• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo
ইহসানুল করিমের দাফন সম্পন্ন
চিরনিদ্রায় শায়ীত হলেন সবচেয়ে দীর্ঘ সময় প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিবের দায়িত্ব পালন করা ইহসানুল করিম হেলাল। সোমবার (১১ মার্চ) বাদ জোহর বনানী কবরস্থানে তৃতীয় জানাজা শেষে দাফন করা হয় তাকে। এর আগে সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে রাষ্ট্রীয় সম্মান গার্ড অব অনার জানানো হয় বীর এই মুক্তিযোদ্ধাকে। দীর্ঘ ৮ বছরের বেশি সময় ধরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ছিলেন ইহসানুল করিম হেলাল। এর আগে চার দশকের বর্ণাঢ্য সাংবাদিকতার ক্যারিয়ার। তাইতো শেষ বিদায়েও তাকে নেওয়া হয় তার প্রিয় জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে। ৭৩ বছর বয়সের এক জীবনে দেশ বিদেশের বহু নামকরা গণমাধ্যমে কাজ করেছেন ইহসানুল করিম। সৎ সাংবাদিকতার নানা চড়াই উৎড়াই তিনি সামলেছেন নৈতিকতার নিক্তিতে। ইহসানুল করিম হেলাল রোববার রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। ইহসানুল করিমের মরদেহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালেই রাখা হয়েছে। গত বছরের ডিসেম্বর থেকে তিনি এই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন ছিলেন। ইহসানুল করিম ২০১৫ সালের জুন থেকে চুক্তি ভিত্তিতে সচিব পদমর্যাদা ও বেতনক্রমে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। সর্বশেষ ২০২২ সালে তার চুক্তির মেয়াদ দুই বছর বাড়ানো হয়েছিল। বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইহসানুল করিম প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার আগে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব ছিলেন। ইহসানুল করিম ১৯৭২ সালে বাসসের নিজস্ব প্রতিবেদক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। সংবাদ সংস্থাটির বিভিন্ন পদে তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৯৭ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত ভারতের নয়াদিল্লিতে সংস্থাটির ব্যুরো প্রধানের দায়িত্বও পালন করেন তিনি। এ ছাড়া তিনি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি, ভারতের পিটিআই, দ্য স্টেটসম্যান ও ইন্ডিয়া টুডেসহ বিভিন্ন পত্রিকায় বাংলাদেশ প্রতিবেদক হিসেবেও কাজ করেছেন। ২০১৩ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি বাসসের প্রধান সম্পাদক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে চার বছর দায়িত্ব পালনের পর অবসর নেন ইহসানুল। ওই বছরের ২০ মে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় তাকে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের প্রেস সচিব হিসেবে নিয়োগ দেয়। ২১ মে তিনি প্রেস সচিব হিসেবে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে দায়িত্ব নেন। ২০১৫ সালের জুন পর্যন্ত এ দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫১ সালের ৫ জানুয়ারি জন্ম নেয়া ইহসানুল করিম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর করেন। 
১১ মার্চ ২০২৪, ১৫:২৬

মাওলানা লুৎফুর রহমানের দাফন সম্পন্ন
দাফন সম্পন্ন হয়েছে প্রখ্যাত মুফাসসিরে কুরআন, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ইসলামি বক্তা ও বাংলাদেশ মাজলিসুল মুফাসসিরিনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা লুৎফর রহমানের।    সোমবার (৪ মার্চ) সকাল ৯টার দিকে তৃতীয় জানাজা শেষে রামগঞ্জ উপজেলায় নিজবাড়ির প্রাঙ্গণে তার দাফন সম্পন্ন হয়। এর আগে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার করপাড়া ইউনিয়নের গাজীপুর রাজ্জাকিয়া জনকল্যাণ উচ্চবিদ্যালয় মাঠে তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।    জানাজায় উপস্থিত ছিলেন, জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের জেনারেল সেক্রেটারি মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহসেক্রেটারি এ টি এম মাসুম, বাংলাদেশ মাজলিসুল মুফাসসিরিনের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি রুহুল আমিন ও শিবিরের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি ড. রেজাউল করিমসহ বিপুলসংখ্যক মুসল্লি।  রোববার (৩ মার্চ) দুপুর ২টা ৫৪ মিনিটে রাজধানীর ইবনে সিনা হাসপাতালে মাওলানা লুৎফুর রহমান মারা যান। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি সকাল পৌনে ১০টায় লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার নিজবাড়িতে ব্রেনস্ট্রোক করেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে বাড়ির লোকজন তাকে লক্ষ্মীপুর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান তিনি ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছেন। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় আনা হয়। প্রখ্যাত এ আলেমে আল্লামা লুৎফর রহমান একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ইসলামি বক্তা। একজন স্বনামধন্য বক্তা হিসেবে দেশে-বিদেশে তার অনেক পরিচিতি রয়েছে। ব্যক্তিজীবনে মাওলানা লুৎফর রহমান ৫ কন্যা ও ২ ছেলের পিতা। আল্লামা লুৎফুর রহমান ১৯৪০ সালে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার করপাড়া ইউনিয়নের বদরপুর গ্রামের জন্মগ্রহণ করেন। তিনি কর্মজীবনে রাজখালি আলিয়া মাদরাসার অধ্যক্ষ হিসেবে অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। পাশাপাশি সামাজিক উন্নয়ন অগ্রগতিতে সবসময় নিজেকে উৎসর্গ করেন। 
০৪ মার্চ ২০২৪, ১৩:২৫

নারী সাংবাদিকের মৃত্যু / বাবা চান দাফন করতে, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দাবি দাহ
রাজধানীর বেইলি রোডে আগুনে নিহত নারী সাংবাদিকের নাম জটিলতার কারণে লাশ এখনও হস্তান্তর করা হয়নি। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, তার আসল নাম বৃষ্টি খাতুন। তার বাবা সবুজ শেখ জানান, ইসলামি বিধান মেনে মেয়ের মরদেহ দাফন করতে চান। তবে এই দাবি নাকচ করেছেন পূজা উদযাপন পরিষদ নেতারা। তারা বলছেন, নিহতের মরদেহ দাফন নয়, দাহ হবে সনাতন রীতিতে। সহকর্মী তুষার হাওলাদারের সঙ্গে গত বৃহস্পতিবার রাতে বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে কাচ্চি ভাই রেস্তোরাঁয় গিয়েছিলেন ওই নারী সাংবাদিক। সেসময় ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ গেছে মোট ৪৬ জনের। ওই নারী সাংবাদিকও রয়েছেন তাদের মধ্যে। প্রাথমিকভাবে যাকে অভিশ্রুতি শাস্ত্রী নামে শনাক্ত করেন সহকর্মীরা। বৃষ্টি খাতুন নাকি অভিশ্রুতি শাস্ত্রী এ দুই নামের জটিলতায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইন্সটিটিউটের মর্গে পড়ে আছে মরদেহ। হস্তান্তর নিয়ে তৈরি হয়েছে জটিলতা।  এদিকে আহতদের চিকিৎসায় ১৭ সদস্যের যে মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে, ডা. শারফুদ্দিন তার একজন সদস্য। ওই নারী সাংবাদিকের পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি জানিয়ে তিনি বলেন, ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে তার পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে। জানা গেছে, অভিশ্রুতি কিংবা বৃষ্টির গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার বেতবাড়ীয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বনগ্রাম প‌শ্চিমপাড়া। সার্টিফিকেট, জন্ম নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্রে তার নাম বৃষ্টি। তবে তার বায়োডাটায় দেখা গেছে তিনি একজন সনাতন ধর্মাবলম্বী। বৃষ্টির ফুফু রোজিনা আক্তার জানান, তিনি সাভারে থাকেন। বৃষ্টি তার সঙ্গেই সাভারে থাকতেন। যাতায়াতের দূরত্ব কমানোর চিন্তা করেই বৃষ্টি হোস্টেলে ওঠেন। এখন নাম জটিলতায় তার লাশটিও পেতে পরিবারের বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। ডিএনএ পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়ে লাশ হস্তান্তর করা হবে বলে প্রশাসন থেকে জানিয়েছে। তিনি বলেন, ২৯ ফেব্রুয়ারি বৃষ্টি তার মা বিউটি বেগমকে ফোন করে জানিয়েছিল অনুষ্ঠান শেষ হলো। সে হোস্টেলে ফিরবে। তারপর রাতে কথা বলবে। কিম্তু আর কথা হয়নি। পরের দিন ১ মার্চ খবর আসলো বৃষ্টি আর নেই। ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল মজিদ বলেন, অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর আসল নাম বৃষ্টি। তিনি মুসলিম। বৃষ্টি ইডেন কলেজে পড়াশোনা করতেন। সার্টিফিকেট, জন্ম নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্রে তার নাম বৃষ্টি। নিহত সাংবাদিকের বাবা শাবলুল আলম সবুজ রাজধানী ঢাকায় একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন। দরিদ্র পিতার তিনটিই কন্যাসন্তান। বৃষ্টি খাতুন সবার বড়। মেজ মেয়ে শারমিনা সুলতানা ঝর্ণা রাজবাড়ী সরকারি কলেজে প্রথম বর্ষের ছাত্রী। ছোট মেয়ে বর্ষা পড়ে দশম শ্রেণিতে। বৃষ্টি প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে পড়েছেন গ্রামের বিদ্যালয়ে। উচ্চ মাধ্যমিক পড়েছেন কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে। বিসিএস ক্যাডার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে ঢাকার ইডেন কলেজে দর্শন শাস্ত্র নিয়ে পড়েছেন। উচ্চশিক্ষা শেষ করার আগে বিসিএস কোচিং নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। নিহতের ছোট বোন শারমিনা সুলতানা ঝর্ণা বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে মায়ের সঙ্গে বৃষ্টির শেষবার মোবাইল ফোনে কথা হয়। তার বোন হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন কিনা এমন প্রশ্নে ঝর্ণা বলেন, এটা হতেই পারে না। আমার বোন মনেপ্রাণে একজন মুসলিম। সে কখনই নিজ ধর্ম ত্যাগ করেনি। তবে সম্প্রতি তার বোন অভিশ্রুতি শাস্ত্রী নামে ফেসবুক আইডি খুলেছিলেন এবং ওই নামেই সাংবাদিকতা করতেন বলে স্বীকার করেন ঝর্ণা।  
০২ মার্চ ২০২৪, ১৪:৪৭

কাউসারের পরিবারের ৫ জনের দাফন সম্পন্ন
রাজধানীর বেইলি রোডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একই পরিবারের পাঁচজনের জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে।   শুক্রবার (১ মার্চ) বাদ আসর নামাজের পর উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের খন্দকার বাড়ি জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে তাদের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে আত্মীয়-স্বজন, গ্রামবাসীস অংশ নেন। জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এ সময় শোকার্তদের বিলাপে পুরো পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে। গত বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে ঢাকার বেইলি রোডের একটি রেস্টুরেন্টে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর গ্রামের আবুল কাসেমের ছেলে ইতালি প্রবাসী সৈয়দ মোবারক হোসেন কাউসার (৫০), তার স্ত্রী স্বপ্না (৩৫), মেয়ে সৈয়দা ফাতেমা কাশফিয়া (১৮), সৈয়দা উম্মে নূর (১৩)ছেলে সৈয়দ আব্দুল্লা (৭)। তারা রাজধানীর মধুবাগ এলাকায় বসবাস করতেন। নিহত কাউসারের চাচাতো ভাই সৈয়দ আবুল ফারাহ তুহিন বলেন, ছেলে আব্দুল্লাহর অনুরোধে কাউসার বৃহস্পতিবার রাতে পরিবারের ৪ সদস্যসহ কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে খাবার খেতে যান। সেখানে অগ্নিদগ্ধ হয়ে সৈয়দ কাউসার, তার স্ত্রী স্বপ্না, মেয়ে কাশফিয়া, মেয়ে নূর, ছেলে আব্দুল্লাহ নিহত হন। মর্মান্তিক এ মৃত্যুর খবরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।  তিনি জানান, মরদেহ সাড়ে তিনটার দিকে খন্দকার বাড়িতে আসে। বাদ আসর জানাজা শেষে তাদের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
০১ মার্চ ২০২৪, ১৯:৪৮

অগ্নিকাণ্ডে নোয়াখালীর ৪ জনের মৃত্যু, মা ও দুই ছেলের দাফন সম্পন্ন
রাজধানীর বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে নোয়াখালীর ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে এক মা ও তার দুই শিশু সন্তান রয়েছে।   শুক্রবার (১ মার্চ) দুপুর সোয়া ২টার দিকে নোয়াখালী পৌরসভার ১নম্বর ওয়ার্ডের মোস্তফা কন্ট্রাক্টর বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে মা ও দুই ছেলের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।  নিহতরা হলেন, একই বাড়ির ছায়েক আহমেদ আশিকের স্ত্রী নাফিসা আক্তার (২৮) ও তার দুই শিশু ছেলে আরহান (৭), আদিয়াত (৩)। অপরদিকে, সেনবাগের ডমুরুয়া ইউনিয়নের মঈশা গ্রামের আশিক (৩০) নামে এক যুবকও একই অগ্নিকাণ্ডে মারা যায়।   জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে ভবনটিতে আগুন লাগে। ওই সময় নাফিসা আক্তার তার বড় ছেলে আরহানের পরীক্ষা শেষ হওয়ায় দুই ছেলেকে নিয়ে কাচ্চি ভাইতে খেতে যায়। একই সময়ে তার স্বামীও সেখানে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্ত তার স্বামী ভাগ্যক্রমে সেখানে না যাওয়ায় তিনি বেঁচে যান। ওই অগ্নিকাণ্ডে মা তার দুই ছেলে শ্বাসকষ্টে মারা যায়।     নোয়াখালী পৌরসভার ১নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আব্দুল বারী আলমগীর জানান, একই পরিবারের তিনজনের মরদেহ দুপুর পৌনে ২টার দিকে ঢাকা থেকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। এরপর জানাজা শেষে দুপুর আড়াইটার দিকে তাদেরকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এতে গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।   বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত বহুতল ভবনে আগুন লাগে। এতে এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া গুরুতর দগ্ধ হয়েছেন অন্তত ২২ জন। তদের মধ্যে কেউই শঙ্কামুক্ত না হওয়ায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অগ্নিকাণ্ডের শিকার ভবনটির দ্বিতীয় তলায় ‘কাচ্চি ভাই’ নামে একটি জনপ্রিয় রেস্টুরেন্ট ছিল। এরপর তৃতীয় তলায় একটি পোশাকের দোকান ছাড়া ওপরের তলাগুলোতেও ছিল খাবারের দোকান। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে রেস্টুরেন্টগুলোতে ভিড় হয় ক্রেতাদের। অনেকগুলো গ্যাস সিলিন্ডার ছিল রেস্টুরেন্টগুলোতে। কিন্তু, অগ্নিনির্বাপণের ব্যবস্থা ছিল না ভবনে। ফলে আগুনের তীব্রতাও ছড়িয়েছে ভয়াবহভাবে।
০১ মার্চ ২০২৪, ১৫:৩৭

আহমেদ রুবেলের মৃত্যু / শিল্পকলায় শেষ শ্রদ্ধা, গাজীপুরে দাফন
নিজ অভিনীত ‘পেয়ারার সুবাস’ সিনেমার বিশেষ প্রদর্শনীতে যোগ দিতে ঢাকায় আসেন অভিনেতা আহমেদ রুবেল। কিন্তু সিনেমার প্রদর্শনী শুরুর আগেই তার মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। জানা গেছে, আজ সন্ধ্যায় অভিনেতার ‘পেয়ারার সুবাস’ সিনেমার বিশেষ প্রদর্শনী ছিল। এ প্রদর্শনীতেই যোগ দিতে পান্থপথের বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সে এসেছিলেন আহমেদ রুবেল। সেখানে লিফটে ওঠার সময় হুট করে মাথা ঘুরে পরে যান তিনি। এরপর তাকে স্কয়ার হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা অভিনেতাকে মৃত ঘোষণা করেন। প্রাথমিকভাবে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই রুবেলের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। অভিনেতার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর শোবিজ অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নির্মাতা থেকে অভিনয়শিল্পী, কেউই রুবেলের মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না।  গুণী এই অভিনেতার লাশ ছিল রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে। সেখান থেকে আজ রাতেই রাজধানীর একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠানে গোসল করানো হবে। তারপর রাখা হবে হিমঘরে। অভিনয় শিল্পী সংঘের সভাপতি আহসান হাবীব নাসিম জানান, আজকে রাতে আল মারকাজুল-এ গোসলের পরে রুবেল ভাইকে হিমঘরে রাখা হবে। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে বারোটা পর্যন্ত শিল্পকলায় শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য নেওয়া হবে। তারপর নেওয়া হবে গাজীপুরে নিজ বাসভবনে। সেখানে বাদ আসর জানাজা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হবে। আহমেদ রাজিব রুবেল ওরফে আহমেদ রুবেল ১৯৬৮ সালের ৩ মে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের রাজারামপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম আয়েশ উদ্দিন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের ইসলামপুর মহল্লায় তাঁর মাতুলালয় (নানির বাড়ি)। পিতা–মাতার বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরে হলেও ছোটবেলা থেকেই বেড়ে উঠেছেন ঢাকা শহরে, বর্তমানে পরিবারের সঙ্গে ঢাকার গাজীপুরে স্থায়ীভাবে বসবাস করছিলেন। সেলিম আল দীনের ‘ঢাকা থিয়েটার’ থেকে আহমেদ রুবেলের অভিনয়ের হাতেখড়ি। আহমেদ রুবেল অভিনীত প্রথম নাটক গিয়াস উদ্দিন সেলিমের ‘স্বপ্নযাত্রা’। এরপর তিনি হুমায়ূন আহমেদের ঈদনাটক ‘পোকা’–তে অভিনয় করেন, যেখানে তার অভিনীত চরিত্রটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়।
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৩৮

বাবার দাফন শেষে ফেরার পথে ট্রেনে পুড়ে অঙ্গার মেয়ে
এলিনা ইয়াসমিনের গ্রামের বাড়ি রাজবাড়ী সদর উপজেলায়। বাবার মৃত্যুতে ১০ দিন আগে পাঁচ মাসের ছেলে সৈয়দ আরফানকে নিয়ে বাড়ি গিয়েছিলেন তিনি। বাবার দাফন শেষে ভাই-ভাবির সঙ্গে সন্তানকে নিয়ে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে ফিরছিলেন ঢাকায়। কিন্তু রাজধানীতে ঢুকতেই ট্রেনে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। নিয়তির নির্মম পরিহাস। সেই আগুনে পুড়ে অঙ্গার হয় এলিনার দেহ। ভাগ্যক্রমে বেঁচে আছে তার পাঁচ মাসের শিশু সৈয়দ আরফান। ঢাকায় মিরপুর ৬০ ফিটের তাদের বাসা। এলিনার স্বামী সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন ঢাকার বাসায়ই ছিলেন। শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে বেনাপোল এক্সপ্রেসে নিহত চারজনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে আনা হলে তার স্বজনরা ভিড় করেন। তাদের দাবি, মর্গে আনা চার মরদেহের মধ্যে তার মরদেহ রয়েছে। সাজ্জাদ হোসেনের বড় ভাই মুরাদ হোসেন জানান, এলিনা তার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী। ১০ দিন আগে এলিনার বাবা মারা গেছেন। ছেলেকে নিয়ে সে বাড়ি গিয়েছিল। বেনাপোল এক্সপ্রেসে এলিনার ভাই-ভাবি অর্থাৎ আরফানের মামা-মামিও ছিলেন। মুরাদ আরও বলেন, আরফানের মামার মাধ্যমে ট্রেনে আগুন লাগার খবর পাই। আরফান এবং তার মামা-মামি ট্রেন থেকে বের হতে পারলেও এলিনাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তারা ধারণা করছেন, ট্রেনের ভেতর পুড়ে মারা গেছে এলিনা।  ঢাকা রেলওয়ে থানার (কমলাপুর) উপ-পরিদর্শক সেতাফুর রহমান বলেন, মরদেহ চারটি পুড়ে অঙ্গার হয়ে গেছে। দেখে এদের মধ্যে একজন পুরুষ, একজন শিশু এবং বড় চুল দেখে একজনকে নারী হিসেবে শনাক্ত করা গেছে। বাকি একজন পুরুষ না কি নারী তা দেখে বোঝার উপায় নেই। তিনি আরও বলেন, রাতেই সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে মরদেহ চারটি মেডিকেলের মর্গে রাখা হয়েছে। শনিবার ময়নাতদন্ত হবে। ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে তাদের পরিচয় শনাক্ত করা হবে। শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) ১৫৪ যাত্রী নিয়ে দুপুর ১টায় বেনাপোল থেকে কমলাপুর স্টেশনের উদ্দেশে ছেড়ে আসে বেনাপোল এক্সপ্রেস। যাত্রাপথে ১১টি স্টেশনে বিরতি নেয় ট্রেনটি। ট্রেনে সর্বশেষ কমলাপুরগামী যাত্রী ছিলেন ৪৯ জন। ট্রেনটির ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রাত ৯টায়। এর মধ্যে রাজধানীর গোপীবাগ পৌঁছলে আগুনের ঘটনা ঘটে। এতে ট্রেনের চারটি বগি পুড়ে গেছে। চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দগ্ধ হয়েছে অনেকে। তাদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।  প্রসঙ্গত, এর আগে গত ১৯ ডিসেম্বর ভোরে ঢাকার তেজগাঁও এলাকায় মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুনে এক নারী ও তার শিশু সন্তানসহ চারজন দগ্ধ হয়ে মারা যান। এ নিয়ে গত ২৮ অক্টোবরের পর ট্রেনে আগুনের ঘটনায় মোট আটজনের মৃত্যু হলো।
০৬ জানুয়ারি ২০২৪, ০৭:৩০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়