• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo
আড়াই মাসে ডেঙ্গুতে ২০ মৃত্যু, পরিস্থিতি আরও খারাপের শঙ্কা
দেশের ইতিহাসে গত বছর ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। কিন্তু চলতি বছর ডেঙ্গুর ‘পিক সিজন’ আসার আগেই গত আড়াই মাসে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ অবস্থায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ মাসের ১৯ তারিখ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এক হাজার ৫০০ ছাড়িয়েছে। এরমধ্যে এই সময়ে মারা গেছেন ২০ জন। এরমধ্যে নয়জন পুরুষ এবং ১১ জন নারী। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা বলেন, ২০০০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গুতে ৮৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল। কিন্তু শুধু গত বছরই ডেঙ্গুতে ১ হাজার ৭০৫ জন মারা গেছেন। চলতি বছরের প্রথম আড়াই মাসে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে বেশি।  তিনি আরও বলেন, মশা নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়া না হলে চলতি বছর ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব গত বছরের চেয়ে বেশি হওয়ার আশঙ্কা আছে। এদিকে, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া নির্মূলে করণীয় বিষয়াদি নিয়ে মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মেয়রের সঙ্গে বৈঠক করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন। বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সরকারের একার পক্ষে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। নাগরিকদের মশা নিধনে সক্রিয় হতে হবে। এ সময় ডেঙ্গু রোগীদের যথাযথ ও সময়মতো চিকিৎসাসেবা দিতে দেশের সব হাসপাতাল প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, গত বছর যেভাবে ডেঙ্গুর বিস্তার ছিল এতেই বোঝা যায়, এবার আগে থেকেই সতর্ক না হয়ে কোনো উপায় নেই।  বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান জানান, ডেঙ্গু এখন সিজনাল নেই, সারা বছরই হচ্ছে। বৃষ্টি শুরু হলে এটা বাড়ছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশা নিরোধক ওষুধ ব্যবহারের পাশাপাশি সিটি করপোরেশনে পক্ষ থেকে সব জায়গায় প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। একই সঙ্গে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। কীটতত্ত্ববিদ ড. মনজুর চৌধুরী বলছেন, মশানিধনে শুধু জেল-জরিমানা আর জনসচেনতনা বাড়িয়ে কাজ হবে না। সঠিকভাবে জরিপ চালিয়ে দক্ষ জনবল দিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। উল্লেখ্য, গত বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন। এরমধ্যে মারা গেছেন এক হাজার ৭০৫ জন।
২০ মার্চ ২০২৪, ১৮:০৭

নির্বাচন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণহীন হলেই ভোট বন্ধ : ইসি
দুই সিটি, পৌরসভা, জেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি ভালো আছে, তবে নিয়ন্ত্রণের বাইরে গেলে ভোট বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। বুধবার (৬ মার্চ) নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে তিনি এসব কথা বলেন। ইসি মো. আলমগীর বলেন, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা সিটির সঙ্গে ৯ মার্চ পৌরসভা, জেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনও আছে। সার্বিক পরিস্থিতি ভালো আছে, তবে নিয়ন্ত্রণের বাইরে গেলে ভোট বন্ধ করে দেওয়া হবে। তিনি বলেন, আমাদের প্রস্তুতি সব দিক থেকেই ভালো। আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের অংশ হিসেবে চাহিদা অনুযায়ি ফোর্স ও অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত আমাদের মূল্যায়ন পরিবেশ ভালো। আশা করি, নির্বাচন ভালোভাবেই হবে। দুই সিটির নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, দুই সিটি নির্বাচনে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হবে, এ ধরনের তথ্য আমাদের কাছে নাই। তারপরও সতর্কতা হিসেবে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন থেকে তারা যে অতিরিক্ত ফোর্স চেয়েছে সেভাবে দিয়েছি। নিয়ন্ত্রণের বাইরে পরিস্থিতি চলে গেলে কেন্দ্রের নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তারা বন্ধ না করলে আমরা (কমিশন) বন্ধ করে দেব। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) প্রসঙ্গে মো. আলমগীর বলেন, এ প্রকল্পে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কোনো বরাদ্দ না থাকায় জনবল রাখা হয়নি। এগুলো কর্মকর্তাদের দিয়েই মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির সহায়তায় রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকি। জনবল এবং আর্থিক সীমাবদ্ধতা থাকায় অনেকগুলো ইভিএমই কাজ করছে না। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সচলগুলোকে ব্যবহারের জন্য পাঠানো হচ্ছে।
০৬ মার্চ ২০২৪, ১৭:৫৫

গাজার পরিস্থিতি ‘একেবারেই অগ্রহণযোগ্য’ : ব্লিঙ্কেন
গাজা উপত্যকার বর্তমান পরিস্থিতি ‘একেবারেই অগ্রহণযোগ্য’ বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।  ওয়াশিংটনে কাতারের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান বিন জসিম আল থানির সঙ্গে ষষ্ঠ কাতার-যুক্তরাষ্ট্র কৌশলগত সংলাপের উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।  মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইসরায়েলকে অবশ্যই যাদের প্রয়োজন তাদের কাছে সহায়তা পৌঁছানোর জন্য সম্ভাব্য প্রতিটি উপায় এবং সম্ভাব্য প্রতিটি পদ্ধতি সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে হবে। ফিলিস্তিনের জনগণকে আরও ত্রাণ সরবরাহের জন্য যুক্তরাষ্ট্র প্রতিদিনই ইসরায়েলকে ‘চাপ দেবে’ জানান অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। লোহিত সাগরে জাহাজ লক্ষ্য করে ইয়েমেনে হুতিদের অব্যাহত হামলার নিন্দা জানিয়ে ব্লিঙ্কেন এই অঞ্চলের পরিবেশ ও খাদ্য নিরাপত্তার ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়ার কথা উল্লেখ করেন। এসময় শেখ জসিম আল থানি বলেন, গাজায় যুদ্ধবিরতি পেতে, সব বন্দীকে ফেরাতে এবং এই অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি অর্জনে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করবে কাতার।
০৫ মার্চ ২০২৪, ২৩:৫২

মাতৃভাষা দিবস / যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় র‍্যাব প্রস্তুত
মাতৃভাষা দিবস ঘিরে কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই, তারপরও যেকোনো উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবিলায় র‍্যাবের স্পেশাল ফোর্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে জানিয়েছেন সংস্থাটির মহাপরিচালক অতিরিক্ত আইজিপি এম. খুরশীদ হোসেন। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। খুরশীদ হোসেন বলেন, সব ধরনের বিশৃঙ্খলা ও যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি রোধে আজ (মঙ্গলবার) থেকে সারাদেশে র‍্যাব সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে র‍্যাবের সাদা পোশাকধারীরা গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনা করছে।  তিনি আরও বলেন, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পাশাপাশি র‍্যাবের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও ডগ স্কোয়াড প্রয়োজনীয় সুইপিং করবে। ‘এ ছাড়া র‍্যাবের হেলিকপ্টার সার্বক্ষণিকভাবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বিভিন্ন এলাকার রাস্তায় চেকপোস্ট স্থাপনের মাধ্যমে সন্দেহজনক ব্যক্তিদের তল্লাশি করা হবে।’ র‍্যাব মহাপরিচালক বলেন, ভার্চুয়াল জগতে উসকানিমূলক ও মিথ্যা তথ্য ছড়ানো রোধে র‍্যাবের সাইবার ইউনিট অনলাইনে নজরদারি অব্যাহত রাখবে। র‍্যাব সদর দপ্তরের কন্ট্রোল রুম থেকে সারাদেশের ব্যাটালিয়নগুলোতে মনিটরিং করা হবে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সাতটি সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে, যা ৩৬০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে কাজ করবে বলেও জানান এম খুরশীদ হোসেন।
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:০২

তুমব্রু সীমান্তে পরিস্থিতি স্বাভাবিক, ফিরছেন স্থানীয়রা
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্ত পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক। বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত এলাকায় গোলাগুলির আতঙ্কে ও আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া স্থানীয় বাসিন্দারা ফিরেছেন নিজ নিজ গ্রামে। এদিকে সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) মিয়ানমারে চলমান সংঘাতের জে‌রে সীমান্তের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছেন স্থানীয় প্রশাসন। সোমবার দুপু‌রে ঘুমধুম সীমান্ত পরিদর্শন করেছেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলাম ও চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নুরে আলম মিনা। নাইক্ষ্যংছড়ি ঘুমধুম সীমান্তের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেছেন তারা। এ সময় চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলাম বলেন, আমরা প্রথ‌মে বান্দরবান সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করেছি। তবে আমরা এখানে কোনো সমস্যা দেখ‌তে পাইনি। আমার মনে হচ্ছে যে বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এরআগে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমের তুমব্রু সীমান্তে শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাতে থেমে থেমে গোলাগুলি ও ভারী গোলাবর্ষণের শব্দ শোনা গিয়েছিল। তবে রোববার রাতে কোনো ধরনের গোলাগুলির শব্দ শুনতে পাননি বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয়রা বলছেন, মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সাথে বিদ্রোহী আরকান আর্মির তুমুল সংঘর্ষে সীমান্তে থেমে থেমে গোলাগুলি ও বোমার আওয়াজ শোনা যাচ্ছিল। সীমান্তের ৩৩ নম্বর পিলার, ঘুমধুম ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড তুমব্রু পশ্চিমকূলে মিয়ানমার অভ্যন্তরে গোলাগুলির আওয়াজে কেঁপে ওঠে সীমান্ত লাগুয়া গ্রাম। গোলাগুলির শব্দে অনেকটা নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন সীমান্তে বসবাসকারীরা। গোলাগুলির ঘটনায় আতঙ্কে ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু, কোনারপাড়া, ভাজাবনিয়া ও বাইশফাড়ি এলাকার শত শত পরিবার নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যায়। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জনসাধারণের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে উত্তর ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি আশ্রয়কেন্দ্রে হিসেবে ঘোষণা করে জেলা প্রশাসন। আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় গ্রহণ করেন ২৮টি পরিবারের ১৪০ জন সদস্য। পরিস্থিতির অবনতির প্রেক্ষিতে গত ২৯ জানুয়ারি সীমান্তের কাছাকাছি ১টি মাধ্যমিক ও ৫টি প্রাথমিকসহ ৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে জেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ। ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর আজিজ গণমাধ্যমকে বলেন, সীমান্তের পরিস্থিতি আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হচ্ছে। তবে মাঝে মধ্যে গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। অপরদিকে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবদুল মান্নান গণমাধ্যমকে জানান, পরিস্থিতি ভালোর পথে তাই কয়েকদিনের মধ্যেই বন্ধ স্কুলে পাঠদান শুরু হবে।
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:৫৪

সীমান্ত পরিস্থিতি বিজিবির নিয়ন্ত্রণে : মহাপরিচালক
বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী জানিয়েছেন, সীমান্ত পরিস্থিতি সম্পূর্ণ বিজিবির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্ত পরিদর্শনকালে কক্সবাজারে তিনি এ কথা বলেন। বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মেনে ধৈর্য ধারণ করে, মানবিক এবং আন্তর্জাতিক সুসম্পর্ক বজায় রেখে পরিস্থিতি মোকাবিলার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি।  তিনি বলেন, অবৈধভাবে আর একজনকেও বাংলাদেশে ঢুকতে দেওয়া হবে না। দেশ মাতৃকার সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সীমান্তে যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজিবি সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত রয়েছে। এদিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তুমব্রু সীমান্তে যান বিজিবি মহাপরিচালক। এরপর তিনি সেখান থেকে তমব্রু বিওপিতে যান। সেখানে তিনি সার্বিক কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। পরে তিনি মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সংঘর্ষে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি), মায়ানমার সেনাবাহিনী, ইমিগ্রেশন সদস্য, পুলিশ ও অন্যান্য সংস্থার সকল সদস্যদের খোঁজ খবর নেন। উল্লেখ্য, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সংঘাতময় পরিস্থিতিতে কক্সবাজারের টেকনাফ হোয়াইক্যং সীমান্ত দিয়ে জীবন বাঁচাতে দেশটির ৩২৭ জন বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:৩৫

বেলুচিস্তান পরিস্থিতি নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করল বিএসি
বালুচ আমেরিকান কংগ্রেস (বিএসি) মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে একটি চিঠি লিখেছে এবং বেলুচিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে তার জরুরি মনোযোগ চেয়েছে। বিএসি ‘জোরালো ভাবে’ বাইডেনকে বেলুচ জনগণের জন্য ন্যায়বিচার চাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে। জোরপূর্বক গুম, বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড এবং বেলুচিস্তানে চলমান গণহত্যার বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিএসি। চিঠিতে বিএসি বলেছে, গত ছয় মাসে বেলুচিস্তানে সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জোরপূর্বক গুম এবং বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বাইডেনকে লেখা চিঠিতে বিএসি বলেছে, বেলুচিস্তানের পরিস্থিতি আপনার জরুরি মনোযোগ দাবি করে। আপনার হস্তক্ষেপ অনেক জীবন বাঁচাতে পারে এবং অগণিত ব্যক্তি যারা নিখোঁজ হয়েছেন তাদের দুর্দশা লাঘব করতে পারে। বেলুচ জনগণের ন্যায়বিচার চাওয়ার জন্য আমরা আপনার কাছে দৃঢ়ভাবে অনুরোধ করছি। তা করতে ব্যর্থ হলে তা হবে তাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা। যারা একটি স্বীকৃত দুর্বৃত্ত রাষ্ট্রের সামরিক প্রতিষ্ঠানের ভারে পিষ্ট হচ্ছে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, কোনো ব্যক্তি বা রাষ্ট্র আন্তর্জাতিক আইনের ঊর্ধ্বে নয়। বেলুচিস্তানে মানবাধিকারের গুরুতর লঙ্ঘনের জন্য দায়ীদের অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে। এক্স-এর একটি পোস্টে বেলুচ আমেরিকান কংগ্রেস বলেছে, বেলুচ আমেরিকান কংগ্রেস মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে একটি খোলা চিঠি লিখেছে। চিঠিতে তারা পাকিস্তান রাষ্ট্র কর্তৃক পরিচালিত জোরপূর্বক নিখোঁজ, বিচার বহির্ভূত হত্যা এবং বেলুচিস্তানে বেলুচ গণহত্যার বিষয়ে তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলোর তথ্য উদ্ধৃত করে বেলুচ আমেরিকান কংগ্রেস চিঠিতে উল্লেখ করেছে, ২০২৩ সালের জুন থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বেলুচিস্তানে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও লেখকসহ ২৭৪ জন নিখোঁজ হয়েছেন। বিএসি দাবি করেছে, পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির (আইএসআই) সদস্যরাই গুমের এসব ঘটনা ঘটিয়েছে। চিঠিতে বিএসি আরও উল্লেখ করেছে, উপরন্তু, পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী সমর্থিত ‘ডেথ স্কোয়াড’ এবং প্রক্সি ধর্মীয় সংগঠনগুলি তাদের কার্যক্রম তীব্রতর করেছে। যার ফলে বেলুচিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চল জুড়ে মানবাধিকার রক্ষাকর্মী এবং সামাজিক-রাজনৈতিক নেতাদের প্রতিদিন হত্যা ও অপহরণ করা হচ্ছে। এসব সশস্ত্র গোষ্ঠী রাজনৈতিক কর্মীদের অপহরণ, নির্যাতন ও ছিন্নভিন্ন লাশ ফেলে দেয়াটা দুঃখজনক ভাবে নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিএসি জানিয়েছে, বেলুচ জনগণের ক্রমাগত অমানবিক ও দমনমূলক আচরণের বিষয়ে মাহরং বেলুচের নেতৃত্বে বেলুচ ইয়াকজেহতি কমিটি বেলুচ নিখোঁজ ব্যক্তিদের পুনরুদ্ধারের জন্য ইসলামাবাদে প্রেস ক্লাবের বাইরে মূলত বেলুচ মহিলা, শিশু এবং প্রবীণদের একটি অবস্থান ধর্মঘটের আয়োজন করেছিল। চিঠিতে বিএসি বলেছে, দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে অবস্থান ধর্মঘট অব্যাহত ছিল এবং পাকিস্তানি শাসকদের কাছ থেকে কোনও ইতিবাচক প্রতিক্রিয়ার পরিবর্তে ইসলামাবাদ প্রশাসন জোর করে অবস্থান ধর্মঘট শেষ করেছিল। বেলুচিস্তানকে কোণঠাসা করার বিষয়ে অভিযোগ করে বিএসি উল্লেখ করেছে যে, সাংবাদিক এবং মানবাধিকার কর্মীদের বেলুচিস্তানে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এবং হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতো স্বাধীন মানবাধিকার সংস্থার তথ্য উদ্ধৃত করে বিএসি উল্লেখ করেছে, ২০০৭ সাল থেকে ৫০০০ বেলুচ রাজনৈতিক কর্মী, নেতা এবং মানবাধিকার রক্ষাকর্মীকে জোরপূর্বক গুম করা হয়েছে। চিঠিতে বিএসি দাবি করেছে, মানবাধিকার লঙ্ঘনের পাশাপাশি অর্থনৈতিক শোষণ বেলুচিস্তানে আরেকটি চাপের বিষয়। বেলুচিস্তানে গোয়াদার, সাইনডাক এবং রেকোডিকের মতো তথাকথিত মেগা প্রকল্পগুলির জন্য চীনা কর্পোরেশনগুলিকে বেলুচ জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ইজারা দেওয়া হয়েছে। এই কর্পোরেশনগুলি নির্মমভাবে প্রাকৃতিক সম্পদ শোষণ করছে, নৈতিক ব্যবসায়িক অনুশীলনকে উপেক্ষা করছে এবং পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করছে। বিএসি দাবি করেছে, চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর (সিপিইসি) বেলুচিস্তানের সামাজিক-সাংস্কৃতিক পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করে তুলেছে। এতে বলা হয়েছে, সিপিইসি সংলগ্ন গ্রামগুলোকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করা হচ্ছে এবং তাদের জমি স্থানীয় বাসিন্দাদের সম্মতি ছাড়াই চীনাদের দেওয়া হচ্ছে।
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৪১

‘যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় জীবন দিতে প্রস্তুত’
বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, বিশ্ব ইজতেমায় কোনো জঙ্গি বা নাশকতা হামলার গোয়েন্দা তথ্য নেই। তবে আমরা আত্মতুষ্টিতে ভুগছি না। একটি স্বার্থান্বেষী মহল দেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। বিশ্ব ইজতেমাকে ঘিরে যেন কোনো নাশকতা সৃষ্টি না হয়, সেজন্য পুলিশ সতর্ক রয়েছে। আমরা যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রয়োজনে জীবন দিতেও প্রস্তুত।   বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে বিশ্ব ইজতেমা ময়দান পরিদর্শন শেষে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়ামে স্থাপিত গাজীপুর মহানগর পুলিশ কন্ট্রোল রুমের সামনের মাঠে আয়েজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।  আইজিপি বলেন, বিশ্ব ইজতেমায় বাংলাদেশ পুলিশের ১৫ হাজার সদস্য নিয়োজিত থাকবে। নৌপুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ, এপিবিএন, ট্রাফিক পুলিশ, ডিবি, সিআইডিসহ পুলিশের সকল ইউনিটের পাশাপাশি র‍্যাব আইনশৃঙ্খলার নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। পোশাকে ও সাদা পোশাকে পুলিশের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যেন কেউ গুজব তৈরি করতে না পারে সেজন্য সাইবার টহল জোরদার করা হয়েছে।   বিশ্ব ইজতেমায় দু’গ্রুপের বিরোধ সম্পর্কে পুলিশ প্রধান বলেন, আমরা দুপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা শান্তিপূর্ণভাবে ইজতেমা সম্পন্ন করবেন বলে কথা দিয়েছেন। তারপরও যদি তারা কোনো কিছু করেন তবে আইনগতভাবে মোকাবিলা করা হবে। তবে তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ইনশাল্লাহ দু’গ্রুপের মধ্যে কোনো সমস্যা হবে না।  অতিরিক্ত আইজিপি আতিকুল ইসলাম (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস), অতিরিক্ত আইজিপি মনিরুল ইসলাম (স্পেশসল ব্রাঞ্চ), ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি নুরুল ইসলাম, ডিআইজি আনোয়ার হোসেন ও গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মাহবুব আলমসহ বাংলাদেশ পুলিশের সব ইউনিটের প্রধান, ঢাকা বিভাগের ডিআইজি, ঢাকা ও গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনাররা উপস্থিত ছিলেন।  উল্লেখ্য, টঙ্গীর তুরাগ তীরে ৫৭তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু হবে ২ থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি।  দ্বিতীয় পর্ব ৯ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি। ২০১১ সাল থেকে দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিশ্ব ইজতেমা।
৩১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:৩৬

হাসপাতাল থেকে নির্বাচনের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন খালেদা জিয়া
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া হাসপাতালে থাকা অবস্থায় নির্বাচনের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। প্রায় ৬ মাস ধরে তিনি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সেখান থেকেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের খোঁজখবর নিচ্ছেন তিনি। রোববার (৭ জানুয়ারি) দলটির বিভিন্ন সূত্র থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সারাদেশে ২৯৯টি আসনে ভোটগ্রহণ হয়। বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবীর খান গণমাধ্যমকে বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ২০২২ সালের ৯ আগস্ট থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। শনিবার রাতে আমি খোঁজ নিয়েছি। তাকে বাসায় আনার মতো পরিস্থিতি নেই। তিনি আরও বলেন, পরিবারের সদস্য, চিকিৎসক ছাড়া তার কারো সঙ্গে কথা বলা অত্যন্ত কঠিন। তিনি টেলিভিশন দেখছেন, পত্রিকার মাধ্যমে সার্বিক পরিস্থিতির খোঁজখবর রাখছেন। এদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলে। এ সময়ে কিছু জায়গায় বিচ্ছিন্ন গোলযোগ হয়েছে। ৩০ থেকে ৩৫ জায়গায় ভোট কেন্দ্রের বাইরে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়েছে। কোথাও ভোটকেন্দ্রের পাশে ককটেল বিস্ফোরণেরও ঘটনা ঘটেছে। অনিয়মের কারণে সাতটি কেন্দ্রে ভোট বাতিল করা হয় এবং জাল ভোটে সহায়তা করার জন্য ১৫ ব্যক্তিকে দণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া কারচুপি ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ তুলে ভোট বর্জন করেছেন বেশ কয়েকজন প্রার্থী। এবার নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ কোটি ৯৭ লাখ। এর মধ্যে ৬ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯ জন পুরুষ, ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২ জন নারী এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটারের সংখ্যা ৮৫২। মোট ভোটকেন্দ্র ৪২ হাজার ১০৩টি। ভোটকক্ষ ২ লাখ ৬১ হাজার ৯১২টি। ভোট হচ্ছে ব্যালট পেপারে। ইসির দেওয়া তথ্যমতে, নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ভোট হয়েছে ২৯৯ আসনে। স্বতন্ত্র প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে নওগাঁ-২ আসনের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। নির্বাচনে ২৮টি দল অংশগ্রহণ করেছে। এর মধ্যে দলীয় প্রার্থী ১ হাজার ৫৩৪ জন এবং স্বতন্ত্র ৪৩৬ জন। নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ২৬৬ জন প্রার্থী ছিল আওয়ামী লীগের। এ ছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৬৫ জন প্রার্থী দিয়েছে জাতীয় পার্টি এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৩৫ জন প্রার্থী রয়েছেন ‘সোনালী আঁশ’ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে আসা তৃণমূল বিএনপি। এদিকে বিএনপিসহ ৬০টি দল নির্বাচন বর্জন করেছে। দলটি সরকার পতনের এক দফা দাবিতে দীর্ঘদিন আন্দোলন করে সফলতা না পেয়ে নির্বাচনের দুই মাস আগ থেকে হরতাল-অবরোধের পথ বেছে নেয়। এতে সরকারকে চাপে ফেলতে না পেরে ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে গত ২০ ডিসেম্বর ‘অসহযোগ আন্দোলনের’ ডাক দেয় দলটি। পাশাপাশি সরকারকে সকল প্রকার কর, খাজনা, পানি, গ্যাস এবং বিদ্যুৎ বিল দেওয়া স্থগিত রাখার অনুরোধ জানায় দলটি।
০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:৪৩

‘যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত বিজিবি’
বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান বলেছেন, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে সারাদেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণসহ যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজিবি সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত রয়েছে।  শনিবার (৬ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর মিরপুরে বিজিবির অস্থায়ী নির্বাচনী বেজ ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে গত ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখ থেকে সারাদেশে ৪৮৭টি বেজ ক্যাম্পে ১ হাজার ১৫৫ প্লাটুন বিজিবি নির্বাচনকালীন দেশের অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। সন্দ্বীপে প্রথমবারের মত দুই প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। প্রতিদিন যেকোনো সময়ে বিজিবির গড়ে ৭০০টি টহল মাঠে নিয়োজিত থেকে আভিযানিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। পাশাপাশি সারাদেশে নাশকতা এড়াতে বিস্ফোরক দ্রব্যের ওপর বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত বিজিবি ডগ স্কোয়াড দেশের বিভিন্ন স্থানে কাজ করছে।  তিনি বলেন, নির্বাচনী সহিংসতারোধে যেকোনো অলি-গলি ব্যবহার করে খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে কার্যকর ও ত্বরিত ব্যবস্থা নিতে মাঠে কাজ করছে বিজিবির বিশেষায়িত ফোর্স Rapid Action Team (RAT)। এ ছাড়া প্রস্তুত রয়েছে বিজিবির Quick Response Force (QRF)। যারা বিজিবির অত্যাধুনিক হেলিকপ্টারের মাধ্যমে দেশের যেকোনো প্রান্তে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় মোতায়েন হওয়ার সক্ষমতা রাখে। সার্বিকভাবে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় পূর্বক নির্বাচনকালীন যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজিবি সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত আছে। জান মালের নিরাপত্তা বিধানে যেকোনো নাশকতা কঠোর হস্তে দমন করা হবে। এর আগে মিরপুরে সৈয়দ নজরুল ইসলাম জাতীয় সুইমিং কমপ্লেক্সে স্থাপিত বিজিবির নির্বাচনী বেজ ক্যাম্প পরিদর্শন এবং সেখানে দায়িত্বরত সকল পর্যায়ের বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।  এ সময় তিনি বিজিবির প্রতিটি সদস্যকে দেশের বৃহত্তর কল্যাণে অর্পিত যেকোনো দায়িত্ব সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে পালনের আহ্বান জানান। ভোটাররা যাতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ও নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে এসে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে তার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে এবং সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিজিবিকে সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করার নির্দেশ দেন।
০৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:২৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়