• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
শ্রীপুরে পুকুর থেকে নিখোঁজ কিশোরের মরদেহ উদ্ধার
গাজীপুরের শ্রীপুরে নিখোঁজের তিনদিন পর পুকুর থেকে কিশোর সিয়ামের (১৪) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।  বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকাল ১০টায় শ্রীপুর পৌরসভার মাওনা পিয়ার আলী ডিগ্রি কলেজের পুকুর থেকে ওই কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।  শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইসমাঈল হোসেন মরদেহ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।  নিহত সিয়াম (১৪) কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার ঝিনারি ইউনিয়নের চরকাটিহারি গ্রামের কনক মিয়ার ছেলে। সে তার বাবার সঙ্গে কেওয়া পশ্চিম খন্ড (মাওনা চৌরাস্তা) সাবেক কাউন্সিলর ইজ্জত আলী ফকিরের বাড়িতে ভাড়া থাকত এবং স্থানীয় চাইল্ডহুড স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র ছিল।  শ্রীপুর থানায় নিখোঁজ-সংক্রান্ত সাধারণ ডায়েরি সূত্রে জানা যায়, সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুর থেকে সিয়াম নিখোঁজ হয়। সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজাখুঁজি করে ছেলের সন্ধান না পেয়ে তার বাবা শ্রীপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।   নিহতের মামা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, পিয়ার আলী কলেজ পুকুরে আমি ইজারা নিয়ে মাছ চাষ করে আসছি। বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকালে আমি পুকুরে আসলে পানিতে মরদেহ ভাসতে দেখি। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে নিহত সিয়ামের মরদেহ উদ্ধার করে।  শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইসমাঈল হোসেন জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সুরতহাল করে নিহতের শরীরের কোথাও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:১৫

নাচোলে পুকুর খননে মিলল ৫ বিষ্ণমুর্তি
চাঁপাইনবাবগঞ্জে সরকারি পুকুর খনন করতে গিয়ে মিললো ৫টি বিষ্ণমুর্তি।   মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) নাচোল উপজেলার কসবা ইউনিয়নে রাণীদিঘি এলাকায় বাঁশ পুকুর খনন করার সময় বিষ্ণমুতি গুলোর সন্ধান পাওয়া যায়। পরে উপজেলা প্রশাসন বিষ্ণমুর্তি গুলো উদ্ধার করে সরকারি কোষাগারে জমা করেছেন। নাচোলের সহকারি কমিশনার (ভূমি) সবুজ হাসান সরকার জানান, দুপুরে রাণীদিঘির এলাকায় বিএমডিএ কর্তৃক একটি বাঁশপুকুর খনন করার সময় ৫টি বিষ্ণ মুর্তির সন্ধান পান শ্রমিকরা। খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসন ঘটনাস্থলে গিয়ে মুর্তিগুলো উদ্ধার করে।     তিনি আরও জানান, মুর্তিগুলো উদ্ধার করে জেলা প্রশাসনের সরকারি কোষাগারে হস্তান্তর করা হয়েছে।
০২ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৩৯

বাজি ধরে পুকুর পার হতে গিয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু
রাজবাড়ীর পাংশায় বন্ধুদের সঙ্গে বাজি ধরে সাঁতরে পুকুর পার হতে গিয়ে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। ওই পরীক্ষার্থীর নাম মো. সৌরভ শেখ (১৬)। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) দুপুরে পাংশা উপজেলা চত্বরের পুকুরে এ ঘটনা ঘটে।  মো. সৌরভ শেখ পাংশা পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের সত্যজিৎপুর এলাকার ভ্যানচালক মো. আবজাল শেখের ছেলে। তিনি পাংশা জর্জ পাইলট সরকারি হাইস্কুল থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছিলেন।  এ বিষয়ে সৌরভের সহপাঠী মো. আসিফ বলেন, আমরা চার বন্ধু এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে পুকুর পাড়ে আসলে সৌরভ সাঁতরে পুকুর পার হওয়ার জন্য আমাদের সঙ্গে বাজি ধরে। ও সাঁতার কাটতে পারে না এটাই আমরা জানতাম। তাই তাকে সাঁতরে পুকুর পার হতে আমরা নিষেধ করি। এরপরও সৌরভ আমাদের সঙ্গে সাঁতরে পুকুর পার হওয়ার জন্য ১ হাজার টাকা বাজি ধরে। এরপর সাঁতরে পুকুরের মাঝামাঝি গিয়ে হাঁপিয়ে যায় আর কিছু বুঝে উঠার আগেই ডুবে যায়। তখন আমরা তাকে বাঁচাতে দৌড়ে পুকুরে নামি। আমরা সৌরভকে উদ্ধারে ব্যর্থ হলে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেই। এদিকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পাংশা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার মো. মুহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমরা দুপুর দেড়টার দিকে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পাংশা উপজেলা চত্বরের পুকুরে নিখোঁজ সৌরভ শেখকে উদ্ধারে কাজ শুরু করি। স্থানীয় জেলেদের সহযোগিতায় দেড়ঘণ্টা পর পুকুর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।  পাংশা মডেল থানার ওসি স্বপন কুমার মজুমদার জানান, এসএসসি পরীক্ষার্থী সৌরভ বন্ধুদের সঙ্গে বাজি ধরে সাঁতার কাটতে গিয়ে পানিতে ডুবে মারা গেছে বলে দাবি করেছে তার সহপাঠীরা। ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা মরদেহ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে। পরিবারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনও কোনো অভিযোগ করা হয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
০৫ মার্চ ২০২৪, ১৭:১৫

পুকুর খনন করতে গিয়ে মিলল মহামূল্যবান বিষ্ণু মূর্তি
দিনাজপুরের বিরলে পুকুর খনন করতে গিয়ে এক মহামূল্যবান বিষ্ণু মূর্তি উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার আজিমপুর ইউনিয়নের কুচিলাপুকুর গ্রামের এক পুকুর থেকে এ মূর্তিটি পাওয়া যায়। বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন আজিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল চৌধুরী। ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল চৌধুরী বলেন, গত বুধবার সকাল ১১টার দিকে একই ইউনিয়নের জামতলী বাজারের পাশে পুকুর খনন করার সময় এ মূর্তিটি পাওয়া যায়। পরে উদ্ধার করে মূর্তিটি আসাদুল ইসলাম তার বাড়িতে নিয়ে যান। খবর পেয়ে বিরল থানা-পুলিশ প্রায় ২ কোটি টাকা মূল্যের মূর্তিটি উদ্ধার করে।
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:০২

বিদ্যালয়ের পুকুর পাড়ের মাটি ও গাছ কাটার অভিযোগ স্থানীয়দের বিরুদ্ধে
রাতের আঁধারে গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার আমরাইদ ইয়াকুব আলী সিকদার উচ্চবিদ্যালয়ের পুকুর পাড়ের মাটি ও গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ৪ জনের বিরুদ্ধে কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর অভিযোগ দিয়েছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আমরাইদ ইয়াকুব আলী সিকদার উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শহিদুল হক জানান, গত ২৪ জানুয়ারি ভোর রাতে আমরাইদ গ্রামের হান্নান সরকারের ছেলে রিপন সরকার, আনোয়ার হোসেন সরকারের ছেলে মাসুদ সরকার, মাহবুব সরকারের ছেলে সুজা সরকার, আক্কাছের ছেলে মোস্তফা বিদ্যালয়ের পূর্ব পাশে পুকুর পাড়ের ১০ ফুট গভীর ও ৪০ ফুট প্রস্থ’ করে এক্সেভেটর দিয়ে মাটি কেটে বিক্রি করে দেয়। একই সঙ্গে ১৫০টি আকাশি গাছ ও ১৮০টি বাঁশ কেটে নেয়। এতে বিদ্যালয়ের ১০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কৃষকেরা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে কাপাসিয়ার লালচে রঙের এঁটেল মাটি চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। ফসলি কৃষি জমিতে খননযন্ত্র (ভেক্যু) বসিয়ে মাটি কেটে বিক্রি করছে। অন্যের ফসলি জমির ওপর দিয়ে মাটি ভর্তি ট্রাক চলাচলের জন্য বানানো হয়েছে রাস্তা। এর ফলে কৃষি জমির শ্রেণি পরিবর্তন হয়ে নালা জমিতে পরিণত হচ্ছে। নির্বিচারে যেভাবে ফসলি জমির মাটি কেটে বিক্রি করা হচ্ছে, তাতে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ফসলি জমি আশঙ্কাজনক হারে কমে যাবে। এতে কমে ফসল উৎপাদন। অবৈধভাবে মাটি কাটায় ঝুঁকিতে পড়ছে স্থানীয় রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়ি। উপজেলার লোহাদী গ্রামের মোস্তফা মিয়া বলেন, আমার বাড়ির পাশের জমির মালিক মাটি বিক্রি করেছেন। এই মাটি নেওয়ার জন্য আমাদের গ্রামের রাস্তা ব্যবহার করেছে ভেক্যু ও ডাম্প ট্রাক। মাটি ব্যবসায়ীরা আমাদের বলেন, মাটি নিলে রাস্তা হবে। এতে চলাচলে সুবিধা হবে। এসব বলে রাস্তার পাশে কিছু গাছ কেটেছে মাটি ব্যবসায়ীরা। আমরাইদ ইয়াকুব আলী সিকদার উচ্চবিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক জাহিদ হাসান বলেন, বিদ্যালয়ের পুকুর পাড় থেকে মাটি ও গাছ গাছালি কেটে নেওয়ার ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে অভিযোগ দিয়েছি। তাছাড়া আমি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মাটি কেটে নেওয়ার ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করেছি। প্রায় চল্লিশ বছর আগে থেকে ওই জায়গাটি বিদ্যালয়ের সম্পত্তি এবং ১৯৮০ সালে পুকুর নির্মাণ করেছিল বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কাপাসিয়া উপজেলার গিয়াসপুর গ্রামের সেলিম মেম্বার এসব মাটি খরিদ করে কেটে নিয়েছে বলে জানতে পারি। পরে সেলিম মেম্বার নিজেই আমাকে বলেছে সে অভিযুক্তদের কাছ থেকে মাটি ক্রয় করেছে বলেও তিনি জানান। আমরাইদ ইয়াকুব আলী সিকদার উচ্চবিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা (ম্যানেজিং) কমিটির সভাপতি ইকবাল সরকার জানান, আমি আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছি। মাটি ক্রেতা হাজী তাজ উদ্দীন মাস্টারের ছেলে সেলিম মিয়া বলেন, আমি কাপাসিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মাটি ক্রয় করে অন্যত্র বিক্রি করি। মাটি বিক্রেতারা অন্যায়ভাবে সরকারি স্কুলের মাটি বিক্রি করেছে তা আমার জানা ছিলো না। তিনি বলেন, মাটি এখনও আমার জিম্মায় রয়েছে। কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী বলেন, যেকোনো জমির শ্রেণি পরিবর্তন করতে অনুমোদন লাগে। এ ছাড়া ছোট সড়ক দিয়ে ডাম্প ট্রাক চলাচল করার নিষেধাজ্ঞাও রয়েছে। কৃষিজমি থেকে যারাই মাটি কাটার সঙ্গে জড়িত থাকুক না কেন, তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:৪৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়