• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
হিটস্ট্রোক / স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৪ নির্দেশনা
তীব্র গরমে পুড়ছে দেশ। চলমান এই গরম আরও কয়েক দিন থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ অবস্থায় হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে চার দফা নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশে তীব্র তাপপ্রবাহ বিদ্যমান আছে। এ অবস্থায় সুস্থ থাকতে সতর্কতার কোনো বিকল্প নেই। নির্দেশনাগুলো হলো- ১. তীব্র গরম থেকে দূরে থাকুন, মাঝে মাঝে ছায়ায় বিশ্রাম নিন। ২. প্রচুর পরিমাণে নিরাপদ পানি পান করুন। হেপাটাইটিস এ, ই, ডায়রিয়াসহ প্রাণঘাতি পানিবাহী রোগ থেকে বাঁচতে রাস্তায় তৈরি পানীয় ও খাবার এড়িয়ে চলুন। প্রয়োজনে একাধিকবার গোসল করুন। ৩. গরম আবহাওয়ায় ঢিলেঢালা পাতলা ও হালকা রঙের পোশাক পরুন, সম্ভব হলে গাঢ় রঙিন পোশাক এড়িয়ে চলুন। ৪. গরম আবহাওয়ায় যদি ঘাম বন্ধ হয়ে যায়, বমি বমি ভাব দেখা দেয়, তীব্র মাথাব্যথা হয়, শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়, প্রস্রাব কমে যায়, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হয়, খিঁচুনি এবং অজ্ঞান হওয়ার মতো কোনো লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে অবিলম্বে হাসপাতালে যান এবং ডাক্তারের পরামর্শ নিন। এর আগে, হিট স্ট্রোক থেকে রক্ষা পেতে এবং পুলিশ সদস্যদের সুস্থ থাকতে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স ১১টি নির্দেশনা প্রদান করে। সেগুলো হলো- বাইরে দায়িত্ব পালনের সময় ছাতা, ক্যাপ এবং সানগ্লাস ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশুদ্ধ ও স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি ধীরে ধীরে পান করতে হবে এবং ঠান্ডা পানি (বরফসহ/ফ্রিজের পানি) পান পরিহার করতে হবে। স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খেতে হবে এবং বাসি, খোলা খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। পুলিশ মেস এবং ক্যান্টিনে বিশুদ্ধ পানি ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার পরিবেশন নিশ্চিত করতে হবে। বাইরে থেকে ঘরে ফিরে আধাঘণ্টা পর/দেহের তাপমাত্রা স্বাভাবিক হওয়ার পর হাতমুখ ধৌত বা গোসল করতে হবে। জুস বা এ জাতীয় পানীয় পরিহার করতে হবে। স্বাভাবিক শরবত, ডাব বা লবণ পানি পান করা যেতে পারে যদি তা অন্য কোনো কারণে নিষিদ্ধ না হয়ে থাকে। অসুস্থ বোধ করলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। অফিস ও আবাসন-ব্যারাকের দরজা-জানালা যথাসম্ভব খোলা রাখতে হবে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মাধ্যমে পুলিশ সদস্যদের তাপপ্রবাহ চলাকালে সুস্থ থাকার বিষয়টি তদারকির ব্যবস্থা করতে হবে। তীব্র তাপপ্রবাহে সুস্থ থাকতে এবং হিটস্ট্রোক প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে নিয়মিত রোলকলে এবং অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনায় পুলিশ সদস্যদের অবহিতকরণসহ সচেতন করতে হবে।
১৮ ঘণ্টা আগে

তীব্র গরমে পুলিশ সদস্যদের প্রতি ১১ নির্দেশনা
তীব্র গরমে পুড়ছে দেশ। এতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। চলমান এই গরম আরও বেশ কয়েক দিন থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ অবস্থায় হিট স্ট্রোক থেকে রক্ষা পেতে এবং পুলিশ সদস্যদের সুস্থ থাকতে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স ১১টি নির্দেশনা প্রদান করেছে। নির্দেশনাগুলো হলো- ১. বাইরে দায়িত্ব পালনের সময় ছাতা, ক্যাপ এবং সানগ্লাস ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। ২. পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশুদ্ধ ও স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি ধীরে ধীরে পান করতে হবে এবং ঠান্ডা পানি (বরফসহ/ফ্রিজের পানি) পান পরিহার করতে হবে। ৩. স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খেতে হবে এবং বাসি, খোলা খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। ৪. পুলিশ মেস এবং ক্যান্টিনে বিশুদ্ধ পানি ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার পরিবেশন নিশ্চিত করতে হবে। ৫. বাইরে থেকে ঘরে ফিরে আধাঘণ্টা পর/দেহের তাপমাত্রা স্বাভাবিক হওয়ার পর হাতমুখ ধৌত বা গোসল করতে হবে। ৬. জুস বা এ জাতীয় পানীয় পরিহার করতে হবে। ৭. স্বাভাবিক শরবত, ডাব বা লবণ পানি পান করা যেতে পারে যদি তা অন্য কোনো কারণে নিষিদ্ধ না হয়ে থাকে। ৮. অসুস্থ বোধ করলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ৯. অফিস ও আবাসন-ব্যারাকের দরজা-জানালা যথাসম্ভব খোলা রাখতে হবে। ১০. ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মাধ্যমে পুলিশ সদস্যদের তাপপ্রবাহ চলাকালে সুস্থ থাকার বিষয়টি তদারকির ব্যবস্থা করতে হবে। ১১. তীব্র তাপপ্রবাহে সুস্থ থাকতে এবং হিট স্ট্রোক প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে নিয়মিত রোলকলে এবং অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনায় পুলিশ সদস্যদের অবহিতকরণসহ সচেতন করতে হবে।
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০:২৮

উপজেলা নির্বাচন / নির্দেশনা অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন যেসব মন্ত্রী-এমপির স্বজনরা
আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়স্বজন ও ছেলেমেয়েরা প্রার্থী হতে পারবেন না-এই নির্দেশনা খোদ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার। দলের হাইকমান্ড থেকে এমন নির্দেশনা দিলেও তার তোয়াক্কা করছেন না নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া এমপি-মন্ত্রীদের স্বজনরা। এমপি-মন্ত্রীর স্বজন হয়েও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া ব্যক্তিরা বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করার সিদ্ধান্তে এখনো অটল। এসব নিয়ে গা-ছাড়া ভাব অনেক এমপি-মন্ত্রীরও।  অনেকেই বলছেন, অতীতে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় এমপি-মন্ত্রীর আত্মীয়স্বজনদের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ব্যাপারে অনীহা দেখা যাচ্ছে। খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাসহ বর্তমান এমপি-মন্ত্রী ও সাবেক মন্ত্রীদের মধ্যে কমপক্ষে ২৫ জনের স্বজন এখনো নির্বাচনি মাঠে রয়েছেন। বরিশালের আগৈলঝাড়া ও গৌরনদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য আওয়ামী লীগের অন্তত ১০ জন নেতা প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। ছয় মাস ধরে তারা গণসংযোগ করেছেন। কিন্তু গত ৩০ মার্চ রাতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির বর্ষীয়ান নেতা ও বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ আগৈলঝাড়ায় নিজের ছেলে সেরনিয়াবাত আশিক আবদুল্লাহ এবং গৌরনদীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মো. হারিছুর রহমানকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন। ফলে অন্য প্রার্থীরা চুপ হয়ে গেছেন। এই দুই উপজেলাতে কোনো ভোটের আমেজ নেই। আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ আগৈলঝাড়া ও গৌরনদী আসনের (বরিশাল-১) এমপি। এ দুই উপজেলায় ভোট হবে তৃতীয় ধাপে। এছাড়া প্রথম ধাপের নির্বাচনে নোয়াখালীতে তিন উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন তিন এমপির আত্মীয়রা। নোয়াখালী-২ আসনের এমপি মোর্শেদ আলমের ছেলে সাইফুল আলম বিপুকে প্রার্থী করা হয়েছে তার নির্বাচনি এলাকা সেনবাগ উপজেলায়। নোয়াখালী-৪ আসনের এমপি একরামুল করিম চৌধুরীর ছেলে সাবাব চৌধুরী চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন সুবর্ণচর উপজেলায়। এছাড়া নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনের এমপি ও হাতিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলীর ছেলে আশিক আলী ও স্ত্রী আয়েশা ফেরদৌস প্রথম ধাপে ৮ মের নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন এবং তাদের মনোনয়ন বৈধ হয়েছে।  এদিকে নরসিংদী-২ আসনের এমপি আনোয়ার আশরাফ খানের শ্যালক মো. শরিফুল হক নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় এবং প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক লুৎফুল হাবীব রুবেল সিংড়া উপজেলায় প্রার্থী হয়েছেন। মাগুরা-২ আসনের এমপি বীরেন শিকদারের ছোট ভাই বিমল শিকদার, বগুড়া-১ আসনের এমপি সাহাদারা মান্নানের ছেলে মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন ও ছোট ভাই মিনহাদুজ্জামান ওরফে লিটন ভিন্ন ভিন্ন উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন। এছাড়া  সুনামগঞ্জ-৩ আসনের এমপি সাবেক মন্ত্রী এম এ মান্নানের ছেলে শাহাদাত মান্নান সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায়, সুনামগঞ্জের সাবেক সংরক্ষিত আসনের এমপি ও জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামসুন্নাহার বেগমের ছেলে ফজলে রাব্বি, মানিকগঞ্জ-৩ আসনের এমপি সাবেক মন্ত্রী জাহিদ মালেকের ফুপাতো ভাই ইসরাফিল হোসেন সদর উপজেলায়, কুষ্টিয়া-৩ আসনের এমপি আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মাহবুব-উল আলম হানিফের চাচাতো ভাই আতাউর রহমান কুষ্টিয়া সদর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী, পিরোজপুর-১ আসনের এমপি শ ম রেজাউল করিমের ছোট ভাই নূর-ই আলম নাজিরপুর উপজেলায়, শরীয়তপুর-১ আসনের এমপি ইকবাল হোসেন অপুর চাচাতো ভাই বিল্লাল হোসেন নিপু সদর উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন।  পাবনা-৩ আসনের এমপি মো. মকবুল হোসেনের বড় ছেলে রাসেল ভাঙ্গুড়া উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন পৌরসভার মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ করে।  এদিকে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে এমপি মাজহারুল ইসলাম সুজনের দুই চাচাসহ তিনজন স্বজন প্রার্থী হয়েছেন। মৌলভীবাজার-১ আসনের এমপি ও সাবেক মন্ত্রী শাহাব উদ্দিনের ভাগ্নে শোয়েব আহমদ বড়লেখা উপজেলায় প্রার্থী হয়েছেন।  বরিশাল-৬ আসনের এমপি আবদুল হাফিজ মল্লিকের ভাই বাকেরগঞ্জ উপজেলায় প্রার্থী হয়েছেন। এছাড়া আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক তাঁর নির্বাচনি এলাকা টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করেন খালাতো ভাই হারুনুর রশিদ হিরাকে। আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য মাদারীপুর-১ আসনের এমপি শাজাহান খানের ছেলে আসিবুর রহমান খানকে সদর উপজেলায় প্রার্থী করা হয়েছে। দলের সভানেত্রীর নির্দেশনা যেসব মন্ত্রী-এমপি মানছেন না, তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানতে চাইলে গতকাল ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, ‘তাদের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে হবে। যারা প্রার্থী হতে চান, তাদেরও নির্বাচনি প্রক্রিয়া থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে। যারা আছেন তাদের তালিকা তৈরি করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।’
২১ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৪৩

প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে আইনজীবীদের প্রতি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা
দেশজুড়ে চলমান প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের কারণে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগে মামলার শুনানিকালে আইনজীবীদের পোশাক পরিধানে শিথিলতা জারি করা হয়েছে।   শনিবার (২০ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল গোলাম রব্বানী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন কোর্ট প্রশাসন।  বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগে মামলার শুনানিকালে আইনজীবীদের গাউন পরিধানের আবশ্যকতা শিথিল করা হলো। এ নির্দেশনা ২১ এপ্রিল (কাল রোববার) থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। এর আগে, গত ৪ এপ্রিল পৃথক এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে অধস্তন আদালতের আইনজীবী ও বিচারকদের কালো কোট ও গাউন পরার আবশ্যকতা শিথিল করা হয়। প্রসঙ্গত, এর আগে গত বছর একই কারণে ২০২৩ সালের ১৪ মে থেকে অক্টোবর পর্যন্ত পোশাকে শিথিলতা জারি করেছিল সুপ্রিমকোর্ট প্রশাসন। তবে এবার অত্যাধিক গরমের কারণে এপ্রিল মাসেই আইনজীবীদের পোশাকের শিথিলতার বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
২০ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:১৪

উপজেলা নির্বাচন / এমপি-মন্ত্রীদের যে নির্দেশনা দিলেন প্রধানমন্ত্রী
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে আগামী ৮ মে ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই নির্বাচনে এমপি-মন্ত্রীদের হস্তক্ষেপ না করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।   তিনি আরও বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রশাসনের হস্তক্ষেপও থাকবে না। নির্বাচন যাতে শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে হয়, কেউ  হস্তক্ষেপ করবে না। বিএনপি প্রকাশ্যে নির্বাচনের বিরোধিতা করলেও তাদের অনেকেই অংশগ্রহণ করবেন। গাজায় ইসরায়েলের হামলার বিষয়ে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, হিটলারের চেয়েও ভয়ংকর রুপে আবির্ভূত হয়েছে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, সারা বিশ্বই আজ রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। মনে হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে হিটলারের যে দাম্ভিকতা, যুদ্ধাংদেহী মনোভাব সেটা আবারও নতুন করে বিশ্ব রাজনীতিতে দেখতে পাচ্ছি। হিটলার যে হলোকাস্ট ঘটিয়েছিল ৬০ লাখ ইহুদি হত্যা করে। আজকে গাজায় গণহত্যার নায়ক নেতানিয়াহু একই রুপে আবির্ভুত হয়েছে। ওবায়দুল কাদের বলেন, নেতানিয়াহু জাতিসংঘ মানে না, হোয়াইট হাউসকে তোয়াক্কা করে না। মার্কিন প্রেসিডেন্টের কথা শোনে না। সে হিটলারের চেয়েও ভয়ংকর রূপে আবির্ভূত হয়েছে। ইতোমধ্যে গাজায় ১৪ হাজার শিশুকে হত্যা করে ফেলছে।   তিনি আরও বলেন, ইরানের হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক দেশ ইসরায়েলকে শান্ত থাকতে বলেছে। কিন্তু নেতানিয়াহু আবারও ইরানে হামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি আপন ইচ্ছায় চলেন, যা খুশি করেন। যাকে ইচ্ছা ভাতে মারেন, পানিতে মারেন, এয়ার স্ট্রাইক করে মারেন। তার দাপট হিটলারকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে।
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৫২

নির্দেশনা উপেক্ষা করে উদীচীর বর্ষবরণ, যা বলছে ডিএমপি
নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অনুষ্ঠান শেষ করার বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে উদীচীর প্রতিবাদ সমাবেশ এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রশ্নবিদ্ধ করার বিষয়টি অত্যন্ত অনভিপ্রেত ও বিব্রতকর বলে জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। ডিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) কে এন রায় নিয়তি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলা নববর্ষ উদযাপনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সরকার যে নির্দেশনা জারি করেছে সেই নির্দেশনা উপেক্ষা করে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর অনুষ্ঠান করার বিষয়টি ডিএমপির দৃষ্টিগোচর হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অনুষ্ঠান সমাপ্ত করা সংক্রান্ত সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রশ্নবিদ্ধ করার বিষয়টি অত্যন্ত অনভিপ্রেত ও বিব্রতকর। এতে বলা হয়, খুব স্বাভাবিকভাবেই নববর্ষ উদযাপনে নিরাপত্তা দেওয়া পুলিশের কর্তব্য। পুলিশের এই নিরাপত্তা কার্যক্রমে সব জনগণ সার্বিকভাবে সহযোগিতা করবেন এটাই কাম্য। যেন আনন্দের এই অনুষ্ঠান বিষাদে পরিণত না হয়ে যায়। নিরাপত্তা বিধানে প্রদত্ত প্রয়োজনীয় নির্দেশনা না মেনে তার বিরোধিতা করে অনুষ্ঠান করা খুবই দুঃখজনক এবং উদীচীর মতো প্রগতিশীল একটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের কাছ থেকে যা কখনো কাম্য নয়। ডিএমপি আরও বলেছে, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী কর্তৃক সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে অনুষ্ঠান আয়োজন ও সেখানে প্রদত্ত বক্তব্য খুবই হতাশাজনক। মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে তাদের এহেন কর্মকাণ্ড কোনোভাবেই প্রত্যাশিত নয়। অতীতেও উদীচীর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সময়ে উগ্রবাদী হামলার ইতিহাস রয়েছে বিধায় উদীচী তাদের নিজেদের ও জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে ভবিষ্যতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কর্তৃক প্রদত্ত বিভিন্ন নিরাপত্তামূলক নির্দেশনার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবে বলে প্রত্যাশা। পহেলা বৈশাখ বাংলা ও বাঙালি জাতির প্রাণের উৎসব। সব ধর্মের মানুষের কাছে এটি একটি সর্বজনীন উৎসব। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবারই উৎসব উদযাপনে থাকে বিশেষ প্রস্তুতি। বাংলা সংস্কৃতির অন্যতম ধারক ও বাহক যেন এই দিনটি। বিশেষত দিনটি রঙিন হয়ে ওঠে বাঙালি পোশাকে, আয়োজনে এবং আপ্যায়নে। কিন্তু এর আগে বিভিন্ন সময়ে বাঙালি সংস্কৃতির ধারক এই পহেলা বৈশাখ উদযাপনের ওপর উগ্রবাদী আঘাত এসেছে। বারবার চেষ্টা করা হয়েছে সংস্কৃতি যাত্রাকে ব্যাহত করার। উগ্রবাদের এই ভয়াল থাবা বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে বিভিন্ন সময়ে আক্রমণ করেছে, আঘাত করেছে সৃজনশীল ও সংস্কৃতমনা মানুষদের। ডিএমপির বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, উগ্রবাদীদের এই নৃশংসতায় প্রাণ দিয়েছেন অনেক কবি, সাহিত্যিক, অধ্যাপক, ব্লগারসহ মুক্তমনা এবং রুচিশীল ব্যক্তিত্ব। সর্বোপরি জঙ্গি সংগঠনগুলোর টার্গেট হলো বাঙালি সংস্কৃতির অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করে দেশের মধ্যে একটি অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি করা যা তাদের কার্যক্রমে স্পষ্টরূপে প্রতীয়মান হয়। এদেশে প্রথম জঙ্গি হামলা হয়েছিল ১৯৯৯ সালে, যশোরে উদীচীর অনুষ্ঠানে। পরবর্তীকালে ২০০১ সালে রমনা বটমূলে ছায়ানটের অনুষ্ঠানে বোমা হামলা, একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলা, যাত্রা প্যান্ডেলে বোমা হামলা, সিনেমা হলে বোমা হামলা, ১৭ আগস্টের সিরিজ বোমা হামলার পর বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় জঙ্গি হামলা হয় গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয়। এসকল হামলায় অনেক মানুষের মূল্যবান জীবনহানি হয়েছে এবং অনেকে পঙ্গু হয়েছেন। হামলা প্রতিরোধ করতে ও জনগণের জীবন বাঁচাতে গিয়ে পুলিশের অনেক সদস্য জীবন দিয়েছেন, আহত হয়েছেন বহুজন। এর আগে নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে গত কয়েক বছরের মতো এবারও বর্ষবরণের আয়োজন সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে শেষ করার নির্দেশনা দিয়েছিল সরকার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলেছিল, ক্যাম্পাসে সব আয়োজন বিকেল ৫টার মধ্যে শেষ করতে। কিন্তু উদীচী সে নির্দেশনা না মেনে পহেলা বৈশাখে সন্ধ্যা ৬টা থেকে শাহবাগে ‘বর্ষবরণ মানে না শৃঙ্খল' শিরোনামে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করে।
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৩৯

সরকারের নির্দেশনা উপেক্ষা করে উদীচীর অনুষ্ঠান দুঃখজনক : তথ্য প্রতিমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, জননিরাপত্তার স্বার্থে সরকারের জারি করা নির্দেশনা উপেক্ষা করে উদীচীর অনুষ্ঠান করা ও নেতিবাচক বিবৃতি দেওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক। সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সরকারের নির্দেশনা উপেক্ষা করে পহেলা বৈশাখে উদীচীর অনুষ্ঠান করা ও এ বিষয়ে বিবৃতি দেওয়া প্রসঙ্গে এ মন্তব্য করেন তিনি। তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারের নিরাপত্তা বিষয়ক সংস্থা পহেলা বৈশাখের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য যে নির্দেশনা জারি করেছিল সেই নির্দেশনা উপেক্ষা করে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর অনুষ্ঠান করা ছিল হঠকারী ও দুঃখজনক। তাদের এই আচরণে সরকার খুবই ব্যথিত ও মর্মাহত। তিনি বলেন, পহেলা বৈশাখে রমনা বটমূলে এবং যশোরের উদীচীর অনুষ্ঠানে বোমা হামলায় অনেক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে এবং অনেকে পঙ্গু হয়েছে। হলি আর্টিজান, শোলাকিয়া ময়দান ও সিলেটে ঈদের জামাতের জঙ্গি হামলা প্রতিরোধ করতে গিয়ে পুলিশের কয়েকজন সদস্য জীবন উৎসর্গ করেছেন এবং জনগণের জীবন বাঁচিয়েছেন। প্রতিটি অনুষ্ঠানে সরকার জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দিতে সবসময় সতর্ক থাকায় অতীতের মতো বাংলাদেশে কোনো জঙ্গি হামলা বা সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটতে পারেনি। এই বিষয়ে সরকার সকলের সহযোগিতা কামনা করে। মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, ১৯৯৩ সালে ১৪০০ বঙ্গাব্দে, বাংলা শতবর্ষ বরণ করার সময় বেগম খালেদা জিয়া সরকার বাধা দিয়েছিল। তাদের বাধা দেয়ার উদ্দেশ্য ছিল নিরাপত্তাজনিত নয় বরং বাঙালির সার্বজনীন, অসাম্প্রদায়িক এই উৎসবকে নিরুৎসাহিত করা। বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সকল সংগঠনসহ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তথা আমরা সবাই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করেছিলাম। তিনি বলেন, নিরাপত্তা দেওয়া সরকারের কর্তব্য। আশা করব এক্ষেত্রে সবাই সবসময় সহযোগিতা করবেন যাতে আনন্দের অনুষ্ঠান বিষাদে পরিণত না হয়ে যায়। সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে যে অনুষ্ঠান উদীচী করেছে সেখানে যদি কোন দুর্ঘটনা ঘটতো তার দায়-দায়িত্ব কে নিতো এ প্রশ্ন রেখে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা মনে করি নিয়ম বা নির্দেশ না মেনে অনুষ্ঠান যারা করবেন তাদেরকেই সেই দায়-দায়িত্ব নিতে হবে। আওয়ামী লীগ সরকারের উদ্যোগে যথাযথভাবে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করা হয় উল্লেখ করে মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার পহেলা বৈশাখ উদযাপনের জন্য বাংলা নববর্ষ ভাতা ব্যবস্থা করেছে। তার সরকারের সময়ে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জাতিসংঘের  অঙ্গসংস্থা ইউনেস্কো ২০১৬ সালে বাংলাদেশের ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’-কে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে।
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:১০

ঈদের জামাত নিয়ে ডিএমপির নির্দেশনা 
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে গমনাগমন নিয়ে ট্রাফিক নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক রমনা বিভাগ। নির্দেশনা অনুযায়ী-জিরো পয়েন্ট ক্রসিং, সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল, দোয়েল চত্বর ক্রসিং, প্রেসক্লাব লিংক রোড, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পেছনের গলি, ইউবিএল ক্রসিং, কন্ট্রোলরুম গ্যাপ ও মৎস্য ভবন ক্রসিংয়ের রাস্তায় ডাইভারসন থাকবে । আর এসব রাস্তার যানবাহনগুলো বিকল্প রাস্থা হিসেবে শাহবাগ-মৎস্য ভবন হতে গুলিস্তান অভিমুখী যাত্রীবাহী যানবাহন মৎস্য ভবন-কাকরাইল মসজিদ-রাজমনি ক্রসিং হয়ে গন্তব্যে পৌঁছাবে। বঙ্গবাজার হতে হাইকোর্ট অভিমুখী যাত্রীবাহী যানবাহন চাঁনখারপুল-বকশি বাজার-পলাশী ক্রসিং হয়ে গন্তব্যে পৌঁছাবে। বাবুবাজার-গুলিস্তান হতে কদমফোয়ারা-মৎস্য ভবন অভিমুখী যাত্রীবাহী যানবাহন ইউবিএল ক্রসিং-নাইটিংগেল ক্রসিং হয়ে গন্তব্যে পৌঁছাবে। শান্তিনগর-রাজমনি হতে গুলিস্তান ও সদরঘাট অভিমুখী যাত্রীবাহী যানবাহন নাইটিংগেল ক্রসিং হয়ে গন্তব্যে পৌঁছাবে। আর জাতীয় ঈদগাহে প্রবেশকারীদের জন্য সর্বসাধারণের গাড়ি পার্কিংয়ের স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে- গণপূর্ত ভবন প্রাঙ্গণ, আইইবির প্রাঙ্গণ, জিরোপয়েন্ট ক্রসিং হতে ইউবিএল ক্রসিং পর্যন্ত, দোয়েল চত্বর ক্রসিং এর দক্ষিণ-পশ্চিম-উত্তর পার্শ্ব, ফজলুল হল হতে বঙ্গবাজার ক্রসিং পর্যন্ত, মৎস্য ভবন ক্রসিং এর পূর্ব দিকে কার্পেট গলি রোড এলাকা ও মৎস্য ভবন ক্রসিং হতে শাহাবাগ ক্রসিং পর্যন্ত। রাষ্ট্রপতি, প্রধান বিচারপতি ও ভিভিআইপিদের পার্কিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে- সুপ্রিম কোর্টের অভ্যন্তরে গোলচত্বরের নিকট। মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ও ভিআইপিদের গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে ঈদগাহ ময়দানের প্রধান গেটের উত্তর পশ্চিম দিকে। বিচারপতিদেরও গাড়ি পার্কিং হবে সুপ্রিম কোর্ট মাজার সংলগ্ন উত্তর পার্শ্বে। উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও সাংবাদিকদের গাড়ি থাকবে গণপূর্তভবনের আঙিনায়। যানবাহন নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাসমূহ কার্যকর করার বিষয়ে নগরবাসীর সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।  
১০ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৩৭

জাতীয় ঈদগাহ ময়দানকেন্দ্রিক ডিএমপির ট্রাফিক নির্দেশনা
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে যাতায়াতে কিছু ট্রাফিক নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মহানগর ট্রাফিক বিভাগ। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) বিকেলে এসব নির্দেশনার কথা জানানো হয়। ট্রাফিক নির্দেশনার মধ্যে যেসব রাস্তায় ডাইভারশন থাকবে সেগুলো হলো- জিরো পয়েন্ট ক্রসিং, সরকারি কর্মচারি হাসপাতাল, দোয়েল চত্বর ক্রসিং, প্রেসক্লাব লিংক রোড, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পেছনের গলি, ইউবিএল ক্রসিং, কন্ট্রোলরুম গ্যাপ ও মৎস্য ভবন ক্রসিং। এ ছাড়াও যানবাহন চলাচলের বিকল্প রাস্তা ব্যবহারের নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, শাহবাগ-মৎস্য ভবন থেকে গুলিস্তান অভিমুখী যাত্রীবাহী যানবাহন মৎস্য ভবন-কাকরাইল মসজিদ-রাজমনি ক্রসিং হয়ে গন্তব্যে পৌঁছাবে। বঙ্গবাজার থেকে হাইকোর্ট অভিমুখী যাত্রীবাহী যানবাহন চাঁনখারপুল-বকশি বাজার-পলাশী ক্রসিং হয়ে গন্তব্যে পৌঁছাবে। বাবুবাজার-গুলিস্তান থেকে কদমফোয়ারা-মৎস্য ভবন অভিমুখী যাত্রীবাহী যানবাহন ইউবিএল ক্রসিং-নাইটিংগেল ক্রসিং হয়ে গন্তব্যে পৌঁছাবে। আর ঈদের দিন সর্বসাধারণের গাড়ি পার্কিংয়ের স্থানের নির্দেশনাও বলা হয়েছে। তাতে বলা হয়, গণপূর্ত ভবন প্রাঙ্গণ, আইইবির প্রাঙ্গণ, জিরোপয়েন্ট ক্রসিং থেকে ইউবিএল ক্রসিং পর্যন্ত, দোয়েল চত্বর ক্রসিং এর দক্ষিণ-পশ্চিম-উত্তর পার্শ্ব, ফজলুল হল থেকে বঙ্গবাজার ক্রসিং পর্যন্ত, মৎস্য ভবন ক্রসিংয়ের পূর্ব দিকে কার্পেট গলি রোড এলাকা ও মৎস্য ভবন ক্রসিং হতে শাহাবাগ ক্রসিং পর্যন্ত। ভিভিআইপি ও ভিআইপি কার পার্কিং : রাষ্ট্রপতি/প্রধান বিচারপতি/ভিভিআইপিদের গাড়ি সুপ্রিম কোর্টের অভ্যন্তরে গোলচত্বরের কাছে থাকবে। মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবৃন্দ/ভিআইপিরা ঈদগাহ ময়দানের প্রধান গেটের উত্তর পশ্চিম দিকে, বিচারপতিরা সুপ্রিম কোর্ট মাজার সংলগ্ন উত্তর পার্শ্বে এবংউচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা/ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ/সাংবাদিকরা গণপূর্তভবনের আঙ্গিনায় গাড়ি পার্কিং করবেন।
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৪৪

কিশোর গ্যাং মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ নির্দেশনা
কিশোর গ্যাং মোকাবিলায় স্বরাষ্ট্র ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়কে বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (৮ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ নির্দেশনা দেন তিনি। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী।  বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।  তিনি বলেন, দেশে কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণে অভিভাবক, শিক্ষকদেরকে সম্পৃক্ত করে তাদেরকে সংশোধনের পরিবেশ তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদেরকে দাগি আসামির সঙ্গে না রেখে, তাদের সংশোধনাগারে আলাদা রেখেই কাউন্সিলিং করতে হবে। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী দেশে সংশোধনাগারের সংখ্যা বাড়ানোর নির্দেশনাও দিয়েছেন।
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:০৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়