• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo
ক্রোম ব্রাউজারে ভয়ংকর ত্রুটি, আপনি নিরাপদ তো?
সর্বাধিক ব্যবহৃত গুগলের তৈরি ওয়েব ব্রাউজার ক্রোমে ভয়ংকর একাধিক নিরাপত্তাত্রুটির সন্ধান পাওয়া গেছে। এগুলোকে কাজে লাগিয়ে সাইবার অপরাধীরা চাইলেই ক্রোম ব্রাউজার ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন ডিভাইস থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করতে পারে। একই সঙ্গে ক্ষতিকর ম্যালওয়্যার প্রবেশ করাতে পারে অপরাধীরা। ফলে যেকোনো সময় সাইবার হামলার কবলে পড়তে পারেন ব্যবহারকারীরা। সোমবার (১১ মার্চ) ভারতের কম্পিউটার ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিমের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে ইন্ডিয়া টুডে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ম্যাক অপারেটিং সিস্টেম ও উইন্ডোজের তৈরি ক্রোম ব্রাউজারের ‘১২২.০.৬২৬১.১১/২’ সংস্করণের আগের সব সংস্করণে এসব ত্রুটির সন্ধান পেয়েছে ভারতের কম্পিউটার ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম। ত্রুটিগুলো নিরাপত্তার জন্য খুবই ভয়ংকর। এসব ত্রুটির মাধ্যমে দূর থেকে ব্যবহারকারীদের ডিভাইসে ক্ষতিকর কোড, ম্যালওয়্যার প্রবেশ করানো,  ব্রাউজারের মেমোরির তথ্যও পরিবর্তন এবং দূর থেকে কম্পিউটার নিয়ন্ত্রণে নেওয়াও সম্ভব।  সংস্থাটি জানিয়েছে, ক্রোম ব্রাউজারে এসব নিরাপত্তা ত্রুটির কারণে সাইবার হামলার ঝুঁকিতে রয়েছেন অসংখ্য ব্যবহারকারী। হামলা থেকে নিরাপদ থাকতে দ্রুত ক্রোম ব্রাউজারের হালনাগাদ সংস্করণ ব্যবহার করতে বলা হয়েছে।
১২ মার্চ ২০২৪, ০০:৫৩

রমজানে খাদ্য ব্যবসায়ীদের প্রতি বিশেষ নির্দেশনা
আসন্ন রমজানে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে খাদ্য ব্যবসায়ীদের প্রতি বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। শনিবার (৯ মার্চ) এক সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তিতে এসব নির্দেশনা জারি করেছে সংস্থাটি। জারিকৃত নির্দেশনায় বলা হয়- খোলা ও নোংরা পরিবেশে ইফতার সামগ্রী তৈরি ও পরিবেশন থেকে বিরত থাকুন। বাসি বা পচা খাদ্য উপকরণ দিয়ে ইফতার সামগ্রী তৈরি করবেন না। সকল প্রকার খাদ্য ও খাদ্য উপকরণ স্বাস্থ্যসম্মতভাবে ঢেকে রাখুন। ইফতার সামগ্রী যেমন পেঁয়াজু, চপ, বেগুনি, জিলাপি, বুন্দিয়া, ফিরনি ইত্যাদি তৈরিতে কেমিক্যাল রং বা কাপড়ের রং ব্যবহার করবেন না। সর্বদা ফুডগ্রেড রং ব্যবহার করুন। ইফতার সামগ্রী প্রস্তুতে পোড়া তেল ব্যবহার করবেন না। পোড়া তেলে ভাজা খাবার গ্রহণের ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। খবরের কাগজ বা কালিযুক্ত কাগজের তৈরি মোড়ক ব্যবহার করবেন না। কালিতে ক্ষতিকর রং ও পিগমেন্ট থাকে, যা মানবদেহের ক্যান্সার ও কিডনি রোগসহ নানাবিধ রোগ সৃষ্টি করতে পারে। ইফতার সামগ্রী প্রস্তুত ও পরিবেশনে নিয়োজিত খাদ্যকর্মীরা আবশ্যিকভাবে গ্লাভস, মাস্ক ও হেড কাভার পরিধান করুন। সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তির শেষে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ ও সংশ্লিষ্ট বিধি–বিধানসমূহ মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়।
০৯ মার্চ ২০২৪, ১৬:৪৩

নতুন কৌশলে হোয়াটসঅ্যাপে প্রতারণা, যেভাবে নিরাপদ থাকবেন 
অনলাইনে আর্থিক প্রতারণা থেকে প্রেমের ফাঁদ, নানাবিধ ডিজিটাল প্রতারণার ফাঁদে পড়ে প্রতিনিয়তই বাড়ছে সর্বস্বান্ত হয়ে যাওয়ার ঘটনা। প্রতারকরা এমনভাবে ফাঁদ সাজায় যে তাতে পা দিয়ে ফেলেন অনেকেই। এর মধ্যে জালিয়াতির একটি অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ। কেননা অনেকেই সামাজিক বা কাজের প্রয়োজনে প্রতিনিয়ত হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন। ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধির কারণে এ অ্যাপটিতে প্রতারণা ও জালিয়াতির ঘটনা বেড়েই চলেছে। ব্যবহারকারীদের বোকা বানাতে সাইবার অপরাধীরা বার্তা পাঠানোর পাশাপাশি কলও করে থাকে। তবে কয়েকটি কৌশল অবলম্বন করে হোয়াটসঅ্যাপে নিরাপদ থাকা যায়। অপরিচিত নাম্বার থেকে সতর্ক থাকতে হবে : হোয়াটসঅ্যাপে যদি অপরিচিত কোনো ব্যক্তি ভিডিও কল বা মেসেজ করে, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে উত্তর দিয়ে ফেলবেন না। প্রথমে নাম্বার চেক করুন। তারপরে যদি দেখেন তিনি কোরো কাজের কথা বলছে না। তাহলে ব্লক করে দিন। অনেক সময় দরকারি কথা শুরু করেই তারপরে স্ক্যাম করা হয়। ফিশিং অ্যাটাক : সাইবার জালিয়াতরা সাধারণত ব্যাংক, ডেলিভারি সার্ভিস এবং সরকারি সংস্থার নামে লোকেদের কাছে মেসেজ পাঠায় এবং তাদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করে। এছাড়াও সেই সব মেসেজে লেখা থাকে, অনেক মানুষের সঙ্গে এই ওয়েব লিংক শেয়ার করুন। এমন কোনও মেসেজ পেলে ভুলেও তাতে পা দেবেন না। ক্লিক করার আগে ভাবুন : হোয়াটসঅ্যাপে কোনো মেসেজের সঙ্গে লিংক দেওয়া থাকলে, তাতে ক্লিক করবেন না। আপনার বিশ্বস্ত কেউ যদি লিংকটি শেয়ার করে, তবে আপনি এটি দেখতে পারেন, তবে একটি অপরিচিত নাম্বার থেকে আসা মেসেজে ক্লিক করবেন না। এই লিংকগুলোর সাহায্যে, ম্যালওয়্যার বা ভাইরাস ফোনে ডাউনলোড করা হয়। ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করবেন না : কখনোই কোনো ব্যক্তির সঙ্গে ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করবেন না। যেমন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর, ইন্টারনেট ব্যাংকিং পাসওয়ার্ড, ক্রেডিট কার্ডের বিবরণ ইত্যাদি কাউকেই জানাবেন না।
০৫ মার্চ ২০২৪, ১৬:৩০

সরকারি হাসপাতালে ওষুধ পান না ৬৯ শতাংশ রোগী
অর্ধশতাধিক নীতিমালা ও আইন থাকার পরেও এখন পর্যন্ত দেশের মানুষের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত হয়নি। শুধু তাই নয়, সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়ে প্রয়োজনীয় ওষুধ পান না ৬৯ শতাংশের বেশি রোগী।  সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা ৬৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ রোগীকেই বাইরে থেকে ওষুধ কিনতে হয়।  জন্মের পরপরই মায়ের দুধ থেকে বঞ্চিত হয় দেশের ১৩ দশমিক ৭ শতাংশ শিশু। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্ল্যানিং মনিটরিং অ্যান্ড রিসার্চ (পিএমআর) আয়োজিত এ গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনটি সেশনে প্রকাশ করা হয় বিষয়ভিত্তিক ১৪টি গবেষণা প্রতিবেদন।  বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রশ্নপত্রের ভিত্তিতে এই গবেষণাগুলো করা হয়। অধিদপ্তরের নিরাপদ খাদ্য ও জনস্বাস্থ্যবিষয়ক গবেষণায় দেখা গেছে, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে দেশে আইন, নীতিমালা ও বিধিমালা রয়েছে ১৫২টির মতো। আইনের অভাব না থাকলেও সেগুলোর বাস্তবায়ন খুব একটা নেই। যে কারণে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। দেশের হাসপাতালগুলোয় সংক্রমণ রোধ ও নিয়ন্ত্রণের (আইপিসি) অবস্থা বিষয়ক এক গবেষণায় বলা হয়, বেশিরভাগ হাসপাতালে আইপিসি কমিটি আছে। কিন্তু অধিকাংশ কমিটি কার্যকর নয়। অধিকাংশ হাসপাতালেই নেই আইপিসির জন্য নির্দিষ্ট জনবল। সরকারি ৬০ শতাংশ হাসপাতালে আইপিসি ব্যবস্থাপনা নেই। আর বেসরকারি হাসপাতালের ৫০ শতাংশে নেই এই ব্যবস্থাপনা। ফলে হাসপাতাল থেকে যেসব রোগের সংক্রমণ হয়, সেগুলো বাড়বে। এই সংক্রমণ মারাত্মক ও অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী হয়। এই গবেষণায় দেখা গেছে, অ্যান্টিবায়োটিক কীভাবে ব্যবহার করা হবে, এর একটি গাইডলাইন থাকলেও হাসপাতালগুলোয় তা মানা হয় না।  এক-চতুর্থাংশ হাসপাতালে ‘হ্যান্ড হাইজেনিং স্টেশন’ অর্থাৎ হাত ধোয়ার জন্য কার্যকরী ব্যবস্থা নেই। প্রতি বেডে একজন রোগী থাকার কথা থাকলেও হাসপাতালগুলোয় বেডের চেয়ে বহুগুণ বেশি রোগী থাকছে।  উন্নত দেশে আইপিসি হার ৩ থেকে ৫ শতাংশ হলেও এশিয়ার দেশগুলোয় এই হার ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ। তথ্যের ঘাটতি-সম্পর্কিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে স্বাস্থ্য খাতের যে ৪০টি সূচক রয়েছে, এসব ক্ষেত্রে সরকার কাজ করলেও পরিপূর্ণ তথ্য নেই। এ ৪০টি সূচকের মধ্যে চারটির কোনো সঠিক তথ্যই নেই। অন্যদিকে, ১০ সূচকের আংশিক তথ্য রয়েছে। আর বাকি ২৬টি সূচকের যাচাই করার মতো তথ্য আছে, তবে তা পরিপূর্ণ নয়। যে চারটি সূচকের কোনো তথ্য নেই, তা হলো জন্মহার, অনিরাপদ পানি ও অনিরাপদ স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যবিধির অভাবে মৃত্যুহার, স্বাস্থ্য সুযোগ-সুবিধার অনুপাত (যেখানে সাশ্রয়ী মূল্যের প্রাসঙ্গিক প্রয়োজনীয় ওষুধের সুবিধা রয়েছে) এবং নির্বাচিত অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়ার কারণে রক্তপ্রবাহের সংক্রমণের তথ্য। স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ, মিটফোর্ড হাসপাতালের পরিচালক ব্রি. জে. কাজী মো. রাশিদ উন নবীসহ ১৩ জন চিকিৎসক একটি গবেষণা পরিচালনা করেন। সেখানে দেশের সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাব্যবস্থা সম্পর্কে নেওয়া রোগীদের সুস্পষ্ট মতামত উঠে এসেছে। গবেষণায় দেখা গেছে, সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা ৬৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ রোগীকে বাইরে থেকে ওষুধ কিনে খেতে হয়। যদিও তাদের হাসপাতাল থেকে বিনামূল্যে ওষুধ পাওয়ার কথা। এছাড়া ১৮ শতাংশ রোগীকে সরকারি হাসপাতালের সেবা পাওয়ার জন্য টাকা দিতে হয়। হাসপাতালে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিয়ে অসন্তুষ্ট ৭৮ দশমিক ৪৩ শতাংশ রোগী। অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী অধিবেশনে সভাপতির বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম।  স্বাগত বক্তব্য দেন পিএমআরের লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. মাজহারুল ইসলাম।  এছাড়াও আরও বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির এবং জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের (নিপসম) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।  
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০১:৩৪

নিরাপদ খাদ্য এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ (ভিডিও)
উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করার বিকল্প নেই। পাশাপাশি খাদ্যে ভেজাল রোধে দরকার দৃশ্যমান শাস্তি; বলছেন বিশেষজ্ঞরা। আর নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ বলছে, জনসাধারণের অসচেতনতাসহ রয়েছে নানা চ্যালেঞ্জ, প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা। এ অবস্থায় দেশে পালিত হচ্ছে জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস।  ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়, পূর্নিমার চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি, জীবনধারনের জন্য খাদ্যের গুরুত্ব যে কত তা অনুধাবন করতে কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের কবিতার এই লাইনগুলোই যথেষ্ট। একাবিংশ শতাব্দিতে বাংলাদেশে ক্ষুধা-দারিদ্রতা কমে এলেও এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ নিরাপদ খাদ্য। দেশে ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্যপণ্যের বিক্রি বন্ধে নানা সময়ে বিভিন্ন সংস্থা অভিযান, জেল-জরিমানা করলেও বাজারে তার তেমন কোন প্রভাব নেই। রাজধানীতে বিশুদ্ধ খাবার খুঁজে পাওয়া ক্রমেই কঠিন হয়ে পড়ছে। কনজ্যুমার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ক্যাব’র সভাপতি গোলাম রহমানের মতে, ভেজালমুক্ত খাদ্য নিশ্চিতে নিতে হবে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা। তিনি বলেন, নিরাপদ খাদ্য যদি না হয় তাহলে খাদ্যই অসুস্থতার কারণ হতে পারে, এমনকি মৃত্যুর কারণও হতে পারে। আইনকে আরও শক্ত করা প্রয়োজন, কিন্তু শক্ত করে যদি বাস্তবায়ন না হয় তা থেকে কোনো সুফল আসবে না। ভেজাল নকল করে মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া, এর চেয়ে তো বড় অপরাধ কিছু হতে পারে না। সেই অপরাধের শাস্তিটা দৃশ্যমান হওয়া দরকার এবং দ্রুত হওয়া দরকার।    নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাইউম সরকার বলছেন, দেশে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে রয়েছে নানা প্রতিবন্ধকতা, এগুলো মোকাবিলা করাই বড় চ্যালেঞ্জ। তিনি বলেন, এখানে প্রশিক্ষণের ঘাটতি রয়েছে। নতুন একটা প্যারামিটার যখন পরীক্ষা করতে যাই, তখন অনেক প্রতিষ্ঠানে দেখা যায় এ প্যারামিটার পরীক্ষার কোনো ব্যবস্থা নেই। আইনের সঠিক প্রয়োগের জন্য আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। তখন আশা করি আমরা চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে পারবো। পাশাপাশি সবার জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে পারবো। বলা হয়ে থাকে, স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। তবে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে সারাবিশ্বে প্রতি দশজনের মধ্যে একজন খাদ্যবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়। দেশে এখনই নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত না করা গেলে আগামী প্রজন্মকে ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবেলা করতে হবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।  
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:৪৫

জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস আজ
জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি)। প্রতি বছর বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ (বিএফএসএ) দিবসটি পালন করে আসছে। এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও সমৃদ্ধি চাই; নিরাপদ খাদ্যের বিকল্প নাই’।  শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টায় একটি বর্ণাঢ্য র‍্যালি ও সাইকেল র‍্যালির আয়োজন করছে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তপক্ষ (বিএফএসএ)। র‍্যালিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ। র‍্যালিটি রাজধানীর রমনায় অবস্থিত ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সামনে থেকে শুরু হয়ে মৎস্য ভবন, শাহবাগ হয়ে বিএফএসএ এর প্রধান কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হবে। জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস পালনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে মানুষের জীবন ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য নিরাপদ খাদ্যপ্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত করা। এছাড়া বিএফএসএ সম্পর্কে সর্বসাধারণকে জানানো এবং নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন, আমদানি, প্রক্রিয়াকরণ, মজুত, সরবরাহ, বিপণন ও বিক্রয় সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম বিষয়ে সর্বস্তরে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করাই এ দিবসের উদ্দেশ্য। দিবসটি উপলক্ষে সকাল সাড়ে ৮টায় র্যালি করবে বিএফএসএ। এতে অংশ নেবেন সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ।  ২০১৮ সালে দেশে প্রথমবারের মতো পালিত হয় নিরাপদ খাদ্য দিবস। ওই বছর সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে নিরাপদ খাদ্যের বিষয়ে সচেতন করে তোলার অংশ হিসেবে ২ ফেব্রুয়ারিকে জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:৩৯

আর সড়ক দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান প্রকাশ করবে না নিসচা
নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) আন্দোলনের চেয়ারম্যান ও অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন জানিয়েছেন, এখন থেকে আর ‘সড়ক দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান’ প্রকাশ করবে না নিসচা। সোমবার (২৯ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন। ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ২০১২ সাল থেকে ২০২২ সাল নিসচা ‘সড়ক দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান’ জাতির সামনে তুলে ধরেছে। কিন্তু যখন দেখলাম আমাদের দেখাদেখি অনেকে এ পরিসংখ্যান উপস্থাপন করছেন এবং তা নানা বিতর্ক তৈরি হচ্ছে। তাই এ বছর আমরা ২০২৩ সালের পরিসংখ্যান প্রকাশ না ধরার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।  তিনি বলেন, ২০১২ সাল থেকে নিশচা দেশে সড়ক দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান প্রকাশ করে আসছে। তখন থেকেই সরকার ও দেশবাসীকে আমরা আমাদের সীমিত ক্ষমতার কথা জানিয়ে আসছি। সারাদেশে আমাদের শাখাগুলোর দেওয়া তথ্য এবং বিভিন্ন পত্রিকা, ইলেকট্রনিক মিডিয়া, অনলাইন নিউজ পোর্টালের সংবাদ ও বিভিন্ন মাধ্যমকে ব্যবহার করে আমরা এই তথ্য সংগ্রহ করতাম। যা যথেষ্ট নয়। আমরা সেকেন্ডারি তথ্যের ওপর ভিত্তি করে প্রতিবেদন তৈরি করে আসছি। তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রকাশিত ‘গ্লোবাল স্ট্যাটাস রিপোর্ট অন রোড সেফটি ২০২৩’ এ বলা হয়েছে, ২০১৫ সালে বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ২১ হাজার ৩১৬ জনের। তবে পুলিশের রিপোর্টে বলা হয়েছে মৃত্যু হয়েছে মাত্র ২ হাজার ৩৭৬ জনের। একইভাবে ২০১৮ সালে সংস্থাটির রিপোর্টে ২৪ হাজার ৯৪৪ জনের মৃত্যুর কথা বলা হলেও পুলিশের রিপোর্টে বলা হয়েছে মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ৬৩৫ জনের।   ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) এর তথ্যমতে, ২০২৩ সালে ৫ হাজার ৪৯৫টি সড়ক দুর্ঘটনায় সারা দেশে ৫ হাজার ২৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন। পুলিশের রিপোর্টে বলা হয়েছে ৫ হাজার ৯৩টি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৪ হাজার ৪৭৫ জন। আরও দুই একটি সংগঠনের তথ্যও এর চেয়ে অনেক বেশি। তিনি বলেন, আমাদের কাছে যে তথ্য রয়েছে সেটিও কোনো রিপোর্টের সঙ্গে মিলছে না। এতে দেখা যাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ সরকার, পুলিশ ও বিভিন্ন রিপোর্টে ভিন্নতা রয়েছে। আমরা মনে করি এতে করে জাতি বিভ্রান্ত হচ্ছে। কারণ সরকারের বিভিন্ন মহল থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও বেসরকারি বিভিন্ন সংগঠনের সকল তথ্যকে অগ্রহণযোগ্য বলে তীব্র প্রতিবাদ জানায়। বিষয়টি আমাদের ভাবিয়ে তোলে।
২৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:০৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়