• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নতুন সভাপতি কায়েস, সম্পাদক রিয়েল 
সাত বছর পর জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেদ্রীয় নির্বাহী সংসদ। বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের শিক্ষার্থী আল মাহমুদ কায়েসকে সভাপতি এবং একই বিভাগের শিক্ষার্থী রাশেদুল ইসলাম রিয়েলকে সাধারণ সম্পাদক করে নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে।  বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে আগামী এক বছরের জন্য ৫২ সদস্য বিশিষ্ট এ কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। কমিটিতে ৩৪ জন সহসভাপতি, ৮ জন যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং ৮ জনকে সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে। এ দিকে নতুন কমিটি হওয়ার পর রাতেই উচ্ছ্বসিত নেতাকর্মীদের স্লোগান-মিছিলে মুখরিত হয়ে উঠে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ। উচ্ছ্বসিত নেতাকর্মীরা বলছেন, দীর্ঘদিন পর কমিটি হওয়ায় প্রাণ ফিরেছে ক্যাম্পাসের ছাত্র-রাজনীতিতে।  এর আগে ২০১৭ সালের ৭ মে নজরুল ইসলাম বাবুকে সভাপতি ও রাকিবুল হাসান রাকিবকে সাধারণ সম্পাদক করে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা হয়। এর প্রায় অর্ধযুগ পর গত বছরের ৪ জুলাই কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে জীবন বৃত্তান্ত আহ্বান করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। এরপর একই বছরের ২৭ সেপ্টেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় কর্মীসভা। 
২৯ মার্চ ২০২৪, ২১:৫৯

নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের ইফতার 
পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস ক্লাবের বার্ষিক ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ আয়োজনে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী থেকে শুরু করে গার্ড, আনসার সদস্য, ঝাড়ুদারসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ আমন্ত্রিত ছিলেন।  বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ১৭ রমজানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের দশম তলায় এ ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।  এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. আতাউর রহমান, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. তুষার কান্তি সাহা, নাট‍্যকলা ও পরিবেশ বিদ‍্যা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন এবং ডিরেক্ট অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ফাহাদুজ্জামান শিবলী, অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড ফিনান্স দপ্তরের অডিট অফিসার শফিকুল ইসলাম সুমন, রেজিস্ট্রার দপ্তরের সেকশন অফিসার নুসরাত জাহান শিমু, বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ফাহাদ বিন সাঈদ ও সাধারণ সম্পাদক আসলাম বেগসহ অন্যরা।  ইফতারের আগে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় ট্রেজারার প্রফেসর ড. আতাউর রহমান বলেন, রমজান মাস হলো সংযমের মাস। এ মাস আমাদেরকে সকল প্রকার অন‍্যায় ও অনৈতিক কাজ থেকে বিরত থাকার শিক্ষা দেয়। খাবার সামনে থাকা অবস্থায়ও যেমন আল্লাহর ভয়ে বিরত থাকি তেমনি সকল প্রকার অনৈতিক কাজ থেকে বিরত থাকার শিক্ষা গ্রহণ করতে পারি এ পবিত্র রমজান মাসে।  বক্তব্যে প্রেসক্লাবের সভাপতি নবাব মোহাম্মদ শওকত জাহান বলেন, প্রতিবারের ন‍্যায় এবারও আমরা ইফতার মাহফিলে একত্রিত হয়েছি। ইসলামের শিক্ষায় উজ্জীবিত হয়ে স্ব স্ব ক্ষেত্রে এগিয়ে যেতে চাই।  অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করেন প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জিহাদুজ্জামান জিসান। বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। প্রায় অর্ধশতাধিক অতিথির উপস্থিতিতে ইফতার মাহফিলটি এক মিলনমেলায় পরিণত হয়।
২৯ মার্চ ২০২৪, ২০:৫২

সড়ক দুর্ঘটনায় নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নিহত
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ত্রিশালে শেরপুরগামী একটি বাসের সঙ্গে সিএনজির সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সের ছাত্র সালমান আজাদী (২৫)। এ ঘটনায় নিহত হয়েছেন আরও দুজন। নিহতরা সবাই সিএনজির যাত্রী ছিলেন।  বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকালে ত্রিশাল বাজারের সাইফুল কমিশনারের বাসার সামনে এ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে নিহত হন সালমান আজাদীসহ ত্রিশাল উপজেলায় বৈলর ইউনিয়নের রুদ্রগ্রাম এলাকার এনামুল হক শামীমের মেয়ে রুবাইরা তাজনিম (২) ও সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক উপজেলার সদর ইউনিয়নের চিকনা মনোহর গ্রামের মৃত আব্দুস ছামাদের ছেলে শরিফুল ইসলাম (৩৩)।  নিহত সালমান আজাদী বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগে পড়তেন। বিভাগের শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা গেছে, তিনি কবি নজরুলের ইসলামিক সংগীত নিয়ে গবেষণা করছিলেন। তার বাড়ি বগুড়া জেলায়।  বিশ্ববিদ্যালয়স্থ বগুড়া জেলার শিক্ষার্থীদের সংগঠনের সভাপতি বখতিয়ার আহমেদ আরটিভি নিউজকে জানান, সালমান আজাদীর ২ বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে তিনি ময়মনসিংহ থাকতেন।  এ দিন সন্ধ্যায় সালমান আজাদীর মরদেহ আনা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর।
২৯ মার্চ ২০২৪, ১৯:৫৫

নজরুলের বিখ্যাত গজল ‘হে নামাজী’ নিয়ে এলেন পাভেল আরিন
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের গজল ‘হে নামাজী’ প্রকাশ করল ‘টাইম জোন লিভিং রুম সেশান’। পাভেল আরিনের সঙ্গীত পরিচালনায় গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন জাহিদ নিরব। ‘হে নামাজী আমার ঘরে নামাজ পড় আজ,দিলাম তোমার চরণ তলে হৃদয় জায়নামাজ’-এমন কথার গানটি কিংবদন্তি শিল্পী আব্বাস উদ্দিনের হাতে নিজেই তুলে দিয়েছিলেন নজরুল। আব্বাস উদ্দিনের সুরে ও কণ্ঠেই প্রথম জনপ্রিয় হয় গানটি। এবার পবিত্র রমজান মাসে নতুন সঙ্গীতায়োজনে সকলের সামনে গানটি হাজির করলেন পাভেল। সঙ্গীত পরিবারে বেড়ে উঠলেও সকলের চেনা শিল্পী জাহিদ নিরবের আতুড়ঘর ব্যান্ড চিরকুট। আরও গভীরে গেলে পাভেল আরিনের সাথেই শুরু তার ইন্ডাস্ট্রির পথ চলা। সে জানা-শোনা থেকেই প্রার্থনামূলক গজলটিতে আব্বাস উদ্দিন আহমেদের উত্তরাধীকারি হিসেবে নতুন প্রজন্মের নিরবের কণ্ঠটিকেই যোগ্য বলে মনে করেছেন পাভেল। আট বছর আগের একদিনের গল্পটা এমন-নিরব যখন আমার কাছে আসলো তখন অ্যাসিস্টেন্ট মিউজিক ডিরেক্টর হিসেবে কাজ শুরু করে। কিন্তু সপ্তাহখানেক যাওয়ার পর আমার মনে হল ও আসলে তৈরি। তারপর আমরা দুজনই মিউজিক ডিরেক্টর হিসেবেই কাজ করেছি দীর্ঘদিন। সে সূত্রেই আমাদের ব্যান্ড চিরকুটেও তার যাত্রা শুরু হয়। এখন সে আমার প্রতিষ্ঠান বাটার কমিউনিকেশনের প্রডিউসার হিসেবে দেশের বিজ্ঞাপনের বাজারে জনপ্রিয় একটি নাম। জাতীয় কবির একটি গান যখন আমরা করব বলে ভাবলাম, তখন মনে হয়ছে নিরবই গানটি যথাযথভাবে তুলতে পারবে। গ্রামাটিকেলি এবং ক্লাসিকেলি নিরবই গানটি সঠিকভাবে আমার জন্য তুলে আনতে পারবে। সে তা পেরেছে। শ্রোতারাও পছন্দ করবেন বলে আশা করছি। -বলছিলেন সঙ্গীত পরিচালক পাভেল আরিন। মূলত স্রষ্টার কাছে নতি স্বীকার ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জায়গা থেকেই লিভিং রুম সেশানে যুক্ত হয়েছে গানটি। এ প্রসঙ্গে জাহিদ নিরব বলেন, গানটি কাজী নজরুল ইসলামের খুবই জনপ্রিয় এবং তাৎপর্যপূর্ণ একটি গান। ছোটবেলা থেকেই এ গানটি আমার পছন্দের। এবার পাভেল ভাই যেভাবে মিউজিক অ্যারেঞ্জমেন্ট করেছে আশা করছি শ্রোতারা নতুন কিছু পাবে। গানটি বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সন্ধ্যায় টাইম জোন লিভিং রুম সেশানের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত হয়।
২২ মার্চ ২০২৪, ২০:১৪

যৌন হয়রানির অভিযোগে এক শিক্ষক স্থায়ী, আরেকজন সাময়িক বরখাস্ত
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন হয়রানির ঘটনায় দুই শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে যৌন হয়রানির ঘটনায় জড়িত মানবসম্পদ ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাজন সাহাকে স্থায়ী বরখাস্ত এবং প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক রেজুয়ান আহমেদ শুভ্রকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৪তম সিন্ডিকেট সভা শেষে রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ন কবীর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে সম্প্রতি মানবসম্পদ ও ব্যাবস্থাপনা বিভাগে যৌন হয়রানির ঘটনায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে গতকাল ১৩ মার্চ এই দুই শিক্ষককে অনির্দিষ্টকালের বাধ্যতামূলক ছুটি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কিন্তু প্রশাসনের এই আদেশে নাখোশ শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের গতি বাড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসসিক ভবনসহ সকল বিভাগে এবং ব্যাংকে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ করে। পরে আন্দোলনকারিরা এই দুই শিক্ষককে স্থায়ী বহিস্কার দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে যান চলাচল আটকে দেয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি (উপাচার্য) প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণের আশ্বাস দিলে অবরোধ থেকে সরে যায় শিক্ষার্থীরা।         এই অবস্থায় মানবসম্পদ ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের উদ্ভুত পরিস্থিতি নিরসনে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য ১৪ মার্চ সকালে ৮৪তম বিশেষ সিন্ডিকেট সভা আহ্বান করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এই সভায় সর্বসম্মতিক্রমে যৌন হয়রানির ঘটনায় এই সিদ্ধাস্ত নেওয়া হয়। এ সময় আন্দোলনকারিরা ঘোষিত সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে আন্দোলন থেকে সরে গিয়ে ক্লাসে ফেরার ঘোষণা দেয়। এ সময় ময়মনসিংহের বিভাগীয় কমিশনার উম্মে সালমা তানজিয়া, ভিসি প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর, রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ন কবীরসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। প্রসঙ্গত, অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এক ছাত্রীকে অনুপস্থিত দেখিয়ে পরীক্ষায় জরিমানা আদায়, নম্বর কম দেওয়া ও থিসিস পেপার আটকে যৌন হয়রানি করার অভিযোগ উঠে মানবসম্পদ ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাজন শাহ’র বিরুদ্ধে। এ ঘটনার বিচার দাবিতে গত ৪ মার্চ আন্দোলন শুরু করে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচার দাবি করে ওই বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।   এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ট্রেজারার ড. আতাউর রহমানকে প্রধান করে ৫ মার্চ ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। কিন্তু এই তদন্ত কমিটি গঠনের একদিন পর ৬ মার্চ আন্দোলনকারিরা মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয়। এ সময় তারা ওই বিভাগের শিক্ষকদের নেমপ্লেটসহ ভাঙচুর করে বিভাগীয় প্রধানের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির ঘটনায় প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ তুলে তাকেও তদন্তের আওতায় আনার দাবি জানান। পরে দাবি মেনে তদন্ত কমিটি পুর্নগঠন করে বিভাগীয় প্রধান রেজুয়ান আহমেদ শুভ্রকেও তদন্তের আওতায় নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কিন্তু দীর্ঘ সময়ে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ না করায় বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে শিক্ষার্থীরা।    
১৪ মার্চ ২০২৪, ১৬:১২

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই শিক্ষককে বাধ্যতামূলক ছুটি
যৌন হয়রানির ঘটনায় টানা ৯দিন ধরে চলমান শিক্ষার্থী আন্দোলনে অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে ত্রিশালে অবস্থিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়। এ ঘটনায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবসম্পদ ও ব্যাবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাজন শাহ এবং বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক রেজুয়ান আহমেদ শুভ্রকে অনির্দ্দিষ্টকালের জন্য বাধ্যতামূলক ছুটি দেওয়া হয়েছে।   বুধবার (১৩ মার্চ) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ন কবীর স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে উদ্ভূত পরিস্থিতি এই অফিস আদেশ জারি করা হয়। একই সঙ্গে এই আদেশে আরও বলা হয়, মানবসম্পদ ও ব্যাবস্থাপনা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক রেজুয়ান আহমেদ শুভ্রকে বিভাগীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে এবং উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর বিভাগীয় প্রধানের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করবেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এই আদেশে নাখোশ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি- যৌন হয়রানির ঘটনায় অভিযুক্ত মানবসম্পদ ও ব্যাবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাজন শাহ এবং তাকে প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক রেজুয়ান আহমেদ শুভ্র’র স্থায়ী বহিস্কার আদেশ। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ঘটনার ১৩ দিনেও যৌন হয়রানির ঘটনায় বিচার না হওয়ায় এবং এখন পর্যন্ত গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন প্রকাশ না করে তালবাহানা করার অভিযোগে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে আন্দোলনকারিরা। এ সময় তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসসিক ভবন, সকল বিভাগের ফটক এবং ব্যাংকে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ করে। এ ঘটনায় উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর তালাবদ্ধ প্রশাসনিক ভবনের ফটকে এসে আন্দোলনকারিদের শান্ত করার চেষ্টা করে। এতে শিক্ষার্থীরা আরও ক্ষুব্ধ হয়ে বিকেল পৌনে ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে অবস্থান নেয়। এতে মহাসড়কের দুই পাশের যানজটের সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় ব্যাপক ভোগান্তির মুখে পড়েছে মহাসড়কে চলাচলরত সাধারণ যাত্রীরা।     ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অবরোধের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।   প্রসঙ্গত, অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এক ছাত্রীকে অনুপস্থিত দেখিয়ে পরীক্ষায় জরিমানা আদায়, নম্বর কম দেওয়া ও থিসিস পেপার আটকে যৌন হয়রানি করার অভিযোগ উঠে মানবসম্পদ ও ব্যাবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাজন শাহ’র বিরুদ্ধে। এ ঘটনার বিচার দাবিতে গত ৪ মার্চ আন্দোলন শুরু করে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচার দাবি করে ওই বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।   এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ট্রেজারার ড. আতাউর রহমানকে প্রধান করে ৫ মার্চ ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। কিন্তু এই তদন্ত কমিটি গঠনের একদিন পর ৬ মার্চ আন্দোলনকারিরা মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয়। এ সময় তারা ওই বিভাগের শিক্ষকদের নেমপ্লেটসহ ভাঙচুর করে বিভাগীয় প্রধানের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির ঘটনায় প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ তুলে তাকেও তদন্তের আওতায় আনার দাবি জানান। পরে দাবি মেনে তদন্ত কমিটি পুর্নগঠন করে বিভাগীয় প্রধান রেজুয়ান আহমেদ শুভ্রকেও তদন্তের আওতায় নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কিন্তু দীর্ঘ সময়ে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ না করায় বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে শিক্ষার্থীরা।        
১৩ মার্চ ২০২৪, ২১:৩৫

ছাত্রীকে যৌন হয়রানি : ৭ দিন ধরে তালাবদ্ধ মানবসম্পদ বিভাগ
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীকে যৌন হয়রানি ও হেনস্তার ঘটনায় শিক্ষার্থী আন্দোলনে সাত দিন ধরে তালাবদ্ধ মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ। এ কারণে বিভাগটিতে ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। এতে অচলাবস্থার সৃষ্টি হওয়ায় মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের ৬টি ব্যাচের ২৮৪ জন শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি বিনষ্ট হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক পরিবেশ।  বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এক ছাত্রীকে অনুপস্থিত দেখিয়ে পরীক্ষায় জরিমানা আদায়, নম্বর কম দেওয়া ও থিসিস পেপার আটকে যৌন হয়রানি করার অভিযোগ উঠে মানবসম্পদ ও ব্যাবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাজন শাহ’র বিরুদ্ধে। এ ঘটনার বিচার দাবিতে গত ৪ মার্চ আন্দোলন শুরু করে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচার দাবি করে ওই বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।  এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ট্রেজারার ড. আতাউর রহমানকে প্রধান করে ৫ মার্চ ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। কিন্তু এই কমিটি গঠনের একদিন পর ৬ মার্চ আন্দোলনকারিরা মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয়। এ সময় তারা ওই বিভাগের শিক্ষকদের নেমপ্লেটসহ ভাঙচুর করে বিভাগীয় প্রধানের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির ঘটনায় প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ তুলে তাকেও তদন্তের আওতায় আনার দাবি জানান। পরে দাবি মেনে তদন্ত কমিটি পুর্নগঠন করে বিভাগীয় প্রধান রেজুয়ান আহমেদ শুভ্রকেও তদন্তের আওতায় নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।     এরপরও আন্দোলন অব্যাহত রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে অশালীন স্লোগান দেয় শিক্ষার্থীরা। এ সময় আন্দোলনকারিরা দুই শিক্ষকের কুশপুত্তলিকা তৈরি করে জুতার মালা পড়ায়।  এনিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে বাইরে নানা আলোচনা-সমালোচনা সৃষ্টি হলে শিক্ষার্থীদের উসকে দিয়ে শিক্ষকদের ‘সম্মান হত্যা’ হয়েছে বলে দাবি করেন মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে গত ১০ মার্চ সাধারণ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে একটি খোলা চিঠি প্রকাশ করে তালাবদ্ধ বিভাগের সামনে মানববন্ধন করেন ১১ শিক্ষক।  এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার (১২ মার্চ) মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষকরা উপাচার্য ড. সৌমিত্র শেখর সঙ্গে দেখা করে তিন দফা দাবি জানিয়েছেন। দাবিগুলো হল- যৌন হয়রানির ঘটনায় তদন্তপূর্বক বিচার, কর্মপরিবেশ সৃষ্টি ও ভাঙচুর ঘটনায় তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ।   এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার যোগাযোগ করেও উপাচার্য (ভিসি) প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখরের বক্তব্য জানা যায়নি।  বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. হুমায়ন কবীর বলেন, যৌন হয়রানির ঘটনায় অধিকতর তদন্ত কমিটিসহ দুইটি কমিটি অভিযোগের তদন্ত করছেন। প্রতিবেদন হাতে পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সেই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করছি। এ লক্ষ্যে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে উপাচার্য বৈঠক করেছেন। আশা করছি দ্রুত সময়ে ক্যাম্পাসের পরিবেশ স্বাভাবিক হয়ে উঠেবে। এ বিষয়ে ট্রেজারার ও তদন্ত কমিটির প্রধান প্রফেসর ড. আতাউর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠকে আছি। এ বিষয়ে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
১৩ মার্চ ২০২৪, ০৮:১২

কবি নজরুল কলেজের শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা
রাজধানীতে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে কবি নজরুল কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী পিয়াস ইকবাল নুর (২৩) নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় শামীম (২৪) নামে আরও একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) উত্তর মুগদায় রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে মুগদা লিটন এঞ্জেল গলিতে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন নুর। স্থানীয়রা তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, নুরের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে জানানো হয়েছে।
০৮ মার্চ ২০২৪, ১৪:০৭

সহকারী অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ৩১ ছাত্রীর কুপ্রস্তাবের অভিযোগ
কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ২০১৯ সাল থেকে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টার অভিযোগ আনেন এক ছাত্রী। এবার ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ এনেছেন আরও ৩০ ছাত্রী। সোমবার (৪ মার্চ) বিকেলে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ভবনের সামনে আন্দোলন করেন শিক্ষার্থীরা। রোববার থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে শিক্ষকের অন্তরঙ্গ কথোপকথনের স্ক্রিনশট ভাইরাল হয়।  স্ক্রিনশটগুলোতে কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপকের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠে এসেছে। এতে অঙ্ক বুঝিয়ে দেওয়ার কথা বলে ব্যক্তিগত চেম্বারে ডাকা, মেসেঞ্জার-হোয়াটসঅ্যাপ-ইনস্টাগ্রামে মাঝরাতে ছাত্রীদের চা পানের নিমন্ত্রণ করা, শাড়ি পরে দেখা করতে বলা, ছবি ও ভিডিও চাওয়া, অশ্লীল ভিডিও লিংক শেয়ার করাসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘২০১৯ সালে ভর্তির পর থেকেই সাজন সাহা স্যার আমাকে নানান ধরনের মেসেজ দিতেন। রাত বিরাতে চা পানের আমন্ত্রণ, বাসায় কেউ না থাকলে আসতে বলা, একাকি অফিসে ডাকা এবং পাশাপাশি অশ্লীল ছবি ও ভিডিও লিঙ্ক দিয়ে বিরক্ত করতেন। তার কোর্সে ভালো নম্বর পাইয়ে দেওয়ার অফারও দিয়েছেন বহুবার। তার কথায় রাজি না হলে আমার ইন্টার্নশিপ রিপোর্ট আটকে রাখাসহ নানাভাবে হয়রানি করেন শিক্ষক সাজন সাহা।’ তিনি আরও বলেন, ‘সাজন সাহা স্যারের চা পানের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় আমার সব বিপদ নেমে আসে। ক্লাসে অনুপস্থিত দেখিয়ে পরীক্ষায় বসতে জরিমানা গুনতে হয়েছে আমাকে। পরীক্ষার নম্বর কমে গেছে, থিসিস পেপার নিয়ে বারবার হেনস্তার শিকার হতে হয়েছে। এ ছাড়া এমন আর অনেক ধরনের ভোগান্তির শিকার হতে হয় আমাকে। সবশেষ উপায় না পেয়ে মুখ খুলতে বাধ্য হয়েছি।’ ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী গণমাধ্যমে বলেন, ‘আমি ২০১৮-১৯ ব্যাচে ভর্তি হই। এরপর ২০১৯ সাল থেকে শিক্ষক সাজন সাহা আমার সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করে আসছেন। এখন অপারগ হয়ে আমি বিষয়টি প্রকাশ্যে এনেছি। আমার দাবি একটাই, ওই শিক্ষকের বহিষ্কার।’ ওই ছাত্রী মুখ খোলার পর আরও অন্তত ৩০ জন ছাত্রী একই অভিযোগ করেছে। তারা জানান, ফেসবুকে তাদের ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট দিয়েছিলেন সাজন সাহা। শিক্ষক বলে তার রিকোয়েস্ট একসেপ্ট করেন তারা। এরপরেই তাদেরকে জ্বালানো শুরু করেন সাজন সাহা। তাদেরকে ব্যক্তিগত চেম্বারে ডাকা, মেসেঞ্জার-হোয়াটসঅ্যাপ-ইনস্টাগ্রামে মাঝরাতে ছাত্রীদের চা পানের নিমন্ত্রণ করা, শাড়ি পরে দেখা করতে বলা, ছবি ও ভিডিও পাঠাতে বলেন ওই শিক্ষক। অভিযুক্ত শিক্ষকের জ্বালায় অতিষ্ঠ তারা। তার বিচারের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা। তারা আরও জানান, ব্যবস্থাপনা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক রেজুয়ান আহমেদ শুভ্র সাজন সাহাকে পরোক্ষভাবে প্রশ্রয় দিচ্ছেন। তাকে জানালে তিনি বিষয়টি সমাধানে নানা শর্ত জুড়ে দিতেন।  এদিকে অভিযুক্ত শিক্ষকে চাকরিচ্যুতি, অপরাধের সঙ্গে জড়িত সবাইকে শাস্তির আওতায় আনা, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, অনতিবিলম্বে পরীক্ষার ফল প্রকাশ, ভবিষ্যতে এ ঘটনার কোনো বিরূপ প্রভাব না পড়ার নিশ্চয়তার দফা দাবিসহ একটি লিখিত অভিযোগ উপাচার্যের কাছে জমা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত সহকারী অধ্যাপক সাজন সাহার সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তার নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। অভিযোগের বিষয়ে ব্যবস্থাপনা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান রেজুয়ান আহমেদ শুভ্র বলেন, তার বিরুদ্ধে প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। অন্য শিক্ষকের ব্যক্তিগত অপরাধের দায় তো আমরা নেবো না। এ বিষয়ে প্রক্টর সঞ্জয় কুমার মুখার্জী বলেন, মঙ্গলবার (৫ মার্চ) ওই শিক্ষার্থী লিখিত অভিযোগ দেবে বলে জেনেছি। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমার কাছে শিক্ষার্থীরা এসেছিল। এটি খুবই বিব্রতকর, ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
০৫ মার্চ ২০২৪, ১০:৪৭

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিরেক্ট অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রথম কমিটির অভিষেক
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের সংগঠন ডিরেক্ট অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রথম কার্যনির্বাহী কমিটির (২০২৪-২৬ মেয়াদ) অভিষেক অনুষ্ঠান ও শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।  রোববার (৩ মার্চ) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইনে যুক্ত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর।  নবগঠিত কমিটির সবাইকে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, শিক্ষকরা যেমন একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনা করেন, একইভাবে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন কেন্দ্রীক বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করে থাকেন। তারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করলেই বিশ্ববিদ্যালয় গতিপ্রাপ্ত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের প্রতি আমার ভালোবাসা রইলো। এই ভালোবাসা অতীতে ছিল, বর্তমানে আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পরিচালনায় কর্মকর্তাদের যে অপরিসীম সহযোগিতা পেয়েছি, সেটি সত্যিই আমাকে বিমোহিত করে। আমি এই সংগঠনের সার্বিক সফলতা কামনা করছি। সংগঠনটির প্রধান উপদেষ্টা মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. আতাউর রহমান, রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর। এছাড়াও কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুশাররাত শবনম, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান, চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. তপন কুমার সরকার, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) ড. মোসাম্মৎ জান্নাতুল ফেরদৌস, প্রক্টর সঞ্জয় কুমার মুখার্জী, ছাত্র উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ মেহেদী উল্লাহসহ বিভিন্ন বিভাগ ও দপ্তরের কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।  এর আগে, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ডিরেক্ট অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের ১৫ সদস্যের কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত হয়। কমিটিতে সভাপতি হিসেবে গ্রন্থাগারিক (ভারপ্রাপ্ত) শেখ মো. জালাল উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরের সহকারী পরিচালক ফাহাদুজ্জামান মো. শিবলী দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়াও সহ-সভাপতি পদে প্রকৌশলী আহসান উল্লাহ রাসেল ও সহকারী রেজিস্ট্রার মো. জাকিবুল হাসান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে সহকারী রেজিস্ট্রার আবু বকর সিদ্দিক ও নির্বাহী প্রকৌশলী (ইলেক্ট্রিক্যাল) মোফাজ্জল হোসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে বঙ্গবন্ধু হলের সেকশন অফিসার আপেল মাহমুদ, অর্থ সম্পাদক পদে রেজিস্ট্রার দপ্তরের সেকশন অফিসার মাহমুদুল আহসান (লিমন), দপ্তর, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. রেজাউদ্দৌলাহ প্রধান এবং ক্রীড়া, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে এনায়েত কবির নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়াও সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন নির্বাহী প্রকৌশলী (সিভিল) এ কে এম জহিরুল হাসান, উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক গোকুল চন্দ্র বসাক, বঙ্গবন্ধু হলের উপ-পরিচালক মাহমুদুল হাসান (মামুন), সিএসই বিভাগের প্রিন্সিপাল ডেমোনস্ট্রেটর (সফটওয়্যার) প্রকৌশলী মো. আলমগীর কবির ও রেজিস্ট্রার দপ্তরের সেকশন অফিসার নুসরাত জাহান।
০৩ মার্চ ২০২৪, ২৩:৪৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়