• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
বেতন নেবেন না পাকিস্তানের নতুন প্রেসিডেন্ট
দেশের অর্থনৈতিক সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি কোষাগার থেকে কোনো বেতন নেবেন না বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি।  মঙ্গলবার (১২ মার্চ) প্রেসিডেন্টের প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। ওই বিবৃতিতে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট রাষ্ট্রীয় খাজানার ওপর চাপ না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ জন্য তিনি প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রাপ্য বেতন গ্রহণ করবেন না। পাকিস্তানের ১৪তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে গত ৯ মার্চ শপথ নিয়েছেন ৬৮ বছর বয়সী জারদারি। জাতীয় কোষাগারের বোঝা না চাপিয়ে তিনি বিচক্ষণ আর্থিক ব্যবস্থাপনাকে উৎসাহিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে তার দল পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) জানিয়েছে।
১২ মার্চ ২০২৪, ২৩:৪০

প্রথা ভেঙে পাকিস্তানের ফার্স্ট লেডি হচ্ছেন প্রেসিডেন্ট কন্যা
সাধারণত একটি রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের স্ত্রীই সেখানকার ফার্স্ট লেডি হিসেবে বিবেচিত হন। কিন্তু এ প্রথা এবার ভাঙতে যাচ্ছেন পাকিস্তানের নতুন প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি। নিজ কন্যা আসিফা ভুট্টোকে পাকিস্তানের পরবর্তী ফার্স্ট লেডি হিসেবে ঘোষণা করতে যাচ্ছেন তিনি। মূলত স্ত্রী বেনজির ভুট্টো জীবিত না থাকার কারণেই এ সিদ্ধান্ত তার।  জারদারির দল পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) তথ্য সম্পাদক ফয়সাল করিম কুন্ডির বরাতে এ তথ্য দিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ।  সংবাদমাধ্যমটিকে কুন্ডি বলেছেন, ‘আসিফা ভুট্টোকে ফার্স্ট লেডি হিসেবে ঘোষণা করা হবে এবং এ বিষয়ে সরকারি ঘোষণা আসবে শিগগিরই।’ তিনি জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি পিপিপির নেতাদের সঙ্গে পরামর্শ করেই ৩১ বছর বয়সী আসিফা ভুট্টোকে ফার্স্ট লেডি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।  গতকাল সোমবার পাকিস্তানের ১৪ তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন আসিফ আলী জারদারি। পাকিস্তানের ইতিহাসে তিনিই একমাত্র বেসামরিক ব্যক্তি, যিনি দুই মেয়াদে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। এর আগে তিনি ২০০৮ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।  আসিফ আলী জারদারি পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টোর জামাতা। ভুট্টোর কন্যা বেনজির ভুট্টোর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন জারদারি। বেনজিরও দুই মেয়াদে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৭ সালে বেনজির আততায়ীর গুলিতে নিহত হন।  উল্লেখ্য, আসিফা ভুট্টো আসিফ আলী জারদারি-বেনজির ভুট্টো দম্পতির দ্বিতীয় সন্তান। তিনি ১৯৯৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন। ২০০৭ সালে মায়ের হত্যাকাণ্ডের ১ বছর পর পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট হন আসিফার বাবা জারদারি। সে সময় তার বয়স ছিল মাত্র ১৫ বছর। আসিফ আলী জারদারির সেই মেয়াদে পাকিস্তানের কোনও ফার্স্ট লেডি ছিল না।  স্ত্রীর জায়গায় অন্য কাউকে ফার্স্ট লেডি ঘোষণা করার ঘটনা পাকিস্তানের ইতিহাসে অবশ্য এই প্রথম নয়। এর আগে পাকিস্তানের প্রথম স্বৈরশাসক আইয়ুব খান ১৯৫৮ সালে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর তার কন্যা নাসীম আওরঙ্গজেবকে ফার্স্ট লেডি হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন।  পাকিস্তানের বাইরেও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে স্ত্রীর পরিবর্তে অন্য কাউকে ফার্স্ট লেডি মনোনীত করার ইতিহাস আছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড্রু জ্যাকসন তার ভাতিজি এমিলি ডোনেলসনকে ফার্স্ট লেডি মনোনীত করেছিলেন। এ ছাড়া, আরও দুই মার্কিন প্রেসিডেন্ট চেস্টার আর্থার ও গ্রোভার ক্লিভল্যান্ডের আমলে তাদের বোনেরা যুক্তরাষ্ট্রের ফার্স্ট লেডি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।  
১২ মার্চ ২০২৪, ১২:৩৪

পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট হলেন আসিফ আলী জারদারি
পাকিস্তানের ১৪তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) কো-চেয়ারম্যান আসিফ আলী জারদারি। এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো দেশটির প্রেসিডেন্ট হলেন তিনি। শনিবার (৯ মার্চ) পাকিস্তানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়। সংবিধান অনুযায়ী, পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ ও চারটি প্রাদেশিক পরিষেদের নবনির্বাচিত সদস্যরা নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করেন। ৬৮ বছর বয়সী আসিফ আলী জারদারি পিএমএলএন এবং পিপিপির যৌথ প্রার্থী হিসেবে প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচন করেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন সুন্নি ইত্তেহাজ কাউন্সিলের (এসআইসি) মাহমুদ খান আচাকজাই। নির্বাচনে আসিফ আলী জারদারি ২৫৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী পেয়েছেন ১১৯ ভোট। আসিফ আলী জারদারি এখন বর্তমান প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভীর স্থলাভিষিক্ত হবেন। গত বছর আরিফ আলভীর প্রেসিডেন্ট পদে থাকার মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। তবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ইলেকটোরাল কলেজ গঠিত না হওয়ায় তিনি আরও এক বছর দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে, জারদারি ২০০৮ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তিন পাকিস্তানের ইতিহাসে প্রথম বেসামরিক ব্যক্তি যিনি দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করতে যাচ্ছেন।
০৯ মার্চ ২০২৪, ২০:২৫

পাকিস্তানের সরকারকে স্বীকৃতি না দিতে মার্কিন আইন প্রণেতাদের আহ্বান
নির্বাচনে হস্তক্ষেপের তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত পাকিস্তানের নতুন সরকারকে স্বীকৃতি না দিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের কাছে লেখা এক চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের অন্তত ৩১ জন আইন প্রণেতা। এর আগে পাকিস্তানে ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে কারচুপি, নির্বাচনী সহিংসতা এবং দেশব্যাপী ইন্টারনেট বন্ধের ব্যাপক অভিযোগ ওঠে। অস্বাভাবিকভাবে বিলম্বিত ফলাফলের কারনে ভোটে কারচুপির অভিযোগও উঠেছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন নির্বাচনে অনিয়মের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলো এবং তদন্তের আহ্বান জানিয়েছিলো। এখন পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নাওয়াজ (পিএমএল-এন), পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) শাহবাজ শরীফকে প্রধানমন্ত্রী করে চারটি ছোট দলের মধ্যে একটি জোট সরকারের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। যদিও কারাবন্দী প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সমর্থিত প্রার্থীরা বেশিরভাগ আসন জিতেছে। সেনাবাহিনী কর্তৃক দমন-পীড়ন সত্ত্বেও ইমরান সমর্থিত প্রার্থীরা জাতীয় পরিষদে ৯৩টি আসনে জয়ী হলেও সরকার গঠনের মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা তাদের ছিল না। তিনি এবং তার দল নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ করে এবং কমপক্ষে ১৮০ টি আসন জয়ের দাবি করে। নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি এবং ফলাফল কারচুপি হয়েছে বলে অভিযোগ করে পাকিস্তানে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। বুধবার হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের ৩১ জন ডেমোক্র্যাট সদস্যের চিঠিতে বাইডেন ও ব্লিঙ্কেনের প্রতি ‘নির্বাচনে হস্তক্ষেপের পুঙ্খানুপুঙ্খ, স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত পাকিস্তানে নতুন সরকারের স্বীকৃতি না দেওয়ার’ আহ্বান জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক বক্তব্য বা কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার কারণে যাদেরকে আটক করা হয়েছে তাদের মুক্তি দিতে পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাতে। একই সাথে এ ধরনের ঘটনা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ ও তাদের মুক্তির পক্ষে কথা বলার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দিতে হবে বলেও চিঠিতে জানানো হয়েছে। আপিলের নেতৃত্বে ছিলেন প্রতিনিধি গ্রেগ কাসার এবং সুসান ওয়াইল্ড। স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে ছিলেন প্রতিনিধি প্রমীলা জয়পাল, রাশিদা তালিব, রো খান্না, জেমি রাসকিন, ইলহান ওমর, কোরি বুশ এবং বারবারা লি।  ‘গণতন্ত্র এবং সকল পাকিস্তানির স্বার্থে আমরা বাইডেন প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি যতক্ষণ না তদন্তে প্রমাণিত হয় যে নির্বাচনে কারচুপি হয়নি ততক্ষণ নতুন সরকারের স্বীকৃতি স্থগিত রাখতে,’ বলেন কাসার। আইন প্রণেতারা পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষকে এই বার্তা দেওয়ার তাৎপর্যের ওপর জোর দিয়ে বলেছেন যে, মার্কিন আইনে মানবাধিকার লঙ্ঘন, গণতন্ত্রকে দুর্বল করা বা দুর্নীতিকে উৎসাহিত করার জন্য জবাবদিহিতার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ফলাফল প্রকাশে বিলম্ব, নির্যাতনের ভিডিও প্রমাণ এবং ভোটের সংখ্যায় অসঙ্গতির কথা উল্লেখ করে তারা ভোট পরবর্তী কারচুপি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। আইন প্রণেতারা যুক্তি দেখিয়েছেন যে, পাকিস্তানে গণতন্ত্র রক্ষা করা এবং নির্বাচনের ফলাফলে অভিজাত ও সামরিক বাহিনীর পরিবর্তে জনগণের স্বার্থের সত্যিকারের প্রতিফলন নিশ্চিত করা মার্কিন স্বার্থের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তারা একটি বিস্তৃত তদন্ত এবং গণতান্ত্রিক নীতি মেনে চলার গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছেন। উল্লেখযোগ্য ভাবে, পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান ‘শক্তিমান’ সামরিক বাহিনীর সাথে বিরোধের পরে ২০২২ সালে ক্ষমতাচ্যুত হন এবং একাধিক মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে কারাগারে রয়েছেন। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। উপরন্তু, তার দলের বেশ কয়েকজন সদস্যকে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল এবং পিটিআইয়ের একটি নির্বাচনী প্রতীক ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছিল, যার অর্থ তাদের সদস্যরা কেবল স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারতেন। সাধারণ নির্বাচনের তিন সপ্তাহ পর বৃহস্পতিবার জাতীয় পরিষদের উদ্বোধনী অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। উভয় পক্ষের শোরগোল বিক্ষোভের মধ্যে ৩০২ জন সংসদ সদস্য প্রথম দিনে শপথ গ্রহণ করেন। পিটিআই সমর্থিত প্রার্থীরা যাদের বেশিরভাগই সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিলে (এসআইসি) যোগ দিয়েছেন, তারা ইমরান খানের মতো ফেসমাস্ক পরেছিলেন এবং তার মুক্তির দাবিতে ব্যানার বহন করেছিলেন। পিটিআইয়ের এমএনএ’রা ‘ইমরান খানকে মুক্তি দাও’, ‘বন্দী নম্বর ৮০৪’, ‘কে পাকিস্তানকে বাঁচাবে: ইমরান খান, ইমরান খান’ ইত্যাদি স্লোগান দিচ্ছিল। অন্যদিকে পিএমএল-এন নেতারা হাতঘড়ি পড়ে ইমরান খানের বিরুদ্ধে তোশাখানা মামলার প্রসঙ্গ তুলেছেন। বৃহস্পতিবার শপথ নেওয়া নাওয়াজ শরিফ ও শাহবাজ শরিফের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন পিটিআই সমর্থকরা।
০৬ মার্চ ২০২৪, ১৭:০০

ফের পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন পিএমএল-এনের সভাপতি শাহবাজ শরিফ। এতে তিনি ২৪তম প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন দেশটির। শাহবাজ শরিফ ২০১ ভোট পেয়েছেন। ইমরান খানের দল পিটিআইয়ের পক্ষে প্রধানমন্ত্রী পদে প্রার্থী ওমর আইয়ুব খান পেয়েছেন ৯২ ভোট। রোববার (৩ মার্চ) দেশটির জাতীয় পরিষদের স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিক এ ঘোষণা দেন। খবর দ্য ডন। এর আগে দুপুর ১২টার দিকে দেশটির ১৬তম সাধারণ নির্বাচনের প্রায় দু’মাস পর জাতীয় পরিষদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়। এই অধিবেশনের কেন্দ্রে ছিল ২৪তম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করতে সরাসরি ভোটগ্রহণ পর্ব। এবারের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের পেছনে পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি), মুতাহিদা কওমি মুভমেন্ট-পাকিস্তান (এমকিউএম-পি), ইস্তেহকাম-ই-পাকিস্তান পার্টিসহ ৭টি দলের সমর্থন পেয়েছেন।  পাকিস্তানে প্রধানমন্ত্রী হতে হলে কোনো প্রার্থীকে জাতীয় পরিষদের ৩৩৬ সদস্যের মধ্যে ১৬৯ জনের ভোট পেতে হয়। যদি প্রধানমন্ত্রী পদে দুইয়ের অধিক প্রার্থী থাকেন এবং কোনো প্রার্থীই সংখ্যাগরিষ্ঠতা (১৬৯ ভোট) পেতে ব্যর্থ হন; তবে আবারও ভোট নেয়ার বিধান রয়েছে। প্রথম দফায় সবচেয়ে বেশি ভোট পাওয়া দুজন পরবর্তী দফায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। যিনি ৫১ শতাংশ ভোট পাবেন, তিনি পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হবেন। দেশটির জাতীয় পরিষদে মোট ৩৩৬টি আসন রয়েছে। এর মধ্যে ৭০টি আসন সংরক্ষিত। নারীদের ৬০টি ও সংখ্যালঘুদের জন্য ১০টি। তবে সংরক্ষিত আসনের সদস্য নির্বাচন ছাড়াই আজ প্রধানমন্ত্রী পদে ভোট হয়। মিয়া মুহাম্মদ শাহবাজ শরীফ জন্ম ২৩ সেপ্টেম্বর ১৯৫১। ২০২২ সালের ১০ এপ্রিল অনাস্থা ভোটে হেরে ইমরান খান ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর ১১ এপ্রিল তিনি প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। এর আগে তিনি পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বিশিষ্ট রাজনৈতিক শরীফ পরিবারের সদস্য, তিনি মিয়া শরীফ এবং পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের ভাই, যিনি পাকিস্তান মুসলিম লীগের (এন) সভাপতিও ছিলেন। শাহবাজ শরীফ ১৯৮৮ সালে পাঞ্জাব প্রাদেশিক পরিষদে নির্বাচিত হন এবং ১৯৯০ সালে জাতীয় পরিষদে নির্বাচিত হন। ১৯৯৩ সালে তিনি আবার পাঞ্জাব অধিবেশনে নির্বাচিত হন এবং বিরোধীদলীয় নেতা হন। ১৯৯৭ সালে তৃতীয়বারের মত নির্বাচন করে শরিফ ২০০৫ সালে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। ১৯৯৯ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর শরিফ কিছু বছর সৌদি আরবে স্ব-নির্বাসনে যান এবং ২০০৭ সালে পাকিস্তানে আসেন। ২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে প্রদেশের পিএমএল-এন বিজয়ী হওয়ার পর শরীফ দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নিন। ২০১৩ সালে তিনি তৃতীয়বার পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হন।
০৩ মার্চ ২০২৪, ১৭:২৪

পাকিস্তানের নবগঠিত সরকারকে স্বীকৃতি না দিতে বাইডেনকে চিঠি
পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচনের ২১ দিন পর জাতীয় পরিষদের উদ্বোধনী অধিবেশন শুরু হয় গতকাল বৃহস্পতিবার। অধিবেশনের প্রথম দিনে ব্যাপক হট্টগোল আর বিক্ষোভের মধ্যে শপথ নেন পার্লামেন্টের নতুন সদস্যরা। এদিকে দুদিন বাদেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের নবগঠিত সরকারকে স্বীকৃতি না দিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে চিঠি লিখেছেন মার্কিন কংগ্রেসের ৩১ জন সদস্য। একই অনুরোধ জানিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকেও।  শুক্রবার (১ মার্চ) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে আন্তর্জাতিক বার্তাসংস্থা রয়টার্স। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে লেখা এক চিঠিতে মার্কিন কংগ্রেসের ৩১ জন সদস্য স্বাক্ষর করেছেন। এতে নির্বাচনে হস্তক্ষেপ ও জালিয়াতির সুষ্ঠু তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত পাকিস্তানের নতুন সরকারকে স্বীকৃতি না দিতে অনুরোধ জানিয়েছেন তারা। চিঠিতে এই অনুরোধের পাশাপাশি রাজনৈতিক বক্তৃতা বা কার্যকলাপে জড়িত থাকার জন্য যাদের আটক করা হয়েছে তাদেরকে মুক্তি দিতে পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করার জন্য বলা হয়েছে। এছাড়া মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তাদের এই ধরনের মামলার তথ্য সংগ্রহ করার এবং তাদের মুক্তির পক্ষে সোচ্চার হওয়ার অনুরোধও জানানো হয়েছে চিঠিতে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেনকে লেখা চিঠিটিতে কংগ্রেসম্যানরা আরও অনুরোধ জানিয়েছেন, পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষকে যেন স্পষ্ট করে বলে দেওয়া হয় যে, নির্বাচনে সহিংসতা ও জালিয়াতির ব্যাপারে প্রাসঙ্গিক কোনও পদক্ষেপ না নেওয়া হলে যুক্তরাষ্ট্র তার সামরিক ও অন্যান্য সহযোগিতা স্থগিতের মতো পদক্ষেপ ব্যবহার করতে পারে। রয়টার্স বলছে, মার্কিন হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের ৩১ জন ডেমোক্র্যাটিক সদস্যের স্বাক্ষরিত ওই চিঠির নেতৃত্বে রয়েছেন প্রতিনিধি গ্রেগ ক্যাসার এবং সুসান ওয়াইল্ড। স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে আরও আছেন প্রমিলা জয়পাল, রাশিদা তালাইব, রো খান্না, জেমি রাসকিন, ইলহান ওমর, কোরি বুশ এবং বারবারা লির মতো আইনপ্রণেতারা। প্রসঙ্গত, গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানি অনুষ্ঠিত নির্বাচনের দিনে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধের পাশাপাশি ভোট ঘনিয়ে আসার আগে গ্রেপ্তার, সহিংসতা এবং ভোটগ্রহণের পর অস্বাভাবিক বিলম্বিত ফলাফল ঘোষণার পর ভোটে ব্যাপক কারচুপি অভিযোগ ওঠে। পরে দেশটির নির্বাচনী অনিয়ম সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করে তদন্তের আহ্বান জানায় যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তবে, নির্বাচনের পূর্ণ ফল ঘোষণার আগেই আবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, পাকিস্তানে যারাই সরকার গঠন করুক, তাদের সঙ্গে কাজ করবে যুক্তরাষ্ট্র।   
০১ মার্চ ২০২৪, ১৪:৫০

পাকিস্তানের সরকার গঠন হতে পারে ২৭ ফেব্রুয়ারি
পাকিস্তানে ২৭-২৮ ফেব্রুয়ারি চুড়ান্তভাবে জোট সরকার গঠন করা হতে পারে। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নেওয়াজ দলের সঙ্গে জোট সরকার গঠনের দাবি করেছেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) নেতা কামার জামান কাইরা। এ খবর জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডন। জিও নিউজের অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সাবেক উপদেষ্টা শাহজেব খানজাদা বলেন, জাতীয় পরিষদের অধিবেশনের অনেক দিন বাকি আছে। এটি ২৯ তারিখে হতে হবে। তাই ফেব্রুয়ারির ২৮ কিংবা ২৭ তারিখে সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত হতে পারে। সংবাদমাধ্যম ডন প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তানের বড় দুটি দল জোট সরকার গঠনে হিমশিম খাচ্ছে। ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে কোনও দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি। তাই জোট সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের পিএমএল-এন ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির দল পিপিপি।  
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৬:১৭

পাকিস্তানের নির্বাচনের ফলাফল নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণে হোয়াইট হাউস
হোয়াইট হাউস বলেছে, পাকিস্তানে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনের সময় ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন ও দমনের খবরে তারা উদ্বিগ্ন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সেখানকার পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। হোয়াইট হাউস থেকে বলা হয়েছে, আমরা উদ্বিগ্ন, ভোটারদের দমন পীড়ন ইত্যাদি বিষয়ে আমরা পাকিস্তান থেকে যেসব প্রতিবেদন শুনেছি তা নিয়ে আমাদের উদ্বেগ জানাচ্ছি। সুতরাং, আমরা পাকিস্তানের পরিস্থিতি খুব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। হোয়াইট হাউসে জাতীয় সুরক্ষা কাউন্সিলের কৌশলগত যোগাযোগের সমন্বয়ক জন কিরবি এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আমি যতটুকু বুঝেছি, এখনো ভোট গণনা হচ্ছে, তাই আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা এখনো এসব হিসাব দেখছেন। এক প্রশ্নের জবাবে কিরবি বলেন, আমি এই প্রক্রিয়ার আগে কোন কথা বলব না। ভারতীয় আমেরিকান কংগ্রেসম্যান রাজা কৃষ্ণমূর্তি, যিনি হাউস চায়না কমিটির কো-চেয়ার, বিজয়ীর স্বীকৃতি বিলম্বিত করার জন্য স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। বিবৃতিতে কৃষ্ণমূর্তি বলেন, বৃহস্পতিবারের নির্বাচনের ফল পাল্টে দিতে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ভোট কারচুপি ও সহিংসতায় লিপ্ত রয়েছে এমন অসংখ্য খবরে আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। পাকিস্তানের নির্বাচনের ফলাফলে অবশ্যই দেশটির জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হতে হবে, সেনাবাহিনীর নয়। প্রতিটি ভোট যাতে সুষ্ঠু ও নির্ভুলভাবে গণনা করা হয় এবং যেকোনো মূল্যে সহিংসতা প্রতিরোধ করা যায় তা নিশ্চিত করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো জরুরি। কৃষ্ণমূর্তি বলেন, যেহেতু আমরা পাকিস্তানের ফলাফল পর্যবেক্ষণ অব্যাহত রেখেছি, তাই আমি স্টেট ডিপার্টমেন্টকে এই অভিযোগগুলো পুরোপুরি পর্যালোচনা না করা পর্যন্ত বিজয়ীকে স্বীকৃতি দিতে বিলম্ব করার আহ্বান জানাচ্ছি।
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:৫৪

কারচুপি স্বীকার করায় পাকিস্তানের নির্বাচনী কর্মকর্তা আটক
গত ৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়েছে পাকিস্তানের জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে কারচুপির দায় স্বীকার করে পদত্যাগ করা রাওয়ালপিন্ডি ডিভিশনের কমিশনার লিয়াকত আলী চাতা আটক হয়েছেন। রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সংবাদমাধ্যম ডনের প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে। শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) চাতা তার পদ থেকে সরে দাঁড়ান। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংবাদ সম্মেলনে পদত্যাগের পর পুলিশের কাছে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন লিয়াকত আলী চাতা। পরে তার অফিসে অভিযান চালায় পুলিশ। এরপর সেটি বন্ধ করে দেয়। প্রশাসন রেকর্ড জালিয়াতি ঠেকাতে অফিসটি বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বলে জানান স্থানীয় এক কর্মকর্তা। পুলিশের একজন মুখপাত্রের বরাত দিয়ে ডন জানায়, চাতাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তাকে পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে। নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সামগ্রী ও তথ্য-উপাত্ত সুরক্ষিত এবং নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছে রাওয়ালপিন্ডি জেলা প্রশাসনের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সংবাদ সম্মেলনে লিয়াকত আলী চাতা বলেন, গত ৮ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনে ভোট জালিয়াতি হয়েছে, আমি নিজেও বিষয়টির সঙ্গে জড়িত। শুধু অনিয়ম ও ফলাফল ঘোষণায় বিলম্ব হওয়াকে তিনি নিতান্তই কম। নির্বাচনে অনেক বড় জালিয়াতি হয়েছে। অনেক স্বতন্ত্র প্রার্থী আছেন যারা ৭০ থেকে ৮০ হাজার ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে ছিলেন এবং তাদের আমরা জাল ভোট দিয়ে হারিয়ে দিয়েছি। এমন অনেক প্রার্থী আছেন যারা হেরে যেতেন; কিন্তু তাদের আমরা ভোট জালিয়াতি করে জিতিয়ে দিয়েছি।
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:৩১

পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টে নির্বাচন বাতিলের শুনানি সোমবার
গত ৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়েছে পাকিস্তানের জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচন। এই নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ তুলেছে দেশটির কারাবন্দী নেতা ইমরান খানের দল পিটিআইসহ বেশ কয়েকটি দল। নির্বাচনে কোনো দলই এককভাবে সরকার গঠনের মতো আসন পায়নি। তবে, সর্বোচ্চ আসন লাভ করা পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পাশ কাটিয়ে সরকার গঠনের তোড়জোড় শুরু করেছে সেনা সমর্থনপুষ্ট নওয়াজ শরীফের পিএমএল-এন। এদিকে পিটিআই সমর্থকদের বিক্ষোভ ও তৃতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ দল পিপিপির পক্ষবদলসহ বিভিন্ন গুঞ্জন আর ঘটনায় ক্ষণে ক্ষণে নতুন মোড় নিচ্ছে পাকিস্তানের নির্বাচন পরবর্তী পরিস্থিতি।      উদ্ভূত পরিস্থিতির মধ্যেই আগামী সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) নির্বাচন বাতিল ও অবৈধ ঘোষণা করার একটি আবেদনের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়ে যাচ্ছে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টে। শুনানিতে তিন সদস্যের একটি বেঞ্চের নেতৃত্ব দেবেন দেশটির প্রধান বিচারপতি কাজী ফায়েজ ইশা। বেঞ্চের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মুহাম্মাদ আলী মাজহার এবং বিচারপতি মুশারাত হিলালি। খবর জিও নিউজের।  শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তানভিত্তিক সংবাদমাধ্যমটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভোট ডাকাতি ও প্রতারণার অভিযোগ তুলে নির্বাচন বাতিল ও অকার্যকর ঘোষণা করার জন্য একটি পিটিশন দায়ের করেছিলেন আলী খান নামে এক পাকিস্তানি নাগরিক। আবেদনে নির্বাচন বাতিল করে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে আরেকটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিও জানান তিনি। সেইসঙ্গে নতুন নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে এবং বিশ্বাসযোগ্যতার জন্য বিচার বিভাগের হস্তক্ষেপ ও নজরদারির আবেদনও করেন ওই ব্যাক্তি।  প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাধারণ নাগরিকের ওই পিটিশনে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে জবাবদিহি করার আবেদন জানানো হয়েছে। পাশাপাশি মামলাটির নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নতুন সরকার গঠনে স্থগিতাদেশও চাওয়া হয়েছে।  এদিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের নির্দেশে আগামীকাল শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তান জুড়ে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে পিটিআই।  
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:০১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়