• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo
এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু
২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে ৩০ জুন। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) থেকে অনলাইনে শুরু হয়েছে ফরম পূরণ। জরিমানা ছাড়াই যা চলবে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত। একইসাথে বিলম্ব ফিসহ ফরম পূরণ করা যাবে ২৯ এপ্রিল থেকে ২ মে পর্যন্ত। এর আগে বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মো. আবুল বাশার স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনায় এ তথ্য জানানো হয়। শিক্ষাবোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর বিজ্ঞান শাখার পরীক্ষার্থীদের জন্য ২ হাজার ৬৮০ টাকা এবং মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার পরীক্ষার্থীদের জন্য ২ হাজার ১২০ টাকা করে ফরম পূরণ ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার কোনো পরীক্ষার্থীর চতুর্থ বিষয়ে ব্যবহারিক পরীক্ষা থাকলে এর সাথে যোগ হবে অতিরিক্ত ১৪০ টাকা। আর নৈর্বাচনিক বিষয়ে ব্যবহারিক থাকলে বিষয়প্রতি দিতে হবে আরও ১৪০ টাকা।
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৫৩

আইএমএফের ১০ শর্তের ৯টিই পূরণ করেছে বাংলাদেশ : গভর্নর
ঋণের জন্য বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) যে ১০টি শর্ত দিয়েছে তার মধ্যে ৯টিই পূরণ হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। এতে ঋণের বাকি অর্থ ছাড়ে আর কোনো বাধা নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি। সোমবার (১৫ এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে আইএমএফের বসন্তকালীন বৈঠকের প্রথম দিন শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান গভর্নর। করোনা মহামারি ও যুদ্ধসহ বৈশ্বিক বিভিন্ন সংকটের মুখে চাপে পড়ে আইএমএফের দ্বারস্থ হয়েছিল বাংলাদেশ। রিজার্ভ সহায়তা দিতে সে সময় সংস্থাটি ১০টি শর্ত জুড়ে দেয় বাংলাদেশকে।  আইএমএফের বসন্তকালীন বৈঠকের প্রথম দিন শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রহমান তালুকদার জানান, তৃতীয় কিস্তির ঋণের জন্য দেওয়া ৯টি শর্তই পূরণ করেছে বাংলাদেশ। বাকি আছে শুধু রিজার্ভ। সেটির উন্নয়নেও কাজ চলছে। তাই তৃতীয় কিস্তির ঋণ ছাড়ে কোনো সমস্যা হবে না।   তৃতীয় কিস্তির ঋণ ছাড়ের প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে আইএমএফের প্রতিনিধি দল আগামী সপ্তাহেই বাংলাদেশ সফরে আসছে বলেও জানিয়েছেন আব্দুর রউফ তালুকদার।  সেইসঙ্গে মরিশাস থেকে প্রবাসীদের রেমিট্যান্স পাঠানো সহজ করতে দেশটির সেন্ট্রাল ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গেও ফলপ্রসূ আলোচনা এগিয়েছে বলে জানান তিনি।
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৫৩

মান্না ভাইয়ের শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয় : স্বাগতা
ঈদে মুক্তির তালিকায় আছে ডজন খানেক চলচ্চিত্র। সেই তালিকায় আছে শরিফুল রাজ ও শবনম বুবলী অভিনীত ‘দেয়ালের দেশ’ ছবিটি। এই সিনেমার মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিন পর সিনেমায় ফিরেছেন জিনাত শানু স্বাগতা। সম্প্রতি সিনেমাটিতে কাজের অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে তিনি প্রয়াত নায়ক মান্নাকে স্মরণ করেন এবং স্মৃতিচারণা করেন।  এ সময় তিনি বলেন, মান্না ভাই অসাধারণ মানুষ ছিলেন। তার মতো একজন মানুষ চলচ্চিত্রশিল্প থেকে চলে গেছেন, এটা অনেক বড় লস। তিনি চলে যাওয়ার পর আমরা অনেক বছর সিনেমা হলে গিয়ে ছবি দেখার সুযোগ পাইনি। মান্না ভাইয়ের শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয়। তিনি লিজেন্ড। শাকিব খান মান্না ভাইয়ের জায়গা ধরেছেন, এটা আমি স্বীকার করছি না। কারণ, শাকিব খান মান্না ভাই বেঁচে থাকতেও শাকিব খানই ছিলেন। আমি বলব, মান্না ভাই চলে যাওয়ায় শাকিব খানের ওপর চাপ পড়ে গেছে বেশি। ইন্ডাস্ট্রিতেও চাপ পড়ে গেছে। শুধু একজন নায়ক থাকলে দর্শকের জন্য বিপদ, ইন্ডাস্ট্রির জন্যও বিপদ। শরীফুল রাজের সঙ্গে শাকিব খানের তুলনা করতে গিয়ে অভিনেত্রী বলেন, এবারের ঈদে দারুণ ব্যাপার হলো শরীফুল রাজের তিনটি চলচ্চিত্র মুক্তি পাচ্ছে, শাকিব খানের একটি। তাই বলতে চাই, হয়তো আমরা এমন একজন নায়ক পেয়ে গেলাম, যার চলচ্চিত্র দেখতে গিয়ে উপচে পড়বে হল। শরীফুল রাজের তিনটি সিনেমা আসছে, হয়তো শাকিব খানের ওপর চাপ কমছে। মিশুক মনি পরিচালিত ‘দেয়ালের দেশ’ সিনেমায় রাজ-বুবলী ছাড়াও সিনেমায় আরও অভিনয় করেছেন আজিজুল হাকিম, শাহাদাত হোসেন, সমাপ্তি মাশুকসহ  অনেকে।  
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:২০

হেলিকপ্টারে চড়িয়ে বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণ করলেন প্রবাসী ছেলে
দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল স্ত্রীকে নিয়ে হেলিকপ্টার চড়বেন স্বামী। আর বাবা-মায়ের সেই স্বপ্ন পূরণ করলেন প্রবাসী ছেলে অর্নব চৌধুরী। হেলিকপ্টারে চড়িয়ে বৃদ্ধ বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণ করলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের টনকী শিকারমোড়া এলাকার সাবেক বিজিবি কর্মকর্তা বোরহান চৌধুরীর ছেলে মো. অর্নব চৌধুরী।  বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার কসবার বিনাউটি ইউনিয়নের চাপিয়া খেলার মাঠ থেকে বাবা ও মাসহ দুইজন যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন প্রবাসী হেলিকপ্টারটি। প্রবাসী ছেলের বাবা সাবেক বিজিবি কর্মকর্তা বোরহান চৌধুরী বলেন, বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতে প্রতিটি সন্তান চাই। হেলিকপ্টারে চড়ব সেটা আমার দীর্ঘদিনের একটা লালিত স্বপ্ন ছিল। ছেলের মাধ্যমে আজ সেই স্বপ্ন পূরণ হলো। আমার ছেলে সৌদিআরব প্রবাসী। সবার কাছে প্রবাসীদের জন্য দোয়া প্রার্থী। জীবনের প্রথম হেলিকপ্টার চড়ব তা-ও আবার শেষ বয়সে কোনো দিন আশা করি নাই। প্রবাসী অর্নব চৌধুরী বলেন, বাবা-মায়ের স্বপ্ন ছিল হেলিকপ্টার চড়বে সেটা জানার পর থেকেই পরিকল্পনা করি অন্তত বাবা-মামাকে তাদের এ স্বপ্নটা পূরণ করি। আল্লাহ সেই আশাটা পূরণ করেছে।  এদিকে এলাকায় প্রথমবারের মতো হেলিকপ্টার অবতরণ করে। এই দৃশ্য ও হেলিকপ্টার দেখতে স্থানীয় বাসিন্দাসহ আশপাশের নারীপুরুষ-শিশুসহ অন্তত কয়েক হাজার উৎসুক জনতার ভিড় জমে। যা পুলিশ প্রশাসনের লোকজন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হিমশিম খেতে হয়েছে।
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:২০

মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতে চান পূজা চেরি
মৃত্যুর পরেও যেন মায়ের সঙ্গে সন্তানের বন্ধন অটুট থাকে। মা-ই যেন সব। ব্যতিক্রম নন চিত্রনায়িকা পূজা চেরিও। ছোটবেলা থেকেই মায়ের সঙ্গে আমার পথচলা চিত্রনায়িকার। সব কাজেই ছায়ার মতো পাশে থাকতেন তার মা। মেয়েকে নিয়ে মায়েরও অনেক স্বপ্ন ছিল। কিন্তু সেসব পূরণের আগেই গত ২৪ মার্চ পূজাকে একা করে দিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান তার মা ঝর্ণা রায়। তবে মা বেঁচে না থাকলেও মায়ের স্বপ্নকে বাঁচিয়ে রাখতে চান এই নায়িকা। আর তাই মায়ের সব স্বপ্ন পূরণ করতে চান পূজা।  সম্প্রতি দেশের এক গণমাধ্যমে নিজেক কাজ ও মাকে নিয়ে কথা বলেন পূজা। চিত্রনায়িকা বলেন, মাকে কতটা ভালোবাসি, সেটা বেঁচে থাকতে তাকে বলতে পারিনি। আসলে বুঝিনি, এত তাড়াতাড়ি মা আমাকে ছেড়ে চলে যাবেন না ফেরার দেশে। পূজা বলেন, মা সব সময়ই আমাকে শক্ত মনের মানুষ বলতেন। তোমার পথে যত বাধাই আসুক, তুমি ঠিক কাটিয়ে উঠতে পারবে, সেই বিশ্বাস আমার আছে। এখন সেসব কথাগুলো মনে করে আমি আরও উৎসাহিত হই।    এদিকে আসন্ন ঈদে মুক্তি পেতে যাচ্ছে পূজা অভিনীত সিনেমা ‘লিপিস্টিক’। গত ৩০ মার্চ বিকেলে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে সিনেমাটি ঈদে মুক্তির ঘোষণা দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে গত ৩১ মার্চ সন্ধ্যার পর ‘বেসামাল—ড্যান্স নম্বর ওয়ান’ শিরোনামে একটি গান প্রকাশের মধ্য দিয়ে সিনেমাটির প্রচার শুরু হয়। এটি নির্মাণ করেছেন পরিচালক কামরুজ্জামান রোমান। এ প্রসঙ্গে পূজা বলেন, মায়ের রেখে যাওয়া কথা মাথায় রেখেই ঈদের সিনেমার প্রচার করতে হবে। নতুন নতুন কাজ করতে হবে। ছোটবেলা থেকেই আমার সব কাজে ছায়ার মতো পাশে থাকতেন মা। সেসময় থেকেই মা চাইতেন— আমি যেন আমার কাজ দিয়ে বড় জায়গায় পৌঁছাতে পারি। আজ মা নেই, মাকে আর ফিরে পাব না। কিন্তু তার স্বপ্ন পূরণ করতে চাই আমি। যেভাবেই হোক মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতে হবে আমাকে।  চিত্রনায়িকা বলেন, মা মারা যাওয়ার প্রায় এক সপ্তাহ হয়ে গেল। কাজে ফিরতে হচ্ছে। তবে শত কাজের মধ্যেও মাকে ভুলে থাকা যাবে না। চলার পথে, কাজের পথে ঘুরেফিরে মায়ের স্মৃতি ডাকবে আমাকে। আমি যেমন মাকে বিশ্বাস করতাম, তেমনই মা–ও করতেন আমাকে। পরিচিতজনদের মা প্রায়ই বলতেন, পূজা আমার হাতের লাঠি, আমার শক্তি। তবে মা যেখানেই থাকুন, তার সঙ্গেই আছেন জানিয়ে পূজা বলেন, মায়ের ঘরটা এখন শূন্য কিন্তু আমি ভাবি, মা ঘরেই আছেন। আগে যেমন করতাম, এখনও বাসা থেকে কাজে বের হলে, রুমের সামনে দাঁড়িয়ে বলি, মা আমি বের হলাম।  
০২ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:২৪

‘মানুষ যে আশা নিয়ে স্বাধীনতাযুদ্ধ করেছিল, তা আজও পূরণ হয়নি’
১৯৭১ সালে যে আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে দেশের মানুষ স্বাধীনতাযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছিল, তা আজও পূরণ হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মহান স্বাধীনতা এবং জাতীয় দিবস উপলক্ষে সোমবার (২৫ মার্চ) দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ মন্তব্য করেন। মির্জা ফখরুল বলেন, স্বাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ এ জাতি শুরু থেকেই অধিকার আদায়ের আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে। ১৯৭১ সালে যে আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে দেশের মানুষ স্বাধীনতাযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছিল, তা আজও পূরণ হয়নি। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করার জন্য আজও দেশি-বিদেশি চক্রান্তকারীরা নানামুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনকে চিরদিনের জন্য নির্বাসিত করার মাধ্যমে জনগণকে চূড়ান্তভাবে ক্ষমতাহীন করা হয়েছে। ফ্যাসিবাদের চরম উত্থানে দেশে অরাজকতা কায়েম করা হয়েছে। বহুদলীয় গণতন্ত্রের যে যাত্রা শুরু হয়েছিল রাষ্ট্রপতি জিয়ার হাত দিয়ে, তা বারবার বিপন্ন করতে চেষ্টা করেছে চক্রান্তকারীরা। কিন্তু আপসহীন নেত্রী খালেদা জিয়া বিপন্ন গণতন্ত্রকে বারবার জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উদ্ধার করেছেন। সেটিও আজকে ধ্বংস করে গণতন্ত্রের নামে কর্তৃত্ববাদী ফ্যাসিবাদ চালু করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, গুম, হত্যা, মিথ্যা মামলা ও নির্যাতন-নিপীড়নের মধ্য দিয়ে প্রায় ৫০ লাখ মানুষকে অমানবিক হয়রানি করা হচ্ছে। রাষ্ট্রকে একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছে। নজিরবিহীন দুর্নীতি, সীমাহীন নির্যাতন ও দুঃশাসনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছে।  বাণীতে দেশবাসী ও প্রবাসী বাংলাদেশিসহ সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আজকের এই মহান দিনে বাংলাদেশের সব দেশপ্রেমিক মানুষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি যে, দলমত নির্বিশেষে ইস্পাত দৃঢ় ঐক্যের মাধ্যমে দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তুলে এই দেশবিরোধী-গণতন্ত্রবিরোধী শক্তিকে অপসারিত করে জনগণের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণের জন্য।
২৫ মার্চ ২০২৪, ২০:৩৬

মৃত্যুর দিনেই শিল্পকলা পদকের ফরম পূরণ করেছিলেন সাদি মহম্মদ
রবীন্দ্রসংগীতের বরেণ্য শিল্পী সাদি মহম্মদ অনেকটা অভিমান করেই গেল বুধবার (১৭ মার্চ) সন্ধ্যায় আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। তার অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পদকপ্রাপ্ত শিল্পীর ফরম। যেখানে দেখা যায়, নিজের ছবি যুক্ত এই ফরম পূরণ করেছেন সাদি মহম্মদ। করেছেন স্বাক্ষরও। যেখানে তারিখটাও লিখা ১৩ মার্চ! তার মৃত্যুদিনে!  শিল্পীর মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসার পরই ফরমটি ফেসবুকে ভাইরাল হয়। আসতে থাকে নানা ধরনের প্রশ্নও। তাহলে কি ফরমটি ফিলআপের আক্ষেপই সাদির শিল্পসত্তাকে আরও ক্ষুব্ধ করে তুলেছিল? নাকি পদকের জন্য শেষ অবধি ফরম পূরণে বাধ্য হয়েছিলেন এই কীর্তিমান? আবার অনেকেই প্রশ্ন তুলেছে ফরমের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে। বিষয়টি নিয়ে কথা বলা হয় সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে। তারা নিশ্চিত করেছে এটি শিল্পকলার একাডেমি থেকে প্রেরিত ফরম। একাডেমির ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ কর্মকর্তা হাসান মাহমুদ বলেন, শিল্পকলা পদকের জন্য দুটি নিয়ম আছে। একটি হলো, কেউ নিজেই এটির জন্য আবেদন করবেন। অন্যটি, মূল্যায়ন কমিটি খুঁজে বের করেন। এই কমিটি স্বপ্রণোদিত হয়ে গুণী শিল্পীর জন্য আবেদন করে থাকে। প্রয়াত সাদি মহম্মদ কখনই নিজ থেকে আমাদের পদকের জন্য আবেদন করেননি। শিল্পকলার তরফ থেকে তার নামটি প্রস্তাব করা হয় গত বছর। মূল্যায়ন শেষে চলতি বছর জানুয়ারিতে পদকপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করা হয়। যেখানে ওনার নামটি রাখা হয়। তার মৃত্যুর আগেই তাকে এ পদকে ভূষিত করা হয়েছিল। জানা যায়, যায়, চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি শিল্পকলা একাডেমি ২০২১ ও ২০২২ সালের পদকপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করে। সেই তালিকায় ছিলেন সাদি মহম্মদ। নাম ঘোষণার আগে একাডেমি থেকে সাদি মহম্মদকে বিষয়টি জানানো হয় এবং অনুমতিও নেওয়া হয়। তবে সাদি বিষয়টিতে বাড়তি আগ্রহ দেখাননি। হাসান মাহমুদ আরও বলেন, পদক প্রদান অনুষ্ঠানে ওনার শর্ট বায়োগ্রাফি দেখানো হবে। এ কারণে আনুষ্ঠানিকতার জন্য ওনাকে ফরমটি পাঠানো হয়েছিল। উনি বেশ কিছু দিন সময় নেওয়ার পর ১৩ মার্চ পূরণকৃত ফরমটি অফিস টাইমে লোক মারফত পাঠিয়েছিলেন শিল্পকলায়। পদক প্রদান অনুষ্ঠানের প্রকাশনা ও বায়োগ্রাফি নির্মাণের দায়িত্বে আছেন শিল্পকলার গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগ। এর পরিচালক অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতি। তিনি বলেন, সাদি মহম্মদ স্যারের মৃত্যুর খবর যখন জানতে পারি ঠিক তখনই আমি ডিজি অফিস থেকে ফরমটির সফট কপিটি পাই। পরদিন হার্ড কপিটি হাতে আসে। সেই মুহূর্তটির কথা আমি এখনও ভুলতে পারছি না। শর্ট বায়োগ্রাফি তৈরির জন্য একটা ফর্ম আমরা পদকপ্রাপ্তদের চিঠির সঙ্গে দেই। সাদি মহম্মদকেও পাঠিয়েছিলাম। তখন তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “আমাকে কেন পদক দিচ্ছে শিল্পকলা?” আরো বলেন “কেন এই ফর্ম, এসব কী দরকার?” অভিমান নিয়ে একটা সময় তিনি বলেন, ফর্ম পূরণ করবেন না। কিন্তু মৃত্যুর আগে পর্যন্ত তার দায়িত্বটা তিনি পালন করে গেছেন। ফরমটি আমাদের পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। জ্যোতি মনে করেন, অনেকে শিল্পকলার এই ফরম জড়িয়ে নানা নেতিবাচক মন্তব্য করে যাচ্ছেন, তা আসলে সঠিক নয়। একাডেমির জন্য আক্ষেপের বিষয়, সবকিছু প্রস্তুত করেও পদকটি গুণী শিল্পীর হাতে তুলে দিতে পারছে না।
১৭ মার্চ ২০২৪, ১৫:৪৮

একসঙ্গে মৃত্যুর ইচ্ছা পূরণ হলো দম্পতির, শায়িত হলেন পাশাপাশি
একসঙ্গে কাটিয়েছেন দীর্ঘ ৬০ বছর। এ দীর্ঘ সময়ের পথচলায় ছিল একে অপরের প্রতি অগাধ ভালোবাসা। বেঁচে থাকতে সবসময় কামনা করতেন একসঙ্গে মৃত্যুর এবং পাশাপাশি সমাধিস্থ হওয়ার। তাদের সেই ইচ্ছাই পূরণ হয়েছে এ দম্পতির। একই দিনে পৃথিবী ছেড়ে চির বিদায় নিলেন তার, দাফনও হলেন পাশাপাশি। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) ভোরে রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের ইন্দিরাপাড়া গ্রামের আজগার আলী (৮০) এবং রাত আটটার দিকে তার স্ত্রী তহিদা খাতুন (৭২) ইন্তেকাল করেন। জানা গেছে, সেহরি খেয়ে বুধবার (১৩ মার্চ) দিবাগত রাতের খাবার একসঙ্গে খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন ওই দম্পতি। সকাল আটটার দিকে ঘুম থেকে জেগে ওঠেন তহিদা খাতুন। এ সময় ডাকাডাকি করেও স্বামীর সাড়া পাননি। তার কান্না শুনে বাড়ির অন্য লোকজন ছুটে আসেন। তখন তারা বুঝতে পারেন আজগর আলী মারা গেছেন। জানাজা ও দাফনকার্যে অংশগ্রহণকারী স্বজনদের অনেকটা শক্ত মনে বিদায় দেন তহিদা খাতুন। রাত আটটার দিকে বাড়িতে হঠাৎ মাথা ঘুরে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে তাৎক্ষণিক মারা যান তহিদাও। পরে মধ্যরাতে জানাজা শেষে স্বামীর কবরের পাশেই তাকে দাফন করা হয়। তাদের সন্তান লাভলু মিয়া বলেন, ‘আমার বাবা-মায়ের মধ্যে যে ভালোবাসা ও বন্ধুত্ব ছিল, তা এ যুগের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দেখতে পাই না। জীবদ্দশায় বাবা-মা সবসময় কামনা করতেন একসঙ্গে মৃত্যুর। আল্লাহ তাদের সেই মনোবাসনা পূর্ণ করেছেন।’ স্থানীয় ইউপি সদস্য শামসুল হক জানান, ‘ঘটনাটি বিস্ময়কর। স্বামী-স্ত্রীর একই দিনে স্বাভাবিক মৃত্যু তেমন দেখা যায় না।’
১৫ মার্চ ২০২৪, ১৯:২৬

ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে যে ইচ্ছা পূরণ করতে চান পরীমণি
স্বামী শরিফুল রাজের সঙ্গে ডিভোর্সের পর পরীমণির দুনিয়া এখন একমাত্র সন্তান রাজ্য। বলা যায়, রাজ্যকে ঘিরেই তার সব। সময় সুযোগ পেলেই ছেলেকে নিয়ে ঘুরতে বেরিয়ে পড়েন এই নায়িকা।  শুধু তাই নয়, প্রায় সময়ই ছেলের সঙ্গে নানান খুনসুটিতে মেতে ওঠেন পরীমণি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভক্তদের সঙ্গেও সেসব শেয়ার করতেও ভোলেন না এই নায়িকা। এবার ছেলেকে নিয়ে আকাশ ছোঁয়ার ইচ্ছের কথা জানালেন পরীমণি।  সোমবার (১১ মার্চ) মধ্যরাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে ছেলের সঙ্গে একটি ছবি শেয়ার করে পোস্ট দিয়েছেন পরীমণি। ক্যাপশনে চিত্রনায়িকা লিখেছেন— আমরা একদিন আকাশ ছোঁব দেখো। সকলের সৎ উদ্দেশ সফল হোক। রমজান মোবারক। সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন একটি লাভ ইমোজি।  ওই ছবিতে দেখা যায়— বালুতে মোড়ানো একটি মাঠের ওপর চেয়ারে বসে আছে রাজ্য ও পরীমণি। দুজনেই হাত তুলে তাকিয়ে আছেন আকাশের দিকে।   ছবিটি পোস্ট করা মাত্রই ৫৮ হাজারেরও বেশি প্রতিক্রিয়া পড়েছেন নেটিজেনদের। রীতিমতো মন্তব্যের ঝড় উঠেছে পরীমণির কমেন্টস বক্সে। একজন লিখেছে, রমজান মোবারক পদ্মরানি। অভিনেত্রীর এক ভক্ত লেখেন, মা ছেলের ভালোবাসা এভাবেই সারাজীবন অটুট থাকুক। ভালোবাসা নিও স্নেহের পরী।  প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর গোপনে বিয়ে করেন পরীমণি ও শরিফুল রাজ। খবরটি প্রকাশ্যে গত বছরের ১০ জানুয়ারি। একই দিন আরও ঘোষণা করেন, সন্তান আসছে তাদের ঘরে। এরপর ২২ জানুয়ারি পারিবারিক আয়োজনে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতাও করেন তারা। ২০২২ সালের ১০ আগস্ট পরীমণির কোলজুড়ে আসে রাজ্য। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে ভেঙে যায় তাদের ঘর।  
১২ মার্চ ২০২৪, ০৯:২৫

স্বপ্ন পূরণ হলো মন্দিরার
প্রত্যেক তারকারই কোনো না কোনো স্বপ্ন থাকে। ব্যতিক্রম নন ঢাকাই সিনেমার এ প্রজন্মের নায়িকা মন্দিরা চক্রবর্তী। এবার স্বপ্ন পূরণ হলো এই অভিনেত্রীর। ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত দুটি চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন তিনি। তবে দুটিই রয়েছে মুক্তির অপেক্ষায়।     মন্দিরার প্রথম সিনেমা ‘কাজল রেখা’। এটি নির্মাণ করেছেন গিয়াস উদ্দিন সেলিম।  চলতি বছরের ঈদুল আজহায় মুক্তি পাবে সিনেমাটি। এতে নাম ভূমিকায় দেখা যাবে মন্দিরাকে। আর এই সিনেমাতে অভিনয়ের মাধ্যমেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে তার। সম্প্রতি দেশের এক গণমাধ্যমে সিনেমাটির নানান বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন মন্দিরা। এ সময় অভিনেত্রী জানান, ‘কাজল রেখা’ সিনেমায় অভিনয় করে স্বপ্ন পূরণ হয়েছে তার। মন্দিরা বলেন, গিয়াস উদ্দিন সেলিমের মতো আমার কাছে ‘কাজল রেখা’ সিনেমাটি  ড্রিম প্রজেক্ট। কাজল রেখা দিয়ে দর্শকদের মন জয় করতে চাই। যেন এভাবেই একটার পর একটা ভালো সিনেমায় অভিনয় করতে পারি। চরিত্রটি অবশ্যই কঠিন ছিল। তারপরও সবকিছুর জন্য কৃতজ্ঞ নির্মাতার কাছে। কারণ, আমাকে সবরকম সহযোগিতা করেছেন তিনি। আর সেই কারণে আমি কাজল রেখা হয়ে উঠতে পেরেছি। এমন একটি কাজ করার জন্য অপেক্ষায় ছিলাম। অবশেষে আমার সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে।  ‘কাজল রেখা’ মুক্তির প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, ঈদুল আজহায় দর্শকরা প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে দেখতে পারবেন কাজল রেখা। এটা আমার জন্য খুশির খবর। তবে এর আগেও সিনেমাটির মুক্তির তারিখ পিছিয়েছে। কিন্তু এবার সবকিছু চূড়ান্ত হয়েছে। সিনেমার নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছি আমি। প্রচণ্ড ভালো লাগার পাশাপাশি একটু টেনশনও হচ্ছে। তারপরও সিনেমাটি নিয়ে ভীষণ উচ্ছ্বসিত আমি। মন্দিরা আরও বলেন, আমার বিশ্বাস দর্শকরা হলে গিয়ে সিনেমাটি দেখবেন। এটি ৪০০ বছর আগের গল্প। মূলত এ কারণেই মানুষের আগ্রহ বেশি কাজ করছে। আর সিনেমাটির নির্মাতা হিসেবে আছেন গিয়াস উদ্দিন সেলিম। তার সিনেমা মানেই ভিন্ন কিছু। এ ছাড়া সিনেমার গানগুলোও সুন্দর। প্রসঙ্গত, ‘কাজল রেখা’ সিনেমায় মন্দিরা ছাড়া আরও অভিনয় করেছেন—  শরিফুল রাজ, রাফিয়াথ রশিদ মিথিলা, ইরেশ যাকের, আজাদ আবুল কালাম, খায়রুল বাশার, সাদিয়া আয়মানসহ অনেকে।
০৮ মার্চ ২০২৪, ১৫:৫১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়