• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
গৃহবধূকে নির্যাতনের পর হত্যা, স্বামীসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন পলাতক
গাজীপুরের শ্রীপুরে দুই সন্তানের জননী গৃহবধূ আমেনা খাতুনকে (২১) নির্যাতনে হত্যার পর লাশ টয়লেটের ভেতর ফেলে স্বামীসহ শ্বাশুড়ি ও দেবর পালিয়েছে।  শনিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে উপজেলার মাওনা ইউনয়নের চকপাড়া (সলিংমোড়) গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। নিহত গৃহবধূ আমেনা খাতুন চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার কুটিয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা এবং মাওনা ইউনিয়নের সলিংমোড় এলাকার আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী। স্বামী আনোয়ার হোসেন মাওনা ইউনিয়নের সলিংমোড় এলাকার মঞ্জুর আলীর ছেলে। সে পেশায় রাজমিস্ত্রি। নিহতের মা মনোয়ারা বেগম তার মেয়েকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ করেন। গৃহবধূর স্বামী আনোয়ার হোসেন (২৫), শাশুড়ি আনোয়ারা বেগম (৫০), দেবর দেলোয়ার (২২) এবং মামি শাশুড়ি রেনু আক্তার (৩৮) ঘটনার পর পলাতক রয়েছেন। নিহতের মা মনোয়ারা বলেন, বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে স্বামীসহ তার শ্বশুর বাড়ীর লোকজন মেয়েকে লোকজন নির্যাতন করত। তাদের অব্যাহত নির্যাতনে স্থানীয় চেয়ারম্যান-মেম্বার একাধিকবার সালিস বৈঠক করেও কোন সুরাহা করতে পারেনি। শনিবার বেলা সোয়া ১১টায় মেয়ে মামি শাশুড়ি রেনু আক্তার ফোন করে জানায় আমেনা মারা গেছে। খবর পেয়ে মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে এসে দেখি বাড়ীতে কেই নাই। ঘরের ভেতরে টয়লেটে মেয়ের লাশ পড়ে আছে। আশপাশের লোকজনের কাছে শুনেছি শুক্রবার (২২ মার্চ) দিবাগত রাতে স্বামীসহ তার শ্বশুর, শাশুড়ি, দেবর এবং মামি শাশুড়ি আমার মেয়েকে অনেক নির্যাতন করে বাড়ীর পাশে রাস্তায় ফেলে রাখে। প্রতিবেশীদের সহযোগীতায় স্থানীয় আদম আলী গ্রহবধূকে রাস্তা থেকে তুলে এনে বাড়িতে দিয়ে গেলে আবার মারধর করে হত্যা করে লাশ টয়লেটে রেখে তারা পালিয়ে যায়। অভিযুক্তরা তাকে সবসময় নির্যাতন করত। তারা আমার মেয়েকে খুন করে আমার পাঁচ বছর বয়সী ছেলে এবং দেড় বছর বয়সী মেয়েকে নিয়ে পালিয়েছে। শ্রীপুরের মাওনা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) মিন্টু মোল্লা বলেন, বসতবাড়ির একটি ঘরের টয়লেটের ভেতর থেকে গৃহবধূ আমেনার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সুরতহাল করে লাশের থুঁতনির নিচে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক থাকায় রহস্য ও সন্দেহ রয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
২৩ মার্চ ২০২৪, ১৯:২৩

যৌন নির্যাতনের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত 'স্কুইড গেম' অভিনেতা
যৌন নিপীড়নের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলেন ৭৯ বছর বয়সী ‘স্কুইড গেম’ অভিনেতা ও ইয়াং সু। দক্ষিণ কোরিয়ার একটি জনপ্রিয় সিরিজ হলো ‘স্কুইড গেম’। এই সিরিজেই একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা যায় ইয়াং সু-কে। ২০১৭ সালে তার বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ ওঠে। হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, শুক্রবার (১৫ মার্চ) সিউলের সেওংনাম আদালত ও ইয়াং সু-কে দোষী সাব্যস্ত করে রায় দিয়েছেন। অভিনেতাকে ৮ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সঙ্গে যৌন হয়রানির বিষয়ে ৪০ ঘণ্টার বিশেষ ক্লাসে অংশ নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে প্রবীণ এ অভিনেতাকে। তবে আদালতের রায়ে দোষী প্রমাণিত হলেও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ও ইয়াং-সু। উচ্চ আদালতে আপিলের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি। ২০১৭ সালে ও ইয়াং সু’র বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ আনেন এক অভিনেত্রী। তার অভিযোগ ছিল, ও ইয়াং-সু তাকে জোর করে জড়িয়ে ধরেন, তার হাত ধরেন ও গালে চুমু খান। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে নেটফ্লিক্সে প্রচারিত ‘স্কুইড গেম’ সিরিজে ও ইল-নাম চরিত্রে অভিনয় করে বিশ্বজুড়ে পরিচিতি পান ও ইয়াং-সু। এই সিরিজের জন্য ২০২২ সালে সেরা পার্শ্ব অভিনেতা হিসাবে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার জিতে নিয়েছিলেন ৭৯ বছর বয়সী এই অভিনেতা। প্রায় তিন বছর পর ‘স্কুইড গেম’ সিরিজের দ্বিতীয় সিজন আসতে চলেছে।
১৬ মার্চ ২০২৪, ১৪:৪৬

প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়েছে মেয়ে, বান্ধবীকে ডেকে নির্যাতনের অভিযোগ
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে এক শিক্ষার্থী তার প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় বান্ধবীকে (১৫) বাসায় ডেকে মাথার চুল কেটে শারীরিকভাবে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে পালিয়ে যাওয়া শিক্ষার্থীর মা-বাবার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কালিয়াকৈর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। রোববার (৩ মার্চ) এ ঘটনা ঘটে। থানায় করা অভিযোগ ও এলাকাবাসী জানান, পালিয়ে যাওয়া ওই কিশোরী ও মারধরের শিকার তার বান্ধবী স্থানীয় একটি স্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। একই ক্লাসে লেখাপড়া এবং পাশাপাশি বাসা হওয়ায় তারা একসঙ্গে স্কুলে আসা-যাওয়া করতো। প্রায় এক মাস আগে প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যায় মেয়েটির বান্ধবী। এই ঘটনায় গত রোববার বিকালে তাকে বাসায় ডেকে নিয়ে মেয়ের কথা জিজ্ঞেস করে পালিয়ে যাওয়া শিক্ষার্থীর বাবা। এ সময় তার মেয়ে কোথায় আছে তা বলার জন্য মেয়েটিকে চাপ দিতে থাকে। বান্ধবীর অবস্থান সম্পর্কে সে কিছুই জানে না বললে ওই কিশোরীকে গালাগালসহ শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে অভিযুক্তরা। এ সময় মারধরের শিকার ওই শিক্ষার্থীর চুল কেটে দেওয়া হয়। চুল কাটা ও মারধরের পর ওই কিশোরী অজ্ঞান হয়ে পড়লে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বাসায় নিয়ে যায়। পরে পরিবারের লোকজন তাকে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দিয়ে বাসায় নিয়ে আসে। এলাকাবাসীর মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। মারধরের শিকার শিক্ষার্থীর বাবা বলেন, মেয়েটি তার প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গেছে। তাদের মেয়ের খোঁজ না পেয়ে তারা আমার মেয়েকে বাসায় ডেকে নিয়ে মেরে আহত করে। একপর্যায়ে আমার মেয়ের মাথার চুল কেটে দিয়েছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই। কালিয়াকৈরের মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত দম্পতি পালিয়ে থাকায় তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আশা করছি, দ্রুততম সময়ের মধ্যে ওই দম্পতিকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।
০৯ মার্চ ২০২৪, ১৫:১২

পাকিস্তানে যৌন নির্যাতনের শিকার ৪২০০ শিশু
পাকিস্তানে ২০২৩ সালে প্রতিদিন ১১টি শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই পরিচিত ও আত্মীয়স্বজন এই জঘন্য কাজে জড়িত। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের (এনসিএইচআর) সহায়তায় বৃহস্পতিবার চালু হওয়া শিশুদের কল্যাণে কাজ করা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সাহিলের স্বাক্ষর প্রকাশনা ‘ক্রুয়েল নাম্বারস ২০২৩’-এ এই পরিসংখ্যান প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে চারটি প্রদেশের পাশাপাশি ইসলামাবাদ ক্যাপিটাল টেরিটরি (আইসিটি), আজাদ জম্মু ও কাশ্মীর (এজেকে) এবং গিলগিট-বালতিস্তানে (জিবি) মোট ৪,২১৩টি শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। মোট মামলার মধ্যে শিশু যৌন নির্যাতন, অপহরণের ঘটনা, শিশু নিখোঁজ এবং বাল্যবিবাহের ঘটনা অন্তর্ভুক্ত ছিল। লিঙ্গ-বিভাজন বিশ্লেষণে দেখা গেছে যে, মোট রিপোর্ট করা কেসগুলির মধ্যে ২,২৫১ জন (৫৩ শতাংশ) মেয়ে এবং ১,৯৬২ (৪৭ শতাংশ) ছেলে ছিল। রিপোর্টে দেখিয়েছে যে, ৬ থেকে ১৫ বছর বয়সের মধ্যে শিশুরা নির্যাতনের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ, যেখানে মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের বেশি ঘটনা রিপোর্ট করা হয়েছিল। তাছাড়া ৫ বছরের কম বয়সী শিশুরাও যৌন নির্যাতনের শিকার হয়। নির্যাতনকারীর ক্যাটাগরি ক্রুয়েল নাম্বার ২০২৩ ইঙ্গিত দিয়েছে যে, আত্মীয়স্বজন, পরিবারের সদস্য, অপরিচিত এবং মহিলা প্ররোচনাকারীদের সাথে পরিচিতরা এখনও শিশু যৌন নির্যাতনের সাথে সবচেয়ে বেশি জড়িত। ভৌগোলিক বিভাজনের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, মোট ৪,২১৩ টি মামলার মধ্যে ৭৫ শতাংশ পাঞ্জাবে, ১৩ শতাংশ সিন্ধু, ৭ শতাংশ ইসলামাবাদ রাজধানী অঞ্চলে, ৩ শতাংশ খাইবার পাখতুনখোয়া (কেপি), ২ শতাংশ বেলুচিস্তান, আজাদ জম্মু ও কাশ্মীর (এজেকে) এবং গিলগিট-বালতিস্তান (জিবি) থেকে ২ শতাংশ পাওয়া গেছে। রিপোর্টে দেখা গেছে, মোট রিপোর্ট করা মামলার মধ্যে ৯১ শতাংশ পুলিশের কাছে নিবন্ধিত হয়েছে। যা এই সমস্যা সমাধানে পুলিশের ‘সক্রিয় ভূমিকার ইঙ্গিত দেয়’ বলে অভিহিত করা হয়েছে। ২,০২১টি ক্ষেত্রে উভয় লিঙ্গ থেকে শিশুদের যৌন নির্যাতন করা হয়েছে, ৬১টি ক্ষেত্রে যৌন নির্যাতনের পরে তাদের হত্যা করা হয়েছে এবং কমপক্ষে ১,৮৩৩টি ক্ষেত্রে অপহরণ সম্পর্কিত হয়েছে। একইভাবে নিখোঁজ শিশুর সংখ্যা ৩৩০ এবং বাল্যবিবাহের ঘটনা ঘটেছে ২৯টি। এ বছর সাহিল ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত যেসব শিশুর আঘাত বা মৃত্যু হয়েছে তাদের ক্ষেত্রেও পর্যবেক্ষণ করেছেন। এনজিওটির পর্যবেক্ষণে থাকা মোট ২১৮৪টি মামলার মধ্যে ৬৯৪ জন পানিতে ডুবে মারা গেছে, ৪০১ জন দুর্ঘটনায় মারা গেছে, ২৮৬ জন খুন হয়েছে, ১২১ জন নির্যাতনের শিকার হয়েছে, ১১১ জন আহত হয়েছে, ১১০ জন আত্মহত্যা করেছে এবং ১০৩ জন বৈদ্যুতিক শকে মারা গেছে। ৮১টি জাতীয় ও আঞ্চলিক সংবাদপত্র পর্যবেক্ষণ করে ‘ক্রুয়েল নাম্বার ২০২৩’ সংকলন করেছে সাহিল। এই প্রতিবেদনের উদ্দেশ্য ছিল শিশুদের বিরুদ্ধে সহিংসতা সম্পর্কিত পরিস্থিতির তথ্য উপস্থাপন করা এবং পাকিস্তানে শিশু যৌন নির্যাতনের বিদ্যমান তথ্যে অবদান রাখা। এর পাশাপাশি, গবেষণার লক্ষ্য ছিল সমাজের সকল বিভাগে শিশু যৌন নির্যাতনের বিভিন্ন রূপ সম্পর্কে সচেতনতা এবং তথ্য ছড়িয়ে দেওয়ার দিকে গুরুত্ব দেয়া।
০৬ মার্চ ২০২৪, ২৩:৫৭

নির্যাতনের বিচার একদিন হবেই : নজরুল
নির্যাতনের বিচার একদিন হবেই বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর গোপীবাগে কারাগারে নিহত বিএনপি নেতা ইমতিয়াজ আহমেদ বুলবুলের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন। নজরুল ইসলাম খান বলেন, অত্যাচার-নির্যাতন চিরজীবন চলবে না। তাহলে মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন হতো না। নির্যাতনের বিচার একদিন হবেই। তিনি বলেন, স্বৈরাচার পতনের আন্দোলনে যারা নির্যাতন, গুম, খুন ও শহীদ হয়েছেন, তাদের রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হবে। কর্মসূচির বিষয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, সময়ের দাবিতে রাজনৈতিক কর্মসূচি বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। অনেক আন্দোলনে বিএনপি বিজয়ী হয়েছে। গণতন্ত্র ফিরে আসবে। বিএনপি আবারও দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে। নজরুল ইসলাম খান বলেন, আওয়ামী লীগের কোনো কথায় বিএনপি গুরুত্ব দেয় না। জোট করে বিএনপি আন্দোলন করছে না, করছে যুগপৎভাবে।
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৩৮

ইবির গণরুমে এবার ছাত্রকে নগ্ন করে রাতভর নির্যাতনের অভিযোগ
বছর না ঘুরতেই এবার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) নবীন এক ছাত্রকে নগ্ন করে রাতভর নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রলীগের দুই কর্মীর বিরুদ্ধে। বিশ্ববিদ্যালয়ের লালন শাহ হলের গণরুমে গত বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে তার উপর নির্যাতন করা হয়। ভুক্তভোগী বিশ্ববিদ্যালয়ের আল ফিকহ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। অভিযুক্তরা হলেন- শারীরিক শিক্ষা ও বিজ্ঞান বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মুদাচ্ছির খান কাফি ও ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের একই শিক্ষাবর্ষের মোহাম্মদ সাগর। তারা উভয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়ের অনুসারী। ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ ফেব্রুয়ারি রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের লালন শাহ হলের গণরুমে (কক্ষ নম্বর ১৩৬) ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে পরিচয় হওয়ার কথা বলে ডাকে অভিযুক্তরা। কক্ষে প্রবেশের পর অভিযুক্তরা তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে। এক পর্যায়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে নানা কুরুচিপূর্ণ অঙ্গভঙ্গি করতে বাধ্য করলে তিনি অস্বীকৃতি জানায়। এতে ওই শিক্ষার্থীর ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযুক্তরাসহ কয়েকজন সিনিয়র তাকে বিবস্ত্র করে রড দিয়ে মারধর করে। তারপর বিবস্ত্র অবস্থায় তাকে জোরপূর্বক টেবিলের উপর দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। এ ছাড়াও তাকে নাকে খত দেওয়াসহ বিভিন্নভাবে শারীরিক নির্যাতন করে অভিযুক্তরা। ওইদিন রাত সাড়ে ১২টা থেকে ভোর সাড়ে ৪টা পর্যন্ত কয়েক দফায় তার উপর নির্যাতন চালানো হয়। এ ছাড়াও ঘটনা কাউকে না জানানোর জন্য ভয় দেখানো হয়েছে। তার কক্ষের বিছানাপত্র বাইরে ফেলে দেওয়া হয় বলেও জানিয়েছে ভুক্তভোগী। অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরাও লালন শাহ হলের ১৩৬ নং কক্ষে থাকেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শাখা ছাত্রলীগের এক কর্মী জানান, ঘটনার পরের দিন (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জিয়া মোড়ে শাখা ছাত্রলীগ কর্মী হাফিজ এবং নাসিম আহমেদ মাসুমসহ কয়েকজন নেতাকর্মী অভিযুক্তদের ডেকে ভুক্তভোগীর সঙ্গে মীমাংসা করে দেয়। এ সময় তারা অভিযুক্তদের চড়-থাপ্পড়ও মারেন। এ ঘটনায় মধ্যস্থতাকারী ছাত্রলীগ কর্মী নাসিম আহমেদ মাসুম বলেন, ঘটনাটি মিটমাট হয়ে গেছে। আমি এ বিষয়ে আর কথা বলতে চাই না। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বলেন, গত বুধবার রাতে আমার সঙ্গে যা ঘটেছে তা নির্মম। ঘটনার পরে হলের বড় ভাইয়েরা বিষয়টি সমাধান করে দিয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষার্থী মোহাম্মদ সাগর বলেন, এরকম কোনো ঘটনা ঘটেনি। এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। তাছাড়া আমি ওইদিন হলের বাইরে ছিলাম। ওই রুমে ছিলাম না, পাশের রুমে ছিলাম। অভিযুক্ত মুদাচ্ছির খান কাফির মুঠোফোনে একাধিকবার কল করেও যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় বলেন, বিষয়টি মীমাংসা করা হয়েছে। যদি ভুক্তভোগী এ বিষয়ে অভিযোগ দেয় এবং অভিযুক্তরা ছাত্রলীগ কর্মী হয়ে থাকে তবে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে লালন শাহ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আকতার হোসেন বলেন, আমি আনঅফিসিয়ালি বিষয়টি জেনেছি। খোঁজ-খবর নিয়ে আরও বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছি। তবে ভুক্তভোগী এখনও কোনো অভিযোগ দেয়নি। যদি অভিযোগ দেয় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অবশ্যই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উল্লেখ্য, গত বছরের ১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের গণরুমে ফুলপরী নামের এক নবীন ছাত্রীকে বিবস্ত্র করে রাতভর নির্যাতন ও ভিডিও ধারণের অভিযোগ উঠে শাখা ছাত্রলীগ নেত্রী ও পরিসংখ্যান বিভাগের সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের তাবাসসুম ইসলাম, মোয়াবিয়া জাহান, আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মীম ও চারুকলা বিভাগের হালিমা খাতুন উর্মীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ছাত্রীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে কয়েকটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। এ ছাড়াও বিষয়টি গড়ায় আদালত পর্যন্ত। গত ২১শে আগস্ট ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় ছাত্রলীগ নেত্রীসহ অভিযুক্ত পাঁচজনকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়। ওই ঘটনার এক বছরের মাথায় এবার ছাত্রকে নগ্ন করে নির্যাতন করা হলো।
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:০৬

‘শিশু নির্যাতনের ৭৬ শতাংশ ঘটনাই যৌন নিপীড়ন’
ঢাকায় যত শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটে তার মধ্যে প্রায় ৭৬ শতাংশই যৌন নির্যাতন। ভুক্তভোগীদের মধ্যে বেশির ভাগ শিশুর বয়স ১৪ থেকে ১৬ বছর। এদের একটি বড় অংশ যৌন নির্যাতনের শিকার হওয়ার পরও নানান কারণে পুলিশের সহায়তা চায় না। ‘শিশু যৌন নির্যাতন : ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে দায়েরকৃত মামলার ওপর একটি গবেষণা’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। গবেষণাটির জন্য ঢাকার অনূর্ধ্ব ১৮ বছর বয়সী স্কুল ও কলেজের ১০০ শিক্ষার্থী এবং ৫০ পথশিশুর ওপর জরিপ চালিয়েছে ডিএমপি। একইসঙ্গে ২৫টি মামলার তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা হয়েছে। গবেষণায় বলা হয়, জরিপে অংশ নেওয়া শিশুদের ৯০ জন অর্থাৎ ৬০ শতাংশ শিশু কোনো না কোনো নির্যাতনের শিকার হয়েছে। তাদের মধ্যে ২১ শতাংশ মানসিক, ৩ শতাংশ শারীরিক এবং ৭৬ শতাংশ যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে। নির্যাতনের শিকার এসব শিশুরা পরে খাবারে অরুচি, নিদ্রাহীনতা, স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে না পারা, হতাশা, দুশ্চিন্তা, লজ্জা ও ভয়ের মতো মানসিক সমস্যায় ভোগে। ঢাকা মহানগর পুলিশের উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন বিভাগের গত চার বছরের (২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের সেপ্টম্বর) মামলা থেকে নির্যাতনের ২৫টি ঘটনার অভিযোগপত্র বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ঢাকা শহরে ১৪ থেকে ১৬ বছরের শিশুরা সবচেয়ে বেশি যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এই হার ৫৩ শতাংশের বেশি। ৩৯ শতাংশ শিশু অপরিচিত ব্যক্তির হাতে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে। অনেকে আবার পরিচিতজনদের মাধ্যমেও নির্যাতনের শিকার হয়েছে। প্রায় ১২ শতাংশ শিশু চাচা–মামার মাধ্যমে, ৬ শতাংশ চাচাতো–মামাতো ভাইয়ের মাধ্যমে, ৯ শতাংশ দূরসম্পর্কের আত্মীয়ের মাধ্যমে এবং ৪ শতাংশের বেশি শিশু বন্ধুর মাধ্যমে নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এ ছাড়া যৌন নির্যাতনের শিকার শিশুদের মাত্র ৩৪ শতাংশ থানায় গেছে। বাকি ৬৬ শতাংশ পুলিশের সহায়তা চায়নি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। জরিপে অংশ নেওয়া বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, সাক্ষীর অভাব, অপর্যাপ্ত প্রমাণ, মেডিকেল প্রতিবেদন তৈরিতে দেরি ধর্ষণ মামলা পরিচালনার ক্ষেত্রে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়ায়। বিচারব্যবস্থার বিভিন্ন পর্যায়ের দুর্নীতিও ন্যায়বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে বিরাট বাধা। গবেষণায় নেতৃত্ব দেন মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধবিজ্ঞান ও পুলিশবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুহাম্মদ উমর ফারুক।  তিনি বলেন, শিশু নির্যাতন পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। অনুকূল পরিবেশে পরিপূর্ণ সম্ভাবনা নিয়ে একটি শিশুর বেড়ে ওঠা ও বেঁচে থাকার সুযোগ সমাজ ও রাষ্ট্রকে দিতে হবে। পারিবারিকমণ্ডলে শিশুর সুরক্ষা নিশ্চিত করতে শিশু কার সঙ্গে মেশে ও চাকরিজীবী মা-বাবারা কার কাছে সন্তান রেখে যান, সেদিকে নজর দিতে হবে। শিশুর সঙ্গে মা-বাবার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়তে হবে, যাতে তারা যেকোনো বিষয়ে কথা বলতে সংকোচবোধ না করে।
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:৪১

বিশ্বকাপজয়ী ৫ খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ
যৌন নির্যাতনের অভিযোগে কানাডার ২০১৮ সালের জুনিয়র বিশ্বকাপ হকি দলের পাঁচ খেলোয়াড়কে অভিযুক্ত করেছে পুলিশ।  বিষয়টি জানিয়েছেন অন্টারিওর লন্ডন শহরের পুলিশ প্রধান থাই ট্রুং। অভিযুক্তরা হলেন- কার্টার হার্ট, মাইকেল ম্যাকলয়েড, ক্যাল ফুট, ডিলন ডিউব ও অ্যালেক্স ফরমেন্টন।  জানা গেছে, ২০১৮ সালে জুনিয়র হকি বিশ্বকাপ চলাকালে তাদের নামে যৌন নির্যাতনের বেশ কয়েকটি অভিযোগ করেন কানাডার এক নারী। তখন অগ্রগতি না হলেও ২০২২ সালে পূনরায় তদন্ত শুরু করে দেশটির যৌন নিপীড়ন ও শিশু নির্যাতন বিভাগ।  এদিকে যথেষ্ট প্রমাণ পাবার কথা জানিয়ে দীর্ঘ বিলম্বের জন্য ভুক্তভোগীর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন লন্ডন পুলিশ প্রধান। থাই ট্রুং বলেন, আমি লন্ডন পুলিশ সার্ভিসের পক্ষ থেকে ভুক্তভোগী ও তার পরিবারের কাছে, এই পর্যায়ে পৌঁছাতে যে পরিমাণ সময় নিয়েছে; তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করতে চাই। আমি আপনাকে বলতে পারি যে যৌন সহিংসতার শিকার ও সমস্ত ভুক্তভোগীদের জন্য একটি কঠিন পরিস্থিতি। ট্রুং যোগ করেন, পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলাটি বিপন্ন হতে পারে, এই আশঙ্কায় কেন তদন্ত পুনরায় চালু করতে দীর্ঘ বিলম্ব হয়েছিল; তা ব্যাখ্যা করা সম্পূর্ণ অনুপযুক্ত। মামলাটি পুনরায় খোলার পর থেকে সংগৃহীত নতুন প্রমাণ এবং তথ্য অভিযোগের দিকে পরিচালিত করে ও তদন্ত দলের প্রতি তার অত্যন্ত আস্থা ছিল।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:২৪

মুক্তিপণ চেয়ে মায়ের কাছে নির্যাতনের ভিডিও
উত্তরায় এক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকে অপহরণের পর মুক্তিপণের দাবিতে পাশবিক নির্যাতনের সব ভিডিও পাঠানো হচ্ছে পরিবারের কাছে। ভারতীয় নম্বর থেকে চাওয়া হচ্ছে মুক্তিপণ। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি হাসিবুর রহমান হিমেলকে। অপহরণের পর ২ কোটি টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়েছে পরিবারের কাছে। টাকা না পেয়ে বাড়ানো হচ্ছে নির্যাতনের মাত্রা। গাছে ঝুলিয়ে বেধড়ক পেটানোর ভিডিও পাঠানো হয় অপহৃত হাসিবুর রহমান হিমেলের মায়ের নম্বরে। গত ২৬ ডিসেম্বর উত্তরার ১০ নম্বর সেক্টরের বাসা থেকে বের হয়ে ড্রাইভারসহ নিখোঁজ হয় হাসিবুর। পরিবারের কাছে পাঠানো ভিডিওতে খোদ ড্রাইভারকেই দেখা যায় অপহরণকারীর ভূমিকায়। কালো গেঞ্জি পড়া যে ছেলেটি হাসিবকে ধরে আছে সেই এ পরিবারটির গাড়ি চালিয়ে আসছিলেন প্রায় তিন বছর ধরে।  ঘটনা জানতে উত্তরার বাসায় গেলে সাংবাদিক দেখে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন হাসিবের মা। ব্যবসায় কথা বলে গত ২৬ ডিসেম্বর ড্রাইভার সামিদুল তার একমাত্র ছেলেকে নিয়ে শেরপুরের উদ্দেশ্য বের হন। তারপর থেকেই ফোন আসতে থাকে মুক্তিপণ চেয়ে।  ভুক্তভোগীর মা জানান, অপহরণকারীরা আমাকে কখনও ময়মনসিংহ, কখনও নেত্রকোণা একা যেতে বলে। সেখান থেকে তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা হেঁটে ভেতরে যেতে বলে। সেখানে গিয়ে টাকা দিলে আধাঘণ্টার মধ্যে ছেলেকে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। এ ঘটনায় উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা হলেও এখনও হাসিবকে উদ্ধার করা যায়নি। তবে ডিবি পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে চারজন।  ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশিদ বলেন, মূল অপহরণকারী সামিদুল এবং মালেকের নম্বর আমরা পাই। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাদেরকে এবং তাদের স্ত্রীকে আমরা গ্রেপ্তার করি। অপহরণকারীরা যেন ভুক্তভোগীকে মেরে না ফেলে তাই তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:৫৫

অপ্রাপ্তবয়স্কদের যৌন নির্যাতনের ছবি তৈরি করছে এআই
শিশু ও অপ্রাপ্তবয়স্কদের ধর্ষণসহ যৌন নির্যাতনের ৯০ শতাংশ ছবি-ভিডিও এবং অন্যান্য উপাদানই কৃত্রিমভাবে তৈরি। শিশু নিপীড়নে আসক্ত ব্যক্তিরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহারের মাধ্যমে নিপীড়নের এসব উপাদান তৈরি ও বিক্রি করে আসছে।  যুক্তরাজ্যভিত্তিক অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ইন্টারনেট ওয়াচ ফাউন্ডেশন (আইডব্লিএফ) জানিয়েছে, গত বছরে এক লাখের বেশি ওয়েবপেজে ১০ বছরের কম বয়সী শিশুদের রূপ দিয়ে কৃত্রিম বা স্ব-উত্পাদিত যৌন নির্যাতনের উপাদান দেখানো হয়েছে। আগের বছরের তুলনায় যা বেড়ে গেছে ৬৬ শতাংশ। এ পরিস্থিতিকে আশঙ্কাজনক দাবি করে আইডব্লিএফ জানায় রেকর্ড দুই লাখ ৭৫ হাজার ৬৫৫টি ওয়েবপেজে সিএসএএম উপাদান থাকার প্রমাণ মিলেছে। খবর দ্য গার্ডিয়ান। সংস্থাটি জানিয়েছে ব্রিটিশ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে তাদের অন্যতম মানবিক দায়িত্ব এসব উপাদান ইন্টারনেট থেকে সম্পূর্ণভাবে সরিয়ে ফেলা অথবা নির্মূল করা।   এআই দিয়ে তৈরি এসব ছবি-ভিডিও কেউ কেউ প্যাট্রিয়নের মতো মূলধারার কনটেন্ট শেয়ারিং সাইটগুলোতেও গ্রাহক হয়ে দেখতে পারছেন। তবে প্যাট্রিয়ন বলছে, এ ধরনের ছবি প্রকাশের ব্যাপারে তাদের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি আছে। প্যাট্রিয়ন এই নীতি কতটা মানছে তা তুলে ধরেছে যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল পুলিশ চিফ কাউন্সিল (এনপিসিসি)। তারা জানায়, কিছু কিছু কনটেন্ট প্ল্যাটফর্ম ‘নৈতিক দায়িত্বের’ বাধ্যবাধকতাকে সম্পূর্ণ এড়িয়ে চলছে। এ ঘটনা ক্রমে বেড়ে যাচ্ছে। কনটেন্ট প্ল্যাটফর্ম গুলো এ খাত থেকে ‘বিপুল অর্থ লুফে’ নিচ্ছে।  তাদের দাবি অপ্রাপ্তবয়স্কদের যৌন নির্যাতনের এসব ছবির নির্মাতারা স্ট্যাবল ডিফিউশন নামে একটি এআই সফটওয়্যার ব্যবহার করছেন। সফটওয়্যারটির উদ্দেশ্য ছিল গ্রাফিক ডিজাইনে ব্যবহার করা। এআই–চালিত কম্পিউটারে এমন কাজ করা হয়। তবে এ জন্য সাধারণ মানুষেরও জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায় কোনো কোনো ঘটনায়।
১৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:২৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়