• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
গ্যারেজে বসে ইফতারকালে ব্যাটারির পানি পান, হাসপাতালে ৪
কক্সবাজারের উখিয়ায় ইফতারের সময় তৃষ্ণা মেটাতে গিয়ে ভুলবশত ব্যাটারির পানি খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন চারজন ব্যক্তি। এদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।  বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সন্ধ্যায় উপজেলার রত্নাপালং ইউনিয়নের গয়ালমারা নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। হাসপাতালে ভর্তি ওই চার ব্যক্তির নাম নুরুল বশর (৪০), নুরুল হাকিম (১৮), ইসহাক আহমেদ (৬২) ও আব্দুল কাদের (৩৮) বলে জানা গেছে।  অসুস্থদের মধ্যে আশঙ্কামুক্ত ইসহাক আহমেদ জানান, তারা চারজন এলাকার একটি গ্যারেজে বসে ইফতার করছিলেন। ভুলবশত পানি মনে করে প্রথমে নুরুল বশর, নুরুল হাকিম ও আব্দুল কাদের ব্যাটারির পানি খেয়ে ফেলে। পরে নিজে সামান্য খেয়ে দেখলে বুঝতে পারেন সেটা ব্যাটারির পানি। নুরুল হাকিমের ভাই নুরুল আবছার জানান, ব্যাটারি পানি খেয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রথমে তাদেরকে উখিয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এ বিষয়ে জানতে এরপর যোগাযোগ করা হয় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে। সেখানকার আরএমও ডাঃ আশিকুর রহমান জানান, অসুস্থ ব্যক্তিদের ইতোমধ্যে ভর্তি করা হয়েছে। যে দুইজন বেশি ব্যাটারির পানি খেয়ে ফেলেছে তাদের অবস্থা একটু বেশি খারাপ। বর্তমানে চারজনই কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
১৫ মার্চ ২০২৪, ০৫:২৩

পানি উন্নয়ন বোর্ডে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড। প্রতিষ্ঠানটি ৩টি পদে ৯৬ জনকে নিয়োগ দেবে। আগ্রহীরা আবেদন করতে পারবেন অনলাইনে। যা যা প্রয়োজন- প্রতিষ্ঠানের নাম: পানি উন্নয়ন বোর্ড। পদের সংখ্যা: ৩টি। লোকবল নিয়োগ: ৯৬ জন। পদের নাম: উপ-সহকারী প্রকৌশলী/ শাখা কর্মকর্তা (পুর)/প্রাক্কলনিক। পদসংখ্যা: ৬৭টি। বেতন: ১৬,০০০-৩৮,৬৪০ টাকা (গ্রেড-১০)। শিক্ষাগত যোগ্যতা: পুরকৌশল বিষয়ে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি। পদের নাম: উপ-সহকারী প্রকৌশলী/ শাখা কর্মকর্তা (যান্ত্রিক/বিদ্যুৎ)। পদসংখ্যা: ১০টি। বেতন: ১৬,০০০-৩৮,৬৪০ টাকা (গ্রেড-১০)। শিক্ষাগত যোগ্যতা: যন্ত্রকৌশল, তড়িৎ কৌশল বা শক্তি কৌশল বিষয়ে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি। পদের নাম: হিসাব রক্ষক। পদসংখ্যা: ১৯টি। বেতন: ১১,৩০০-২৭,৩০০ টাকা (গ্রেড-১২) শিক্ষাগত যোগ্যতা: বাণিজ্য বিভাগের যে কোনো বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি। চাকরির ধরন: সরকারি। প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ (উভয়)। কর্মস্থল: পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিস। বয়সসীমা: প্রার্থীর বয়স ১ মার্চ তারিখে ১৮-৩০ বছরের মধ্যে হতে হবে। তবে বীর মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও শারীরিক প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে সরকারি বিধি অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৩২ বছর পর্যন্ত শিথিলযোগ্য। বীর মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-নাতনিদের ক্ষেত্রে বয়স ৩০ বছর। আবেদন ফি: পরীক্ষার ফি বাবদ অনলাইনে ১ ও ২নং পদের জন্য ৫০০ টাকা এবং ৩নং পদের জন্য ৩০০ টাকা জমা দিতে হবে। আবেদন যেভাবে: আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন। আবেদনের শেষ সময়: ৮ এপ্রিল ২০২৪ পর্যন্ত।
১০ মার্চ ২০২৪, ১১:২১

শ্রীমঙ্গলে সুপেয় পানি পেলো চা জনগোষ্ঠী
শ্রীমঙ্গল কাকিয়াছড়া চা বাগানের শ্রমিকদের জন্য গভীর নলকূপ স্থাপন ও পানি সংরক্ষণে আড়াই হাজার লিটারের একটি ট্যাংকের ব্যবস্থা করে দিয়েছে আব্দুর রহিম মেমোরিয়াল ট্রাস্ট। সেখান থেকে আশপাশের প্রায় ৩০টি পরিবারের পানির সমস্যা মিটবে। এছাড়া এখান থেকে সুপেয় পানি পান করতে পারবেন চা বাগানে বেড়াতে আসা পর্যটকরা। সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে শ্রীমঙ্গল কাকিয়াছড়া চা বাগানে গভীর নলকূপটি উদ্বোধন করেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ভানু লাল রায়।  এ সময় এস এস জি জলধারা প্রধান সমন্বয়ক মাসুদ আল আমিন রাজিব, এস এস জি জলধারা সিলেট বিভাগীয় সমন্বয়ক মুহাম্মাদ হাছানুজ্জামান চৌধুরী এবং কাকিয়াছড়া চা বাগানের জেনারেল ম্যানাজার সৈয়দ সালাউদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। নলকূপ পেয়ে চা শ্রমিক কবিতা হাজড়া বলেন, এখানে সুপেয় পানির কোনো ব্যবস্থা নেই। বাধ্য হয়ে কুয়া ও ছড়ার (খাল) পানি ওপরই বেশি নির্ভর থাকতে হত। এখন নলকূপ পেয়ে আমরা খুবই খুশি। এস এস জি জলধারা প্রধান সমন্বয়ক মাসুদ আল আমিন রাজিব জানান, চা বাগানে শ্রমিক হিসেবে যারা কাজ করেন তাদের জীবন মান খুব কঠিন। তাদের জীবনমান উন্নয়নে তাদের জন্য সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও এই ট্রাস্ট এর পক্ষ থেকে দেশের ৬৪টি জেলায় সুপেয় পানির জন্য গভীর নলকূপ স্থাপন করে দেওয়া হচ্ছে।
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:১০

‘আমার খুব কষ্ট হলো এবং চোখে পানি চলে এলো’
ইটের স্তূপ এবং দেয়াল দেখলাম, স্থানীরা যতগুলো ইট তুলে রেখেছে আমি বাংলাদেশের অনেক জায়গায় ঘুরেছি একটা সাইটে এত পরিমাণ ইট তুলে কেউ গুছিয়ে রাখেনি। আমার খুব কষ্ট হলো এবং চোখে পানি চলে এলো  ঢাকার কাছে এত বড় একটা প্রতিস্থাপন, যেখানে কলচুরির রাজা লক্ষ্মকর্ণের ইতিহাসের কথা বলা হয়, লক্ষ্মকর্ণের কথা বলা হয়, এটা আমাদের পাশের কাপাসিয়া উপজেলার দরদরিয়া দুর্গের কাছেই। এটা ইতিহাসের সমৃদ্ধ একটা স্থান এবং ইতিহাসের পাশাপাশি পর্যটন সম্ভাবনার একটা জায়গা। এটা যে শেষ হয়ে যাচ্ছে এখানে দেশের কোনো শাসক আছে বলে মনে হয় না। এখানে কোনো কাস্টোডিয়ান আছে বলে মনে হয় না। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার গোসিঙ্গা ইউনিয়নের কর্ণপুর গ্রামের বড়-দিঘি ও এর আশপাশের এলাকা দিনব্যাপী ঘুরে এসব মন্তব্য করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. সুফি মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি আরও বলেন, কর্ণপুর এখন একটি গ্রাম। কিন্তু একসময় যে এটা কত সমৃদ্ধ বসতি ছিল, কেউ এ জায়গায় না এসে বলতে পারবে না। তিনি বলেন, এখানকার স্থানীয় লেখকরা সরকারি কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু কেউ আসেননি। এখানকার ইট দিয়ে কেমন করে ঘরবাড়ি বানাচ্ছে, সবকিছু কেমন করে ধূসর হয়ে যাচ্ছে, যেটা খুবই দুঃখজনক। এখানকার সংসদ সদস্য এবং স্থানীয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করব। তারা অবশ্যই তাদের জায়গার ইতিহাস দেখবেন এবং সংরক্ষণ করবেন। সংবিধানেও নিজ এলাকার ইতিহাস সংরক্ষণ করার কথাটি স্পষ্ট করে বলা আছে। তাহলে তারা কি তাদের সংবিধান মানছেন না? শুধু তারাই নয়, আমারা যারা গবেষণা করি, অধ্যাপকরাও দায়ী, মন্ত্রণালয় দায়ী, সরকার দায়ী। সকলেই আমরা একটা ধংসযজ্ঞে লিপ্ত হয়েছি। এটা কোনোভাবেই একটা দেশের জন্য শুভকর নয়। দেশকে বাঁচাতে গেলে ইতিহাস আমাদের একটা পরিচয়। সেই পরিচয় আমরা মুছে দিতে পারি না। খুব দ্রুত সরকারের উচিত এখানে এসে যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা। তারপর যারা গবেষক তাদেরকে আমন্ত্রণ জানানো, তাদেরকে সাহায্য-সহযোগিতা করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের কাজের সুযোগ করে দেওয়া। এটা নাহলে দেশ এগোতে পারবে না। স্থানীয় আবদুল হাকিম আকন্দ বলেন, বড়-দিঘি থেকেই পাকিস্তান আমলে শ্রীপুরের কালু মণ্ডল সাহেব ইট তুলে নিয়েছিলেন। এরপর আমরাও সেখান থেকে কমপক্ষে দুই ফুট প্রশস্তের দেয়াল দেখেছি। স্থানীয়রা নানা প্রয়োজনে এসব সংগ্রহ করে নিজেদের প্রয়োজনে স্থাপনা করেছেন। স্থানীয় বৃদ্ধ সিরাজ উদ্দিন বলেন, ইট সরিয়ে নেওয়ার পর পাথর বের হয়। দিঘির পাড়ের অনেকের বাড়িতেই ইট পাথর পাওয়া যাবে। নানান ধরনের নকশা করাও রয়েছে এসব পাথরে। এর আগে ড. সুফী মোস্তাফিজ একই ইউনিয়নের খোঁজেখানী গ্রামের কিছু পুরাকীর্তির চিহ্ন দেখতে পান। ওই এলাকার আকন্দপাড়া, শেখপাড়া, টেক্কার ভিটার টেক-টিলা, একটি মাজারের আশপাশ ও প্রাকৃতিক অবকাঠামো ঘুরে দেখেন। সেখানে থাকা প্রাচীন ইটের খণ্ড খণ্ড অংশ পর্যবেক্ষণ করেন। গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার দরদরিয়া গ্রামের দরদরিয়া দুর্গের পশ্চিমে তথা শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে শ্রীপুর উপজেলার গোসিঙ্গা ইউনিয়নের খোঁজেখানী গ্রামের অবস্থান। অধ্যাপক সূফী জানান, খোঁজেখানী গ্রামে যেসব পুরাকীর্তির সন্ধান পাওয়া গেছে ,সেগুলো মধ্যযুগীয় স্থাপনার ধ্বংসাবশেষ মনে হচ্ছে। বিশেষ করে ত্রয়োদশ শতাব্দী বা তার পরে ব্রিটিশ শাসনামল পর্যন্ত সময়ের বলে মনে হচ্ছে। কোথাও স্থাপিত দেয়ালের অংশবিশেষের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। ইতিহাস থেকে বলা যায়, দরদরিয়া যদি একদল দুর্গ হয় তাহলে শীতলক্ষ্যা নদীর তীর এলাকায় তুঘলকির অবস্থান ছিল। তুঘলকি নদী পার হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। এখানে সেনাবাহিনীর বসতি ছিল এটা একটা একটা ক্লু। এসব জায়গায় প্রাচীন বসতির চিহ্ন পাওয়া গেছে।  ইট, মৃৎপাত্র, ছোট একাধিক ডিবি পাওয়া গেছে। এগুলো চিহ্নিতকরণের মধ্য দিয়ে আমরা সেগুলো কোন সময়ের সেটা বলার চেষ্টা করি। এটা খনন করার দরকার। খনন করা হলে বেশি নিশ্চিত হওয়া যাবে। খোঁজেখানী গ্রামের কিছু কিছু অংশ খনন করা হলে ভালো কিছু পাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। খননকাজে নিজেকে যুক্ত করার ইচ্ছা প্রকাশ করে তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা বেশি প্রয়োজন। খোঁজেখানী গ্রামের আবুল হাশেমের স্ত্রী হেলেনা আক্তার বলেন, চার কোণাকৃতির যেসব ইট পাওয়া যায় সেগুলো গুঁড়া করে এলাকার অনেকেই বিভিন্ন স্থাপনা তৈরি করেছে। এগুলো বেশ শক্ত। তারাও এগুলো ব্যবহার করেছে। আরেক গৃহিণী রুনা আক্তার বলেন, আশপাশের জমিগুলো খনন করলে ইটের স্তর বের হতো। এখনও ইটের ভগ্নাংশ পাওয়া যায়। স্থানীয় লেখক মিশকাত রাসেল বলেন, ছাত্রজীবন থেকে বিশেষ করে এক যুগেরও আগে তিনি একটি বইয়ে ইতিহাস পড়ে এসব এলাকায় প্রাচীন স্থাপনার খোঁজ নিতে আসেন। বছরের পর বছর ধরে খোঁজ করতে করতে প্রাচীন স্থাপনার নিদর্শন পাওয়া যায়। তিনি গবেষকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে কয়েকটি প্রবন্ধ তৈরি করেন। প্রত্নতত্ত্ব গবেষকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে কেউ কেউ তার আহ্বানে সাড়া দেন। এখন এগুলো জনসম্মুখে আসতে শুরু করেছে। শ্রীপুর মুক্তিযোদ্ধা রহমত আলী সরকারি কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান ও সিনিয়র সাংবাদিক আবু বাক্কার ছিদ্দিক আকন্দ বলেন, প্রাচীন স্থাপত্য-কীর্তি একটি এলাকার মানুষের ঐতিহাসিক পরিচয় বহন করে। যেগুলোর খোঁজ পাওয়া গেছে দ্রুত সময়ে সেগুলোর সংরক্ষণ অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। প্রাচীন স্থাপত্যগুলোর মাধ্যমে প্রমাণ হয় বাঙালিরা অনেক আগে থেকেই কর্মে বেশ সুদক্ষ ছিল। প্রাচীন পুরাকীর্তির সংরক্ষণের মাধ্যমে একটি এলাকা পর্যটন-সমৃদ্ধ এলাকা হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠবে। এতে মানুষের মানসিক চাহিদার পূরণের পাশাপাশি সরকারি রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে। পুরাকীর্তির এসব স্থাপনা অনুসন্ধান করে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিলে বাংলাদেশের পর্যটন খাতও সমৃদ্ধি অর্জন করবে। পুরাকীর্তির ধ্বংসাবশেষ পাওয়া এলাকাগুলো ঘুরে দেখা গেছে, অনেকের বাড়ির আঙিনায় বিভিন্ন ফুল ও ছকের আকৃতিবেষ্টিত পাথর বসানো রয়েছে। কেউ কেউ বাড়ির আঙিনা কাদামুক্ত রাখতে প্রশস্ত ইট বিছিয়ে দিয়েছেন। কেউ কেউ প্রশস্ত ইটগুলো সংরক্ষণ করেছেন পরবর্তী কোনো কাজের উদ্দেশ্যে।  
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৫২

পানি ছাড়াই কুকারে সেদ্ধ করুন আলু-টমেটো
গরম ভাতে যে কোনও কিছু সেদ্ধ খেতে অনেকেই পছন্দ করেন। তা সে আলু, গাজর, কুমড়ো, টমেটো যা কিছুই ভাতে দেওয়া হোক না কেনো তা খেতে কিন্তু খারাপ লাগে না। তবে আলু ভাতে আর আলু ভর্তার মধ্যে কিন্তু পার্থক্য রয়েছে তা কি জানেন। দেখে নিন পানি ছাড়াই প্রেশার কুকারে এই অভিনব ভর্তা বানানোর পদ্ধতি- আলুর টুকরো আগে পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। টমেটো ভালো করে ধুয়ে নিয়ে চার টুকরো করে কেটে নিন। টমেটোর শক্ত আঁস কেটে বাদ দিতে হবে। প্রেশার কুকারে আলু, টমেটো, কাঁচামরিচ দিয়ে পানি না দিয়ে সেদ্ধ করুন। এক চামচ সরিষার তেল ছড়িয়ে দিন। প্রেসার কুকার আটকে চুলার আঁচ কমিয়ে বসিয়ে দিন। গ্যাসের আঁচ কমিয়ে ভাপে রান্না করে নিন। ২-৩টা সিটিতেই সেদ্ধ হয়ে যাবে। ৫ মিনিট পর ঢাকনা খুলে এগুলো ভালোভাবে পিষে নিতে হবে।  আলু টমেটো ভালো করে মেখে নিন। এবার এরমধ্যে একটা কাঁচামরিচ ভালো করে মিহি করে গরম ভাতে খেতে পারেন। শীতের দিনে এই সেদ্ধ খাবার খেতে খুব ভালো লাগে। এতে মুখের রুচি ফিরে পাওয়া যায়। গরম ভাতে চাইলে একটু ঘি ছড়িয়ে দিতে পারেন। যদি এই মাখার মধ্যে জিরা-শুকনা মরিচ, তেল মেশান তাহলেও কিন্তু ভালো লাগবে। আলু সেদ্ধ করে জিরা-মরিচ দিয়ে মেখে খেতে খুব ভালো লাগে। আলু-টমেটো দিয়ে এবার ভর্তা বানিয়ে খেয়ে দেখুন- প্রেশার কুকারে আলু-টমেটো সেদ্ধ করে নেওয়ার পর কড়াইতে তেল দিতে হবে। তেলে ৫টা শুকনো মরিচ ভেজে নিন। এবার আস্ত জিরা দিয়ে আদা-রসুন কুচি ভেজে নিন। তারমধ্যে একবাটি কুচানো পেঁয়াজ দিয়ে আরেকটু ভেজে নিতে হবে। একটা বাটিতে লবণ দিয়ে মরিচ মেখে নিন। পেঁয়াজ ভাজা হয়ে গেলে তারমধ্যে সেদ্ধ করে রাখা আলু-টমেটো আর স্বাদমতো লবণ মিশিয়ে দিন। ভালো করে মিশিয়ে কষিয়ে নিন। ৩-৪ মিনিট কষিয়ে হাফ চামচ হলুদ-মরিচগুঁড়া দিন। সামান্য চাট মশলা ছড়িয়ে গুঁড়ো করা শুকনো মরিচ মেখে নিলেই তৈরি মজাদার ভর্তা।
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:৩৪

মরিচ গুলানো পানি পান করিয়ে হত্যা, ১৭ জনের যাবজ্জীবন
জয়পুরহাটে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে সালেহ মোহাম্মদ হত্যা মামলায় ১৭ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয়। বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক আব্বাস উদ্দীন এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্তদের বাড়ি জেলার পাঁচবিবি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়। এদের মধ্যে ২ জন পলাতক রয়েছেন। এ ছাড়া এ মামলা থেকে ৫ জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। মামলার বিবরণে জানা গেছে, জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার আয়মারসুলপুর চকপাড়া গ্রামের মৃত আলতাফের ছেলে সালেহ মোহাম্মদের সঙ্গে আসামিদের দীর্ঘদিন জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এ সংক্রান্ত একটি মামলা আদালতে বিচারাধীন ছিল। এরই জের ধরে ২০০৯ সালের ২ মে সকালে সালেহ মোহাম্মদ তার নিজ শ্যালোমেশিন ঘর থেকে বাড়ি ফেরার পথে আসামি মোহাম্মদ আলীর বাড়ির সামনে ওঁৎ পেতে থাকা  আসামিরা তাকে ধরে আমগাছের সঙ্গে হাত-পা বেঁধে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। এ সময় সালেহ মোহাম্মদ পানি পান করতে চাইলে আসামিরা মরিচ গুলানো পানি জোরপূর্বক পান করালে সে ছটফট করতে করতে নিস্তেজ হয়ে পড়ে। এরপর স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে সে মারা যায়। এ ঘটনায় একই তারিখে পাঁচবিবি থানায় ২২ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের ভাই আজিজুল হক। এ মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত আজ এ রায় দেন। জয়পুরহাট জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর এ্যাড. নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৩১

পানি উন্নয়ন বোর্ডে বিশাল নিয়োগ, নেবে ১৫৪ জন
সম্প্রতি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড। প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন শূন্য পদে একাধিক লোকবল নিয়োগের জন্য এ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। আগ্রহীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।  যা যা প্রয়োজন- প্রতিষ্ঠানের নাম: বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড পদসংখ্যা: ৩টি ১. লোকবল নিয়োগ: ১৫৪ জন পদের নাম: ঊধ্বর্তন হিসাব সহকারী পদসংখ্যা: ২৭টি বেতন: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা (গ্রেড-১৪) শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি ২. পদের নাম: সার্ভেয়ার (প্রকৌশল) পদসংখ্যা: ৬২টি বেতন: ৯,৭০০ থেকে ২৩,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৫) শিক্ষাগত যোগ্যতা: বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণসহ সার্ভে ফাইনাল পাস।  ৩. পদের নাম: হিসাব করণিক পদসংখ্যা: ৬৫টি বেতন: ৯,৩০০ থেকে ২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬) শিক্ষাগত যোগ্যতা: বাণিজ্য বিভাগে এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ বয়সসীমা: ১ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখে আবেদনকারীর বয়স ১৮ বছর থেকে ৩০ বছরের মধ্যে হতে হবে। মুক্তিযোদ্ধার পুত্র-কন্যা এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে বয়সের উচ্চসীমা ৩২ বছর। তবে মুক্তিযোদ্ধার পুত্র-কন্যার পুত্র-কন্যা (নাতি-নাতনি) প্রার্থীদের ক্ষেত্রে বয়স ১৮ বছর থেকে ৩০ বছরের মধ্যে হতে হবে। বিভাগীয় প্রার্থীদের ক্ষেত্রে বয়সসীমা শিথিলযোগ্য। বয়স প্রমাণের ক্ষেত্রে এসএসসি/সমমান সনদপত্র ব্যতীত অন্য কোনো প্রশংসা পত্র/এ্যাফিডেভিট গ্রহণযোগ্য হবে না। আবেদন ফি: অনলাইনে পরীক্ষার ফি বাবদ ২০০ টাকা জমা দিতে হবে।  আবেদন যেভাবে: আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে ক্লিক করুন এখানে। আবেদনের শেষ সময়: ৩ মার্চ ২০২৪ পর্যন্ত।
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:১৮

ইজতেমায় এক বদনা অজুর পানি ১০ টাকা!
গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে শুরু হয়েছে বিশ্ব ইজতেমার ৫৭তম আসর (প্রথম পর্ব)। শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) এই মাঠেই দেশের বৃহত্তম জুম্মার নামাজে লাখো মুসল্লির অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এদিকে নামাজের আগে ময়দানের বাইরে অজুর পানি সংকট দেখা দেয়। এতে বোতলজাত পানি কিনে অজু করেন অনেকে। এ ছাড়াও কিছু প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে মুসল্লিদের বিনামূল্যে পানি দেওয়া হয়। তবে ভ্রাম্যমাণ কিছু ব্যবসায়ী এক বদনা পানি ১০ টাকায় বিক্রি করেন মুসল্লিদের কাছে।  শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জুমার নামাজের আগে ইজতেমার আশপাশে এমন চিত্র দেখা গেছে। এ ছাড়াও জায়নামাজের জন্য পলিথিন, ফয়েল পেপার, কাগজ ১০ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায়।  ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের স্টেশন রোড এলাকায় মুসল্লিদের কাছে ১০ টাকা বদনা পানি বিক্রি করছিলেন মারফত আলী। তিনি বলেন, বছরের অন্যান্য সময় আমি রিকশা চালাই। ইজতেমায় টঙ্গী এলাকায় রিকশা চলাচল এক প্রকার বন্ধ থাকে। তাই অজুর পানি সরবরাহসহ মুসল্লিদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে উপার্জন করে থাকি।  মারফত আলী বলেন, এক মহিলার মাধ্যমে দূর থেকে কলস দিয়ে পানি এনে ড্রামে মজুত করে তা মুসল্লিদের কাছে প্রতি বদনা ১০ টাকায় বিক্রি করছি।  পাশেই খোলা পানি বোতলজাত করে মুসল্লিদের কাছে বিক্রি করছিলেন জাহাঙ্গীর আলম। তিনি খোলা পানি দুই লিটার বোতল ভরে ২০ টাকা দরে ইজতেমায় আসা মুসল্লিদের কাছে বিক্রি করেন। ইজতেমা ময়দানে জুমার খুতবা পাঠ শুরু হয় দুপুর ১টা ৩৭ মিনিটে। নামাজে ইমামতি করেন তাবলিগ জামাতের শীর্ষস্থানীয় মুরুব্বি এবং কাকরাইল মারকাজ মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা জুবায়ের। তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধের কারণে এবারও বিশ্ব ইজতেমা দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তাবলিগের আমির মাওলানা সাদ কান্ধলভীর বিরোধী পক্ষ মাওলানা জুবায়েরের অনুসারীরা ২, ৩ ও ৪ ফেব্রুয়ারি ইজতেমা করছেন। চার দিন বিরতির পর মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা ইজতেমা করবেন ৯, ১০ ও ১১ ফেব্রুয়ারি।   
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:৪৮

খালি পেটে এই পানি খেলে ওজন কমবে নিমিষেই
রান্নাঘরের মশলা কালোজিরা কোনও ওষুধের চেয়ে কম নয়। এতে অনেক ঔষধি গুণ রয়েছে, যা আমাদের শরীর থেকে অনেক রোগ দূর করতে সাহায্য করে। স্বাদে সামান্য তিতা হলেও হাজারো রোগের চিকিৎসায় শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে ভেষজ ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে কালোজিরা। কালোজিরা বিভিন্ন রকমভাবে ব্যবহার করা যায়। এতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, ফাইবার, অ্যামিনো অ্যাসিড, ভিটামিন বি-৬ এবং ভিটামিন বি-১২ পাওয়া যায়। এটি ওজন কমানোর জন্যও দারুণ কার্যকরী।  চিকিৎসকদের মতামত অনুযায়ী, কালোজিরা স্মৃতিশক্তি বাড়াতেও কাজ করে। এটি জয়েন্টের ব্যথাতেও উপকারি এবং এটি কোলেস্টেরলের মাত্রাও কমতে দারুণ কার্যকরী। এটি নিয়মিত খেলে শরীরকে অনেক রোগ থেকে রক্ষা পাবে। চিকিৎসকরা আরও জানান যে, কালোজিরা একটি গ্লাসে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন৷ তারপর সকালে উঠে তা ছেকে খেয়ে নিন৷ সকালে খালি পেটে এই পানি খেলে ওজনও কমবে তরতরিয়ে, শরীরও হবে চাঙ্গা। জেনে নিন কালোজিরার আরও গুণাগুণ- >> কালোজিরায় থাকা উচ্চ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করতে পারে। বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে, কালোজিরা খারাপ কোলেস্টেরল বা এলডিএল কমাতে সাহায্য করে।  >> ক্যানসারের ঝুঁকি কমায় কালোজিরা। বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের বিরুদ্ধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে কালোজিরা। >> কালোজিরায় থাকা সক্রিয় উপাদানগুলো প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত কালোজিরা খেলে ভালো থাকবে লিভার। >> রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে কালোজিরা। এতে রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান। নাক বন্ধ হয়ে যাওয়ার অস্বস্তি দূর করতে পারে এটি। আবার কালোজিরার তেল ইনহেলেশন অ্যালার্জির ক্ষেত্রেও কাজে দেয়। >> কালোজিরায় থাকা ক্যালসিয়াম ও আয়রন হাড় শক্ত করতে ও রক্তে হিমোগ্লোবিন ঠিক রাখতে সাহায্য করে। এক চা চামচ মধুর সঙ্গে এক চা চামচ কালোজিরার তেল মিশিয়ে খেলে সর্দি-কাশি থেকে রেহাই পাওয়া যায়। >> এ ছাড়া তুলসী পাতার রসের সঙ্গে মধু ও কালোজিরা মিশিয়ে খেলে গলা ব্যথা, জ্বর, সর্দি, কাশি কমে যায়।
৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ০৮:২২

‘ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে জনগণ আ.লীগকে বিজয়ী করেছে’
আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম বলেছেন, ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে জনগণ আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করে দেখিয়ে দিয়েছেন। জনগণ প্রমাণ করে দিয়েছেন এদেশের জনগণ জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ।  শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) বিকালে শরীয়তপুরের সখিপুরে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। পানি সম্পদ উপমন্ত্রী বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। ফলে মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠনের মাধ্যমে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। আর বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হয়ে বিশ্বে অনন্য রেকর্ড সৃষ্টি করেছেন।  তিনি বলেন, ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই দেশের উন্নতি হয়েছে। চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে দুর্বার ছুটে চলা এক বিশ্বনেত্রী শেখ হাসিনা। এক নতুন বাংলাদেশের রূপকার। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে বিপুল বিজয় এনে দিয়ে ক্যারিশমেটিক এ নেত্রী পঞ্চমবারের মতো দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে আরেক রেকর্ড গড়েছেন। তিনি আরও বলেন, নড়িয়া-সখিপুরের মানুষ প্রমাণ করেছে, তারা বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ ও নৌকার প্রশ্নে কখনো আপস করে নাই। আগামী দিনেও আমরা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে নড়িয়া-সখিপুরকে স্মার্ট এলাকায় রূপান্তরিত করবো, ইনশাআল্লাহ। সখিপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ভেদরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির মোল্যার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান মানিক সরকারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছাবেদুর রহমান খোকা সিকদার, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান এমএ কাইয়ুম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এরআগে সকাল থেকেই সখিপুর ও চরভাগা ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে কর্মকাণ্ড দেখেন এবং এলাকার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজখবর নেন এনামুল হক শামীম।
২৬ জানুয়ারি ২০২৪, ২১:০৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়