• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
‘বান্দরবানে যৌথ অভিযান পরিচালনা হবে’
বান্দরবানে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের পুলিশের উপমহাপরিদর্শক নূরে আলম মিনা।  বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে থানচি উপজেলায় টাকা লুট হওয়া দুটি‌ ব্যাংকের শাখা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। ডিআইজি নূরে আলম মিনা বলেন, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার ও অপরাধীদের দমনে যৌথ অভিযান হবে। রুমা ও থানচিতে ব্যাংকের টাকা লুট, পুলিশের ওপর হামলাসহ নানা অভিযোগে ৮ থেকে ৯টি মামলা হতে পারে। মামলার যাবতীয় প্রস্তুতি চলছে। ডিআইজি বলেন, ফান্ড সংগ্রহের জন্য দুটি ব্যাংকে হামলা হয়েছে। রুমায় বেশি টাকা রয়েছে, তাই ভল্ট ভেঙে নেওয়ার চেষ্টা করে। আর থানচিতে ঘটনার দিন হাটবার থাকায় ব্যাংকে লেনদেন বেশি হবে। তাই সেখানে ডাকাতি হয়েছে। লুট হওয়া অস্ত্র অবশ্যই উদ্ধার করা হবে বলে জানান ডিআইজি নূরে আলম মিনা।  উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে তারাবির নামাজ চলাকালে পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের একটি সশস্ত্র গ্রুপ বান্দরবানের রুমায় সোনালী ব্যাংকের শাখায় ঢুকে ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে টাকা লুটে করে। এ সময় তারা ব্যাংকের আইনশৃঙ্খলায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের অস্ত্রও লুট করে। একই সঙ্গে মসজিদ থেকে ব্যাংকের ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরদিন বুধবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে থানচিতে মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকের তিনটি শাখায় হামলা চালায় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। এরপর থেকে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া তারা বাইরে বের হচ্ছেন না।
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৪৮

‘বাজার নিয়ন্ত্রণ রাখতে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবে র‍্যাব’
দ্রব্যমূল্যের বাজার নিয়ন্ত্রণ রাখতে র‍্যাব ফোর্সেস নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির মহাপরিচালক অতিরিক্ত আইজিপি এম খুরশীদ হোসেন। বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) র‍্যাব সদরদপ্তরে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) নবনির্বাচিত কমিটির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা জানান। এম খুরশীদ হোসেন বলেন, র‍্যাব ফোর্সেস অতীতের মতো ভবিষ্যতেও মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও পণ্যবাহী যানবাহনে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে। দ্রব্যমূল্যের বাজার নিয়ন্ত্রণ রাখতে র‍্যাব ফোর্সেস নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবে। তিনি বলেন, র‍্যাব ও সাংবাদিক একে অপরের পরিপূরক। র‍্যাব এবং সাংবাদিকদের সম্মিলিত প্রয়াসের মাধ্যমে জঙ্গি দমন, মাদক উদ্ধার, হত্যাকারী, ডাকাত, অপহরণকারী ও চাঁদাবাজসহ যেকোনো অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা সম্ভব হবে। রাষ্ট্রের সুষম বিকাশ ও সমাজ গঠনে অতীতের মতো ভবিষ্যতেও সাহসী পথচলায় নিজেদের অবস্থান সমুন্নত রাখার জন্য র‍্যাব মহাপরিচালক নবনির্বাচিত কমিটিকে আহ্বান জানান। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার পাশাপাশি অপরাধ দমনের ক্ষেত্রে যেকোনো অপরাধের তথ্য প্রদান করে র‍্যাবকে সহায়তা করার আহ্বানও জানান তিনি।   এ সময় র‍্যাব মহাপরিচালক ক্র্যাবের নবনির্বাচিত কমিটিকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান এবং নেতারাও ক্র্যাবের পক্ষ থেকে তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৩৫

যতদিন মামলা পরিচালনা করতে পারবেন না বিএনপিপন্থি ২ আইনজীবী
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের কোনো বেঞ্চে বিএনপিপন্থি আইনজীবী জোটের অন্যতম নেতা অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মহসিন রশিদ ও অ্যাডভোকেট শাহ আহমেদ বাদল মামলা পরিচালনা করতে পারবেন না বলে আদেশ দিয়েছেন আদালত। প্রধান বিচারপতিকে লেখা চিঠিতে আদালত অবমাননামূলক ভাষা ব্যবহার করার ঘটনা ব্যাখ্যা দিতে চার সপ্তাহ সময় দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এ সময় তারা কোনো মামলা পরিচালনা করতে পারবেন না। আরও পড়ুন : আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার   বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন। সর্বোচ্চ আদালত বলেছেন, দুই আইনজীবীর ব্যাখ্যা যদি সন্তোষজনক না হয়, তাহলে আরও বড় সাজা হতে পারে। আদালতে দুই আইনজীবীর পক্ষে সময় আবেদন করেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী। এর আগে, গত ৩ জানুয়ারি প্রধান বিচারপতিকে লেখা চিঠিতে আদালত অবমাননামূলক ভাষা ব্যবহার করার ঘটনা ব্যাখ্যা দিতে বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের সমর্থিত সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির এডহক কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মহসিন রশিদ ও অ্যাডভোকেট শাহ আহমেদ বাদলকে তলব করেন আপিল বিভাগ। আরও পড়ুন : খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন ১৪ ফেব্রুয়ারি   গত ১ ডিসেম্বর প্রধান বিচারপতি বরাবর চিঠি দেন অ্যাডভোকেট মহসিন রশিদ ও অ্যাডভোকেট শাহ আহমেদ বাদল। চিঠিতে বলা হয়, দেশে একটি অনির্বাচিত, জবাবদিহিহীন এবং অস্বচ্ছ ফ্যাসিবাদী শাসনের মাধ্যমে বিরোধী রাজনৈতিক নেতা ও কর্মীদের ওপর নিপীড়ন চালানো হচ্ছে। এর ফলে প্রজাতন্ত্রের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলছে। জনগণ নজিরবিহীন নিপীড়নের শিকার হচ্ছে। এ অবস্থায় আওয়ামী লীগ তামাশার সংসদে সদস্য নির্বাচন করতে যাচ্ছে। এর প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ হিসেবে আইনজীবীরা ১ জানুয়ারি থেকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত আদালত বর্জনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। এমন একটি নৈরাজ্যকর পরিস্থিতিতে আইনজীবী, জনগণ স্বাধীন, বিচার বিভাগের প্রতি আস্থা রাখছে। আশা করছি মানবাধিকার রক্ষাকারী হিসেবে বিচার বিভাগ কার্যকরভাবে ভূমিকা পালন করবে।  চিঠিতে আরও বলা হয়, পুলিশ এবং বিচার বিভাগকে উভয়ই সরকারের ফ্যাসিবাদী নিপীড়নের সহায়ক হয়ে উঠেছে। সাধারণ নাগরিকদের প্রাপ্য জামিন আবেদন না মঞ্জুর এবং দ্রুত গতিতে বিচার পরিচালনা করা ন্যায়বিচারকে কবর দেওয়া হয়েছে।  চিঠিতে আদালত অবমাননাকর বেশ কিছু শব্দ বা ভাষা ব্যবহার করা হয়। তাই আদালত অবমাননার ব্যাপারে ব্যাখ্যা দিতে তলব করা হয় তাদের।
১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:১৮

ইসি সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে নির্বাচন পরিচালনা করছে : শেখ হাসিনা
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রত্যাশা করছি। এই প্রথম বাংলাদেশে আইনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনকে আর্থিকভাবে স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা নির্বাচন কমিশনের অধীনে ন্যস্ত করা হয়েছে। সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরিচালনা করছে। আমাদের সরকার সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনকে সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে দলীয় ইশতেহার নিয়ে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, আজকে আপনাদের কাছে নৌকায় ভোট চাইতে হাজির হয়েছি। আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নকে টেকসই করা, আপনাদের জীবনমান উন্নত করা, আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশকে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত স্মার্ট সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তোলার সুযোগ চাই। তিনি বলেন, ২০০৮, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালে নির্বাচনী ইশতেহারে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও চেতনাকে ধারণ করে দেশ পরিচালনায় যে সাফল্য আমরা করতে পেরেছি, তারই ধারাবাহিকতায় আমরা ২০২৪ সাল থেকে স্মার্ট সোনার বাংলা গড়ে তোলার ইশতেহার ঘোষণা দিয়েছি।  আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, উৎপাদন বৃদ্ধি করে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, দারিদ্র্য হ্রাস, ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারগুলোর ঘরবাড়ি ও জীবন-জীবিকার স্থায়ী ব্যবস্থা করা, যুগোপযোগী শিক্ষা ব্যবস্থায় আমাদের আজকের শিশু এবং তরুণদের সুশিক্ষিত করা, স্বাস্থ্যসেবা আরও উন্নত করা, ১০০টা অর্থনৈতিক অঞ্চলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের মাধ্যমে ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা, প্রতি উপজেলায় কারিগরি ও কম্পিউটার ট্রেনিং এর সুযোগ সৃষ্টি করেছি তা সম্পন্ন করা, দক্ষ জনশক্তি রপ্তানির জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নতুন কর্মক্ষেত্র খুঁজে বের করা, গ্রামের মানুষের জন্য নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করা, রাস্তাঘাট উন্নত করা, বিদ্যুৎ, সুপেয় পানি ও স্যানিটেশনের যে ব্যবস্থা নিয়েছি- তা টেকসই করে সকল মানুষের জীবনমান উন্নত করাই আওয়ামী লীগ সরকারের লক্ষ্য। আপনাদের মূল্যবান ভোটে নির্বাচিত হয়ে আরেকটিবার সরকার গঠন করতে পারলে আমাদের গৃহীত কর্মসূচিগুলো বাস্তবায়ন করে আপনাদের জীবনমান আরও উন্নত করার সুযোগ পাবো। শেখ হাসিনা বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। গণতন্ত্র ও আইনের শাসনে বিশ্বাসী রাজনৈতিক দলসমূহ এবং প্রতিষ্ঠানের প্রতি অনুরোধ, সাংবিধানিক প্রক্রিয়া ব্যহত হয় এমন কোনো উদ্ভট ধারণাকে প্রশ্রয় দেবেন না এবং ইন্ধন জোগাবেন না। নৌকায় ভোট চেয়ে শেখ হাসিনা বলেন, চলার পথে যদি কোনো ভুল-ভ্রান্তি করে থাকি, তাহলে আপনারা ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখবেন- এটাই আমার আবেদন। আবার সরকার গঠন করতে পারলে, ভুলগুলো শোধরাবার সুযোগ পাব। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ‘নৌকা’ মার্কায় ভোট দিয়ে আমাকে আপনাদের সেবা করার সুযোগ দিন। এর আগে, গত ২৭ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করে বাংলাদেশকে ‘ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে’ উত্তরণের প্রতিশ্রুতি দেন টানা ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকা শেখ হাসিনা। তরুণদের জন্য নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি, বাজারমূল্য ও আয়ের মধ্যে সঙ্গতি প্রতিষ্ঠা ও দুর্নীতিবাজদের বিচারের আওতায় আনাসহ নানান অঙ্গীকার করেন তিনি। এ ছাড়া ৭ জানুয়ারির নির্বাচন সামনে রেখে ২০ ডিসেম্বর সিলেটে মাজার জিয়ারত ও জনসভায় যোগদানের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এরপর গত দুই সপ্তাহে প্রায় ৪০টি জেলা-উপজেলায় দলের নির্বাচনী জনসভায় সরাসরি অথবা ভার্চুয়ালি যোগ দেন তিনি। সবশেষে বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জের জনসভার মধ্য দিয়ে তার নির্বাচনী প্রচারের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়।
০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:০৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়