• ঢাকা বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
গাইবান্ধায় ১ টাকায় মিলল ১৬ পণ্য
গাইবান্ধা শহরে স্বাধীনতার রজত জয়ন্তী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে বসেছিল এক টাকার বাজার। এক টাকায় পণ্য বিক্রির কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ আহসান হাবিব রাজিব।  সোমবার (৮ এপ্রিল) বিকেল চারটার দিকে বসা এ বাজারে মাত্র এক টাকা দিয়েই মিলেছে চাল, ডাল, মুরগিসহ ১৬ প্রকারের পণ্য। অন্য ১৩টি পণ্য হচ্ছে সোয়াবিন তেল, চিনি, সেমাই, গুড়া দুধ, লবণ, আলু, পিয়াজ, মিষ্টি কুমড়া, রসুন, ঝিঙ্গা, মরিচ, লেবু ও সাবান। গাইবান্ধার সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘আমাদের গাইবান্ধা’ এ ব্যতিক্রমী বাজারের আয়োজন করে।  জানা যায়, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা ২০১৪ সালে সংগঠনটি গড়ে তোলে।  উদ্যোক্তারা বলেন, ‘আমাদের গাইবান্ধা’ সংগঠনের সদস্যরা নিজেদের টিফিনের টাকা, হাত খরচের টাকা ও বাবা-মায়ের কাছ থেকে ঈদের কেনাকাটার টাকা বাঁচিয়ে এই বাজারের আয়োজন করে থাকেন। পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে এবার ২৫০ জন নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণে এ বাজারের আয়োজন। এ বিষয়ে আমাদের গাইবান্ধা সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মুসাভভির রহমান বলেন, টানা চতুর্থ বারের মতো নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে ‘এক টাকার বাজার’ শিরোনামে প্রতীকি মূল্যে ‘বাজার বিতরণ’ কর্মসূচি পালন করা হলো। দুঃস্থ মানুষের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে এ ধারা অব্যাহত থাকবে। এ দিকে মাত্র এক টাকায় ১৬ প্রকার পণ্য পাওয়ায় খুশি বাজারে আসা নিম্ন আয়ের নারী-পুরুষ। জানতে চাইলে গাইবান্ধা পৌরসভার ডেভিড কোম্পানিপাড়ার নাছিমা বেগম (৬০) বলেন, ‘যামরা এ্যাক ট্যাকাত এতো কিচু দিলো, আল্লায় তামাক ভালো করবে। ঈদের আগে এক টাকা দিয়ে অনেক বাজার পাইছি। জীবনের প্রথম এক টাকা দিয়ে এক সঙ্গে এতো কিছু পাইলাম।’ চক মামরোপুর গ্রামের আয়শা বেগম (৫৮) বলেন, ‘এ্যাক ট্যাকা দিয়ে ম্যালা কিচু পানো বাবা। নাতিটে গোসতো খাবার চাচিলো, আচকে খিলব্যার পামো। খুব উপক্যার হলো।’  শহরের কলেজপাড়া এলাকার বারী মিয়া (৫৯) বলেন, ‘এই বাজারোত আসি ম্যালা জিনিস পানো। হামরা খুসি হচি।’  একই কথা বললেন একই উপজেলার জুম্মাপাড়া গ্রামের মোর্শেদা বেগম (৬০)। আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথিরা বলেন, এক টাকার বাজারের এ উদ্যোগ দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।  এ ধরনের বাজারের আয়োজনের পাশাপাশি নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তারা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আসিফ ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোসাদ্দেক হোসাইন মামুন, আমাদের গাইবান্ধা সংগঠনের সভাপতি সায়হাম রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মুসাভভির রহমানসহ সদস্যরা। 
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৫৭

বাংলাদেশে পণ্য বর্জনের ডাক নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাল ভারত
‘ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক’ দিয়ে দেশে গত প্রায় তিন মাস ধরে যে প্রচারণা চলছে, তা নিয়ে নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারত সরকার।  বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) ভারতের রাজধানী দিল্লিতে সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এ ব্যাপারে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। তিনি জানান, বাংলাদেশে ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দুই দেশের সম্পর্কের গভীরতা নষ্ট করতে পারবে না। দুই দেশের সম্পর্কের ব্যাপ্তি সর্বগামী, এই সম্পর্ক এমনই থাকবে। ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক তাকে প্রশ্ন করেন, ‘বাংলাদেশে গত বেশ কিছুদিন ধরে তথাকথিত ‘ইন্ডিয়া আউট’ নামে একটি ক্যাম্পেইন চলছে, যাতে মূলত ভারতের পণ্য বয়কট করার ডাক দেওয়া হচ্ছে। সে দেশের উল্লেখযোগ্য কয়েকজন বিরোধীদলীয় নেতাও সেটাতে তাদের সমর্থন জানিয়েছেন। এই আন্দোলন নিয়ে কি আপনি কোনো মন্তব্য করতে চাইবেন? আর দ্বিতীয়ত, এর ফলে বাংলাদেশে ভারতের রপ্তানির পরিমাণে কি কোনো প্রভাব পড়ছে?’ জবাবে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘দেখুন, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার সম্পর্ক আসলে খুব শক্তিশালী ও গভীর। আমাদের দুই দেশের মধ্যে আসলে একটি কম্প্রিহেনসিভ পার্টনারশিপ আছে, যা বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিস্তৃত। অর্থনীতি থেকে শুরু করে বাণিজ্য, বিনিয়োগ থেকে শুরু করে উন্নয়ন সহযোগিতা, কানেক্টিভিটি থেকে শুরু করে পিপল-টু-পিপল কনট্যাক্ট–মানবজীবনের যেকোনো ক্ষেত্রে আপনি যেকোনো একটা বিষয়ের নাম নিন, দেখবেন সেটা কিন্তু ভারত-বাংলাদেশের সামগ্রিক সম্পর্কের অংশ। আমাদের দুই দেশের অংশীদারিত্ব ঠিক এতটাই প্রাণবন্ত। আর এই ধারা আগামী দিনেও অব্যাহত থাকবে।’  
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ০২:০৯

হিলিতে বিজিবির থেকে পণ্য ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে আটক ১
দিনাজপুরের হিলিতে সরকারি কাজে বাধা এবং বিজিবির কাছ থেকে ভারতীয় পণ্য ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে লিটন হোসেন (৩২) নামে এক যুবককে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।  বুধবার (৩ এপ্রিল) দুপুর আড়াইটার দিকে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট গেটে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জয়পুরহাট-২০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল তানজিলুর রহমান।  আটককৃত আসামি লিটনের দাবি তার কাছে কোন প্রকার ভারতীয় পণ্য ছিলো না। পরিবারসহ স্থানীয় কয়েকজনের দাবি পূর্বে বিজিবির সদস্য ওমর আলীর সঙ্গে ঝামেলা হওয়ার কারণে এ ঘটনা ঘটিয়েছে বিজিবি।  এ বিষয়ে হাকিমপুর থানায় বাদী হয়ে মামলা করেছেন বিজিবি সদস্য নায়েক ওমর আলী। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বুধবার (৩ এপ্রিল) দুপুর ২টা ১০ মিনিটে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট গেটের জিরো পয়েন্টে ডিউটিতে থাকাকালীন সময়ে পাসপোর্টধারী এক মহিলা যাত্রী ভারত থেকে নিয়ম বহির্ভূত দুটি ব্যাগে ভারতীয় পন্ডস বিউটি ক্রিম নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এ সময় ওই যাত্রীকে ব্যাগে থাকা পণ্যের বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে সে সঠিক উত্তর দিতে পারে না। পরে ওই ব্যাগ দুটিতে থাকা ৫৮ কেজি পন্ডস ক্রিম হিলি বন্দর শুল্ক অফিসে পাঠানোর সময় আসামি লিটন আমার পথরোধ করে। সরকারি কর্তব্য পালনে বাধা দিয়ে পণ্য ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে এবং আমাকে ধাক্কা দিলে আমি মাটিতে পড়ে গিয়ে আঘাত পাই। পরে অন্য কর্তব্যরত বিজিবি সদস্যদের সহযোগিতায় আসামিকে আটক করা হয়। লে. কর্নেল তানজিলুর রহমান বলেন, সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার কারণে লিটন নামে এক যুবককে গতকাল বুধবার আটক করা হয়েছিলো। তার নামে মামলা দায়ের করে বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) দিনাজপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে হাকিমপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দুলাল হোসেন বলেন, গতকাল (৩ এপ্রিল) বিকেলে ২০ বিজিবির সদস্যরা লিটন নামে একজনকে আটক করে থানায় মামলা দায়ের করেন। আমরা সকল প্রস্তুতি শেষ করে দিনাজপুর আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। 
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ২১:৩৮

এস্তোনিয়া হবে বাংলাদেশের আইটি পণ্য রপ্তানির পরবর্তী গন্তব্য : পলক
ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জনাব জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, এস্তোনিয়া হবে বাংলাদেশের আইটি পণ্য রপ্তানির পরবর্তী গন্তব্য। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) এস্তোনিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগর বিভাগের প্রধান ক্রিস্টি কারেলশন এর নেতৃত্বে ৪ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জনাব জুনাইদ আহমেদ পলকের সঙ্গে বাংলাদেশ সচিবালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে। সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশ থেকে আইটি পণ্য আমদানি এবং তাদের উৎপাদিত স্মার্ট প্রযুক্তি পণ্য বাংলাদেশে রপ্তানির করার আগ্রহ ব্যক্ত করেছে। সাক্ষাৎকালে তারা পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়াদি, বিশেষ করে বাংলাদেশ ও এস্তোনিয়ার মধ্যে টেলিযোগাযোগ ও তথ্যযোগাযোগ প্রযুক্তির অগ্রগতির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করেন।  জুনাইদ আহমেদ পলক বাংলাদেশ ও এস্তোনিয়ার মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার বন্ধুপ্রতীম সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বলেন, এস্তোনিয়া এবং বাংলাদেশের মধ্যে ঐতিহাসিকভাবে অনেক মিল রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্মার্ট শিল্পবিপ্লবে বিশ্বে এখন নেতৃত্ব প্রদানকারী দেশের কাতারে উপনীত হয়েছে।  এসময় বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশে সরকার গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচি তুলে ধরে তিনি বলেন, ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালে বাংলাদেশে মূলত ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়। ২০০৯ সাল থেকে গত ১৫ বছরে এ খাতে অভাবনীয় অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে।  প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারের বিনিয়োগবান্ধব নীতির ফলে বাংলাদেশে বিনিয়োগ অত্যন্ত লাভজনক। তিনি আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশ ও এস্তোনিয়ার মধ্যকার বন্ধুপ্রতীম সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।  এস্তোনিয়া প্রতিনিধিদলের প্রধান সেদেশের তথ্যপ্রযুক্তির অগ্রগতির বিভিন্ন দিক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জনাব জুনাইদ আহমেদ পলককে অবহিত করে বলেন, সাইবার নিরাপত্তাসহ স্মার্ট অবকাঠামো উন্নয়নে এস্তোনিয়া কাজ করছে। তিনি স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা করেন। বাংলাদেশে এখাতে অগ্রগতির অভিজ্ঞতা অন্যদের অনুপ্রাণিত করবে বলে উল্লেখ করেন। প্রতিনিধিদলের অপর সদস্যরা হলেন, ভারতে এস্তোনিয়ার রাষ্ট্রদূত মার্জি লুপ, বাংলাদেশে এস্তোনিয়ার অনারারি কনস্যুল সৈয়দ ফরহাদ আহমেদ এবং নয়দিল্লীতে এস্তোনিয়া দূতাবাসের ডিসিএম মারগুস সলসন।
০২ এপ্রিল ২০২৪, ২০:৪৯

দ্রব্যমূল্যের দাম ঠিক রাখতে সারাবছর পণ্য আমদানির ঘোষণা
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেছেন, কোনো পণ্যের আমদানি বন্ধের ঘোষণা দিলেই বাজারে তার দাম বেড়ে যায়। তাই এখন থেকে বাজারে যখনই কোনো পণ্যের দাম বেড়ে যাবে সঙ্গে সঙ্গে তা আমদানি করা হবে।  মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাজধানীর ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) ভবনের সামনে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বাণিজ্য সচিব। তিনি বলেন, চাহিদা ও জোগানের সঙ্গে বাজারে দ্রব্যমূল্যের দাম সম্পর্কিত। কিন্তু বাংলাদেশের বাজার বেশিরভাগ সময়ে এই সমীকরণ মানে না। গোডাউনে পণ্য মজুত থাকার পরেও বাজারে দাম বেড়ে যায়। বাজার যে ধাচে চলছে তাতে করে এটিকে কোনো ছকে ফেলা আচ্ছে না। মার্কেটের আচারণের কোনো যৌক্তিকতা নেই। এই যৌক্তিকতা ফিরিয়ে আনতে সরকার নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। বাণিজ্য সচিব তপন বলেন, দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বাজারে পণ্যের দাম কমিয়ে আনা ও সিন্ডিকেটের কারসাজি রুখে দেওয়াকে নিজের জিহাদ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। সেটির অংশ হিসেবেই বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ এসেছে। নিষেধাজ্ঞা চলমান থাকা অবস্থায়ই এই পেঁয়াজ আনতে পারা বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর কূটনৈতিক সাফল্য। তিনি আরও বলেন, ভারত কাউকে পেঁয়াজ দিচ্ছে না, এমন সময়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আবুধাবিতে ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে টানা বৈঠক করেন দেশের বাজারে পেঁয়াজ আনতে। অনেক সংশয় ও চ্যালেঞ্জ থাকলেও অবেশেষে আমরা সাফল্য পেয়েছি। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন টিবিসির চেয়ারম্যান মো. আরিফুল হাসান, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহারিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান প্রমুখ।
০২ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৫৩

ভারতীয় পণ্য বয়কট নিয়ে কথা বললেন আব্দুল মোমেন
বিএনপির ভারতীয় পণ্য বয়কট নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, এই ভারতীয় পণ্য বয়কট কেবলই একটি পলিটিক্যাল স্টান্ট। এই স্টান্টের অংশ হিসেবে ইদানীং সময়ে ভারতীয় পণ্য বয়কটের প্রবণতা দেখা দিয়েছে, তাতে বিএনপিও সায় দিচ্ছে। শুক্রবার (২৯ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির প্রথম বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি। বৈঠকে সোমালিয়ার উপকূলে জিম্মি নাবিকদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনার বিষয়টি আলোচনা হয়েছে। শিগগিরই একটি ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া যাবে জানান আব্দুল মোমেন। সাবেক মন্ত্রী আব্দুল মোমেন বলেন, যেসব দেশে বাংলাদেশের দূতাবাস নেই, সেসব দেশে অনারারি কাউন্সিল খোলার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বিভিন্ন দেশের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন এবং অভিজ্ঞতা বিনিময়ের ব্যবস্থা গ্রহণ, বিদেশি পার্লামেন্টারি ডেলিগেশনের সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকের আয়োজন, আন্দামান দ্বীপপুঞ্জসহ বিদেশের কোন কোন জেলে কত বাংলাদেশি বন্দি এবং মুক্তির বিষয়ে মিশনগুলো কি করেছে, সেসবের বিবরণ নিয়েও আলোচনা হয়েছে। বিশেষ করে প্রত্যেক মাসে প্রবাসীদের অভিযোগ কতগুলো এবং কি অভিযোগ আসে, তার বিবরণ পাঠাতে হবে দূতাবাসগুলোকে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বিভিন্ন উইং আছে, আমরা সুপারিশ করেছি এর পাশাপাশি যেন মানবাধিকার উইং খোলা হয়। তাছাড়া বিভিন্ন দেশে দূতরা যখন ট্রান্সফার হন, তখন তিনি দূতাবাসের নম্বরটি সঙ্গে করে নিয়ে যান। ফলে সেবাগ্রহীতারা তৎক্ষণাৎ সেবা পায় না। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের সঙ্গে সহজে যোগাযোগ করার জন্য একটি ইউনিক ফোন নম্বর তৈরির বিষয়টিও আলোচনা হয় বৈঠকে।
২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫:৪৮

ভারতীয় পণ্য বর্জন আন্দোলন নিয়ে বিএনপিতে দ্বন্দ্ব!
বিএনপি নেতাকর্মীদের ভারতীয় পণ্য বর্জনের প্রচারণার পরও দলীয়ভাবে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করছে না বিএনপি। দলটির শীর্ষস্থানীয় নেতারা বলছেন, বিএনপি এখনও দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নেয়নি। পরে যথাসময়ে এ বিষয়ে দলের অবস্থান বা প্রতিক্রিয়া জানানো হবে। আর বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপির মধ্যে নেতৃত্বের যে সংকট চলছে ভারতবিরোধী ইস্যুতে তা প্রকট হয়েছে। একইসঙ্গে দলটিতে যে মতের পার্থক্য রয়েছে তা-ও স্পষ্ট হয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের কিছুদিন পরই আওয়ামী লীগবিরোধী কয়েকটি দলের তৎপরতায় শুরু হয় ‘ইন্ডিয়া আউট’ বা ভারতীয় পণ্য বর্জনের আন্দোলন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এটি ছড়িয়ে পড়ে। বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের ও সামাজিকমাধ্যমে প্রচারণা চালাতে দেখা যায়। গত ২০শে মার্চ বিএনপির মুখপাত্র ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী নিজের ভারতীয় চাদর ছুড়ে ফেলে এই আন্দোলনে সংহতি জানান। গত সোমবার (২৫ মার্চ) রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে এই ‘ভারতীয় পণ্য বর্জনের’ বিষয়টি নিয়ে ও আলোচনা হয়। এতে রুহুল কবির রিজভীর ওই কর্মকাণ্ড তুলে ধরে আলোচনা করা হয়। ভারতীয় পণ্য বর্জনে রিজভীর সংহতি জানিয়ে দেওয়া বক্তব্য ব্যক্তিগত বলে স্থায়ী কমিটিতে জানানো হয়েছে। দলটির শীর্ষস্থানীয় নেতারা বলছেন, এই আন্দোলন বা কর্মসূচি বিএনপি আহ্বান করেনি। অন্যান্য বিভিন্ন জায়গা থেকে এই আহ্বান করা হয়েছে। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘মানুষ যখন মার্কেটে যায় তারা একটা কোয়ালিটি কাপড় দেখে। সেটা মেইড ইন বাংলাদেশ, মেইড ইন ইনডিয়া নাকি চায়না এটা দেখে না। ইনডিয়ান কাপড় কেনে এমন ও না। এটার কথা স্পেসিফিক করা যাবে না। এটা একটা রাজনৈতিক আবেগ। তবে দলীয়ভাবে এ বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি।’ এ বিষয়ে মঙ্গলবার থেকে দলটির আরো কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় নেতার সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে সাড়া দেননি তারা। বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপি নেতারা কেন স্ত্রীদের ভারতীয় শাড়ি পোড়াচ্ছেন না এমন প্রশ্ন তোলেন। ভারতবিরোধী ইস্যুতে বিএনপি এখনও দলীয় সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি। বরং যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর বক্তব্য নিয়ে দলের মধ্যেই যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে তাতে এই বিষয়টিকে নেতৃত্বের সংকট বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, বিএনপির মধ্যে নেতৃত্বের সংকট চলছে। ফলে এটি যুগ্ম মহাসচিবের ব্যক্তিগত বক্তব্য নাকি কতখানি বিএনপির সিদ্ধান্ত তা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব রয়েছে। রাজনৈতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক দিলারা চৌধুরী বলেন, ‘এই কর্মসূচি নিয়ে দেখা যাচ্ছে বিএনপির দলের মধ্যেই দ্বন্দ্ব আছে। রিজভীর চাদর পোড়ানোর মধ্য দিয়ে দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে। আরেক দল বলছে ভারতকে আমরা অসন্তুষ্ট করব না। কারণ, তাহলে ক্ষমতায় আসা যাবে না। আবার আরেকদল ভাবছে তাদের অফিসিয়াল স্ট্যান্ড গণতন্ত্র, সার্বভৌমত্বের জন্য ফাইট করবো। সুতরাং দলের মধ্যেই এরকম একটা দ্বন্দ্ব দেখা যাচ্ছে বলে আমার মনে হয়।’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘বিএনপির মধ্যে যে লিডারশিপের ক্রাইসিস চলছে। কে মহাসচিব হবে সেটা একটা বিষয়। আরেকটা বিষয় নির্বাচনে যেহেতু পশ্চিমা দেশের সাপোর্ট তা সেভাবে ফলপ্রসূ হয়নি। তাই অ্যান্টি ভারত সেন্টিমেন্ট সামনে নিয়ে এসে সেটাকে কাজে লাগিয়ে তারা সাফল্য পেতে চায়।’ ভারতবিরোধী এই কর্মসূচির কোনো প্রভাব নেই বরং বিএনপি এতে যুক্ত হলে আওয়ামী লীগকে সাহায্য করবে বলেই মনে করেন রাজনৈতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা। তিনি বলেন, ‘এটার কোন ইমপ্যাক্ট নেই। স্যাংশন বা বয়কট কোন কাজে দেয় না। বরং তারাই উপকৃত হয়। এটা যেমন আওয়ামী লীগকেই হেল্প করবে।’ বিএনপির ভারতবিরোধী অবস্থান রাজনীতিতে নতুন কিছু নয়। কোনো কোনো সময় প্রকাশ্যে বিরোধিতা করলেও আবার সতর্ক অবস্থানে চলে যায় দলটি। বিএনপি বরাবরই আওয়ামী লীগকে ভারতের সমর্থনপুষ্ট হিসেবে প্রচার করলেও ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর ভারতের সাথে সম্পর্কন্নোয়নের বেশ চেষ্টা করেছিল। এরপর, ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর বিএনপিকে ভারত ইস্যুতে সরব হতে দেখা যায়। পরের বছরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্যে বিএনপি ভারতের সমালোচনা করে। এর আগে ২০১২ সালের অক্টোবরে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে ভারত সরকারের আমন্ত্রণে দিল্লি সফর করেছিলেন। এরপর থেকে জেলে যাওয়া পর্যন্ত বিএনপি নেত্রী ভারতের বিরোধীতা বা সমালোচনা করে কোনো বক্তব্য দিতে দেখা যায়নি। বিভিন্ন সময় চট্টগ্রাম এবং মংলা বন্দর নিয়ে বিএনপির রক্ষণশীল অবস্থান থাকলেও সে সময় এই বন্দর ভারতকে ব্যবহার করতে দেয়ার ব্যাপারে চুক্তির পর দলটি সতর্কভাবে লিখিত বিবৃতির মাধ্যমে তাদের বক্তব্য দেয়। ২০১৩ সালে ভারতের তখনকার রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জীর ঢাকা সফরের সময় বিরোধী দলীয় নেত্রী হিসেবে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সাক্ষাৎ বাতিলের সিদ্ধান্তের ফলে দলটির সাথে ভারতের সম্পর্কের আরো অবনতি হয়। পরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঢাকা সফরের সময় তার সাথে হোটেলে গিয়ে দেখা করেন খালেদা জিয়া। সর্বশেষ ২০২১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরের প্রতিবাদে যে সহিংস বিক্ষোভ হয়েছিলো সেটিও বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে দিল্লির দূরত্ব আরও বাড়িয়েছে বলে অনেকে মনে করেন।
২৮ মার্চ ২০২৪, ২০:২২

নকল পণ্য সরবরাহের অভিযোগ, ২ জনের কারাদণ্ড
দিনাজপুরের বিরামপুরে নকল জুস, চকলেট ও পাউডার জুস সরবরাহ করার সময় দুই ব্যবসায়ীকে এক মাস করে কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।  বৃহস্পতিবার (২৮ র্মাচ) দুপুরে পৌরশহরের ঢাকামোড় নাবিল কাউন্টার এর সামনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুরাদ হোসেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, উপজেলার দিওড় ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামের মশিউর রহমানের ছেলে লিটন ইসলাম (২৬) ও একই এলাকার সুরেন্দ্রনাথ মন্ডলের ছেলে গৌতম কুমার (২৫)। সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুরাদ হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন থেকে ঢাকা হতে নকল বোতলজাত জুস চকলেট ও পাউডার জুস বিক্রি করে আসছিল। এমন সংবাদ পেয়ে পৌরশহরের ঢাকা মোড়ে নাবিল কাউন্টারের সামনে অভিযান চালিয়ে দুই’জনকে আটক করা হয়। জব্দকৃত পণ্য চার হাজার ১শ ৫০টি বোতলজাত নকল জুস, দুই কার্টুন পাউডার জুস ও দুই কার্টুন চকলেট ধ্বংস করা হয়েছে। এছাড়াও নকল পণ্য সরবরাহের সময় দুই’জনকে ১ মাস করে ভ্রাম্যমাণ আদালত কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
২৮ মার্চ ২০২৪, ১৮:৫৪

বিএনপির ভারত বর্জন কর্মসূচির কারণ জানালেন নাছিম
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম যাতে আরও বেড়ে যায়, সেজন্যই ভারতীয় পণ্য বর্জনের কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলের ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স এ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন। বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, বিএনপি কখনোই দেশের মানুষের ভালো চায় না। মানুষ শান্তিতে থাকুক তারা এটা চায় না। তারা শেখ হাসিনার সরকারের বিরোধিতার নামে দেশের মানুষের কষ্ট বাড়িয়ে তুলছে। তারই নতুন সংস্কার ভারত বিরোধিতা। নিত্যপণ্যের দাম যাতে আরও বৃদ্ধি পায়, সেজন্যই তারা ভারতীয় পণ্য বর্জনের কর্মসূচি শুরু করেছে। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, জন্মলগ্ন থেকেই তারা দেশের স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ড করছে, মানুষের স্বার্থে আঘাত লাগে এমন কাজ করছে আর ভারত বিরোধিতা তাদের তেমনই কর্মসূচি। স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ম. আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবুর সঞ্চলনায় আলোচনা সভায় অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্মল চ্যাটার্জী।
২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭:২২

পণ্য বর্জনের ডাক দিয়ে ভারতীয় কূটনীতিকদের নিয়ে বিএনপি’র ইফতার
ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিলেও ভারতীয় কূটনীতিকদের নিয়ে ইফতার পার্টি করেছে বিএনপি। পণ্য বয়কটের ডাক দিয়েও ভারত সংশ্লিষ্টতা বয়কট করতে পারেনি তারা। ইফতার পার্টিতে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। উপস্থিত ছিলেন না দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।    অনেকদিন ধরে দেশের একটি জনগোষ্ঠী ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েছে। আর তাতে সমর্থন বয়কটের ডাক দেয় বিএনপি। তাদের মতে, দেশকে স্যাটেলাইট রাষ্ট্রে পরিণত করেছে ভারত। সেই আন্দোলনের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে ২০ মার্চ ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক দেন রুহুল কবির রিজভী।  এর আগে ‘বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার লড়াইয়ে’ পাশে থাকতে ভারতের প্রতি আহ্বান জানান, দলের নীতি নির্ধারক ‘স্থায়ী কমিটি’-র সদস্য আব্দুল মঈন খান। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে যেভাবে ভারতকে পাশে পাওয়া গিয়েছিল, ‘গণতন্ত্রের লড়াই’-য়েও ভারতের সেই ভূমিকা চান মঈন খান। এদিকে (২৪ মার্চ) রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে কূটনীতিকদের সম্মানে বিএনপি’র ইফতার অনুষ্ঠিত হয়। ইফতারে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।  বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান তখন জানান, ইফতারে জাতিসংঘ, এনডিআই, আইআরআই এবং ৩৮টি দেশের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন, যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুক, যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হেলেন ল্যাফেইব, অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার নার্দির সিম্পসন, জার্মান অ্যাম্বাসেডর আখিম ট্রোসটার, পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ, ভারতের ডেপুটি হাইকমিশনার ড. বিনয় জর্জ প্রমুখ।  এছাড়াও ভারতের হাইকমিশনের আরও কর্মকর্তা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।  বিএনপি’র ভারত বয়কট প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, কদিন আগে ওদের নেতা ভারতে চিকিৎসা নিতে গিয়েছিলেন, ভারতে চিকিৎসা নিতে যাবেন, আবার আপনারা ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিবেন-এগুলো হিপোক্রেসি (ভণ্ডামি) ছাড়া অন্য কোনো কিছু নয়। বিএনপির আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশে বাজার অস্থিতিশীল করে পণ্যের মূল্য বাড়ানো।    তিনি আরও বলেন, বিএনপি ভারতের ভারতের গরুর মাংস দিয়ে সেহরি খায়, পেঁয়াজ দিয়ে পেঁয়াজু খায়, ভারতের শাড়ি পরে স্ত্রীরা সাজে, কিন্তু বয়কটের ডাক দেয়। ভারতীয় পণ্য বয়কটের নামে মানুষের সঙ্গে তামাশা করছে তারা। বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য চেষ্টা করছে। এদিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, চিরাচরিত পাকিস্তানি কায়দায় ভারতের বিরোধিতা শুরু করেছে বিএনপি। তারা যখন কোনো রাজনৈতিক ইস্যু না পায়, তখনই এই একটা ইস্যু সামনে নিয়ে আসে। বঙ্গবন্ধুর আমলেও করেছে, এখন শেখ হাসিনার আমলেও তাই করছে। 
২৬ মার্চ ২০২৪, ০১:২৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়