• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
নারী কর্মীদের বোরকা ও নেকাব পরা নিষিদ্ধ করল চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল
নারী কর্মচারীদের বোরকা ও নেকাব পরার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রাম আই ইনফার্মারি অ্যান্ড ট্রেইনিং কমপ্লেক্স (সিইআইটিসি)-র কর্তৃপক্ষ।  প্রতিষ্ঠানটির মানবসম্পদ ব্যবস্থাপক মো. কবির হোসাইন স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে নারী কর্মচারীদের বোরকা ও নিকাব পরা কঠোরভাবে নিষেধ করা হয়েছে। এ নিষেধাজ্ঞা আগামী পহেলা মে থেকে কার্যকর করা হবে।   গত ১৬ এপ্রিল জারি করা এ নোটিশে বলা হয়েছে, ‘আমাদের গ্রাহকদের কাছে একটি ইতিবাচক পেশাদার ভাবমূর্তি তৈরি করতে এবং রোগী ও জনসাধারণের আস্থা বাড়াতে এবং প্রাতিষ্ঠানিক শৃঙ্খলার একটি অংশ হিসাবে, ব্যবস্থাপনা কর্মীদের জন্য একটি নির্দেশিকা তৈরি করেছে সিইআইটিসি। এটি ১ মে থেকে কার্যকর করা হবে। সবাইকে তাদের সহযোগিতা প্রসারিত করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।’ এতে বলা হয়েছে, মহিলা কর্মচারীরা মুখ ঢেকে রাখতে পারবেন না। হিজাব অনুমোদিত। ডিউটির সময় নেকাব এবং বোরকা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সিইআইটিসির নারী কর্মচারী একটি গণমাধ্যমকে বলেন, ইসলামে মুসলিম নারীদের জন্য বোরকা একটি বাধ্যতামূলক ড্রেস কোড। ধর্মীয় এই পোশাকটি নিষিদ্ধ করার অধিকার কর্তৃপক্ষের নেই। এটি অতিরঞ্জিত বাড়াবাড়ি ছাড়া আর কিছু নয়। চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র- সিইআইটিসি নামে পরিচিত হাসপাতালটি ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বেসরকারি এ হাসপাতালটি চক্ষু চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। হাসপাতালটিতে প্রতিদিন প্রায় সাত শতাধিক রোগী চিকিৎসা সেবা নিচ্ছে।
৫ ঘণ্টা আগে

অবশেষে ভাইভা দিলেন নেকাব না খোলা সেই ছাত্রী
নেকাব খুলতে রাজি না হওয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক ছাত্রীর সেমিস্টার ফাইনালের ভাইভা দেড় মাস ধরে আটকে ছিল। অবশেষে আজ শনিবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় উপাচার্যের নির্দেশে সেই ছাত্রীর ভাইভা গ্রহণ করা হয়।  ভাইভার আগে পৃথক কক্ষে দুই নারী শিক্ষকের মাধ্যমে ওই ছাত্রীর পরিচয় নিশ্চিত করা হয়।  এর আগে, গত ১৩ ডিসেম্বর পুরুষ শিক্ষকদের সামনে নেকাব খুলতে অসম্মতি জানানোয় সেমিস্টার ফাইনালের ভাইভা নেওয়া হইনি তার। এর প্রতিবাদে দুই দফায় মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। পরে ভিসির নির্দেশে শনিবার (২৭ জানুয়ারি) নারী শিক্ষকের মাধ্যমে পরিচয় নিশ্চিত করে তার ভাইভা নিয়েছেন শিক্ষকরা।  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিভাগের সভাপতি শিক্ষক শিমুল রায়। তিনি বলেন, ভাইভা ঠিকমতো সম্পন্ন হয়েছে। ভাইভার আগে নারী শিক্ষকের মাধ্যমে ওই ছাত্রীর পরিচয় নিশ্চিত করা হয়। এর আগে ভিসি স্যার আমাদের ডেকে ভাইভা নিতে বলেছিলেন। ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী বলেন, বিভাগের পক্ষ থেকে নেকাব না খোলার আশ্বাস পেয়ে ভাইভাতে অংশগ্রহণ করেছি। ভাইভা ঠিকঠাক মতোই হয়েছে। বোর্ডে স্যার ম্যামরাও অনেক আন্তরিক ছিলেন। ভবিষ্যতে অন্য কারোর সঙ্গে যেন এইরকম না ঘটে সেটাই আমার চাওয়া। গত ১৩ ডিসেম্বর হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ১ম বর্ষের ভাইভায় নেকাব পরে অংশ নেয় এক ছাত্রী। এ সময় ভাইভা বোর্ডের শিক্ষকরা তার পরিচয় নিশ্চিতের জন্য নেকাব খুলতে বলেন। এ সময় ওই ছাত্রী নেকাব খুলতে অস্বীকৃতি জানান এবং প্রয়োজনে নারী শিক্ষকদের মাধ্যমে তার পরিচয় নিশ্চিত করতে অনুরোধ করেন। কিন্তু তাকে ভাইভা বোর্ডের সদস্যদের সামনে নেকাব খুলতে বলা হয়। পরে নেকাব না খোলায় তার ভাইভা নিতে অস্বীকৃতি জানান শিক্ষকরা।  
২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:৩৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়