• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
‘জ্বীন-টু’ সিনেমার পোস্টার নকলের অভিযোগ
ঢাকাই চলচ্চিত্রে নকলের বিষয়টি নতুন কিছু নয়। বর্তমানে ভারতীয় সিনেমা নকল করে চলচ্চিত্র নির্মাণ কিছুটা কমলেও নকল পোস্টার তৈরি যেন কোনোভাবেই কমছে না। এবার ‘জ্বীন-টু’ সিনেমার পোস্টার নকলের অভিযোগ উঠেছে।  প্রতিনিয়ত নকল সিনেমা কিংবা নকল পোস্টার তৈরি করে দর্শকদের ধোঁকা দিয়ে যাচ্ছেন নির্মাতা-প্রযোজকরা। এবার এই তালিকায় যুক্ত হলো ‘মোনা: জ্বীন-টু’ সিনেমার পোস্টার।    ২০২১ সালে ‘মোনা’ সিনেমাটি নির্মাণের ঘোষণা দেয় জাজ মাল্টিমিডিয়া। হরর গল্পের ওয়েব ফিল্মটি পরিচালনা করেন কামরুজ্জামান রোমান। কিন্তু পরবর্তীতে প্রযোজনা সংস্থাটি জানায়— ওটিটিতে নয়, হলে মুক্তি পাবে ‘মোনা’।    সম্প্রতি মুক্তির জন্য সেন্সর বোর্ড থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে সিনেমাটি। আগামী ঈদুল ফিতরে সিনেমাটি মুক্তি পাবে বলে জানিয়েছে জাজ। তবে পরিবর্তন করা হয়েছে সিনেমাটির নাম। রাখা হয়েছে ‘মোনা: জ্বীন-টু’।     মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) জাজ মাল্টিমিডিয়ার ফেসবুক পেজে ‘মোনা: জ্বীন-টু’র অফিসিয়াল পোস্টার প্রকাশ করা হয়। মূলত এরপরেই মন্তব্যের ঘরে নকলের অভিযোগ করেছেন নেটিজেনদের একাংশ। মুক্তিপ্রাপ্ত হরর সিনেমা ‘মুনকার’র পোস্টারের সঙ্গে সিনেমাটির মিল পাওয়া গেছে। মন্তব্যের ঘরে একজন লেখেন, ইন্দোনেশিয়ার সিনেমার অনুকরণে তৈরি করা হয়েছে পোস্টারটি। সিনেমার গল্পও হয়তো বা একই হবে।   আরেকজন লেখেন, ইন্দোনেশিয়ার এমন একটা সিনেমা দেখা হয়েছিল যার সঙ্গে জাজ মিডিয়া ব্যানারের পোস্টারের মিল রয়েছে। আরেক ব্যক্তি মন্তব্য করেন, ইন্দোনেশিয়ার সিনেমার নকল এটি। জানা গেছে, সত্য ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তৈরি হয়েছে ‘মোনা: জ্বীন-টু’ চিত্রনাট্য। জামালপুরে এক বাড়িতে জ্বীনের উৎপাত শুরু হলে বাড়ির মালিক সেটি মাদরাসাকে ভাড়া দেন। কিন্তু জ্বীনের উৎপাত সইতে না পেরে বাড়িটি ছেড়ে দেয় মাদরাসার ছাত্র ও শিক্ষকরা।  বাড়িটিতে জ্বীন কেন উৎপাত করছে?  আসলে কি কারও ক্ষতি করতে চায় নাকি অন্য কোনো সমস্যা রয়েছে? মূলত এসব প্রশ্ন সামনে রেখেই এগিয়েছে সিনেমাটির গল্প।      প্রসঙ্গত, সিনেমাটির নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন সুপ্রভাত। এ ছাড়া আরও রয়েছেন— তারিক আনাম খান, আহমেদ রুবেল, দীপা খন্দকার, সামিনা বাশার, আরিয়ানা, সাজ্জাদ হোসেন, শেহজাদ ওমর, রেবেকা, মাহমুদুল হাসান মিঠু, শামীম প্রমুখ।   
১৯ মার্চ ২০২৪, ১৫:৪৫

সিনেমার পোস্টার আঁকা চিত্রশিল্পী শোয়েব আর নেই
একটা সময় ছিল যখন সিনেমার পোস্টার আঁকা হতো হাতে রং-তুলির মাধ্যমে। আর সেই সিনেমার পোস্টার আঁকার জন্য বিখ্যাত ছিলেন মোহাম্মদ শোয়েব। আলোচিত এই চিত্রশিল্পী মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। রোববার (১৭ মার্চ) শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৬৯।  মোহাম্মদ শোয়েবের মৃত্যুর তথ্য জানিয়ে গণমাধ্যমকে অভিনেতা লিটু আনাম বলেন, ছবি আঁকতে আঁকতেই হঠাৎ অচেতন হয়ে যান শোয়েব ভাই। তারপর জরুরিভিত্তিতে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। চিত্রশিল্পী মোহাম্মদ শোয়েবের জন্ম ১৯৫৫ সালে। তিনি রাজধানীর মোহাম্মাদপুরের আদাবরে বসবাস করতেন।
১৮ মার্চ ২০২৪, ১৭:৩৯

একটি পোস্টার ঘিরে ময়মনসিংহে আতঙ্ক
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এতদিন মাঠ গরম করে রেখেছেন প্রার্থীরা। শনিবার (৯ মার্চ) ভোটের মাধ্যমে মাঠের এ লড়াইয়ের অবসান হতে যাচ্ছে। এরই মাঝে শহরের বিভিন্ন জায়গাতে বেনামে সাঁটানো পোস্টার নিয়ে এক নতুন আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।  নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঠিক দুদিন আগে এমন পোস্টার কে বা কারা টানালো তা নিয়ে নগরজুড়ে চলছে নানা আলোচনা। স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকলে জেনারেল ইয়াহিয়ার মুখের ছবি দিয়ে চিত্রশিল্পী কামরুল হাসানের আঁকা এই জানোয়ারদের হত্যা করতে হবে পোস্টারটির আদলে ময়মনসিংহ নগরীতে সাঁটানো হয়েছে পোস্টারটি।  তবে পোস্টারে একটি নতুন কথা যুক্ত করা হয়েছে, ‘এই রক্তখেকো জানোয়ারদের হত্যা করতে হবে’।  কাকে উদ্দেশ্য করে কারা এ পোস্টার সাঁটিয়েছে এ প্রশ্ন এখন সবার মুখে। পোস্টার দেখে স্থানীয় কয়েকজন বলেন, সিটি নির্বাচনকে ঘিরে আতঙ্ক তৈরি করতে সাঁটানো হয়েছে এই পোস্টার। তবে এ ধরনের লেখা সম্বলিত পোস্টার দেখলে যে কেউ আঁতকে উঠবেন। পুলিশ বলছে, যারা পোস্টার সাঁটিয়েছে তাদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞা বলেন, কারা কী উদ্দেশ্যে এসব পোস্টার সাঁটিয়েছেন, তাদের শনাক্ত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।
০৯ মার্চ ২০২৪, ০৫:৪১

‘হাফ মুন’র রহস্যময় পোস্টার প্রকাশ
ঢাকাই সিনেমার নবাগত নায়ক সাজ্জাদ হোসেন। ‘এমআর নাইন- মাসুদ রানা’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় তার। এবার ‘হাফ মুন’ নামের নতুন সিনেমায় যুক্ত হলেন তিনি। এর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এলো রহস্যময় এক পোস্টার প্রকাশের মাধ্যমে। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে যুক্তরাজ্যের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান টিবি আর মাল্টিমিডিয়ারর ফেসবুক পেজে প্রকাশ করা সিনেমাটির একটি পোস্টার। যা দেখা মাত্রই রহস্যের আঁচ পাওয়া যায়। একইসঙ্গে ‘হাফ মুন’ বা অর্ধ চন্দ্র নামের যেন যথার্থ প্রয়োগ খুঁজে পাওয়া গেল এতে।  প্রকাশিত ডার্ক রঙের পোস্টারে দুটি মুখ ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। কিন্তু একজনের অর্থাৎ শুধু নায়কের মুখ স্পষ্ট, নায়িকার মুখ অস্পষ্ট; যেন রহস্যে ঘেরা। এর কারণ এই সিনেমায় নায়িকা কে হচ্ছে তা আপাতত আড়ালেই রাখতে চান সিনেমা সংশ্লিষ্টরা। এখানেই শেষ নয়, পোস্টারে ব্রিজ, ঘড়ি ও নদীর চিত্র ফুটে উঠেছে। যা গল্পের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।  জানা যায়, যুক্তরাজ্যের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান টিবি আর মাল্টিমিডিয়ার ব্যানারে সিনেমাটি নির্মাণ করবেন তরুণ নির্মাতা ফায়েজ আহমেদ। তিনিও প্রথমবার দেশে সিনেমা নির্মাণ করতে যাচ্ছেন। লন্ডনের নিউহ্যাম সিক্সফোম কলেজ থেকে ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়ার ওপর পড়াশোনা করা এই নির্মাতা এর আগে হলিউডের প্রডাকশনে 'পারছি গারভেজ' নামের সিনেমা নির্মাণ করেছেন। যেটি রয়েছে মুক্তির অপেক্ষায়।  নির্মাতা ফায়েজ জানালেন, তার নতুন সিনেমা ‘হাফ মুন’ নির্মিত হবে সত্য ঘটনা অবলম্বনে। তবে সেটিকে খানিকটা ভিন্ন আঙ্গিকে সিনেমাটিকভাবে প্রেজেন্ট করা হবে পর্দায়। যেখানে কোনও অ্যাকশন না থাকলেও এক ধরনের থ্রিলার, সাসপেন্স, রোমান্টিকতা ও পারিবারিক গল্প খুঁজে পাবে দর্শক। যা সবাই সহজে কানেক্টেড করতে পারবে৷  গল্পের খানিকটা ধারণা দিয়ে তরুণ এ নির্মাতা জানান, কোনও অজানা কারণে একটি মেয়ের স্বাভাবিক জীবন ব্যহত হয়। কিন্তু কী কারণ সেই রহস্য উদঘাটন করবে গল্পের প্রধান চরিত্রে থাকা সাজ্জাদ। আর নায়কের সহযোগিতায় মেয়েটি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবে। তবে এই পথ পাড়ি দেওয়া সহজ নয়, বাঁধা-বিপত্তিতে ঠাঁসা। তবে সেই সব বাঁধা অতিক্রম করার গল্পই ফুটে উঠবে সিনেমায়।   এদিকে নবাগত নায়ক সাজ্জাদের ভাষ্য, এমআর নাইন- মাসুদ রানা’র মাধ্যমে আমার সিনেমায় পথচলা শুরু। চরিত্র ছোট হলেও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। তাই বরাবরই ভিন্নধর্মী কাজের সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত করতে চাই। এতে সংখ্যা কম হলেও মানটা ধরে রাখা যায়। এজন্য অনেক ভেবেচিন্তে সিন্ধান্ত নিতে হয়েছে। চরিত্রের সঙ্গে নিজেকে মানানসই করতে প্রস্তুতি চলছে। আশা করব পর্দায় ভালো কিছু নিয়ে হাজির হতে পারব।   ‘হাফ মুন’ সিনেমাটি ইংরেজি ও বাংলা দুই ভার্সনে নির্মিত হবে। এর স্ক্রিপ্ট লিখেছেন ইয়েমেনের হাতেম মানিয়া, যিনি হলিউডের সিনেমায় স্ক্রিপ্ট রাইটার হিসেবে কাজ করেন। এছাড়া এর বাংলা ভার্সনে কাজ করেছেন দেশের জনপ্রিয় চিত্রনাট্যকার নাজিম উদ দৌলা। সবকিছু ঠিক থাকলে জুলাইয়ের দিকে শুরু হবে দৃশ্যধারণ, চলবে বাংলাদেশ, লন্ডন ও দক্ষিণ আফ্রিকায়।
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:২৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়