• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
নিয়ম ভাঙায় সদরঘাটে লঞ্চের দড়ি ছিঁড়ে ৫ জনের প্রাণহানি
বড় কোন খারাপ খবর না থাকায় ঈদুল ফিতরের দিন ভালোই কাটছিল দেশের মানুষের। কিন্তু বিকেল হতেই রাজধানীর সদরঘাটের একটি লঞ্চের ধাক্কায় আরেকটি লঞ্চের ছিঁড়ে তার আঘাতে নিহত বিল্লাল, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী মুক্তা, তিন বছরের মেয়ে মাইশাসহ ৫ জনের মৃত্যুর খবরে এক অন্যরকম পরিস্থির সৃষ্টি হয়। ঘটনাটি কোন দুর্ঘটনা নয়। দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা একটি অন্যায় চর্চার ফল। নিয়ম ভেঙে সদরঘাটে লঞ্চ ভেড়ানোর চেষ্টা করতে গিয়ে ছিঁড়ে যাওয়া লঞ্চের রশির আঘাতে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করেন এ দুর্ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) এ ঘটনায় গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।  এদিন রাতে এ বিষয়ে গণমাধ্যমে কথা বলেছেন কমিটির আহ্বায়ক বিআইডব্লুউটিএর পরিচালক রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমরা ছুটির দিন শুক্রবারই ঘটনাস্থল পরিদর্শনসহ কয়েকজনের সাথে কথা বলেছি। প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে নিয়মের কোনো তোয়াক্কা না করে একটি লঞ্চ বার্থিং করতে গিয়ে তীরে থাকা অপর একটি লঞ্চের রশি ছিঁড়ে যায়। এই ছিঁড়ে যাওয়া রশির আঘাতেই পাঁচজনের মৃত্যু হয়। এসব লঞ্চের মধ্যে যাত্রী পেতে অসুস্থ প্রতিযোগিতাও চলে।  রফিকুল ইসলাম বলেন, পুলিশসহ প্রত্যক্ষদর্শীদের পাশাপাশি গ্রেপ্তার ব্যক্তিদেরও জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে। গ্রেপ্তার হয়ে যারা পুলিশ হেফাজতে রিমান্ডে আছে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের অনুমতি লাগবে। এ ব্যাপারে আজকালের মধ্যে আমরা জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি চেয়ে আদালতে আবেদন করব। তিনি জানান, নির্ধারিত পাঁচ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার চেষ্টা থাকবে। ঘটনার দিন ফায়ার সার্ভিস ঘটনার বর্ণনায় বলেছে, এমভি তাসরিফ-৪ ও এমভি পূবালী-১ রশি দিয়ে ১১ নম্বর পন্টুনে বাঁধা ছিল। এ দুটি লঞ্চের মাঝখান দিয়ে এমভি ফারহান-৬ নামের আরেকটি লঞ্চ ঢোকানোর সময় এমভি তাসরিফ-৪ লঞ্চের রশি ছিঁড়ে যায়। ছিঁড়ে যাওয়া ওই রশির আঘাতেই পন্টুনে থাকা ওই পাঁচ যাত্রীর মৃত্যু হয়। বিআইডব্লিউটিএ ইতোমধ্যে এমভি ফারহান-৬ ও তাসরিফা-৪ এর রুট পারমিট বাতিল করেছে। ঘটনার দিনই দুই লঞ্চের চালক ও ম্যানেজারসহ মোট ৫ জনকে আটক করে পুলিশ। পাঁচজন হচ্ছেন- ফারহান-৬ লঞ্চের মাস্টার আব্দুর রউফ হাওলাদার (৫৪), দ্বিতীয় মাস্টার সেলিম হাওলাদার (৫৪) ও ম্যানেজার ফারুক খান (৭০) এবং তাসরিফ-৪ লঞ্চ এর মাস্টার মিজানুর রহমান (৪৮) ও দ্বিতীয় মাস্টার মনিরুজ্জামান (২৮)। শুক্রবার আদালত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের তিন দিন করে পুলিশ হেফাজতের অনুমতি দিয়েছে। বৃহস্পতিবারই তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। কমিটিকে পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এর আগে, রাজধানীর সদরঘাট টার্মিনালে  লঞ্চের দড়ি ছিঁড়ে তার আঘাতে পিরোজপুরের মোটবাড়িয়ার বিল্লাল হোসেন (২৫), তার স্ত্রী মুক্তা (২৬) ও শিশু মেয়ে সাইমা (৩), ঠাকুরগাঁও সদরের নিশ্চিতপুরের রবিউল (১৯) এবং পটুয়াখালী সদরের মো. রিপন হাওলাদার(৩৮) নিহত হন। ঈদের আনন্দের মধ্যে এঘটনা প্রতিটি গ্রামেই বিষাদের ছায়া ফেলেছে।
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৪৯

ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কাটার নিয়ম
আগামী ১০ এপ্রিলকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন ধরে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। আগের ঈদগুলোতে ৫ দিনের টিকিট বিক্রি করলেও এবারই প্রথম ৭ দিনের টিকিট বিক্রি করবে রেলওয়ে। ঈদ উপলক্ষ্যে ঘরমুখো মানুষের এই ট্রেন যাত্রার টিকিট ভোগান্তি-বিহীন কিনতে শতভাগ টিকিট অনলাইনে বিক্রি করা হবে। রোববার (২৪ মার্চ) সকাল ৮টা থেকে রেলওয়ের ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে টিকিট বিক্রি করা হবে। তবে ঈদকে উপলক্ষ্য করে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট পাওয়া সোনার হরিণ পাওয়ার মত সমান। তাই সহজে কিভাবে অগ্রিম ট্রেনের টিকিট কাটতে পারবেন জেনে নিন। কয়টি উপায়ে আপনি ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কাটতে পারবেন- আপনি সাধারণত দুইটি উপায়ে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কাটতে পারবেন একটি হলো অনলাইন পদ্ধতি এবং অপরটি হলো স্টেশনে গিয়ে কাটতে পারবেন। চলুন আমরা দুইটি উপায় সম্পর্কে জেনে নিই যে কিভাবে আপনি ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কাটতে পারবেন। অনলাইন পদ্ধতি- বর্তমানে সবচেয়ে সহজ এবং নিরাপদ টিকিট ক্রয় করার পদ্ধতি বলা যায় অনলাইন পদ্ধতিকে। অনলাইন পদ্ধতিতে আপনি খুব সহজেই ট্রেনের টিকিট ক্রয় করতে পারবেন। আপনি আপনার ঘরে বসেই খুব সহজে মোবাইলের মাধ্যমে বাংলাদেশ রেলওয়ে অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে (https://eticket.railway.gov.bd) সেখান থেকে খুব সহজেই ট্রেনের টিকিট কাটতে পারবেন। এছাড়াও রেল সেবা অ্যাপ মোবাইলের প্লে-স্টোর থেকে ডাউনলোড করে সেখান থেকে রেজিস্ট্রেশন করে অনলাইনের মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট কাটতে পারবেন। সেখানে আপনি খুব সহজেই বিকাশ নগদ অথবা ব্যাংকের মাধ্যমে টিকিটের টাকা পরিশোধ করতে পারবেন। অনলাইনে টিকিট কাটার পদ্ধতি খুবই সহজ নিরাপদ এবং সহজলভ্য।  অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার পদ্ধতি- অনলাইনে টিকিট কাটার জন্য আপনার একটি স্মার্ট ফোন অথবা একটি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ প্রয়োজন হবে সেখান থেকে খুব সহজেই ইন্টারনেট ব্যবহার করে টিকিট কাটতে পারবেন। ডিভাইসটি নেওয়ার পর কোন একটি ব্রাউজারে ঢুকবেন তারপর রেলওয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ঢুকবেন। আপনি চাইলে প্লে-স্টোর থেকে রেল সেবা অ্যাপ ডাউনলোড করতে পারেন। ওয়েবসাইট অথবা অ্যাপের মধ্যে ঢুকে রেজিস্ট্রেশন করে নিন।  বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইট অথবা অ্যাপসে আপনাদের এন আই ডি ইমেইল নম্বর ফোন নম্বর ইত্যাদি দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে একটি একাউন্ট তৈরি করতে হবে। “Purchase Ticket” এই অপশনটিতে ক্লিক করার পর আপনাকে চারটি বিষয় ফোন করতে হবে বিষয়গুলো আপনার যাত্রা শুরু জায়গার নাম, আপনি কোন তারিখে যাত্রা করতে চান, এবং আপনি কোন ধরনের সিট নিবেন এবং কতটি সেট নিবেন এই তথ্যগুলো পূরণ করুন। পরবর্তীতে আপনি দেখতে পাবেন বিভিন্ন রকমের ট্রেন কোন তারিখে কখন আপনার ওই স্টেশন থেকে ছাড়বে সেগুলোর একটি লিস্ট দেওয়া থাকবে আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী ট্রেন সিলেক্ট করুন এবং সিট নির্বাচন করুন আপনি কোন ধরনের সিট নিতে চান। ট্রেনের টিকিটের মূল্য পরিশোধ করার জন্য আপনাকে বিকাশ, রকেট ডাচ বাংলা এজেন্ট ব্যাংক এবং ভিসা কার্ড ব্যবহার করতে পারেন। আপনার ট্রেনের টিকিট কাটা হয়ে গেলে ট্রেনের টিকিট কাটা হয়ে গেলে অবশ্যই টিকিটটি ডাউনলোড করে রাখবেন। এবং যাত্রা শুরুর সময় টিকিটের একটি কপি আপনার কাছে রাখবেন। রেলওয়ে স্টেশন কাউন্টারে টিকেট কাটার পদ্ধতি- স্টেশন কাউন্টারে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কাটা খুবই সহজ। এজন্য আপনাকে অনলাইনে এত ঝামেলা পোহাতে হবে না। খুব সহজে আপনি স্টেশনে উপস্থিত হয়ে ট্রেনের টিকিট কাটতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে আপনাকে একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে রেলওয়ে স্টেশন কাউন্টারে টিকিট কাটতে হলে আপনাকে অবশ্যই বিকেল ৪টার সময় উপস্থিত হতে হবে। কারণ স্টেশনের টিকিট কাটা শুরু হয় বিকেল চারটার পরে।  কাউন্টার থেকে টিকিট ক্রয় করার সময় আপনার এনআইডি কার্ডের প্রয়োজন হতে পারে এক্ষেত্রে আপনি আপনার আইডি কার্ড সঙ্গে নিয়ে যাবেন। দায়িত্বরত কর্মকর্তা আপনার কাছে আপনার নাম ঠিকানা, এবং কোথা থেকে কোথায় ভ্রমণ করতে চান সেই সম্পর্কে জানতে চাইবে। এবং আপনি কয়টা ট্রেনে ভ্রমণ করবেন সেটি আপনাকে জিজ্ঞেস করবে। এভাবে আপনি প্রয়োজনীয় সব কাজ শেষ করে আপনি খুব সহজে স্টেশন থেকে অগ্রিম টিকিট ক্রয় করতে পারবেন। স্টেশন থেকে বের হওয়ার আগে এবং টিকিটের মূল্য পরিশোধ করার পরে টিকিটটি খুব ভালোভাবে লক্ষ্য করে দেখবেন যে কোন সমস্যা রয়েছে কি না। ভ্রমণের আগ পর্যন্ত তার টিকিটটি আপনার কাছে খুব যত্নে রেখে দিবেন টিকিটটি যেন না হারিয়ে যায় সেই দিকে লক্ষ্য রাখবেন।
২৩ মার্চ ২০২৪, ১১:০০

নিয়ম ভেঙে কলকাতার শুরুর ম্যাচেই মাঠে থাকছেন শাহরুখ
পর্দা উঠতে যাচ্ছে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের সবচেয়ে জাঁকজমকপূর্ণ আসর ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)। আসর শুরুর দ্বিতীয় দিন শনিবার (২৩ মার্চ) ঘরের মাঠ ইডেন গার্ডেন্সে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে আতিথেয়তা দেবে কলকাতা নাইট রাইডার্স। এদিন সন্ধ্যায় ঘরের মাঠে হাজির থাকবেন শাহরুখ খান। সাধারণত কিং খান আসছেন কি না, সেটি এত আগে থেকে জানা যায় না। তবে শোনা যাচ্ছে, এবার কলকাতার প্রথম ম্যাচেই মাঠে থাকবেন শাহরুখ। এটাই যথেষ্ট শ্রেয়াসদের চার্জড আপ হওয়ার জন্য। শাহরুখই যেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের সেরা আকর্ষণ। নাইটদের ইউএসপি। তিনি মাঠে থাকা মানে কলকাতা শিবিরে একরাশ টাটকা অক্সিজেন। তার মতো মোটিভেটর বিশ্ব সংসারে হাতে গোনা।  তিনি কিং খান, বলিউডের বাদশা, কলকাতা নাইট রাইডার্সের অন্যতম মালিক। বলাই যাচ্ছে শনিবার ইডেনে বাংলার ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য সেরা উপহার হতে চলেছেন শাহরুখই। ইডেনে ম্যাচ দেখতে আসবেন, দলকে নাকি আগেই সেটি জানিয়ে দিয়েছেন শাহরুখ। এত আগাম নোটিশ দিয়ে আসা যে তার স্বভাববিরুদ্ধ। আপাতত তিনি বিদেশে। তবে শনিবারের কলকাতা সফর ক্যালেন্ডারে লিখে ফেলেছেন কিং খান।  এমনিতেই শাহরুখ নানারকম বিশ্বাস আঁকড়ে চলেন। শাহরুখের সংস্থা রেড চিলিজ এন্টারটেনমেন্টের শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে কথা বললেই যে গল্প শোনা যায়। যেমন-- শাহরুখ মনে করেন, শুরু থেকে তিনি মাঠে থাকলে নাকি কলকাতা হেরে যায়। যে কারণে তিনি মাঠে আসেন খেলা শুরু হয়ে যাওয়ার কয়েক ওভার পরে।  ইডেনে পাওয়ার প্লে চলছে। আর গ্যালারি উন্মুখ হয়ে চেয়ে রয়েছে বি ব্লকের বিখ্যাত সেই ব্যালকনির দিকে। যেখানে এসে দাঁড়ান শাহরুখ। ইডেনে কলকাতার ম্যাচে যে অপেক্ষা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। ঠিক সে রকমই, শাহরুখ মাঠে আসবেন কি না, তা না কি ঠিক করেন ম্যাচের দিন সকালে। তারপর চার্টার্ড ফ্লাইটে পুত্র-কন্যা, বন্ধুদের নিয়ে উড়ে আসেন। কখনও কলকাতায়। কখনও ব্যাঙ্গালুরুতে। তবে এবার কলকাতার ম্যাচ দেখতে এতটাই মুখিয়ে রয়েছেন শাহরুখ যে, আগাম জানিয়ে রেখেছেন, শনিবার আসছেন। আইপিএলে টানা দশ বছর ট্রফিহীন কেকেআর। সেই কবে ২০১৪ সালে ট্রফি এসেছিল গৌতম গম্ভীরের নেতৃত্বে। তারপর থেকে সঙ্গী শুধু হতাশাই। এমনকি, দলের ধারাবাহিক ব্যর্থতায় তিনি, প্রবল ইতিবাচক মানুষ শাহরুখও যেন দূরে সরেছিলেন। গত আইপিএলেও সব ম্যাচে ইডেনে আসেননি। দলের ওপর কি অভিমান হয়েছিল তার? তবে ঘুরে দাঁড়ানো শাহরুখই শিখিয়েছেন। পাঠান, জওয়ানের মতো ব্লকবাস্টারের হাত ধরে বক্স অফিসে অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তন ঘটিয়েছেন। এবার কি তার দলের ঘুরে দাঁড়ানোর পালা? নিজে উদ্যোগ নিয়ে গম্ভীরকে মেন্টর করে ফিরিয়েছেন। রেকর্ড দামে মিচেল স্টার্ককে তুলে নিয়েছে কেকেআর। এবার কি ট্রফি ফেরানোর অপেক্ষা? কেই বা ভুলতে পারে সিনেমায় তার অব্যর্থ মন্ত্র- ‘হার কে জিতনে ওয়ালোকো বাজিগর কহতে হ্যায়...’।
২২ মার্চ ২০২৪, ১৯:১৯

মেট্রোরেলে নিয়ম না মানলে গ্রেপ্তার
মেট্রোরেলের নির্মাণ ও পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সরকারি কোম্পানি ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম এ এন ছিদ্দিক বলেছেন, কারিগরি ত্রুটি নয়, যাত্রীদের বিশৃঙ্খলার কারণে মেট্রোরেল বন্ধ হয়েছিল। রোজার পর এমন বিশৃঙ্খলা অব্যাহত থাকলে দায়ীদের গ্রেপ্তার করা হবে। এর আগে যেমন ঘুড়ি ওড়ানোর কারণে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তিনি জানান, কিছু যাত্রী চেষ্টা করেছেন অন্যদের দরজা থেকে সরাতে। তারা সরেননি। রমজানের কারণে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ কঠোর হচ্ছে না। ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরও বলেন, সচিবালয় স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম-২ এ উত্তরাগামী ট্রেনের অপেক্ষায় থাকা যাত্রীর ভিড় ছিল। কিছু সংখ্যক যাত্রী ট্রেনে উঠতে প্ল্যাটফর্মের দরজা আটকে দাঁড়ান। তাদের কারণে দরজাটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হচ্ছিল না। মেট্রোরেলের ট্রেনের এবং প্ল্যাটফর্মের দরজা স্বয়ংক্রিয়ভাবে তিনবার বন্ধ হওয়ার চেষ্টা করে। মাঝখানে প্রতিবন্ধকতা থাকলে বন্ধ হয় না। তিনবারের চেষ্টায় বন্ধ না হলে, দরজা খোলা থাকে। দরজা খোলা থাকলে ট্রেন চলে না। এ কারণেই মঙ্গলবার ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বিকেল ৪টা ৩৮ মিনিট থেকে প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা বন্ধ ছিল মেট্রোরেল চলাচল। ইফতারের আগে ওই সময়ে মেট্রোরেলের স্টেশনগুলোতে যাত্রীদের ঢল ছিল। ট্রেন বন্ধ হওয়ায় বৃষ্টির মধ্যে দুর্ভোগে পড়েন হাজার হাজার যাত্রী। স্টেশন সংশ্লিষ্টরা জানান, কারিগরি ত্রুটির কারণে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সচিবালয় স্টেশনে সমস্যার কারণে বাকি ১৬ স্টেশনেও ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। থেমে থাকা ট্রেনগুলোতে হাজার হাজার যাত্রী ছিলেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই জানিয়েছেন, ১০-২০ মিনিটের পথ পাড়ি দিতে ট্রেনে বা স্টেশনে আধাঘণ্টা বসে থাকতে হয়েছে। ট্রেন চলাচল বন্ধ হওয়ায় অনেক র‌্যাপিড ও এমআরটি পাসধারীদের বের হওয়ার জন্য মেশিন ‘জিরো ব্যালেন্স’ করে দেওয়া হয়। পাশাপাশি যারা সিঙ্গেল ট্রিপের জন্য টিকেট কেটেছিলেন তাদের টাকা ফেরত দেওয়া হয়।
২০ মার্চ ২০২৪, ০৪:১৭

আম্বানিদের কারণে নিয়ম ভাঙলেন অক্ষয় কুমার
বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা অক্ষয় কুমার। তার অভিনয় ক্যারিয়ারে ঝুলিতে রয়েছে বক্সঅফিস মাতানো অসংখ্য সিনেমা। পঞ্চাশের ঘরে পা রেখেও এখনও সুদর্শন এই অভিনেতা। নিজেকে সবসময় ফিট রাখেন। তবে এবার আম্বানিদের কারণে নিয়ম ভাঙলেন অক্ষয়।  শুটিং সেটেই দিনের বেশির ভাগ সময় কেটে যায় অক্ষয়ের। এরপরও শরীরচর্চা করতে ভোলেন না তিনি। খুব ভোরে শুটিংয়ের কলটাইম থাকলে রাতে বাড়ি ফিরে শরীরচর্চা করেন। আবার বেলার দিকে কল থাকলে ভোরে শরীরচর্চা সেরেই শুটিংয়ে যান তিনি। এই নিয়মের কখনও ব্যতিক্রম ঘটে না।  বরাবরই নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করেন অক্ষয়। ৫৬ বছর বয়সে যেভাবে পর্দায় হাজির হন অক্ষয়, সেটা যে কোনো মানুষের জন্য সত্যিই অনুপ্রেরণার বিষয়। ভিন্ন ভিন্ন লুক আর স্টাইলে রীতিমতো নজর কাড়েন নেটিজেনদের। তবে এবার সেই নিয়ম ভেঙে ফেললেন অক্ষয়।     ভারতীয় ধনকুবের মুকেশ আম্বানি ও নীতা আম্বানির কনিষ্ঠ পুত্র অনন্ত আম্বানির প্রাক বিবাহ অনুষ্ঠান উপলক্ষে সেজে উঠেছে ভারতের জামনগর। সেই অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন বলিউড এবং দক্ষিণী সিনেমা জগতের সব তারকারা। আর সেখানেই নিজের তৈরি করা নিয়ম নিজেই ভাঙলেন অক্ষয়।  জানা গেছে, সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে নৈশভোজ সারেন। এরপর রাত ৯টার মধ্যে ঘুম। ভোর ৪টায় উঠে শরীরচর্চা দিয়েই দিন শুরু হয় তার। কিন্তু অনন্তের প্রাকবিবাহ অনেক রাত পর্যন্ত জেগে ছিলেন এই অভিনেতা। রাত ৩টায় অনুষ্ঠানে মঞ্চ মাতান অক্ষয়। ‘গুর নাল ইশক’ গানটির সঙ্গে নাচতে দেখা যায় অক্ষয়কে। সাধারণত নিয়মের অন্যথা করেন না অক্ষয়। তবে এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ঘটালেন তিনি।     
০৯ মার্চ ২০২৪, ১৪:২৩

নিয়ম ভেঙে চলচ্চিত্র পুরস্কার, বাংলাদেশকে নিষেধাজ্ঞা
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে নিয়মনীতি অমান্য করে জুরি বোর্ড গঠন ও এক আয়োজকের চলচ্চিত্র পুরস্কার জেতার ঘটনায় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে ফিপ্রেসি (ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব ফিল্ম ক্রিটিকস)। এবারের উৎসবে জুরি বোর্ড গঠন ও পুরস্কারে অনিয়ম প্রমাণিত হওয়ায় শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি)  এক চিঠির মাধ্যমে বাংলাদেশের ফিপ্রেসি চ্যাপটার আইএফসিএবিকে (ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ক্রিটিকস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ) তিন মাসের জন্য নিষিদ্ধ করেছে চলচ্চিত্র সমালোচকদের আন্তর্জাতিক সংস্থা ফিপ্রেসি। অভ্যন্তরীণ তদন্তে তারা বিধিমালা, আইন ও নিয়মের স্পষ্ট লঙ্ঘন খুঁজে পেয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ও ফিপ্রেসি বাংলাদেশের সভাপতি মফিদুল হক এবং ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের সভাপতি আহমেদ মুজতবা জামালকে পাঠানো ওই চিঠিতে সংস্থাটির সভাপতি আহমেদ শাওকি জানিয়েছেন, উৎসব আয়োজনে জড়িত এমন একজন পরিচালকের সিনেমা প্রতিযোগিতা বিভাগের জন্য নির্বাচন করা হয়েছে। উৎসব কর্তৃপক্ষের অবশ্যই নিজস্ব লাইনআপ তৈরির পূর্ণ অধিকার রয়েছে, তবে ফিপ্রেসি অ্যাওয়ার্ডের তালিকা থেকে সিনেমাটিকে বাদ দেওয়া উচিত ছিল। এছাড়া জুরি বোর্ডে এমন সদস্য ছিলেন যিনি উৎসব আয়োজনের সঙ্গেও যুক্ত। চিঠিতে এ ধরনের কাজ ভবিষ্যতে হবে না মর্মে বাংলাদেশ বিভাগ ও উৎসব কর্তৃপক্ষকে লিখিত অঙ্গীকারনামা দিতে বলেছে ফ্রিপেসি। বাংলাদেশ প্যানোরামা বিভাগের তিনজন জুরি সদস্যের একজন ছিলেন মফিদুল হক। যিনি এবারের ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের একজন নির্বাহী সদস্য ও আয়োজক প্রতিষ্ঠান রেইনবো ফিল্ম সোসাইটির উপদেষ্টা। ফিপ্রেসির বিধিমালার ১০ নম্বর ধারায় বলা আছে, সংশ্লিষ্ট উৎসবের সঙ্গে যুক্ত কেউ জুরি কমিটিতে থাকতে পারবেন না। চিঠি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে মফিদুল হক বলেন‌, আয়োজকরা এই ভুলটি করেছে। এ ধরনের ভুল করা কোনোভাবেই উচিত হয়নি। ভবিষ্যতে এমন ভুল যেন না হয়, সে ব্যাপারে আমরা সর্বোচ্চ সচেতন থাকব। অন্যদিকে, ২২তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে স্বল্পদৈর্ঘ্য বিভাগে ফিপ্রেসি পুরস্কার জিতেছে ‘লায়লা’। এর নির্মাতা বৈশাখী সমাদ্দার ঢাকা চলচ্চিত্র উৎসবের আয়োজক সংস্থা রেইনবো ফিল্ম সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক। পাশাপাশি তিনি ঢাকা চলচ্চিত্র উৎসব আয়োজক কমিটিরও নির্বাহী সদস্য। অর্থাৎ একই সঙ্গে আয়োজক, আবার চলচ্চিত্র প্রতিযোগিতা বিভাগেও তিনি ছিলেন- যা ফিপ্রেসি নীতিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:০২

ইউনূসের বিচার নিয়ম মেনেই হচ্ছে, বিদেশে থেকে চিঠি চালাচালির সুযোগ নেই
আমাদের সরকারকে কোনো বিদেশি শক্তি বসায়নি ‘শান্তি ও গণতন্ত্র সমাবেশে’ ওবায়দুল কাদের; নয়াপল্টনে বিএনপির কালো পতাকা মিছিলে নেতারা বলেন, সরকার জনগণের নয়, ভারত চীন রাশিয়ার; ইউনূসের কারণে বিনিয়োগে প্রভাব পড়বে না: হাছান মাহমুদ; এই ৩টি শিরোনাম পড়ে আমার প্রথমেই যে কথাটি মনে পড়লো তা হলো, আমাদের দেশ কি অনেক বেশি বিদেশ নির্ভর? বা আমাদের দেশের রাজনীতি, আইন, বিচার, অর্থনীতি সব কি বিদেশি দ্বারা পরিচালিত হয়? হয় না। তবে কেন যেকোনো ইস্যুতেই বিদেশি শক্তিকে আমরা টেনে আনছি। ৭ জানুয়ারি ২০২৪ দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ জিতেছে। নির্বাচন পূর্ব থেকে পরবর্তী সময় পর্যন্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস যা কিছু করেছে তা সবই কি নিয়মের মধ্যে পড়ে? কেন করার সুযোগ পেয়েছে? কারণ বিএনপি-জামায়াত যুক্তরাষ্ট্রকে পৃষ্ঠপোষকতা জুগিয়েছে। একই বিষয় লক্ষ্য করা যায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. ইউনূসের ক্ষেত্রেও। ড. ইউনূস ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীকে ১২ মার্কিন সিনেটরের চিঠি দিয়েছে। ড. ইউনূস নোবেলজয়ী, একজন তারকাও বটে কিন্তু তিনি যদি অপরাধ করেন তবে কি বিচার হবে না? নাকি তার সব অপরাধ ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখতে হবে? নিয়ম কী বলে? নিয়ম হলো, আইন তার গতিতে চলবে, সেইখানে যুক্তি-প্রমাণ উপস্থাপন করতে হবে। সেই যুক্তি-প্রমাণে যদি দোষী নির্দোষ প্রমাণিত হয় তবে তিনি জামিন পাবেন। কিন্তু সেই বিচারিক প্রক্রিয়া চলাকালীন যদি একের পর এক চাপ বিদেশ থেকে আসতে থাকে তা নিশ্চয়ই কোনো দেশই গ্রহণ করবে না। বিচারিক প্রক্রিয়া চলাকালীন এইরকম চাপ আমরা দেখেছিলাম, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলাকালীন। গোলাম আযম, মতিউর রহমান নিজামী, কাদের মোল্লারা হচ্ছে স্বীকৃত যুদ্ধাপরাধী। তারা যে অপরাধ করেছে তা গোটা দেশ জানে। তাদের বিচার হচ্ছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। সেই বিচার প্রক্রিয়া যখন চলছিল তখন তুরস্ক দেশের প্রধানমন্ত্রীকে বিচার চিঠি দেন, যাতে তাদের বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ রাখা হয়। একই দৃশ্য দেখছি আমরা এই জায়গায়ও। ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা নিশ্চয় সরকার করেনি। সরকার মামলা করলে সেই বিষয়ে ভাবনার সুযোগ আছে। কিন্তু শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর করেছে মামলা। সেই মামলায় রায় চ্যালেঞ্জ করে আপিল করেছেন গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সেই আপিলে জামিন পেয়েছেন গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সেই সঙ্গে শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলার রায়ে ছয় মাসের সাজার বিরুদ্ধে ২৫টি যুক্তি দেখিয়ে খালাস চেয়ে আপিল করেন তিনি। কিন্তু যে অভিযোগে তিনি অভিযুক্ত, তা আসলে জানা জরুরি। ২০২১ সালের ১ সেপ্টেম্বর ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে শ্রম ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করা হয়। ২০২৩ সালের ৬ জুন মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। ২০২৩ সালের ২২ আগস্ট সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়, যা শেষ হয় ৯ নভেম্বর। ২০২৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয়। মামলায় অভিযোগ আনা হয়, শ্রম আইন ২০০৬ ও শ্রম বিধিমালা ২০১৫ অনুযায়ী, গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক বা কর্মচারীদের শিক্ষানবিশ কাল পার হলেও তাদের নিয়োগ স্থায়ী করা হয়নি। প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক বা কর্মচারীদের মজুরিসহ বার্ষিক ছুটি, ছুটি নগদায়ন ও ছুটির বিপরীতে নগদ অর্থ দেওয়া হয়নি। গ্রামীণ টেলিকমে শ্রমিক অংশগ্রহণ তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি। লভ্যাংশের ৫ শতাংশের সমপরিমাণ অর্থ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন আইন অনুযায়ী গঠিত তহবিলে জমা দেওয়া হয়নি। এইধরনের গুরুতর অভিযোগে বিরুদ্ধে কীভাবে ড. ইউনূসের বিচার হওয়ার আগে থেকে বিদেশি শক্তি চাপ দেওয়া শুরু করে তা আসলে বুঝি না। আগে আমরা ভাবতাম বাঙালিই শুধু অপরাধী বা বাঙালিই আপস করে। সেই ধারণা ভেঙে গিয়েছে ইউনূসের বিচারিক প্রক্রিয়া চলাকালীন বিদেশি শক্তির চাপ বা ১২ মার্কিন সিনেটরের চিঠি দেখে। এখন বিষয়টা পরিষ্কার, বিদেশিরাও আসলে আপসকামী। তারা মুখে ন্যায়ের কথা বললেও ন্যায় আসলে চাই না। চাই নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করতে। সেই স্বার্থ রক্ষার কবজ হিসেবে ড. ইউনূস ভালো দান। লেখক : গণমাধ্যকর্মী  
২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:১৮

নিয়ম মানলেই রোজা রাখা সম্ভব ডায়াবেটিস রোগীদের
কিছু নিয়ম মানলে রোজা রাখতে পারবেন ডায়াবেটিস রোগীরাও। শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছে ক্লিনিক্যাল অ্যান্ড ক্রিনোলজিস্ট ও ডায়াবেটোলজিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এসিইডিবি)। সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সচিব আনোয়ার হোসান হাওলাদার বলেন। আরও উপস্থিত ছিলেন এসিইডিবির সভাপতি মো ফরিদ উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রজিৎ প্রসাদ। আরও পড়ুন : দাম বেড়েছে প্রায় সব নিত্যপণ্যের, অস্বস্তিতে ক্রেতারা   এ সময় বক্তারা বলেন, রোজা ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে অন্যতম। তাই রোজা রাখা প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানের জন্য অবশ্যই করণীয়। গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশের শতকরা প্রায় ৮০ জন ডায়াবেটিস রোগী রোজা রেখে থাকেন। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, সারা বিশ্বের প্রায় ৫০ মিলিয়ন ডায়াবেটিস রোগী রোজা রাখেন।  কিন্তু ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে যারা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া রোজা রাখেন, তারা কিছু জটিলতার সম্মুখীন হন। বিশেষ করে, রক্তে সুগারের স্বল্পতা (হাইপোগ্লাইসেমিয়া), রক্তে সুগারের আধিক্য (হাইপারগ্লাইসিমিয়া), ডায়াবেটিস কিটোএসিডোসিস এবং পানি শূন্যতা বা ডিহাইড্রেশনে ভোগেন।  বক্তারা বলেন, ডায়াবেটিস রোগীরা রোজা রাখতে পারবেন। যাদের সামর্থ্য আছে, তাদের ডায়াবেটিস এমন কোনো বাধা নয়, প্রয়োজন পূর্ব প্রস্তুতি। ডায়াবেটিস রোগীদের রমজানের কমপক্ষে ২-৩ মাস আগে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে।  সাম্প্রতিক একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, রমজানের পূর্ব প্রস্তুতি নিয়ে যারা রোজা রাখেন, তাদের হাইপোগ্লাইসেমিয়াসহ অন্য জটিলতা রমজানের আগের চেয়েও অনেক কম হয়। রোজা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী বলে বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত। আরও পড়ুন : দেশের ৪৯ শতাংশ পানিতে ক্যান্সারের ঝুঁকি    তারা আরও বলেন,  ডায়াবেটিস রোগীরা যেন নিরাপদে রোজা পালন করতে পারেন, সেজন্য দীর্ঘদিন ধরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যান্ড্রোক্রাইন ডিপার্টমেন্ট সর্বস্তরের জনগণকে সচেতন করার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে আসছে। রমজানের আগে এই হাসপাতালের অ্যান্ড্রোক্রাইনোলজিস্টরা সারা দেশে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছেন।  বাংলাদেশের অ্যান্ড্রোক্রাইনোলজিস্টদের সংগঠন ক্লিনিক্যাল অ্যান্ডোক্রিনোলজিস্ট ও ডায়াবেটোলজিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এসিইডিবি) ২০২৩ সালের অক্টোবরে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টিকে আরও গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরার জন্য রজব মাসকে ‘ডায়াবেটিস ও রমজান সচেতনতা মাস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে।
১৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:৩৩

বিপিএলের দশম আসরে নতুন যত নিয়ম
দুইদিন পরই মাঠে গড়াচ্ছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দশম আসর। ঘরোয়া টুর্নামেন্টের সবচেয়ে বড় এই আসরকে সামনে রেখে শেষ মুহূর্তের অনুশীলনে ব্যস্ত অংশগ্রহণকারী দলগুলো।  আইসিসির সঙ্গে মিল রেখে আগামী ১৯ জানুয়ারি থেকে অনুষ্ঠেয় এই টুর্নামেন্টের নিয়ম-কানুনেও বেশ কিছু পরিবর্তন এসেছে। এমনটাই জানিয়েছেন টুর্নামেন্টের টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক রকিবুল হাসান। তার (রকিবুল) দাবি, বিপিএলে এবার মিরপুরের উইকেটে ১৮০ থেকে ২০০ রানের ম্যাচ হবে। টুর্নামেন্টটির প্লেয়িং কন্ডিশনেও কিছু পরিবর্তন আসছে। রকিবুলের ভাষ্যমতে, বোলিং পরিবর্তনে ৬০ সেকেন্ডের বেশি সময় নিলে ফিল্ডিং দলকে প্রথমবার সতর্ক করা হবে। দ্বিতীয়বার একই ভুল করলে পেনাল্টি হিসেবে পাবে ৫ রান ব্যাটিং দল। বিপিএলের আগের আসরে এই নিয়ম ছিল না। এদিকে এবারের আসরে স্ট্যাম্পিং রিভিউতে আম্পায়ার নো বল চেক করবেন না। অন্যদিকে টাইমড আউটের পরিবর্তে ৫ রানের পেনাল্টি থাকবে। বিদেশি কোটা পূরণ না হলে দলগুলো ম্যাচ রেফারির কাছে আবেদন করতে পারবে। অন্যদিকে তীব্র শীত আর কুয়াশায় হোম অব ক্রিকেটও ঝিমিয়ে আছে। তাই এবার উইকেট নিয়ে আগে থেকেই তোড়জোড় শুরু হয়েছিল। এ নিয়ে কিউরেটর ও ভেন্যু ম্যানেজারদের নির্দেশনা দিয়েছিল টেকনিক্যাল কমিটি। যে কারণে টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়কের প্রত্যাশা, ঢাকাতে এবার রানের ফুলঝুরি ছুটবে।
১৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:২৩

চাকরির নিয়ম পরিপন্থি কাজে বাধা, চিকিৎসকের অসদাচরণ
অফিস চলাকালে হাসপাতালে বসে অর্থের বিনিময়ে রোগী দেখেন চিকিৎসক। বিষয়টি নজরে এলে বাধা দেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সঙ্গে কথাকাটাকাটি হয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার অভিযুক্ত ডাক্তার শেখ মাহমুদের সঙ্গে।   শনিবার (১৩ জানুয়ারি) ঘটনাটি ঘটে নোয়াখালী দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। এই বিষয়ে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা সিভিল সার্জনের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার সৌমেন সাহা। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) সিভিল সার্জন ডাক্তার মাসুম ইফতেখার বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য দুই সদস্য বিশিষ্ট একটি টিম গঠন করেন। আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য সময় বেধে দেন।  লিখিত অভিযোগে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানান, শনিবার সকালে প্রতিদিনির মতো হাসপাতালে বিভিন্ন বিভাগ পরিদর্শনে যান তিনি। এ সময় আবাসিক মেডিকেল অফিসারের চেম্বারে প্রবেশ করে ব্যক্তিগত প্যাডে রোগীদের ব্যবস্থাপত্র দিতে দেখেন। বিষয়টি চাকরির নিয়ম পরিপন্থি বলে তাকে এই কাজ না করার জন্য অনুরোধ করেন। তাতে ক্ষিপ্ত হয়ে আবাসিক মেডিকেল অফিসার শেখ মাহমুদ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে যান। এ সময় হাসপাতালের রোগীসহ স্বজনরা জড়ো হন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সৌমেন সাহা জানান, হাসপাতালে বসে প্রাইভেট রোগী দেখার বিষয়ে এর আগে অনেকে বিভিন্নভাবে তাকে অভিযোগ দিয়েছেন।  তিনি একাধিকবার মৌখিকভাবে সতর্ক করেছেন, তাতে কোনো লাভ হয়নি। ঘটনার দিন হঠাৎ আবাসিক মেডিকেল অফিসারের চেম্বারের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় তিনি ভেতরে প্রবেশ করেন। এ সময় চেম্বারে বসে প্রাইভেট রোগী দেখার বিষয়ে বাধা দিলে তিনি উত্তেজিত হয়ে পড়েন। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তপক্ষকে জানানো হয়েছে। এই বিষয়ে অভিযুক্ত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার শেখ মাহমুদ জানান, রোগীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার বিষয়টি মিথ্যা। তবে চেম্বারে রোগী দেখার বিষয়ে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়।  এই ব্যাপারে জেলা সিভিল সার্জন ডাক্তার মাসুম ইফতেখার বলেন, হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সৌমেন সাহার একটি লেখিত অভিযোগ পেয়েছি। এই বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. সেলিম ও বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার সালেহ আহমেদ সোহেলকে দিয়ে দুই সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। তারা দুই দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবিদেন দিবেন। এরপর আইনানুগ ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
১৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:২৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়