• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
হাসপাতালে ফেলে যাওয়া নবজাতক দত্তক পেলেন সেবিকা
কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক প্রসূতি কন্যাসন্তান প্রসব করে উধাও হওয়ার পর বিপাকে পড়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। অবশেষে ইউএনওর হস্তক্ষেপে সেই নবজাতকটি দত্তক নিয়েছেন একজন সেবিকা (নার্স)। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত ১৬ এপ্রিল রাত ৮টার দিকে এক গর্ভবতী মহিলা হাসপাতালে ভর্তি হন। ভর্তির ১০-১৫ মিনিটের মধ্যেই ওই মহিলা এক কন্যাসন্তান প্রসব করেন। পরে টয়লেটে যাওয়ার কথা বলে নবজাতক বাচ্চাটি হাসপাতালে রেখেই পালিয়ে যান। এদিকে বাচ্চা ফেলে মা পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্যকর পরিবেশ সৃষ্টি হয় পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। উৎসুক জনতা সে বাচ্চাটিকে দেখতে ভিড় করে সেখানে। অনেকে সে বাচ্চার দায়িত্ব নিতেও আগ্রহ প্রকাশ করেন। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সন্ধ‍্যায় পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপজেলা শিশু কল্যাণ কমিটির বৈঠকে সর্ব সম্মত সিদ্ধান্তক্রমে নার্স মিনারা দম্পতির কাছে দত্তক প্রদান করেন। ইউএনও মো. সাইফুল ইসলাম জয় নিজেই দায়িত্ব নিয়ে নবজাতককে নার্সের হাতে তুলে দেন। এ সময় পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ ইলিয়াছ ইউএনওকে সহযোগিতা করেন।  এর আগে শিশু কল্যাণ কমিটির সভাপতি বরাবরে নবজাতকটিকে দত্তক নিতে প্রবাসী, ব্যবসায়ী, চাকুরীজীবী, রাজনীতিবিদ ও দিনমজুরসহ ১৫টি আবেদন জমা পড়ে। আবেদনকারীদের সশরীরে সাক্ষাৎকার নিয়ে যাচাই-বাচাই শেষে কমিটির সর্ব সম্মত সিদ্ধান্তক্রমে মিনারা দম্পতিকে উপযুক্ত মনে করে দত্তক প্রদান করেন। নার্স মিনারা খাতুন পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র স্টাফ নার্স। তিনি নিঃসন্তান। এ সময় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রূম্পা ঘোষ, পেকুয়া থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ ইলিয়াস, বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট কামাল হোসেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মুজিবুর রহমান, সমাজ সেবা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আরিফ, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বাবুল আক্তার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:১৩

সিজারের সময় গৃহবধূর মৃত্যু, জীবিত নবজাতক
বাগেরহাট মোরেলগঞ্জে সিজারের অপারেশনের সময় মোসা. খুকু বেগম (৩২) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে মোরেলগঞ্জ পৌর সদরের রাইসা ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে।  খুকু বেগম মোরেলগঞ্জ উপজেলার হোগলাবুনিয়া ইউনিয়নের গোদাড়া গ্রামের আবু সুফিয়ানের স্ত্রী। তার আরও একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। স্থানীয়রা জানান, মোরেলগঞ্জ পৌর সদরের রাইসা ক্লিনিকের চিকিৎসক রাহুল দেব বিশ্বাসের তত্ত্বাবধানে সিজারের সময় একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। এরপর খুকু বেগম মারা যান। ঘটনার পরে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ তড়িঘড়ি করে স্বামীর কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে ওই নারীর লাশ ক্লিনিক থেকে বের করে দেয়। মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হয়। তবে স্থানীয় একটি সূত্র বলছে, অপচিকিৎসায় এই গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। ওই গৃহবধূর মৃত্যুর পর বিশেষ কায়দায় সবকিছু ম্যানেজ করেছে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। স্বাস্থ্য বিভাগের উপজেলা পর্যায়ের উচ্চ কর্মকর্তার আর্শিবাদ ও ক্ষমতাধর এক নেতার মালিকানাধীন এই ক্লিনিকের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলবে না। নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেন স্থানীয়রা। এ বিষয়ে ডা. রাহুল দেব বিশ্বাসের মোবাইল ফোনে কয়েক বার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। রাইসা ক্লিনিকের ম্যানেজার চুন্নু মিয়ার মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া গেছে। মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শর্মী রায় জানান, খবরটি তিনি শুনেছেন। তবে কেউ তার কাছে অভিযোগ দেয়নি। এ বিষয়ে মোরেলগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শামসুদ্দিন বলেন, সিজারের সময় প্রসূতির মৃত্যুর খবর পেয়ে ওই ক্লিনিকে পুলিশ পাঠানো হয়। তবে মৃতের স্বামীর কোনো অভিযোগ নেই।
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৫৯

মসজিদের অজুখানায় মিলল ফুটফুটে নবজাতক
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে একটি মসজিদের অজুখানা থেকে ফুটফুটে এক নবজাতককে উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (৩ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১টার দিকে উপজেলার শাহেদল ইউনিয়নের বাসুরচর গ্রামের একটি মসজিদের অজুখানা থেকে নবজাতক ছেলে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার দিবাগত রাত ১টার দিকে মসজিদের অজুখানায় নবজাতকটিকে কেউ রেখে যায়।পরে তার কান্না শুনে স্থানীয়রা সেখানে গিয়ে দেখে এক নবজাতক পড়ে রয়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয়রা হোসেনপুর থানা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে ওই নবজাতককে উদ্ধার করে হোসেনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তানভীর হাসান জিকু গণমাধ্যমকে জানান, বুধবার দিবাগত রাত প্রায় ১টার দিকে হোসেনপুর থানা পুলিশের সহযোগিতায় নবজাতক শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে নবজাতককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷ সেখানে তাকে নিবিড় পরিচর্যায় রাখা হয়েছে ও খাবারের জন্য দুধের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০৬

নবজাতক হাসপাতালে ফেলে উধাও বাবা-মা
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে এক নবজাতককে ফেলে রেখে পালিয়ে গেছেন বাবা-মা। শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নবজাতকটিকে ২৬ নম্বর শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রেখে ইমার্জেন্সি থেকে ভর্তির কাগজ আনার কথা বলে বাবা-মা পরিচয় দেয়া দুজন আর ফিরে আসেননি। শিশুটিকে বর্তমানে ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে হাসপাতালের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের নার্স ও আনসার সদস্যরা জানান, প্রায় ৩০ বছর বয়সী দুজন ছেলে মেয়ে নবজাতকটি ওয়ার্ডে নিয়ে আসে। চিকিৎসা চলা অবস্থায় গেট থেকে ভর্তির কাগজ নিয়ে আসার নাম করে তারা চলে যায়। তারপর আর ফিরে আসেনি।  হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, বিকেলে হাসপাতালের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে একটি সদ্য ভূমিষ্ঠ ছেলে বাচ্চাকে দুজন তরুণ তরুণী শ্বাস কষ্টের কথা বলে ভর্তি করাতে নিয়ে আসে। নার্সরা নবজাতককে ভর্তির কাগজ আনার কথা বললে তারা ভর্তির কাগজ আনার কথা বলে নার্সের তত্ত্বাবধানে বাচ্চাটিকে রেখে চলে গিয়ে আর ফিরে আসেনি। এখন পর্যন্ত শিশুটি হাসপাতালের তত্ত্বাবধানে আছে। আজ রোববারও কেউ শিশুটির খোঁজ নিতে আসেনি। তাই আমরা বিষয়টি সমাজসেবা অধিদপ্তরকে অবগত করেছি। ইতিমধ্যে নগরীর রাজপাড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। নবজাতককের বাবা-মাকে খুঁজে না পেলে আদালতের মাধ্যমে শিশুটিকে সমাজসেবা অধিদপ্তরের ছোটমনি নিবাসে হস্তান্তর করা হবে। এ বিষয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ইএমও) ডা. শংকর কে বিশ্বাস জানান, শিশুটি এখন সুস্থ আছে, এরইমধ্যে হাসপাতালে রেখে যাওয়া সেই নবজাতকটির বিষয়ে সব জয়াগায় জানানো হয়েছে। কিন্তু এখনো তার প্রকৃত অভিভাবক খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাই আদালতের মাধ্যমে শিশুটিকে সমাজসেবা অধিদপ্তরের ছোটমনি নিবাসে হস্তান্তর করা হতে পারে। 
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:২০

কালভার্টের নিচ থেকে উদ্ধার হওয়া সেই নবজাতক আর নেই
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের একটি নালার কালভার্টের নিচ থেকে উদ্ধার হওয়া নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে।  মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের এনআইসিইউতে নবজাতক কন্যা শিশুটি মারা যায়৷ বিষয়টি নিশ্চিন্ত করেছেন হাসপাতালের এনআইসিইউর ইনচার্জ সিনিয়র স্টাফ নার্স হালিমা বেগম।  তিনি জানান, নবজাতকের মুখমণ্ডল, হাত ও পা পোকামাকড় ক্ষতবিক্ষত করায় শারীরিকভাবে সে অনেক দুর্বল হয়ে পড়ে। তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। সন্ধ্যায় সে মারা যায়। তার মরদেহ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার মধ্যরাতে জেলা শহরের মেড্ডা পুরাতন পুলিশ ফাঁড়ি এলাকায় একটি কালভার্টের নিচে স্থানীয় পাহারাদারের কানে একটি শিশুর কান্না ভেসে আসছিল। কান্না শব্দে একটি নালার কালভার্টের নিচে পলিথিনে মোড়ানো এক নবজাতককে উদ্ধার করা হয়। নালায় ফেলে দেওয়ায় নবজাতকের মুখের একাংশ ইদুর পোকামাকড় কামড়ে ক্ষতবিক্ষত করে ফেলেছে।  এ অবস্থায় জরুরি সেবা নাম্বার ৯৯৯ এ কল দিলে পুলিশ গিয়ে নবজাতকটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে। এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলাম হোসেন বলেন, নবজাতকটিকে খাল থেকে জীবিত উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। চিকিৎসাধীন অবস্থায় নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। 
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:৩০

কালভার্টের নিচ থেকে পলিথিনে মোড়ানো নবজাতক উদ্ধার
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের একটি নালার কালভার্টের নিচ থেকে পলিথিনে মোড়ানো এক নবজাতককে উদ্ধার করেছে পুলিশ।  বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে জেলা শহরের মেড্ডা পুরাতন পুলিশ ফাঁড়ি এলাকা থেকে এ কন্যা নবজাতকটি উদ্ধার করা হয়।  উদ্ধারের পর তাকে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাতে স্থানীয় পাহারাদারের কানে একটি শিশুর কান্না ভেসে আসছিল। কান্না শব্দে একটি নালার কালভার্টের নিচে পলিথিনে মোড়ানো একটি নবজাতক পাওয়া যায়। নালায় ফেলে দেওয়ায় নবজাতকের মুখের একাংশ ইদুর পোকামাকড় কামড়ে ক্ষতবিক্ষত করে ফেলেছে। এই অবস্থায় জরুরি সেবা নাম্বার ৯৯৯ এ কল দিলে পুলিশ গিয়ে নবজাতকটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন জানান, পুলিশ নবজাতকটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসলে তাকে চিকিৎসকরা এনআইসিতে ভর্তি দিয়েছে। সেখানে সে চিকিৎসাধীন আছে। পাশাপাশি নবজাতকের পরিচয় শনাক্ত করা যায় কিনা তা আমরা খুঁজে দেখছি।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৫০

হাসপাতাল থেকে চুরি হওয়া নবজাতক উদ্ধার
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার একটি হাসপাতাল থেকে চুরি হওয়ার চারদিন পর নবজাতককে উদ্ধার করেছে র‌্যাব। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় কুষ্টিয়া র‌্যাব ক্যাম্পে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়।  র‌্যাব জানায়, নবজাতক চুরির ঘটনায় চক্রের দুই নারী সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিক্রির উদ্দেশ্যে তারা শিশু চুরি করেন। এ ছাড়াও তাদের সঙ্গে দেশি-বিদেশি চক্রের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব। গত ৭ ফেব্রুয়ারি দুপুর ২টার দিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার আনোয়ারা বিশ্বাস মা ও শিশু হাসপাতাল থেকে নবজাতককে তার নানির কোল থেকে চুরি করে নিয়ে যায় চোর চক্রের এক নারী সদস্য। এরপর থেকেই শিশুকে উদ্ধারে মাঠে নামে কুষ্টিয়া র‌্যাব-১২ এর সদস্যরা। চারদিন পর দৌলতপুর উপজেলার গোয়ালগ্রাম থেকে শিশু আরিয়ানকে উদ্ধার করা হয়।  এ ঘটনায় পলি আরা ও মাহফুজা নামে চোর চক্রের দুই নারী সদস্যকেও গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। শিশুটিকে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:১৬

‘এখন আমি কাকে নিয়ে থাকবো’
দৌলতপুরে একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে নবজাতক চুরির ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (৭ ফেবুয়ারি) দুপুরের দিকে উপজেলার আল্লার দর্গা এলাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন দৌলতপুর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, নবজাতককে উদ্ধারে কাজ করছে পুলিশ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ঘটনার পর পুলিশকে জানানো হলে দ্রুত তারা পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছেন। পুলিশের একাধিক দল কাচ করছে। এদিকে হাসপাতালের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়- বোরকা পরিহিত লাল সোয়েটার গায়ে এক নারী নবজাতককে কোলে নিয়ে তড়িঘড়ি করে হাসপাতাল থেকে বের হয়ে যাচ্ছেন। জানা যায়, হাসপাতালের মহিলা ওয়ার্ডে নবজাতকের নানির কোল থেকে বাচ্চাকে আদর করার কথা বলে কোলে তুলে নেন বোরকা পরিহিত ওই নারী। পরে শিশুটির নানি পানি আনতে গেলে নবজাতককে নিয়ে পালিয়ে যান বলে জানিয়েছেন শিশুটির নানি রহিমন নেছা। নবজাতকের মা রিয়া খাতুন বলেন, গত ৫ তারিখে আমার সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে একটি ছেলে শিশুর জন্ম হয়। বিয়ের পর এটাই আমার প্রথম বাচ্চা। কান্না জড়িতকন্ঠে তিনি বলেন, এখন আমি কাকে নিয়ে থাকবো? এদিকে নবজাতক চুরির ঘটনায় এলাকাবাসীর প্রশ্ন প্রায়ই শুনি হাসপাতাল থেকে শিশু চুরি হয়। কিন্তু কোথায় নেওয়া হয় এসব শিশুদের? কারা জড়িত? আইনশৃংখলা বাহিনী কি ইচ্ছে করলে তা বের করতে পারে না? তারা আরও বলছেন, এভাবে আর কত পরিবারের স্বপ্ন ভাঙবে? এর কি কোন সমাধান নেই?
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৫:২০

নবজাতক দেখতে গিয়ে আগুনে ৬ জন দগ্ধ
নারায়ণগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে ৬ জন দগ্ধ হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১০টার দিকে জেলার সিদ্ধিরগঞ্জের বার্মাশীল বাঘপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।  এদের মধ্যে শরীরের ৪৫ ভাগ দগ্ধ রহিমাকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে। দগ্ধ অন্যরা হলেন- সুখী আক্তার (৩২), তার মেয়ে সাদিয়া (১০), বোন জান্নাতি আক্তার (১৮), ভাই আরিফ হাওলাদার (২১) ও রহিমার মেয়ে ঋতু (১৩)। ওই পরিবারের রনি হাওলাদার জানান, বাঘপাড়া এলাকার বাসায় নবজাতক দেখতে গেয়েছিলেন। রাতে সেই বাসায় হঠাৎ আগুন লাগে। কীভাবে আগুন লেগেছে তা স্পষ্টভাবে কেউ বলতে পারেনি। তবে গ্যাস কিংবা মশার কয়েল থেকে এই আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে জানান তিনি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. তরিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, রাত ১২টার দিকে দগ্ধ ছয়জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রহিমা নামে একজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় আইসিইউতে রাখা হয়েছে। সুখী আক্তারের শরীরের ১৭ ভাগ ও জান্নাতি আক্তারের শরীরের ১৫ ভাগ দগ্ধ হয়েছে বলে জানান তিনি। 
২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:৩৩

কাদার মধ্যে পড়েছিল নবজাতক, কান্নার আওয়াজে উদ্ধার
সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার পিয়াইন নদীর তীর থেকে কাদামাখা নবজাতক উদ্ধার করেছেন এলাকাবাসী। সোমবার (২২ জানুয়ারি) রাত ৯টার দিকে দিরাই উপজেলার রফিনগর ইউনিয়নের সুলেমানপুর গ্রামের পাশের পিয়াইন নদীর তীর থেকে নবজাতককে উদ্ধার করা হয়। কে বা কারা নবজাতককে পুরোনো গামছা দিয়ে মুড়িয়ে কাদা পানিতে ফেলে যায়। পরে  নদীর তীরের সড়কে পথচারীরা হেঁটে যাওয়ার সময় শিশুটির কান্নার আওয়াজ শুনতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানায় যায়, একটি ফুটফুটে নবজাতক পুরনো গামছা দিয়ে মুড়িয়ে কাদা-পানিতে কেউ ফেলে যায়। নদীর তীরের সড়কে দিয়ে গ্রামের একজন যাওয়ার সময় শিশুটির কান্না শুনতে পায়। পরে তিনি চিৎকার শুরু করলে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে এসে শিশুটি উদ্ধার করে পুলিশে খবর দেয়া হয়। প্রশাসন শিশুটিকে প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা দেয়ার পর সুলেমানপুর গ্রামের আফজাল মিয়ার হেফাজতে তার বাড়িতে রাখা হয়েছে। এ ব্যাপারে দিরাই সমাজসেবা অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, নবজাতক শিশুটিকে উদ্ধার করে প্রশাসনের সহযোগিতায় হাসপাতালে ভর্তি করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, নবজাতককে সরকারি ছোটমণি নিবাসে নেয়া হতে পারে বা কোনো ব্যক্তি যদি তার সুরক্ষা দিতে আগ্রহী হন, তাহলে শিশু কল্যাণ বোর্ডের মাধ্যমে সেটা করা হবে।  
২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:৫২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়