• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ড. ইউনূসের দণ্ড স্থগিতের আদেশ বাতিল
শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্ত গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের দণ্ড স্থগিতের আদেশ বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। এর ফলে ড. ইউনূসের ৬ মাসের সাজা চলমান থাকবে। সোমবার (১৮ মার্চ) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। এদিন আদালতে ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন। কলকারখানা অধিদপ্তরের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। এর আগে, ড. ইউনূসসহ চারজনের দণ্ড স্থগিতের বৈধতা প্রশ্নে জারি করা রুলের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে। শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য ১৮ মার্চ দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট। গত ১৪ মার্চ হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ রায়ের জন্য এ দিন ঠিক করেন। আদালতে ওইদিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। ড. ইউনূসের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার তানভীর শিহাব খান। তারও আগে তৃতীয় শ্রম আদালতের ১ জানুয়ারি দেওয়া রায় ও আদেশের কার্যক্রম স্থগিত করে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের ২৮ জানুয়ারি দেওয়া আদেশ কেন বাতিল হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। ড. ইউনূসসহ চারজন ও রাষ্ট্রের পক্ষে ঢাকার জেলা প্রশাসকসহ বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়। একই সঙ্গে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় সাজার রায় থেকে অব্যাহতি পাওয়া ড. ইউনূসকে বিদেশ গমনের ক্ষেত্রে আদালতের অনুমতি নিতে হবে। এ মামলার বাকি তিন আসামিকেও বিদেশযাত্রার ক্ষেত্রে একই আদেশ প্রতিপালন করতে বলা হয়।
১৮ মার্চ ২০২৪, ১৩:৫৮

ড. ইউনূসসহ চারজনের দণ্ড স্থগিতের প্রশ্নে রায় আজ
শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্ত গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের দণ্ড স্থগিতের বৈধতা প্রশ্নে জারি করা রুলের রায় ঘোষণার অপেক্ষায় রয়েছে। সোমবার (১৮ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে রায় হওয়ার কথা। এর আগে, ড. ইউনূসসহ চারজনের দণ্ড স্থগিতের বৈধতা প্রশ্নে জারি করা রুলের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে। শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য ১৮ মার্চ দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট। গত ১৪ মার্চ হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ রায়ের জন্য এ দিন ঠিক করেন। আদালতে ওইদিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। ড. ইউনূসের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার তানভীর শিহাব খান। তারও আগে তৃতীয় শ্রম আদালতের ১ জানুয়ারি দেওয়া রায় ও আদেশের কার্যক্রম স্থগিত করে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের ২৮ জানুয়ারি দেওয়া আদেশ কেন বাতিল হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। ড. ইউনূসসহ চারজন ও রাষ্ট্রের পক্ষে ঢাকার জেলা প্রশাসকসহ বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়। একই সঙ্গে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় সাজার রায় থেকে অব্যাহতি পাওয়া ড. ইউনূসকে বিদেশ গমনের ক্ষেত্রে আদালতের অনুমতি নিতে হবে। এ মামলার বাকি তিন আসামিকেও বিদেশযাত্রার ক্ষেত্রে একই আদেশ প্রতিপালন করতে বলা হয়।
১৮ মার্চ ২০২৪, ০৯:১৭

৬ মাসের দণ্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে ড. ইউনূসের আপিল
শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলায় চয় মাসের সাজা বাতিল ও দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে শ্রম অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালে আপিল করেছেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজন। একই সঙ্গে জামিন চেয়েছেন তারা।  রোববার (২৮ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সংশ্লিষ্ট আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল আবেদন করবেন ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. আবদুল্লা আল মামুন। সংশ্লিষ্ট আপিলের ট্রাইব্যুনালে শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলার রায় বাতিল ও ২৫ যুক্তিতে তাদের খালাস চেয়ে আপিল করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আইনজীবী। শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় গত ১ জানুয়ারি ৬ মাসের সাজা হয় ড. ইউনূসের। তবে ৩০ দিনের মধ্যে আপিলের শর্তে জামিন পান ইউনূসসহ চারজন। সেই সময়সীমার মেয়াদ শেষ হবে ৩১ জানুয়ারি। তাই রায় হাতে পাওয়ার পর নিয়ম অনুযায়ী আপিল আবেদনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) রাতে ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, গত ২৪ জানুয়ারি দেশে ফিরেছেন ড. ইউনূস। খালাস চেয়ে আপিল করবেন ২৮ জানুয়ারি। একই দিন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে তিনিসহ চার আসামি আদালতে ওইদিন উপস্থিত হয়ে জামিনও চাইবেন তারা। আইনজীবী মামুন বলেন, আমরা রোববার আপিল করবো। এ সময় ড. ইউনূসসহ অন্যরাও উপস্থিত থাকবেন। বিদেশে বিভিন্ন সেমিনার, সিম্পোজিয়াম বাতিল করে এরই মধ্যে দেশে ফিরেছেন তিনি। তারা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমরা তাদের খালাস চাইবো। এটা আমাদের সিদ্ধান্ত। আইনজীবী মামুন বলেন, ‘বলা হচ্ছে এ মামলা করেছে শ্রমিক। কিন্তু আসলে তা করেছে সরকার, তাদের কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর। এ নিয়ে সারা বিশ্বের মিডিয়া কথা বলছে। সংশ্লিষ্ট রায় অবৈধ। সেটা বাতিল চেয়েছি আমরা। সেই সঙ্গে ড. ইউনূসের জামিন চাওয়া হয়েছে আপিল আবেদনে।’ আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, গত ১ জানুয়ারি রায় ঘোষণার পর ড. ইউনূসসহ চারজনকে ৩০ দিনের মধ্যে আপিলের শর্তে জামিন দেওয়া হয়। আগামী ৩১ জানুয়ারি সেই সময়সীমা শেষের আগেই ২৮ জানুয়ারি আপিল করবো আমরা। এজন্য এরই মধ্যে বিদেশ থেকে দেশে ফিরেছেন ড. ইউনূস। আপিলে শ্রম আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে বিভিন্ন যুক্তি তুলে ধরে সাজা মওকুফ করে চার আসামির খালাস চাওয়া হবে বলে জানান আইনজীবী। গ্রামিণ টেলিকমদের শ্রমিকদের স্থায়ী না করা, ছুটি নগদায়ন না করা, ৫ শতাংশ লভ্যাংশ না দেওয়ার অভিযোগ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত হওয়ায়। শ্রম আইনের দুই ধারায় সর্বোচ্চ সাজা ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫ হাজার টাকা জরিমানা এবং আরেকটি ধারায় ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় ড. ইউনূসসহ চারজনের। ড. ইউনূসের আইনজীবী বলেন, তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর। কিন্তু প্রচার করা হচ্ছে মামলার বাদী শ্রমিকরা। তার দাবি, রায়ের ক্ষেত্রেও সেটা ফ্যাক্টসের সঙ্গে ফাইন্ডিংসের মিল নেই। তাই খালাস চেয়ে আপিলে তুলে ধরা হয়েছে ২৫টি যুক্তি। শ্রম ট্রাইব্যুনালে আপিল করার পর আইন অনুযায়ী নোটিশ যাবে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরে। তবে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত আইনজীবীও নিয়োগ করতে পারেনি সরকারি সংস্থাটি। এর আগে, শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে রোববার (২৮ জানুয়ারি) সকালে ড. ইউনূসসহ সাজাপ্রাপ্ত চারজন আপিল করবেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে ড. ইউনূসের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, আপিলে ড. ইউনূস ছাড়াও গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নূরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান আদালতে উপস্থিত থাকবেন। একই সঙ্গে মামলায় জামিনও চাইবেন তারা। গত ১ জানুয়ারি আসামিদের ৬ মাসের কারাদণ্ড এবং ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ঢাকার শ্রম আদালত-৩ এর বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানা। রায়ে গ্রামীণ টেলিকমের সব শ্রমিককে তাদের ন্যায্য পাওনা ৩০ দিনের মধ্যে দিতে বলা হয়। রায় ঘোষণার কিছুক্ষণ পর উচ্চ আদালতে আপিল করার শর্তে আসামিদের এক মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন একই আদালত। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে বাদী হয়ে মামলা করেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান। এরপর গত বছর ৬ জুন মামলার অভিযোগ গঠিত হয়। ২২ আগস্ট সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়, যা শেষ হয় ৯ নভেম্বর। গত ২৪ ডিসেম্বর যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয়। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করার অভিযোগ আনা হয়।
২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:২০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়