• ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
logo
লস অ্যাঞ্জেলসে নানান আয়োজনে নববর্ষ উদযাপন
যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসে নানান আয়োজনে উদযাপিত হলো বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ। ১৪ এপ্রিল হলিউড খ্যাত লিটল বাংলাদেশে ৮ম বারের মতো বেঙ্গলি আমেরিকান হিন্দু সোসাইটির উদ্যোগে নববর্ষ উদযাপন করা হয়। বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ উপলক্ষে এদিন রঙ-বেরঙের পোশাক পরে আর ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশ নেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। এ যেন দূর প্রবাসে থাকা বাঙালির ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির প্রতি আবেগ ও ভালোবাসার মেলবন্ধন। বর্ষবরণ উপলক্ষে আয়োজন করা হয় এক জাঁকজমকপূর্ণ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। দেশীয় সঙ্গীত, নৃত্য পরিবেশন আর দর্শকদের করতালিতে আনন্দ মুখর হয়ে ওঠে পুরো অনুষ্ঠানটি। বৈশাখ আর পান্তা ইলিশ যেন এক সূত্রে গাঁথা। তাই বৈশাখের আয়োজনে ছিল পান্তা ইলিশসহ ৫০ পদের রকমারি খাবার। বেঙ্গলি আমেরিকান হিন্দু সোসাইটির সভাপতি অমর হালদারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সঞ্চয় ঘোষের পরিচালনায় অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণ ও সুন্দর পরিবেশে নববর্ষ উদযাপন সম্পন্ন হয়। এসময় সোসাইটির পরিচালক সুবর্ন নন্দী তাপস, পঙ্কজ দাস, সহ-সভাপতি বিপুল চৌধুরী, শিবনারায়ণ, দিপংকর সাহা ও অনুপম কুন্ডুসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০২:২০

পর্তুগালে বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন পরিষদের প্রথম সফল আয়োজন
এবারই কোনো সংগঠন পর্তুগালের লিসবনে প্রথম বাংলা নববর্ষ উদযাপন করল।   রোববার (১৪ অক্টোর) পহেলা বৈশাখ দুপুর ১২টা থেকে ভেন্যুটি উন্মুক্ত ছিল। যেখানে শত শত প্রবাসী বাংলাদেশিরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে সপরিবারে অংশ নেন। অনুষ্ঠানমালায় ছিল শিশুদের দেশীয় ছড়া, আবৃত্তি ও নববর্ষ নিয়ে শিশুদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা এবং আগত নারীদের নিয়ে ছিল বালিশখেলা। এই আয়োজনের বিশেষ চমক ছিল পহেলা বৈশাখ উদযাপন উপলক্ষে সবার জন্যে পান্তা-ইলিশ ও দেশীয় ভিন্ন স্বাদের ভর্তার আয়োজন। এ ছাড়াও নাচ ও গানে অতিথিদের মাতিয়ে রাখতে আয়োজকদের কোনো কমতি ছিল না। আয়োজক ও অংশগ্রহণকারীরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন এবং আরও বড় পরিসরে পরবর্তীতে এমন আয়োজনের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব ও স্থানীয় রাজনীতিবিদ রানা তাসলিম উদ্দিন, বর্ষবরণ উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক খলিলুর রহমান সাগর ও সদস্য সচিব শিপলু আহমেদ। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পর্তুগালের আরটিভি প্রতিনিধি আনোয়ার এইচ খান ফাহিম, সময় টিভি প্রতিনিধি তারিকুল হাসান আশিক, পর্তুগাল বাংলা প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রনি মোহাম্মদ, সাবেক সভাপতি ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী, বর্তমান সভাপতি রাসেল আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক শহীদ আহমদ সহ প্রেস ক্লাবের সদস্যরা। ব্যবসায়ী মো. জহিরুল ইসলাম, লেখিকা ফৌজিয়া খাতুন রানা, ব্যবসায়ী মাসুম আহমেদ, পর্তুগাল সাহিত্য সংসদের সভাপতি এনামুল হক, সাধারণ সম্পাদক আবুল আসাদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাফিজ আল আসাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান মাহমুদ, কমিউনিটির তরুণ উদ্যোক্তা ব্যবসায়ী আবু ইমন, যুবনেতা আহমেদ লিটন, সাংবাদিক এস.এম আজাদ, টিপু, আসাদ, কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব গোলাম মাহমুদ আযম, সোহেল আহমদ, ইমরানুল হক ইমু, শিহাব আহমেদ, আমির আলী, মাসুম আহমেদ, ব্যবসায়ী নাঈম হাসান ও আব্দুল কাদের জিলানী প্রমুখ। অনুষ্ঠানের আয়োজক তরুণ উদ্যোক্তা রনি হুসাইন, বলেন পর্তুগালের সকল প্রবাসীদের নিয়ে ভবিষ্যতে  আরও বড় পরিসরে এমন অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে। সেই সাথে ঘোষণা করেন আজ থেকে নতুন ভাবে বাংলাদেশের সকল জাতীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানগুলো খোলা মাঠে বড় পরিসরে আয়োজন করে, এখানে বেড়ে উঠা নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধারার জন্য কাজ করবেন তারা। তিনি দলমত নির্বিশেষে এমন আয়োজন সফল করতে কমিউনিটির সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৩২

হিলি সীমান্তে বাংলা নববর্ষ পালিত
“মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা, অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা”- কবিগুরুর এই উক্তিকে মনে রেখে পুরাতনকে মুছে ফেলে নতুনকে গ্রহণ করতে দিনাজপুরের হিলি সীমান্তে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে বাংলা নববর্ষ ১৪৩১।  রোববার (১৪ এপ্রিল) সকালে বর্ষবরণ উপলক্ষে হিলি সীমান্তের হাকিমপুর উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে একটি র‌্যালি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণে করে একই স্থানে এসে শেষ হয়।  শোভাযাত্রা শেষে উপজেলা পরিষদ চত্বর মঞ্চে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত রায়ের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা ও স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রথমে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুন উর রশিদ হারুন।  আরও উপস্থিত ছিলেন হাকিমপুর-হিলি পৌরসভার মেয়র জামিল হোসেন চলন্ত, ভাইস চেয়ারম্যান শাহিনুর রেজা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পারুল নাহার, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরজেনা বেগম, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দুলাল হোসেন, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সামছুল আলম, উপজেলা আ. লীগের সহসভাপতি সোহরাব হোসেন প্রতাপ, সহকারী শিক্ষা অফিসার হারুন অর রশিদ, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন অফিসার গোলাম রব্বানী, প্রেস ক্লাবের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বুলুসহ অনেকে। বর্ষবরণ উপলক্ষ্যে মঙ্গল শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পুরস্কার বিতরণ করা হয়। বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে স্থানীয় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে চিত্রাংকন ও কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে হাকিমপুর উপজেলা পরিষদ চত্বরে নাগরদোলা, ঘোড়ার গাড়ি ও বিভিন্ন রকমের দোকান বসায় সব বয়সের ছেলে মেয়েরা আনন্দমুখর পরিবেশে নববর্ষ উদযাপন করেছেন। অনুষ্ঠান শেষে বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম তৌহিদ ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা লিপি আরা।
১৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:৪২

বর্ণাঢ্য আয়োজনে চাঁদপুরে বাংলা নববর্ষ উদযাপিত
চাঁদপুরে বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ উপলক্ষে মঙ্গল শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, লোকজ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যে দিয়ে দিবসটি পালিত হয়েছে। রোববার (১৪ এপ্রিল) সকালে চাঁদপুর হাসান আলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রায় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শিক্ষার্থী ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। পরে চাঁদপুর প্রেস ক্লাব সংলগ্ন ডাকাতিয়া নদীর তীরে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান।  চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বশির আহমেদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দীন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দা বদরুন নাহার চৌধুরী, পুরান বাজার ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার, প্রেস ক্লাবের সভাপতি শাহাদাত হোসেন শান্ত।    আলোচনা সভা শেষে দেশীয় ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ লোকজ খেলায় অংশগ্রহণ করে শিশু কিশোরসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। এ সময় প্রশাসনিক, রাজনৈতিক সুধীমহল ও সাংস্কৃতিক প্রেমীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক কামরুল হাসানসহ অন্যান্য অতিথিরা। সবশেষে পরিবেশিত হয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
১৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:০৩

নড়াইলে নানান আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপন
নড়াইলে নানান আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ উদযাপন করা হয়েছে।  নতুন বর্ষকে বরণ করতে জেলা প্রশাসন ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সহযোগিতায় বর্ষবরণ উদযাপন কমিটির আয়োজনে নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের সুলতান মঞ্চ চত্বরে ও জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। রোববার (১৪ এপ্রিল) সকাল ৭টায়  নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের সুলতান মঞ্চে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের পরিবেশনায় প্রভাতি সংগীত অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৮টায় একই মঞ্চে মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্বলন করে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশফাকুল হক চৌধুরী, পুলিশ সুপার মো. মেহেদী হাসান, সিভিল সার্জন ডা. সাজেদা বেগম, নড়াইল পৌরসভার মেয়র আঞ্জুমান আরা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শাশ্বতী শীল, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার,নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. রবিউল ইসলাম প্রমুখ। উদ্বোধনী শেষে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের অংশগ্রহণে ঢাক, ঢোল বাজিয়ে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শুরু হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এ ছাড়াও অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, চিত্রাংকন, সুন্দর হাতের লেখা প্রতিযোগিতা।
১৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৩৯

কুমিল্লায় বাংলা নববর্ষ উদযাপিত
বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে কুমিল্লায় বাংলা নববর্ষ-১৪৩১ উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে দলমত নির্বিশেষে সকল বয়সী নারী-পুরুষ নানান রঙের পোশাক পরে নববর্ষকে বরণ করার জন্য নানা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। বাংলা নববর্ষ উৎযাপন উপলক্ষে সরকারি কর্মসূচির আলোকে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সকালে বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সকাল ৯টায় বিগত বছরের ন্যায় এবারও ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হয়। মঙ্গল শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার। ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. আবু জাফর খানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক খন্দকার মুশফিকুর রহমান, পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান, কুসিক মেয়র ডা. তাহসীন বাহার সুচনা। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে গিয়ে শেষ হয়। পরে জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে বর্ষবরণের মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
১৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:২২

বাংলা নববর্ষ : হিলি সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের মিষ্টি বিনিময়
বাংলা নববর্ষের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে দিনাজপুরের হিলি সীমান্তে বার্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ভারতীয় সীমান্ত রক্ষিবাহিনীকে (বিএসএফ) মিষ্টি উপহার দিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন।  রোববার (১৪ এপ্রিল) দুপুর ১টায় হিলি সীমান্তের ২৮৫ নম্বর মেইন পিলারের ১১ সাবপিলার সংলগ্ন চেকপোস্ট গেটের শূন্যরেখায় দুই বাহিনীর মাঝে এই শুভেচ্ছা বিনিময় হয়।  বিজিবি হিলি চেকপোস্ট কমান্ডার নায়েক সুবেদার দোলোয়ার হোসেন বিএসএফ ভারত হিলি ক্যাম্পের বানারশি দাসের হাতে ৪ প্যাকেট মিষ্টি উপহার দেন। এ সময় উভয় দেশের সীমান্ত রক্ষীবাহিনীর নারী ও পুরুষ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।  বিজিবি হিলি চেকপোস্ট কমান্ডার নায়েক সুবেদার দেলোয়ার হোসেন বলেন, উভয় দেশের সীমান্ত রক্ষীবাহিনীর সদস্যরা যাতে সুসম্পর্ক ও ভ্রাতৃত্ববোধ বজায় রেখে দায়িত্ব পালন করতে পারেন সে লক্ষ্যে প্রতিটি দিবস ও ধর্মীয় উৎসবগুলোতে আমরা মিষ্টি বিনিময় করে থাকি। আজকেও পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে তাদের ৪ প্যাকেট মিষ্টি উপহার দেওয়া হয়েছে। 
১৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:২৮

নববর্ষ উপলক্ষে র‌্যালি করবে আ.লীগ
বাংলা শুভ নববর্ষ ১৪৩১ উপলক্ষে আলোচনাসভা ও বর্ণাঢ্য র‌্যালি করবে আওয়ামী লীগ।  রোববার (১৪ এপ্রিল) সকাল ৭টায় পুরান ঢাকা বাহাদুর শাহ পার্কের সামনে এই র‌্যালি অনুষ্ঠিত হবে। র‌্যালির উদ্বোধন করবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে রোববার সকাল ৭টায় পুরান ঢাকা বাহাদুর শাহ পার্কের সামনে এক আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হবে। আলোচনাসভা শেষে একটি র‌্যালি অনুষ্ঠিত হবে। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করবেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী। সঞ্চালনা করবেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির।
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৩৯

বাংলা সন যেভাবে এলো
‘জীর্ণ পুরাতন যাক ভেসে যাক, মুছে যাক গ্লানি... এসো হে বৈশাখ এসো এসো...।’ বাঙালির জাতীয় উৎসব, বাংলা নববর্ষ। বাংলা সন বা বঙ্গাব্দ ঠিক কীভাবে ও কখন প্রচলিত হয়েছিল, তা এখনও একেবারে নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারে না। তবে নানান পরোক্ষ প্রমাণে এবং গবেষণায় মনে করা হয়, সম্রাট আকবর বাংলা সন প্রবর্তন করেছিলেন। এক সময় নববর্ষ পালিত হতো ঋতুধর্মী উৎসব হিসেবে। কৃষিকাজ ঋতুনির্ভর হওয়ায় এ উৎসবের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল কৃষির। তাই কৃষক সমাজের সঙ্গে বাংলা সন এবং নববর্ষের একটি আত্মিক সম্পর্ক গ্রথিত হয়ে আছে ঐতিহাসিকভাবে। কেননা, বাংলা সনের উৎপত্তি হয় কৃষিকে উপলক্ষ করেই। অনেক গবেষকের মতে, ১৫৮৪ খ্রিস্টাব্দে সম্রাট আকবর বাংলা সনের প্রবর্তন করেন। বাংলা নববর্ষ পালনের সূচনাও হয় আকবরের সময় হতে। বাংলা বর্ষপঞ্জিটি প্রথমে তারিখ-ই-এলাহী বা ফসলি সন নামে পরিচিত ছিল। ১৫৮৪ খ্রিস্টাব্দের ১০ অথবা ১১ মার্চ এটি বঙ্গাব্দ নামে প্রচলিত হয়। আকবরের রাজত্বের ঊনত্রিশতম বর্ষ, অর্থাৎ ১৫৮৪ খ্রিস্টাব্দে বাংলা সন প্রবর্তিত হলেও তা গণনা করা হয় ১৫৫৬ খ্রিস্টাব্দের ৫ নভেম্বর থেকে। কারণ, এদিন আকবর দ্বিতীয় পানিপথের যুদ্ধে হিমুকে পরাজিত করে সিংহাসনে আরোহণ করেন। আকবরের বিজয়কে মহিমান্বিত করে রাখার লক্ষ্যে সিংহাসনে আরোহণের দিন থেকে বাংলা সন গণনা শুরু হলেও কৃষি কাজের সুবিধার্থে এবং কৃষকদের কাছ থেকে রাজস্ব আদায়ে সুবিধার জন্যই মূলত সম্রাট আকবর বাংলা সন প্রবর্তন করেন। হিজরি চান্দ্রসন ও বাংলা সৌরসনকে ভিত্তি করে বাংলা সন প্রবর্তিত হয়। বাংলা সন প্রবর্তনের আগে মুঘল সম্রাটরা রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে হিজরি বর্ষপঞ্জি ব্যবহার করতেন। বাংলা সন প্রচলিত হওয়ার পর থেকে মুঘলরা জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত হওয়া পর্যন্ত পয়লা বৈশাখ পালন করতেন। কৃষকরাও নববর্ষ পালন করতেন যথেষ্ট আড়ম্বর। সে সময়ে বাংলার কৃষকরা চৈত্র মাসের শেষ দিন পর্যন্ত জমিদার, তালুকদার এবং অন্যান্য ভূস্বামীদের খাজনা পরিশোধ করতেন। পরদিন নববর্ষে ভূস্বামীদের তাদের মিষ্টিমুখ করাতেন। এ উপলক্ষে তখন মেলা এবং অন্যান্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হতো। বাংলা সনের জন্মলগ্ন থেকে নববর্ষের উৎসব বাংলার গ্রামীণ জীবনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ফলে গ্রামের সাধারণ মানুষ এবং কৃষকদের কাছে দিনটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত হওয়ায় খাজনার দায় পরিশোধের বিষয়টি না থাকলেও সামর্থ্য মতো সারা বছরের ধার-দেনা পরিশোধ করে নতুন বছরে নতুন জীবন শুরু করার অভিপ্রায় সব কৃষকের মনেই থাকে। তেমনি এক দায়মুক্ত মানসিক প্রশান্তিতে কৃষকরা নববর্ষে বাড়িঘর পরিষ্কার রাখে, কৃষি ও ব্যবহার্যসামগ্রী ধোয়ামোছা করে এবং সকালে স্নানাদি সেরে পুতপবিত্র হয়। এ দিনটিতে ভালো খাওয়া, থাকা ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে পারস্পরিক সম্প্রীতি বজায় রাখতে পারাকে তারা ভবিষ্যতের জন্য মঙ্গলজনক বলে মনে করেন। এদিন ঘরে ঘরে আত্মীয়স্বজন বন্ধুবান্ধব এবং প্রতিবেশীদের আগমন ঘটে। মিষ্টি, পিঠা পায়েসসহ নানারকম লোকজ খাবার তৈরি করারও ধুম পড়ে যায়। একে অন্যের সাথে নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময় চলে। এ ছাড়াও নববর্ষকে আরো উৎসবমুখী করে তোলে বৈশাখী মেলা। সার্বজনীন লোকজ এ মেলা অত্যন্ত আনন্দঘন ও উৎসবমুখর আমেজে উদযাপিত হয় দেশের বিভিন্ন গ্রাম-পল্লীতে। অবশ্য শহরাঞ্চলে এ মেলা বসে নগর সংস্কৃতির আদলে, ভিন্ন আমেজে। তবে দেশের তিন পার্বত্য জেলা— রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে নববর্ষ উদযাপিত হয় ভিন্ন আঙ্গিকে। বাংলা বছরের শেষ দুদিন এবং নতুন বছরের প্রথম দিন। এ তিন দিন মিলেই বর্ষবরণ উৎসব পালিত হয় এ তিন জেলায়। উপজাতিদের কাছে ধর্মীয় ও সামাজিকভাবে এটিই সবচেয়ে বড় উৎসব। প্রতিবছর আনন্দমুখর পরিবেশে পালিত এ উৎসবকে ত্রিপুরাতে বৈসুক, মারমার জনগণ সাংগ্রাই এবং চাকমা জনসাধারণ বিজু নামে আখ্যা দিলেও ঐতিহ্যবাহী এ উৎসবে সমগ্র পার্বত্য এলাকায় ‘বৈসাবি’ নামে পরিচিত। বেসুক, সাংগ্রাই ও বিজু— এই নামগুলোর আদ্যাক্ষর নিয়েই ‘বৈসাবি’ শব্দের উৎপত্তি। বছরের শেষ দুদিন এবং নতুন বছরের প্রথম দিন, এ তিনদিন মিলেই মূলত বর্ষবরণ উৎসব ‘বৈসাবি’ পালিত হয়। পুরনো বছরের বিদায় এবং নতুন বছরকে বরণ উপলক্ষে জুমিয়া কৃষকসহ আপামর পাহাড়ি সম্প্রদায় সেই আদিকাল থেকে তিন দিনব্যাপী এ বর্ষবরণ উৎসব পালন করে আসছেন।
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৪৯

নানা আয়োজনে নববর্ষ বরণের প্রস্তুতি
দরজায় কড়া নাড়ছে বাঙালির প্রাণের উৎসব পয়লা বৈশাখ। পুরোনোকে বিদায় করে আসছে বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ। নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিনটিকে বরণ করবেন বাঙালিরা। বৈশাখের আগমন উপলক্ষে সর্বত্র চলছে প্রস্তুতি। নগর কিংবা গ্রামে পয়লা বৈশাখে বসবে বৈশাখী মেলা। মেলায় ক্রেতাদের জন্য রাখা হয় বাঙালির ঐতিহ্যবাহী কারুপণ্য। মাটির তৈরি হাঁড়ি-পাতিল, শিশুদের বিভিন্ন ধরনের খেলনা পাওয়া যাবে মেলায়। এ উপলক্ষে মৃৎশিল্পীরা ব্যস্ত হয়ে পড়েন বর্ণিল সব মাটির জিনিসপত্র বানাতে। রাজধানীর রমনা বটমূলে প্রতি বছরের মতোই গান, কবিতা ও নানা আয়োজনে নববর্ষকে বরণ করবে ছায়ানট। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের উদ্যোগে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হবে।থাকবে শিল্পকলা একাডেমিসহ বিভিন্ন সংগঠনের নানা আয়োজন। ছায়ানটের এবারের বর্ষবরণের প্রতিপাদ্য ‘স্বাভাবিকতা ও পরস্পরের প্রতি সম্প্রীতির সাধনা’। এই অনুষ্ঠান ঘিরে এখন চলছে মঞ্চ তৈরিসহ চূড়ান্ত প্রস্তুতি। রমনা পার্ক প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠানস্থলের সীমারেখা টানা হচ্ছে। বৈশাখের আয়োজন ঘিরে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা দিতে গোটা এলাকা ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার (সিসি ক্যামেরা) আনছে গণপূর্ত অধিদপ্তর। অন্যদিকে ধানমন্ডির ছায়ানট ভবনে প্রায় দেড়শ শিল্পীকে নিয়ে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের চূড়ান্ত মহড়া চলছে। ছায়ানটের সাধারণ সম্পাদক লাইসা আহমদ লিসা জানান, পহেলা বৈশাখের আগের দিন মঞ্চে শিল্পীরা চূড়ান্ত মহড়ার অংশ নেবেন। অনুষ্ঠানের নিরাপত্তার জন্য সব ব্যবস্থা নেবে ডিএমপি। পহেলা বৈশাখ সকাল ৯টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু হবে। সেখানে চলছে শেষ সময়ের প্রস্তুতি। বর্তমান বা সাবেক শিক্ষার্থীরা যে যখন সময় পাচ্ছেন, প্রাণের টানে ছুটে আসছেন মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রস্তুতিতে। মঙ্গল শোভাযাত্রার আহ্বায়ক সাদিত সাদমান বলেন, বর্ষবরণে মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু হবে সকাল ৯টা থেকে। এখন চলছে শেষ সময়ের প্রস্তুতি। তৈরি করা হচ্ছে মুখোশ, পুতুল, চাকাসহ দেশি ঐতিহ্যের বিভিন্ন প্রতীক। শিক্ষার্থীরা রংতুলি, কাগজ, বাঁশ, বেত, চাটাই নিয়ে কাজ করছেন ভাগে ভাগে। মঙ্গল শোভাযাত্রার পোস্টার তৈরির জন্য যে কর্মশালা আয়োজিত হয়েছিল, তা থেকে ৪০ জন শিল্পীর আঁকা পোস্টার নিয়ে বিশেষ প্রদর্শনী হবে শনিবার দুপুরে। চারুকলা অনুষদে এই আয়োজনের উদ্বোধনের পর মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রস্তুতি নিয়ে কথা বলবেন অতিথিরা। বর্ষবরণের আগের দিন শনিবার চারুকলায় রয়েছে লোকগানের  তিনি আরও জানান, কাঠামোর পাশাপাশি এবার মুখোশ, বড় মুখোশ, গাজীর পটের দুটি চিত্র বাঙালি সংস্কৃতির অংশ হিসেবে থাকবে। এবারের শোভাযাত্রায় বৈচিত্র্য আনা হয়েছে মোটিফ ও কালারের মাধ্যমে।পরিবেশনা। এদিকে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী জেলায় জেলায় বর্ষবরণের প্রস্তুতি নিয়েছে। এবার তাদের পহেলা বৈশাখের সর্ববৃহৎ অনুষ্ঠানটি হবে যশোরে। এ ছাড়া খুলনা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, চাঁদপুর, নেত্রকোনা, বরিশালে নববর্ষ পালনের প্রস্তুতি চলছে পুরোদমে। উদীচীর সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে বলেন, ‘ছায়ানটের বর্ষবরণ সফল করতে আমরাও সহযোগিতা করছি। বর্ষবরণে উদীচী কার্যালয়ে ঘরোয়াভাবে আনন্দ আয়োজনের ব্যবস্থা রয়েছে। নববর্ষ আয়োজনের নিরাপত্তা সম্পর্কে পুলিশ সদর দপ্তরের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের পুলিশ সুপার ইনামুল হক সাগর জানান, ‘পহেলা বৈশাখ বাঙালির ঐতিহ্য। বর্ষবরণ প্রস্তুতির শুরু থেকেই এবার সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পহেলা বৈশাখের সব আয়োজনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। ছায়ানটের অনুষ্ঠানকে নির্বিঘ্ন করতে সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। রমনা পার্কে সিসি ক্যামেরা লাগানো হচ্ছে। এ ছাড়া আশপাশের ভবনের সিসি ক্যামেরাগুলোও আমরা মনিটরিং করব। 
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৩৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়