• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বিশ্ব ধরিত্রী দিবস আজ
বিশ্ব ধরিত্রী দিবস আজ। পরিবেশ রক্ষায় সচেতনতা তৈরিতে প্রতিবছর ২২ এপ্রিল বিশ্ব ধরিত্রী দিবস উৎযাপন করা হয়। এবারের প্রতিপাদ্য ‘পৃথিবী বনাম প্লাস্টিক’। অর্থাৎ যেকোনো একটিকে আমাদের বেছে নিতে হবে। দিবসটি উপলক্ষে ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) ও ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে পলিথিন ও প্লাস্টিক দূষণ বন্ধের দাবিতে মূকাভিনয় ‍ও অবস্থান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। এটি জাতিসংঘ কর্তৃক নির্ধারিত একটি দিবস। সর্বপ্রথম ১৯৭০ সালে দিবসটি পালিত হয় এবং বর্তমানে আর্থ ডে নেটওয়ার্ক কর্তৃক বিশ্বব্যাপি এ দিবসটি পালন করা হয়। বর্তমানে ১৯৩টি দেশে প্রতি বছর ধরিত্রী দিবস পালিত হয়। বিশ্বের প্রাকৃতিক পরিবেশ ক্রমে ক্রমে বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠছে। ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দের শুরুর দিকে এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করেন মার্কিন সিনেটর গেলর্ড নেলসন। তিনি ১৯৬২ খ্রিস্টাব্দের শেষের দিকে অ্যাটর্নি জেনারেল রবার্ট কেনেডির কাছে এই বিষয়টি আলাপ করার জন্য ওয়াশিংটন যান। এই বিষয়টি বেশ পছন্দ করেন কেনেডি। ১৯৬৩ খ্রিস্টাব্দের সেপ্টেম্বর মাসে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্টর একাদশ-রাষ্ট্র সংলাপে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার কথা ছিল। কিন্তু এ নিয়ে ফলপ্রসু কোনো আলোচনা হয় নি। কিন্তু প্রচারণা অব্যাহত রাখেন নেলসন। যা পরবর্তীতে বহু মানুষকে সচেতন করে তোলে। অবশেষে ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দে ‘ধরিত্রী দিবস’ পালনের দিন হিসাবে ২২ এপ্রিল নির্ধারণ করা হয়। পরের বছর ২২ এপ্রিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আনুষ্ঠানিক ভাবে ১ম ধরিত্রী দিবস পালিত হয়েছে। তখন এর নাম ছিলো এনভায়রনমেন্টাল টিচ-ইন। বর্তমানে পৃথিবীর অনেক দেশেই সরকারি ভাবে এই দিবস পালন করা হচ্ছে। উত্তর গোলার্ধের দেশগুলিতে এই দিবস পালিত হয় বসন্তকালে আর দক্ষিণ গোলার্ধের দেশগুলিতে পালিত হয় শরৎকালে। ১৯৯০ খ্রিস্টাব্দে বাৎসরিক পঞ্জিকায় দিবসটিকে স্থান দেয় জাতিসংঘ। জাতিসংঘের অন্তর্ভুক্ত দেশসমূহকে তা পালনের জন্য উৎসাহ দেওয়া হয়। এরপর দিবসটি ‘বিশ্ব ধরিত্রী দিবস’ নামে আন্তর্জাতিক ভাবে পালিত হচ্ছে। বিশ্বব্যাংকের পর্যবেক্ষণ অনুসারে বাংলাদেশে প্রতি বছর ৯ লাখ ৭৭ হাজার টন প্লাস্টিক বর্জ্য তৈরি হয়। আর এসব বর্জ্যের ৭০ শতাংশই ফেলা হয় রাস্তার ধারে, নদীর তীরে, উন্মুক্ত ভাগাড়ে কিংবা যত্রতত্র। কোথাও কোথাও আবার উন্মুক্ত স্থানে রেখে পুড়িয়ে ফেলা হয়। তাই সচেতনতা তৈরির পাশাপাশি পরিবেশ রক্ষায় সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান সংশ্লিষ্টদের।
২২ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:১৪

অষ্টগ্রাম ট্রাজেডি দিবস আজ
‘কাকা-কাকি, পিসি আর পিসতুতো ভাইদের সাথে হাস্যরসে সময় কাটছিল বর কাজল কাকার, ছিলেন খোশমেজাজে। লঞ্চে ৮৫ জন বরযাত্রী। হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ে ডুবতে বসা লঞ্চের কাঁচ ভেঙে বাহিরের রেলিংয়ে আমি আটকে পড়ি; তারপর পানিতে। পরে সাঁতরে তীরে উঠলেও, সেদিনের ঘটনার ভয়াবহতা কাটেনি আজও। পরিবারের ১৭ জনসহ ৫২ জনকে হারিয়েছি সেদিন’। কথাগুলো এভাবেই বলছিলেন অষ্টগ্রাম ট্রাজেডি থেকে বেঁচে যাওয়া আশীষ দেবনাথ। তিনি ২০০৩ সালে ২১ এপ্রিল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার পানিশ্বর এলাকায় কালবৈশাখী ঝড়ে বরযাত্রীবাহী লঞ্চ ডুবির ঘটনায় ভাগ্যক্রমে বেঁচে আসা রামকৃষ্ণ পরিবারের ছোট সন্তান। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২১ বছর আগে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলা সদরের ব্যবসায়ী প্রয়াত রামকৃষ্ণ দেবনাথ তার ছোট ভাই কাজল দেবনাথের বিয়ে ঠিক করেন কুমিল্লায়। কনের বাড়ি যেতে আশুগঞ্জে প্রস্তুত রাখা ছিল বাস। অষ্টগ্রাম থেকে ৮৫ জন বরযাত্রী নিয়ে এমভি মজলিসপুর লঞ্চে রওনা হন তারা। বিকেল ২টা ৩০ মিনিটে মেঘনা নদীর খলাপাড়া ও পানিশ্বর এলাকার মধ্যে কালবৈশাখী ঝড়ের কবলে পড়ে ডুবে যায় বরযাত্রীবাহী লঞ্চটি। এতে বর কাজল দেবনাথ, রামকৃষ্ণ ও তার পরিবারের ১৭ জনসহ ৫২ জন হিন্দু ও মুসলিম বরযাত্রীর মৃত্যু হয়। ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান ৩৩ জন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বর ও তার ভাই-বোন, ভাতিজা, বোন জামাই, ভাগ্নে ও আত্মীয় স্বজনরা ছিলেন সে লঞ্চে। টানা ৫দিন পর মরদেহ উদ্ধার শেষে এমভি মজলিসপুর লঞ্চটি উদ্ধার করে অভিযান সমাপ্তের ঘোষণা দেয় সরকার। এ সময় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন তৎকালীন ভূমি প্রতিমন্ত্রী উকিল আব্দুস সাত্তার, বিরোধী দলীয় উপনেতা অ্যাড. আব্দুল হামিদ এমপি, মুফতি আমিনী এমপিসহ কিশোরগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। ভয়াল এ দিন স্মরণে নিহতদের পরিবারে তাদের আত্মার শান্তি কামনায় বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয় প্রতি বছর। এ ঘটনায় স্বজন হারানো অষ্টগ্রাম সদর ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ ফাইয়াজ হাসান বাবু বলেন, অষ্টগ্রামের ইতিহাসে এমন মর্মান্তিক ঘটনা আর ঘটেনি। সেদিন আমার ছোট ভাই সৈয়দ সোহাগকে হারিয়েছি। আমি শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করছি।
২১ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:৫১

রিয়াদে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত
সৌদি আরবের রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযথ মর্যাদায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত হয়েছে।  বুধবার (১৭ এপ্রিল) দূতাবাসের অডিটরিয়ামে দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বিপিএম (বার) বলেন, ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক অনন্য দিন। একাত্তরের এই দিনে অস্থায়ী সরকারের শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ ও সরকার পরিচালনা প্রাতিষ্ঠানিক রুপ পায়। মুজিবনগর সরকারের নেতৃত্বে এক রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্য দিয়ে একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে। রাষ্ট্রদূত বলেন, ১৭ এপ্রিল মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে যে অস্থায়ী সরকার গঠিত হয়েছিল তা জাতির ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। চরম দুঃসময় ও এক ক্রান্তিলগ্নে সেদিন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রথম সরকার শপথ নিয়ে দেশবাসীকে আশার আলো দেখিয়ে ছিল এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে দিক নির্দেশনা প্রদান করেছিল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সেদিন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করা হয়। সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপরাষ্ট্রপতি এবং বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করা হয়। রাষ্ট্রদূত বলেন, সেদিনের সরকারের শপথ নেয়া জাতীয় চার নেতাকে জাতি যুগ যুগ ধরে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে। তিনি সবাইকে দেশের জন্য তাঁদের অবিস্মরণীয় অবদান থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করে প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত আধুনিক স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে এগিয়ে আসার আহবান জানান। দূতাবাসের কাউন্সেলর মোঃ বেলাল হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে দিবসটি উপলক্ষ্যে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয় এবং একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।  আলোচনা শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা ,মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদ এবং দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া করা হয়।
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৪৭

ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ
আজ ১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন। ১৯৭১ সালের এ দিনে তখনকার মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ নেয়। পাশাপাশি এ দিন বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র অনুমোদিত হয়। ১৭৫৭ সালে পলাশির আম্রকাননে বাংলার স্বাধীনতার শেষ সূর্য অস্তমিত হয়েছিল। ২১৪ পর একাত্তরের ১৭ এপ্রিল পলাশি থেকে ৭০ কি. মি. দূরে বৈদ্যনাথতলা তথা মুজিবনগর আম্রকাননে বাংলার সূর্য় উদিত হয়েছিল।  দিবসটি উপলক্ষে নানা কর্মসুচী গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও মেহেরপুর জেলা প্রশাসন। মেহেরপেুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামের দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় ১৭ এপ্রিল এক স্মরণীয় দিন। ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উৎযাপনের মাধ্যমে বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে এবং দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গঠনে অবদান রাখবে। জানা যায়, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর গণহত্যার পর বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার গঠনের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারা সমবেত হন। যুদ্ধের গতি বাড়ানো এবং আন্তর্জাতিক মহলের সমর্থন আদায়ে একটি সরকার গঠনের প্রয়োজনীয়তা সর্বসম্ততিক্রমে অনুমোদিত হয়। ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তানে আওয়ামী লীগের নিরষ্কুশ জয় পান। এ নির্বাচনের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে ১০ এপ্রিল একটি সরকার গঠন করার সিদ্ধান্তে উপণিত হন বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহচরেরা।  পাকিস্তানের কারাগারেবন্দি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করেন। আরও সিদ্ধান্ত হয় সৈয়দ নজরুল ইসলাম হবেন উপ-রাষ্ট্রপতি, যিনি বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করবেন। তাজউদ্দীন আহমদ যুদ্ধকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বে থাকবেন। সেদিনই গভীর রাতে (১১ এপ্রিল) পশ্চিমবঙ্গের কোনো এক অজ্ঞাত স্থান থেকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাজউদ্দীন আহমদের রেকর্ড করা একটি ভাষণ গোপন বেতার কেন্দ্রের মাধ্যমে প্রচারিত হয়। এই বেতার ভাষণের মধ্য দিয়েই আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের সরকার বিশ্ববাসীর সামনে আত্মপ্রকাশ করে। অস্থায়ী সরকারের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ও শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানটি হওয়ার কথা ছিল ১৪ এপ্রিল ১৯৭১, চুয়াডাঙ্গায়। কিন্তু সেই গোপন সিদ্ধান্তটি সংবাদপত্রে ফাঁস হয়ে যায়। ফলে পাকিস্তানি সেনারা প্রবল বোমাবর্ষণ করে ওই স্থানে। আর এতে ভেস্তে যায় সেই পরিকল্পনা। মুজিবনগরে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। গার্ড অব অনার প্রদানকারী ১২ মধ্যে বেঁচে আছেন মাত্র ২ আনসার সদস্য। মেজর আবু উসমান চৌধুরীর পৌঁছাতে বিলম্ব হওয়ায় ক্যাপ্টেন মাহবুব উদ্দীন আহমেদ ইপিআর আনছারের একটি ছোট্ট দল নিয়ে নেতৃবৃন্দকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন। গার্ড অব অনার শেষে স্থানীয় শিল্পীদের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে সৈয়দ নজরুল ইসলাম বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।  বাকের আলীর কোরআন তেলাওয়াত এবং ভবরপাড়া গ্রামের পিন্টু বিশ্বাসের বাইবেল পাঠের মাধ্যমে শুরু হয় আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম।  এরপর আওয়ামী লীগের চিফ হুইফ অধ্যাপক মো. ইউসুফ আলী বাংলার মুক্ত মাটিতে স্বাধীনতাকামী কয়েক হাজার জনতা এবং শতাধিক দেশি-বিদেশি সাংবাদিকের সামনে দাঁড়িয়ে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন। ঐতিহাসিক সেই স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে চিফ হুইফ অধ্যাপক ইউসুফ আলী রাষ্ট্রপ্রধান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনুপস্থিতিতে উপরাষ্ট্র প্রধান হিসেবে সৈয়দ নজরুল ইসলামকে শপথবাক্য পাঠ করান।  এরপর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাজ উদ্দীন আহমেদের নাম ঘোষণা করেন এবং প্রধানমন্ত্রীর সাথে পরামর্শক্রমে মন্ত্রী পরিষদের সদস্য আইন, সংসদ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে খন্দকার মোশতাক আহমদ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে এএইচএম কামরুজ্জামান এবং অর্থমন্ত্রী হিসেবে ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীকে পরিচয় করিয়ে দেন এবং শপথ পাঠ করান। মন্ত্রিপরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান সেনাপতি হিসেবে কর্নেল এম এ জি ওসমানী এবং সেনাবাহিনীর চিফ অফ স্টাফ পদে কর্নেল আব্দুর রবের নাম ঘোষণা করা হয়। এরপর প্রধানমন্ত্রী তাজ উদ্দীন আহমেদ উপস্থিত সকলের সামনে ৩০ মিনিটের এক উদ্দীপনাময় ভাষণ দেন। তিনি বলেন, আজ থেকে স্বাধীন বাংলাদেশের রাজধানী হবে এ বৈদ্যনাথতলা এবং এর নতুন নাম হবে মুজিবনগর। তিনি বিশ্ববাসীর কাছে নতুন রাষ্ট্রের স্বীকৃতিদান ও সামরিক সাহায্যের আবেদন জানান। সেদিন থেকেই বৈদ্যনাথতলা মুজিবনগর নামে পরিচিত। বক্তৃতা এবং শপথগ্রহণ পর্ব শেষে নেতৃবৃন্দ মঞ্চ থেকে নেমে এলে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতিকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন মেজর আবু উসমান চৌধুরী। উপস্থিত জনতার মূহুর্মূহু জয়বাংলা ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে মুজিবনগরের আম্রকানন। সব মিলিয়ে ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যে অনুষ্ঠান শেষ হয়। মুজিবনগর সরকারের নেতৃত্বেই টানা ৯ মাস যুদ্ধ শেষে লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয় বাংলার স্বাধীনতা। বিশ্বের মানচিত্রে ঠাঁই করে নেয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৪০

মেহেরপুরে মুজিবনগর দিবসে বিশেষ আয়োজন 
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের গৌরবময় তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা প্রবাহের সঙ্গে যে নামটি ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে, তা হলো মুজিবনগর দিবস। এ দিন স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জনের নেতৃত্বে ছিল এই সরকার। একাত্তরের ১৭ এপ্রিল মেহেরপুরের ঐতিহাসিক বৈদ্যনাথতলা তথা মুজিবনগর আম্রকাননে এ সরকারের শপথ হয়েছিল। যার মাধ্যমে পাল্টে গিয়েছিল যুদ্ধের গতিপ্রকৃতি। সেই দিনটি স্মরণীয় করে রাখা এবং নতুন প্রজন্মের কাছে স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস ছড়িয়ে দিতে এবার জাকজমকপূর্ণ বড় আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপনের প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে। মুজিবনগরকে বলা হয় স্বাধীনতার সূর্যোদয় ভূমি। যে সূর্যের আলো ছড়িয়ে পড়েছিল সাত কোটি বাঙালির হৃদয়ে। তাই মুজিবনগর আর স্বাধীনতা এক সুতোয় গাঁথা রয়েছে বলে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।  সরেজমিনে মুজিবনগর কমপ্লেক্স ঘুরে দেখা যায়, বৈদ্যনাথতলা আমবাগানে যেখানে একাত্তরে প্রথম সরকার শপথ গ্রহণ করেছিলেন, সেখানে শেখ হাসিনা মঞ্চে চলছে সাজসজ্জার কাজ। এ মঞ্চে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় অংশ নেবেন কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা। দর্শনার্থীদের কাছে মুজিবনগরকে তুলে ধরতে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্বলিত স্থাপনাগুলো ধুয়েমুছে করা হচ্ছে পরিষ্কার। প্রবেশ পথগুলোতে রঙের আঁচড় দিয়ে ফুটিয়ে তোলার কাজও শেষ পর্যায়ে। মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ, আম্রকানন এবং মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি কমপ্লেক্স পেয়েছে এক নতুন রূপ।  মূলত জেলা প্রশাসন, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দিবসটি ঘিরে বিভিন্ন আয়োজন করে থাকে। জেলা প্রশাসন ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে থাকছে, সকাল ৯টায় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন। জাকজমকপূর্ণ কুজকাওয়াজ। এতে অংশ নেবেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিজিবি, পুলিশ, আনসার ও ভিডিপি, বিএনসিসি, স্কাউট, গালর্স গাইড এবং সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা।  সকাল ১০টায় গীতিনাট্য সোনালি স্বপ্নের দেশ উপস্থাপন করবে আনসার ও ভিডিপি অর্কেস্ট্রা দল। একাত্তরের শপথের পর গার্ড অব অনার প্রদানকারী হিসেবে ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে আছেন ১২ আনসার সদস্য। স্বাধীনতা যুদ্ধে আনসার সদস্যদের আত্মত্যাগের স্মৃতি সমুন্নত রাখতে মুজিবনগর দিবসে আনসার ভিডিপির এই কর্মসূচি থাকে প্রতি বছরই।  এ দিকে সন্ধ্যা ৬টায় মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি কেন্দ্রের সামনে আয়োজন করা হযেছে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। দেশ বরেণ্য শিল্পীরা সঙ্গীত পরিবেশন করবেন এ মঞ্চে। এ ছাড়াও আতশবাজি উৎসব আর রঙিন আলোর ঝলকানি থাকছে সন্ধ্যার পর থেকে। এ দিকে সকাল ১০টায় শেখ হাসিনা মঞ্চে আলোচনার সভার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করবেন।  সঞ্চালনায় থাকবেন আওয়ামী লীগের খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক।  জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রী এবং প্রথম সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের কন্যা রিমিন হোসেন সিমি, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজ্জামেল হকসহ আওয়ামী লীগের স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতারা অংশ নেবেন এ আলোচনা সভায়।  আয়োজন সম্পর্কে জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ইতিহাসের অত্যন্ত গৌরবময় ঘটনার দিন মুজিবনগর দিবস পালনে এবারও নানা আয়োজন করা হয়েছে। করোনা মহামারির কারণে দুই বছর অনুষ্ঠান আয়োজনে ছেদ পড়লেও এবার অত্যন্ত জাকজমকতার সঙ্গে হচ্ছে সব আয়োজন। যার জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন মেহেরপুরসহ আশেপাশের জেলার মানুষ।  ৫০ হাজার মানুষের সমাগম হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।  দিবসটি আয়োজনের সকল প্রস্তুতি প্রায় চূড়ান্ত জানিয়ে মেহেরপুর জেলা প্রশাসক শামীম হাসান বলেন, গরমে মানুষ যাতে কষ্ট না পান তার জন্য পানি পানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাছাড়া অস্থায়ী টয়লেট, মেডিকেল টিমসহ নানা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে জেলা প্রশাসন।  জাতীয় এ অনুষ্ঠান সফলভাবে সম্পন্ন করতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।  এ দিকে অনুষ্ঠান ঘিরে চার স্তরের নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলেছে জেলা পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করে মেহেরপুর পুলিশ সুপার এস এম নাজমুল হক বলেন, মেটাল ডিটেকটিভ দিয়ে তল্লাশি এবং আর্চওয়ে গেট স্থাপন করা হয়েছে। পুরো এলাকার নিরাপত্তা কয়েকটি ভাগে বিভক্ত করে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। বাইরের জেলা থেকেও আনা হয়েছে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশ ফোর্স। এ ছাড়াও থাকছে র‌্যাবের কয়েকটি দলের টহল।  স্থানীয়রা জানান, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আর বাঙালির বিজয়ের গৌরবগাঁথা বীরত্ব মিশে রয়েছে একাত্তরের ১৭ এপ্রিল শপথের মধ্যে। ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস যথাযথভাবে পালনের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আরও সমুন্নত হবে এমনটাই প্রত্যাশা মেহেরপুরবাসীর। 
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:০৯

সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মুজিবনগর দিবস উদযাপনের নির্দেশ
আগামীকাল ১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস। দেশের সরকারি-বেসরকারি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দিবসটি উদযাপনের নির্দেশ দিয়েছে সরকার।  দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা সভা, মোনাজাত ও প্রার্থনার আয়োজন করতে বলা হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা এবং কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগ থেকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।  নির্দেশনায় বলা হয়েছে, মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার কার্যবিবরণী অনুযায়ী- শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহে আগামী ১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উদযাপন করতে হবে। একইসঙ্গে ওইদিন মুজিবনগর দিবসের তৎপর্য তুলে দরে ‘ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করতে হবে। এছাড়া দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত বা প্রার্থনা করতে হবে।
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৫৫

বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস আজ
আজ ৭ এপ্রিল; বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারিত প্রতিপাদ্যের আলোকে দিবসটি উদযাপন করছে বাংলাদেশও। এবারের প্রতিপাদ্য ‘স্বাস্থ্যের অধিকার নিশ্চিতে: কাজ করি একসাথে’। দিবসটি উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেইসঙ্গে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদফতর এবং স্বাস্থ্য বিষয়ে কাজ করে এমন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলো। এ বছর দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে গৃহীত কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সেমিনার আয়োজন, স্যুভেনির প্রকাশ, স্বাস্থ্য শিক্ষা প্রদর্শনী, জাতীয় পত্রিকায় ক্রোড়পত্র প্রকাশ, সড়কদ্বীপ সজ্জিতকরণ, চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠানসহ অন্যান্য কার্যক্রম। ১৯৪৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে সম্মেলন ডাকার সিদ্ধান্ত নেয় জাতিসংঘ অর্থনীতি ও সমাজ পরিষদ। একই বছরের জুন ও জুলাই মাসে অনুষ্ঠিত হয় আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সম্মেলন। সেইসঙ্গে গৃহীত হয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাংগঠনিক আইন। ১৯৪৮ সালের ৭ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হয় এই আইন। একইসঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস হিসেবে নির্ধারিত হয় দিনটি। দিবসটি ঘিরে প্রতিবছর সংস্থাটি এমন একটি স্বাস্থ্য ইস্যু বেছে নেয়, যা বিশেষ করে সারা পৃথিবীর জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। এ দিন স্থানীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে পালিত হয় এ দিবসটি।
০৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:০৮

আন্তর্জাতিক আল কুদস দিবস পালিত
আন্তর্জাতিক আল কুদস দিবস হিসেবে রমজানের শেষ শুক্রবার পালন করে আসছে মুসলিমরা। মুসলমানদের প্রথম কেবলা পবিত্র বায়তুল মুকাদ্দাস দখলমুক্ত করার আন্দোলনের প্রতীকী দিন এটি। ১৯৬৭ সাল থেকে ইসরাইল বায়তুল মুকাদ্দাস দখল করে আছে। বিশ্বজুড়ে দিনটি এমন এক সময় পালিত হতে যাচ্ছে যখন ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইহুদিবাদী ইসরাইলের পাশবিক হামলা অব্যাহত রয়েছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইহুদিবাদী ইসরাইল গাজা উপত্যকা এবং জর্ডান নদীর পশ্চিম তীরে মজলুম ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর নতুন করে গণহত্যা শুরু করে। সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী তাদের হামলায় ৩৩ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৭৪ হাজারেরও বেশি। পবিত্র নগরী আল কুদস বা বায়তুল মুকাদ্দাস হচ্ছে পবিত্র মক্কা মু‘আযযামা ও মদিনা মুনাওয়ারার পরে ইসলামের তৃতীয় পবিত্র স্থান; যেখানে অবস্থিত ইসলামের প্রথম কিবলা মসজিদুল আকসা। হজরত রসূলে আকরাম (সা.) মক্কার মসজিদুল হারাম, মদিনার মসজিদুন্নবী ও বায়তুল মুকাদ্দাসের মসজিদুল আকসার উদ্দেশে সফরকে বিশেষভাবে সওয়াবের কাজ বলে উল্লেখ করেছেন। হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর হিজরতের আগে মক্কায় এবং হিজরতের পরে মদিনায়ও বেশ কিছু দিন মসজিদুল আকসাই ছিল মুসলমানদের কিবলা, পরে আল্লাহ তায়ালার আদেশে মক্কা নগরীর কাবা ঘর কিবলা হিসেবে নির্ধারিত হয়। হজরত মুহাম্মদ (সা.) এ মসজিদুল আকসা থেকেই মিরাজে গমন করেছিলেন। তাই বায়তুল মুকাদ্দাস দুনিয়ার অন্য অনেক ভূখণ্ডের মতো কোনো সাধারণ ভূখণ্ড নয়। বায়তুল মুকাদ্দাস ও তার আশপাশের এলাকা তথা সমগ্র ফিলিস্তিন ভূখণ্ড বহু নবী রাসূলের (আ.) স্মৃতি বিজড়িত এবং কুরআন মজিদে এ পুরো ভূখণ্ডকে ‘আর্দে মুকাদ্দাস’ বা ‘পবিত্র ভূমি’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এ জন্য মসজিদুল আকসা, বায়তুল মুকাদ্দাস ও ফিলিস্তিনে পবিত্র নামগুলো মুসলমানদের ঈমান ও সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। বিশ্ব সাম্রাজ্যবাদী ও উপনিবেশবাদী চক্র সাম্প্রদায়িক ইহুদি জায়নিস্টদের ইন্ধন জুগিয়ে ফিলিস্তিনের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। তারা একের পর এক গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে এবং মুসলমানদের বর্বরোচিত ভাবে শহর ও গ্রাম থেকে উচ্ছেদ করছে। ফিলিস্তিন জবর দখলদার সাম্প্রদায়িক ইসরাইলের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিরা সংগ্রাম ও যুদ্ধ করে চলেছে। প্রতিবাদ করে আসছে বিশ্ববাসী। ইরানে ইসলামী বিপ্লব বিজয়ী হওয়ার পর ইমাম খোমেনি (র.) ফিলিস্তিন ইস্যুকে কেন্দ্র করে রমজান মাসের শেষ শুক্রবার আন্তর্জাতিক আল কুদস দিবস পালনের আহ্বান জানান। সেই থেকে মুসলমানদের প্রথম কিবলা পবিত্র বায়তুল মুকাদ্দাসকে দখলমুক্ত করার আন্দোলনের প্রতীকী দিন হয়ে আছে এটি। ইমাম খোমেনির আহ্বানে ১৯৭৯ সালে ইরানে প্রথম শুরু হয়েছিল আন্তর্জাতিক আল কুদস দিবস। এ দিবস পালনের উদ্দেশ্য হলো ফিলিস্তিনি জনগণের সাথে একাত্মতা প্রকাশ এবং দখলদারদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করা। আজ বিশ্বের নানা দেশে দিবসটি পালিত হচ্ছে।
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:০৩

চলচ্চিত্র দিবসে বিএফডিসিতে যত আয়োজন
জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস বুধবার (৩ এপ্রিল)। প্রতিবছর বিভিন্ন আয়োজনের মাধ্যমে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি) পালিত হয় দিবসটি। এদিন চলচ্চিত্রাঙ্গনের মানুষের পদচারণায় মুখরিত হয় বিএফডিসির চত্বর। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। বুধবার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বিএফডিসিতে উদযাপন করা হবে জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস। ‘আমাদের চলচ্চিত্র আমাদের অহংকার, প্রেক্ষাগৃহে দেখব ছবি এই হোক অঙ্গীকার’ স্লোগানে দিবসটি উদযাপন করবেন চলচ্চিত্রকর্মীরা।        জানা গেছে, দুপুরে বিএফডিসিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর ‘জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস ২০২৪’র উদ্বোধন করবেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। এদিন শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে চলচ্চিত্রকর্মীদের। তারপর এফডিসির ২ নম্বর ফ্লোরে আলোচনাসভায় আমন্ত্রিত অতিথি ও চলচ্চিত্রের বিশিষ্টজনরা বক্তব্য দেবেন।     অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার প্রমুখ। আলোচনা শেষে বেলা ৩টা ৩৫ মিনিটে ‘মুজিব : একটি জাতির রূপকার’ সিনেমা প্রদর্শিত হবে। শুধু এফডিসিতে নয়, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতেও উদযাপিত হবে দিবসটি।  এ ছাড়া আজ বিকেল ৪টায় জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনের সেমিনার কক্ষে ‘চলচ্চিত্রের বাজার সম্প্রসারণ, দেশ থেকে দেশান্তর’ শীর্ষক সেমিনার রয়েছে। পাশাপাশি সন্ধ্যা ছয়টায় থাকছে প্রীতি সম্মিলনী। প্রসঙ্গত, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫৭ সালের এই দিনে তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদে চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (এফডিসি) গঠনের প্রস্তাব উত্থাপন করেন। পরবর্তীতে ২০১২ সালের ৩ এপ্রিল থেকে জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস উদযাপন শুরু হয়।   
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০৯

বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস আজ
সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও আজ সোমবার (২ এপ্রিল) পালিত হবে ১৭তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস। অটিজম বিষয়ে সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি ও তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালন করা হচ্ছে। এ উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দিবসটিতে এবারের প্রতিপাদ্য- ‘সচেতনতা-স্বীকৃতি-মূল্যায়ন : শুধু বেঁচে থাকা থেকে সমৃদ্ধির পথে যাত্রা’। দিবসটি পালন উপলক্ষে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক  ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী  ডা. দীপু মনি । এ বছর বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দেশব্যাপী দিবসটি পালন করা হবে। দিবসটি উপলক্ষে দৈনিক পত্রিকায় বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশিত হবে। অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তিদের সম্মানে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ও আওতাধীন দপ্তর-সংস্থা, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সরকারি গুরুত্বপূর্ণ ভবনে নীল রংয়ের আলোকসজ্জা করা হবে। এছাড়া অটিজম বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে রোড ব্র্যান্ডিং, বিশেষ স্মরণিকা ও লিফলেট ছাপানো হয়েছে। অটিজমে আক্রান্ত শিশু ও বয়স্কদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে সহায়তার প্রয়োজনীয়তাকে তুলে ধরতে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ২০০৭ সালে ২ এপ্রিলকে ‘বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস' হিসেবে পালনের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর থেকে প্রতি বছর দিবসটি পালন করা হচ্ছে। এক সময় অটিজম ছিল একটি অবহেলিত জনস্বাস্থ্য ইস্যু। এ সম্পর্কে সমাজে নেতিবাচক ধারণা ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা ও স্কুল সাইকোলজিস্ট সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের নিরলস প্রচেষ্টায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অটিজম বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে। তিনি ২০০৭ সালে এ বিষয়ে দেশে কাজ শুরু করেন। এ অবহেলিত জনস্বাস্থ্য ইস্যুতে তার বিরাট অবদানের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার স্বীকৃতি পেয়েছেন। বর্তমানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেনসায়েমা ওয়াজেদ পুতুল।
০২ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৪৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়