• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
নারীদের ত্রিশ পরবর্তী পুষ্টি ভাবনা 
আমাদের দেশের বেশিরভাগ নারী সাধারণত নিজের জন্য ভাবার সময় পান না। পরিবারের সবার যত্ন নিলেও নিজের প্রতি যত্নটা আর নেওয়া হয় না তাদের। আর এ অযন্তের জন্য নানা রকম স্বাস্থ্যসমস্যা শুরু হয়ে যায় ত্রিশের পর থেকে। যেমন হাড়ক্ষয়, বলিরেখা পড়ে যাওয়া, শারীরিক ও মানসিক দুর্বলতা, হরমোনের সমস্যাসহ আরও বিভিন্ন ধরনের জটিলতা। তাই এ সময় খাদ্যগ্রহণে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। পাশাপাশি পরিবর্তন আনতে হবে জীবনযাপন পদ্ধতিতেও। এ সময়ে কোন খাবারগুলোতে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে জেনে নিন। আয়রন: অনেক নারীই এই বয়সে বেশ ক্লান্ত বোধ করেন। এর অনেক কারণও আছে। তবে এমনটা হলে সবার আগে খাবারের দিকে খেয়াল করবেন। আপনি যদি ভীষণ ক্লান্তি বোধ করেন, তবে খাবারের তালিকায় আয়রন সমৃদ্ধ খাবার যোগ করতে হবে। বয়স ত্রিশ পার হলে নারীদের প্রচুর আয়রনযুক্ত খাবার খেতে হবে। ক্যালসিয়াম: হাড় ভালো রাখার জন্য ক্যালসিয়ামের প্রয়োজনীয়তার কথা কম-বেশি শুনে থাকবেন। তবে কেবল শক্তিশালী হাড়ের জন্যই নয়, ক্যালসিয়াম প্রয়োজন হয় আমাদের শরীরের সামগ্রিক শক্তির জন্য, পেশীর শিথিলতার জন্য এবং স্নায়ুর কার্যকারিতার জন্যও। তাই নারীকে ত্রিশের পরে প্রচুর ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার খেতে হবে নিয়মিত। ভিটামিন ডি: নারীর হরমোনের ভারসাম্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান হলো ভিটামিন ডি। সেইসঙ্গে এটি মন ভালো রাখতে সাহায্যও করে। পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি শরীরে পৌঁছলে তা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। এ কারণে নারীকে ত্রিশের পরে বেশি করে ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার খেতে হবে। সেইসঙ্গে রোদ থেকেও এই ভিটামিন গ্রহণ করতে হবে। ফোলেট: নারীর সুস্থতার জন্য ফোলেট যুক্ত খাবার খাওয়া অত্যন্ত জরুরি। এটি তাকে সুস্থতার পথে একধাপ এগিয়ে নেয়। বিশেষ করে যারা নতুন মা হয়েছেন তাদের জন্য ফোলেট এমন একটি ভিটামিন যা অবশ্যই খাবারের তালিকায় রাখতে হবে। তাই ত্রিশ পার হলে নারীকে এদিকে আরও বেশি নজর দিতে হবে। ওমেগা ৩: সুস্থতার জন্য ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড যুক্ত খাবার খাওয়া জরুরি। বিশেষ করে এটি হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য, মস্তিষ্কের কার্যকারিতার জন্য এবং প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই একজন নারী যখন বয়স ত্রিশ বছর পার করবেন তখন অবশ্যই ওমেগা ৩ জাতীয় খাবার রাখতে হবে খাবারের তালিকায়।
২৪ মার্চ ২০২৪, ১১:৩৫

স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশের প্রথম নারী বনরক্ষী দিলরুবা মিলি
দেশ ও দেশের বাইরে নিজেদের কাজ দিয়ে যোগ্যতার প্রমাণ রাখছেন নারীরা। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গর্বের সঙ্গে তারা ওড়াচ্ছেন লাল সবুজের পতাকা। বর্তমানে দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রেই উল্লেখযোগ্য অংশগ্রহণ দেখা যাচ্ছে নারীদের। প্রায়ই তাদের সাফল্য গাঁথা গল্প শোনা যায়। সাহসী নারী দিলরুবা আক্তার মিলিও সেই তালিকার একজন, যিনি বাংলাদেশের প্রথম নারী বনরক্ষী। জানা যায়, বরিশালের পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার বাসিন্দা দিলরুবা। ২০১৬ সালে ঢাকায় বনরক্ষী হিসেবে যোগ দেন তিনি। বর্তমানে মিরপুরের জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যানে বনরক্ষী হিসেবে কর্মরত আছেন। তবে মেয়ে হয়ে বনরক্ষী হওয়া সহজ ছিল না তার। আজকের এই অবস্থানের জন্য অনেকটা পথ পাড়ি দিতে হয়েছে দিলরুবাকে। যার শুরুটা স্কুল জীবন থেকেই।   দিলরুবা জানান, কাউখালী মহাবিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করে উদ্যোগ নেন বনরক্ষী হওয়ার। বনজঙ্গল নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা থেকেই এই সিদ্ধান্ত। প্রথম দিকে কীভাবে কী করবেন তা নিয়ে দ্বিধায় ভুগছিলেন। কেন না যেকোনো কিছুর নতুন উদ্যোগ নেয়া একটি চ্যালেঞ্জিং বিষয়। কিন্তু তার পরিবার, আপনজনের সহযোগিতা ও বাবার হাত ধরেই এগিয়ে চলা।   তিনি আরও জানান, বরিশালে থেকে পড়াশোনা শেষ করেন। এরপর বনরক্ষী হিসেবে পরীক্ষা, ভাইভা শেষ করে ট্রেনিং নেনে রাজশাহী পুলিশ একাডেমি থেকে। তবে পরীক্ষা ও ট্রেনিং নেয়ার সময় বেশ কিছু প্রতিবন্ধকতার মধ্যে পড়তে হয় তাকে। এ পেশায় নারীসংখ্যা শূন্যের দিকে। ফলে বেশ প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হয়।   ‌‌দিলরুবা বলেন, ওই সময় ২০৩ জন পুরুষের মধ্যে একমাত্র আমি নারী হিসেবে যোগ দিই। সেখানে পরীক্ষা ও ভাইভায় উপস্থিত হতে প্রথমে সমস্যা হলেও পরে তা মোকাবিলা করে এগিয়ে যাই। বেশ কয়েকজনের সহযোগিতায় ধীরে ধীরে নানা চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করতে থাকি। এরপর ঢাকায় বনরক্ষী হিসেবে ২০১৬ সালে যোগ দিই। তখন থেকে এখন পর্যন্ত জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যানে বনরক্ষী হিসেবে কর্মরত আছি।   দিলরুবা বলেন, শুরুর দিকে যখন চাকরি করতে ঢাকায় আসি, তখন থাকা-খাওয়াসহ নতুন পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে চলাসহ নানা প্রতিকূলতা ছিল। তবে যত দিন যাচ্ছিল তত আত্মবিশ্বাসী হতে থাকি। বাড়তে থাকে আমার কাজের গতি ও আস্থা। আমি চাই প্রতিকূলতাকে জয় করে আমার মতো এই পেশায় আরও অনেক মেয়েরা আসুক।
০৮ মার্চ ২০২৪, ১৭:০৩

’৭৫ পরবর্তী কোনো সরকার সমুদ্রসীমার অধিকার নিয়ে কথা বলেনি : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতাকে হত্যার পর ২১ বছর সমুদ্রসীমার অধিকার নিয়ে কেউ কোনো কথা বলেনি।  বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘দ্য টেরিটোরিয়াল ওয়াটারস অ্যান্ড মেরিটাইম জোন অ্যাক্ট-১৯৭৪’র সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।  প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের বিশাল সমুদ্রসীমায় আমাদের কোনো অধিকার ছিল না। ১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যা করে সংবিধান লঙ্ঘন করে যারা ক্ষমতায় এসেছিল, ২১টা বছর তারা সমুদ্রসীমার অধিকার নিয়ে কেউ কোনো কথা বলেনি।  তিনি বলেন, জাতির পিতা ভারতের সঙ্গে আমাদের স্থল সীমানার চুক্তি করে গিয়েছিলেন। সংবিধান সংশোধন করে চুক্তি বাস্তবায়ন করেন। তবে পরবর্তীতে সেটা কার্যকর করা হয়নি। এর ২১ বছর পর আমরা সরকারে এসে বিষয়গুলো নিয়ে কাজ শুরু করি।  সরকারপ্রধান বলেন, সে সময় কাজগুলো খুব গোপনীয়তার সঙ্গে শুরু করতে হয়েছিল। আমাদের সমুদ্রসীমা যাতে নিশ্চিত হয় সেজন্য জাতিসংঘে আমরা সই করে আসি। তিনি বলেন, সমুদ্রসীমার সম্পদ আহরণ করে দেশের মানুষের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে কাজে লাগানোর ওপর জোর দিয়েছে সরকার। আমাদের তরুণ সমাজ অত্যন্ত মেধাবী। তাদের পথ দেখালেই বীরদর্পে সামনে এগিয়ে যাবে। আমরা সেটাই চাই। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতাকে হত্যার পর বাংলাদেশ থমকে গিয়েছিল। আমরা আবার সেখান থেকে শুরু করে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত করেছি। আমরা চাই, ২০৪১ সালের বাংলাদেশ হবে উন্নত, সমৃদ্ধ, স্মার্ট বাংলাদেশ। আধুনিক প্রযুক্তি ও জ্ঞানসম্পন্ন নাগরিক গড়ে তুলতে চাই। আমরা বিশ্বের বুকে মাথা উচু করে দাঁড়াবো। মর্যাদা নিয়ে চলবো। সব পরিকল্পনা ও কর্মসূচি নিয়ে রেখেছি। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সময়োপযোগী করে আমাদের পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে। তিনি বলেন, খনিজ সম্পদসহ সব আমাদের উত্তোলন করতে হবে। কাজে লাগাতে হবে। এজন্য যথাযথ বিনিয়োগও প্রয়োজন। এজন্য আলাপ আলোচনা করছি। আন্তর্জাতিক টেন্ডারও দিয়েছি। আমরা বিশাল সমুদ্রসীমার যথাযথ ব্যবহার করে দেশের মানুষের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে কাজে লাগাতে চাই। সরকারপ্রধান বলেন, আমরা কারো সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হবো না। তবে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার সামর্থ্য থাকতে হবে। ফোর্সেস গোল তৈরি করেছি। সে অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছি। এসময় তিনি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনারা আসুন। বাংলাদেশে বিনিয়োগ করুন। আমাদের ভৌগলিক অবস্থানের কারণেই বিনিয়োগ করে আপনারাও লাভবান হবেন।
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:৪১

শিশু আয়হামের মৃত্যু / পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত জেএস হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ  
সুন্নতে খতনা করাতে গিয়ে শিশু আয়হামের মৃত্যুর ঘটনায় রাজধানীর মালিবাগের জেএস হাসপাতালের সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়ে নোটিশ ঝুলিয়ে দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।  বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগ জেএস ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড মেডিকেল চেকআপ সেন্টারে এসে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. আবু হোসেন মো. মইনুল আহসান।  তিনি বলেন, পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত জেএস হাসপাতালের সব কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।  এর আগে, মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে রাজধানীর মালিবাগের জেএস হাসপাতালের অপারেশন রুমে সুন্নতে খতনার জন্য অ্যানেস্থেশিয়া দেওয়া হয় শিশুটিকে। যাতে গভীর ঘুমে তলিয়ে যায় আয়হাম। পরিস্থিতি খারাপের দিকে যেতে থাকলে আরেকটি হাসপাতাল থেকে আনা হয় চিকিৎসক। কিন্তু পরীক্ষা করে দেখা যায়, চিরঘুমে চলে গেছে শিশুটি। এ ঘটনায় তার বাবা ফখরুল ইসলাম মামলা দায়ের করেছেন। ডা. এস এম মুক্তাদিরসহ ৩ জন নামীয় আর ৫ জন অজ্ঞাতনামার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তিনি। এ ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে হাতিরঝিল থানা পুলিশ।  প্রসঙ্গত, এর আগেও এই হাসপাতালকে অনুমোদনহীন ঔষধ রাখার জন্য ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছিল।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৩৯

মুক্তির অনুমতি পেল বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পরবর্তী ৩৬ ঘণ্টার চলচ্চিত্র ‘৫৭০’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নির্মমভাবে সপরিবারে হত্যা করা হয়। বলা চলে এ দিনটি বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেদনায়ক এক অধ্যায়। সেই হত্যাকাণ্ডের পরের কয়েক ঘণ্টা আসলে কী হয়েছিল। কেমন করে ঢাকার ৩২ নম্বরের বাড়ি থেকে মরদেহ টুঙ্গিপাড়া গেল। কোন প্রক্রিয়ায় দাফন করা হলো।  সেই ঘটনা নিয়েই নির্মিত হয়েছে চলচ্চিত্র ‘৫৭০’। প্রায় তিন বছর আগে শুটিং হওয়া সেই সিনেমাটি প্রায় ৬ মাস আটকে থাকার পর বেশ কিছু দৃশ্য কর্তন সাপেক্ষে এবার সেন্সর ছাড়পত্র পেয়েছে বলে জানালেন পরিচালক আশরাফ শিশির। রোবাবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড থেকে ছাড়পত্র পায় ৫৭০’। নির্মাতা বলেন, সেলুলয়েডের পর্দায় সেই মর্মান্তিক দিনটিকে তুলে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এই ছবিটির মাধ্যমে। যেখানে উঠে আসবে, বঙ্গবন্ধু হত্যা পরবর্তী ৩৬ ঘণ্টার প্রতিটি মুহূর্ত।  প্রায় ছয়মাস আটকে থাকার পর অবশেষে সিনেমাটি ছাড়পত্র পেল।   এতে বঙ্গবন্ধুর লাশ বহন করা সেনাবাহিনীর একজন সৈনিক চরিত্রে দেখা যাবে বাপ্পী চৌধুরীকে। মূলত তার উপস্থিতিতেই হেলিকপ্টারে করে বঙ্গবন্ধুর রক্তাক্ত মরদেহ ঢাকা থেকে নিয়ে যাওয়া হয় টুঙ্গিপাড়ায়। এক সাক্ষাৎকারে বাপ্পী চৌধুরী জানান, পুরো ছবির গল্পটি তিনি নির্মাতার কাছে শুনেছেন প্রায় চার ঘণ্টা সময় নিয়ে। যেটি শুনে তিনি কেঁদেছেন অঝোরে। তার ভাষ্যে, ‘ঘটনাগুলো আসলে সহ্য করার মতো নয়। এবং এই ছবিটির প্রতিটি চরিত্র ও বর্ণনা মূল ঘটনা অবলম্বনে তৈরি। যার পুরোটা বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্ট থেকে অনাপত্তিপত্র নেওয়া হয়েছে।’ এতে আরও অভিনয় করেছেন প্রয়াত মাসুম আজিজ, স্বাধীন খসরু, কাজী রাজু, সুমনা সোমা, সুজাত শিমুল, এলিনা শাম্মীসহ একঝাঁক অভিনয় শিল্পী। শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয় করেছে সিমরিন লুবাবা, তাসিন, তাজিম, তাঈফ, নির্ঝর বিশাল প্রমুখ। চলচ্চিত্রটি প্রযোজনা করেছেন সিনেবাজ ফিল্মস্।  ৫৭০ এর থিম সঙ্গীত রচনা করেছেন আশরাফ শিশির, কণ্ঠ দিয়েছেন ওয়ারফেজের প্রাক্তন লিড ভোকাল মিজান রহমান।
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:৪১

পরবর্তী বিসিবি প্রধান কে হবেন, জানালেন পাপন
মন্ত্রিসভার সদস্য হওয়ার পর থেকেই গুঞ্জন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) দায়িত্ব ছাড়ছেন নাজমুল হাসান পাপন। যদিও একই সঙ্গে দুই দায়িত্বে থাকতে বাধা নেই কোনো। আবার বিসিবির সভাপতি হিসেবে তার মেয়াদ শেষ হতে এখনও প্রায় দুই বছর বাকি। তাই বিষয়টি নিয়ে চলছে নানান জল্পনা-কল্পনা। ২০১২ সালের ১৭ অক্টোবর প্রথমবার দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্তা সংস্থা-বিসিবির দায়িত্ব নেন পাপন। এরপর টানা তিনবার বিসিবি সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি। সর্বশেষ ৬ অক্টোবর ২০২১ সালে তিনি বিসিবির সভাপতির দায়িত্ব পান। এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চোখ রাখলেই নতুন সভাপতি হিসেবে সাবেক অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার নামই ভেসে আসছে। লম্বা সময় ধরে জাতীয় ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। এ ছাড়া সাকিব আল হাসানকে নিয়েও গুঞ্জন আছে। মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার একদিন পর শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে গণমাধ্যমে মুখোমুখি হয়েছেন পাপন। এ সময় পাপনের ভাষ্য, আইনে কোনো সমস্যা নেই, এটাই হচ্ছে বড় কথা। কথা হচ্ছে একসঙ্গে যদি দুটোতে থাকি; তাহলে একটা স্বাভাবিকভাবেই মনে হতে পারে যে ক্রিকেটের প্রতি আমার দৃষ্টিটা একটু বেশি। এটা সবার ধারণা, এটা অস্বাভাবিক কিছু না। বিসিবি বসের মন্তব্য, যদিও আমি বলে রাখি, আমি যদি এই ক্রিকেট বোর্ড, মন্ত্রণালয়ে না-ও থাকি, তা-ও ক্রিকেট সবসময় আমার সঙ্গে থাকবে। এটা মন থেকে তো আর সরানো যাবে না। সেটা আছে কিন্তু ভালো হয়; যদি আলাদা হয়ে যায়। আলাদা হয়ে গেলে ভালো হবে। কারণ, তাহলে আর মানুষের মধ্যে ওই সন্দেহটা হবে না হয়তো ক্রিকেটকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। কারণ, আমি গুরুত্ব সবগুলোকে দিতে চাই। তবে প্রায়োরিটিভিত্তিক। ক্রীড়ামন্ত্রীর ভাষ্যমতে, এখানে বেসিক কয়েকটা ব্যাপার আছে, প্রথম কথা হচ্ছে ইচ্ছা করলেই ছেড়ে দেওয়া যায় না এখন। সেটা আমরা জিম্বাবুয়ের ক্ষেত্রেও দেখেছি দুই বছর তারা প্রায় ব্যান (নিষিদ্ধ), শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রেও এবার দেখেছি। আমি মনে করি এমন কিছু তাড়াহুড়ো করে সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক হবে না, যেটা দেশের ক্রিকেটের ক্ষতি করতে পারে। তবে অপশন কি কি আছে। একটা অপশন তাদের সঙ্গে আমার কথাটা বলতে হবে। এখানে দুটো জিনিস আছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। একটা হচ্ছে আমাদের মেয়াদ যেটা সবসময় আইসিসি চায় তাদের ইলেক্টেড বডির (নির্বাচিত কমিটি) ফুল মেয়াদটা। আর একটা হচ্ছে আইসিসির মেয়াদ। পাপনের দাবি, আমার মনে হয় একটা হতে পারে আইসিসির মেয়াদটা শেষ হয়ে গেলে তখন একটা চিন্তা করে তাদের সঙ্গে কথা বলে বের হয়ে আসার সুযোগ আছে। তবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই এখন যারা বোর্ডের ডাইরেক্টর আছে তাদের মধ্যে থেকে একজন হবে। মানে বাইরে থেকে কারও আসার কোনো সুযোগ নেই।
১২ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:৪৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়