• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
চাঁদের আলোয় ধান কাটছেন চাষিরা
অতিরিক্ত গরমে দিনে হিটস্ট্রোকের ভয়ে শরীয়তপুরের ধানচাষিরা চাঁদের আলোয় ধান কাটছেন। শরীয়তপুর জেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে জেলার ছয় উপজেলায় ২৫ হাজার ৫২৬ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করা হয়েছে। এরমধ্যে সদর উপজেলায় ৫ হাজার ৫৮৫ হেক্টর, নড়িয়া উপজেলায় ৫ হাজার ৪২০ হেক্টর, জাজিরা উপজেলায় ১ হাজার ১৫১ হেক্টর, ভেদরগঞ্জ উপজেলার ৪ হাজার ৬৫০ হেক্টর, ডামুড্যা উপজেলায় ৩ হাজার ৮২১ হেক্টর ও গোসাইরহাট উপজেলায় ৪ হাজার ৮৯৮ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। গত বছর জেলায় আবাদ করা হয়েছিল ২৫ হাজার ১৯০ হেক্টর জমিতে। আর উৎপাদন হয়েছিল ১ লাখ ১৫ হাজার ৯০৬ টন। গত বছরের তুলনায় এ বছর উৎপাদন বেড়েছে ৩৩৬ হেক্টর জমিতে। চলতি মৌসুমে জেলায় বোরো ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১৭ হাজার ৬২৭ টন। তবে একটানা চলা প্রচণ্ড দাবদাহে ধানের উৎপাদনে কিছুটা ব্যাঘাত ঘটবে বলে ধারণা করছে কৃষিবিভাগ। আঙ্গারিয়া এলাকার ধানচাষি আজিজুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, আমি রাতে কৃষাণ নিয়ে ৪০ শতাংশ জমির ধান কাটার কাজ শুরু করেছি। মূলত দিনে হিটস্ট্রোকের ভয়ে অনেকেই ধান কেটে দিতে রাজি হননি। পরে রাতে ধান কাটা শুরু করি। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (উদ্যান) মোহাম্মদ রিয়াজুর রহমান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, প্রচণ্ড দাবদাহে আমাদের কৃষকদের দিনে ধান কাটা খুবই কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ, অতিরিক্ত গরমে কাজ করলে স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে।  তিনি আরও বলেন, বর্তমানে আমাদের জেলার বিভিন্ন জায়গায় রাতে ধান কাটা হচ্ছে। এতে হিটস্ট্রোক এড়ানো সম্ভব হচ্ছে। 
১১ ঘণ্টা আগে

নোয়াখালীতে ধান কাটার মেশিনের ধাক্কায় শিশুর মৃত্যু
নোয়াখালীর চাটখিলে ধান কাটার মেশিনের ধাক্কায় জান্নাতুল ফেরদাউস (৮) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।   সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার হাটপুকুরিয়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের গোবিন্দপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।   নিহত ফেরদাউস একই ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের চৌকিদার বাড়ির হেলাল হোসেনের মেয়ে। সে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল।   পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিকেলের দিকে ফেরদাউস তাদের বাড়ির সামনে ধান খেতে শিশুদের সঙ্গে খেলাধুলা করছিল। ওই সময় অসাবধানতাবশত ধান কাটার রোলার মেশিন পেছনের দিক থেকে তাকে ধাক্কা দেয়। এতে কানে, চোখে, মাথায় গুরুতর আঘাত পায় সে। পরে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। চাটখিল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল খায়ের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।   তিনি বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। নিহত শিশুর পরিবার লিখিত কোনো অভিযোগ না দিলে এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা নেওয়া হবে।  
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৫৬

তীব্র তাপদাহে কৃষকের ধান কেটে ঘরে তুলে দিলো ছাত্রলীগ
নোয়াখালীর সদর উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের হাকিমপুর গ্রামের কৃষক জসিম উদ্দিন ও কৃষক মাসুদ মিয়ার ৫৫ শতাংশ জমির পাকা বোরো ধান কেটে দিয়েছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে ধানগুলো মাড়াই করে কৃষকদের ঘরে তুলে দিয়েছেন তারা। এতে গ্রীষ্মের প্রচণ্ড তাপদাহের কারণে শ্রমিক সংকটে থাকা ওই দুই কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। রোববার (২১ এপ্রিল) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দাদপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা ইকবাল হোসেন প্রায় ২০ জন নেতাকর্মীকে সঙ্গে নিয়ে ধানগুলো কেটে দেন। কৃষক জসিম উদ্দিন বলেন, ‘অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে শ্রমিকদের মজুরি এবার বাড়তি। অন্যদিকে চলছে গ্রীষ্মের তাপদাহ। আবার দেশের অন্য জায়গা থেকে শ্রমিক এখনো আসা শুরু করেনি। ঝড় বৃষ্টির শঙ্কায় জমির পাকা ধান ঘরে তোলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলাম। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এ খবর শুনে আমার ২৫ শতাংশ জমিতে থাকা ধানগুলো কেটে মাড়াই করে ঘরে তুলে দিয়েছেন। তাদের এমন কাজে আমি ভীষণ খুশি।’ কৃষক মাসুদ মিয়া বলেন, ‘ধারদেনা করে নিজের ৩০ শতাংশ জমিতে এবার বোরো ধানের চাষ করেছি। সার, বীজ ও কীটনাশকের বাড়তি দামের কারণে খরচ অনেক বেশি হয়েছে। পাকা ধানগুলো ঘরে তোলা নিয়ে চিন্তায় ছিলাম। গরমের কারণে শ্রমিকরা কাজ করতে রাজি না। করলেও বাড়তি দাম দিতে হয়। কোনো প্রতিদান ছাড়াই ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ধানগুলো কেটে মাড়াই করে ঘরে তুলে দিয়েছে। আশা করি তারা আমার মতো অন্য কৃষকদের পাশেও দাঁড়াবে।’ ছাত্রলীগ নেতা ইকবাল হোসেন বলেন, ‘ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সংসদের নির্দেশনা অনুযায়ী জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের শ্রমিক সংকটের কারণে যেসব কৃষক পাকা ধান ঘরে তুলতে পারছেন না আমরা তাদের ধান কেটে ঘরে তুলে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছি। এতে কৃষকের যেমন উপকার হচ্ছে তেমনি আমরাও কৃষকের পাশে দাঁড়াতে পেরে অনেক ভালো লাগছে।’ নোয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শামছুল হুদা বাপ্পি বলেন, ‘কৃষকের ধান কেটে ঘরে তুলে দেওয়া মহৎ কাজ। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ দেশের যেকোনো দুর্যোগ, দুঃসময়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। আগামীতেও সাধারণ মানুষের পাশে থাকবে।’
২১ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৫৪

মেহেরপুরে তীব্র তাপপ্রবাহ, দুশ্চিন্তায় বোরো ধান চাষিরা
মেহেরপুরসহ কয়েকটি জেলার ওপর দিয়ে বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ। এতে বোরো ধান নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন জেলার চাষিরা। অন্যদিকে তীব্র তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ জনজীবন।  রোববার (২১ এপ্রিল) সকাল থেকে ঝলমলে রোদে তাপমাত্রা বাড়িয়ে দিচ্ছে। এতে তীব্র গরম অনুভূত হচ্ছে। এর আগে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করে। যা এ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এ অঞ্চলে।  চাষিরা জানান, রাত দিন ২৪ ঘণ্টা চালানো হচ্ছে সেচ-পাম্প। তবুও সেচের জোগান হচ্ছে না। দিনের বেলায় তীব্র খরতাপে জমিতে সেচ দেওয়ার সঙ্গেসঙ্গেই তা শুকিয়ে যাচ্ছে। ফলে ধানের শীষ বের হওয়ার গুরুত্বপূর্ণ সময়ে চিটা পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে প্রচণ্ড তাপদাহের বিরূপ প্রভাব পড়েছে শ্রমজীবী আর কর্মজীবী মানুষের জীবনে।  গ্রামের চায়ের দোকানগুলোতে যেখানে মানুষ অবসর সময় আড্ডা দেয় সেখানের চিত্রও বদলে গেছে। সকাল ৯টার পর তেমন কাউকেই পাওয়া যাচ্ছে না। শহরের সড়কগুলোর মতো গ্রামের রাস্তাঘাট হয়ে যাচ্ছে ফাঁকা। শ্রমজীবী আর কর্মজীবী মানুষ তীব্র রোদ আর গরমে কাজ করতেও পারছে না। ফলে তাদের আয়-রোজগারে একটা বড় ধরনের ধাক্কা লেগেছে।  গ্রামের অনেকেই জানান, এক সময় গাছ গাছালিতে ভরপুর ছিল গ্রামগুলো। বড় বড় গাছ উজাড় করার কারণে শহুরে পরিবেশ বিরাজ করছে। যতটুকু শীতল ছায়া রয়েছে তা তীব্র গরমকে প্রতিরোধ করতে পারছে না।  
২১ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৪২

ধান খেয়েছে হাঁস, মারামারিতে নিহত ১
সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায় হাঁসের ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে নোয়াব আলী (৫৮) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে তার মৃত্যু হয়। এর আগে, বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার শিমুলবাঁক ইউনিয়নের তেরহাল গ্রামের জুবুর খুল হাওরে এ ঘটনা ঘটে।  নোয়াব আলী একই গ্রামের মৃত জায়ফর আলীর ছেলে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার সন্ধ্যায় হাঁসের ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে নোয়াব আলী ও তাজুল ইসলামের মধ্যে মারামারি হয়। এতে দুজনই আহত হন। পরে নোয়াব আলী নোয়াখালী বাজারে পল্লী চিকিৎসকের কাছে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে যান। আজ সকালে মারা যান তিনি। শান্তিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী মোক্তাদির হোসেন বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৫০

ধান শুকানোর জায়গা নিয়ে দু’পক্ষের ৩ ঘণ্টা সংঘর্ষ, আহত ৫০
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে ধান শুকানোর জায়গা দখল নিয়ে গ্রামবাসীদের দুটি পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক লোক।  বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়ে ৯টা পর্যন্ত চলে এই সংঘর্ষ। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ধান শুকানোর জায়গা দখল নিয়ে সরাইল উপজেলার পরমানন্দপুর গ্রামের সোনাউল্লাহ গোষ্ঠীর মান্নান মিয়ার সঙ্গে বুইল্লার বাড়ির রাশিদ মিয়ার মধ্যে কথা–কাটাকাটি হয়। খবর পেয়ে ওই দুই গোষ্ঠীর লোকজন পরমানন্দপুর চান্দালের মাঠে মুখোমুখী সংঘর্ষে জড়ায়। পরে সোনাউল্লাহর পক্ষে যোগ দেয় খাঁবাড়ি, কৈবতবাড়ির লোকজন। অপরদিকে বুইল্লার বাড়ির সঙ্গে যোগ দেয় বুদ্ধির গোষ্ঠী, বড়বাড়ি ও উজিবাড়ির লোকজন।  পুরো গ্রামই দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষের নেতৃত্ব দেন সানাউল্লাহ গোষ্ঠীর কাঞ্চন মিয়া এবং বুইল্লার দলের পক্ষে জিয়াউল আমিন। ৩ ঘণ্টা ধরে চলা এই সংঘর্ষে ৫০ জনেরও বেশি আহত হন। এর মধ্যে গুরুতর আহতরা হলেন– ওসমান মিয়া (৫৫), কাঞ্চন মিয়া (১৬), টাক্কাবালি (১৬), জিয়াউর রহমান (১৬) ও মন মিয়াকে (৩০) ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। অন্য আহতদের সরাইল, ভৈরব ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া হাসপাতালে পাঠানো হয়। সকাল ৯টা পর্যন্ত সংঘর্ষ চলার পর পুলিশ সেখানে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরান হোসেন বলেন, রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। ঘটনাস্থল থেকে এ পর্যন্ত ১৫ জনকে আটক করা হয়েছে।
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:১১

হাওরের পাকা ধান নিয়ে উদ্বিগ্ন কৃষক, শ্রমিক সংকট
সুনামগঞ্জের হাওরে হাওরে পাকা ও আধপাকা ধান ঢেউ তুলছে। সুন্দর এই দৃশ্য মনে দোলা দিলেও জলাবদ্ধতা আর পাহাড়ি ঢলের শঙ্কা তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে হাওরের কৃষকদের। মঙ্গলবার রাতে বজ্রসহ শিলাবৃষ্টিতে দিরাই উপজেলার কালিয়াকুটা হাওরের পূর্ব অংশে প্রায় ২০০ হেক্টর বোরো জমির ফসল  ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের কাইমা, মধুপুর, বেগমপুর, আনোয়ারপুর, গচিয়া ও খেজাউড়া গ্রামের সহস্রাধিক কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। জলাবদ্ধতা আর শিলাবৃষ্টির শঙ্কার মধ্যে আগেভাগেই জেলার বিভিন্ন হাওরে ধান কাটছেন কৃষক। তবে হাওরের বেশির ভাগ জমির ফসল কাঁচা অবস্থায় থাকায় বিপাকে তারা। অন্যদিকে জলাবদ্ধতা, পাহাড়ি ঢল, বজ্রপাত ও শিলাবৃষ্টির কারণে হাওরে পর্যাপ্ত ধানকাটা শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। বিগত সময়ে বাইরের জেলা থেকে অস্থায়ীভাবে বিপুলসংখ্যক খেতমজুর এলেও এবার তার বিপরীত। কম্বাইন হার্ভেস্টর ও ধানকাটার আধুনিক মেশিন প্রচলনে সনাতন পদ্ধতিতে ধান কাটায় মুনাফা কম পাওয়া শ্রমিকদের সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন কৃষকরা। ফলে ধান কাটার মৌসুমে শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে হাওরের পাকা ধান দ্রুত কাটতে ভর্তুকিমূল্যে জেলার ১২ উপজেলার সাড়ে ৮০০ কম্বাইন হার্ভেস্টর মেশিন কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। তবে হার্ভেস্টর মেশিন হাওরের উঁচু এলাকার ধান কাটতে সহায়ক হলেও তুলনামূলক নিচু উর্বর জমির ধান কাটতে না-পারায় বিপাকে কৃষক। তাই সনাতন পদ্ধতিতে ধান কাটতে শ্রমিকদের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে কৃষকদের। পর্যাপ্ত শ্রমিক না পাওয়ায় হাওরের ফসল নিয়ে দুশ্চিন্তায় তারা। শান্তিগঞ্জ উপজেলায় খাই হাওরের কৃষক সিজাউল ইসলাম বলেন, প্রতিবছর সিলেটের কানাইঘাট এলাকা থেকে ধানকাটা শ্রমিক আসেন। এবারও ১০ জন শ্রমিক আসার কথা ছিল। গতকাল ফোন দিয়ে তারা আসবে না বলে জানিয়েছেন। এখন হাওরের ধান কাটা নিয়ে চিন্তায় আছি। কীভাবে এত ধান কাটব। সদর উপজেলার কৃষক রহমত মিয়া বলেন, হার্ভেস্টর মেশিন পানিতে বা নরম জমিতে ধান কাটতে পারে না। তাই নিচু এলাকায় জমির ধান কাটার জন্য শ্রমিকের ওপর নির্ভর করতে হয়। এখন আগের মতো শ্রমিক পাওয়া যায় না। আকাশের অবস্থাও ভালো না। কবে কী হয়, বলা যায় না। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ১০ হাজার শ্রমিক সুনামগঞ্জে ধান কাটতে এসেছেন। জেলায় ২ লাখ শ্রমিক রয়েছে। তাছাড়া অস্থায়ী ভিত্তিতে আরও ৩০ হাজার অনিয়মিত শ্রমিক ধান কাটার কাজে নিয়োজিত রয়েছেন। একই তথ্য জানিয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিমল চন্দ্র সোম বলেন, এবার হাওরে শ্রমিক সংকট দেখা দেবে না। বুধবার পর্যন্ত জেলায় ৪০ হাজার হেক্টর জমির ফসল কাটা হয়েছে। প্রতিদিন ১০ হাজার হেক্টর জমির ফসল কাটা যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৪৬

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ধান কাটা নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষ, নিহত ১
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে খাস জমিতে ধান কাটাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে কামাল উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এতে কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।  শনিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে সরাইলের শাহজাদাপুরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।  কামাল উদ্দিন শাহজাদাপুর গ্রামের মৃত সাদাত আলীর ছেলে।  ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সরাইল থানার ওসি মো. এমরানুল ইসলাম। ওসি এমরানুল বলেন, শাহজাদাপুর গ্রামের একটি খাস কৃষি জমি নিয়ে অনেক দিন ধরেই স্থানীয় জুয়েল মেম্বার ও রিপন মিয়ার মধ্যে বিরোধ চলছিল। সেই সূত্র ধরে শুক্রবার দুপুরে জুয়েল মেম্বার ও তার লোকজন বিরোধপূর্ণ কৃষি জমির ধান কেটে নেয়। এরপর পুলিশ বিষয়টি জানতে পেরে সেই ধানগুলো তাদের কাছ থেকে জব্দ করে অপর পক্ষকে ফেরত দেয়।  ওসি আরও বলেন, এরই জের ধরে দুপক্ষ আজ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে কামাল উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি নিহত হন। দুপক্ষের ২০ থেকে ২৫ জন আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৯ জনকে আটক করা হয়েছে। মরদেহের সুরতহাল করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এখন এলাকার পরিস্থিতি শান্ত আছে। সরাইল সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রকিবুল হাসান জানান, শাহজাদাপুর গ্রামটি সরাইল উপজেলা সদর থেকে অনেক প্রত্যন্ত। সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ গ্রামে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরবর্তী সংঘাত এড়াতে গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৪৮

আউশের উৎপাদন বাড়াতে এবার ৬৪ কোটি টাকার প্রণোদনা
ধানের উৎপাদন করতে কৃষকদের উৎসাহ দিতে আবার পাশে দাঁড়িয়েছে সরকার। এবার আউশের আবাদ ও উৎপাদনে প্রণোদনা দেবে সরকার। প্রণোদনার অঙ্কটি নেহাত কম নয়, ৬৪ কোটি ১৫ লাখ। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশের ৯ লাখ ৪০ হাজার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক এ প্রণোদনার আওতায় বিনামূল্যে বীজ ও সার পাবেন। উচ্চফলনশীল আউশ ধানের উৎপাদন বাড়াতে এ প্রণোদনার আওতায় একজন কৃষক এক বিঘা জমিতে চাষের জন্য প্রয়োজনীয় ৫ কেজি বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার বিনামূল্যে পাবেন। অধিক ফলনশীল ব্রিধান ৪৮, ব্রিধান ৮২, ব্রিধান ৮৫, ব্রিধান ৯৮, ব্রিধান ১৯ ও ব্রিধান ২১ এর বীজ দেওয়া হবে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত বাজেট কৃষি পুনর্বাসন সহায়তা এবং বীজ ও চারা খাত থেকে এ প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত সরকারি আদেশ জারি হয়েছে।  
১২ মার্চ ২০২৪, ১৯:২৯

অবৈধভাবে ধান মজুত করায় ব্যবসায়ীকে জরিমানা
জয়পুরহাটে অবৈধভাবে ধান মজুত করার অপরাধে লোকমান আলী নামে এক ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সদর উপজেলার শুক্তাহার এলাকায় র‌্যাবের সহযোগিতায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ইফতেখারুল আলম রিজভী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।   তিনি জানান, র‌্যাবের গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে খাদ্য দপ্তরকে সঙ্গে নিয়ে একটি  গোডাউনে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। গোডাউনে প্রায় সাড়ে ৩শ’  মেট্রিকটন ধান মজুদ অবস্থায় পাওয়া গেছে। ক্রয়-বিক্রয়ের রশিদ না থাকায় এবং অবৈধভাবে ৩০ দিনের বেশি সময় ধরে গোডাউনে ধান মজুদ রাখার দায়ে ব্যবসায়ী লোকমান আলীকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া আগামী ৭ দিনের মধ্যে গোডাউনে মজুদকৃত ধান খোলাবাজারে বিক্রির আদেশ দেওয়া হয়। এ সময় জয়পুরহাট র‌্যাব ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক মেজর মো. শেখ সাদিক ও সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অরুন কুমার প্রামাণিক উপস্থিত ছিলেন।
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:০৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়