• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
মস্কো হামলায় জড়িত সবাই শাস্তি পাবে : পুতিন
মস্কোর ক্রোকাস সিটি কমপ্লেক্সে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় জড়িত সবাইকে শাস্তির আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। শনিবার (২২ মার্চ) জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এ কথা বলেন। পুতিন বলেন, সব হামলাকারীকে শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই হামলার পেছনে যারাই রয়েছে তাদের সবাইকে শাস্তির আওতায় আনা হবে। তিনি বলেন, হামলাকারীরা ইউক্রেনের দিকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। এর ফলশ্রুতিতে সেদিকে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে হামলাকারীদের সীমান্ত পার করে দিতে ইউক্রেনে একটি দল কাজ করছিল। ভয়াবহ ওই হামলাকে ‘বর্বর ও সন্ত্রাসী’ কর্মকাণ্ড হিসেবে অভিহিত করে পুতিন বলেন, শত্রুরা আমাদের বিভক্ত করতে পারবে না। এর আগে, শুক্রবার (২২ মার্চ) রাতে মস্কোর ক্রোকাস সিটি হলে ভয়াবহ হামলার ঘটনা ঘটে। তখন সেখানে একটি কনসার্ট চলছিল। বন্দুকধারীরা কনসার্ট হলে ঢুকে স্বয়ংক্রিয় রাইফেল দিয়ে ভিড়ের মধ্যে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। ভয়াবহ এই হামলায় এখন পর্যন্ত ১৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও দেড় শতাধিক। নিহতদের স্মরণে রোববার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। এদিকে হামলার পরপরই ইসলামিক স্টেট- খোরাসান এর দায় স্বীকার করেছে। সূত্র : বিবিসি
২৩ মার্চ ২০২৪, ২০:৫৫

মস্কোর রেড স্কয়ারে ভাষণ দিলেন পুতিন
নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয়ের পর মস্কোর রেড স্কয়ারে ভাষণ দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ইউক্রেইনের ক্রাইমিয়া উপদ্বীপ দখলের দশম বর্ষপূর্তিতে রেড স্কয়ারে জড়ো হয়েছে হাজার হাজার মানুষ। প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেছেন, আপন দেশের সৈকতে ফিরে এসেছে এই উপদ্বীপ। রুশ বাহিনীর দখল করা দনবাস এবং ইউক্রেইনের অন্যান্য অংশকেও ‘নতুন রাশিয়ার’ অংশ বলে বর্ণনা করেছেন পুতিন। উপস্থিত লোকজন এ সময় রাশিয়া, রাশিয়া ধ্বনিতে স্লোগান দেয়। পুতিনের সংক্ষিপ্ত ভাষণের পর জাতীয় সংগীত গওয়া হয়। এরপর পুতিন উপস্থিত জনতাকে নির্বাচনে জয় এনে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান। এরপর শুরু হয় কনসার্ট। কনসার্ট শেষ হয় দেশাত্মবোধক গান এবং কবিতার মধ্য দিয়ে। পুতিন ভাষণে বলেন, ক্রাইমিয়া হচ্ছে, সর্বোপরি এর জনতা। সেভাস্তোপোল এবং ক্রাইমিয়ার জনগণ আমাদের গর্ব। রেড স্কয়ারের সমাবেশে তিনি জানান, রোস্তভ থেকে অধিকৃত দোনেৎস্ক, মারিউপোল এবং বারদিয়ানস্ক পর্যন্ত রেলওয়ে লাইন দক্ষিণ এবং পূর্ব ইউক্রেইনে নতুন করে চালু করা হয়েছে। এখন সেটি ক্রাইমিয়ার বন্দরনগরী সেভাস্তোপোল পর্যন্ত বাড়ানো হবে। ক্রাইমিয়া ১০ বছর আগে রাশিয়া দখল করে নিলেও উপদ্বীপটি আন্তর্জাতিকভাবে ইউক্রেইনের অংশ হিসাবে স্বীকৃত। পুতিন তার ভাষণে রাশিয়ার রেস্তোভ-অন-ডন থেকে ক্রাইমিয়ায় নতুন রেলওয়ে চালুর ঘোষণা দেন। ২০১৪ সালে ক্রাইমিয়া দখল করে রাশিয়া। রাশিয়ার মূল ভূখন্ড থেকে ক্রাইমিয়া পর্যন্ত একটি সেতু চালু হয় ২০১৮ সালে। কিনতু ইউক্রেইন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে সেতুটি বারবার হামলার শিকার হয়েছে। এই রেলওয়ে হবে সেই সেতুরই বিকল্প পথ। রেড স্কয়ারে জনতার উদ্দেশে পুতিন বলেন, আমরা এভাবেই একসঙ্গে হাতে হাত ধরে এগিয়ে যাব। এটি কথায় নয় কাজে করে দেখানো হবে। এতে সত্যিই মজবুত হব আমরা।
১৯ মার্চ ২০২৪, ০২:৪৬

তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ সম্পর্কে যা জানালেন পুতিন
রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ন্যাটো জোটের মধ্যে সরাসরি সংঘাত মানে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ থেকে পৃথিবী মাত্র এক কদম দূরে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সোমবার (১৮ মার্চ) সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি এ মন্তব্য করেন। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ন্যাটো জোটের মধ্যে সরাসরি সংঘাত মানে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ থেকে পৃথিবী মাত্র এক কদম দূরে রয়েছে। তবে আমি নিশ্চিত কেউই নিশ্চয় এই যুদ্ধ দেখতে চায় না। বিবিসি বলছে, ১৯৬২ সালে কিউবার ক্ষেপণাস্ত্র সংকটের পর ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে পশ্চিমাদের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্কের তীব্র সংকট শুরু হয়। পারমাণবিক যুদ্ধের ঝুঁকি নিয়ে মাঝে মধ্যেই পুতিন সতর্ক করেন। তবে ইউক্রেনে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা কখনও অনুভব করেননি বলেও জানান তিনি। তবে ভবিষ্যতে ইউক্রেনে ন্যাটো সেনা মোতায়েনের সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দিচ্ছেন না বলে গত মাসে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ মন্তব্য করেন। এতে পূর্ব ইউরোপের কয়েকটি দেশ সমর্থন দিয়েছে। ম্যাক্রোঁর এই মন্তব্যের বিষয়ে পুতিন বলেন, আধুনিক যুগে সবকিছুই সম্ভব। সবার কাছেই এটি পরিষ্কার যে, পূর্ণ মাত্রায় তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হতে আর সামান্য বাকি। তবে আমি জানি কেউ এই দৃশ্য দেখতে চায় না। তাই আমি আশা করি, ম্যাক্রোঁ ইউক্রেন যুদ্ধ আরও উস্কে দেওয়া থেকে বিরত থাকবেন ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখবেন। তিনি বলেন, আমরা এরই মধ্যে ইউক্রেনে ন্যাটোর সামরিক কর্মীদের উপস্থিতির প্রমাণ পেয়েছি। রাশিয়া যুদ্ধক্ষেত্র থেকে ইংরেজ এবং ফরাসি সেনাদের গ্রেপ্তার করেছে। এটা মোটেই ভালো কিছু না। যুদ্ধে ইউক্রেনের সৈন্যরা ছাড়াও এ ধরনের সেনারাও ব্যাপক সংখ্যায় প্রাণ হারাচ্ছেন। প্রসঙ্গত, গত ১৫ মার্চ থেকে ১৭ মার্চ পর্যন্ত তিনদিন ধরে রাশিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হয়। এতে পুতিনের প্রতিদ্বন্দ্বীরা কোনো চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে না পারায় তিনি নিরঙ্কুশ জয় পান। এ নিয়ে পঞ্চমবারের মত দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন পুতিন। সূত্র : এনডিটিভি
১৮ মার্চ ২০২৪, ১৯:২৬

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আবারও ‘বিপুল ভোটে’ জয়ী পুতিন
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিপুল ভোটে জয় পেয়েছেন ভ্লাদিমির পুতিন। এবারের নির্বাচনে ৮৭ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পড়েছে তার পক্ষে। স্থানীয় সময় রোববার (১৭ মার্চ) বুথ ফেরত জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। টানা তিন দিনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন শেষে তিনি রেকর্ড সংখ্যক ভোট পেয়েছেন।   রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভ্লাদিমির পুতিনের এত ভোট পাওয়াকে সোভিয়েত ইউনিয়ন পরবর্তী যুগে এটি রেকর্ড। এতে করে ৭১ বছর বয়সী রাশিয়ার এই নেতার আরও ছয় বছর ক্ষমতায় থাকা পাকাপোক্ত হল। ১৯৯৯ সাল থেকে তিনি ক্ষমতায় রয়েছেন।  এবারের ভোটে তার প্রতিদ্বন্দ্বীরা পরিচিত মুখ না হওয়ায় তারা ভোটের লড়াইয়ে ভালো করতে পারবেন না তা আগে থেকেই অনুমিত ছিল। ভোটের দিন দেশটির বিভিন্ন অংশে পুতিন বিরোধী বিক্ষোভের মধ্যেও তার অন্য তিন প্রতিযোগীর কারও ভোটের হার দুই অঙ্কের কোটায় পৌঁছেনি। তারা কেউ ৪ শতাংশের বেশি ভোট পাননি।  শুক্রবার (১৫ মার্চ) শুরু হওয়া ভোটের প্রাথমিক ফলাফল রোববার (১৭ মার্চ) প্রকাশ করা হয়েছে। বুথ ফেরত সমীক্ষার বরাতেও পুতিন বিপুল ভোটে বিজয়ী হবেন। প্রাথমিক ফলাফলে দেখা যায়, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৩০ শতাংশ ভোট পড়েছে। এর মধ্যে পুতিন ৮৭ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পেয়ে নিরঙ্কুশভাবে বিজয়ী হন। এতে করে ২০০ বছরের মধ্যে পুতিন রাশিয়ার সবচেয়ে বেশি সময় ক্ষমতায় থাকা নেতা হতে যাচ্ছেন। এরমধ্যে দিয়ে জোসেফ স্ট্যালিনকেও ছাড়িয়ে যাবেন। ভোটের শেষ দিনের পুতিনবিরোধী বিক্ষোভে ঠিক কত মানুষ উপস্থিত হয়েছিল তা ধারণা করতে পারেনি কারাগারে আলেক্সি নাভালনির রহস্যমৃত্যু নিয়ে সমালোচনার ঝড় এবং ইউক্রেইন যুদ্ধে রুশ সেনা নিহতের তালিকা দীর্ঘ হওয়া নিয়ে দেশের ভেতরে দানা বাঁধতে থাকা ক্ষোভের মধ্যেও নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পুতিনের জয় একরকম নিশ্চিতই ছিল। কারণ, নির্বাচনে পুতিনের কোনও শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। আরও ছয় বছরের জন্য সুসংহত হবে তার ক্ষমতা।  টানা দু’বারের বেশি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দাঁড়ানোর জন্য ২০২১ সালেই আইন পরিবর্তন করেছিলেন পুতিন। এবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়ে ২০৩০ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকছেন তিনি। এদিকে পুতিনের জয়ের সমালোচনা করেছে পশ্চিমা বিভিন্ন দেশ। এই নির্বাচন ‘অবাধ ও সুষ্ঠু’ হয়নি বলে মন্তব্য করেছে জার্মানি। অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, পুতিন তার রাজনৈতিক বিরোধীদের কারাগারে বন্দি করে রেখেছেন, আর অন্যদের তার বিরুদ্ধে নির্বাচনে দাঁড়াতে বাধা দিয়েছেন।
১৮ মার্চ ২০২৪, ০৯:০৭

রাশিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আজ
রাশিয়ায় শুক্রবার (১৫ মার্চ) থেকে শুরু হচ্ছে প্রেসিডেন্সিয়াল ইলেকশনের ভোটগ্রহণ। ১৭ মার্চ পর্যন্ত তিনদিন ধরে চলবে এ ভোটগ্রহণ। এতে সব ভোটারকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে ইউক্রেনের রুশ অধিকৃত অঞ্চলসহ রাশিয়ার সব ভোটারকে ভোট প্রয়োগের মাধ্যমে দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে অংশ নিতে বলেন রুশ প্রেসিডেন্ট। এক ভিডিওবার্তায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ৭১ বছর বয়সী পুতিন বলেন, আমাদের এখন ঐক্যবদ্ধ ও সংঘবদ্ধ হয়ে একসঙ্গে এগিয়ে যাওয়া প্রয়োজন। আপনাদের দেওয়া প্রতিটি ভোটই মূল্যবান। আগামী তিন দিন আপনাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করার আহ্বান জানাচ্ছি। ২০০০ সাল থেকে প্রেসিডেন্ট বা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রাশিয়ার ক্ষমতায় রয়েছেন পুতিন। এবারের নির্বাচনেও তিনিই জয়ী হবেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। নির্বাচনে তিনি ছাড়াও আর তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। যদিও তাদের কেউই পুতিনের সমালোচনা করেননি। একাধিক মতামত জরিপে পুতিনকে অধিকাংশ রাশিয়ান নাগরিকের সমর্থন পেতে দেখা যায়। গত মাসের এক জরিপে পুতিন ৭৫ শতাংশ মানুষের সমর্থন পেয়েছিলেন। এবারের নির্বাচনে যে দুই প্রার্থী ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে লড়তে চেয়েছিলেন, তাদের অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে। ইউক্রেনের এ যুদ্ধকে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ হিসেবে অভিহিত করেছিল রাশিয়া। ভিডিওবার্তায় পুতিন বলছিলেন, জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের জন্য সব ভোটার একটি শক্তিশালী, সমৃদ্ধ এবং স্বাধীন রাশিয়াকে দেখতে চায়। আর তা ভোট প্রয়োগের মাধ্যমেই সম্ভব।
১৫ মার্চ ২০২৪, ০৮:৫৪

বাইডেন নাকি ট্রাম্প, কাকে পছন্দ জানালেন পুতিন
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে জো বাইডেনকে বেশি পছন্দ করেন। পুতিনের মতে, বাইডেন আরও অভিজ্ঞ, সাদাসিধা ব্যক্তি। গত বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সম্প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন পুতিন। তার সাক্ষাৎকার নেন রুশ সাংবাদিক পাভেল জারুবিন। পুতিনের কাছে পাভেল জানতে চান, ডেমোক্র্যাট বাইডেন ও রিপাবলিকান ট্রাম্পের মধ্যে কে রাশিয়ার জন্য ভালো?  বিনা দ্বিধায় পুতিন বলেন, বাইডেন। তিনি আরও অভিজ্ঞ, অনুমানযোগ্য ব্যক্তি। তিনি পুরোনো ধারার রাজনীতিবিদ। পরক্ষণেই সামান্য হেসে পুতিন বলেন, তবে আমরা যেকোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কাজ করব, যার ওপর আমেরিকান জনগণ আস্থা রাখে। যুক্তরাষ্ট্রে এখন উচ্চমাত্রায় রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে। এদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে সম্পর্ক এখন তলানিতে। এমন প্রেক্ষাপটে আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে প্রথম প্রকাশ্যে মন্তব্য করলেন পুতিন। তবে তার এই মন্তব্য আন্তরিক হিসেবে বিবেচিত না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। এদিকে বাইডেনের বয়স ও মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে ওঠা প্রশ্ন উড়িয়ে দিয়ে পুতিন জানান, ২০২১ সালে তাদের যখন শেষবার দেখা হয়েছিল, তখন অস্বাভাবিক কিছু তার চোখে পড়েনি। এ ব্যাপারে পুতিন বলেন, তখনো (তিন বছর আগে) মানুষ বলত তিনি অযোগ্য, কিন্তু আমি এ রকম কিছুই দেখিনি।
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:৪৩

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নিবার্চনে প্রার্থী হলেন পুতিন
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দেশটির আগামী ১৫ থেকে ১৭ মার্চ অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে নিবন্ধিত হয়েছেন ভ্লাদিমির পুতিন। সোমবার (২৯ জানুয়ারি) দেশটির কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। কমিশনের বরাত দিয়ে রুশ বার্তাসংস্থা ইন্টারফ্যাক্সের প্রতিবেদনে এই কথা বলা হয়। পুতিনের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে নির্বাচনে প্রার্থী হতে নিবন্ধিত হওয়ার জন্য পর্যাপ্ত স্বাক্ষর সংগ্রহ করতে পেরেছেন উদারপন্থী নেতা বরিস নাদেজদিন। তবে শেষ পর্যন্ত তাকে নির্বাচন করার অনুমতি দেওয়া হবে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেইনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরু করেছে রাশিয়া। সে অভিযান এখনও চলছে। তার মধ্যেই রাশিয়ায় হতে চলেছে এই প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। সমর্থক ও বিরোধী উভয় পক্ষের জোর ধারণা, পুতিন আবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন। চলতি শতাব্দীর শুরু থেকেই রাশিয়ার নেতৃত্ব দিচ্ছেন ৭১ বছর বয়সি পুতিন। চারবার প্রেসিডেন্ট হয়েছেন তিনি। এর আগেও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সংক্ষিপ্ত সময় দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ২০২০ সালে বিতর্কিত সাংবিধানিক সংস্কারের পর পুতিনের সামনে এখন অন্তত ২০৩৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার সুযোগ রয়েছে। ২০০০ সাল থেকে প্রেসিডেন্ট বা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রাশিয়ায় ক্ষমতায় আছেন পুতিন।
২৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:৩১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়