• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
প্রেমিকার উপহারের পোশাক পরে তরুণের আত্মহত্যা
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে প্রেমিকার ওপর অভিমান করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন প্রদীপ কুমার (২৫) নামের এক যুবক।  বুধবার (১৭ এপ্রিল) ভোর ৫টার দিকে নিজ ঘরে ফাঁস দিয়ে ওই যুবক আত্মহত্যা করেন। তার বাড়ি সুন্দরবন-সংলগ্ন শ্যামনগর উপজেলার জেলেখারী গ্রামে।  প্রদীপ কুমার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। আত্মহত্যার আগে ফেসবুক স্ট্যাটাসে প্রেমিকার সঙ্গে ভিডিওকলের কিছু মুহূর্ত ও ছবিও পোস্ট করেন তিনি। নিজের ফেসবুক আইডিতে প্রদীপ পোস্ট করেন, ‘পাখি দুবছর আগে তোমাকে বলেছিলাম, আমাকে ছেড়ে অন্য কারও সঙ্গে সম্পর্ক করলে আমি দুনিয়া ছেড়ে চলে যাব’। আজ তোমাকে অন্য মানুষের সঙ্গে কথা বলতে দেখে সহ্য করতে না পেরে তোমার দেওয়া প্যান্ট ও শার্ট পরে চির বিদায় নিলাম’। পাখি তুমি একটা বেঈমান, পুনরায় কারও সঙ্গে এমন বেঈমানি যাতে না করো তাই আমি চলে গেলাম।’  মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নের স্থানীয় ইউপি সদস্য নিপা চক্রবর্তী বলেন, প্রদীপের বংশীপুরের একটা মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তার ওপরে অভিমান করে সে আত্মহত্যা করেছে। শ্যামনগর থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, এক তরুণের আত্মহত্যার খবর পেয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:৪৩

ব্রাজিলকে সরাসরি তৈরি পোশাক নেওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
বাংলাদেশ থেকে সরাসরি তৈরি পোশাক নিতে (আমদানি) ব্রাজিলকে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (এপ্রিল ৮) সকালে গণভবনে সফররত ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাউরো ভিয়েরার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ আহ্বান জানান। পরে এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাউরো ভিয়েরাকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে বাংলাদেশ সীমিত আকারে তৈরি পোশাক রপ্তানি করছে। ব্রাজিল যদি বাংলাদেশ থেকে সরাসরি তৈরি পোশাক আমদানি করে, সেটা তাদের জন্য আরও সাশ্রয়ী হবে। দুই দেশের মধ্যকার বিদ্যমান সম্পর্কে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধির অনেক সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি পণ্য বিশেষ করে পাটজাত ও চামড়াজাত পণ্য আমদানি করতে ব্রাজিলের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। আসন্ন জি টুয়েন্টি সম্মেলনে অংশ নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি দেশটির প্রেসিডেন্টের আমন্ত্রণপত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করেন। প্রধানমন্ত্রী আমন্ত্রণ গ্রহণ করে ব্রাজিল সফরে সম্মত হন। ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ব্রাজিল তার আর্থ-সমাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চায়। সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম সংবলিত ব্রাজিলের একটি জার্সি প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বাংলাদেশের ফুটবলের উন্নয়নে ব্রাজিলের সহায়তা চান প্রধানমন্ত্রী।  প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এবং ব্রাজিল উভয় দেশই ক্ষুধা-দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছে এবং আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে বিভিন্ন ইস্যুতে একই পদক্ষেপ গ্রহণ করে। বৈঠকে প্যালেস্টাইন ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূমিকার প্রশংসা করেন ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী যে নৃশংসতা চালাচ্ছে সেটা গণহত্যা। সাক্ষাৎকালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:০৫

পোশাক শিল্প নিয়ে ভুল তথ্য যাচ্ছে বিদেশে 
ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলনকারী পোশাকশ্রমিক যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার, তাদের মুক্তি এবং হয়রানি বন্ধ করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক ব্যবসায়ীদের সংগঠন আমেরিকান অ্যাপারেল অ্যান্ড ফুটওয়্যার অ্যাসোসিয়েশন (এএএফএ)। তবে তাদের আহ্বান ভুল তথ্যের উপর নির্ভর বলে মনে করেন পোশাকখাত সংশ্লিষ্টরা। কারণ, সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে কোনও আটকের ঘটনা চলমান নেই এবং গাড়ি পোড়ানোর ঘটনায় অভিযুক্ত শ্রমিক নেতা বাবুল আক্তার জামিনে মুক্ত।  এএএফএ’র চিঠিতে সংগঠনটির সভাপতি স্টিফেন লামার বলেছেন, ‘আমেরিকান অ্যাপারেল অ্যান্ড ফুটওয়্যার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের পক্ষ থেকে আমি আবারও ২০২৩ সালে ন্যূনতম মজুরির দাবিতে বিক্ষোভ ঘিরে হাজার হাজার শ্রমিকের বিরুদ্ধে চলমান আটক ও আটকের হুমকি বন্ধের জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। পাশাপাশি আমি বাংলাদেশ সরকারের প্রতি বিক্ষোভের সময় সহিংসতায় প্রাণহানি ও শ্রমিক আহত হওয়ার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তদন্ত ও তাঁদের জবাবদিহির আওতায় আনার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করছি।’ চিঠিতে স্টিফেন ল্যামার লিখেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি পোশাকের তৃতীয় বৃহৎ সরবরাহকারী বাংলাদেশ। তা ছাড়া বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে জুতা ও ভ্রমণে ব্যবহৃত পণ্য সরবরাহও দ্রুত বাড়ছে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিরাট গুরুত্ব রয়েছে।’ তিনি বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে স্মরণ করছেন। তিনি বলেন, ‘দুই দেশের মধ্যে সুবিধাজনক সম্পর্ক উভয়ের জন্য সমৃদ্ধি, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে এসেছে।’ এএএফএর চিঠিতে বলা হয়, গভীর উদ্বেগের সঙ্গে শ্রমিকদের বিষয়ে তাদের আবারও আহ্বান জানাতে হচ্ছে। ন্যূনতম মজুরি নিয়ে বিক্ষোভের সময় গ্রেপ্তার সব ব্যক্তিকে মুক্তি প্রদান, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আনা সব ফৌজদারি অভিযোগ প্রত্যাহার এবং আরও হাজার হাজার কর্মীকে গ্রেপ্তারের হুমকি বন্ধ করতে হবে। এ ছাড়া গত বছর গ্রেপ্তার হওয়া জুয়েল মিয়ার মতো যেসব শ্রমিক সংগঠকের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ আনা হয়েছে, সেগুলো প্রত্যাহারের জন্যও সরকারের প্রতি আহ্বান জানায় এএএফএ।  দেশের রপ্তানিমুখী পোশাকশিল্পে প্রতি পাঁচ বছর পরপর নতুন মজুরিকাঠামো ঘোষিত হয়। গত বছর ন্যুনতম মজুরি পুনরায় নির্ধারণের সময়কালে হঠাৎ করেই শ্রমিক অসন্তোষ শুরু হয় গাজিপুর-আশুলিয়া এলাকায়। মজুরি নির্ধারণের পর থেমে যায় গার্মেন্টস শ্রমিকদের আন্দোলন। আন্দোলনের সময় গাড়ি পোড়ানো হয়, অনেক কারখানা ভাংচুর করা হয়। আগের মজুরি ৫৬ শতাংশ বাড়িয়ে নতুন মজুরি নির্ধারণ করে সরকার। আন্দোলনে কারখানা ভাংচুর করা হলেও আন্দোলনকারী শ্রমিকদের পূর্ণ বেতন দিয়ে আবারো কাজে ফিরিয়ে নেয় কারখানা মালিকরা। আন্দোলন চলাকালে কিছু শ্রমিক নেতার ইন্ধনে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা কারখানাসহ বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালায়। পরবর্তীতে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।  গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে শ্রমিক নেতা বাবুল আক্তার ছিল, তার বিরুদ্ধে আন্দোলনচলাকালীন সময়ে গাড়ি পোড়ানোর অভিযোগ আছে। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তিনি জামিনে মুক্ত হন।  চিঠিতে ন্যুনতম মজুরির দাবিতে আন্দোলন করার কারনে শ্রমিকদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে – এমন তথ্য ভুল। মুলত আন্দোলনের নামে ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ করার প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নেয় পুলিশ। শ্রমিক সংগঠনের কিছু নেতৃবৃন্দ ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।  এর আগেও কয়েকজন শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের বিরুদ্ধে ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২০১৪ সালে জুন মাসে জুন মাসে ভালুকায় পাইওনিয়ার গার্মেন্টসের কয়েক মাইল দূরে শ্রমিকদের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘাত হয়। এ ঘটনায় গার্মেন্টস কর্তৃপক্ষ কোনোভাবে জড়িত ছিলো না। তারপরও বিজিএমইএ, শ্রম মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কাউকে অবহিত না করে এ ঘটনা প্রসঙ্গে ওয়াশিংটনে চিঠি দেয় কিছু শ্রমিক নেতা। শ্রমিকদের বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দের অভিযোগ, বিদেশ থেকে ফান্ডিং এনে সংগঠন চালানোর জন্য কিছু শ্রমিক নেতা মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করে। একই অভিযোগ ছিল বাবুল আক্তারের বিরুদ্ধেও।  সেই প্রসঙ্গে একজন শ্রমিক নেতা জানান, শ্রমিক সংগঠন চলবে নিজেদের টাকায়, তা না হয়ে যদি তা বিদেশি অর্থপুষ্ট হয় তাহলে এমনই ঘটবে। কারণ বিদেশিরা তাদের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্যই টাকা দেয়। বাংলাদেশের পোশাক শিল্প নিয়ে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র হচ্ছে তা মালিক ও সরকার পক্ষ থেকে অনেক আগেই বলা হয়েছে।   পোশাক শিল্প নিয়ে অনেকদিন ধরেই চলছে ষড়যন্ত্র। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে দেশের পোশাক শিল্প নিয়ে বিভিন্ন সময়ে চালান হয়েছে নানা অপপ্রচার। এমনকি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তৈরি পোশাকখাতে মার্কিন স্যাংশন নিয়ে অপপ্রচার চালান হয়েছে।  এই চিঠির আগে তৈরি পোশাক খাত নিয়ে চিঠি দিয়েছিল মার্কিন ৮ কংগ্রেসম্যান। পোশাক শ্রমিকদের আন্দোলনের মুখে বেতন-ভাতা সমন্বয় করার পরও সংশোধিত বিষয়টি নিয়ে অযাচিত হস্তক্ষেপ করেছেন মার্কিন কংগ্রেসম্যানরা। তারা বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করার জন্য চিঠি দেয় আমেরিকান অ্যাপারেল অ্যান্ড ফুটওয়্যারকে (এএএফএ)। তবে কংগ্রেসম্যানদের চিঠির আগেই বিজিএমইএ  তাদেরকে চিঠি দিয়ে বেতন সমন্বয়ের তথ্য জানান।  শ্রমিকদের যাপিত জীবন নিয়ে সম্প্রতি ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানে একটি বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে ফ্রিল্যান্সার লেখক তাসলিমা দাবি করেছেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির সঙ্গে তাল মেলাতে না পেরে নারী পোশাক শ্রমিকরা সন্তান ও নিজের জীবন বাঁচাতে যৌনকর্মে জড়িয়ে পড়ছেন। এ নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করে শ্রমিক সংগঠনগুলো। দেশের কয়েকটি পত্রিকা সেই প্রতিবেদন প্রকাশ করলেও বিভ্রান্তিকর বিবেচনায় পরে তা প্রত্যাহার করে নেয়।  গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনের পর বিক্ষোভ করে প্রতিবাদ জানায় শ্রমিক সংগঠনগুলো। সেসময় সম্মিলিত শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক শ্রমিক নেতা নাহিদুল হাসান নয়ন বলেন, ‘কিছু মানুষ ইচ্ছাকৃতভাবে আমাদের দেশের পোশাক খাত এবং নারী শ্রমিকদের নামে গুজব ছড়িয়ে বিশ্বের দরবারে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’-এর সুনাম প্রশ্নবিদ্ধ করছে। যে শ্রমিকদের শ্রমের ঘামে ঘোরে বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা, যে নারী শ্রমিকদের বলা হয় গোল্ডেন গার্ল সেই নারী শ্রমিকদের হেয় প্রতিপন্ন করে যৌনকর্মী হিসেবে আখ্যায়িত করে নারী-নীতি, মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনা ও আইএলও কনভেনশন-১৯০ লংঘন করেছে।’   গণমাধ্যমে এমন প্রতিবেদনের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিজেএমইএ। সংগঠনটির সভাপতি ফারুক হাসান জানান, এরকম একটা সংবাদ আমাদের জন্য সত্যিই বিব্রতকর। এটি ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, বাস্তবতা বিবর্জিত ও মনগড়া ।  তিনি বলেন, ‘এই নিউজের সঙ্গে বাস্তবের কোনো মিল নেই। এ ধরণের নিউজ করে এই সেক্টরে যেসব মেয়েরা কাজ করছে তাদেরকে আসলে নিচু করা হয়েছে, অপমান করা হয়েছে এবং বাংলাদেশের নারীদের অসমান করা হয়েছে।’  বাংলাদেশ ন্যাশনাল লেবার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মরিয়ম আক্তার বলেন, ‘বর্তমান সরকারের শ্রমবান্ধব প্রধানমন্ত্রী মূল্যস্ফীতি ও জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির কারণে চলতি বছরের ৮ নভেম্বর শ্রমিকদের মাসিক ন্যূনতম মজুরি সাড়ে ১২ হাজার টাকা নির্ধারন করেন যা ১ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হয়েছে। মজুরি বাস্তবায়নের এই সময়েই দুটি গণমাধ্যম গার্মেন্টস শ্রমিক ও নারী শ্রমিকদের নিয়ে বানোয়াট ও অপমানজনক সংবাদ প্রকাশ করে। আমরা উক্ত সংবাদের তীব্র নিন্দা জানিয়ে উক্ত প্রত্যাখান করছি।’ শ্রমিকদের নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ায় নিজেদের কোন্দলের মাধ্যমেও। শহিদুল ইসলাম বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল শ্রমিক ফেডারেশনের গাজীপুর জেলা শাখার সভাপতি ছিলেন। তিনি বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি ও পাওনা বেতন আদায় করে দিতে কাজ করতেন। এই শ্রমিক নেতা হত্যার পর দেশে বিদেশে সমালচনার ঝড় বয়ে যায়। মুলত গাজীপুরে সংগঠনের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে শ্রমিক নেতা শহিদুল ইসলামকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার অভিযোগ তদন্ত করে মামলার চার্জশিট আদালতে জমা দিয়েছে পুলিশ। সেখানে বলা হয়েছে,  শ্রমিকদের বেতনভাতার সমস্যার সমাধান করতে গিয়ে আসামিদের হাতে নিহত হন শহিদুল। মামলার অন্যান্য আসামিরা কেউ শ্রমিক নেতা কেউ স্থানীয় বাসিন্দা।  হত্যা মামলার তদন্ত কমিটির প্রধান ও গাজীপুর শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইমরান আহম্মেদ জানিয়েছেন,একজনের এলাকায় আরেকজনের প্রবেশ নিয়ে শ্রমিক সংগঠনের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে স্থানীয় কয়েকজনের ইন্ধনেই শ্রমিক নেতা শহিদুলকে হত্যা করা হয়েছে। এরইমধ্যে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার ও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাদের ইশারায় অন্য আসামিরা শহিদুলের ওপর হামলা চালায়। তদন্ত ও যাচাই-বাছাই শেষে অভিযোগপত্রটি অনলাইনে আদালতে জমা দেয়া হয়েছে। মামলায় যে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তারা সবাই শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত।  দ্য আমেরিকান অ্যাপারেল অ্যান্ড ফুটওয়্যার অ্যাসোসিয়েশন (এএএফএ) হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় এনে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার আহবান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিজিএমইএকে চিঠি দিয়েছিল গত বছর।  এর আগে ২০১২ সালে শ্রমিক নেতা আমিনুল ইসলাম হত্যাকাণ্ড আলোচিত হয়েছিল দেশে বিদেশে। তিনি শহিদুলের সংগঠনেরই নেতা ছিলেন। সরকার এই হত্যাকান্ডের বিচার নিশ্চিত করেছে। আমিনুল ইসলাম হত্যাকান্ডে একজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। 
২৪ মার্চ ২০২৪, ১৪:০১

আরও ২ পোশাক কারখানা পেল পরিবেশবান্ধব সনদ
গাজীপুর টঙ্গীর উইন্ডি অ্যাপারেলস লিমিটেড এবং টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের কমফিট বানানা লিফ নামে আরও দুই পোশাক কারখানা পরিবেশবান্ধব সনদ পেয়েছে।     শনিবার (১৬ মার্চ) বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ফলে দেশে পরিবেশবান্ধব কারখানার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২১৩–তে। যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি) থেকে কারখানা দুটি পরিবেশবান্ধব সনদ পেয়েছে। সনদ পাওয়ার ৯টি শর্ত পরিপালনে মোট ১১০ নম্বরের মধ্যে কোনো কারখানা ৮০–এর বেশি পেলে ‘লিড প্লাটিনাম’, ৬০-৭৯ পেলে ‘লিড গোল্ড’, ৫০-৫৯ নম্বর পেলে ‘লিড সিলভার’ এবং ৪০-৪৯ নম্বর পেলে ‘লিড সার্টিফায়েড’ সনদ দেওয়া হয়।  উইন্ডি অ্যাপারেলস লিমিটেড এবং কমফিট বানানা লিফ লিড গোল্ড সনদ পেয়েছে। ১১০ নম্বরের মধ্যে উইন্ডি অ্যাপারেলস পেয়েছে ৬৯ নম্বর। আর কমফিট বানানা লিফ এর নম্বর ৭৩। বিজিএমইএ তথ্যানুযায়ী, তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাতে বর্তমানে লিড সনদ পাওয়া পরিবেশবান্ধব কারখানা বেড়ে হয়েছে ২১৩। তার মধ্যে ৮০টিই লিড প্লাটিনাম সনদধারী। এ ছাড়া ১১৯টি গোল্ড, ১০টি সিলভার ও ৪টি কারখানা সার্টিফায়েড সনদ পেয়েছে। পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তা সাজ্জাদুর রহমান মৃধার হাত ধরে ২০১২ সালে দেশে পরিবেশবান্ধব কারখানার যাত্রা শুরু হয়। বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ১০ পরিবেশবান্ধব কারখানার ৯টিই বাংলাদেশে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে বিশ্বের শীর্ষ পরিবেশবান্ধব কারখানার স্বীকৃতি লাভ করেছে গাজীপুরের কোনাবাড়ীর এসএম সোর্সিং। ১১০ নম্বরের মধ্যে কারখানাটি ১০৬ পেয়েছে। দেশের অন্য শীর্ষস্থানীয় পরিবেশবান্ধব কারখানাগুলো হচ্ছে ময়মনসিংহের গ্রিন টেক্সটাইল, গাজীপুরের নিট এশিয়া ও ইন্টিগ্রা ড্রেসেস, নারায়ণগঞ্জের রেমি হোল্ডিংস ও ফতুল্লা অ্যাপারেলস, গাজীপুরের লিডা টেক্সটাইল অ্যান্ড ডাইং ও লিজ ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিজ এবং মানিকগঞ্জের তারাসিমা অ্যাপারেলস। উইন্ডি অ্যাপারেলসের কারখানা গাজীপুরে টঙ্গীতে এবং কমফিট ব্যানানা লিফের কারখানা টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের গোড়াইতে অবস্থিত।
১৬ মার্চ ২০২৪, ১৩:৪০

আরবি লেখা পোশাক পরায় হামলার মুখে তরুণী
আরবি হরফ লেখা পোশাক পরিধান করায় ধর্মের প্রতি অবমাননা হয়েছে উল্লেখ করে এক তরুণীকে একদল লোক পিটুনি দিতে উদ্যত হয়। এমন পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় পুলিশ ওই তরুণীকে উদ্ধার করে।  রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের রাজধানী লাহোরের ইছরা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, পুলিশ তাৎক্ষণিক সাড়া না দিলে ওই তরুণীর সঙ্গে আরও খারাপ কিছু ঘটে যেতে পারত। দেশটিতে বিভিন্ন সময়ে ধর্ম অবমাননার (ব্লাসফেমি) অভিযোগ এনে গণপিটুনিতে অনেক হত্যার ঘটনা ঘটেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কেউ একজন বাজারে ছড়িয়ে দেন ওই তরুণীর জামার ছাপাগুলো পবিত্র কোরআনের বাণী। এই খবরে ওই তরুণীকে ঘিরে ক্রেতা, দর্শনার্থী ও পথচারীদের একটি অংশ উত্তেজিত হয়ে পড়েন। এ সময় বাজারের পোশাক ব্যবসায়ীরা তাকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসেন। পোশাকটিতে আরবি অক্ষরে ‘হালুয়া’ শব্দটি মুদ্রিত রয়েছে, যার অর্থ মিষ্টি। লাহোর পুলিশ বিবিসিকে জানিয়েছে, রোববার স্থানীয় সময় ১টা ১০ মিনিটে তারা প্রথম একটি টেলিফোন কল পায়। ওই সময় টেলিফোনে পুলিশকে জানানো হয়, পাঞ্জাব প্রদেশের রাজধানী লাহোরের একটি রেস্টুরেন্টে এক নারীকে ঘিরে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। গুলবার্গ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) শেহর বানু বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও থেকে দেখা যায় রেস্টুরেন্টের বাইরে ৩০০ জনের মতো মানুষ ভিড় করে। এ সময় এক কোণে বসে হাত দিয়ে মুখ ঢেকে রাখে ওই নারী।  পুলিশের এই নারী কর্মকর্তা বলেছেন, ‘জামায় কী লেখা আছে, তা উত্তেজিত জনতার কেউই জানেন না। তবে ওই নারীকে সেখান থেকে নিরাপদে বের করে নিয়ে আসতে পারাই ছিল আমাদের জন্য প্রধান কাজ।’ প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, ব্যবসায়ীরা ওই তরুণীকে একটি দোকানের মধ্যে নিয়ে যান এবং উত্তেজিত জনতাকে বোঝানোর চেষ্টা করেন যে, তাঁর জামায় যে ছাপ দেওয়া, তা আদৌ কোরআনের কোনো বাণী নয়, এগুলো আরবি অক্ষরশিল্প মাত্র। যা পাকিস্তানের বাজারে সচরাচর পাওয়া যায়। ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ওই ব্যাখ্যা শোনার পর উত্তেজিত জনতার একটি পক্ষ শান্ত হয়ে যায়। কিন্তু এরপরও একটি পক্ষ তরুণীর বিরুদ্ধে ক্রমাগত ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলতেই থাকে। ভিডিওতে আরও দেখা যায়, ওই তরুণী বারবার বলছেন তিনি কোনো ধর্ম অবমাননা করেননি। এমনকি এ ধরনের পোশাক পরার ক্ষেত্রে তাঁর ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্যও ছিল না। এমন নকশার পোশাক সৌদি আরবসহ উপসাগরীয় বিভিন্ন দেশে সচরাচর পরা হয় বলেও তরুণী উল্লেখ করেন। আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, ঘটনাস্থলে গুলবার্গ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) শেহর বানু জনতার উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেন। বিষয়টি নিয়ে পুলিশের ওপর আস্থা রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ওই তরুণীর জামার ছাপায় কোনো পবিত্র শব্দ লেখা নেই। জামায় যেসব শব্দ লেখা রয়েছে, তার মধ্যে একটির অর্থ ‘হালুয়া’। ওই তরুণী থানায় এক ঘণ্টার মতো পুলিশ হেফাজতে ছিলেন। এরপর পুলিশের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে বলা হয়, ওই জামায় কোরআনের কোনো বাণী লেখা নেই। এ খানে ধর্ম অবমাননার মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি।
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:০৭

জানুয়ারিতে পোশাক রপ্তানি ও আয়ে রেকর্ড 
দেশে প্রথমবারের মতো একক মাস জানুয়ারিতে প্রায় পাঁচ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য বিশ্লেষণ করে সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) এ তথ্য জানিয়েছে পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ। সংগঠনের সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, মূলত একক মাসের সর্বোচ্চ রপ্তানির রেকর্ড হয়েছে জানুয়ারিতে। এই মাসে ৪ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন বা প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলারের পোশাকপণ্য রপ্তানি হয়েছে। এটা বড় একটি মাইলফলক উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি আমাদের ধারাবাহিক উন্নতির প্রমাণ। নতুন বাজারে শক্ত অবস্থানের ইঙ্গিতও আসছে এই তথ্য থেকে। চলতি মাসের শুরুতে জানুয়ারির পণ্য রপ্তানির যে তথ্য ইপিবি প্রকাশ করেছে, সেখানে সার্বিক রপ্তানি আয়েও রেকর্ড দেখা গেছে। জানুয়ারিতে মোট ৫৭২ কোটি ৪৩ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে, যা আগে কখনও হয়নি। ওই মাসে প্রবৃদ্ধি হয়েছে সাড়ে ১১ শতাংশ। বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধে পোশাক রপ্তানির চিত্র হতাশাজনক হলেও জানুয়ারিতে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ইতিবাচক সূচকের দিকে বাঁক নিয়েছে। এই মাসে পোশাক রপ্তানিতে ১২ দশমিক ৪৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। ওভেন পোশাকে ৭ দশমিক ১৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হলেও নিট পোশাকে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৭ দশমিক ৩২ শতাংশ। বছরের বাকি সময়ে আরও ভালো খবর আসবে এমন আশা প্রকাশ করে ফারুক হাসান বলেন, বিশ্ব অর্থনীতি ও বাণিজ্য এখন ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। গত বছরের হলিডে সিজনে আমাদের প্রধান বাজার যুক্তরাষ্ট্র্র ও যুক্তরাজ্যে ব্যাপক বেচাকেনা হয়েছে। এতদিন তাদের ইনভেনটরিতে যেসব পণ্য জমা ছিল, সেগুলোও কমে এসেছে। ফলে এখন নতুন ক্রয়াদেশ আসার প্রবণতাও বাড়বে বলে আশা করা যাচ্ছে। ২০২৪ সালটি আমাদের ঘুরে দাঁড়ানোর বছর হতে পারে বলেই মনে হচ্ছে। পোশাক রপ্তানিতে বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ, প্রথম অবস্থানে রয়েছে চীন। বর্তমানে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের হিস্যা ৬ দশমিক ৪ শতাংশ, যেখানে চীনের অংশ ৩১ শতাংশের কিছু বেশি।
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:৪৯

৪২৯ ভুয়া পোশাক কারখানা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে নির্দেশ হাইকোর্টের
ভুয়া ৪২৯টি গার্মেন্টস কারখানার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আর এ জন্য সংগঠনটিকে এক সপ্তাহ সময় দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া ভুয়া কারখানাগুলোকে বিজিএমইএ’র ভোটার হিসেবে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি অভিযুক্ত কারখানাগুলোর ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (টিআইএন) ঠিক আছে কি না, তা যাচাইয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) সহায়তা করার জন্যও বলা হয়েছে।   সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) গার্মেন্টস মালিক ফয়সাল সামাদের দায়ের করা এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি নাইমা হায়দার এবং বিচারপতি কাজী জিনাত হকের দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মুস্তাফিজুর রহমান খান। উল্লেখ্য, ৪২৯টি ভুয়া তৈরি পোশাক কারখানার অস্তিত্ব নিয়ে সম্প্রতি গণমাধ্যমে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। ইতোমধ্যে ৬৭টি ফ্যাক্টরির নাম ওই নির্বাচনের ভোটার তালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন নির্বাচনী আপিল বোর্ড। তবে বাকি কারখানাগুলোর নাম বাদ দেয়ার জন্য এফবিসিসিআইয়ের নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের কাছে আবেদন করেছে একটি পক্ষ।  ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠনের আরবিট্রেশন ট্রাইব্যুনালে গত ৩১ জানুয়ারি ভুয়া ভোটারের বিষয়ে আবেদন জমা দেওয়া হয়। তবে এখন পর্যন্ত তা শুনানির জন্য আসেনি। এ বিষয়ে গত ৫ ফেব্রুয়ারি ট্রাইব্যুনালের মহাসচিব বরাবর একটি তাগাদাপত্র পাঠানো হয়। এরপরও এ নিয়ে কোনও শুনানি হয়নি। এমনকি এ বিষয়ে ব্যবস্থা আদৌ নেওয়া হবে কি না, সে বিষয়েও অভিযোগকারীকে কিছু জানানো হয়নি।  রিটকারীর আইনজীবী ব্যারিস্টার মুস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, বিজিএমইএ’র সদস্য হতে হলে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট কারখানার টিআইএন নম্বর থাকতে হবে। রিটার্নও হালনাগাদ থাকতে হবে। যেসব কারখানার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে, সেগুলোর কারও কারও হয়তো ফ্যাক্টরি ছিল। তাদের অনেকে বিভিন্ন কারণে বর্তমানে ব্যবসার বাইরে আছেন।  তিনি জানান, যেসব কারখানার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে, সেগুলো থেকে ৭০ থেকে ৮০ জনের নাম বিজিএমইএ নির্বাচনের জন্য গঠিত ট্রাইব্যুনাল বাদ দিয়েছে। এরপর সংক্ষুদ্ধ হয়ে রিটকারী এফবিসিসিআইয়ের ট্রাইব্যুনালে আপিল করেছেন। কিন্তু সেখানে তারা নিষ্পত্তিতে দেরি করছেন। এজন্যই রিট করা হয়েছে। পরিপ্রেক্ষিতে মাননীয় আদালত এদিন এ রায় দিলেন।  আইনজীবী বলেন, বিজিএমইএ বাংলাদেশের বৃহত্তম বাণিজ্যিক সংগঠন। এ সংগঠনের নির্বাহী কমিটিতে যারা যাবেন, তারা যাতে বৈধ ভোটার দিয়ে নেতা নির্বাচিত হতে পারেন; সেজন্য কোর্ট এ আদেশ দিয়েছেন।  আগামী ৯ মার্চ তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র নির্বাচন হওয়ার কথা। নির্বাচনের তফশিল অনুযায়ী সংগঠনের পক্ষ থেকে ভোটার তালিকা তৈরি করা হয়। সে তালিকায় থাকা কয়েকজনের বিষয়ে সন্দেহ হলে ঘটনা সবার সামনে আসে।  এর আগে ৪২৯টি প্রতিষ্ঠানের নামে টিআইএন আছে কিনা তা পরীক্ষা করে নির্বাচনে অংশ নেয়া একটি পক্ষ। তাদের অভিযোগ, সদ্য প্রকাশিত প্রাথমিক ভোটার তালিকায় থাকা ৪২৯ জনের কর প্রদানের তথ্য এনবিআরের ওয়েবসাইটে পাওয়া যায়নি। সম্প্রতি সংগঠনের নির্বাচন আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর ওই ভোটারদের নাম ও করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) সম্বলিত একটি তালিকাসহ আপত্তিপত্র দেয়া হয়।  
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:২৫

পোশাক শিল্পের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা
পোশাক রপ্তানিতে ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার প্রভাবসহ নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের মাধ্যমে এই খাতের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহযোগিতা চেয়েছেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান। রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তার সঙ্গে সংগঠনটির একটি প্রতিনিধি দল সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ সহযোগিতা চান। প্রতিনিধি দলে ছিলেন সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী ও বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি টিপু মুনশি, বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী, শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, সাবেক সভাপতি ও আওয়ামী লীগের শিল্প ও বানিজ্য সম্পাদক মো. সিদ্দিকুর রহমান, বিজিএমইএর বর্তমান বোর্ডের প্রথম সহসভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, সিনিয়র সহসভাপতি এস এম মান্নান (কচি), সহসভাপতি শহিদউল্লাহ আজিম, মো. নাসির উদ্দিন, মিরান আলী, রাকিবুল আলম চৌধুরী, পরিচালক ব্যারিস্টার শেহরিন সালাম ঐশী, ব্যারিস্টার ভিদিয়া অমৃত খান ও নীলা হোসনে আরা। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ এবং প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পঞ্চম মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণের জন্য শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান বিজিএমইএ প্রতিনিধি দল। এ সময় বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান তৈরি পোশাক শিল্পের অগ্রগতি, বিশেষ করে কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা, পরিবেশগত সাসটেইনেবিলিটি এবং শ্রমিকদের কল্যাণে যে অগ্রগতি সাধিত হয়েছে, সে সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী টেকসই উন্নয়নের যে নির্দেশনা দিয়েছেন তার উপর শিল্পের জোর প্রদান করে উচ্চমূল্যের পণ্যে যাওয়ার মাধ্যমে পণ্য বৈচিত্র্যকরণে বিজিএমইএ’র প্রতিশ্রুতিও তিনি তুলে ধরেন। প্রতিনিধি দলটি অপ্রচলিত বাজারে পোশাক রপ্তানি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধির বিষয় উল্লেখ করে রপ্তানির নতুন বাজার অনুসন্ধানে বিজিএমইএর গৃহীত উদ্যোগগুলো সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন। বিজিএমইএ সভাপতি প্রধানমন্ত্রীকে বিশ্ব বাণিজ্য এবং বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানিতে ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার প্রভাবসহ পোশাক শিল্পের বর্তমান প্রধান চ্যালেঞ্জগুলো সম্পর্কে অবহিত করেন। এ ছাড়া কোভিডকালে পোশাক শিল্পে প্রধানমন্ত্রীর সময়োপযোগী উদ্যোগ এবং নীতি সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন বিজিএমইএ নেতারা। পাশাপাশি শিল্পের প্রবৃদ্ধির গতি অব্যাহত রাখতে নিরবিচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহসহ পোশাকখাতের সম্মুখ চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলায় সরকারের নীতি সহায়তাগুলো অব্যাহত রাখার জন্য অনুরোধ জানান। প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের পথে অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখবে, যেখানে তৈরি পোশাক শিল্প দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে বলে বিজিএমইএ মনে করে।
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:২৯

খাকি পোশাক পরা মরদেহ ভেসে এলো বাংলাদেশে
কক্সবাজারের উখিয়ায় খালের ঝিরি দিয়ে মিয়ানমার থেকে অজ্ঞাতপরিচয়ের এক মরদেহ বাংলাদেশ সীমান্তে ভেসে এসেছে।  রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার বালুখালী কাস্টমস এলাকায় মরদেহটি দেখতে পান স্থানীয়রা।  মরদেহের মাথায় জলপাই রংয়ের হেলমেট ও খাকি পোশাক পরা অবস্থায় দেখতে পান স্থানীয়রা।  তাদের ধারণা, মিয়ানমার বাহিনীর কোনও সদস্যের মরদেহ এটি। স্থানীয়রা জানান, মরদেহের মুখে কালি রয়েছে। মাথায় হেলমেট ও শরীরে খাকি পোশাক পরা। এটা মিয়ানমারের বিজিপি অথবা দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠীর কোনও সদস্যের মরদেহও হতে পারে এটি। মরদেহটি খালের ঝিরির চলন্ত পানিতে মিয়ানমারের ঢেকিবুনিয়া থেকে ভেসে এসেছে। উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামীম হোসেন বলেন, খালের ঝিরি দিয়ে মরদেহটি ভেসে আসার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিদর্শন শেষে তারা ফিরে এলে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে। 
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:০৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়