• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
নিজের সিনেমার বেহাল দশা দেখে হতাশ পূজা চেরি
আসছে ঈদে মুক্তি পেয়েছে প্রায় ডজন খানেক সিনেমা। সেই তালিকায় রয়েছে পূজা চেরি ও আদর আজাদ অভিনীত ‘লিপস্টিক’। তবে সিনেমাটির নিয়ে বেশ বিপাকে পড়েছেন ছবির নায়ক-নায়িকাসহ কলাকৌশলীরা। স্টার সিনেপ্লেক্সে কোনো শো-ই পায়নি। নানা জটিলতার পর ব্লকবাস্টার, লায়ন সিনেমাসসহ আটটি হলে মুক্তি পেয়েছে ছবিটি।  নিজের সিনেমার এমন বেহাল দশা দেখে হতাশ পূজা। এর পেছনে নোংরা রাজনীতি দায়ী বলে মনে করছেন তিনি। বাংলাদেশে ভালো জিনিসের কদর নেই বলে মত তার। এক সাক্ষাৎকারে পূজা বলেন, আমরা নিজেরাই নিজেদের সিনেমার ক্ষতি করছি। এভাবে ভালো সিনেমার পথ রুদ্ধ হলে, কীভাবে আমাদের সিনেমা ঘুরে দাঁড়াবে? সিনেমায় নোংরা রাজনীতি ঢুকে গেছে। এমনিতেই হলের সংখ্যা কম, তার মধ্যে এই রাজনীতি। বাংলাদেশে ভালো জিনিসের কদর নেই। ‘লিপস্টিক’রাজনীতির শিকার উল্লেখ করে এ নায়িকা আরও বলেন, কেউ কেউ যখন নির্দিষ্ট করে কোনো কোনো হলে গিয়ে বা ফোনে তাদের সিনেমা মুক্তির জন্য হলমালিককে বলেন, আমার সিনেমার জন্য এই হল দিতেই হবে, হলমালিক দিতে বাধ্য। এমন ঘটনা এবার ঘটেছে। এভাবেই কোনো কোনো সিনেমা হল পেয়েছে। হতাশা ব্যক্ত করে পূজা বলেন, ভালো কাজ করেও তা দর্শকের কাছে পৌঁছে পারছেন না। এ ধরনের কাজ আর করা হবে কি না, জানি না। কিন্তু কম হল পাওয়ার কারণে ছবিটি সবাইকে দেখানো সম্ভব হচ্ছে না। আমার অভিনীত সিনেমা নিয়ে আগে এমনটি কখনোই হয়নি। মনটা ভালো নেই। এদিকে কিছুদিন আগে সিনেমা নিয়ে রাজনীতির শিকার হয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন সিনেমাটির নায়ক আদর আজদ।  সিনেমাটির বিভিন্ন চরিত্রে এতে অভিনয় করেছেন মিশা সওদাগর, শহীদুজ্জামান সেলিম, জায়েদ খান প্রমুখ। ছবিটি পরিচালনা করেছেন  কামরুজ্জামান রোমান। 
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২৫

ঈদের নামাজ শেষে সাকিবকে দেখে ভুয়া ভুয়া স্লোগান
সাবেক অধিনায়ক ও সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসানের পরিবার এখন বেশির ভাগ সময় দেশের বাইরেই বসবাস করছে। সাকিবের স্ত্রী ও তিন সন্তান আমেরিকাতেই থিতু হয়েছেন।  যে কারণে সাকিবও নিয়মিত সেখানে যাতায়াত করেন। ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে টেস্ট সিরিজ শেষে ওমরাহ করতে সৌদি আরবে গিয়েছিলেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। এরপর নিউইয়র্কে পাড়ি জমান তিনি। সম্প্রতি নিউইয়র্কের কাছে লং আইল্যান্ডে একটি বাড়িও কিনেছেন সাকিব। বুধবার (১০ এপ্রিল) সেখানে ঈদ উদযাপন করেছে মুসলিম সম্প্রদায়। সেখানকার জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারে সবচেয়ে বড় ঈদ জামাত হয়। সেখানে সবার সঙ্গে ঈদের নামাজ আদায় করেন সাকিব। তবে এদিন তাকে অস্বস্তিতে সময় কাটাতে দেখা গেছে। কিছুটা নিজেকে গুটিয়ে রেখেছিলেন তিনি। প্রথমে কালো জ্যাকেট ও মাস্কে ক্যামেরা থেকে নিজেকে আড়াল করার চেষ্টা করেন সাকিব। তবে কোনভাবেই বিষয়টি সম্ভব না হওয়ায় মাথা নিচু করে থাকার চেষ্টা করেন তিনি। এ সময়ে নিউইয়র্কে ঈদের নামাজে তাকে দেখে ভুয়া ভুয়া স্লোগান দেন সেখানে উপস্থিত সমর্থকরা। এর আগে, বিপিএলের ঢাকা পর্বের পর সিলেট পর্বেও তাকে গ্যালারিতে থাকা দর্শকদের মুখ থেকে ভুয়া-ভুয়া স্লোগান শুনতে হয়েছে। এমন বিব্রতকর পরিস্থিতিতেও নিজেকে সামলে নেন তিনি। কোন প্রতিক্রিয়া না দেখিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন তিনি। বিব্রত হওয়ার পরও বেশ শান্তই ছিলেন সাকিব। নামাজ শেষে দ্রুতই এলাকা ছেড়ে চলে যান সাকিব। এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে প্রত্যক্ষদর্শীকে বলতে শোনা যায়, জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারে (JMC) ঈদের নামাজ এবং সংবাদ সংগ্রহ করতে যাই। খুতবা শুরু হওয়ার আগে যথারীতি স্থানীয় নেতৃবৃন্দ সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের শেষে হঠাৎ করে একজনকে বলতে শুনা যায়, অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান এখানে আছেন, নামাজ পড়বেন। ঠিক তখনই পিছন থেকে অনেকেই ভুয়া ভুয়া বলে উঠেন। আমি তখন ঈদের দিন হিসেবে পজিটিভলি সেই দৃশ্য রেকর্ড করিনি। হঠাৎ করে লক্ষ্য করলাম একজন (ভাই) সেলফি তুলার জন্য সাকিবের কাছে এসে সেলফি তুলেন। একপর্যায়ে সাকিব ওই লোকের ওপর খেপে যান, তখন আমি দেখে বিষয়টি আঁচ করতে পেরে কুইক ক্যামেরা ওপেন করে দৃশটি ভিডিও শুট করলাম।  আরও বলতে শোনা যায়, পাশাপাশি আরও অনেক সাংবাদিক ছিলেন, তখন একপর্যায়ে তিনি (সাকিব) দোয়া না করেই মাঠ ত্যাগ করেন। আমি তখন জিজ্ঞেস করলাম, সাকিব (ভাই) কি হয়েছে, দোয়া করেই চলে যাচ্ছিলেন কেন একটু যদি বলতেন। তিনি কিছু না বলাতে আবার আমি জিজ্ঞেস করলাম (ভাই); কিছু একটু বলেন কেন এই ঘটনাটি ঘটেছে? আসলে যারা তার প্রিয় তারকার পাশে দাড়িয়ে একটা ছবি তুলতে আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং অনেকেই লাইনে দাড়িয়ে থাকেন। কিন্তু তারা একবারও চিন্তা করেন না যে আমি আজকে সেলিব্রিটি হয়েছি সেইসব ভক্তদের কারণে। একবারও ভাবেন না যে আমি সাকিব হয়েছি; তাদের কারণে যারা কি না; আমার নাম ধরে চিৎকার দিয়ে উল্লাস করে। তারপরেও আমি সাকিবের প্রতি পজিটিভ যদি তিনি তার রিয়েকশন বা তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়াকে ধৈর্যের সঙ্গে মোকাবিলা করতে পারেন।  
১১ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:১৮

তদন্ত কমিটি গঠন, ফুটেজ দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে : বুয়েট উপাচার্য
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার বলেছেন, ক্যাম্পাসে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের প্রবেশের ঘটনায় ৬ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ভিডিও ফুটেজ দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে, তবে সময় সাপেক্ষ বিষয় এটি। নিয়ম অনুয়ায়ী শাস্তি দেয়া হবে। শনিবার (৩০ মার্চ) তিনি এসব কথা বলেন। বুয়েট উপাচার্য বলেন, আগামী ৮ তারিখের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয়ার কথা বলা হয়েছে। ছাত্রদের দাবির বিষয়ে ভেবে দেখা হবে। এদিকে ক্যাম্পাসে দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। শনিবার (৩০ মার্চ) সকালে ক্যাম্পাসের মূল ফটকে বিভিন্ন প্লাকার্ড হাতে নিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা। পরে মূল ফটক ছেড়ে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন। বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি ইস্যুর সঙ্গে জড়িত ইমতিয়াজ রাব্বীসহ ৬ জনকে ২টার মধ্যে স্থায়ী বহিষ্কারের আল্টিমেটাম দেয় সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বেলা ১১টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে এই আল্টিমেটাম দেন তারা। এর আগে তারা সকাল থেকে বিভিন্ন প্লাকার্ড হাতে নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। শিক্ষার্থীরা বলেন, ২৮ মার্চ মধ্যরাতে ক্যাম্পাসে বহিরাগত অনুপ্রবেশে সাধারণ শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তার অভাববোধ করছি। ক্যাম্পাসকে নিরাপদ করার লক্ষ্যে শুক্রবার বুয়েট প্রশাসনের কাছে দাবি পেশ করেছিলাম। তারা বলেন, বুয়েটের সকল ব্যাচের শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের প্রথম দাবি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুস্পষ্ট বিধিমালা লঙ্ঘনের দায়ে ২৮ মার্চের মধ্যরাতে রাজনৈতিক সমাগমের মূল সংগঠক ইমতিয়াজ রাব্বির ইমতিয়াজ রাব্বির স্থায়ী একাডেমিক বহিষ্কার নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছি। উক্ত ঘটনায় ইমতিয়াজ রাব্বির সাথে বুয়েটের বাকি যেসকল শিক্ষার্থীরা জড়িত ছিল তাদের একাংশের নাম পরিচয় আমরা ছবি এবং ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে চিহ্নিত করেছি। তারা হলো এ. এস. এম. আনাস ফেরদৌস, মোহাম্মদ হাসিন আরমান নিহাল, অনিরুদ্ধ মজুমদার, জাহিরুল ইসলাম ইমন এবং সায়েম মাহমুদ সাজেদিন রিফাত। বিশ্ববিদ্যালয় সংবিধানের নিয়ম ভঙ্গের দায়ে এবং বুয়েট ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক অপশক্তি অনুপ্রবেশ করানোর চেষ্টা করায় এদের সকলের বুয়েট থেকে স্থায়ী একাডেমিক এবং হল বহিষ্কারের দাবি জানাচ্ছি।
৩০ মার্চ ২০২৪, ১৪:৪২

নামযজ্ঞ অনুষ্ঠান দেখে ফেরার পথে প্রাণ গেল ৩ জনের
মাগুরার শালিখা উপজেলার ছয়ঘড়িয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও ৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাত ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের মাগুরা সদর হাসপাতাল ও বাঘারপাড়ার একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। নিহতরা হলেন- নিরুপমা দে (৪৫), পুষ্প রানী দে (৪০) ও মধু শিকদার (৫০)। এদের মধ্যে নিরুপমা ও পুষ্প যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার নারিকেলবাড়িয়া গ্রামের। মধুর বাড়ি মাগুরায়।  জানা গেছে, শুক্রবার রাত ৮টার দিকে একটি সিএনজিযোগে মাগুরার চঞ্চল গোসাইয়ের আশ্রমে নামযজ্ঞ অনুষ্ঠান দেখতে যান তারা। নামযজ্ঞ অনুষ্ঠান থেকে বাড়ি ফেরার পথে শালিখা উপজেলার ছয়ঘড়িয়া হাজাম বাড়ির মোড়ে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে একটি নসিমন সিএনজিকে ধাক্কা দিলে উল্টে যায়। এ সময় ঘটনাস্থলে নিহত হন নিরুপমা ও পুষ্প। গুরুতর আহত নিহত নিরুপমা দের স্বামী নিতাই দে ও সিএনজিচালক বাবলু হোসেন। তাদেরকে প্রথমে নারিকেলবাড়িয়ায় একটি ক্লিনিকে আনা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাদেরকে যশোরে রেফার করা হয়েছে। মাগুরার শালিখা থানার ওসি (তদন্ত) মিলন কুমার ঘোষ জানান, সিএনজিতে ড্রাইভারসহ মোট ৯ জন যাত্রী ছিলেন।  
৩০ মার্চ ২০২৪, ০১:০৪

বিজ্ঞাপন দেখে মেডিকেলে ভর্তি, ৪২ শিক্ষার্থীর স্বপ্নপূরণ অনিশ্চিত
রাজশাহীর বেসরকারি শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষার্থীরা।  শনিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা জানান, শিক্ষার্থীরা ২০২০-২১ সেশন এবং ২০২১-২২ সেশনে এই মেডিকেল কলেজের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেখে কলেজে ভর্তি হয়। পরবর্তীতে তারা জানতে পারে কলেজটি বিএমডিসির অনুমোদন নেই এবং রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হতে পারেনি এখনও প্রতিষ্ঠানটি।  শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, এ বিষয়ে সুরাহার জন্য শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজের চেয়ারম্যান মো. জিল্লার রহমান সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের (সাবেক সচিব) এবং ওই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান স্বাধীনকে জানালে তারা বলে কলেজের অধিভুক্তি ও অনুমোদন রয়েছে। এরপর তারা একের পর মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে কয়েক ধাপে উন্নয়ন ফি নাম করে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জনে জনে ১২ থেকে সর্বোচ্চ ১৮ লাখ টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নেই। এতে ৪২ জন শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীরা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ২১ টি মামলা করেছেন। সংবাদ সম্মেলন থেকে শিক্ষার্থীরা দ্রুত মাইগ্রেশনের দাবি জানান সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের কাছে। 
২৩ মার্চ ২০২৪, ১৬:১৪

ম্যাজিস্ট্রেট দেখে ৫০০ টাকার তরমুজ ২০০ টাকায় বিক্রি 
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ভোক্তা অধিকার ম্যাজিস্ট্রেট দেখে ৫০০ টাকার তরমুজ ২০০ টাকায় বিক্রি করে দিলেন দোকানিরা। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) বিকেলে কালিয়াকৈরে বাজার এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সরংক্ষণ গাজীপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. শরিফুল ইসলাম। এ সময় বাজারের নাইম নামে এক তরমুজ ব্যবসায়ীকে ১ হাজার, কাব্য টেলিকম প্রতাপকে অবৈধ মোবাইল সেট রাখার দায়ে ১ হাজার করে দুই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়। অপরদিকে উন্মুক্তভাবে পিয়াজু বিক্রি করার দায়ে পিয়াজু জব্দ করা হয়। পরে এতিমখানায় দেওয়া হয়েছে। এ সময় ম্যাজিস্ট্রেট আসার কথা শুনে আশপাশের দোকানগুলো দ্রুত বন্ধ করে পালিয়ে যায়।  অভিযানে উপস্থিত ছিলেন- গাজীপুর ভোক্তা অধিকার অফিস কম্পিউটার অপারেটর প্রদীপ্ত কুমার সরকারসহ থানা পুলিশ। অভিযান শেষে শরিফুল ইসলাম বলেন, আমাদের এই অভিযান সবসময় অব্যাহত থাকবে।
২১ মার্চ ২০২৪, ১৯:১২

ফেসবুকে ভিডিও দেখে বাংলাদেশি তরুণকে পশ্চিমবঙ্গ থেকে উদ্ধার
ফেসবুকে ভিডিও দেখে এক বছর আগে নিখোঁজ হওয়া মানসিক ভারসাম্যহীন বাংলাদেশি তরুণ মঞ্জুরুল হককে (২২) ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে রাজশাহীতে মঞ্জুরুলকে তার বাবা হালিম উদ্দিনের হাতে তুলে দেয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। তাদের বাড়ি ময়মনসিংহয়ের ধোবাউরা উপজেলার হাজংপাড়া গ্রামে। জানা গেছে, গত বছরের রমজান মাসে হাজংপাড়া গ্রাম থেকে নিখোঁজ হন মঞ্জুরুল। ওই গ্রামের সীমান্তের ওপারে ভারতের মেঘালয়ের তুরাং এলাকা। তবে মঞ্জুরুলকে পাওয়া গেছে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার মুক্তারপুর এলাকায়। সম্প্রতি ‘বিটি টিভি’ নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে মঞ্জুরুলের একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়। ভিডিওতে একজনকে বলতে শোনা যায়, ‘দেখুন তো চিনতে পারেন কিনা ছেলেটিকে। হয়তোবা আপনাদের আশপাশের কোনো গ্রামের ছেলে। মুখে পুরো ঠিকানা বলতে পারছে না সে।’ মঞ্জুরুলের বাবা হালিম উদ্দিন জানান, তার গ্রামের এক বাসিন্দা ফেসবুকে মঞ্জুরুলের ভিডিও দেখে তাকে জানিয়েছিলেন। তখন তিনি বিষয়টি স্থানীয় বিজিবি ক্যাম্পে জানান। বিজিবির কর্মকর্তারা ওই ভিডিও দেখে বুঝতে পারেন, মঞ্জুরুল পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলায় রয়েছেন। তখন ময়মনসিংহ থেকে রাজশাহী বিজিবি ব্যাটালিয়নে যোগাযোগ করা হয়। পরে পশ্চিমবঙ্গ থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। তিনি বলেন, আমার ছেলে মঞ্জুরুলের মাথায় সমস্যা আছে। তিন বছর তাকে ওষুধ খাইয়েছি। এরপর অর্থের কারণে আর ওষুধ খাওয়াতে পারিনি। সে নিখোঁজ হওয়ার পর অনেক খোঁজাখুঁজি করেও পাইনি। পরে কবিরাজের কাছে গিয়েছিলাম। কবিরাজ একবার বলে ছেলে ঢাকা গেছে, আরেকবার বলে এখানে গেছে, ওখানে গেছে। কিন্তু ছেলেকে আর পাইনি। এখন বিজিবি আমার ছেলেকে এনে দিয়েছে। সেজন্য তাদের ধন্যবাদ জানাই। এ বিষয়ে রাজশাহী ১ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মতিউল ইসলাম মণ্ডল এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, মঞ্জুরুল হক নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি জানার পর বিজিবি রাজশাহী ব্যাটালিয়ন ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে। একাধিকবার যোগাযোগের পর ১৮ মার্চ বিএসএফের পক্ষ থেকে  ছেলেটির সন্ধান পেয়েছে বলে জানায়। এরপর মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাজশাহী ব্যাটালিয়নের (১ বিজিবি) অধীন চরমাজারদিয়া বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার সীমান্ত পিলার ১৬৫/৪-এস এর কাছে ৭৩ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কাহারপাড়া ক্যাম্প কমান্ডারের মধ্যে পতাকা বৈঠক হয়। এ সময় মঞ্জুরুল হককে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়।
২১ মার্চ ২০২৪, ১৩:০৩

ম্যাজিস্ট্রেট দেখে কমে গেল পেয়াজ ও তরমুজের দাম 
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে পবিত্র রমজান মাসে বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে বাজার পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। বাজারে ইউএনওকে দেখেই কমে যায় তরমুজ, পেঁয়াজ, লেবুসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রীর দাম। শুক্রবার (১৫ মার্চ) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র গোয়ালন্দ বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করতে গেলে এমন ঘটনা ঘটে। এ সময় ইউএনও বাজারের বিভিন্ন দোকানে মূল্য তালিকা প্রদর্শনের নির্দেশ দেন এবং একটি ফলের দোকানে রশিদ না থাকা এবং বেশি মূল্যে পণ্য বিক্রির অপরাধে ১ হাজার টাকা জরিমানা করেন। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশের একটি দল ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র গণমাধ্যমকে বলেন, আমাদের কাছে অভিযোগ এসেছিল গোয়ালন্দ বাজারের কিছু অসাধু ব্যবসায়ী রমজান মাসকে কেন্দ্র করে পণ্যের দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছিল। তাই বাজারে দাম স্থিতিশীল রাখতে বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়েছে।
১৬ মার্চ ২০২৪, ১২:৩৯

‘বাবা-মাকে দেখে রাখিস, আমি অনেক দূরে চলে যাচ্ছি’
সজীব কুমার বৌদ্ধ। ২২ বছর বয়সী এই শিক্ষার্থী রাজধানীর হাল্লাহ বাবিবুহার কলেজের অনার্সের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। সজীব লেখাপড়া নিয়ে অনেকদিন ধরে ডিপ্রেশনে ভুগছিল। যার শেষ পরিণতি হিসেবে আত্মহত্যার পথ বেঁচে নেয় এই শিক্ষার্থী।   শুক্রবার (১৫ মার্চ) বিকেল ৫টার দিকে খিলগাঁওয়ে নবীনগরের একটি বাসায় গলায় ফাঁস দেয় সজীব। পরে অচেতন অবস্থায় দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সজীব মাদারীপুর সদরের উত্তর কলাগাছিয়া গ্রামের উপানন্দ বৌদ্ধের ছেলে। তিনি খিলগাঁওয়ের নবীনবাগে একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন।  বিষয়টি নিশ্চিত করে নিহতের ফুফাতো ভাই শ্যামল বলেন, সজীব লেখাপড়া নিয়ে ডিপ্রেশনে ভুগছিল। শুক্রবার বিকেলে সে ফোন করে আমাকে বলে যে, ভাই তোরা আমার বাবা-মাকে দেখে রাখিস, আমি তোদেরকে ছেড়ে অনেক দূরে চলে যাচ্ছি।  ‘সজীবের এ কথায় আমি কাজ ফেলে দ্রুত তাদের বাসায় আসি। পরে জানতে পারি সে অনেকক্ষণ ধরে ঘরের দরজা বন্ধ করে রেখেছে। দরজা ভেঙে দেখি সজীব গলায় গামছা পেঁচিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছে। পরে অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’ ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা-পুলিশকে জানানো হয়েছে।
১৫ মার্চ ২০২৪, ২১:১২

জাহাজ অপহরণের ভিডিও দেখে যা জানাল ‘অ্যামব্রে’
ভারত মহাসাগরে বাংলাদেশি জাহাজ ‌‘এমভি আবদুল্লাহ’ অপহরণের আগে জলদস্যুরা কীভাবে জাহাজে উঠেছিল তার একটি ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করেছে সমুদ্রপথে নিরাপত্তা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ‘অ্যামব্রে’।  সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) হোসাইন তারেক নামে এক ব্যক্তি ভিডিওটি প্রকাশ করেন। এরপর ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে অ্যামব্রে জানায়, সে সময় সাগর ছিল শান্ত। জাহাজ চলছিল। পাশেই একটি ছোট বোট এগোচ্ছিল। সেটি থেকে সশস্ত্র ব্যক্তি বেয়ে জাহাজে ওঠে। জাহাজে তখন কোনো সশস্ত্র প্রহরী দৃশ্যমান ছিল না। এর আগে, গত ১২ মার্চ বাংলাদেশ সময় দুপুর দেড়টার দিকে ‘এমভি আব্দুল্লাহ’ নিয়ন্ত্রণে নেয় সোমালিয়ার জলদস্যুরা। সে সময়ে জাহাজটি সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসু থেকে প্রায় ৭০০ মাইল দূরে ছিল। জাহাজে থাকা ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিক ও ক্রু বর্তমানে জলদস্যুদের হাতে জিম্মি। জিম্মি ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ সোমালিয়ার গারাকাদ উপকূলে দস্যুদের আস্তানায় নোঙর করা হয়েছে। জিম্মি নাবিকদের সেহরি এবং ইফতারের সুযোগ দিচ্ছে দস্যুরা। সূত্র: স্প্ল্যাশ 
১৫ মার্চ ২০২৪, ১৮:৫৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়