• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বাতাস নিয়ে দূষণে দ্বিতীয় ঢাকা
বিশ্বে দূষিত শহরের তালিকায় সম্প্রতি প্রায় প্রতিদিনই শীর্ষ তিনের মধ্যে থাকছে ঢাকার নাম। আজও বায়ুদূষণের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে ঢাকা। বুধবার (২৭ মার্চ) সকাল ৯টা ১৭ মিনিটে বায়ুমানের সূচক (একিউআই) অনুযায়ী ঢাকায় বাতাসের মান ছিল ২১৩ স্কোর। বায়ুর মান বিচারে এ মাত্রাকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ ছাড়া স্কোর ২৬০ নিয়ে প্রথম স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর। ১৮৮ স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি, ১৭৬ স্কোর নিয়ে চতুর্থ স্থানে চীনের বেইজিং এবং ১৭১ স্কোর নিয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছে নেপালের কাঠমান্ডু। তথ্যমতে, একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ২০০ এর মধ্যে থাকলে ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে থাকলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং স্কোর ৩০১ থেকে ৪০০ এর মধ্যে থাকলে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়। ঢাকায় বায়ুদূষণের জন্য ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলোকে দায়ী করে আসছেন বিশেষজ্ঞরা। ভয়াবহ এই দূষণের ফলে গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। এটা সব বয়সী মানুষের জন্য ক্ষতিকর। বিশেষ করে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর। নগর পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, ঢাকার বায়ু দূষণ ধারাবাহিকভাবেই উদ্বেগজনক। বায়ুদূষণের অনেক উৎসের মধ্যে ইদানিং নির্মাণযজ্ঞও উঠে এসেছে। ভবন বা অবকাঠামো নির্মাণে আদর্শ মান মানা হয় না। সরকারি ও বেসরকারি সব উন্নয়নকাজ উন্মুক্তভাবেই করা হচ্ছে।
২৭ মার্চ ২০২৪, ১১:২৬

‘অস্বাস্থ্যকর’ বাতাস নিয়ে দূষণে দ্বিতীয় ঢাকা
বিশ্বে দূষিত শহরের তালিকায় সম্প্রতি প্রায় প্রতিদিনই শীর্ষ তিনের মধ্যে থাকছে ঢাকার নাম। আজও বায়ুদূষণের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে ঢাকা। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সকাল ৮টা ৫৪ মিনিটে বায়ুমানের সূচক (একিউআই) অনুযায়ী ঢাকায় বাতাসের মান ছিল ১৯৫ স্কোর। বায়ুর মান বিচারে এ মাত্রাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ ছাড়া স্কোর ২১২ নিয়ে প্রথম স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি। ১৮৯ স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর। ১৮৪ স্কোর নিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে ভিয়েতনামের হ্যানয় এবং ১৭২ স্কোর নিয়ে পঞ্চম স্থানে নেপাল কাঠমান্ডু। তথ্যমতে, একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ২০০ এর মধ্যে থাকলে ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে থাকলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং স্কোর ৩০১ থেকে ৪০০ এর মধ্যে থাকলে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়। ঢাকায় বায়ুদূষণের জন্য ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলোকে দায়ী করে আসছেন বিশেষজ্ঞরা। ভয়াবহ এই দূষণের ফলে গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। এটা সব বয়সী মানুষের জন্য ক্ষতিকর। বিশেষ করে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর। নগর পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, ঢাকার বায়ু দূষণ ধারাবাহিকভাবেই উদ্বেগজনক। বায়ুদূষণের অনেক উৎসের মধ্যে ইদানীং নির্মাণযজ্ঞও উঠে এসেছে। ভবন বা অবকাঠামো নির্মাণে আদর্শ মান মানা হয় না। সরকারি ও বেসরকারি সব উন্নয়নকাজ উন্মুক্তভাবেই করা হচ্ছে।  
১২ মার্চ ২০২৪, ১১:৩৭

চিনির গলিত লাভায় দূষিত হচ্ছে কর্ণফুলি, মরছে মাছ
চট্টগ্রামের এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে লাগা আগুন ৪৬ ঘণ্টা পার হলেও এখনো নেভেনি। আর ইন্ডাস্ট্রি থেকে নির্গিত  গলিত লাভায় দূষিত হচ্ছে কর্ণফুলি নদী, ফলে মাছ এবং অন্যান্য জলজ প্রাণী মারা যাচ্ছে। বুধবার (৬ মার্চ) দুপুর ২টা পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের আগুন নেভাতে দেখা গেছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, চট্টগ্রামের যে গুদামটিতে আগুন লেগেছে সেটিতে বিপুল পরিমাণ অপরিশোধিত চিনি মজুত ছিল। গুদামটি প্রায় ২৫ হাজার বর্গফুটের। উচ্চতা প্রায় ৫-৬ তলা ভবনের সমপরিমাণ। যেখানে অপরিশোধিত চিনির বিপুল মজুত ছিল। দীর্ঘ সময় ধরে পোড়া চিনি তরল আকারে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। আস্তে আস্তে মিশছে কর্ণফুলি নদীতে। এতে নদীর মাছ ও জলজ প্রাণী মরে ভেসে উঠছে।  এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও নদী বিশেষজ্ঞ ড. মঞ্জুরুল কিবরিয়া বলেন, ‘চিনিমিশ্রিত এসব পানির কারণে নদীর পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যাচ্ছে। এর প্রভাব সরাসরি মাছ এবং অন্যান্য জলজ প্রাণীর ওপর পড়ছে। যে জন্য তাদের মৃত্যু হচ্ছে।’ এ দিকে আগুন পুরোপুরি নির্বাপণ করতে আরও সময় লাগবে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা। বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক (প্রশাসন অর্থ) জসিম উদ্দিন। তিনি বলেন, চট্টগ্রামের যে গুদামটিতে আগুন লেগেছে সেটিতে বিপুল পরিমাণ অপরিশোধিত চিনি মজুত ছিল। গুদামটি প্রায় ২৫ হাজার বর্গফুটের। উচ্চতা প্রায় ৫-৬ তলা ভবনের সমপরিমাণ। যেখানে অপরিশোধিত চিনির বিপুল মজুত ছিল। এগুলো এক ধরনের দাহ্য পদার্থ। পানি দিয়েও এ আগুন নেভানো যাচ্ছে না। এ কারণে আগুন নেভাতে দীর্ঘ সময় লেগে যাচ্ছে। তবে আগুন যাতে ছড়িয়ে না পড়ে আমরা তা নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। কবে নাগাদ আগুন নেভানো যাবে তা এ মুহূর্তে নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। উল্লেখ্য, সোমবার বিকেল ৩টা ৫৩ মিনিটে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানা এলাকার এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে আগুন লাগে। পবিত্র রমজান মাস ঘিরে এসব চিনির আমদানি করা হয়েছিল। আগুন লাগার পর ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে আগুন নির্বাপণে যোগ দেন সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা। বর্তমানে ফায়ার সার্ভিসের বিপুলসংখ্যক সদস্য আগুন নির্বাপণে কাজ করছেন।
০৬ মার্চ ২০২৪, ১৬:০৩

বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে ঢাকা
বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় আজ শীর্ষে ঢাকা। সকাল ৮টার দিকে আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ১৯৪ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে রাজধানী ঢাকা, যা অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত।  রোববারও (৩ মার্চ) শহরটির বাতাস জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানাচ্ছে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। দূষিত শহরের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ভিয়েত নামের হ্যানয় শহরের স্কোর ১৬২। আর তৃতীয় অবস্থানে থাকা ইরাকের বাগদাদ শহরের স্কোর ১৬০, চতুর্থ অবস্থানে থাকা মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন শহরের স্কোর ১৫৯ এবং সমান স্কোর নিয়ে পঞ্চম অবস্থানে আছে চীনের ছেংদু শহর। একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।   ২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।   সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে; যেমন : বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।   বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে থাকে। এটা সব বয়সী মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ু দূষণ খুবই ক্ষতিকর। ২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো। ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।
০৩ মার্চ ২০২৪, ১১:৪৮

বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাস ঢাকায়
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা রোববার সকালে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরগুলোর তালিকার শীর্ষে উঠে আসে। ১০০ শহরের মধ্যে ঢাকার বাতাস আজ সবচেয়ে বেশি অস্বাস্থ্যকর।  রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টা ২৮ মিনিটে বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (আইকিউএয়ার) সূচক থেকে জানা গেছে এ তথ্য। তালিকার শীর্ষে অবস্থান করা ঢাকার বায়ুর মানের স্কোর হচ্ছে ৩৯৪। এর অর্থ দাঁড়ায় এখানকার বায়ু আজ ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি। এই শহরটির স্কোর হচ্ছে ২৪৪ অর্থাৎ সেখানকার বায়ুর মানও ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’। এদিকে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারতের মুম্বাই। শহরটির দূষণ স্কোর ২৩৩ অর্থাৎ সেখানকার বায়ুর মানও ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’। আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, স্কোর শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ভালো বলে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা সহনীয় ধরা হয় বায়ুর মান। সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। এছাড়া ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৩৯

বিশ্বে সবচেয়ে দূষিত শহর কলকাতা, দ্বিতীয় ঢাকা
বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা কারণে দিনদিন বেড়েই চলছে বায়ুদূষণ। ঢাকা বিশ্বের অন্যতম দূষিত বাতাসের শহর। অন্যান্য দেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মেগাসিটি ঢাকার বাতাসেও বাড়ছে দূষণ। বিশ্বে দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে থাকা ভারতের কলকাতা শহরের বাতাসের অবস্থা আরও ভয়াবহ। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকাল সোয়া ৮টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ২৪১ স্কোর নিয়ে দূষিত শহরের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ঢাকা, যা খুব অস্বাস্থ্যকার হিসেবে বিবেচিত। এ ছাড়া বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ২৬৯ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে কলকাতা শহর। আর ২৪০ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারতের আরেক শহর মুম্বাই, ২০৮ স্কোর নিয়ে পরের অবস্থানে রয়েছে দেশটির রাজধানী দিল্লি এবং পঞ্চম অবস্থানে থাকা পাকিস্তানের লাহোর শহরের স্কোর ১৯৮। একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। এ ছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:০১

বিশ্বে দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে ঢাকা
ক্রমেই যেন বাড়ছে রাজধানীর বায়ুদূষণ। অন্যান্য দেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মেগাসিটি ঢাকার বায়ুদূষণও। বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের ১০০ শহরের মধ্যে আজ ঢাকার অবস্থান সবার শীর্ষে।  রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৭টায় সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বাতাসের মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (আইকিউ এয়ার) সূচক থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এদিন সকাল পৌনে ৯টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ২৫৭ স্কোর নিয়ে দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে রাজধানী ঢাকা, যা খুব অস্বাস্থ্যকার হিসেবে বিবেচিত। এ ছাড়া ২১৮ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারতের কলকাতা শহর। ২১৭ স্কোর নিয়ে দেশটির রাজধানী দিল্লি রয়েছে তৃতীয় স্থানে। আর চতুর্থ অবস্থানে থাকা চীনের উহান শহরের স্কোর ১৯৬ এবং পঞ্চম অবস্থানে থাকা পাকিস্তানের লাহোর শহরের স্কোর ১৯২। একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এ ছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:০০

বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত ঢাকার বাতাস
বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরগুলোর তালিকায় আবারও শীর্ষে উঠেছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে শনিবার ঢাকার বাতাসকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে। শুক্রবার ছুটির দিনেও ঢাকার বাতাস ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ ছিল। দেখা যাচ্ছে শীতকালে বেশিরভাগ সময়ই ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ বাতাসের চক্রে অবস্থান করছে ঢাকা। আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের পর্যবেক্ষণ বলছে, শনিবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে বিশ্বের পাঁচটি শহরের বাতাস খুবই অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে। এর মধ্যে ঢাকার বাতাস সকাল ১০টায় ‘অস্বাস্থ্যকর’ থেকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ হয়ে ওঠে। দুপুর ১২টার দিকে ঢাকার বাতাসের একিউআই ছিল ২৭৬। সকাল ১০টায় ঢাকার বায়ুমান ছিল ২৭৯, বেলা ১১টায় তা বেড়ে হয় ২৮১। ঢাকার পরের দুই অবস্থানে ছিল ভারতের দুই শহর যথাক্রমে কলকাতা ও দিল্লি। একইদিনে সবচেয়ে ভালো বাতাস ছিল যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ার শহরগুলোতে। একিউআই শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকলে সেই এলাকার বাতাসকে ভালো বলা যায়। ৫১ থেকে ১০০ হলে বাতাসের মান মডারেট বা মোটামুটি গ্রহণযোগ্য ধরা হয়। একিউআই নম্বর যত বাড়তে থাকে, বায়ুমান তত ঝুঁকিপূর্ণ বলে ধরা হয়। ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে বাতাসের মান ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’, ১৫০ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ মনে করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়, ৩০১+ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসাবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। দূষণের পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয়। তা হলো বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)। দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণে ভুগছে ঢাকা। তবে বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়। সাধারণত শীতকালে ধুলোবালির কারণে ঢাকার বাতাসের গুণমান অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায়।
২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:১৭

বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় দ্বিতীয় ঢাকা
বিশ্বে দূষিত শহরের তালিকায় সম্প্রতি প্রায় প্রতিদিনই শীর্ষ তিনের মধ্যে থাকছে ঢাকার নাম। আজও বায়ুদূষণের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে ঢাকা। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল ৯টা ২৭ মিনিটে বায়ুমানের সূচক (একিউআই) অনুযায়ী ঢাকায় বাতাসের মান ছিল ১৯৮ স্কোর। বায়ুর মান বিচারে এ মাত্রাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ ছাড়া স্কোর ২৯৭ নিয়ে প্রথম স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের করাচি। ১৮৮ স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের কলকাতা। ১৮২ স্কোর নিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি এবং ১৭৬ স্কোর নিয়ে পঞ্চম স্থানে চীনের ছেংতু। তথ্যমতে, একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ২০০ এর মধ্যে থাকলে ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে থাকলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং স্কোর ৩০১ থেকে ৪০০ এর মধ্যে থাকলে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়। ঢাকায় বায়ুদূষণের জন্য ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলোকে দায়ী করে আসছেন বিশেষজ্ঞরা। ভয়াবহ এই দূষণের ফলে গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। এটা সব বয়সী মানুষের জন্য ক্ষতিকর। বিশেষ করে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর। নগর পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, ঢাকার বায়ু দূষণ ধারাবাহিকভাবেই উদ্বেগজনক। বায়ুদূষণের অনেক উৎসের মধ্যে ইদানিং নির্মাণযজ্ঞও উঠে এসেছে। ভবন বা অবকাঠামো নির্মাণে আদর্শ মান মানা হয় না। সরকারি ও বেসরকারি সব উন্নয়নকাজ উন্মুক্তভাবেই করা হচ্ছে।
১৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:৪৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়