• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রস্তুতি নিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ
ডেঙ্গু মশা নিয়ন্ত্রণে আগেভাগেই প্রস্তুতি নিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য বিভাগ। এনিয়ে সোমবার বৈঠক করেন দেশটির স্বাস্থ্যসচিব। সেখানে স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মকর্তারা, সব জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা, সেচ, পঞ্চায়েত এবং পৌর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। ‍সূত্র- আনন্দবাজার। বৈঠকে স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম নির্দেশ দেন, প্রতিটি জেলার হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ডেঙ্গু পরীক্ষা এবং চিকিৎসার পরিকাঠামো প্রস্তুত রয়েছে কি না, তা দেখেতে। মশাবাহিত ওই রোগ প্রতিরোধে যেসব প্রশিক্ষণ রয়েছে, সেগুলো দ্রুত শুরু করতে। পাশাপাশি, সেচ দপ্তরকে রাজ্যের প্রতিটি খালের দিকে নজর রাখতে। যাতে কোথাও পানির প্রবাহ থমকে না যায়। মশা রোধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে পঞ্চায়েত এবং পৌর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরকে। গত জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে ১ লাখ ২৩ হাজার ৭৪০ জনের ডেঙ্গু পরীক্ষা হয়েছে। তাতে ৮১৩ জনের পজিটিভ এসেছে। গত বছর এই সময়ে (১৪ সপ্তাহ) আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১০১৭। পরীক্ষা হয় ১ লাখ ৩০ হাজার ৩৯৯ জনের। আক্রান্তের সংখ্যা দেখে আপাতত স্বস্তি মিললেও এখনই নিশ্চিন্ত হওয়ার মতো পরিস্থিতি আসেনি জানিয়ে স্বাস্থ্যকর্তারা বলেন, এখনই বলা যাচ্ছে না, এ বারে ডেঙ্গুর প্রকোপ কম কি না। জুলাই, আগস্ট, সেপ্টেম্বর- এই তিন মাস খুব গুরুত্বপূর্ণ। যদি বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি বেশি হয়, তা হলে সমস্যা বাড়বে বলে ধারণা করছে তারা। গত বছর পশ্চিমবঙ্গে ১ লাখ ১ হাজার ৭৪ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন। যা গত ১২ বছরের মধ্যে সর্বাধিক। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটেও ডেঙ্গুর ওপরে জোর দিয়েছে রাজ্য সরকার।
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৩৩

ফেসবুকে ভিডিও দেখে বাংলাদেশি তরুণকে পশ্চিমবঙ্গ থেকে উদ্ধার
ফেসবুকে ভিডিও দেখে এক বছর আগে নিখোঁজ হওয়া মানসিক ভারসাম্যহীন বাংলাদেশি তরুণ মঞ্জুরুল হককে (২২) ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে রাজশাহীতে মঞ্জুরুলকে তার বাবা হালিম উদ্দিনের হাতে তুলে দেয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। তাদের বাড়ি ময়মনসিংহয়ের ধোবাউরা উপজেলার হাজংপাড়া গ্রামে। জানা গেছে, গত বছরের রমজান মাসে হাজংপাড়া গ্রাম থেকে নিখোঁজ হন মঞ্জুরুল। ওই গ্রামের সীমান্তের ওপারে ভারতের মেঘালয়ের তুরাং এলাকা। তবে মঞ্জুরুলকে পাওয়া গেছে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার মুক্তারপুর এলাকায়। সম্প্রতি ‘বিটি টিভি’ নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে মঞ্জুরুলের একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়। ভিডিওতে একজনকে বলতে শোনা যায়, ‘দেখুন তো চিনতে পারেন কিনা ছেলেটিকে। হয়তোবা আপনাদের আশপাশের কোনো গ্রামের ছেলে। মুখে পুরো ঠিকানা বলতে পারছে না সে।’ মঞ্জুরুলের বাবা হালিম উদ্দিন জানান, তার গ্রামের এক বাসিন্দা ফেসবুকে মঞ্জুরুলের ভিডিও দেখে তাকে জানিয়েছিলেন। তখন তিনি বিষয়টি স্থানীয় বিজিবি ক্যাম্পে জানান। বিজিবির কর্মকর্তারা ওই ভিডিও দেখে বুঝতে পারেন, মঞ্জুরুল পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলায় রয়েছেন। তখন ময়মনসিংহ থেকে রাজশাহী বিজিবি ব্যাটালিয়নে যোগাযোগ করা হয়। পরে পশ্চিমবঙ্গ থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। তিনি বলেন, আমার ছেলে মঞ্জুরুলের মাথায় সমস্যা আছে। তিন বছর তাকে ওষুধ খাইয়েছি। এরপর অর্থের কারণে আর ওষুধ খাওয়াতে পারিনি। সে নিখোঁজ হওয়ার পর অনেক খোঁজাখুঁজি করেও পাইনি। পরে কবিরাজের কাছে গিয়েছিলাম। কবিরাজ একবার বলে ছেলে ঢাকা গেছে, আরেকবার বলে এখানে গেছে, ওখানে গেছে। কিন্তু ছেলেকে আর পাইনি। এখন বিজিবি আমার ছেলেকে এনে দিয়েছে। সেজন্য তাদের ধন্যবাদ জানাই। এ বিষয়ে রাজশাহী ১ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মতিউল ইসলাম মণ্ডল এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, মঞ্জুরুল হক নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি জানার পর বিজিবি রাজশাহী ব্যাটালিয়ন ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে। একাধিকবার যোগাযোগের পর ১৮ মার্চ বিএসএফের পক্ষ থেকে  ছেলেটির সন্ধান পেয়েছে বলে জানায়। এরপর মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাজশাহী ব্যাটালিয়নের (১ বিজিবি) অধীন চরমাজারদিয়া বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার সীমান্ত পিলার ১৬৫/৪-এস এর কাছে ৭৩ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কাহারপাড়া ক্যাম্প কমান্ডারের মধ্যে পতাকা বৈঠক হয়। এ সময় মঞ্জুরুল হককে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়।
২১ মার্চ ২০২৪, ১৩:০৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়