• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
রাজধানীতে ছাদ থেকে পড়ে স্পেন দূতাবাস কর্মকর্তার মৃত্যু
রাজধানীর গুলশানে একটি ভবনের ছাদ থেকে পড়ে ইসমাইল গিল সেরেনো (৫৮) নামে স্পেন দূতাবাসের এক কর্মকর্তার মৃত্যু হয়েছে।  রোববার (৩ মার্চ) বিকেলে গুলশানের অ্যাভিনিউয়ের পিংক সিটির বিপরীতের একটি ভবনে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম জানান, লোকটি মানসিক বিকারগ্রস্ত ছিলেন। তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা। একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়েছে।  তিনি আরও বলেন, মরদেহ সুরতহাল করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে। এরপর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।  
০৩ মার্চ ২০২৪, ১৮:৩১

‘সমৃদ্ধির পথে যাত্রা’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন
‘সমৃদ্ধির পথে যাত্রা’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে। শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) জাপান দূতাবাসে বইটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়। বইটি লিখেছেন মাৎসুশিতা কোনৎসুকে। তবে কাজুকো ভূঁইয়া ট্রাস্ট থেকে প্রকাশিত বইটির বাংলা অনুবাদ করেছেন ইন্টারন্যাশনাল অ্যাঞ্জেল অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী পরিচালক মো. আজিজুল বারী। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় ব্যবস্থাপনা পরামর্শদাতা এবং বাজার গবেষণা কোম্পানি নিউভিশন সলিউশনস লিমিটেডের সহযোগিতায়  অনুষ্ঠানের  আয়োজন করে কাজুকো ভূঁইয়া ট্রাস্ট। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইয়াওয়ামা কিমিনোরি, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাইকা বাংলাদেশ অফিসের প্রধান প্রতিনিধি ইচিগুচি তোমোহিদে এবং সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কোকোরোজাশি নেটওয়ার্কের প্রতিষ্ঠাতা জোকো আকিরা। অনুষ্ঠানে বক্তারা আলোচনা করেন, কীভাবে অতিদরিদ্র  একটি ছেলের হাত ধরে বিংশ শতাব্দীর জাপান শিল্প বিকাশের মহাসড়কে প্রবেশ করেছিল। তিনি আর কেউ নন, তিনি ছিলেন শিল্পপতি মাৎসুশিতা কোনৎসুকে। যিনি  ‘সমৃদ্ধির পথে যাত্রা’ বইটিতে নিজের প্রচেষ্টায় জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার গল্পটি বর্ণনা করেছেন।   মি. কোনৎসুকে ১৮৯৪ সালে জাপানে জন্মগ্রহণ করেন। আর্থিক অসুবিধার কারণে, তাকে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করার পর কর্মী হিসেবে ওসাকায় কাজ করতে পাঠানো হয়েছিল। ইলেক্ট্রিশিয়ান হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি তিনি নিজ প্রচেষ্টায় গণিত, রসায়ন এবং পদার্থবিদ্যা অধ্যয়ন করেছিলেন। তিনি ন্যাশনাল এবং প্যানাসনিক ব্র্যান্ডের জন্য ইলেকট্রনিক্স তৈরি করেছিলেন। আজকের জাপানকে একটি শিল্পোন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। তিনি জাপানের তরুণদের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য ১৯৭৯ সালে মাৎসুশিতা ইনস্টিটিউট অফ গভর্নমেন্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠা করেন।
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:২৫

প্রবাসী বাংলাদেশিদের আইনি পরামর্শ দিচ্ছে বাহরাইন দূতাবাস
বাহরাইনে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি শ্রমিকেরা কর্মক্ষেত্রে নির্যাতন, নিয়ম অনুযায়ী বেতন না পাওয়া, নিয়োগকর্তা কতৃক আইনি হয়রানিসহ এতদিন নানা ধরনের আইনি জটিলতায় ভুগতেন। বাংলাদেশি আইনজীবী না থাকা, স্থানীয় ভাষায় কথা বলতে ও বুঝতে অসুবিধাসহ এ বিষয়ে প্রবাসীদের তেমন কোনো ধারণা না থাকায় অনেকেই এতদিন কোনো আইনি পদক্ষেপ নিতে পারেননি। তবে প্রবাসীদের এই সমস্যা সমাধানে বিশেষ পদক্ষেপসহ দারুণ এক সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাহরাইনে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস। দূতাবাসের উদ্যোগে ও ওয়েজ আর্নার্স কল্যান বোর্ডের সহযোগিতায় বাহরাইন প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ‘বিনামূল্যে আইনি পরামর্শ প্রদান’ ও বিশেষ হটলাইন সেবা ২৪/৭ কার্যক্রম গেল বছরের ৫ সেপ্টেম্বরে থেকে শুরু করে এই পর্যন্ত প্রায় ৩৯০ জন প্রবাসীকে আইনি সেবাপ্রদান করে দূতাবাস। সেবা পাওয়াদের মধ্যে একজন কুমিল্লার আজিজুল হক। দীর্ঘদিন যাবত বাহরাইনে শ্রমিক হিসাবে বসবাস করছেন তিনি। অভিযোগের ভিত্তিতে কিছুদিন আগে তাকে বাহরাইনে গোয়েন্দা পুলিশ (সিআইডি) আটক করে। পরবর্তীতে তাকে ছেড়ে দিলেও তার অভিযোগ বহাল থাকে। এমন পরিস্থিতিতে ভুক্তভোগী আইনি সেবার জন্য আসলে দূতাবাস কর্তৃক নির্ধারিত আইনজীবীকে দিয়ে কোর্টের মাধ্যমে তার বিষয়টি সমাধান করে দেওয়া হয়। আজিজুল হক বলেন, আলহামদুলিল্লাহ, দূতাবাসের সার্বিক সহযোগিতা ও তাদের নিয়োগকৃত আইনজীবীর মাধ্যমে আমার সমস্যাটি সমাধান হয়েছে। আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আমি বাংলাদেশ দূতাবাসের এই সেবাকে সাধুবাদ জানাই। ধন্যবাদ বাংলাদেশ দূতাবাস ও সংশ্লিষ্ট সকল কমকর্তা-কর্মচারীকে। বাহরাইনে আরেক প্রবাসী রুবেল ইমান। তার বিরুদ্ধে নিয়োগকর্তা কতৃক রানওয়ে অভিযোগ ছিল। তিনি তার বিষয়টি সমাধানের জন্য অনেক চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে দূতাবাসে আসেন আইনি সেবার জন্য। পরে দূতাবাসের আইনজীবী কোর্টের মাধ্যমে তার বিষয়টি সমাধান করে। রুবেল ইমান বলেন, বিষয়টি সমাধান করে দেওয়ায় আমি দূতাবাসের সকলের জন্য দোয়া করি। বর্তমানে আমি ভিসা নবায়ন করতে পেরেছি। ধন্যবাদ বাংলাদেশ দূতাবাসকে। দূতাবাস যেন এই সেবা সকল প্রবাসীর জন্য সর্বদা অব্যাহত রাখেন। কমিউনিটি নেতা ও বাহরাইন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা বলেন, দীর্ঘদিন কিছু রক্তপিপাসু প্রবাসী বাংলাদেশিদের অজ্ঞাতার সুযোগ নিয়ে নানাভাবে হয়রানি করে তাদেরকে আইনি পরামর্শের নামে লুটে নিয়েছে। রেমিট্যান্স প্রেরণে সর্বোচ্চ ১০ এ থাকলেও দীর্ঘদিন যাবত বঞ্চিত প্রবাসীরা পরিশেষে দূতাবাসের এমন পদক্ষেপে আশার আলো পেয়েছে। যার ফলে এখন বিনামূল্যে আইনি পরামর্শ সেবা পাচ্ছে ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসীরা। সে সকল প্রবাসীদের ও কমিউনিটির পক্ষ থেকে আমি দূতাবাসের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম) মাহফুজুর রহমান বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশিদের আইনি সেবা এবং সঠিক আইনগত পরামর্শ প্রদানের উদ্দেশে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রতি সপ্তাহে মঙ্গলবার বেলা ১১ থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত দূতাবাস প্রাঙ্গনে অভিজ্ঞ আইনজীবীর মাধ্যমে বিনামূল্যে প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিভিন্ন আইনগত সমস্যার পরামর্শ দেওয়া হয়। চাহিদার প্রেক্ষিতে ভবিষ্যতে এই সেবার আওতা বাড়ানো হবে।  এ ছাড়া সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে অফিস চলাকালীন সময়ে দূতাবাসের কর্মকর্তা দ্বারা আইনি পরামর্শ প্রদান কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। তাছাড়া আইনি সেবার জন্য বিশেষ হটলাইন চালু রয়েছে ২৪/৭ যেকোনো পরামর্শ গ্রহণ করতে পারবে প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
২৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:০৭

ক্লাসিফাইড নথি প্রকাশ / তারেককে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে বাধার সুপারিশ করেছিল মার্কিন দূতাবাস
মার্কিন নথি অনুযায়ী, ২০০৮ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস থেকে দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরে একটি বার্তা পাঠানো হয়। যেখানে তারেককে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অনুমতি না দেওয়ার সুপারিশ অন্তর্ভুক্ত ছিল। তারেকের ঢোকায় নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাবের পক্ষে বিস্তারিত তুলে ধরা হয় ওই বার্তায়। নথিটি সম্প্রতি ক্লাসিফাইড হওয়ায় সামনে এসেছে।  নথিতে দেখা যায়, দূতাবাস অভিবাসন ও  জাতীয়তা আইন ধারা ২১২(এফ) এবং রাষ্ট্রপতির ঘোষণা ৭৭৫০ মোতাবেক নিরাপত্তা পরামর্শও চায়। উল্লেখ্য, ২০০৪ সালে, রাষ্ট্রপতি বুশ ঘোষণা ৭৭৫০ স্বাক্ষর করেন ‘দুর্নীতিতে জড়িত বা সুবিধাভোগী ব্যক্তিদের অভিবাসী বা অ-অভিবাসী হিসাবে প্রবেশ ঠেকানোর জন্য।’ নথিতে উল্লেখ করা হয়, তারেকের বেপরোয়া দুর্নীতির কারণে যুক্তরাষ্ট্র মিশনের লক্ষ্যগুলোও ব্যাপকভাবে হুমকিতে পড়েছে। ঢাকা দূতাবাসের বাংলাদেশের জন্য তিনটি বিষয়ে অগ্রাধিকার রয়েছে। গণতন্ত্রায়ন, উন্নয়ন ও সন্ত্রাসীদের জায়গা না দেওয়া। তারেকের দুর্নীতিতে তিনটি লক্ষ্য অর্জনই বিঘ্নিত হয়েছে। তার অর্থআত্মসাৎ, চাঁদাবাজি ও বিচার ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপের কারণে আইনের শাসন ব্যাহত হয়েছে এবং স্থিতিশীল ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্যকে হুমকিতে ফেলেছে। ‘চূড়ান্তভাবে, আইনের শাসনের প্রতি তার চরম অবাধ্যতা বাংলাদেশে সন্ত্রাসীদের আস্তানা গাড়ার অনুকূল পরিবেশ তৈরিরে সুযোগ দেওয়ার পাশাপাশি দারিদ্র্য বৃদ্ধি ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে দুর্বল করেছে। সংক্ষেপে বলা হয়, বাংলাদেশে যা কিছু খারাপ তার বেশির ভাগের জন্যই তারেক ও তার সহযোগীদের দায়ী করা যায়।’ এতে আরও বলা হয়, ‘রাজনৈতিকভাবে সংঘটিত ব্যাপক মাত্রায় দুর্নীতির জন্য তারেক দায়ী বলে দূতাবাস মনে করে। তার দুর্নীতির কারণে মার্কিন ঘোষণাপত্রের ৪ নম্বর ধারায় বর্ণিত গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের স্থিতিশীলতা এবং যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক সহায়তার লক্ষ্য বিনষ্ট হওয়ার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বার্থ ক্ষুণ্ন হয়েছে।’ তবে তারেকের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান, মেয়ে জাইমা ও মা খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে এ ধরনের কোনো নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়নি দূতাবাস থেকে। বার্তায় তারেক রহমানকে ‘কুখ্যাত এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছেলে, যাকে সবাই ভয় পায়’ বলে বর্ণনা করা হয়। বার্তায় তারেক জিয়া সম্পর্কে বলা হয়, ‘সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত বিষয় এবং রাজনৈতিক পদ দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রকাশ্যে যত্রতত্র ঘুষ চাওয়ার জন্য তারেক জিয়া কুখ্যাত। দুর্নীতিপ্রবণ সরকার এবং বাংলাদেশের সহিংস রাজনীতি এক দৃষ্টান্ত সে।’ ঘুষ, দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, অর্থআত্মসাৎ ও কর ফাঁকিসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা চললেও তাকে জামিনে মুক্তি দেয়া হয় বলে বার্তায় উল্লেখ করা হয়। এতে বলা হয়, ‘আমরা মনে করি তারেক জিয়ার বেশ কয়েকটি পাসপোর্ট আছে। গত সেপ্টেম্বরে তার একটিতে যুক্তরাজ্য ভিসা দিয়েছে। ২০০৫ সালের ১১ মে ইস্যু করা অন্য একটি পাসপোর্টে পাঁচ বছর মেয়াদি (বি১/বি২ ভিসা) ভিসা লাগানো আছে। সরকার সেটি জব্দ করেছে বলে আমাদের ধারণা।’ ‘তারেক কয়েক শ’ মিলিয়ন ডলারের অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছে বলে খবর রয়েছে। তার বিরুদ্ধে একাধিক চাঁদাবাজির মামলা রয়েছে। তার বিরুদ্ধে একজন প্রখ্যাত ব্যবসায়ী জবানবন্দি দিয়েছেন, যিনি তার ক্ষমতার অপব্যবহারের শিকার হয়েছেন। তার বার্তায় বলা হয়, ‘একটি মামলায় তারেক আল আমিন কনস্ট্রাকশনের মালিক আমিন আহমেদকে হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। দেড় লাখ ডলার না দিলে তার প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়েছে। রেজা কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের মোহাম্মদ আফতাব উদ্দীন খান, মীর আখতার হোসেন লিমিটেডের মীর জহির হোসেন ও হারুণ ফেরদৌসিসহ অন্য অনেক স্থানীয় ব্যবসায়ী তার বিরুদ্ধে  কয়েক মিলিয়ন ডলারের চাঁদাবাজির অভিযোগ করেছেন। দুর্নীতি দমন কমিশনও তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ এনেছে এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর ফাঁকির মামলা দিয়েছে।’ মার্কিন দূতাবাস বলেছে, ‘তারেকের দুর্নীতির কর্মকাণ্ড শুধু স্থানীয় কোম্পানির কাছে চাঁদাবাজির মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না। দুর্নীতি দমন কমিশনের অনুসন্ধানে তার বিরুদ্ধে দেশি-বিদেশি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অনেকগুলো ঘটনায় জড়িত থাকার তথ্য বেরিয়ে এসেছে।’ সিমেন্সের কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে তারেক ও তার ভাই কোকো দেয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত একজনের সাক্ষ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে সিমেন্সের সব চুক্তির ক্ষেত্রে তারেক প্রায় দুই শতাংশ ঘুষ নিয়েছেন। দুর্নীতি দমন কমিশন সূত্র জানিয়েছে, একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের জন্য চীনের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান তারেক রহমানকে সাড়ে সাত লাখ ডলার দেয়। তারেকের এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু এ ঘুষের অর্থ নিয়ে তা সিঙ্গাপুরে সিটিব্যাংকে রাখে। দুর্নীতি দমন কমিশনের এক কর্মকর্তা দূতাবাসকে জানিয়েছেন, মোনেম কনস্ট্রাকশন একটি কার্যাদেশ পেতে তারেক রহমানকে সাড়ে চার লাখ ডলার দেয়। দুর্নীতি দমন কমিশনের কাছে তথ্য রয়েছে যে, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যানের ছেলে সানভীর সোবহানকে একটি হত্যা মামলা থেকে ‘রক্ষায়’ ২১ কোটি টাকা ঘুষ নেন তারেক রহমান। বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক হুমায়ুন কবীর হত্যা মামলার আসামিদের মধ্যে একজন ছিলেন সানভীর। এ হত্যা মামলা থেকে সানভীরকে রেহাই দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে তারেক ওই অর্থ নেন বলে দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে।
০৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:৪৪

লে. জেনারেল কাসেম সোলায়মানির শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে সেমিনার 
ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী আইআরজিসি’র কুদস ফোর্সের সাবেক প্রধান লে. জেনারেল কাসেম সোলায়মানির চতুর্থ শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) বিকেলে ঢাকাস্থ ইরান দূতাবাসের সাংস্কৃতিক কেন্দ্র মিলনায়তনে এ  সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।  ‘জেনারেল সোলায়মানি : সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় বিশ্ববীর’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। ঢাকাস্থ ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কালচারাল কাউন্সেলর সাইয়্যেদ রেজা মীর মোহাম্মাদীর সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. তৌহিদুল ইসলাম। ঢাকাস্থ ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্যোগে আয়োজিত এই সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন দৈনিক ইনকিলাবের সহকারী সম্পাদক জনাব জামালউদ্দিন বারী। অনুষ্ঠানটি  সঞ্চালনা করেন ঢাকাস্থ ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম।  সেমিনারে বক্তারা বলেন, জেনারেল কাসেম সোলায়মানি ছিলেন তার সময়কালে দুনিয়ার এক নম্বর জেনারেল। মধ্যপ্রাচ্যে সন্ত্রাস নির্মূল ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। জেনারেল সোলায়মানি শুধু প্রতিরোধ বাহিনীর গাইড লাইনই দেননি, নিজের উন্নত চিন্তা, ইমানি জজবা এবং অকুতোভয় সংগ্রামী চেতনাকে তার নির্দেশিত প্রতিটি বাহিনীর যোদ্ধাদের মধ্যে উজ্জীবিত করতেও সক্ষম হয়েছেন। এটিই বিশ্বের অন্য সব সামরিক কমান্ডারদের সঙ্গে জেনারেল কাসেম সুলাইমানির বড় পার্থক্য টেনে দেয়। বক্তারা আরও বলেন, জেনারেল সুলাইমানির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কৃতিত্ব হচ্ছে, তিনি মধ্যপ্রাচ্যের বিবদমান মুজাহিদ গ্রুপগুলোকে আইএস বিরোধী যুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ করতে সক্ষম হয়েছিলেন।পশ্চিমা সমরশক্তি ও গতানুগতিক যুদ্ধ কৌশলকে ব্যর্থ করে দিতে এটাই সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকা রাখতে সক্ষম হচ্ছে। বিশ্বের এক নম্বর জেনারেল ও সমরবিদ কাসেম সুলাইমানির মধ্যে যে অসামান্য দূরদৃষ্টি, উচ্চতর মনুষ্যত্ববোধ, আধ্যাত্মিক চেতনা ও নিরলস কর্মবীরের গুণাবলির সন্নিবেশ ঘটেছিল, তা মধ্যপ্রাচ্যের জায়নবাদবিরোধী প্রতিটি মুক্তিকামী সৈনিকের মধ্যে পরশ পাথরের মতো প্রভাব সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে।
০২ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:২১

ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে জাতীয় প্রবাসী দিবস পালিত
যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের অভিজ্ঞতা, দক্ষতা এবং বিনিয়োগের মাধ্যমে উন্নত ও সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ" গড়তে অগ্রণী ভূমিকা পালনের আহবান জানানোর মধ্য দিয়ে ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে জাতীয় প্রবাসী দিবস-২০২৩ পালিত হয়েছে। প্রথম জাতীয় প্রবাসী দিবস উপলক্ষে শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় দূতাবাস বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ওয়াশিংটন ডিসি এবং পার্শ্ববর্তী অঙ্গরাজ্যে বসবাসরত উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি এতে যোগ দেন।   এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন মিনিস্টার (কনস্যুলার) মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, ডিফেন্স অ্যাটাচে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ শাহেদুল ইসলাম, মিনিস্টার (পলিটিক্যাল) মোঃ রাশেদুজ্জামান এবং ফার্স্ট সেক্রেটারি অহিদুজ্জামান নুর।   পরে দিবসটির তাৎপর্য এবং বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিযাত্রায় প্রবাসীদের অবদান তুলে ধরে একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এরপর এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে স্বাগত ও সমাপনী বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান।   সেমিনারে দূতাবাসের মিনিস্টার (ইকোনমিক) ড. মোঃ ফজলে রাব্বি এবং ফার্স্ট সেক্রেটারি (পাসপোর্ট ও ভিসা উইং) মুহাম্মদ আবদুল হাই মিলটন পৃথক দুটি পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করেন।   মিনিস্টার (ইকোনমিক) তার পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনে দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ, বিনিয়োগ আবহ এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য বিভিন্ন সরকারি সুযোগ-সুবিধা ও প্রণোদনা যেমন সেভিংস ইনস্ট্রুমেন্ট, বৈদেশিক মুদ্রা অ্যাকাউন্ট খোলা ও সর্বজনীন পেনশন স্কীমের ওপর আলোকপাত করেন।   ফার্স্ট সেক্রেটারি (ভিসা এবং পাসপোর্ট উইং) তার পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনে দূতাবাসের কনস্যুলার পরিষেবাসমূহ তুলে ধরেন যার মধ্যে রয়েছে এনভিআর, পাওয়ার অব অ্যাটর্নি ও ট্রাভেল পারমিট প্রদান। সেইসাথে তিনি মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) ও দ্বৈত নাগরিকত্বের আবেদন গ্রহণ সংক্রান্ত বিষয়ের কথা উল্লেখ করেন।   রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান তার বক্তব্যে জাতীয় প্রবাসী দিবস উপলক্ষে প্রবাসী বাংলাদেশিদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান, এবং বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে তাদের অসামান্য অবদানের প্রশংসা করেন।   প্রবাসীদের দেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে অভিহিত করে তিনি বলেন, তাদের পাঠানো রেমিট্যান্স বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকে শক্তিশালী এবং অর্থনীতির চাকাকে গতিশীল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।   রাষ্ট্রদূত ইমরান যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের অভিজ্ঞতা, দক্ষতা ও বিনিয়োগ কাজে লাগিয়ে ২০৪১ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত উন্নত ও সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে বহুমাত্রিক ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।   তিনি একই সঙ্গে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল করার পাশাপাশি এর সমৃদ্ধ ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে বিদেশের মাটিতে তুলে ধরতে প্রবাসীদের কাজ করার আহ্বান জানান।   অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত বিভিন্ন পেশার প্রবাসী বাংলাদেশিরাও আলোচনায় অংশ নেন এবং দূতাবাসের পরিষেবা আরও উন্নত করার জন্য বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করেন।  অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন কাউন্সেলর ও দূতালয় প্রধান শামীমা ইয়াসমিন স্মৃতি।
০১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:২৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়