• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
রাত পোহালেই শিল্পী সমিতির নির্বাচন, আমেজ নেই এফডিসিতে
চলচ্চিত্র শিল্পীদের সংগঠন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি। সংগঠনটির দ্বি-বার্ষিক (২০২৪-২৬) নির্বাচন শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। তবে এবারের নির্বাচনে নেই কোনো আমেজ। বিগত বছর এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হয়েছে নানা আলোচনা-সমালোচনা ও তর্ক-বিতর্ক। যা দেশের মানুষের মুখে মুখে ছিল। তবে এবারের শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে নেই তেমন আলোচনা-সমালোচনা বা তর্ক-বিতর্ক। শিল্পী সমিতির এবারের নির্বাচন যেন বিএফডিসির চার দেয়ালের মাঝেই আটকে আছে। চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট অনেকেই বলছেন রোজা ও ঈদ থাকায় তেমনভাবে নির্বাচনের কার্যক্রম চালানো সম্ভব হয়নি। যার কারণে এবার নির্বাচন ঘিরে আলোচনা কম।  তবে সবকিছু উপেক্ষা করে চলচ্চিত্র শিল্পীদের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করার এই সংগঠনটির নির্বাচন আগামীকাল অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) প্রাঙ্গনে সকাল ৯টায় শুরু হয়ে দুপুরে এক ঘণ্টা বিরতি দিয়ে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে।  এবারের নির্বাচনে দুটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। যার একটি প্যানেলে জোট বেঁধেছেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের দাপুটে দুই অভিনেতা মিশা সওদাগর ও মনোয়ার হোসেন ডিপজল। আর অপর প্যানেলে রয়েছেন নায়ক মাহমুদ কলি ও নায়িকা নিপুণ আক্তার। মিশা-ডিপজল পরিষদে সহ-সভাপতি পদে লড়ছেন মাসুম পারভেজ রুবেল ও ডিএ তায়েব, সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে আরমান, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে জয় চৌধুরী, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে আলেকজান্ডার বো, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক পদে জ্যাকি আলমগীর, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক ডন এবং কোষাধ্যক্ষ পদপ্রার্থী কমল। এই প্যানেলে কার্যকরী পরিষদের সদস্য পদে নির্বাচন করছেন অভিনেত্রী সুচরিতা, রোজিনা, আলীরাজ, সুব্রত, দিলারা ইয়াসমিন, শাহনূর, নানা শাহ, রত্মা কবির, চুন্নু, সাঞ্জু জন ও ফিরোজ মিয়া। আর মাহমুদ কলি-নিপুণ প্যানেলে অন্য প্রার্থীরা হলেন, সহসভাপতি পদে ড্যানি সিডাক ও অমিত হাসান, সহ-সাধারণ সম্পাদক বাপ্পি সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে অঞ্জনা রহমান, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক পদে মারুফ আকিব, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক কাবিলা, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক মামনুন হাসান ইমন ও কোষাধ্যক্ষ পদে অভিনেতা আজাদ খান। এ প্যানেলে কার্যকরী পরিষদের সদস্য পদে প্রার্থীরা হলেন সুজাতা আজিম, নাদের চৌধুরী, পীরজাদা হারুন, পলি, জেসমিন আক্তার, তানভীর তনু, মো. সাইফুল, সাদিয়া মির্জা, সনি রহমান, হেলেনা জাহাঙ্গীর ও সাইফ খান। এবারের শিল্পী সমিতির নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার খোরশেদ আলম খসরু। তার সঙ্গে সদস্য হিসেবে আছেন এজে রানা ও বিএইচ নিশান।
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:১৪

রাত পোহালেই পটুয়াখালী পৌরসভার ভোটগ্রহণ
রাত পোহালেই ৯ মার্চ পটুয়াখালী পৌরসভার ভোটগ্রহণ। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছে গেছে ইভিএমসহ নির্বাচনী সরঞ্জাম এবং থাকছে ১৯ জন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট, ৩ প্লাটুন বিজিবি ও র‌্যাবের ৪টি ভ্রাম্যমাণ টিম। এ ছাড়া প্রতিটি কেন্দ্রে কেন্দ্রে থাকবে পর্যপ্ত পুলিশ ও আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্য।  জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পটুয়াখালী পৌরসভা নির্বাচনে ২৪টি ভোটকেন্দ্রের প্রতি ভোটকেন্দ্রে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে মেয়র পদে ৫ জন, ৯টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৪১ জন ও ৩টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ১৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে মেয়র পদে পাঁচ প্রার্থী হচ্ছেন ডা. মো. শফিকুল ইসলাম (মোবাইল প্রতীক), মহিউদ্দিন আহমেদ (জগ প্রতীক), মো. এনায়েত হোসেন (নারিকেল গাছ প্রতীক), আবুল কালাম আজাদ (রেল গাড়ী) ও মো. নাসির উদ্দিন খান (কম্পিউটার প্রতীক)।  এবারের পৌর নির্বাচনে মোট ভোটারের সংখ্যা ৫০ হাজার ৬৯৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২৩ হাজার ৯৪৭ এবং নারী ভোটার ২৬ হাজার ৭৫০ জন। এ ছাড়া হিজড়া ভোটার আছেন দুজন। বিগত ২০১৯ সালের নির্বাচনের চেয়ে এবারের নির্বাচনে ৫ হাজার ৫৫৫ জন ভোটার বেশি। ২০১৯ সালের নির্বাচনে মোট ভোটার ছিল ৪৫ হাজার ১৪৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ছিল ২১ হাজার ৮২২ জন এবং নারী ভোটারের সংখ্যা ছিল ২৩ হাজার ৩২২ জন।
০৮ মার্চ ২০২৪, ২৩:৫৩

রাত পোহালেই ভোটযুদ্ধ
অবশেষে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। অপেক্ষার আর খুব বেশি বাকি নেই, রাত পোহালেই শুরু হবে ভোটযুদ্ধ। ইতোমধ্যে ভোটের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন। পুরো দেশ ও বিশ্ববাসীর নজর এখন ভোটের দিকে। রোববার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ২৯৯টি আসনে একটানা ভোট গ্রহণ চলবে। সব আসনেই ব্যালট পেপারে ভোট হবে। কোনো অনিয়ম হলে তাৎক্ষণিক প্রার্থিতা বাতিলসহ প্রয়োজনে ভোট বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। ভোটে অংশ নিচ্ছে ২৮টি দল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের মোট ২৮টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল অংশ নিচ্ছে। দলগুলো হলো- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, জাতীয় পার্টি (জেপি), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), তৃণমূল বিএনপি, ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশ, ইসলামী ঐক্যজোট, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, গণফোরাম, গণফ্রন্ট, জাকের পার্টি, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি, বিকল্প ধারা বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, বাংলাদেশ কংগ্রেস, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ), বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ), বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (এম.এল) এবং গণতন্ত্রী পার্টি। ভোটের মাঠে ১৯৭১ প্রার্থী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১ হাজার ৯৭১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে ২৮টি রাজনৈতিক দলের প্রার্থী রয়েছেন ১ হাজার ৫৩৫ জন। এর বাইরে ৪৩৬ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন। সবচেয়ে বেশি প্রার্থী রয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ থেকে। দলটির মোট ২৬৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরপর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রার্থী জাতীয় পার্টির ২৬৫ জন। এরপর তৃতীয় সর্বোচ্চ প্রার্থী তৃণমূল বিএনপির ১৩৫ জন। এ ছাড়া ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ১২২ জন প্রার্থী রয়েছেন। এর বাহিরে যে দলগুলো ভোটে অংশ নিচ্ছে সবগুলো দলের প্রার্থী এক শ’র নিচে। সবচেয়ে কম প্রার্থী রয়েছে বাংলাদেশ মুসলিম-লীগ এবং বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (মার্কসবাদী-লেনিনবাদী) এর। দুটি দল থেকে চার জন করে প্রার্থী রয়েছেন। ভোটের মাঠে ৯০ নারী প্রার্থী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারাদেশে দলীয় ও স্বতন্ত্র থেকে মোট ৯০ নারী প্রার্থী ভোটে অংশগ্রহণ করছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ থেকে ১৮ জন ও জাতীয় পার্টির ৭ জন রয়েছেন। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ২৩ জন নারী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। অন্যদিকে, বিভিন্ন আসন থেকে ৭৯ জন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর প্রার্থী নির্বাচনের মাঠে লড়াই করবেন। পাশাপাশি এই নির্বাচনে তৃতীয় লিঙ্গের একজন প্রার্থী রয়েছেন। ১২৩ আসনে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার সম্ভাবনা স্বতন্ত্র প্রার্থীর মৃত্যুর কারণ নওগাঁ-২ আসনের ভোটগ্রহণ স্থগিত হওয়ার এবার ২৯৯টি আসনে ভোট হবে। এর মধ্যে ১২৩টি আসনে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে। বিভাগ ভিত্তিক হিসেবে ঢাকা বিভাগের ৩১টি আসনে, চট্টগ্রামের ১৯টি, রংপুরের ১৫টি, রাজশাহীর ১৯টি, বরিশালের ১৩টি, সিলেটের ৯টি, ময়মনসিংহের ৯টি এবং খুলনা বিভাগের ৮টি আসনে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস রয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা-১, ঢাকা-৪, ঢাকা-১৮, গাজীপুর-১, গাজীপুর-২, নারায়ণগঞ্জ-১, নরসিংদী-১, ফরিদপুর-৩, ফরিদপুর-৪, মাদারীপুর-৩,  টাঙ্গাইল-৮, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১, কুমিল্লা-৬, চাঁদপুর-৪, নোয়াখালী-২ ও নোয়াখালী-৪, লক্ষ্মীপুর-৪, রংপুর-২, গাইবান্ধা-১, জয়পুরহাট-২, নওগাঁ-১, বরিশাল ৪, বরগুনা-১, সিলেট-৬, হবিগঞ্জ-৪, ময়মনসিংহ- ৩ আসনে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। মোট ভোটার প্রায় ১২ কোটি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোট ভোটার রয়েছেন ১১ কোটি ৯৩ লাখ ৩২ হাজার ৯৩৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৫ লাখ ৯২ হাজার ১৯৭ জন ও নারী ভোটার ৫ কোটি ৮৭ লাখ ৩৯ হাজার ৮৮৯ জন। এ ছাড়া তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ৮৪৮ জন। নওগাঁ-২ আসনের একজন বৈধ প্রার্থী মারা যাওয়ায় আসনটির ভোট স্থগিত করা হয়েছে। ফলে ২৯৯টি আসনে ভোট হবে। পর্যবেক্ষণে ৩৪ দেশের ১২৬ বিদেশি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য ২২৭ জন বিদেশি নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছিলেন। এর মধ্যে মোট ১২৬ জন বিদেশিকে নির্বাচনে পর্যবেক্ষণের অনুমতি দিয়েছে কমিশন। ৩৪ দেশের এসব বিদেশি পর্যবেক্ষকের পাশাপাশি ওআইসি, সার্ক, ফেমবোসা ও কমনওয়েলথের মতো সংস্থাগুলোও নির্বাচন পর্যবেক্ষণে নিজেদের প্রতিনিধি পাঠিয়েছে। ইসির অনুমোদন পাওয়া তালিকায় যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ফ্রান্স, জাপান, ভারত, পোল্যান্ড, ফিলিস্তিন, বেলজিয়াম, পর্তুগাল, নেদারল্যান্ডস,  জর্ডান, আয়ারল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ ও ভুটানের নাগরিক রয়েছেন। এবার ৭৬ জন বিদেশি সাংবাদিক নির্বাচনের দিন সংবাদ সংগ্রহের জন্য মাঠে থাকবেন। বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর ভোট বর্জন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের ২৮টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল অংশ নিচ্ছে। তবে ভোটে অংশ নিচ্ছে না রাজপথের প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ সমমনা বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল। বেশ কয়েকদিন ধরেই তারা বর্তমান সরকারের পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছিল। সবশেষে তারা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ‘একতরফা’ ও ‘ডামি’ নির্বাচন আখ্যা দিয়ে জনগণকে ভোট থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছে। নির্বাচন বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনের পক্ষে শনিবার (৬ জানুয়ারি) সকাল ৬টা থেকে বিএনপির ৪৮ ঘণ্টার হরতাল শুরু হয়েছে। হরতাল চলবে সোমবার (৮ জানুয়ারি) সকাল ৬টা পর্যন্ত। এ ছাড়া একই কর্মসূচি পালন করছে জামায়াতে ইসলামী ও লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) সহ অন্যান্য দলগুলো। নির্বাচন ঘিরে নিরাপত্তা জোরদার সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য মাঠে থাকছে র‍্যাব, পুলিশ, আনসার, বিজিবি, কোস্টগার্ড, এপিবিএনের সাড়ে সাত লাখ ফোর্স। ভোটের আগে-পরে ১৩ দিন থাকছে সেনাবাহিনী। গত ৩ জানুয়ারি থেকে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মাঠে রয়েছে বাহিনীটির বিপুল সংখ্যক সদস্য। এবার ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে পুলিশের বাড়তি ফোর্স মোতায়েন রয়েছে। পাশাপাশি নির্বাচন ঘিরে যেকোনো অনিয়মের তাৎক্ষণিক বিচার করতে মাঠে রয়েছে ৬৫৩ জন বিচারিক হাকিম। ভোট দানে বাধা দিলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর কর্মকর্তারা। র‍্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) অতিরিক্ত আইজিপি এম খুরশীদ হোসেন বলেন, বিএনপি-জামায়াত ও কিছু দল নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা দিয়েছে। কেউ ভোট দিতেও পারে, নাও পারে। তবে কেউ ভোট দিতে চাইলে তাকে বাধা দেওয়া বেআইনি। এই কাজ যারা করবে তাদের কঠোরভাবে দমন করা হবে। সব বেসরকারি হাসপাতাল প্রস্তুত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে যেকোনো জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় আগামী ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশের সব বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতাল প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এসময়ে নিয়মিত স্বাস্থ্যসেবাও চালু রাখতে বলা হয়েছে।  শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়। যে কোনো রোগীকে সরকারি হাসপাতালে রেফার করার ক্ষেত্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে যোগাযোগ করে অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে পাঠাতে বলা হয়েছে। অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে শনিবার (৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। ভাষণে তিনি জাল ভোটসহ যে কোনো অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।  সিইসি বলেন, সব প্রার্থী ও ভোটারদের নির্বাচনী বিধিবিধান অনুসরণ করতে হবে। নির্বাচনের দায়িত্ব নিয়োজিত সব কর্মকর্তাকেও সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে। কোনো প্রকার অসততা, ব্যত্যয় ও অবহেলা সহ্য করা হবে না। কোনো প্রার্থী বা প্রার্থীর পক্ষে জাল ভোট, ভোট কারচুপি, ব্যালট ছিনতাই বা পেশীশক্তির ব্যবহার কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে। এ ধরনের কর্মকাণ্ডের তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিকভাবে প্রার্থিতা বাতিল ও প্রয়োজনে কেন্দ্র বা নির্বাচনী এলাকার ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, এবারের নির্বাচনে ২৮টি দল অংশ নিচ্ছে। সর্বমোট ১৯৭১ জন প্রার্থী ২৯৯টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ফলে নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন ও অংশগ্রহণমূলক নয় বলে আখ্যায়িত করা যাবে না।  
০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০৮:১৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়