• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
প্রেমের ফাঁদে ফেলে অশ্লীল ছবি-ভিডিও ধারণ করতেন তারা!
প্রেমের ফাঁদে ফেলে অশ্লীল ছবি তুলে ব্ল্যাকমেইল করে টাকা হাতিয়ে নেওয়া চক্রের পাঁচ সদস্যকে আটক করেছে রাজবাড়ী জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ ব্যাপারে আটক পাঁচজনের বিরুদ্ধে রাজবাড়ী সদর থানায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে রাজবাড়ী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান খান এ তথ্য জানান। আটকরা হলেন- রাজবাড়ী শহরের বিনোদপর গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মো. মাসুদুর রহমান (৪৫), সদর উপজেলার বাগমারা গ্রামের হাসান আলীর মেয়ে মোছা. রিমা খাতুন (২৬), ভবানীপুর গ্রামের মৃত বানু মোল্লার ছেলে মো. ফজলুল হক (৫৩), লক্ষীনারায়নপুর গ্রামের মৃত ক্বারী আনোয়ার উল্লাহর ছেলে মো. এমদাদ হোসেন (৫৯) ও কালুখালী উপজেলার মদাপুর গ্রামের আবুল সরদারের ছেলে জামাল সরদার (৫২)। মো. মনিরুজ্জামান খান বলেন, রিমা খাতুন ফেসবুকের মাধ্যমে মাহফুজ নামে এক যুবককে প্রেমের ফাঁদে ফেলে কথা বলার জন্য মাসুদুর রহমানের বাসায় ডেকে আনেন। সেখানে মাসুদুর রহমান, জামাল সরদার ও ফজলুল হক রিমা ও মাহফুজকে উলঙ্গ করে মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওই ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে তারা মাহফুজের পরিবারের কাছ থেকে এক লাখ ২০ হাজার টাকা আদায় করে। পরে তারা এমদাদ হোসেনের মাধ্যমে বিয়ের ভুয়া কাবিননামা এবং নোটারি পাবলিকের হলফনামা তৈরি করে মাহফুজের পরিবারের কাছে আরও ১০ লাখ টাকা দাবি করে। এ ঘটনা মাহফুজের বাবা শাহজাহান খান রাজবাড়ী জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে জানায়। বৃহস্পতিবার রাতে গোয়েন্দা পুলিশর একটি দল রাজবাড়ী সদর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে চক্রটিকে আটক করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে পর্নোগ্রাফির প্রমাণসহ দুটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন, পাঁচটি মেমোরি কার্ড, ভুয়া কাবিননামার কপি ও বিয়ের হলফনামার কপিসহ প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত অন্যান্য কাগজপত্র জব্দ করা হয়।
৩০ মার্চ ২০২৪, ১৩:০৪

প্রেমের ফাঁদে ফেলে অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে প্রতারণা
দিনাজপুরের ধর্ষণ মামলার আসামি রাহমাতুর রাফসান অর্ণব রাজধানী ঢাকায় নতুন করে প্রতারণায় মেতে উঠেছেন। ইতোমধ্যে বিভিন্ন ভাবে প্রেমের ফাঁদে ফেলে তরুণীদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের পরে ব্ল্যাকমেইল করে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। অর্ণবের প্রেমের ফাঁদে পড়ে উঠতি বয়সী অনেক তরুণী সর্বস্ব হারিয়েন। এসব ঘটনায় দিনাজপুর ও ঢাকায় তার নামে একাধিক মামলা করেছেন ভুক্তভোগীরা। এ ছাড়া মাদক ব্যবসা, চাকরি দেওয়া ও বিদেশ লোক পাঠানোর নামে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে অর্ণবের বিরুদ্ধে। মামলার নথি ও পুলিশ সূত্র জানায়, পুলিশের ডিআইজির ছেলের ভুয়া পরিচয় দিয়ে পুলিশের ভ্যান ব্যবহার ও ডিএমপির স্টিকার লাগিয়ে, হুডার ব্যবহার করে অর্ণব কক্সবাজার থেকে ইয়াবাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য নিয়ে এসে সারাদেশে ছড়িয়ে দেয়। সেই সাথে পুলিশের বড় কর্মকর্তা পরিচয়ে বিভিন্ন মানুষকে হুমকিও দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এ ছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন শিল্পপতি ও ধনাঢ্য ব্যক্তিদের মেয়েদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ করে সেসব ভিডিও ধারণ করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন তিনি। এসব বিষয়ে জানার জন্য তার বাবা পুলিশ কর্মকর্তা জাহিদের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। অভিযুক্ত অর্ণবের সাথে এই বিষয়ে কথা বলতে ফোন করলে সাংবাদিক পরিচয় শুনেই তিনি আর কথা বলতে ইচ্ছুক নয় বলে ফোন কেটে দেন। প্রসঙ্গত, এর আগে দিনাজপুর শহরে লিগেসি নামের একটি চায়নিজ রেস্টুরেন্টের আড়ালে তরুণীদের ব্ল্যাকমেইল করে অর্থ আদায় ও ধর্ষণ মামলায় জেল খেটেছেন অর্ণব।
২৫ মার্চ ২০২৪, ২২:০৮

স্ত্রীর ভিডিও ধারণ করে টাকা আদায়ের অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে
নোয়াখালীর হাতিয়ায় স্বামীর সঙ্গে একান্ত মুহূর্তের ধারণকৃত ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়ের অভিযোগ করেছেন স্ত্রী (৩৫)। শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) হাতিয়া থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেন ওই ভুক্তভোগী নারী। অভিযুক্ত আবুল হাশেম (৪১) সোনাদিয়া ইউনিয়নের সোনাদিয়া গ্রামের মো. আব্দুল কুদ্দুছের ছেলে। ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, স্বামী আবুল হাসেম প্রথম বিয়ের কথা গোপন রেখে তাকে বিয়ে করেন। বিয়ের প্রাথমিক অবস্থায় স্বামী-স্ত্রীর অন্তরঙ্গ মুহূর্তের দৃশ্য মোবাইলে ধারণ করে রাখে আবুল হাসেম। এভাবে বিভিন্ন সময় দৃশ্য ধারণ করতো। স্বামী হওয়ায় অভিযোগকারী তাতে আপত্তি করত না। পরবর্তীতে স্বামী আবুল হাসেম স্ত্রীর কাছে অর্থ দাবি করত। অর্থ প্রদানে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করলে ধারণকৃত শারীরিক সম্পর্কের ভিডিও এবং স্থিরচিত্রগুলো ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখায়। নিরুপায় হয়ে সম্মানের ভয়ে বিভিন্ন তারিখে স্বামীকে ৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা প্রদান করে ভুক্তভোগী। গত ১৯ জানুয়ারি আবারও ভিডিও ভাইরাল করার ভয় দেখিয়ে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। তিনি বলেন, আমার স্বামী আমাদের একান্ত সময়ের সম্পর্কের ধারণ করা ভিডিওগুলো ভাইরাল করার ভয় দেখাচ্ছে। আমি আমার পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছি। সামাজিকভাবে আমি নিরুপায় হয়ে আছি। কাউকে মুখ দেখাতে পারছি না। আমি এসব যন্ত্রণা থেকে মুক্তি চাই। না হলে যেকোনো সময় আমি আত্মহত্যা করতে পারি। ওই নারীর চাচাতো ভাই আবদুল হাকিম বলেন, আমার বোনের তার স্বামীর সঙ্গে কোনো ডিভোর্স হয়নি। কোনো কাগজপত্রও পাইনি। নিরুপায় হয়ে আমার বোন আইনের আশ্রয় নিয়েছে। আমরা তাকে নজরদারিতে রাখছি। যেন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। দোষী আবুল কাশেমের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। অভিযোগ অস্বীকার অভিযুক্ত স্বামী আবুল কাশেম বলেন, আমাদের ১৫ দিন আগে ছাড়াছাড়ি হয়েছে। সে এখন আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে। অভিযোগ প্রমাণ করতে পারলে আমি সকল শাস্তি মাথা পেতে মেনে নেব। হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিসান আহমেদ বলেন, ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলমান, অভিযোগের সত্যতা পাই তাহলে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ছাড়াও ভুক্তভোগী নারী যদি কোনো নিরাপত্তা চায় আমরা সহযোগিতা করব।
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:০৫

বিএনপি কালো ব্যাচ ধারণ করলে ষোলোকলা পূরণ হবে : কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি সবকিছু হারিয়ে শোক সাগরে নিমজ্জিত। এখন আর তাদের সামনে কিছু নেই। কালো পতাকার সঙ্গে কালো ব্যাচ ধারণ করতে বলব। কালো ব্যাচ ধারণ করলে ষোলোকলা পূরণ হবে। সোমবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি। ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি বিভিন্নভাবে সরকারবিরোধী তৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে। তাদের অগ্নি-সন্ত্রাসের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে গুজব-সন্ত্রাস। কথার বোমা মেরে এ সরকারকে উৎখাত করা যাবে না। অপজিশন কে হবে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের পাল্টা প্রশ্ন করেন, বিরোধী দল কে হওয়া উচিত? পরে সাংবাদিক দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হবে বলে উত্তর দিলে তিনি আবার বলেন, ‘তাহলে ধরে নিন তারাই হচ্ছে।’ তাহলে আওয়ামী লীগ ভার্সেস আওয়ামী হয়ে যাচ্ছে কি না? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, তারা একটা রাজনৈতিক দল, আওয়ামী লীগ ভার্সেস আওয়ামী লীগ মানে? আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক যোগ করে বলেন, তাদের পার্টি হচ্ছে জাতীয় পার্টি, নট আওয়ামী লীগ। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা স্বতন্ত্র আছে। আর দল যদি বলেন, তাহলে বিরোধী দলতো জাতীয় পার্টি। এ সময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, কার্যনির্বাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন, পারভীন জামান কল্পনা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, এবারের নির্বাচনে একক দল হিসেবে জাতীয় পার্টি ১১টি আসন পেয়েছেন। সে হিসেবে তারাই সংসদে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করবে।
২২ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:৪৯

গৃহবধূর নগ্ন ভিডিও ধারণ করে চাঁদাবাজি, গ্রেপ্তার ২
নোয়াখালী সদর উপজেলায় পল্লী চিকিৎসককে ব্ল্যাকমেইল করে এক গৃহবধূর সঙ্গে নগ্ন ভিডিও ধারণ করে চাঁদাবাজির অভিযোগে ২ যুবককে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। একই সঙ্গে পুলিশ পর্নোগ্রাফি ভিডিওসহ দুটি মোবাইল, নগদ ১০ হাজার টাকা ও এক জোড়া স্বর্ণের দুল উদ্ধার করে।   গ্রেপ্তারকৃত মো. আফনান হোসেন শুভ (২০) উপজেলার দেবীপুর গ্রামের আবদুর রহমান মিস্ত্রি বাড়ির মো. হারুনের ছেলে এবং রুহুল আমিন (৩৫) একই গ্রামের নোমান হুজুরের বাড়ির মৃত আহাম্মদ উল্যাহর ছেলে। শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার নেয়াজপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের দেবীপুর গ্রাম থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।   শনিবার (২০ জানুয়ারি) এ তথ্য নিশ্চিত করেন নোয়াখালী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, উপজেলার নেয়াজপুর ইউনিয়নের একজর পল্লী চিকিৎসক (২৯) গত ৩ জানুয়ারি রাতে তার প্রতিবেশী এক গৃহবধূর ছেলে অসুস্থ্য হওয়ায় ফার্মেসী বন্ধ করে ওষুধ নিয়ে তার বাড়িতে যায়। ওষুধ দিয়ে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একই এলাকার বখাটে মো. আফনান হোসেন শুভ, মো. রুহুল আমিন ও মো. সোহেলসহ অজ্ঞাত ৩/৪ জন পল্লী চিকিৎসককে ধারালো চাকু দেখিয়ে গৃহবধূর বসতঘরে নিয়ে মারধর করে।এরপর হুমকি-ধমকি দিয়ে জোরপূর্বক উভয়কে উলঙ্গ করে তাদের মোবাইল ফোনে আপত্তিকর ভিডিও চিত্র ধারণ করে। একপর্যায়ে নগ্ন ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে তারা। এরপর বিভিন্ন ধাপে পল্লী চিকিৎসকের থেকে নগদ ৪ লাখ ১১ হাজার টাকা ও ৩ আনা ওজনের স্বর্ণের কানের দুল নিয়ে যায়।  ওসি নাজিম উদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, ভুক্তভোগী পল্লী চিকিৎসক এ ঘটনায় পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। পরে ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার আসামিদের সুধারাম থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় পর্নোগ্রাফিসহ চাঁদাবাজির আইনে মামলা হয়েছে।  
২০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:০০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়