• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
মস্কোয় সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানালেন প্রধানমন্ত্রী 
রাশিয়ার মস্কোয় ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  রোববার (২৪ মার্চ) দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে পাঠানো এক শোক বার্তায় তিনি এই নিন্দা জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার শোক বার্তায় মস্কোর সন্ত্রাসী হামলাকে সমগ্র মানব সভ্যতা ও মানবিক মূল্যবোধের ওপর হামলা হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি হামলায় নিহতদের আত্মার শান্তিকামনা করেন এবং তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (২২ মার্চ) রাতে মস্কোর ক্রোকাস সিটি কমপ্লেক্সে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়। এ সময় সেখানে কনসার্ট চলছিল। চার বন্দুকধারী কনসার্টে অংশ নেওয়া মানুষের ওপর নির্বিচারে গুলি চালায়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৩৩ জনে দাঁড়িয়েছে।
২৪ মার্চ ২০২৪, ১৯:২০

কক্সবাজারে তালাশ টিমের ওপর হামলায় ক্র্যাবের নিন্দা 
পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে হামলার শিকার হয়েছেন ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার নাজমুল সাঈদ ও সিনিয়র চিত্র সাংবাদিক কাজী মোহাম্মদ ইসমাইলসহ স্থানীয় টিভির সাংবাদিক বোরহান উদ্দিন রাব্বানী। রোববার (১০ মার্চ) সন্ধ্যায় কক্সবাজারের রাজভীর রিসোর্টে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে তাদের ওপর হামলা করেন রিসোর্টের মালিক নোমানুল হক সাজিমসহ তাদের বাহিনী। এ ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব)। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) ক্র্যাবের দপ্তর সম্পাদক কামাল হোসেন তালুকদারের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়। সংগঠনটির সভাপতি কামরুজ্জামান খান ও সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। বিবৃতিতে বলা হয়, কক্সবাজারের পর্যটক এলাকায় হাত বাড়ালেই মাদক পাওয়া যায় তার একটি বাস্তব দৃশ্য ধারণ করার জন্য নাজমুল সাঈদ ও তার টিম তালাশ কক্সবাজারের রাজভীর রিসোর্টে অনুসন্ধানে যায়। সংবাদ সংগ্রহের স্বার্থে নগদ টাকা দিয়ে রুম বুক করেন। ইয়াবা বিক্রি ও অসামাজিক কার্যাকলাপ গোপন ক্যামেরায় ধারণও করেন। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, পরে তালাশ টিমের পরিচয় দিয়ে সংশ্লিষ্ট রিসোর্ট মালিকের বক্তব্য নিতে গেলে উত্তেজিত হয়ে পড়েন মালিক নোমানুল হক সাজিম। একপর্যায়ে হামলা ও ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালান। এ সময় সাজিম বাহিনীর সদস্যরা তালাশ টিমকে চারদিক থেকে ঘিরে রাখে। ঘটনার একপর্যায়ে টিম তালাশকে ভুয়া প্রমাণ করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেন সাজিম বাহিনী। তার মাসোহারাভুক্ত ভুয়া সাংবাদিকদের দিয়ে শুরু করেন অপপ্রচার। বাগবিতণ্ডার একটি খণ্ডিত অংশ দিয়ে তার অপকর্ম ঢাকার মিশনে নেমে পড়েন সাজিম বাহিনী। ইয়াবা ব্যবসায়ী সাজিমের মদদপুষ্ট স্থানীয় একটি পত্রিকাসহ বেশ কিছু ভুঁইফোড় অনলাইনে মিথ্যা খবর প্রকাশ করতে থাকে একেরপর এক। অথচ পুরো ঘটনা উল্টো। তালাশ টিমের ওপর হামলার ঘটনায় কক্সবাজার সদর থানায় তালাশ টিমের পক্ষ থেকে সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাইছার হামিদ জানান, কক্সবাজারে তালাশ টিমের ওপর হামলার বিষয়ে আপাতত কোনো তথ্য দিতে পারছি না। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তালাশ টিমের পক্ষ থেকে একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে বিষয়টি তদন্ত করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছি। তদন্ত শেষ হলে বিস্তারিত জানাতে পারব। উল্লেখ্য, রিসোর্ট মালিক সাজিম ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে ইয়াবা ব্যবসা ছিনতাই, চুরি, দখলসহ নানা অপরাধে ১৮টিরও বেশি মামলা রয়েছে। সাজিম এর আগেও বিভিন্ন অপরাধের কারণে গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছেন। কক্সবাজারের চিহ্নিত অপরাধীর তালিকায় রয়েছে তার নাম।
১৪ মার্চ ২০২৪, ২১:১৭

পাকিস্তানের সহিংসতার নিন্দা জানাল জাতিসংঘ
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার (ওএইচসিএইচআর) পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের বিরুদ্ধে সহিংসতার নিন্দা জানিয়েছেন এবং কর্তৃপক্ষকে ‘অবাধ ও সুষ্ঠু’ নির্বাচন নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন। এতে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে মামলা এবং তার অযোগ্যতার পাশাপাশি নির্বাচনে নারী ও সংখ্যালঘুদের প্রতিনিধিত্ব নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের মুখপাত্র লিজ থ্রোসেল প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও বলেন, পাকিস্তানে সংসদীয় নির্বাচনের আগে আমরা রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের বিরুদ্ধে সব ধরনের সহিংসতার নিন্দা জানাই এবং একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও অর্থবহ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য প্রয়োজনীয় মৌলিক স্বাধীনতা সমুন্নত রাখতে কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাই। তিনি উল্লেখ করেন যে, অন্তত ২৪টিরও বেশি ঘটনা ঘটেছে যেখানে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো ভোটের আগে রাজনৈতিক দলের সদস্যদের বিরুদ্ধে হামলা চালিয়েছে। গত ১৫ বছরে অনেক নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখে পাকিস্তানের গণতান্ত্রিক অর্জন। মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের প্রতি দেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করার জন্য নারী ও সংখ্যালঘুসহ সকল মানুষের অংশগ্রহণের অধিকার নিশ্চিত করা নির্বাচনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। ওএইচসিএইচআর মুখপাত্র পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নেতা, সমর্থক এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে ‘হয়রানি, গ্রেপ্তার এবং দীর্ঘায়িত আটকের’ বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। পাকিস্তান কর্তৃপক্ষকে একটি ‘সম্পূর্ণ অবাধ ও সুষ্ঠু’ নির্বাচন নিশ্চিত করার এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতি পুনরায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ণ অবাধ ও সুষ্ঠু ভোট নিশ্চিত করবে এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও এমন একটি পরিবেশের প্রতি পুনরায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হবে যাতে অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকারের পূর্ণ পরিসরকে প্রচার ও সুরক্ষা দিতে পারে।  
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:২৭

গাজায় ৯ দেশের ত্রাণ সহায়তা বন্ধ ঘোষণা, জাতিসংঘের নিন্দা
সাড়ে তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনের গাজায় আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার ইসরায়েলি সেনারা। তাদের নির্বিচার হামলায় ইতোমধ্যে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে অবরুদ্ধ উপত্যকার বেশিরভাগ অংশ। নিরাপদ পানি, খাদ্য আর ওষুধের অভাবে মানবেতর জীবন পার করছে সেখানকার প্রতিটা বাসিন্দা। এমন পরিস্থিতিতেই মার্কিন নেতৃত্বে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজাবাসীর জন্য সব ধরনের ত্রাণ সহায়তা বন্ধ ঘোষণা করল ৮টি দেশ।  ফিলিস্তিনিদের ত্রাণ সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডার তহবিল বন্ধের ঘোষণার পর এ তালিকায় সর্বশেষ নাম লিখিয়েছে যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড এবং ফিলন্যান্ড। শুক্র ও শনিবার (২৬-২৭ জানুয়ারি) আলাদা দুটি বিবৃতিতে দেশগুলো ইউএনডব্লিউএ'র ফিলিস্তিন শরণার্থী তহবিলে অর্থ দেবে না বলে ঘোষণা করেছে। এই সিদ্ধান্তের পেছনে দেশগুলোর যুক্তি, ইসরায়েলে ৭ অক্টোবরের হামাস যে হামলা চালিয়েছে তাতে ইউএনডব্লিউএ'র কয়েকজন কর্মী সহায়তা করেছে। কিন্তু এমন অভিযোগের ভিত্তিতে সহায়তা বন্ধের ঘোষণার কোনো যৌক্তিকতা নেই মন্তব্য করে নিন্দা জানিয়েছে ইউএনডব্লিউএ।  ১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠিত জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্মসংস্থান সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ গাজায় পরিচালিত জাতিসংঘের বৃহত্তম সংস্থা। সংস্থাটি গাজা, পশ্চিম তীর, জর্ডান, লেবানন এবং সিরিয়ার ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা এবং অন্য মানবিক সহায়তা প্রদান করে। গাজার অভ্যন্তরে সংস্থাটির প্রায় ১৩ হাজার কর্মী রয়েছে। ফিলিস্তিনিদের ত্রাণ সংস্থায় অর্থ বরাদ্দ স্থগিত করা দেশগুলোকে পুনরায় তাদের সিদ্ধান্ত বিবেচনার আহবান জানিয়েছে জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্মসংস্থান সংস্থা-( ইউএনআরডব্লিউএ)। গাজায় প্রায় ১০ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি এই তহবিলের ওপর বেঁচে আছেন বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির প্রধান ফিলিপ লাজ্জারিনি।  শনিবার ( ২৭ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে ফিলিপ বলেন,  'মাত্র কয়েকজন মানুষের বিরুদ্ধে হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে ফিলিস্তিনিদের ত্রাণ সংস্থায় অর্থায়ন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত দু:খজনক। তাছাড়া যুদ্ধময় পরিস্থিতিতে একটি সংস্থার বিরুদ্ধে এ ধরণের নিষেধাজ্ঞা দেওয়াটা দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয়। এই পরিস্থিতিতে কয়েকজনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ আনাটাও বিবেচনাপ্রসূত নয়।' প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই জাতিসংঘের এই সংস্থার বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে আসছে ইসরায়েল। সর্বশেষ জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থাটিতে অর্থায়ন না করার ঘোষণা দিয়ে বসলো যুক্তরাষ্ট্র ও ৮ টি দেশ। যদিও অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বরখাস্ত ও একটি সুষ্ঠু তদন্তের ঘোষণা দিয়েছে  জাতিসংঘের এই  সংস্থাটি।   
২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:৫৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়