• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo
স্বামী-স্ত্রীকে মারধর, বাঁচাতে গিয়ে হামলার শিকার পরিবার
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে স্বামী-স্ত্রীকে ঘরে আটকিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। মেয়ে ও জামাতাকে মারধরের খবর শুনে তাদের বাঁচাতে গিয়ে হামলার শিকার হয়ে আহত হয়েছেন বাবা-ছেলে-পুত্রবধূসহ অনেকেই। আহতদের উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।  শুক্রবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যায় ইফতারের সময় উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের সান্তান গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। অভিযোগ, স্থানীয় নওশের, বিপুল ও রাজ্জাক বাহিনী অতর্কিতভাবে এই সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে মারধর করেছেন। স্থানীয়সূত্রে ও প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুল্লাহ আল বায়েদীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের সন্তান গ্রামের নুরুল হোসেনের সঙ্গে একই গ্রামের নওশের ও বিপুলদের পারিবারিক কোন্দল চলে আসছিল। এর জের ধরে আজ সন্ধ্যায় সবাই যখন ইফতার নিয়ে ব্যস্ত ঠিক তখন অতর্কিত নুরু ও তার স্ত্রী সাগরীকে ঘরে আটকিয়ে বেধড়ক মারপিট করা হয়। এতে সাগরীর দাঁত ভেঙ্গে যায় এবং স্বামী নুরুসহ গুরুতর আহত হয়।  এ খবর পেয়ে সাগরীকে প্রাণে বাঁচাতে এগিয়ে যান একই গ্রামের তার পিতা কোরবান আলী (৭০), ভাই আমিরুল ইসলাম (৩২), ভাইয়ের স্ত্রী আম্বিয়া খাতুন পলি (৩০)। এসময় তাদেরকেও বেধড়ক মারপিট করে গুরুতর আহত করা হয়। কোরবান আলীদের বাঁচাতে এগিয়ে যান তার ভাই-ভাতিজারা। এসময় নওশের ও বিপুল গংদের সঙ্গে যোগ দেন আব্দুর রাজ্জাক বাহিনী। এই বাহিনীর আবদুর রাজ্জাক, রাজেদুল, কছের, এমদাদুল, মিলন, লুৎফর, জাহাঙ্গীর, শরিফ, শাকিলসহ অনেকেই দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে কোরবান আলীর আত্মীয় স্বজনের উপর হামলা করে বেধড়ক মারপিট করে। তাদের হামলায় আরও আহত হয়, স্কুল শিক্ষক এনামুল হক, কোরবান আলী, আমিরুল ইসলাম, আম্বিয়া খাতুন পলি, নুরুল ইসলাম ও ডা: ওসমান গনিসহ ১০-১২ জন। আহতদের মধ্যে সাগরী, কোরবান আলী, আমিরুল ও আম্বিয়া খাতুনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে।  এ ব্যাপারে তাড়াশ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। এ ঘটনায় একজন থানায় এসেছেন অভিযোগ দিতে। অভিযোগ আমলে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২৩ মার্চ ২০২৪, ০২:২৩

ভূমি কর্মকর্তার গাড়িচালকের অত্যাচারে অতিষ্ঠ একাধিক পরিবার
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শাহীন মিয়ার মাস্টার রুলের গাড়িচালক মো. সোহাগের অত্যাচারে অতিষ্ঠ একাধিক নিরীহ পরিবার। এ নিয়ে ভুক্তভোগী পরিবার নোয়াখালী জেলা প্রশাসক ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ রয়েছে, খোদ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শাহীন মিয়া গাড়িচালক সোহাগের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ আপস-মীমাংসা করে দিতে পুলিশকে অনুরোধ করেছিলেন।   ভুক্তভোগী রবিউল হোসেন লিটন (৩৮) উপজেলার সোনাইমুড়ী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কৌশল্যার বাগ গ্রামের পুরাতন ভূঁইয়া বাড়ির মৃত ইউনুছ মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় একটি ক্রোকারিজ দোকানের সেলসম্যান। অপরদিকে অভিযুক্ত মো. সোহাগ একই বাড়ির মো. নুরুল আমিনের ছেলে এবং সোনাইমুড়ী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শাহীন মিয়ার গাড়িচালক।       লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, জমির ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে একই বাড়ির লিটনের সঙ্গে সোনাইমুড়ী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়ের গাড়িচালক সোহাগদের পরিবারের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। তার সঙ্গে বিরোধকে কেন্দ্র করে সোহাগ কয়েকবার নিজেও ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী এনে লিটনদের মারধর করে। উপজেলা প্রশাসনে চাকরি করার সুবাদে তিনি লিটনদের পরিবার ও অন্যান্য পরিবারের সঙ্গে অমানবিক অত্যাচার চালাচ্ছেন। সোহাগের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের অভিযোগে সোনাইমুড়ী পৌরসভার কৌশল্যার বাগ গ্রামের মো. হানিফের স্ত্রী হাছিনা বেগম বাদী হয়ে ২০২০ সালের ১১ নভেম্বর একটি মামলা দায়ের করেন। লিটন বাদী হয়ে মারধর, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগে আদালতে ২০২০ সালে পিটিশন মামলা দায়ের করেন। চলতি বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি সোহাগ ও তার সহযোগীরা তুচ্ছ ঘটনায় তাদের গ্রামের লিটনের মা বৃদ্ধ আমেনা বেগমকে মারধর করে। এ নিয়ে সোনাইমুড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।   জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, নামজারি ও সরকারি সম্পত্তি দখলের জন্য মোটা অংকের টাকা নিয়ে সহযোগিতা করে থাকেন সোহাগ। এ ছাড়া মাটি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে তিনি মোটা অংকের টাকা নিয়ে থাকেন।   অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মো. সোহাগ বলেন, তার বিরুদ্ধে যে সকল অভিযোগ আনা হয়েছে তা শতভাগ মিথ্যা ও বানোয়াট। প্রশাসন তদন্ত করে সত্যতা পেলে আমি যে কোনো শাস্তি মাথা পেতে নেব।   সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, বৃদ্ধ মহিলাকে মারধর ও হুমকি-ধামকি দেয়ার অভিযোগে সোহাগের বিরুদ্ধে আদালতে প্রসিকিউশন রিপোর্ট দাখিল করা হয়েছে।   অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে সোনাইমুড়ী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শাহীন মিয়া বলেন, আমি পুলিশকে বিষয়টি মীমাংসা করে দেওয়ার জন্য কিছুই বলিনি। পুলিশ তদন্ত করে যে অপরাধী তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।   সোনাইমুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা বলেন, এ বিষয়ে ভুক্তভোগী জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।  
২২ মার্চ ২০২৪, ২০:১৪

পরিবার নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে বসবাস চেয়ারম্যানের 
ইউনিয়ন পরিষদে বসবাস করছেন নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার জয়পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম সুমন। পরিবারের সাত সদস্য নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের দ্বিতীয় তলায় একাধিক কক্ষ দখল করে করছেন বসবাস।  স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে জয়পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন সাইফুল ইসলাম সুমন। এর কিছুদিন পর থেকেই ইউনিয়ন পরিষদের দ্বিতীয় তলার কক্ষগুলো নিজের দখলে নিয়ে বসবাস করতে শুরু করেন। তার সঙ্গে সেখানে তার স্ত্রী-সন্তানসহ মোট পরিবারের সাতজন সদস্য রয়েছে। কোন ইউপি চেয়ারম্যান এভাবে বসবাস করেন এমনটা আগে দেখেননি এলাকাবাসী। ক্ষমতার জোরেই এভাবে বসবাস করতে পারছেন বলেও অভিযোগ তাদের।  ওমর শরীফ নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, নির্বাচন হওয়ার পর থেকেই দেখছি পরিবার নিয়ে বোর্ড অফিসে থাকে। ঠিক না বেঠিক জানি না। চেয়ারম্যান বোর্ড অফিসে থাকে কেন এই কথা আমরা বললে আমাদের কথা কি শুনবে সরকার? শোনবে না।  এদিকে ইউনিয়ন পরিষদের বসবাস করার বিষয়টি স্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম সুমনের সহধর্মিণী বলেন, দুই বছর ধরে তারা  ইউনিয়ন পরিষদে বসবাস করছেন। জনগণের সেবার কথা চিন্তা করেই এখানে বাস করছেন। ভবনের দ্বিতীয় তলায় মোট পরিবারের ৭ জন এখানে থাকেন। ইউনিয়ন পরিষদে বসবাস করার বিষয়টি স্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম সুমন বলেন, পরিষদে তার জন্য দুটো রুম বরাদ্দ আছে। সেখানে কোয়ার্টার হিসেবে তিনি থাকছেন। আর একটা রুম বিট অফিসারদের। অন্যটি সার্ভার রুম। সেটি তালা দেওয়া থাকে। আর বিট অফিসারদের রুমে মাঝে মাঝে যখন লোকজন আসেন তখন বসেন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জয়পুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব রাসেলকে ফোন দিলে তিনিও বিষয়টি স্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন, আপনারা আসলে সাক্ষাতে কথা বলব।  এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশফাকুল হক চৌধুরী বলেন, এভাবে অফিসে থাকার কোনো নিয়ম নেই। বিষয়টি আমাদের জানা ছিল না। আমরা জানার পর চেয়ারম্যানকে বলেছি অতি দ্রুত ইউনিয়ন পরিষদ ছেড়ে দিতে।
২১ মার্চ ২০২৪, ২১:৫৫

পরিবার পাশে নেই অভিনেত্রীর, হাসপাতালের বিল মেটালেন ড্রাইভার
গুরুতর অসুস্থ টলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেত্রী বাসন্তী চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু পাশে পেলেন না পরিবারের কাউকে। ধার করে হাসপাতালের বিল মেটালেন তার গাড়ি চালক। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এ তথ্য। কদিন ধরে অসুস্থ বাসন্তী চট্টোপাধ্যায়। চিকিৎসাধীন আছেন আইসিইউতে। কোমায় চলে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী। একটি কিডনি অকেজো  হয়ে গেছে তার। এই অবস্থায় বাসন্তী পাশে পাননি তার ছেলেমেয়েদের।  বিষয়টি নিয়ে বাসন্তীর গাড়িচালক মলয় চাকী জানান, এর আগেও হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন অভিনেত্রী। তখন হাসপাতালের বিল হয়েছিল ২ লাখ টাকা মতো। বন্ধু-বান্ধবের থেকে টাকা ধার করে হাসপাতালের বিল মিটিয়ে ছিলাম। তবে বাসন্তী দেবী হাসপাতাল থেকে ফিরে সব ধার শোধ করেছিলেন। গাড়িচালক আরও জানান, প্রথমবার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সময় বাড়ি থেকে একমাত্র জামাই একদিন দেখা করতে এসেছিলেন। একদিন এসেছিলেন পুত্র ও পুত্রবধূ। তবে এবার আর কাউকে পাশে পাননি অভিনেত্রী। শেষে গাড়ি চালক মলয় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করান। 
১৯ মার্চ ২০২৪, ২০:২৯

বিএসএফের গুলিতে নিহত কিশোরের মরদেহ ফেরত পেল পরিবার
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার মুরাইছড়া সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি কিশোরের মরদেহ ফেরত পেয়েছে পরিবার। সোমবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যায় বিজিবি মরদেহ গ্রহণ করে সীমান্ত এলাকায়ই পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে।  জানা গেছে, রোববার (১৭ মার্চ) বিকেলে মুরাইছড়া বস্তির আছকির মিয়ার ছেলে সাদ্দাম হোসেন (১৫) ও একই গ্রামের মৃত সাদাই মিয়ার ছেলে ছদ্দেকুর রহমান (৩৪) মুরাইছড়া সীন্তের শিকরিয়া এলাকায় গরু চরাতে চরাতে সীমান্তের জিরো লাইনের কাছাকাছি চলে যায়। এ সময় ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের উনকোটি জেলার মাগুরুলি বিএসএফ ক্যাম্পের টহলরত বিএসএফ সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। গুলিতে কিশোর সাদ্দাম ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ সময় ছিদ্দেকুরকে আহতবস্থায় বাংলাদেশ সীমান্তে ফিরে আসলে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কুলাউড়া, পরে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতাল নেয়। তবে সেখানেও অবস্থা খারাপ হলে তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তিনি সেখানে চিকিৎসা নিচ্ছেন। অপরদিকে নিহত সাদ্দাম হোসেনের মরদেহ নিয়ে যায় পুলিশ। এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য সিলভিস্টার পাঠাং জানান, নিহত সাদ্দামের মরদেহ ভারতের কৈলাশহর হাসপাতালের মর্গে ছিল। মরদেহ ফেরাতে তারা বিজিবির সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করেন। এরপর বিজিবি ও বিএসএসফের যোগাযোগ হলে আজ মরদেহ ফেরত পাওয়া গেছে। বিকালে বিএসএফ সাদ্দামের মরদেহ বিজিবির কাছে হস্তান্তর করলে রাতে বিজিবি তা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। কুলাউড়া থানা অফিসার ইনচার্জ আলী মাহমুদ জানান, সোমবার বিকেলে সাড়ে ৫টার দিকে বিএসএফ মরদেহ বাংলাদেশে পাঠালে প্রথমে বিজিবি তা গ্রহণ করে। পরে থানা পুলিশের হাতে হস্তান্তর করে। বিষয়টি নিয়ে ভারতের কৈলাশহর থানায় মামলা হয়েছে। মামলার ডকুমেন্টসহ তাদের কাছে হস্তান্তর করেছে বিজিবি। আইনি কার্যক্রম শেষে মরদেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
১৮ মার্চ ২০২৪, ২১:৩৩

‘মানুষ যেন ভালো চিকিৎসা পায়, এ লক্ষ্যে কাজ করছি’
‘এ দেশে সাধারণ মানুষ যেন ভালো চিকিৎসা পায়, এ লক্ষ্যে কাজ করছি’ বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন। শনিবার (১৬ মার্চ) বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটির দ্বি-বার্ষিকী সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।   ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, আমি সবসময় একটা কথায় বিশ্বাস করি, জীবে প্রেম করে যেইজন সেইজন সেবিছে ঈশ্বর। এই মন্ত্র মাথায় নিয়ে আমি সারাদেশ ঘুরে বেড়াচ্ছি। সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় চিকিৎসা যেন পৌঁছে দিতে পারি সেই লক্ষ্যে আমি কাজ করছি, যাতে এ দেশে সাধারণ মানুষ ভালো চিকিৎসা পায়। তিনি বলেন, আজকে এখানে আসতে পেরে নিজেকে অনেক ধন্য মনে করছি। আমার জীবনের অনেক স্মৃতি এখানে। আমার বিয়ে থেকে শুরু জীবনের সব কিছু এই ঢাকেশ্বরী মন্দিরকে কেন্দ্র করে। সেই ১৯৮০ সাল থেকে এর সঙ্গে জড়িত।   সম্মেলন উদ্বোধন করেন ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সম্মেলনটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. চন্দ্রনাথ পোদ্দার। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি জে এল ভৌমিক। সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী শ্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এবং বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. রানা দাশগুপ্ত।
১৬ মার্চ ২০২৪, ১৩:৪৬

জলদস্যুদের কবলে টাঙ্গাইলের সাব্বির, উৎকণ্ঠায় পরিবার
জলদস্যুদের কবলে পড়া বাংলাদেশের এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজের ২৩ নাবিকের একজন হলেন টাঙ্গাইলের নাগরপুরের সাব্বির হোসেন। ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে জিম্মির খবর পাবার পর থেকেই উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠায় দিন কাটছে সাব্বিরের পরিবারের। টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার সহবতপুর ইউনিয়নের ডাঙা ধলাপাড়া গ্রামে সাব্বিরের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় বাবা হারুন অর রশিদ আর মা সালেহা বেগম বিলাপ করছেন। সাব্বিরের পরিবার গণমাধ্যমের খবরে জানতে পারেন জাহাজটি জলদস্যুরা আটক করে সোমালিয়ায় তাদের সুবিধামত জায়গায় নিয়ে যাচ্ছে। এমন খবরে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তার প্যারাইলাইজড বাবাসহ মা ও একমাত্র বোন। একমাত্র ছেলের জিম্মির খবর শুনে বাবা হারুন অর রশিদ হাউ মাউ করে কাঁদছেন, মা সালেহা বেগম বিলাপ করছেন। একমাত্র বোন মিতু আক্তার ভাইয়ের জন্য সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করছেন। গ্রামের লোকজন ও আত্মীয়-স্বজনরা বাড়িতে এসে তাদের সান্ত্বনা দিচ্ছেন। জিম্মির খবর পেয়ে স্বজনরা উদ্বিগ্ন রয়েছেন। সাব্বিরকে ফেরত পেতে সরকারের কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন তারা। সাব্বিরের চাচাতো ভাই আহম্মেদ হোসেন রানা বলেন, সাব্বিররা দুই ভাইবোন। তার পরিবার সচ্ছল নয়। অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো না থাকায় সাব্বির ছোটবেলা থেকেই তার মামার বাড়ি সহবতপুর ইউনিয়নের কাজির পাচুরিয়ার এলাকায় থাকতেন এবং সেখান থেকেই পড়াশোনা করেছে। সাব্বিরের বাবা মস্তিস্কে রক্তক্ষরণ জনিত কারণে প্যারাইলাইজড হয়ে শয্যাশায়ী। সাব্বিরের চাকরি হওয়ার পর তার মা শয্যাশায়ী স্বামীকে নিয়ে সহবতপুর বাবার বাড়িতে বসবাস করছেন। সহবতপুরের ডাঙা ধলাপাড়া গ্রামে এখন কেউ আর থাকেন না। একমাত্র উপার্জনক্ষম সাব্বিরের কিছু হয়ে গেলে তাদের আর চলার উপায় থাকবে না। নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজা মো. গোলাম মাসুম প্রধান বলেন, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ থেকে তাদের উদ্ধারের চেষ্টা করছে। আশা করি দ্রুত সুখবর পাওয়া যাবে।  
১৫ মার্চ ২০২৪, ১১:৪৮

প্রেমের বিয়েতে পরিবার রাজি না হওয়ায় ৭ তলা থেকে লাফ 
ফেনীতে নির্মাণাধীন বহুতল ভবনের ৭ তলা থেকে পড়ে রাকিব হোসেন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১৩ মার্চ) দুপুরে স্থানীয় পৌরসভার সুলতানপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত রাকিব পৌর ৭ নম্বর ওয়ার্ড সৈয়দনগর এলাকার সেলাম মিয়ার ছেলে।  নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, নিজ এলাকার এক মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল রাকিবের। কিছুদিন ধরে প্রেমিকার সঙ্গে বিয়ের জন্য পরিবারকে চাপ দিতে থাকে সে। বিয়ের উপযুক্ত সময় না হওয়ায় পরিবার থেকে বিষয়টি নিয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি।  বুধবার সকালে ঘর থেকে বের হওয়ার সময়ও বিয়ে না করালে মারা যাবে বলে বের হয়ে যায় রাকিব। এর কিছুক্ষণ পর ভ্যাট অফিসের নির্মাণাধীন হোয়াইট হাউজ ভবনে ৭ তলা থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। নিহত রাকিবের বড় ভাই বাবু বলেন, রাকিব সহজসরল প্রকৃতির ছিল। শুনেছি সে এলাকার একটি মেয়েকে পছন্দ করতো। ওই মেয়ে সম্পর্কে আমাদের এক ভাইয়ের মেয়ে। এ ছাড়াও তাদের এখনো বিয়ের জন্য উপযুক্ত বয়স না হওয়ায় আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দেইনি। তাছাড়া রাকিব এমন সিদ্ধান্ত নেবে এটি আমারা কেউই বুঝতে পারেনি। ভবনের মালিক মো. এনামুল হক বলেন, ছেলেটিকে প্রায়ই ভবনের আশপাশে ঘুরাঘুরি করতো। ঘটনার সময় ভবনের দারোয়ান ছিলো না৷ সম্ভবত এ সুযোগে সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে সে ভবনের ভেতর ঢুকে পড়ে। তবে তার এ অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর খবরে আমরা সবাই মর্মাহত হয়েছি। ফেনী মডেল থানার ওসি মো. শহিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, একটি নির্মাণাধীন ১২ তলা ভবনের ৭ তলা থেকে পড়ে এ যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তার মরদেহ উদ্ধার করে ফেনী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি, ছেলেটি মানসিকভাবে কিছুটা অসুস্থ ছিল। এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি।
১৪ মার্চ ২০২৪, ১৭:৫৭

চাটখিলের অপহৃত সালেহ আহমদকে ফেরত চায় পরিবার
সোমালিয়ায় দস্যুদের কবলে পড়া বাংলাদেশি মালিকানাধীন জাহাজ ‘এমভি আব্দুল্লাহ’ এর ২৩ জন নাবিকের মধ্যে নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার সিংবাহুড়া গ্রামের মোহাম্মদ সালেহ আহমদ রয়েছেন। তিনি জাহাজটিতে ফাইটার পদে কর্মরত ছিলেন। সালেহ ওই গ্রামের মৃত সাখায়াত উল্যার ছেলে। তিনি পরিবারে চার ভাই এক বোনের মধ্যে সবার বড়।  বুধবার (১৩ মার্চ) বিকেলে সরেজমিনে তাদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, অনেক উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছেন তার স্ত্রী ও তিন কন্যা সন্তানসহ পরিবারের সবাই। স্ত্রী তানিয়া আক্তার জানান, বুধবার সকাল ৭টার দিকে অপহৃত সালেহ অজ্ঞাতনামা একটা ফোন থেকে কল করেন। এরপর প্রায় দুই মিনিট ধরে এই কলে তিনি তার জন্য দোয়া করার জন্য সকলকে অনুরোধ জানান। সালেহকে অক্ষতভাবে উদ্ধারের জন্য সরকারের প্রতি আবেদন জানিয়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা।  জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুরের দিকে ভারত মহাসাগরে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’ ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিকসহ সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হয়েছে। প্রায় ৫০ জন সশস্ত্র জলদস্যু জাহাজটিতে উঠে নাবিকদের জিম্মি করে রেখেছে। এই ২৩ জন জিম্মি হওয়া বাংলাদেশি নাবিকের মধ্যে ২ জনের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী জেলায়। এর মধ্যে মো. আনোয়ারুল হক রাজুর বাড়ি নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের রামপুর গ্রামে। তিনি আজিজুল হক মাস্টারের ছেলে। এদিকে জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হওয়া নাবিক মোহাম্মদ আনোয়ারুল হক রাজুর গ্রামের বাড়িতে এ খবর পৌঁছালে পরিবারের সদস্যদের মাঝে উদ্বেগ উৎকন্ঠা বিরাজ করছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পরিবারের সদস্যরা আহাজারি করছেন।   নাবিক রাজুর বাবা আজিজুল হক মাস্টার জানান, রাজু গত সাত বছর ধরে জাহাজে নাবিক হিসেবে কাজ করছেন। গত বছর জুলাই মাসে তিনি ছুটিতে বাড়িতে এসেছিলেন। সর্বশেষ চার মাস আগে তিনি পুনরায় জাহাজের কাজে যোগ দেন। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরের এডেন উপসাগরে বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন সোমালিয়ান জলদস্যুরা। তারা জাহাজের ২৩ নাবিককে জিম্মি করেন। জাহাজটি মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার কথা ছিল।
১৪ মার্চ ২০২৪, ১১:৩৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়