• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
নববধূ ফিরতে না চাওয়ায় শ্বশুরবাড়িতে যুবকের আত্মহত্যা
চাঁদপুরে হাজীগঞ্জে বিয়ের ১৫ দিনের মাথায় শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে মিলন মুন্সী (২৩) নামে এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন।  বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) রাতে উপজেলার ৫ নম্বর সদর ইউনিয়নের সুবিদপুর উত্তর পাড়া গ্রামের প্রধানীয়া বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। মিলন মুন্সী হাজিগঞ্জ উপজেলার ৪ নম্বর কালোচোঁ ইউনিয়নের উড়পুর মুন্সীর বাড়ির বাদল মুন্সীর ছেলে। স্বজনরা বলছেন, বিয়ের কয়েক দিন পর বাবার বাড়িতে যান তার স্ত্রী আকলিমা আক্তার (১৮)। এরপর স্ত্রী ফিরে আসতে না চাওয়ায় অভিমানে শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে আত্মহত্যা করেন ওই যুবক। মিলন মুন্সীর বাবা বাদল মুন্সী জানান, গত ৫ মার্চ তার ছেলের সঙ্গে পারিবারিকভাবে আকলিমা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের আড়াই দিন পর বাবার বাড়িতে যান আকলিমা। এরপর ফিরে আসতে আর রাজি হচ্ছিলেন না তার ছেলের স্ত্রী। বৃহস্পতিবার তার ছেলে স্ত্রীকে নিতে শ্বশুরবাড়ি যান। সেখানে তার শাশুড়ি শাহানারা বেগম (শানু) তার মেয়েকে দেবেন না বলে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এ সময় মিলন পকেট থেকে বিষের বোতল বের করে খেয়ে ফেলেন। এরপর স্থানীয় চিকিৎসা শেষে কুমিল্লায় নেওয়ার পথে মৃত্যু হয়। গৃহবধূ আকলিমা আক্তারের বাবা আব্দুর রহিম বলেন, মেয়ে বিয়ে দেওয়ার পর বুঝতে পারে ছেলের কয়েকটি সমস্যা রয়েছে। যার কারণে এর আগেও দুই বার তারা আকলিমাকে নিতে আসলে দেওয়া হয়নি। হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ বলেন, মূলত এই ছেলেকে আগেও একবার গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। সে তার বাবাকেও মারধর করত। সে নেশাগ্রস্ত থাকে। যার কারণে উত্তেজিত থাকে এবং মানসিক সমস্যাও রয়েছে। এই ঘটনায় মিলন মুন্সীর বাবা বাদল মুন্সী থানায় একটি মামলা করেছেন।
২২ মার্চ ২০২৪, ১৮:৫৮

বিয়ের ২২ দিন পর বর জানলেন নববধূ ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা, অতঃপর...
স্ত্রীর শারীরিক পরিবর্তন দেখে সন্দেহ হয় স্বামীর। এরপর স্থানীয় চিকিৎসকের মাধ্যমে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর স্বামী নিশ্চিত হন তার স্ত্রী চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা। বিয়ের মাত্র ২২ দিন পর এমন খবরে স্বামীর মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। ঘটনাটি ঘটেছে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায়। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ ওই কিশোরী ও তার সৎ বাবা আলতাফ হোসেনকে (৪৫) পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে। এরপর বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কিশোরী নববধূ জানিয়েছে, তার সৎ বাবা তাকে বিভিন্ন সময় ধর্ষণ করেছেন। এর ফলে সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে।  এদিকে ঘটনার পরপরই বৃহস্পতিবার রাতে মেয়েটির মা বাদী হয়ে নিজের স্বামীর নামে আলমডাঙ্গা থানায় মামলা করেছেন। অভিযুক্ত আলতাফ হোসেনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। পুলিশে ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিয়ের পর থেকে কিশোরী নববধূর শারীরিক পরিবর্তন লক্ষ্য করেন স্বামী। বিষয়টি সন্দেহজনক হলে স্ত্রীকে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানতে পারেন তার স্ত্রী চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা। বাড়িতে এসে পরিবারকে জানান তিনি। দুই পরিবারের মধ্যে আলোচনা শেষে ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত হয়। অভিযুক্ত আলতাফ হোসেনের বাড়ি সাতক্ষীরার শ্যামনগর থানাধীন মুন্সীগঞ্জ গ্রামে। তিনি গত ১৭ বছর আলমডাঙ্গা উপজেলার একটি গ্রামের দুই কন্যাসন্তানের জননীকে বিয়ের পর থেকে ঘর জামাই হিসেবে থাকতেন।  আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের পরিদর্শক শেখ গনি মিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, ওই কিশোরী ও তার সৎ বাবাকে আমরা হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। মেয়েটি জানিয়েছে তার সৎ বাবা তাকে বিভিন্ন সময়ে ধর্ষণ করেছেন। সৎ বাবাও ধর্ষণের বিষয়টি আমাদের কাছে স্বীকার করেছেন। আসামিকে শুক্রবার আদালতে পাঠানো হবে।
০৮ মার্চ ২০২৪, ১৬:০৭

‘আমি একটু সুখ চাই’ লিখে আত্মহত্যা করলেন নববধূ
বরিশালে এক নববধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) নগরীর পুরানপাড়া এলাকায় এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই নববধূর নাম সাদিয়া আক্তার (২০)। তিনি পুরানপাড়া এলাকার মাহফুজ আলমের মেয়ে। ছয় ভাই-বোনের মধ্যে সবার ছোট সাদিয়া।  সাদিয়ার পরিবার জানায়, গত ২৪ জানুয়ারি সদর উপজেলার রায়পাশা-কড়াপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়-সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা মুদি দোকানি রুবেলের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়েছিল সাদিয়ার। বিয়েতে মেয়েকে স্বর্ণালংকার ও জামাইকে ফ্রিজ, গলার চেইন ও আংটি দেওয়া হয়। এতে ৮ লাখ টাকা খরচ হয়েছে।   সাদিয়ার পরিবার আরও জানায়, মঙ্গলবার বিকেলে পরিবারের সবার অজান্তে বাবার বাড়ির ঘরের আড়ার সঙ্গে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন সাদিয়া। খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধারের পর শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ। বুধবার ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।   আত্মহত্যার আগে একটি চিরকুট লিখে গেছেন সাদিয়া। সেখানে তিনি লিখেন, ‘আমি কী দোষ করেছিলাম, এমন একজন মানুষের জন্য নিজের জীবনটাই শেষ করে দিলাম। প্রত্যেক রাতে ডিভোর্স দেওয়ার জন্য জ্বালায়। আমাকে বিয়ে দিয়েছিলে কেন। আমি তোমাদের কাছে বোঝা? টাকা চাইলে তো মন পাওয়া যায় না। টাকা দিয়ে কী ভালোবাসা পাওয়া যায়। আমি তোমাদের কষ্ট দিতে চাই না বাবা-মা। আমি একটু সুখ চাই।’   ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বরিশাল মেট্রোপলিটনের কাউনিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, দুদিন আগে সাদিয়ার বাবাকে খবর দিয়ে নেওয়া হয় রুবেলের বাড়িতে। এরপর মেয়েকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়। এমনকি ওই বাড়িতে আবার আসতে হলে তিন লাখ টাকা দাবি করেন রুবেল। এ কারণে ক্ষোভে সাদিয়া আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন বলে ধারণা করা যায়। তার লেখা চিরকুট উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
০৬ মার্চ ২০২৪, ১৪:৪৪

২০০ বই নিয়ে শ্বশুরবাড়ি গেলেন নববধূ
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে এক নববধূ শ্বশুরবাড়িতে প্রায় দুই শত বই নিয়ে গেছেন। স্বপ্ন দেখছেন শ্বশুর বাড়ির একটি কক্ষে ‘বউ-শাশুড়ির বই ঘর’ নামে একটি লাইব্রেরি গড়বেন। ওই লাইব্রেরিতে এলাকার বউ শ্বাশুড়িসহ স্কুল-কলেজের ছাত্রীরা এসে বই পড়বে।  সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নববধূ মেহেরুন নেছা মুমু বাবার বাড়ি থেকে বই নিয়ে উপজেলার চর ফলকন গ্রামের শ্বশুর বাড়িতে আসেন। বই ছাড়াও বাহারি পদের দেশীয় পিঠাও নিয়ে আসেন। ওইসব পিঠা প্রতিবেশী ও আত্নীয়-স্বজনদের বাড়ি বাড়ি পাঠিয়েছেন মুমুর শ্বাশুড়ি কামরুন নাহার। মুমু চর ফলকন গ্রামের ডা. অবাদুল হক চেয়ারম্যান বাড়ির মহিউদ্দিনের মেয়ে। একই গ্রামের রমজান আলী মৌলভী বাড়ির মাকছুদুর রহমানের ছেলে তরুণ আইনজীবী অ্যাডভোকেট এমরান হোসেন নিখিলের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। সে ঢাকার ইডেন কলেজের ইংরেজি তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) মুমুর বউভাতের আয়োজন হয়। বউভাত অনুষ্ঠানের একদিন পরেই শ্বশুর বাড়িতে বই নিয়ে আসেন এ নববধূ।  মুমুর পরিবার ও স্বজনরা জানায়, বই পড়তে তার ভালো লাগে। বই সংগ্রহ ও পড়া তার প্রিয় শখ। শ্বশুর বাড়িতে নিয়ে আসা সব বই তার পড়া হয়েছে। এসব বইয়ের বেশির ভাগই তার বিভিন্ন সময়ের জমানো টাকায় কেনা। অল্প কিছু বই জন্মদিনসহ বিভিন্ন দিবসের উপহার, ৮-১০টি বই তার স্কুল-কলেজের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পুরস্কার হিসাবে পাওয়া।  মুমুর মা ছালেহা বেগম জানান, তার মেয়ের প্রিয় শখ বই পড়া। শাড়ি-চুড়ি, কসমেটিকসে আগ্রহ নেই। ছোট বেলা থেকেই টাকা জমিয়ে বই কেনা ছিল তার অভ্যাস। বিয়ের পর শ্বশুর বাড়িতে যাওয়ার সময় মেয়ের সংগ্রহে থাকা সকল বই নিয়ে যায়।   নববধূর শ্বাশুড়ি কামরুন নাহার বলেন, আমার মেয়ে নেই, দুই ছেলে। ছোট ছেলে বুয়েটে পড়ে, বাড়িতে আমি একা। বড় ছেলের সুবাদে একটা মেয়ে পেয়েছি। এই লক্ষ্মী মেয়ে আসার সময় অনেক বই নিয়ে আসে। এতে আমি খুবই খুশি হয়েছি। এখন থেকে আমিও টাকা জমিয়ে বউকে বই কিনে দেবো। নববধূ মেহেরুন নেছা মুমু বলেন, বই কেনা, বই পড়া আমার শখ। বই উপহার পেতে আমার খুব ভালো লাগে। অনেক দিন থেকে জমানো বইগুলো বাবার বাড়িতে রেখে আসতে মন চাইছিল না; সঙ্গে করে নিয়ে আসলাম। স্বপ্ন দেখছি শ্বশুর বাড়িতে ‘বউ-শাশুড়ির বই ঘর’ নামে একটি লাইব্রেরি গড়বো। এলাকার সকল বউ-শাশুড়ি বই পড়বে। শ্বশুর মাকছুদুর রহমান বলেন, ছেলের বউ বাবার বাড়ি থেকে আসতে বই নিয়ে আসছে; বিষয়টি খুবই দারুণ। এমন ছেলের বউ পাওয়া সৌভাগ্য।
০২ মার্চ ২০২৪, ১০:৫৮

বিয়ের ৪ দিন পর নববধূ খুন, ভারতে পালানোর সময় গ্রেপ্তার স্বামী
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় নববধূকে গলা কেটে চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের ১২ ঘণ্টার মধ্যে প্রধান আসামি স্বামী আবদুল হামিদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে আখাউড়া উপজেলার বড়মুড়া সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও আখাউড়া থানা পুলিশ হামিদকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত আবদুল হামিদ (২৮) উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের হিরাপুর গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে। আখাউড়া থানা পুলিশ জানায়, গত শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) আখাউড়া উপজেলার হীরাপুর গ্রামের আব্দুল লতিফ মিয়ার সৌদিআরব ফেরত ছেলে আব্দুল হামিদের সঙ্গে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বাসুদেব এলাকার আব্দুর রাজ্জাক মিয়ার মেয়ে তাসলিমার বিয়ে হয়। পরে বিয়ের মাত্র ৪ দিন পর মঙ্গলবার দুপুরে ধারালো ছুরি দিয়ে নববধূ তাসলিমাকে গলা কেটে হত্যা করে হামিদ পালিয়ে যান। এ ঘটনায় নিহত তাসলিমার ভাই আব্দুল কুদ্দুস রাতেই বাদী হয়ে আব্দুল হামিদকে প্রধান আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ বিষয়ে আখাউড়া থানার ওসি নূরে আলম জানান, ঘটনার পর পালিয়ে যাওয়া হামিদকে দ্রুত গ্রেপ্তারের জন্য মোবাইল ট্র্যাকিং করে একাধিক স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। হামিদ বারবার স্থান পরিবর্তন করতে থাকে। পরে বুধবার সকালে আখাউড়া সীমান্তের বড়মুড়া এলাকা দিয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে ফকিরমুড়া বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যদের সহযোগিতায় হামিদকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। তবে কি কারণে হত্যাকাণ্ড ঘটেছে এ রহস্য উদঘাটনে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলে জানিয়েছেন ওসি।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৩৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়