• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
কুড়িগ্রাম আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে এক দালাল গ্রেপ্তার 
কুড়িগ্রাম আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের এক দালালকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার (২০ মার্চ) দুপুরে দুদকের একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করে।  গ্রেপ্তারকৃত দালাল রতন চন্দ্র সরকার (৩৪)। তিনি সদর উপজেলার হিঙ্গনরায় গ্রামের কানুপদ সরকারের ছেলে। জেলা দুদক অফিস সূত্রে জানা যায়, কুড়িগ্রাম আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে পাসপোর্ট সেবা প্রদানে গ্রাহক হয়রানির দীর্ঘদিনের অভিযোগ ছিল। সেই সাথে তাদের পক্ষ থেকে ঘুষ দাবির অভিযোগ ওঠে। এর প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক কার্যালয়ের একটি দল বুধবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পাসপোর্ট অফিসে অভিযান পরিচালনা করেন। প্রথমদিকে দুদকের দলটির সদস্যরা ছদ্মবেশে প্রবেশ করে দালালকে চিহ্নিত করেন এবং পরে জেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় পাসপোর্ট সেবাগ্রহীতার নিকট থেকে টাকা গ্রহণকালে দালাল রতন চন্দ্র সরকারকে টাকাসহ হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওয়াজেদ ওয়াসীফ আদালত পরিচালনা করে গ্রেপ্তারকৃত দালালকে এক মাসের জেল ও একশত টাকা জরিমানা আদায় করেন। এ ব্যাপারে দুদক সহকারী পরিচালক খালিদ মাহমুদ বলেন, আমরা পাসপোর্ট অফিসের সহকারি পরিচালককে অফিস স্টাফদের সঙ্গে দালাল চক্রের অবৈধ তৎপরতার বিষয়ে সতর্ক করেছি এবং আউট সোর্সিং-এ আনসার সদস্যদের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগের বিষয়ে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশনা প্রদান করি।
২০ মার্চ ২০২৪, ২১:৪৩

জয়পুরহাটে বিআরটিএ ও পাসপোর্ট অফিসে যৌথ অভিযান
জয়পুরহাটে বিআরটিএ ও পাসপোর্ট অফিসের সামনে দালাল চক্রের বিরুদ্ধে জেল ও জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। জয়পুরহাট জেলা প্রশাসন ও র‍্যাব-৫ এর সহযোগিতায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। বুধবার (১৩ মার্চ) দুপুরে বিআরটিএ ও পাসপোর্ট অফিস চত্বর থেকে ৫ দালালদের আটক করার পর প্রত্যেককে ৫০০ টাকা করে জরিমানা ও ৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও  জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মিজানুর রহমান। কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জয়পুরহাট সদর উপজেলার কড়ই চকপাড়া গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেলে মামুনুর রশীদ, চকদাদড়া গ্রামের রইচ উদ্দিনের ছেলে মাহাতাব উদ্দিন, আরাফাত নগর গ্রামের মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে রেজানুর রহমান সাজু, বাবু পাড়া গ্রামের মৃত মিজানুর রহমানের আলম রশীদ, পাচুরচক গ্রামের মৃত দুদু মিয়ার ছেলে রফিকুল ইসলাম।  জয়পুরহাট ৫ র‌্যাব ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক মেজর মো. শেখ সাদিক জানান, দালাল চক্র মোটরযান ও ড্রাইভিং রেজিস্ট্রেশন করতে আসা গ্রাহকদের কাছ থেকে অবৈধভাবে টাকা দাবি করে আসছিল। তিনি আরও জানান, দালাল চক্রের সদস্যরা অল্প সময়ে পাসপোর্ট করে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে কৌশলে পাসপোর্ট প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়। এছাড়া কখনো কখনো অনেক হয়রানির পরেও পাসপোর্ট প্রদান না করে প্রতারণা করে আসছিল। জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মিজানুর রহমান জানান, জেলা প্রশাসক সালেহীন তানভীর গাজী স্যারের নির্দেশে র‍্যাব-৫ এর গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে দুদিন ধরে অসাধু দালাল চক্রকে চিহ্নিত করা হয়। এরপর হাতেনাতে এই দালাল চক্রের সদস্যদের আটক করা হয়। তাদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে এই শাস্তি আরোপ করা হয়েছে। মানুষের ভোগান্তি লাঘবে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জয়পুরহাট জেলা প্রশাসন ও র‍্যাব-৫ এর পক্ষ থেকে জানানো হয়।
১৩ মার্চ ২০২৪, ১৬:২৭

রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট বানিয়ে দিয়ে কুলি থেকে কোটিপতি
রাজু শেখ। বছর কয়েক আগেও তার পরিচয় ছিল কুলি। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বাবার সঙ্গে তরকারির বস্তা টেনে যে সামান্য রোজগার হতো, তাই দিয়ে খেয়ে না খেয়ে চলতো সংসার। হঠাৎই রাজুর জীবনে আলাদীনের চেরাগ হয়ে ধরা দেয় দেশে শরাণার্থী হিসেবে জায়গা পাওয়া রোহিঙ্গারা। জাল পরিচয়পত্রের মাধ্যমে তাদের পাসপোর্ট করে দিতে দিতে ঘুরে যায় তার ভাগ্যের চাকা। মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানেই বনে যান কোটিপতি। নিজের গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জে গড়ে তুলেছেন কোটি টাকা মূল্যের বাড়ি, উত্তরায় কিনেছেন ১৬০০ স্কয়ার ফিটের বিলাসবহুল ফ্ল্যাট এবং রাজউকে নিয়েছেন ৬ কাঠার প্লট। রোহিঙ্গা ছাড়াও দাগী অপরাধী ও আসামীরাও ছিলেন রাজুর কাস্টমার। জাল জন্ম নিবন্ধন, জাতীয় পরিচয়পত্র এবং ভুয়া নাম-ঠিকানা ব্যবহার করে তাদেরকে পাসপোর্ট বানিয়ে দেওয়ার জন্য মোটা অঙ্কের টাকা নিতেন তিনি। কিন্তু, একাই এই অসাধ্য সাধন করেননি রাজু, এ কাজে তার সঙ্গে জড়িত বড় এক চক্র। দীর্ঘ তিন মাসের কঠোর অনুসন্ধান শেষে এই চক্রের ২৩ সদস্যকে ধরতে সক্ষম হয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আটকদের মধ্যে রাজু শেখ ছাড়াও আছেন কয়েকজন রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ, যারা পাসপোর্ট করার জন্য ঢাকায় এসেছিলেন। এরপর শেখ রাজুকে জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।  গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের প্রধান অতিরিক্ত ডিআইজি মশিউর রহমান বলেন, রোহিঙ্গা ও দাগী আসামীদের পাসপোর্ট বানিয়ে দিয়ে গোপালগঞ্জে কোটি টাকার বাড়ি করেছেন রাজু শেখ। উত্তরার ১৩ নম্বর সেক্টরে কিনেছেন ১৬০০ স্কয়ার ফিটের ফ্ল্যাট। পূর্বাচলে ৬ কাঠার একটি প্লটও কিনেছেন তিনি। পাসপোর্ট জালিয়াতি কার্যক্রমের ধারাবাহিক প্রক্রিয়া সম্পর্কে রাজু জানান, পাসপোর্ট অফিসের সামনেই তাদের দোকান। সেখানে প্রতিদিন ১০-১৫ জন বাঙালি ফরম পূরণের জন্য আসেন। তখন কৌশলে দীর্ঘ সময় দোকানে বসিয়ে রাখা হয় তাদেরকে। এভাবে যখন ৯-১০ টি ফাইল জমা হয় তখন তাদের সঙ্গে তিনজন রোহিঙ্গার ফাইল মিলিয়ে পাসপোর্টের জন্য জমা দেওয়া হয়। রাজু আরও জানান, কোনভাবেই যেন ভেতরে কী হচ্ছে, তা যেন কেউ বুঝতে না পারেন সেজন্য পাসপোর্ট করতে আসা রোহিঙ্গাদের নতুন নাম-পরিচয় ধারণে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়ম যেন সবাই একসঙ্গে থাকেন। মানসিকভাবে শক্ত থাকার জন্য রোহিঙ্গাদের বারবার সতর্ক করে দেওয়া হয়। জাল নামের প্রথম অক্ষর দিয়ে স্বাক্ষর দেওয়ার জন্যও আগে-ভাগেই দেওয়া হয় প্রশিক্ষণ। একইসঙ্গে পাসপোর্ট প্রত্যাশী রোহিঙ্গাদের কথায় যেন চট্টগ্রাম অঞ্চলের আঞ্চলিকতার কোনো টান না আসে সেটিও নিশ্চিত করা হয়। প্রায় তিন বছর ধরে এভাবেই অসংখ্য রোহিঙ্গার হাতে বাংলাদেশের পাসপোর্ট তুলে দিয়েছেন রাজু শেখ। মশিউর রহমান বলেন, ২০১৬ সাল থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্ম নিবন্ধন এবং পাসপোর্ট জালিয়াতির কাজে জড়ান রাজু শেখ। এর মধ্যে গত তিন বছর ধরে রোহিঙ্গা ও দাগী আসামিদের সঙ্গে যুক্ত হন তিনি।  আর এক্ষেত্রে কক্সবাজার থেকে রাজুকে রোহিঙ্গা গ্রাহক জোগাড় করে দেয় চট্টগ্রাম, বান্দরবান, খাগড়াছড়ির এজেন্টরা। তাদেরকে নিয়ে আসা হয় তার কাছে। এরপর দোকান থেকে ফরম পূরণ করে পাসপোর্ট অফিসে বায়োমেট্রিক করার জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয় চক্রে জড়িত আনসার সদস্যদের কাছে। সেখান পাসপোর্ট তৈরির বাকি দাপ্তরিক কাজগুলো সম্পন্ন করতে সহায়তা করেন ওই আনসার সদস্যরা।  তিন মাসের অনুসন্ধান শেষে রাজধানীর আগারগাঁও, মোহাম্মদপুর, যাত্রাবাড়ী ও বাড্ডায় ধারাবাহিক অভিযান চালায় ডিবির লালবাগ বিভাগের একাধিক টিম। এর ধারাবাহিকতায় গত ২৩ ফেব্রুয়ারি বিপুল পরিমাণ পাসপোর্ট সংক্রান্ত ডকুমেন্টস, পাসপোর্ট এবং কম্পিউটারসহ তিনজন রোহিঙ্গা নারী ও পুরুষ ও ১০ জন বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেন ডিবি সদস্যরা। পরে তাদের দেওয়া তথ্য এবং সংগৃহীত তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি দিন ও রাতে কক্সবাজার, টাঙ্গাইল এবং ঢাকায় ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে পাসপোর্ট অফিসের দুই আনসার সদস্যসহ রোহিঙ্গা ও বাঙালি দালাল চক্রের ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারদের হেফাজত থেকে মোট ১৭টি পাসপোর্ট, ১৩টি এনআইডি, ৫টি কম্পিউটার, ৩টি প্রিন্টার, ২৪টি মোবাইল ফোন এবং পাসপোর্ট তৈরির সংশ্লিষ্ট শত শত দলিলপত্র জব্দ করা হয়। মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গা শিশু, নারী ও পুরুষদেরকে লক্ষাধিক টাকার বিনিময়ে জন্ম সনদ, এনআইডি ও পাসপোর্ট বানিয়ে দিতো শক্তিশালী এই চক্রটি। এদিকে এই জালিয়াত চক্রের পেছনে আরও কেউ জড়িত আছে কি না সে বিষয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ। তিনি বলেন, পাসপোর্ট জালিয়াতি কিংবা অবৈধভাবে পাসপোর্ট তৈরির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কেউ জড়িত আছেন কি না বিষয়টি আমরা তদন্ত করছি। আমার মনে হয় এভাবে হাজার হাজার পাসপোর্ট রোহিঙ্গারা ও দাগী আসামিরা নিয়ে যাচ্ছে। দাগী আসামিদের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনেক দাগী আসামিও এভাবে পাসপোর্ট করেছে। তাদের নাম-পরিচয় আমরা তদন্তের স্বার্থে জানাচ্ছি না। গ্রেপ্তারদের আদালতে সোপর্দ করে আবেদন করা প্রেক্ষিতে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে আরও যারা যারা জড়িত তাদের নাম-পরিচয়ও বেরিয়ে আসবে বলে আশা করি।
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:০৬

শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে পেছাল বাংলাদেশ
বিশ্বের শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে একধাপ পিছিয়ে ১০২ নম্বর অবস্থানে নেমেছে বাংলাদেশ। গত বছর অবস্থান ছিল ১০১তম। বর্তমানে বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীরা অগ্রিম ভিসা ছাড়া ৪২ দেশে ভ্রমণ করতে পারেন। সম্প্রতি লন্ডন ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্স প্রকাশিত সূচকে এ তথ্য উঠে এসেছে। জানা গেছে, যে দেশের পাসপোর্টধারীরা বিনা ভিসায় সব থেকে বেশি দেশে যাতায়াত করতে পারে, সে দেশের পাসপোর্ট তত শক্তিশালী। বিগত ১৯ বছরের নথির ভিত্তিতে প্রতি বছর হেনলি পাসপোর্ট সূচক প্রকাশিত হয়। ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের নথির ভিত্তিতে ১৯৯টি দেশের পাসপোর্ট নিয়ে এই সূচক তৈরি করা হয়। এ সূচক তৈরির সময় পৃথিবীর ২২৭টি গন্তব্যে যেতে পারার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হয়।  নতুন সূচকে সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্টের মালিক ছয়টি দেশ হচ্ছে- ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, সিঙ্গাপুর ও স্পেন। এসব দেশের পাসপোর্টধারীরা ১৯৪ দেশে আগাম ভিসা ছাড়া ভ্রমণ করতে পারবেন। দক্ষিণ এশিয়ার দেশ মালদ্বীপ আগের মতোই সূচকে ৫৮তম স্থানে রয়েছে। মালদ্বীপের পাসপোর্টধারীরা পৃথিবীর ৯৬টি দেশে ভিসা ছাড়া যাতায়াত করতে পারবেন। এদিকে নতুন সূচকে কিছুটা দুর্বল হয়েছে ভারতের পাসপোর্ট। তালিকায় ৮৫তম স্থান পেয়েছে ভারতের পাসপোর্ট। অন্যদিকে, আগের বছরের মতো এবারও ১০৬তম স্থানে রয়েছে পাকিস্তানি পাসপোর্ট।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:১৭

রোহিঙ্গাদের জন্য পাসপোর্ট তৈরির অভিযোগে গ্রেপ্তার ৩
কুমিল্লায় রোহিঙ্গা তরুণকে পাসপোর্ট করতে সহায়তার চেষ্টা করার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে ১৪টি পাসপোর্ট জব্দ করা হয়েছে। শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় এ তথ্য জানান জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি রাজেস বড়ুয়া। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মুরাদনগর উপজেলার ব্রাহ্মণচাপিতলা গ্রামের শফিক মিয়ার ছেলে মো. ফয়সাল মিয়া (২৮), কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার আড়াইওরা পশ্চিম পাড়া এলাকার আবুল বাশার মিস্ত্রির ছেলে মো. মোশারফ হোসেন (৪২) ও মুরাদনগর উপজেলার বাখরনগর গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে মো. শরিফুল ইসলাম শরিফ (২২)। পুলিশ জানায়, গত বৃহস্পতিবার কুমিল্লা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে কাগজ জমা দিয়ে আঙুলের ছাপ ও ছবি তুলতে গেলে পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তাদের সন্দেহ হওয়ায় রোহিঙ্গা তরুণ মো. ইয়াছিরকে আটক করা হয়। পরে তাকে ডিবি পুলিশে হস্তান্তর করা হয়।  কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি রাজেস বড়ুয়া বলেন, রোহিঙ্গা নাগরিক মো. ইয়াছিরের আদালতে দেওয়া জবানবন্দির সূত্র ধরে জেলা ডিবি ও কোতোয়ালি মডেল থানার পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:০৬

পাসপোর্ট করতে এসে রোহিঙ্গা যুবক আটক
কুমিল্লা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে ভুয়া পরিচয়ে পাসপোর্ট করতে কক্সবাজার থেকে কুমিল্লায় এসে পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তার কাছে আটক হয়েছে ইয়াছির (১৯) নামে এক রোহিঙ্গা যুবক। পরে তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কুমিল্লা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে কাগজপত্র জমা দিয়ে আঙ্গুলে ছাপ দিতে গেলে পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তাদের সন্দেহ হলে তাকে আটক করা হয়। পরে তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আটক রোহিঙ্গা মিয়ানমারের বলিবাজার এলাকার সৈয়দ হোসেনের ছেলে। ইয়াছির মিয়ানমার থেকে ২০ দিন আগে কক্সবাজার বালুখালি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ব্লক-৯ আসে। বেলায়াত হোসেন নামে কুমিল্লা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের এক কর্মকর্তা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার পশ্চিম ঘোড়াশাল ৪ নম্বর ওয়ার্ডের জাকির হোসেন ও হাসিনা বেগমের ছেলে হিসেবে জন্ম নিবন্ধন সনদ দিয়ে পাসপোর্ট করতে আসেন। তাদের সঙ্গে কথা বলে রোহিঙ্গা হিসেবে সন্দেহ হলে তাদের নাম-ঠিকানা জিজ্ঞেস করা হয়। তবে তারা তা সঠিকভাবে বলতে পারেননি। পরে তাকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হলে পুলিশ তাদের থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর নিশ্চিত হয় তারা রোহিঙ্গা। এ বিষয়ে রোহিঙ্গা ইয়াছিরের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২০ দিন আগে মিয়ানমার বলিবাজার নামক স্থান থেকে সে কক্সবাজার বালুখালি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আসে। মিয়ানমারে বলিবাজারে থাকা তার চাচাতো ভাই ওসমান কুমিল্লা পাসপোর্ট অফিস সংলগ্ন মদিনা ট্রাভেলসের হাসান মাহমুদ ও মোশাররফ নামে ২ দালালের কাছে পাসপোর্ট করে দিবে বলে কন্টাক্ট করে। রোহিঙ্গা ইয়াছিরের সব কাগজপত্র হাসান মাহমুদ ও মোশাররফ তৈরি করে দেয়। পরে পাসপোর্ট অফিসে আঙ্গুলের ছাপ ও ছবি তুলতে এসে পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তার কাছে আটক হয় ইয়াছির। কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাজেশ বড়ুয়া জানান, এক রোহিঙ্গা যুবক সৌদি আরবে যাওয়ার উদ্দেশে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে এসে ভুয়া পরিচয়ে পাসপোর্ট করতে চেয়েছিলেন। এ সময় পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তারা তাকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। এ ঘটনায় কুমিল্লা কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করা হচ্ছে। তারা কীভাবে জন্ম নিবন্ধন সন্দেহ সংগ্রহ করেছেন এ বিষয়টি পুলিশ খতিয়ে দেখছে।
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:৩৫

কুমিল্লা পাসপোর্ট অফিস এলাকায় ১৪ দালাল আটক  
কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন নোয়াপাড়া পাসপোর্ট অফিস এলাকা থেকে পাসপোর্ট দালাল চক্রের মূলহোতা মো. সাব্বির হোসেনসহ ১৪ জনকে আটক করেছে র‌্যাব-১১। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে আটককৃতদের কাছ থেকে পাসপোর্ট, পাসপোর্ট ডেলিভারি স্লিপ, মোবাইল ফোন ও নগদ অর্থ উদ্ধার হয়েছে। র‌্যাব-১১, সিপিসি-২, কুমিল্লার উপপরিচালক স্কোয়াড্রন লিডার এ কে এম মুনিরুল আলম জানান, গোয়েন্দা সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন নোয়াপাড়া পাসপোর্ট অফিস এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে পাসপোর্ট দালাল চক্রের মূলহোতাসহ ১৪ জন সক্রিয় সদস্যকে আটক করা হয়। পাসপোর্ট দালাল চক্রের আসামিদেরকে হেফাজত থেকে ৪টি পাসপোর্ট, ৮৭ সেট ডেলিভারি স্লীপ, ১২টি মোবাইল ও ১২ হাজার ৬০০ টাকাসহ পাসপোর্ট সংক্রান্ত বিভিন্ন নথিপত্র উদ্ধার করা হয়। আটককৃতরা হলো- মো. সাব্বির হোসেন, মো. সাফি মাহমুদ, মো. সুজন, তানজিদ হাসান, মো. জয়নাল আবেদীন, মো. ইমরুল হক, মো. আলী, মো. শাহাদাত হোসেন প্রিন্স, মোশারফ হোসেন সাকিব, মো. রনি, ফয়সাল আহমেদ ইমন, জহির আহম্মেদ, পারভেজ, সিয়ামুল ইসলাম সৈকত। র‌্যাব আরও জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও অনুসন্ধানে গ্রেপ্তরকৃত আসামিরা সকলেই পাসপোর্ট দালাল চক্রের সক্রিয় সদস্য এবং তারা দীর্ঘদিন যাবৎ পাসপোর্ট তৈরি করে দেওয়ার নাম করে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত রেটের অধিক বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিতো বলে স্বীকার করেন। এ ঘটনায় আটককৃতদের বিরুদ্ধে কুমিল্লার কোতয়ালী মডেল থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।  
২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:৩৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়