমিনে বিপর্যয় ও বিশৃংখলা সৃষ্টি করো না তার সংশোধনের পর এবং তাঁকে ডাক ভয় ও আশা নিয়ে। নিশ্চয়ই আল্লাহর রহমত সৎকর্মশীলদের কাছাকাছি।' (সুরা আরাফ : আয়াত ৫৬) রোজাদারদের পারস্পরিক সমবেদনা, সহমর্মিতা ও সহানুভূতি প্রদর্শনের ক্ষেত্রে রমজান মাসের রোজার ভূমিকা অপরিসীম উল্লেখ করে ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের দাওয়াহ অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইকবাল হোছাইন বলেন, ‘একজন রোজাদার ব্যক্তি সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সিয়াম সাধনার মধ্য দিয়ে গরিব-দুঃখীদের অপরিমেয় দুঃখ-কষ্ট উপলব্ধি করতে শেখার মধ্য দিয়ে সহানুভূতিশীল হয়ে ওঠেন ও তাদের জন্য সেহরি ও ইফতারের ব্যবস্থা করেন এবং তাদের দান-খয়রাত, জাকাত-সাদকা প্রদানসহ বিভিন্নভাবে সাহায্য-সহযোগিতা ও সহমর্মিতা প্রকাশ করেন।’ নানা ধর্ম ও বর্ণের মানুষের বাস এই প্রিয় বাংলাদেশে। মাহে রমজানে সমাজের স্থিতিশীলতা, শান্তি, সম্প্রীতির সুদূরপ্রসারী প্রভাব বিদ্যমান। সমাজের প্রত্যেক ধর্মপ্রাণ মানুষ যদি মাহে রমজানের মতো অন্যান্য মাসেও আত্মসংযমের সঙ্গে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব ধরনের বিরোধ এড়িয়ে যান, তাহলে কোনো রকম সামাজিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় না। তাই সমাজ-জীবনে পরস্পরের প্রতি সাহায্য-সহযোগিতা, সাম্য ও ভ্রাতৃত্ব বন্ধনের জন্য ভূমিকা অনস্বীকার্য। লেখক : গণমাধ্যমকর্মী  
১৩ মার্চ ২০২৪, ১৯:৩৮

রমজানে খাদ্য ব্যবসায়ীদের প্রতি বিশেষ নির্দেশনা
আসন্ন রমজানে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে খাদ্য ব্যবসায়ীদের প্রতি বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। শনিবার (৯ মার্চ) এক সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তিতে এসব নির্দেশনা জারি করেছে সংস্থাটি। জারিকৃত নির্দেশনায় বলা হয়- খোলা ও নোংরা পরিবেশে ইফতার সামগ্রী তৈরি ও পরিবেশন থেকে বিরত থাকুন। বাসি বা পচা খাদ্য উপকরণ দিয়ে ইফতার সামগ্রী তৈরি করবেন না। সকল প্রকার খাদ্য ও খাদ্য উপকরণ স্বাস্থ্যসম্মতভাবে ঢেকে রাখুন। ইফতার সামগ্রী যেমন পেঁয়াজু, চপ, বেগুনি, জিলাপি, বুন্দিয়া, ফিরনি ইত্যাদি তৈরিতে কেমিক্যাল রং বা কাপড়ের রং ব্যবহার করবেন না। সর্বদা ফুডগ্রেড রং ব্যবহার করুন। ইফতার সামগ্রী প্রস্তুতে পোড়া তেল ব্যবহার করবেন না। পোড়া তেলে ভাজা খাবার গ্রহণের ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। খবরের কাগজ বা কালিযুক্ত কাগজের তৈরি মোড়ক ব্যবহার করবেন না। কালিতে ক্ষতিকর রং ও পিগমেন্ট থাকে, যা মানবদেহের ক্যান্সার ও কিডনি রোগসহ নানাবিধ রোগ সৃষ্টি করতে পারে। ইফতার সামগ্রী প্রস্তুত ও পরিবেশনে নিয়োজিত খাদ্যকর্মীরা আবশ্যিকভাবে গ্লাভস, মাস্ক ও হেড কাভার পরিধান করুন। সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তির শেষে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ ও সংশ্লিষ্ট বিধি–বিধানসমূহ মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়।
০৯ মার্চ ২০২৪, ১৬:৪৩

নারী দিবসে নারীদের প্রতি যে প্রত্যাশার কথা জানালেন জায়েদ খান
একজন নারী তার পরিপূর্ণ অধিকার আদায়ের দাবিতে দীর্ঘকাল ধরে যে আন্দোলন চালিয়ে আসছে, তারই সম্মানস্বরূপ প্রতিবছর বিশ্বজুড়ে ৮ মার্চ নারী দিবস পালন করা হয়। এক শতাব্দী ধরে দিনটি পালিত হচ্ছে বিশ্বজুড়ে। শুরুতে পশ্চিমা দেশগুলোতে হলেও আজকাল বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশে নারীরাও এ দিন উদযাপন করে থাকেন বেশ আয়োজন করে। নারী দিবস নিয়ে একজন পুরুষের ভাবনা কী? এমন প্রশ্নে গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে চিত্রনায়ক জায়েদ খান বলেন, নারীরা মায়ের জাতি, বোনের জাতি। নারী থাকে যত্নে, ভালোবাসায়। নারী থাকে বিশ্বাসে। প্রতি বছর এই দিনে শিক্ষিত ও সচেতন নারী সমাজ বেশ আয়োজন করে নারী দিবস পালন করে থাকে। দেওয়া হয় বিভিন্ন রকম সচেতনতামূলক বার্তা। সেই বার্তা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর খেটে খাওয়া নারীর কাছে পৌঁছাতে প্রয়োজন প্রচার। এ নায়ক বলেন, খেটে খাওয়া নারীর কাছে সচেতনতামূলক বার্তা ভালোই পৌঁছায়। তবে আরেকটু প্রচারের মাধ্যমে পৌঁছে দিতে হবে। এখন তো প্রচারের যুগ। হাতের মুঠোয় পৃথিবী। সবার হাতে স্মার্ট ফোন। বিশ্বায়নের যুগে নারী দিবসের শ্লোগান, প্রতিপাদ্য বিষয় হাতে হাতে ছড়িয় দিতে হবে।’  সময়ের সঙ্গে দৃশ্যপট বদলেছে। ঘরে-বাইরে পুরুষের সঙ্গে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছেন নারীরা। তবে সামাজিকমাধ্যমে বেড়ে নারীর প্রতি জিঘাংসা, কটাক্ষ। বিষয়টি নারীর এই অগ্রগতিকে কী দুর্গম করে তুলছে না? এমন প্রশ্নের জবাবে জায়েদ খান বলেন, এটা হীনমন্যতা, সামাজিক অবক্ষয়। কিছু মানুষ আছে যারা নারীর চলার পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। কিছু কুসংস্কারাচ্ছন্ন মানুষেরা নারীদের এগিয়ে যাওয়া ভালোভাবে দেখে না। তাদের দ্বারাই নারীরা আক্রান্ত হয়।’ জায়েদের মতে দেশ-বিদেশে অগণিত নারী ভক্ত তার। তাদের উদ্দেশে এ নায়কের বার্তা, নারীরা আমাকে বরাবরের মতোই ভালোবাসুক। তাদের প্রতি আমারও শ্রদ্ধা ভালোবাসা। যেহেতু আমি সিঙ্গেল ওই জায়গা থেকে আমার প্রতি তাদের ভালবাসা যেন এরকমই থাকে। আমার ছবি দিয়ে কেউ বালিশে কাভার লাগিয়ে ঘুমাক, কেউ ছবি নিয়ে ঘুমাক। নারীদের প্রতি নারী দিবসে এটাই প্রত্যশা আমার।
০৮ মার্চ ২০২৪, ১৮:৫৯

ডেন্টালে ভর্তি পরীক্ষা আজ, প্রতি আসনে লড়বেন ৯৩ শিক্ষার্থী
২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের সরকারি-বেসরকারি ডেন্টাল কলেজ ও মেডিকেল কলেজের ডেন্টাল ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে শুক্রবার (৮ মার্চ)। এবার প্রতিটি আসনের বিপরীতে লড়বেন ৯৩ জন শিক্ষার্থী। সকাল ১০টায় ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়ে শেষ হবে বেলা ১১টা। পূর্ববর্তী বছরের এইচএসসি, ‘এ’ লেভেল বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের সর্বমোট নম্বর থেকে ৫ (পাঁচ) নম্বর বাদ দিয়ে এবং পূর্ববর্তী বছরের সরকারি মেডিকেল কলেজ বা ডেন্টাল কলেজের ডেন্টাল ইউনিটে ভর্তি শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে সর্বমোট নম্বর থেকে ১০ (দশ) নম্বর বাদ দিয়ে মেধাতালিকা নির্ধারণ করা হবে। লিখিত ভর্তি পরীক্ষায় ১০০টি প্রশ্নের প্রতিটি ১ নম্বর করে মোট (এইচএসসি বা সমমান সিলেবাস অনুযায়ী) ১০০ নম্বরের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পদার্থবিদ্যা ২০, রসায়নবিদ্যা ২৫, জীববিজ্ঞান ৩০, ইংরেজি ১৫ ও সাধারণ জ্ঞান (বাংলাদেশের ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধ) ১০ অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে। লিখিত পরীক্ষায় ৪০ নম্বরের কম পেলে অকৃতকার্য বিবেচনা করা হবে। ভর্তি পরীক্ষায় ৪০ নম্বরের কম পেলে ভর্তির যোগ্য বিবেচিত হবেন না।
০৮ মার্চ ২০২৪, ০৭:৩৫

প্রতি ৯৯০ জনের বিপরীতে সরকারি হাসপাতালে বেড একটি
দেশের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে মোট বেড সংখ্যা অনুযায়ী, প্রতি ৯৯০ জন লোকের বিপরীতে ১টি বেড রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। তিনি আরও জানান, হাসপাতালগুলোর শয্যা বৃদ্ধি ও শূন্য পদে চিকিৎসক নিয়োগের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য এ বি এম আনিছুজ্জামানের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে স্বস্থ্যমন্ত্রী এ তথ্য জানান। ডা. সামন্ত লাল সেন লিখিত উত্তরে জানান, ২০২২ সালের হেলথ বুলেটিনের তথ্য অনুযায়ী দেশে সরকারি বেড সংখ্যা ৭১ হাজার ৬৬০টি এবং বেসরকারি বেড সংখ্যা ৯৯ হাজার ৯৭৫টি। অর্থাৎ সর্বমোট এক লাখ ৭১ হাজার ৬৭৫টি বেড রয়েছে। মোট বেড সংখ্যা অনুযায়ী প্রতি ৯৯০ জন লোকের বিপরীতে একটি বেড রয়েছে। দেশে প্রতি ৫০ জন লোকের বিপরীতে সরকারি হাসপাতালে বেডের সংখ্যা শূন্য দশমিক ০২১১টি। প্রতিটি সরকারি হাসপাতালে পর্যায়ক্রমে বেড সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে।
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:১৯

প্রতি ইউনিটে যত বাড়ল বিদ্যুতের দাম
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানিয়েছেন, খুচরা পর্যায়ে সাড়ে ৮ শতাংশ এবং পাইকারি পর্যায়ে ৫ দশমিক ০৭৪ শতাংশ বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে আজই প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। যা চলতি ফেব্রুয়ারির ১ থেকেই কার্যকর হবে। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে এ তথ্য জানান। প্রতিমন্ত্রী জানান, খুচরা পর্যায়ে বর্তমান দাম গড়ে প্রতি ইউনিট ৮ দশমিক ২৫ টাকা, নতুন দাম ৮ দশমিক ৯৫ টাকা। পাইকারি পর্যায়ে বর্তমান দাম গড়ে প্রতি ইউনিট ৬ দশমিক ৭০ টাকা। নতুন দাম ৭ দশমিক ০৪ টাকা।  তিনি বলেন, এখন বিদ্যুতের গড় উৎপাদন খরচ পড়ছে ১২ টাকার মতো, আর ৭ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। চলতি বছর বিদ্যুতে ৪৩ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হবে। ধীরে ধীরে কয়েক বছর ধরে বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করা হবে। কম ব্যবহারকারী গ্রাহকের বিদ্যুতের দাম কম বাড়বে, আর ওপরের দিকে বেশি বাড়বে। নসরুল হামিদ বলেন, সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয়েছে ডলারের দর বেড়ে যাওয়ায়। তেল-গ্যাস ও কয়লার আন্তর্জাতিক বাজারদর ক্ষেত্র বিশেষে একই থাকলেও আগের চেয়ে ডলার প্রতি ৪০ টাকার বেশি খরচ হচ্ছে। এখানেই বিশাল গ্যাপ তৈরি হয়েছে। ডলারের সঙ্গে সমন্বয় করার জন্য কাজ করছি। তিনি বলেন, জ্বালানি তেলের দাম আধুনিক প্রাইসিংয়ে যাচ্ছি। ইনডেক্স ও ফর্মূলা করা হয়েছে প্রতিমাসে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় হবে, প্রতিবেশী দেশ প্রতিদিন সমন্বয় করে। সেখানে অতিরিক্ত বেড়ে গেলে সরকার অন্যভাবে সহায়তা করে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হচ্ছে না, সমন্বয় করা হচ্ছে। লাইফ লাইন গ্রাহকের (৭৫ ইউনিট পর্যন্ত ব্যবহারকারী) মাসের বিল ২০ টাকার মতো বাড়তে পারে। এখন গ্রাহকরা যদি একটু সাশ্রয়ী হন, তাহলে বিল আগের অবস্থায় থাকবে। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে গ্রাহকদের মিতব্যয়ী হতে উদ্বুদ্ধ করা। বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে , গ্রাহক পর্যায়ে গত বছর মার্চে পাঁচ শতাংশ বাড়ানো হয় বিদ্যুতের দাম। সে সময় গড় মূল্যহার দাঁড়ায় ৮ টাকা ২৫ পয়সা। এ বছর মার্চে সে মূল্যহার বেড়ে হচ্ছে ৮ টাকা ৯৫ পয়সা। অর্থাৎ বিদ্যুতের দাম বাড়ছে প্রায় আট দশমিক ৪৮ শতাংশ। এর মধ্যে সবচেয়ে কম বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে লাইফ লাইন (০-৫০ ইউনিট) গ্রাহকদের। তাদের বিল বাড়ছে সর্বনিম্ন ২৮ পয়সা। বর্তমানে এই শ্রেণির গ্রাহকদের বিল প্রতি ইউনিটে ৪ টাকা ৩৫ পয়সা। নতুন মূল্যহার কার্যকর হলে তা দাঁড়াবে ৪ টাকা ৬৩ পয়সা। এদিকে প্রথম ধাপে (০-৭৫ ইউনিট) বিদ্যুৎ বিল ৪ টাকা ৮৫ পয়সা। আট দশমিক ৪০ শতাংশ বা ৪১ পয়সা বেড়ে তা দাঁড়াচ্ছে ৫ টাকা ২৬ পয়সা। দ্বিতীয় ধাপে (৭৬-২০০ ইউনিট) বর্তমানে বিদ্যুৎ বিল ৬ টাকা ৬৩ পয়সা, যা বাড়ছে ৫৭ পয়সা বা আট দশমিক ৬০ শতাংশ। এতে ২০০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিল পড়বে ৭ টাকা ২০ পয়সা। সেচ গ্রাহকদের বিল গুনতে হয় বর্তমানে ৪ টাকা ৮২ পয়সা। তা বাড়ছে ৪৩ পয়সা বা আট দশমিক ৯০ শতাংশ। এতে সেচে বিল পড়বে প্রতি ইউনিট ৫ টাকা ২৫ পয়সা। তবে বিদ্যুৎ ব্যবহার যত বেশি হলে বিল তত বেশি হারে বাড়বে। এতে আবাসিকে সবচেয়ে বেশি হারে বিদ্যুৎ বিল বাড়বে ৬০০ ইউনিটের ঊর্ধ্বের গ্রাহকদের। এ শ্রেণির গ্রাহকদের বর্তমান বিল দিতে হয় ১৩ টাকা ২৬ পয়সা হারে। তা ১ টাকা ৩৫ পয়সা বা ১০ দশমিক ১৮ শতাংশ বেড়ে হচ্ছে ১৪ টাকা ৬১ পয়সা। লাইফ লাইন গ্রাহকদের বিলে ছাড় দেওয়ায় তাতে মাসে খরচ বাড়বে সর্বোচ্চ ২২ টাকা। প্রথম ধাপের (০-৭৫ ইউনিট) গ্রাহকদের বিল বাড়বে মাসে সর্বোচ্চ ৪০ টাকা। দ্বিতীয় ধাপের (৭৬-২০০) গ্রাহকদের বিল বাড়বে মাসে সর্বোচ্চ ১২২ টাকা। সেচে বিদ্যুতের ব্যবহার মাসে ৫০০ ইউনিট পর্যন্ত থাকলে বিল বাড়বে ২৬২ টাকা। আর কোনো আবাসিক গ্রাহক মাসে এক হাজার ২০০ ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহার করলে খরচ বাড়বে সর্বোচ্চ এক হাজার ৪৪৩ টাকা।  
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:৩৩

জাবির ‘ডি’ ইউনিটে প্রতি আসনে লড়ছেন ১০৬ জন
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ১ম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষার জীববিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ডি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার এই ইউনিটের ছাত্রীদের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ছাত্রদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। জীববিজ্ঞান অনুষদে ছাত্রদের ১৫৫টি এবং ছাত্রীদের আসন সংখ্যা ১৫৫টি আসন রয়েছে। এর বিপরীতে আবেদনকারীর সংখ্যা ছাত্র ৩২ হাজার ৯৫জন এবং ছাত্রী ৩৭ হাজার ৩২১জন। সেই হিসেবে প্রতি আসনের বিপরীতে লড়ছেন ১০৬ জন পরীক্ষার্থী। সকালে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ নূরুল আলম ফার্মেসী, উদ্ভিদবিজ্ঞান, প্রাণিবিদ্যা বিভাগ এবং জাবি স্কুল ও কলেজ কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষা পরিদর্শন করেন। এ সময় উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক শেখ মোঃ মনজুরুল হক, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মোস্তফা ফিরোজ, রেজিস্ট্রার মোঃ আবু হাসান, প্রক্টর আ. স. ম. ফিরোজ-উল-হাসান প্রমুখ উপাচার্যের সঙ্গে ছিলেন। পরীক্ষা পরিদর্শন শেষে উপাচার্য সুষ্ঠুভাবে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলে জানান। আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার ‘বি’ ইউনিট (সমাজবিজ্ঞান অনুষদ ও আইন অনুষদ), আইবিএ-জেইউ এবং ‘ই’ ইউনিট (বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ) -এর ভর্তি পরীক্ষার মধ্য দিয়ে ভর্তি পরীক্ষা শেষ হবে। ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য এবং ফলাফল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি সম্পর্কিত ওয়েবসাইট http://ju-admission.org এ পাওয়া যাবে।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:০৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়