• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বেনজীরের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানে মাঠে নেমেছে দুদক
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে মাঠে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার (২২ এপ্রিল) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন আইজিপির বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরুর কথা জানিয়েছেন। দুদক সচিব বলেন, বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন নিয়ে একটি প্রতিবেদন একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। পরবর্তী সময়ে আরও কিছু গণমাধ্যমে একই অভিযোগ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এই অভিযোগগুলোর বিষয়ে দুদক বিধি অনুযায়ী কার্যক্রম শুরু করেছে। তিনি বলেন, ঈদের পর ১৮ এপ্রিল কমিশনের প্রথম সভায় বেনজীরের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানের অনুমোদন দেওয়া হয়। দুদক আইন অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অনুসন্ধান শেষ করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি আরও বলেন, অনুসন্ধান করতে তিন সদস্যের একটি টিম গঠন করা হয়েছে। এই টিম তদারক করার জন্য তদারক কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে। বিধি অনুযায়ী যা যা করা দরকার তারা তা করবেন। বেনজীরের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান আইওয়াশ কি না- জানতে চাইলে সচিব বলেন, এটা সত্য না। এর আগেও বেনজীরের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলেছিল, সেটা নথিভুক্ত হয়েছে। সেটাকে পুনরায় শুরু করা যায়নি কেন, জানতে চাইলে সচিব বলেন, গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। সোমবার বেনজীর আহমেদের দুর্নীতির অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। দুদক চেয়ারম্যান, সচিবসহ চারজনকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে। হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সালাউদ্দিন রিগ্যান এই রিট দায়ের করেন। এ ছাড়া বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদকে আবেদন দেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। রোববার (২১ এপ্রিল) দুদককে দেওয়া ওই আবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ ৩৪ বছর ৭ মাস চাকরি করে গত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২ সালে অবসরে যান। অবসর গ্রহণের পর দেখা যায়, বেনজীর আহমেদ তার স্ত্রী ও কন্যাদের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি অর্জন করেছেন যা তার আয়ের তুলনায় অসম। এতে বলা হয়, গত ৩১ মার্চ একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় ‘বেনজীরের ঘরে আলাদীনের চেরাগ’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাবেক মহাপরিদর্শক তার স্ত্রী জিশান মির্জা এবং দুই মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর ও তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন। বেনজীর আহমেদ তার পদের অপব্যবহার করে তার আয়ের তুলনায় প্রতিবেদনে উল্লিখিত সম্পত্তি অধিগ্রহণ করেছেন বলে বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে বলে চিঠিতে জানান ব্যারিস্টার সুমন। এমন পরিস্থিতিতে, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ, স্ত্রী, বড় মেয়ে ও ছোট মেয়ের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ সংগ্রহের জন্য তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নিতে দুদককে অনুরোধ করেন তিনি। বেনজীর আহমেদের সম্পদ নিয়ে দুদকের অনুসন্ধান কমিটির সদস্যরা হলেন, উপপরিচালক হাফিজুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক নিয়ামুল হাসান গাজী ও জয়নাল আবেদীন।  
২২ এপ্রিল ২০২৪, ২১:০৮

বেনজীরের দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদক
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে ওঠা অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ তদন্ত করবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সাবেক আইজিপির দুর্নীতি অনুসন্ধানে ইতোমধ্যে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে সংস্থাটির  উপপরিচালক হাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে। সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে দুদকের একটি সূত্র।   এর আগে বেনজীর আহমেদের দুর্নীতির অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সালাউদ্দিন রিগ্যান হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিটটি দায়ের করেন। দুদক চেয়ারম্যান, সচিবসহ চারজনকে বিবাদী করা হয়েছে তাতে। রিটে বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।  বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চে আগামীকাল মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রিটের শুনানি অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে জানা গেছে। এর আগে রোববার (২১ এপ্রিল) বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) চিঠি দেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ ৩৪ বছর ৭ মাস চাকরি করে গত ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর অবসরে যান। অবসর গ্রহণের পর দেখা যায়, বেনজীর আহমেদ তার স্ত্রী ও কন্যাদের নামে অঢেল সম্পত্তি অর্জন করেছেন, যা তার আয়ের বিচারে অভাবনীয়।  চিঠিতে সাবেক আইজিপির দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত দাবি করেন ব্যারিস্টার সুমন। পাশাপাশি দুদক কোনো ব্যবস্থা না নিলে, উচ্চ আদালতে যাওয়ারও হুঁশিয়ারি দেন। প্রসঙ্গত, গত ৩১ মার্চ দৈনিক কালের কণ্ঠে ‘ঢাকায় বেনজীরের জন্ম আলাদীনের চেরাগ’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হলে নতুন করে আলোচনায় উঠে আসেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও র‌্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদে। প্রতিবেদনে বলা হয়, স্ত্রী জিশান মির্জা এবং দুই মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর ও তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামে অঢেল সম্পদ গড়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, বেনজীরের অঢেল সম্পদের মধ্যে গোপালগঞ্জের সাহাপুর ইউনিয়নে সাভানা ইকো রিসোর্ট নামে এক অভিজাত ও দৃষ্টিনন্দন পর্যটনকেন্দ্র রয়েছে। এ ছাড়াও তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের নামে দেশের বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ছয়টি কোম্পানির খোঁজ পাওয়া গেছে। পাঁচটি প্রতিষ্ঠানে তার বিনিয়োগের পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকার বেশি হতে পারে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ঢাকার অভিজাত এলাকাগুলোতে বেনজীর আহমেদের দামি ফ্ল্যাট, বাড়ি আর ঢাকার পাশে বিঘার পর বিঘা জমি রয়েছে। দুই মেয়ের নামে বেস্ট হোল্ডিংস ও পাঁচতারা হোটেল লা মেরিডিয়ানের রয়েছে দুই লাখ শেয়ার। পূর্বাচলে রয়েছে ৪০ কাঠার সুবিশাল জায়গাজুড়ে ডুপ্লেক্স বাড়ি, যার আনুমানিক মূল্য কমপক্ষে ৪৫ কোটি টাকা। একই এলাকায় আছে ২২ কোটি টাকা মূল্যের আরও ১০ বিঘা জমি। অথচ গত ৩৪ বছর সাত মাসের দীর্ঘ চাকরিজীবনে বেনজীর আহমেদের বেতন-ভাতা বাবদ মোট আয় এক কোটি ৮৪ লাখ ৮৯ হাজার ২০০ টাকার মতো হওয়ার কথা।
২২ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:১২

ডিসিদের আগে নিজের ঘর দুর্নীতিমুক্ত করতে বললেন দুদক চেয়ারম্যান
জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) নিজের ঘর দুর্নীতিমুক্ত করে তারপর অন্যদের দুর্নীতির খোঁজখবর রাখতে বলেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ। সোমবার (৪ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনে দুদকের অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের সামনে এ কথা তুলে ধরেন দুদক চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, আমি জেলা প্রশাসকদের বলেছি, আপনি নিজে দুর্নীতিমুক্ত কি না, আপনার অফিস দুর্নীতি মুক্ত কি না, আগে নিজের কাছে প্রশ্ন করুন। তাদের বলেছি, যদি আপনার অফিস দুর্নীতিমুক্ত না হয়, নিজের অফিসকে দুর্নীতিমুক্ত করুন। জেলা-উপজেলা, ইউনিয়ন পর্যায়ে আপনাদের অধীনে যেসব অফিস আছে সেগুলো দুর্নীতিমুক্ত করার চেষ্টা করেন। নিজের ঘর দুর্নীতিমুক্ত করুন, তারপর অন্যান্য দুর্নীতির খোঁজখবর রাখুন। জেলা প্রশাসকদের সরকারের প্রতিনিধি উল্লেখ করে মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ বলেন, তারা ৩০-৩৫টা কমিটির প্রধান। জেলার সমস্ত কার্যক্রম সম্পর্কে তারা অবহিত থাকেন। এজন্য অনিয়ম-দুর্নীতির তথ্যগুলো তাদের কাছে আগে আসে। জেলা প্রশাসকদের আমরা এই বিষয়ে সচেতন থাকতে বলেছি। তাদের বলেছি, কোথায় দুর্নীতি-অনিয়ম হচ্ছে এইগুলো আপনাদের কাছে আগে আসে। কীভাবে সব তথ্য আসতে পারে সেই ম্যাকানিজম তৈরি করে, তথ্য সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। যেগুলো দুদকে পাঠানো দরকার ওইগুলো পাঠিয়ে দেবেন। কোন কারণে যদি সরাসরি পাঠাতে সমস্যা হয় তাহলে প্রতি ১৫ দিন পরপর একটা গোপন প্রতিবেদন দেন মন্ত্রিপরিষদে। সেখানে দিলে আমরাও জেনে যাব। প্রতিকার ও প্রতিরোধ দুদকের প্রধান দুই কাজ উল্লেখ করে তিনি বলেন, অনুসন্ধান তদন্ত করে মামলার মাধ্যমে আদালতে সোপর্দ করি, এটা প্রতিকার। জেলা প্রশাসকের সাহায্য ছাড়া প্রতিরোধ আমরা সুচারুভাবে করতে পারি না। দুর্নীতি যেন না হয় সেজন্য আমাদের সাহায্য করতে তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি। জেলা ও বিভাগীয় অফিসে তারা যেন সার্বিক সহায়তা করেন। জেলা পর্যায়ে আমাদের লোকবল যথেষ্ট নয়, এজন্য প্রতিরোধমূলক কার্যক্রমে তাদের সহায়তা চেয়েছি।  
০৪ মার্চ ২০২৪, ২২:২৯

পি কে হালদারকে দেশে আনার বিষয়ে যা জানাল দুদক
ভারতে গ্রেপ্তার গ্লোবাল ইসলামি (সাবেক এনআরবি গ্লোবাল) ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারের বিচার শেষ হলে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুর্নীতি দমন কমিশনের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, অর্থ পাচারের মূলহোতা পিকে হালদারের বিরুদ্ধে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিশেষ জজ আদালতে একটি মামলায় বিচার প্রায় শেষপর্যায়ে। সেখানে বিচার শেষ হলে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে দুদক সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাবে। তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে দুদক খুবই সচেতন।  এদিকে অর্থপাচারের মামলায় চার বছরের সাজা বাতিল চেয়ে রোববার হাইকোর্টে আপিল করেছেন পি কে হালদারের বান্ধবী অনিন্দিতা মৃধা ও তার বাবা সুকুমার মৃধা। এর আগে, গত বছরের ৮ অক্টোবর আদালত পি কে হালদারকে দুই মামলায় ২২ বছরের কারাদণ্ড দেন। এ ছাড়া অপর ১৩ আসামিকে দুই মামলায় তিন ও চার বছর করে মোট সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তাদের মধ্যে অবন্তিকা বড়াল, শংখ বেপারী, সুকুমার মৃধা ও অনিন্দিতা মৃধা কারাগারে রয়েছেন। এ ছাড়া পিকে হালদারসহ অন্য ১০ আসামি পলাতক রয়েছেন। পলাতক আসামিরা হলেন পিকে হালদারের মা লিলাবতী হালদার, ভাই প্রিতিশ কুমার হালদার, সহযোগী অমিতাভ অধিকারী, পূর্ণিমা রানী হালদার, উত্তম কুমার মিস্ত্রি, রাজিব সোম, সুব্রত দাস, অনঙ্গ মোহন রায় ও স্বপন কুমার মিস্ত্রি।
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:২২

সালাম মুর্শেদীর বাড়ি নিয়ে জালিয়াতি হয়েছে : দুদক
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সহসভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের বাড়ি নিয়ে জালিয়াতি হয়েছে। ইতোমধ্যে বাড়িটি নিয়ে একটি মামলাও দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টে দুদকের পক্ষ থেকে দাখিল করা অনুসন্ধান প্রতিবেদনে এমনটি উল্লেখ করা হয়েছে। তবে আদালত তদন্ত প্রতিবেদনের সঙ্গে বাড়ি-সংক্রান্ত যাবতীয় নথি চেয়েছেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার অনীক আর হক ও ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। আর সালাম মুর্শেদীর পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা। দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, সালাম মুর্শেদীর বাড়িকে কেন্দ্র করে জাল জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে, এটা দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদনে ওঠে এসেছে। বাড়িটি নিয়ে মামলা হয়েছে। তদন্তে জানা যাবে কার কতটুকু দায় রয়েছে। এদিকে আদালত বলেছেন, বাড়িটির চেইন অব টাইটেল আমাদের দেখাতে হবে। আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারির মঙ্গলবারের মধ্যে দুদককে যাবতীয় নথি দাখিল করতে বলা হয়েছে। এর আগে, গত ১৭ জানুয়ারি সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের বাড়ি নিয়ে দুদককে অনুসন্ধান প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৮ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন আদালত। বাড়িটি নিয়ে জালিয়াতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুই সদস্যের কমিটি গঠন করেছিল দুদক। গত বছরের ১ নভেম্বর সরকারের সম্পত্তি নিজের নামে লিখে বাড়ি বানানোর অভিযোগে সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এই সম্পত্তি সম্পর্কিত সব কাগজপত্র ১০ দিনের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, গণপূর্ত বিভাগ ও সালাম মুর্শেদীকে নির্দেশ দেন আদালত।
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:২৯

দুদক থেকে শরীফের চাকরিচ্যুতি কেন অবৈধ নয় : হাইকোর্ট
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপসহকারী পরিচালক পদ থেকে মো. শরীফ উদ্দিনকে চাকরিচ্যুতি বৈধতা নিয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। রুলে চাকরিচ্যুতির আদেশ কেন বেআইনি হবে না এবং বেতন, সব সুবিধাদিসহ তাকে চাকরিতে পুনর্বহাল করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছেন আদালত। প্রায় দুই বছর আগে ২০২২ সালে শরীফের করা এক রিটের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে শরীফের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. সালাহ উদ্দীন দোলন ও আইনজীবী মিয়া মোহাম্মদ ইশতিয়াক। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ। মো. শরীফ উদ্দিনকে ২০২২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি অপসারণ করলে তিনি দুদক কর্মচারী বিধিমালার ৫৪ (২) বিধি ও চাকরিচ্যুতির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন। পরে একই বছরের ১১ এপ্রিল তা শুনানির জন্য ওঠে। কিন্তু তখন পর্যন্ত দুদক থেকে একই বিধিতে অপসারিত মো. আহসান আলীর মামলায় দুদকের রিভিউ আবেদনের নিষ্পত্তি না হওয়ায় শরীফের রিটের শুনানি মুলতবি করে আদেশ দেন হাইকোর্ট। পরে এ মুলতবি আদেশের বিরুদ্ধে ২০২২ সালের ১৬ জুন আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করেন শরীফ। দুটি আবেদনের শুনানি নিয়ে গত বছরের ১৬ মার্চ আপিল বিভাগ দুদকের করা আপিল মঞ্জুর করে রায় দেন। রায়ে ওই বিধিটি বাতিল করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল করা হয়। ফলে ৫৪(২) বিধিতে আহসান আলীর চাকরিচ্যুতি বৈধ হয়ে যায়। আর হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে শরীফ উদ্দিনের করা লিভ টু আপিলটি ‘প্রয়োজনের বাড়তি’ বলে উল্লেখ করা হয়। এরপর গত বছরের ২১ ডিসেম্বর আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। পূর্ণাঙ্গ রায়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (কর্মচারী) চাকরি বিধিমালার ৫৪(২) বিধিটি সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে প্রয়োগ করতে বলা হয়। আর বিধিটি প্রয়োগের ক্ষেত্রে দুদককে ১২ দফা পর্যবেক্ষণ বা গাইডলাইন অনুসরণ করতে বলা হয়। আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর হাইকোর্টে মুলতবি থাকা শরীফের রিট ফের শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হয়। 
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:২৬

বিটিভির সাব-স্টেশন নির্মাণে লুটপাট, প্রকাশ্য তদন্তে দুদক
বাংলাদেশ টেলিভিশনে (বিটিভি) সাব-স্টেশন নির্মাণ কাজ না করেই বিল উত্তোলনের মাধ্যমে অর্ধকোটি টাকা লুটপাটের অভিযোগ তদন্তে প্রাথমিক সত্যতা খুঁজে পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)। কোয়ালিটি পাওয়ার টেক ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বড় অংকের ঘুষের বিনিময়ে ওই কাজ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। দুদকের অভিযানে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার পর কমিশন থেকে প্রকাশ্যে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় ৮ ধরনের নথিপত্র তলব করে বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক বরাবর চিঠি পাঠিয়েছেন দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তা। আগামী ১৮ জানুয়ারির মধ্যে এসব নথিপত্র দুদকের প্রধান কার্যালয়ে পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। চিঠিতে যে সব নথিপত্র তলব করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে— বাংলাদেশ টেলিভিশনের দেশব্যাপী ডিজিটাল টেরিস্ট্রিয়াল সম্প্রচার প্রবর্তন (১ম পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় বিটিভির বিভিন্ন কেন্দ্র ও উপকেন্দ্রের মেরামত ও সংস্কার কাজের (WD-13 প্যাকেজ) রেকর্ডপত্র। যেমন-কেন্দ্র ও উপকেন্দ্র ভিত্তিক অনুমোদিত প্রাক্কলন, বরাদ্দপত্র ও প্রশাসনিক অনুমোদন। পত্রিকায় প্রকাশিত দরপত্র বিজ্ঞপ্তি এবং কার্যাদেশ প্রাপ্ত ঠিকাদার কর্তৃক দাখিলকৃত দরপত্র সিডিউল এবং প্রাক্কলিত ব্যয়ের HOPEকর্তৃক অনুমোদিত কপি। তুলনামূলক বিবরণী ও মূল্যায়ণ কমিটির প্রতিবেদন। ঠিকাদারের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তিপত্র। বিভিন্ন কেন্দ্র ও উপকেন্দ্রে সম্পাদিত কাজের চূড়ান্ত প্রতিবেদন এবং বিভিন্ন কেন্দ্রের কর্মকর্তা কর্তৃক কাজ সম্পাদনের/বিল পরিশোধের প্রত্যয়ন। বিভিন্ন কেন্দ্র ও উপকেন্দ্রের কাজের বিপরীতে ঠিকাদারকে প্রদত্ত প্রথম থেকে চূড়ান্ত বিলের কপি এবং বিল ও চেক বই রেজিস্টার। বাংলাদেশ টেলিভিশনের প্রধান কার্যালয়ের এবং বিভিন্ন কেন্দ্র ও উপকেন্দ্রের কাজের তদারকি এবং বিল প্রদানের সুপারিশকারী প্রকৌশলীর নাম ও ঠিকানা। লট-৩ (জেনারেটর ক্রয়) এর চুক্তি সংক্রান্ত এবং প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত যাবতীয় নথি, দরপত্র শিডিউল, মূল্যায়ন প্রতিবেদনের কপি। এর আগে ২০২২ সালের ১৫ মে বাংলাদেশ টেলিভিশনের প্রধান প্রকৌশলী এবং প্রকল্প পরিচালক মনির আহমেদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন উপকেন্দ্রের কাজ না করিয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বিল দেওয়ার মাধ্যমে ৪০ লাখ ১৫ হাজার ৮৬৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে অভিযান চালায় দুদক। সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ জাফর সাদেক শিবলীর নেতৃত্বে পরিচালিত এনফোর্সমেন্ট টিমের অভিযানে প্রাথমিক সত্যতা মিলেছিল। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ টেলিভিশনের ১৪টি উপকেন্দ্রে নতুন ২৫০ কেভিএ সাব-স্টেশন স্থাপনের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়। ঠিকাদার সঠিকভাবে কাজটি সম্পন্ন না করায় প্রথমে সম্পূর্ণ বিল প্রদান না করে আংশিক বিল প্রদান করা হয়েছিল। কিন্তু প্রকল্প পরিচালক হিসাবে মুনীর আহমেদ দায়িত্ব পাওয়ার পর ঘুষের বিনিময়ে ঠিকাদারকে ৪০ লাখ ১৫ হাজার ৮৬৫ টাকার বিল দিয়ে দেন। এ ছাড়া আরও কিছু অভিযোগও তোলা হয়।  
১৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:৪৩

নবনির্বাচিতদের চিন্তার কারণ দুদক
দুদিন আগেই শেষ হলো দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এক হাজার ৯৭১ প্রার্থীর লড়াইয়ে ইতোমধ্যে জানা হয়ে গেছে ২৯৮ জয়ীর নাম। কয়েকদিনের মধ্যে নতুন সংসদ গঠন হতে যাচ্ছে তাদের নিয়ে। কিন্তু নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের উৎসবের মেজাজে চিন্তা ধরিয়ে দিচ্ছে দূর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কারণ সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের হলফনামায় দেওয়া সম্পদ বিবরণী খতিয়ে দেখতে যাচ্ছে সংস্থাটি। অনুসন্ধানে মিথ্যা তথ্যের প্রমাণ মিললে হারাতে হতে পারে সংসদে বসার যোগ্যতাও।   এরই মধ্যে হলফনামায় অস্বাভাবিক সম্পদের উল্লেখ আছে, এমন শতাধিক প্রার্থীর তালিকা তৈরি করেছে দুদক। যেখানে বিজয়ী প্রার্থীদের পাশাপাশি আছেন পরাজিত প্রার্থীরাও। দেশের গণমাধ্যমগুলোতে প্রার্থীদের, বিশেষ করে বর্তমান সংসদের এমপি ও মন্ত্রীদের সম্পদ বিবরণীর খবর সারাদেশে তোলপাড় সৃষ্টি করে। তবে এ নিয়ে দুদক এতদিন নিষ্ক্রিয়তা দেখিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন অনেক বিশিষ্টজন। যদিও গত ৭ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস উপলক্ষে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সব প্রার্থীর হলফনামা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছিলেন সংস্থাটির সচিব মাহবুব হোসেন। দুদক সূত্র জানায়, প্রার্থীদের রহস্যজনকভাবে সম্পদ বৃদ্ধির তথ্য অনুসন্ধান করা হবে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের হলফনামায় দেওয়া তথ্যে দেখা যায়,  অনেকেরই সম্পদ বেড়েছে ১০ থেকে ১০০ গুণ পর্যন্ত। এটি অস্বাভাবিক। অনুসন্ধানকালে তাদের সম্পদ বৃদ্ধির উৎস জানতে চাওয়া হবে। এর আগেও দুদক জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামার সম্পদ অনুসন্ধান করেছে। ওই সময় অনুসন্ধান শেষে যাদের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতি, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ পাওয়া গেছে, তাদের আইনের আওতায় আনা হয়েছিল। অনুসন্ধান প্রক্রিয়া নিয়ে জানতে চাইলে দুদক সচিব মাহবুব হোসেন বলেন,  কারও সম্পদ অনুসন্ধান করা দুদকের চলমান বিষয়। কারও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অনুসন্ধান করা হয় কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী। হলফনামার সম্পদের বিষয়গুলো যাচাই-বাছাই, অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে আইন অনুযায়ী একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে। তিনি জানিয়েছেন, প্রার্থীরা হলফনামায় স্থাবর, নগদ অর্থ, স্বর্ণালংকার, ব্যবসা, শিল্প-প্রতিষ্ঠান, কৃষি খাত, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ, জমি, প্লট, গাড়ি, বাড়িসহ বিভিন্ন অস্থাবর সম্পদের উল্লেখ করেছেন। ওইসব সম্পদ সংশ্লিষ্টরা কীভাবে অর্জন করেছেন, তার ব্যাখ্যা চাওয়া হবে তাদের কাছ থেকে। অনুসন্ধানে দেশে-বিদেশে কেউ সম্পদ গোপন করে থাকলে তাও খুঁজে বের করা হবে। অনুসন্ধানে যাদের সম্পদ বৈধভাবে অর্জিত বলে প্রমাণিত হবে, তাদের অব্যাহতি দেওয়া হবে। আর যাদের সম্পদ অবৈধভাবে অর্জিত, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। নির্বাচিত এমপি ও পরাজিতদের হলফনামার সম্পদ অনুসন্ধান করতে গিয়ে তাদের পোষ্যদের সম্পদের হিসাবও নেওয়া হবে বলে জানা গেছে। হলফনামার সম্পদ অনুসন্ধান করতে গিয়ে সংশ্লিষ্টদের আয়কর নথিও যাচাই করা হবে। হলফনামা ও আয়কর নথির তথ্য মিলিয়ে দেখা হবে। তাদের ব্যাংক হিসাবও যাচাই করা হবে। কেউ হলফনামায় সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন কিনা, তাও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে। আইন অনুযায়ী, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান থেকে সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের হলফনামায় সংশ্লিষ্ট প্রার্থী ও তার পরিবারের সদস্যদের আয়ের উৎস হিসেবে কৃষি, ব্যবসা, বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট, দোকান, শেয়ার সঞ্চয়পত্র, ব্যাংক আমানত, পেশা ও অন্যান্য তথ্য উল্লেখ করতে হয়। নিজের ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যের অস্থাবর সম্পদ হিসেবে নগদ টাকা, বৈদেশিক মুদ্রা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমানো অর্থ, বন্ড, ঋণপত্র, শেয়ার, পোস্টাল, সঞ্চয়পত্র, বাস, ট্রাক, প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেল, স্বর্ণ, মূল্যবান ধাতু ও পাথরে নির্মিত অলংকার, ইলেকট্রনিক সামগ্রী, আসবাবপত্র ও অন্যান্য সম্পদ উল্লেখ করতে হয়। স্থাবর সম্পদ হিসেবে উল্লেখ করতে হয় কৃষি, অকৃষিজমি, আবাসিক ও বাণিজ্যিক পাকা ভবন, বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট, চা বাগান, রাবার বাগান, মৎস্য খামারসহ অন্যান্য সম্পদের তথ্য। নিজে ও পরিবারের সদস্যরা কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদে চেয়ারম্যান, পরিচালক অথবা ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্বে থাকলে সেটাও উল্লেখ করতে হয়। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে নেওয়া ঋণের তথ্য ও বার্ষিক আয়-ব্যয়ের হিসাব উল্লেখ করতে হয়।   বিধি অনুযায়ী প্রতিটি হলফনামা এফিডেভিট, নোটারি পাবলিক ও ম্যাজিস্ট্রেট দ্বারা প্রত্যয়ন করতে হয়। প্রথমবার ঘোষণা দেওয়া তথ্য পরিবর্তন করা যায় না; কোনোরূপ ঘষামাজাও করা যায় না। হলফনামায় কোনোভাবেই অসত্য তথ্য উল্লেখ করা যায় না।
০৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:০৩

ভোট শেষে প্রার্থীদের সম্পদের হিসাব যাচাই করবে দুদক
নির্বাচন শেষে প্রার্থীদের হলফনামায় দেওয়া সম্পদের তথ্য যাচাই করবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার (১ জানুয়ারি) দুদক কার্যালয়ে এমজিআই-র‍্যাক বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড-২০২৩ প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এ কথা জানান দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর মাত্র ৭ দিন বাকি। নির্বাচনটা শেষ হোক, এরপর প্রার্থীদের সম্পদের হিসাবের সত্য-মিথ্যা যাচাই করার সুযোগ আছে। দুদক চেয়ারম্যান বলেন, সাংবাদিক ও দুদক একে অপরের পরিপূরক। আমরা চাই আপনারা দুর্নীতি নিয়ে ভালো ভালো রিপোর্ট করেন। আপনারা যখন বিভিন্ন সূত্র থেকে তথ্য পাবেন, তথ্য নিয়ে অনুসন্ধান করবেন। অনুসন্ধান করে মুদ্রার দুই পিঠ তুলে ধরবেন, তাতেই আমরা লাভবান হবো। তিনি বলেন, এমনভাবে রিপোর্ট করবেন যাতে দুর্নীতিটা বন্ধ হয়। তাবে কোনো ফরমায়েশি প্রতিবেদন করবেন না। এতে সেই প্রতিবেদন বস্তুনিষ্ঠ হবে না, সংবাদের স্বকীয়তাও থাকবে না। এ সময় দুদক কমিশনার আছিয়া খাতুন, মো. জহুরুল হক ও দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেনসহ কমিশন ও র‍্যাকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে তিন ক্যাটাগরিতে ৩ জনকে এমজিআই-র‍্যাক বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড-২০২৩ তুলে দেওয়া হয়। অনলাইন ক্যাটাগরিতে অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন ঢাকা পোস্টের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক এফ এম আবদুর রহমান মাসুম, প্রিন্ট মিডিয়া ক্যাটাগরিতে বাংলা ট্রিবিউনের বিশেষ প্রতিবেদক নুরুজ্জামান লাবু এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়া ক্যাটাগরিতে মাই টিভির সিনিয়র রিপোর্টার মাহবুব সৈকত পুরস্কার পেয়েছেন।
০১ জানুয়ারি ২০২৪, ২২:২৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়