• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
মোদির বিরুদ্ধে ইসিতে ২০ হাজার নাগরিকের চিঠি
ভারতের রাজস্থানে গত রোববার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক নির্বাচনী বক্তৃতায় তীব্র মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্য দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছে বিরোধী দলগুলো। মোদির বিচার চেয়ে নির্বাচন কমিশনে প্রায় ২০ হাজার ভারতীয় নাগরিকের চিঠি জমা পড়েছে। চিঠিগুলোতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্বাচনী প্রচারণায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়ারও দাবি জানানো হয়েছে। তবে নির্বাচন কমিশন এখনও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তারা বলছে, নির্বাচনী জনসভায় মোদি যা বলেছেন, তা ভয়ংকর। কমিশন ব্যবস্থা না নিলে নির্বাচনী সংস্থার বিশ্বাসযোগ্যতা ও স্বশাসনের চরিত্রকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করাবে। ভারতের নির্বাচনে এবারও ধর্মীয় সংখ্যালঘু বিশেষ করে মুসলিম সম্প্রদায়কে নিশানা করে প্রচারণা চালাচ্ছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একই সঙ্গে আক্রমণ করছেন প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসকেও। সম্প্রতি রাজস্থান ও উত্তর প্রদেশে পরপর দুটি নির্বাচনী জনসভায় কংগ্রেসকে লক্ষ্য করে নরেন্দ্র মোদি বলেন, ক্ষমতায় এলে তারা সাধারণ মানুষের ধন-সম্পত্তি দখল করে মুসলমানদের মধ্যে বিলি-বাটোয়ারা করে দেবে। এ কথা তারা তাদের দলের নির্বাচনী ইশতেহারেও জানিয়ে দিয়েছে। তিনি বলেন, কংগ্রেস যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংসহ তার সরকারের নীতিনির্ধারকরা এ ধরনের অভিপ্রায়ের কথা বলেছিলেন। এই কংগ্রেসকে জনগণ ভোট দেবে কিনা? ‘তারা কি চান, তাদের কষ্টার্জিত সম্পত্তি, যারা শুধু কাঁড়ি কাঁড়ি বাচ্চার জন্ম দেয়, তাদের মধ্যে বাঁটোয়ারা হোক? তাদের সম্পদের মালিক হোক অনুপ্রবেশকারীরা?’ মুসলমানদের বিদ্রুপ করে প্রশ্ন ছোড়েন মোদি। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের পর দেশটির সংখ্যালঘু সম্প্রদায় মুসলিমদের মধ্যে আতঙ্ক বেড়েছে। এসব উসকানিমূলক বক্তব্য ঠেকাতে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে সাধারণ মানুষ।  তবে দুইদিন পেরিয়ে গেলেও ভারতের নির্বাচন কমিশন নিরুত্তর। কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ তো দূরের কথা, মন্তব্য পর্যন্তও করেনি তারা। আর এ অবস্থার  মধ্যে দ্বিতীয় দফার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে শুক্রবার।  
১৯ ঘণ্টা আগে

শেখ হাসিনাকে  ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন নরেন্দ্র মোদি
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।  বুধবার (১০ এ‌প্রিল) এক বার্তায় প্রধানমন্ত্রীকে লেখা এক চি‌ঠিতে ঈদের শুভেচ্ছা জানানোর তথ্য জানিয়েছে ঢাকার ভারতীয় হাইক‌মিশন। হাইক‌মিশনের বার্তায় বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা একটি চিঠিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারতের সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের জনগণকে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।  চিঠিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, উৎসাহের সঙ্গে ঈদুল ফিতর উদযাপন বিশ্বজুড়ে মানুষকে সহানুভূতি, ভ্রাতৃত্ব ও ঐক্যের মূল্যবোধের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। সারা বিশ্বের মানুষের জন্য শান্তি, সম্প্রীতি, সুস্বাস্থ্য ও সুখের আশা জানিয়েছেন ও প্রার্থনা করেছেন নরেন্দ্র মো‌দি। একইসঙ্গে তিনি এ অঞ্চ‌লের দেশগুলোর মধ্যে বন্ধুত্ব ও সৌহার্দ্যের বন্ধন আরও দৃঢ় হওয়ার আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করেছেন।
১১ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:১৪

জনসভায় যে কথা বলে কেঁদে ফেললেন মোদি
ভারতে একটি জনসভায় বক্তব্য রাখার সময় আবেগে চোঁখের পানি ফেলেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) মহারাষ্ট্রের সোলারপুরে দরিদ্রদের মাঝে ‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা’র বাড়ি বিতরণ করতে যান তিনি। সেখানে জনসভায় বক্তব্য রাখার সময় মোদি বলেন, ‘এই বাড়িগুলো দেখে আমার ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। আমার ছোটবেলায় যদি এই রকমের বাড়ি থাকত...’- এই কথা বলতে বলতে আবেগী হয়ে পড়েন তিনি। এসম তার চোখে পানি চলে আসে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি এবং আমার দল বিজেপি যে কথা একবার দিই, সেটা রাখি। এরই অংশ হিসেবে আমরা নিম্ন আয়ের মানুষদের ঘর তৈরি করে দিয়েছি। আক্ষেপের সুরে মোদি বলেন, দীর্ঘদিন এই দেশে ‘গরিবি হটাও’ বলে স্লোগান দেওয়া হত। কিন্তু এত স্লোগানের পরও গরিবি কমেনি। আমি তৃতীয়বার ক্ষমতায় এলে এই দেশে গরিবি পুরোপুরি শেষ করব। মহারাষ্ট্রে দরিদ্র নাগরিকদের জন্য পিএমএওয়াই-আরবান প্রকল্পের অংশ হিসেবে ৯০ হাজার এবং সোলাপুরের রায়নগর হাউজিং সোসাইটিতে ১৫ হাজার বাড়ি তৈরি করা হয়েছে। সোলাপুরের এসব বাড়ি পেয়েছেন তাঁতী, হকার, পাওয়ার লুমের কর্মচারী, নেকড়া সংগ্রহকারী, বিড়ি শ্রমিক এবং গাড়ি চালকরা। সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন ও এনডিটিভি।
১৯ জানুয়ারি ২০২৪, ২২:২৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়