• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
নানা আয়োজনে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে পিঠা উৎসব 
সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে (গবি) পঞ্চমবারের মতো পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে এ পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন। উৎসবে শিক্ষার্থীরা নানা নামের বাহারি নকশার মুখরোচক পিঠা নিয়ে হাজির হন। নারকেল পুলি, ইলিশ পিঠা, দুধ পুলি, ভাপা, পোয়া, পাটিসাপটা, ঘর কন্যা, কুটুম, হাতকুলিসহ মেলায় বাহারি পিঠার পাশাপাশি হরেক রকমের মিষ্টি, কেক, চা ও লাড্ডু বিক্রি করা হয়। এছাড়া চুড়ি, ফিতা এবং গোলাপ ফুলও বিক্রি হয়।  পিঠা উৎসবের বিশেষ আকর্ষণ ছিলো বিভিন্ন স্টলের সামনে সেলফি স্ট্যান্ড।  বিশেষ অতিথি মুহাম্মদ লুৎফর রহমান বলেন, গণ বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের সম্পদ, এই এলাকার সম্পদ এবং এদেশের সম্পদ। আপনারা এসেছেন এখানে পড়াশোনা করতে তাই লেখাপড়ার প্রতি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে অন্যান্য সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করবেন। তিনি গণ বিশ্ববিদ্যালয় একদিন আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হবে এই আশাবাদও ব্যক্ত করেন। শিক্ষার্থীদের সাধুবাদ জানিয়ে সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন বলেন, গণ বিশ্ববিদ্যালয় দেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যেরকে তুলে ধরার ধারাবাহিকতায় আজকের এই পিঠা উৎসব। শিক্ষার্থীরা এতো কম সময়ে এই পিঠা উৎসবের আয়োজন করেছে তার জন্য কমিটির সদস্যসহ সকলকে ধন্যবাদ জানাই। গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যেরকে ধরে রাখবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন। খাতামুল খালিদ নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, শহরের যান্ত্রিকতা ও ব্যস্ততার কারণে গ্রামীণ পিঠা হারিয়ে যাচ্ছে। সব স্টল এতো সুন্দর করে সাজানো হয়েছে মনে হচ্ছে এখন গ্রামেই আছি। এই উৎসবে নানাবাড়ি, দাদাবাড়ির সেই গ্রামের পিঠা খাওয়ার আমেজ ফিরে পেলাম। কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে প্রত্যেকটা স্টলের নামও ছিলো বাহারি। টোনাটুনির পিঠাঘর, ঢেঁকির বৈঠকখানা, নাইওর, পিঠা জাদুঘর, পৌষের প্রেম সহ ২৭টি স্টল। শিক্ষার্থীরা বাঁশের চাটাই, খড়কুটো, কলাগাছ দিয়ে স্টলগুলো সাজিয়ে গ্রামীণ পরিবেশের আবহের সৃষ্টি করেছেন। আলপনা, বেলুন, প্ল্যাকার্ড আর ফেস্টুনে সাজানো হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ।  অনুষ্ঠানজুড়ে ছিল পিঠা প্রদর্শনী, গ্রামীণ খেলাধুলা, ডিবেট ক্লাবের আয়োজনে আঞ্চলিক বিতর্ক অনুষ্ঠান, সেরা স্টল নির্বাচন এবং পুরস্কার বিতরণ।  বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী ও মিউজিক সোসাইটির পরিবেশনায় নৃত্য ও লোকগান পরিবেশন করা হয়। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. সিরাজুল ইসলাম, রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ এস তাসাদ্দেক আহমেদ, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. আবু হারিস, বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।  প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে গণ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (গবিসাস) উদ্যোগে প্রথমবারের মতো পিঠা উৎসব হয়। এরপর ২০১৭ ও ২০২০ সালে এ উৎসবের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ। সর্বশেষ, গত বছর গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে এ আয়োজন সম্পন্ন হয়।
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:৩১

হিলিতে হয়ে গেল দুই দিনব্যাপী গ্রামীণ পিঠা উৎসব
গ্রামীণ পিঠার ঐহিত্য ধরে রাখতে টানা তৃতীয় বারের মতো দিনাজপুরের হিলিতে দুই দিনব্যাপী গ্রামীণ পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়। নানা ধরনের গ্রামীণ পিঠার স্বাদ নিতে দুই দিনের এই পিঠা উৎসবে সব বয়সী মানুষের ভিড় জমে। আয়োজকরা বলছেন, বাঙালির পুরনো ঐতিহ্য ধরে রাখতে ও খুদে শিক্ষার্থীদের গ্রামীণ পিঠার সঙ্গে পরিচয় করাতেই প্রতি বছর এই আয়োজন করা হয়। এমন উৎসবে বিভিন্ন ধরনের গ্রামীণ পিঠার নাম শুনে ও দেখে খুশি শিক্ষার্থীরা।  শীত কিংবা গ্রীষ্ম মানেই বাঙ্গালির ঘরে ঘরে মুখরোচক পিঠাপুলির আয়োজন হয়ে থাকে। তবে কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে বাঙালিদের অনেক ঐতিহ্য। বর্তমানে নানা ধরনের ফাস্ট ফুড খাবারের কারণে হারিয়ে যেতে বসেছে অনেক পিঠাপুলি। বাঙ্গালীর ঐতিহ্য নানান পিঠাপুলির সাথে ছোট ছোট শিক্ষার্থীদের মাঝে তুলে ধরতেই তৃতীয় বারের মতো দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া মডেল স্কুলে আয়োজন করা হয়েছিলো দুইদিন ব্যাপী পিঠা উৎসব।  বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় হাকিমপুর উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া মডেল স্কুলের আয়োজনে ফিতা কেটে দুই দিনব্যাপী পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন খট্টামাধবপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাওছার রহমান। উদ্বোধনের পর থেকেই পিঠা উৎসবে ছিল নানান বয়সী মানুষের উপচেপড়া ভিড়, স্টল গুলোতে তারা নিচ্ছেন পিঠাপুলির স্বাদ।  পিঠা উৎসবে আসা কয়েকজন পিঠা প্রেমী বলেন, বিদ্যালয়ে মাঠে প্রতিটি স্টলে ধান সেমাই, ভাপা, পুলি দুধ, পুলি, পাটিসাপটা, ঝিনুক পুলি, জামাই সোহাগী, গোলাপ, কানমুচুরি, পুডিং, পায়রা, তেল পিঠা, দুধ চিতাই, মুঠা পিঠা, ক্ষীর, রসগোল্লা, কেক, গোলাপ ফুল, তেলেভাজা রসপিঠা, রোল পিঠা, লাভ পিঠা, শিম ফুল পিঠা, ডালবড়া, নারিকেল পিঠা, নকশি পিঠা, নয়নতারা পিঠাসহ প্রায় শতাধিক পিঠার পসরা। এবার এই পিঠার মেলাতে ৯টি স্টলে ১০২ প্রকারের পিঠাপুলির পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষরা। এমন আয়োজনে খুশি প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষরা। আমরা চাই প্রতি বছর এমন আয়োজন যেন করা হয়।  স্বপ্ন ছোঁয়া পিঠা ঘরের দোকানীরা বলেন, তারা লাভের আসায় নয়, বর্তমান প্রজন্মকে পিঠার সাথে পরিচয় করে দিতেই তারা বিভিন্ন ধরনের পিঠা তৈরি করেছেন। বর্তমানে নানা ধরনের ফাস্ট ফুড খাবারের কারণে হারিয়ে যেতে বসেছে অনেক পিঠাপুলি। তাই তারা বিভিন্ন রকমের পিঠা তৈরি করে বর্তমান প্রজন্মকে পরিচিত করার জন্য এমন দোকান দিয়েছেন।  হিলির পিঠা মেলার আয়োজক আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, হারিয়ে যাওয়া পিঠাপুলির সঙ্গে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের পাশাপাশি ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের পরিচয় করাতেই এমন আয়োজন বলছেন আয়োজকেরা। গত তিন বছর থেকে তিনি নিজের ইচ্ছাতেই এমন আয়োজন করে থাকেন। আগামীতে আরও বড় পরিসরে পিঠা মেলার আয়োজন করবেন বলেও জানান তিনি। 
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:২২

শিক্ষার্থীদেরকে পরিচিত করার লক্ষ্যে সেনবাগে পিঠা উৎসব
শিক্ষার্থীদেরকে পরিচিত করার লক্ষ্যে নানান আয়োজনে নোয়াখালীর সেনবাগে পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।  সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পৌর শহরের  আল-জাহিদ ইসলামিয়া মাদরাসার উদ্যোগে এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষার্থীদেরকে দেশের আবহমান বাংলার ঐতিহ্যের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে আল-জাহিদ ইসলামিয়া মাদরাসা তাদের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে। তারই ধারাবাহিকতায় অনুষ্ঠিত হয় এই পিঠা উৎসব। বাহারি পিঠার স্বাদ নেওয়ার পাশাপাশি প্রদর্শনীর মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের দেশীয় সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় করানো হয়। পিঠা উৎসব উপলক্ষে ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অভিভাবকদের আগমনে মাদরাসা প্রাঙ্গণ মিলন মেলায় পরিণত হয়। আনন্দ উল্লাসে আর হৈ-হুল্লোড় করে সকলে দিনটি পার করেন। ছাত্র-ছাত্রীদের আবৃতি, গান, পিঠা উৎসবে আসা অথিতিদের মুগ্ধ করে। পিঠা উৎসবে পৃথক অর্ধশত স্টলে ডিম, নারিকেল, সবজি, সুজি, পান্তুুয়া, আঞ্চলিক গোটা পিঠা, বাসনে পিঠা, রসের পিঠা ভাপাপুলি, দুধপুলি, সহ আওলা কেশরি, পুলি, ঝিনুক, পাটিসাপটা, জামাই সোহাগী, গোলাপ, চিতই, কানমুচরি, পায়েস, পুডিং, তেল পিঠা, দুধ চিতই, ফুল পিঠা, ক্ষির, মুঠা পিঠা, রস গোলাপ ও কেকসহ অর্ধশতাধিক নানা রকমের পিঠাপুলি ছিল। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা জাহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে সহাকারী শিক্ষক এমাম হোসেনের ও মাওলানা মোয়াজ্জেম বিন মোশারফের সঞ্চালনায় এ সময় সেনবাগ আইডিয়াল হাইস্কুল প্রধান শিক্ষক রোকনুদ্দিন, সেনবাগ প্রেসক্লাবের সহ-সাধারণ সম্পাদক দৈনিক যুগান্তর ও আর টিভির প্রতিনিধি সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম পাটোয়ারীসহ স্থানীয়  নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত অতিথিরা পিঠা উৎসবের মত এমন একটি ব্যতিক্রমধর্মী অনুষ্ঠানের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং উক্ত আয়োজনের জন্য মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান। অতিথিরা পিঠা উৎসবের স্টল গুলো ঘুরে দেখেন। পরে স্টলে অংশ গ্রহনকারীদের মধ্যে থেকে যারা বেশি পিঠা প্রদর্শন করেছে তাদের মধ্যে প্রথম তিনজনকে পুরস্কৃত করা হয়।
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:৫৯

চাঁদপুরে ৩ দিনব্যাপী জাতীয় পিঠা উৎসব
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় চাঁদপুরে ৩ দিনব্যাপী জাতীয় পিঠা উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষ হয়েছে।  শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাতে চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে পিঠা উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) কামরুল হাসান।  তিনি বলেন, পিঠা উৎসব অত্যন্ত চমৎকার একটি আয়োজন। নতুন প্রজন্ম এ পিঠা উৎসব থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। আজকের অনেক নতুন প্রজন্ম গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যের পিঠার নাম বলতে পারবে না। পারবে আজকাল পিজা বা বার্গারের কথা।  ডিসি বলেন, উদ্যোক্তা হওয়া অনেক চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার। উদ্যোক্তারা গ্রামীণ বাংলার আরও অনেক পিঠা রয়েছে, যেগুলো খুঁজে খুঁজে বের করে নতুন প্রজন্মের কাছে পরিচয় করে দিতে হবে।  অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বশির আহমেদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।  অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোস্তাফিজুর রহমান ও জেলা কালচারাল অফিসার দিতি সাহাসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা এসময় উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন সাংবাদিক এমআর ইসলাম বাবু। সবশেষে পিঠা উৎসবে অংশগ্রহণকারী উদ্যোক্তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিরা। তিন দিনব্যাপী একাডেমি মঞ্চে ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।   
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৪৩

নড়াইলে পিঠা উৎসবে পিঠা খাওয়ার ধুম
নড়াইলে শুরু হয়েছে ৩ দিনের পিঠা উৎসব। বুধবার (৩১ জানুয়ারি) সকাল থেকে নড়াইল শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে শুরু হয়েছে ৩ দিনের এ পিঠা উৎসব। বিকেল সাড়ে ৩টায় কেক কেটে আয়োজনের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ আশফাকুল হক চৌধুরী।  এ সময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ মেহেদী হাসান, কালচারাল অফিসার মোহাম্মাদ হামিদুর রহমানসহ অনেকে।  স্টলের মালিকেরা জানান, নতুন প্রজন্মের কাছে পুরাতন প্রজন্মের পিঠেপুলির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে পেরে খুশি। গ্রাম বাংলার যে সকল পিঠা হারিয়ে যেতে বসেছে সেই সকল পিঠা নতুন প্রজন্মকে পরিচয় করিয়ে দিতেই এই আয়োজন।   বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠান নানা ধরনের পিঠা তৈরির স্টল নিয়ে বসেছিল পিঠা উৎসবে। রাত-জেগে নারীরা তৈরি করেছেন নানা ধরনের পিঠা। সকালে তাই নিয়ে হাজির হয়েছেন উৎসবে।  বিভিন্ন স্টলে স্টলে ঘুরে দুর্লভ সব পিঠা কিনে খাচ্ছেন ক্রেতারা। অনেকে পরিবার নিয়ে এসেছেন এই আয়োজনে। নতুন প্রজন্মের শিশুরাও পিঠার স্বাদ নিচ্ছেন। মেলার পাশেই শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে চলছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।   এ ধরনের আয়োজন বাঙ্গালী ঐতিহ্য ধরে রেখে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হবার কথা জানালেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ আশফাকুল হক চৌধুরী।
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৫:৪৮

‘মায়েদের পিঠা ঘর’ এ বাহারি শীতের পিঠা
নাগরিক কর্মব্যস্ত মায়েরা এবার অংশ নিয়েছেন জাতীয় পিঠা উৎসবএ। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর মাঠে আয়োজিত জাতীয় পিঠা উৎসবে তাদের স্টলের নাম ‘মায়েদের পিঠা ঘর’। যেখানে গ্রামবাংলার হারিয়ে যেতে বসা বিভিন্ন বাহারি পিঠা উপস্থাপন করা হয়। সাথে তুলে ধরা হয় এই প্রস্তুত প্রণালীও। বুধবার বিকেলে ঢাকায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর মাঠে এই জাতীয় পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর উৎসাহে এই পিঠার স্টল বলে জানান ‘মায়েদের পিঠা ঘর‘ স্টলের  আয়োজকদের অন্যতম নাজনীন খানম। তিনি বলেন, সন্তানদের বড় করা আর সাংসারিক নাগরিক ব্যস্ততার মাঝেও যে আমরা পিঠার মত বাঙালী সংস্কৃতির অন্যতম অনুষঙ্গ এখনো তৈরি করতে পারি সেটি মনে করিয়ে দিয়েছেন ঋদ্ধ নাট্যজন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর মহাপরিচালকের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে নাজনীন খানম বলেন, সুযোগ পেলে শত ব্যস্ততায়ও আমরা নারীরা অনেক কিছু করতে পারি সেটি প্রমাণ করার প্লাটফর্ম পেয়েছি শিল্পকলা একাডেমীতে। আর ‘মায়েদের পিঠা ঘর’ এ গ্রামবাংলার হারিয়ে যেতে বসা ঐতিহ্যবাহী পিঠা গুলোকেই বেশি প্রাধান্য দিয়ে তুলে ধরা হয়েছে। বিশেষ করে শহরে বেড়ে ওঠা আমাদের সন্তানরা যাতে গ্রামীণ এ ঐতিহ্যগুলোকে ভুলে না যায়। আরেক আয়োজক লায়লা রওশন বলেন, বিবিখানা পিঠার মত হারিয়ে যেতে বসা পিঠা পুলি আবারো আমরা ফিরিয়ে আনতে পারবো নতুন প্রজন্মের মাঝে। এজন্য জাতীয় পিঠা উৎসবকে ধন্যবাদ দেন তিনি। নিলরুবা খানম বলেন, এ আয়োজন আমাদেরকে ফেলে আসা শীতের শৈশবকেই মনে করিয়ে দিচ্ছে। সুপর্না দেবী সুমা মনে করেন, এই জাতীয় পিঠা উৎসব ঢাকা বেড়ে ওঠা শিশুদের গ্রামীণ সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়ার অন্যতম মাধ্যম।   চায়না চৌধুরী বলেন, ব্যস্ত জীবনেও সম্প্রীতির বন্ধন সৃষ্টিতে রশদ যোগাচ্ছে আমাদের পিঠা উৎসব। ‘মায়েদের পিঠা ঘর’ এর আরেক আয়োজক জায়েদা ইসলাম বলেন, বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন পরিবেশে বেড়ে ওঠা মায়েরা আজ আমাদের এই আয়োজনে বিভিন্ন এলাকার ঐতিহ্যবাহী পিঠা ও সংস্কৃতিকে একই মেলবন্ধনে আনতে পেরেছি। এটাই ‘মায়েদের পিঠা ঘর’ এর বড় অর্জন বলে মনে করেন তিনি। জাতীয় পিঠা উৎসবের উদ্বোধন শেষে স্টল পরিদর্শনে এসে ‘মায়েদের পিঠা ঘর’ পরিদর্শন করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীসহ অন্যরা। এসময়ে তারা ‘মায়েদের পিঠা ঘর’ এর বাহারি আয়োজনের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
৩১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:২৮

কুড়িগ্রামে পুনাকের পিঠা উৎসব 
পৌষের শেষে ও মাঘের শুরুতে কুড়িগ্রামে পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক) হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য ফিরে আনতে ও নতুন প্রজন্মকে প্রায় বিলুপ্ত পিঠাপুলি পরিচয় করিয়ে দিতে আয়োজন করে পিঠা উৎসব।        পুনাক সভানেত্রী ও পুনাকের সদস্যদের আয়োজনে এ উৎসবে মেতে ওঠেন জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাসহ স্ত্রী পুত্র-কন্যারা। হরেক রকমের পিঠার স্বাদ গ্রহণ ও সঙ্গীতের আয়োজন ছিলো এ উৎসবে।   জেলার পুনাক সদস্যরা তাদের নিজ হাতে বাহারি রকমের পিঠা তৈরি করে এ প্রদর্শনীর আয়োজন করেন। জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্রে জেনারেল হাসপাতাল সংলগ্ন টেরেডেস হোমস সেন্টারের অডিটোরিয়ামে গতকাল এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়। এ পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন কুড়িগ্রাম পুনাক সভানেত্রী নাজিয়া আফরোজ নীভা ও জেলার লেডিস ক্লাবের সভাপতি রেশমি জান্নাত লাকী। উৎসবে যোগদিয়ে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ তদন্ত আবু সাঈদ জানান, আসলে এমন একটি পিঠা উৎসবে আসতে পেয়ে এবং পুনাক সদস্য ভাবীদের নিজেদের তৈরি পিঠা খেয়ে খুবই ভালো লেগেছে।  কুড়িগ্রাম পুনাক সহসভাপতি পর্ণা আজাদ বলেন, এ ধরনের একটি পিঠা উৎসব আমাদের সদস্যরা ও তাদের সন্তানদেরসহ আমাদের সকলকে আনন্দদানসহ হারানো পিঠার স্বাদ নিতে কাজ করেছে। পিঠাগুলো খেয়ে বেশ ভালো লেগেছে। আমি এ উৎসবের সফলতা কামনা করি।  কুড়িগ্রাম জেলা লেডিস ক্লাবের সভাপতি রেশমি জান্নাত লাকী বলেন, আমাদের গ্রাম গঞ্জের হারিয়ে যাওয়া সেই পিঠা পুলি এখন আর তেমন চোখে পড়ে না। আমাদের মায়েদের হাতে তৈরি করা অনেক পিঠা একসময় উপভোগ করতাম। এখন নতুন প্রজন্মরা দোকানে ফাস্ট ফুডের দৌরাত্বে হারাতে বসেছে ঐতিহ্যবাহী পিঠা। পুনাক কুড়িগ্রামের এরকম আয়োজন থাকতে পেয়ে আমি অনেক আনন্দিত ও পুনাককে ধন্যবাদ জানাই।  কুড়িগ্রাম পুনাক সভানেত্রী নাজিয়া আফরোজ নীভা বলেন, এখানে যতগুলো পিঠা রয়েছে সবগুলো আমাদের পুনাক সদস্যদের তৈরি। আমাদের ভাবীরা  পরিশ্রম করে তৈরি করেছেন নানা ধরনের পিঠা। এ পিঠা আগে তৈরি করা হলেও এখন সময়ের অভাবে আর তৈরি করা সম্ভব হয় না। নতুন প্রজন্মকে বিভিন্ন ধরনের পিঠার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়াই হচ্ছে পিঠা উৎসবের মূল উদ্দেশ্য। আমি পুনাকের সবাইকে ও সন্মানিত অতিথিদের পুনাকের আমন্ত্রণে অংশগ্রহণে ধন্যবাদ জানাই। আগামীতে পুনাকের এ ধরনের ব্যতিক্রম আয়োজন অব্যাহত থাকবে। 
২০ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:১২

কুয়াশার চাঁদরে মোড়ানো সকালে পিঠা উৎসব 
কুয়াশার চাঁদরে মোড়ানো শীতের সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জে হয়ে গেলো পিঠা উৎসব। নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা নিজেদের বানানো পিঠা দিয়েই সাজিয়েছিলো তাদের প্রতিটি স্টল। এমন আয়োজন দেখতে ও পিঠার স্বাদ নিতে, কলেজ ক্যাম্পাসে ছিলো সবার সরব উপস্থিতি।  ইতিহাস ও ঐতিহ্য সমৃদ্ধ চাঁপাইনবাবগঞ্জের লোক সংস্কৃতির একটা অংশ জুড়ে আছে নানা পদের পিঠা। নতুন প্রজন্মের অনেকই জানেন না এসব পুলিপিঠার নাম কি বা স্বাদই বা কেমন। গ্রামীন পিঠাপুলির সাথে সবার পরিচয় ঘটাতে নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ আয়োজন করে পিঠা উৎসবের।  বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল ১০ টায় ফিতা কেটে উৎসবের উদ্বোধন করেন সংসদ সদস্য আব্দুল ওদুদ।  কলেজের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের দলগত ঊদ্যোগে বসানো হয়েছিলো ৩৮টি পিঠার স্টল। প্রতিটি স্টলে কমবেশি ৩০-৪০ পদের পিঠার প্রদর্শন ও বিক্রি করা হয়। পিঠা তৈরী, স্টল সাজানো থেকে সব কাজই করেছেন এ শিক্ষার্থীরায়। যে কারনে তাদের চোখে মুখে উচ্ছাস। নাবিলা সামাদ নামে দ্বাদশ শ্রেনীর শিক্ষার্থী বলেন, তারা বিএনসিসি থেকে পিঠার স্টল দিয়েছেন। তিনি বলেন, আমরা আমাদের মা, আপু পরিবারের অন্য সদস্যদের কাছ থেকে পিঠা তৈরী শিখেছি, আর এ উৎসবকে ঘিরে নিজেরা তৈরী করেছি। এখন স্টলে যারা পিঠাগুলোর স্বাদ নিচ্ছেন তারায় অনেক প্রশংসা করছেন,আমাদের ভালোই লাগছে, আমাদের কষ্টটা সার্থক।
১৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:৫৫

হাবিপ্রবির উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগের ওরিয়েন্টেশন ও পিঠা উৎসব
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) কৃষি অনুষদের উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগে নতুন ভর্তিকৃত স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি শিক্ষার্থীদের নিয়ে ওরিয়েন্টেশন ও পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (১৪ জানুয়ারি) উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগের গবেষণাগারে উক্ত অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।  উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মাহিদুল হাসান এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ড. এটিএম শফিকুল ইসলাম, প্রফেসর ড. এমদাদুল হাসান এবং প্রফেসর ড. শেখ মো. মোবারক হোসেন। আরও উপস্থিত ছিলেন ল্যাব টেকনিশিয়ান ও কর্মচারীগণ এবং নবীন ও মাস্টার্স এ অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন লেকচারার মো. মবিনুল ইসলাম। নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মহিদুল হাসান বলেন, যারা আমাদের ক্যাম্পাস থেকে স্নাতক শেষ করেছ এবং যারা বাইরের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এসেছ সবাই এখন আমরা উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব পরিবার। আমরা তোমাদের শিক্ষা গবেষণায় সহযোগিতা করার জন্য সবসময় সচেষ্ট থাকব।
১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:৪০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়