• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo
‘আর্মড-গার্ড থাকলে জাহাজ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটত না’
বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আল্লাহর ভেতরে আর্মড-গার্ড থাকলে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটত না বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। রোববার (১৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় অ্যান্টিগুয়া ও বার্বুডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী চিট গ্রিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ইউরোপে যখন কোনো জাহাজ যায় তখন আর্মড-গার্ড ভাড়া করে নিয়ে যায়। আমি বিষয়টি তদন্ত করেছি, তখন তাদের বক্তব্য ছিল যে, তারা প্রায় এক হাজার নটিক্যাল মাইল দূরে ছিল। যে কারণে আর্মড গার্ড ভাড়া করে নিয়ে যায়নি। ভাড়া করে নিয়ে গেলে এমন ঘটনা ঘটত না। যারা জলদস্যু তারাও খবর রাখে কোন জাহাজের মধ্যে আর্মড গার্ড আছে, কোন জাহাজের মধ্যে আর্মড গার্ড নেই। স্বস্তির বিষয় হচ্ছে আমাদের নাবিকদের আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি।’ তিনি বলেন, ‘সোমালিয়ান জলদস্যুরা আমাদের নাবিকদের সুস্থ অবস্থায় মুক্তি দিয়েছে। নাবিকরা ইতোমধ্যে সোমালিয়া থেকে ১০০ নটিক্যাল মাইল দূরে চলে এসেছেন। ইউরোপিয়ান একটি জাহাজ তাদের গাইড করে নিয়ে আসছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘তাদের (অ্যান্টিগুয়া ও বার্বুডার) দেশে হসপিটাল সেক্টরে ট্রেনিংয়ের জন্য আমাদের দেশের সহযোগিতা চায়। আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যেহেতু ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটাল বিভাগ আছে, সেই বিভাগের সঙ্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ইউনিভার্সিটির যদি সমঝোতা হয় তাহলে ছাত্ররা সেখানে যেতে পারবে। আমাদের ছাত্রদের জন্য যেন স্কলারশিপ দেওয়া হয় সেই আলোচনা করেছি। তারা আমাদের প্রস্তাব দিয়েছে, বাংলাদেশের পাসপোর্টধারীদের জন্য এয়ারপোর্ট এন্ট্রি ভিসা চালু করতে চায়, আমরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি। পুরো বিষয়টি আগে পরীক্ষা করতে হবে।’ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশ থেকে ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা ১৪০টি দেশে ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য রপ্তানি করি। তাদের দেশেও যাতে আমাদের ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য যায় সেটা নিয়ে আলোচনা করেছি। আমাদের লেদার, সিরামিকস, গার্মেন্টস পণ্য আরও ব্যাপকভাবে যাতে রপ্তানি করতে পারি সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।’
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৫২

নিপুণের লজ্জা থাকলে অবৈধভাবে চেয়ারে বসত না : ডিপজল
নির্বাচনের আগে উনি (নিপুণ আক্তর) কী কী বলেছে, তা আপনাদের সবারই জানা। প্রধানমন্ত্রীকে আনবে, ছয়টি সিনেমা করবে কোনটাই হয়নি। এমন কী করেছে, দেখান তো। তবে কিছু কাজ করেছে ভোটার তালিকায় অর্ধেকের বেশি নম্বর রং এবং ভুল দিয়ে রেখেছে। ভুল নম্বর কেন উঠবে? ভুল দেওয়ার কারণ, আমরা যাতে কাউকে না পাই। আপনারা চেক করলেই প্রমাণ পাবেন। নির্বাচন হবে, জয়-পরাজয় আছে। ভালো কিছু করার জন্যই নির্বাচনে এসেছি। কিছু খাওয়ার জন্য আসিনি। জীবনভর দিয়েছি। এবারও যা লাগবে দেব। কিন্তু ভালো কিছু আশা করি। আসন্ন শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে মনোনয়ন ফরম ক্রয় করে কথাগুলো বলেছেন মুভি লর্ড খ্যাত অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল। এই অভিনেতা বলেন, টাকা দিয়ে ভোট কেনা বন্ধ করা উচিত। যারাই এই কাজ করেছে তাদের উচিৎ এটা বন্ধ করা। আমাদের মানুষ অস্বচ্ছল থাকতে পারে, টাকা চাইতে পারে কিন্তু এভাবে না। কিছু টাকায় বিক্রি যারা হন, তারা এই টাকা কয়দিন খাবেন? তারপর কী করবেন? আমার কথা টাকার দিকে না তাকিয়ে দেখেন সমিতির কীসে ভালো হবে। ফিল্মের উন্নয়ন নিয়ে ভাবুন।  সিনেমাপাড়ায় নির্বাচন না হওয়া কিংবা বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে এমন গুঞ্জন শোনা যায়! বিষয়টি নিয়ে ডিপজল বলেন, যদি কোর্ট বন্ধ করে সেখানে আমি বলার কেউ না। কিন্তু কেন বন্ধ করবে? এটা নিয়ে কি কোনো মামলা হয়েছে? হয়নি। তাহলে কেন বন্ধ হবে? মামলা হবে, মামলা হলে উনারা (বিপরীত পরিষদ) এসে চেয়ারে বসবে? এত সহজ না! যোগ করে তিনি আরো বলেন, বসছে তো দুই বছর ফাও, মামলা চলমান সময়েও উনি (নিপুণ) সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসছে, এটা অবৈধ। কীভাবে বসে? উনি কী নির্বাচিত? সেই মামলা এখনও চলমান। যদি লজ্জা থাকত এটা করত না। মেয়েটা যাই বলেছে উল্টো পেয়েছি, আমি ভালো কিছু পাইনি, আশাও করি না। দোয়া করি সে ভালো থাকুক, সুস্থ থাকুক। নতুন সিনেমার কাজের বিষয়ে ডিপজল বলেন, আমি নিয়মিত সিনেমা প্রযোজনা করি। নির্বাচনের পর আরও সাত-আটটি সিনেমার কাজ শুরু করব। যেগুলো বিগ বাজেটের সিনেমা হবে, ভিন্ন দেশ থেকে অভিনয়শিল্পীরাও আসবে। নতুনত্ব কিছু চমক দেখাব। আপনারা পাশে থাকেন ভালো কিছু দেখতে পাবেন। আসছে ১৯ এপ্রিল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এবারের নির্বাচনে মিশা সওদাগর ও মনোয়ার হোসেন ডিপজল এবং মাহমুদ কলি ও নিপুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
০১ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:০৬

ব্যাংকে যত টাকা থাকলে জাকাত দিতে হবে
জাকাত ইসলামের মৌলিক পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে অন্যতম একটি। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘ইসলামের ভিত্তি পাঁচটি বিষয়ের ওপর। এই কথার সাক্ষ্য দেওয়া যে আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই এবং মোহাম্মদ (সা.) আল্লাহর রাসুল, নামাজ প্রতিষ্ঠা করা, জাকাত আদায় করা, হজ পালন ও রমজান মাসে রোজা রাখা।’  জাকাত আদায়কে পবিত্র কোরআনে ‘মুমিন বান্দার সাফল্য’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। আল্লাহ তা’য়ালা বলেন, ‘অবশ্যই মুমিনরা সফল, যারা নামাজে বিনম্র থাকে, অনর্থক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকে, যারা জাকাত আদায় করে এবং নিজেদের লজ্জাস্থান সংযত রাখে (সুরা মুমিনুন, আয়াত : ১-৫)।’  পবিত্র কোরআনে জাকাত আদায়ের নির্দেশ দিয়ে মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা সালাত আদায় করো এবং জাকাত প্রদান করো। তোমরা যে উত্তম কাজ নিজেদের জন্য অগ্রে প্রেরণ করবে তা আল্লাহর কাছে পাবে। নিশ্চয়ই তোমরা যা করো, আল্লাহ তা দেখছেন। (সুরা বাকারা, আয়াত: ১১০) এ ছাড়াও জাকাতের ফজিলত ও গুরুত্ববিষয়ক অসংখ্য আয়াত ও হাদিস রয়েছে। তাই আমাদের মধ্যে যাদের ওপর জাকাত ফরজ, তাদের যথাসময়ে তা আদায় করা অবশ্য কর্তব্য।  জাকাত না দিলে দুনিয়ায় বড় ক্ষতি ও আখেরাতে মহাশাস্তির কথা ইসলামে রয়েছে। বর্তমান সময়ে ব্যাংকের বিভিন্ন খাত রয়েছে, তার ওপর জাকাত আসবে কি না, তা নিয়ে অনেকে সন্দীহান থাকেন।  সেসবের সমাধান তুলে ধরা হলো:  প্রভিডেন্ট ফান্ড : সরকারি কর্মচারীদের বেতন থেকে প্রভিডেন্ট ফান্ডের জন্য বাধ্যতামূলক যে পরিমাণ টাকা কেটে করে রাখা হয়, সে পরিমাণ অর্থ উত্তোলনের আগে কর্মচারীর মালিকানায় আসে না। তাই সরকারি প্রভিডেন্ট ফান্ডে অর্থ থাকাকালীন তার ওপর জাকাত দিতে হবে না। এ কারণে ওই ফান্ডের টাকা পাওয়ার পর বিগত বছরের জাকাতও দিতে হবে না। তবে যদি কর্মচারী ওই প্রভিডেন্ট ফান্ডের সঞ্চিত অর্থ অন্য কোনো ইনস্যুরেন্স কোম্পানিতে স্থানান্তর করিয়ে নেয়, সে ক্ষেত্রে ওই অর্থ স্বতন্ত্রভাবে বা অন্য জাকাতযোগ্য মালের সঙ্গে যোগ হয়ে নেসাব পরিমাণ হলে যথানিয়মে তার ওপর জাকাত ওয়াজিব হবে (আহসানুল ফাতাওয়া : ৪/২৬০)। ব্যাংকে সঞ্চয়কৃত টাকা : কোনো ব্যক্তি সঞ্চয়ের জন্য যদি ব্যাংকে টাকা জমা রাখে, তাহলে ঋণমুক্ত অবস্থায় যেদিন তার জমাকৃত টাকা নেসাব পরিমাণ হবে, সেদিন থেকে এক বছর পূর্ণ হলে ওই টাকার ওপর জাকাত দিতে হবে। (ফতোয়ায়ে আলমগিরি : ১/২৭০)। বীমা কোম্পানিতে জমাকৃত টাকা : বীমায় যে পরিমাণের টাকা কাজে লাগানো হয়েছে, তার ওপর জাকাত ওয়াজিব। প্রতিবছর জাকাত আদায় করার সময় নিজ সম্পদের হিসাব করতে হবে। (ফতোয়ায়ে উসমানি : ২/৩৯)। কোম্পানির শেয়ার : কোম্পানির অংশ ক্রয় করা এ শর্তে জায়েজ আছে যে, যদি এর লেনদেন বৈধ হয়, এ ক্ষেত্রে তার অংশের মূল্যের ওপর জাকাত ওয়াজিব হবে। (ফতোয়ায়ে উসমানি : ২/৩৯)।
২৩ মার্চ ২০২৪, ১৪:০৬

প্রাথমিক স্কুলে পঞ্চাশের কম শিক্ষার্থী থাকলে পাশের স্কুলে একীভূত
দেশের যেসব প্রাথমিক স্কুলে বিগত ১০ বছরে শিক্ষার্থী সংখ্যা পঞ্চাশের কম—এমন স্কুলগুলোকে পাশের স্কুলের সঙ্গে মার্জ (একিভিূত) করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সচিবালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেন, আমরা বিগত ১০ বছরের চিত্র দেখে যেসব স্কুলে ৫০ জনের কম শিক্ষার্থী আছে, সেগুলো পাশের স্কুলের সঙ্গে একিভূত করা হবে। আমরা এ ধরনের প্রায় ৩০০টি স্কুল পেয়েছি। এগুলো আমরা যাচাই-বাছাই করছি। তবে ঢালাওভাবে সব স্কুল বন্ধ করা হবে না। স্থানীয় বাস্তবতাসহ সব অবস্থা দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তিনি বলেন, রাঙ্গামাটি জেলার বিলায়ছড়ি একটা উপজেলা আছে, সেখানে একটা স্কুলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা মাত্র ৪২ জন। বিগত কয়েক বছরই ৪২ জন। ওই স্কুল আমরা মার্জ করবো না। কারণ, ওই ৪২ জন শিক্ষার্থী প্রায় ৭-৮ কিলোমিটার জায়গা থেকে আসে। সুতরাং ওই প্রেক্ষাপট আমরা বিবেচনায় নেবো। আমরা একেবারে ইনজেনারেল সিদ্ধান্ত নেবো না। যেখানে বিগত কয়েক বছর ধরে ৫-৭ জন শিক্ষার্থী আছে, সেগুলো আমরা মার্জ করে দেবো, এটা আমাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত। বরিশাল শহরের একটি স্কুলের উদাহরণ দিয়ে সচিব বলেন, ওই স্কুলে গত দশ বছরে ২০ জনের বেশি শিক্ষার্থী কখনো হয়নি। আবার দেখা যায় কোনো কারণে করোনার সময় ৫০ জনের নিচে চলে আসে, এখন আবার ৮০-৯০ হয়েছে আমরা এ স্কুল বন্ধ করবো না। আবার অন্যদিকে দেশের ৫০০ এর বেশি স্কুলে ১৫০০ বেশি শিক্ষার্থী রয়েছে। সেখানে ভর্তি জন্য আরও ১ হাজার শিক্ষার্থীর ডিমান্ড আছে। এসব স্কুলগুলোর অবকাঠামো উন্নয়নসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো উদ্যোগ নেওয়া হবে।
২১ মার্চ ২০২৪, ১৮:৩৯

‘পুলিশ চুপ থাকলে আ.লীগ ঘর থেকেও বের হতে পারবে না’
পুলিশ চুপ থাকলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঘর থেকেও বের হতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। শুক্রবার (৮ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এক সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। মাহমুদুর রহমান বলেন, শুধু ঢাকা মহানগর পুলিশ চুপচাপ এবং নিরপেক্ষ থাকলে আওয়ামী লীগ ঘর থেকেও বের হতে পারবে না। কোনো সভাও করতে পারবে না। বিরোধীদলীয় নেতাদের চোখ রাঙিয়ে কথা পর্যন্ত বলতে পারবে না।  তিনি বলেন, সাত জানুয়ারির তথাকথিত নির্বাচন করতে গিয়ে আওয়ামী লীগ নিজের দলকে ভেঙে তিন ভাগে ভাগ করেছে। এক দলের মধ্যে তিনটি মার্কা। এটি নিয়ে তারা নিজদের মধ্যে খুনাখুনি পর্যন্ত করেছে।  শেখ হাসিনার উদ্দেশে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে কোনো ভোট হয়নি। কিন্তু আপনি বক্তৃতা করে বেড়ান ’৭৫-এর পর এরকম ভোট আর হয়নি। প্রধানমন্ত্রী এ রকম মিথ্যা কথা বললে তো পুরো আওয়ামী লীগের লোকরাও মিথ্যা বলতে বাধ্য হয়। মান্না বলেন, এ সরকারের প্রতি রাজনৈতিকভাবে, অর্থনৈতিকভাবে কারও কোনো বিশ্বাস এবং ভরসা নেই। বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে হতাহাতের বিষয়ে তিনি বলেন, কেউ আগুনে পুড়ে মারা যায়নি। কারণ, লাশগুলোর শরীর পোড়া ছিল না। আগুনের ধোয়ায় বেশি মানুষ মারা গেছে। রেস্টুরেন্টের নিচতলায় সব অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র এক জায়গায় স্তূপ করে রাখা হয়েছে। প্রতিবাদ সভায় বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মো. ফারুক রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
০৮ মার্চ ২০২৪, ১৯:২১

কারও ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকলে ছাড় দেয়া হবে না : আইজিপি
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। আইজিপি বলেন, বেইলি রোডে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি র‍্যাব-পুলিশ বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী উদ্ধারকাজে কাজ করছে। একইভাবে হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্সরা আহত ও দগ্ধদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। নিহতদের প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে যত দ্রুত সম্ভব স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন আইজিপি। আইজিপি আরও জানান, অগ্নিকাণ্ডে নিহত হয়েছেন ৪৪ জন। রাজারবাগের কেন্দ্রীয় পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে একজন, ঢামেক হাসপাতালে ৩৩ জন ও শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ১০ জনের মরদেহ রয়েছে।
০১ মার্চ ২০২৪, ০৫:৪৮

লিপ ইয়ার কেন হয়, না থাকলে কী হতো?
চার বছর পর ২০২৪ সাল এসেছে ফেব্রুয়ারিতে একটা অতিরিক্ত দিন নিয়ে। ৩৬৫ দিনের বদলে এ বছরের ক্যালেন্ডারে রয়েছে ৩৬৬ দিন। এ অতিরিক্ত দিনকেই আমরা ‘লিপ ডে’ বলি। সাধারণত প্রতি চার বছরে একটি লিপ ইয়ার হয়। প্রশ্ন হলো, কী এই লিপ ইয়ার? কেন এর প্রয়োজন? প্রতি চতুর্থ বছরই কি একটি লিপ ইয়ার? লিপ ইয়ার কী? বছরে সাধারণত ৩৬৫ দিন থাকে। কিন্তু একটি লিপ ইয়ারে ৩৬৬ দিন থাকে। লিপ ইয়ার ছাড়া ফেব্রুয়ারি মাস শেষ হয় ২৮ দিনে। আর লিপ ইয়ার বছরে ফেব্রুয়ারি মাস শেষ হয় ২৯ দিনে। কিন্তু তারপরও ফেব্রুয়ারি মাস বছরের সবচেয়ে ছোট মাস। লিপ ইয়ার কবে চালু হয়? যিশু খ্রিষ্টের জন্মের ৪৬ বছর আগে জুলিয়াস সিজার লিপ ইয়ার চালু করেছিলেন, যা পরে ১২ খ্রিষ্টাব্দ থেকে আরও সুনির্দিষ্টভাবে চালু হয়। জুলিয়ান ক্যালেন্ডারে একটি বছরের সময়সীমা ছিল ৩৬৫ দিন। প্রতি চার বছর অন্তর সেটাই হয়ে ওঠে ৩৬৬ দিন। রয়াল মিউজিয়ামস গ্রিনউইচের ওয়েবসাইট অনুসারে, ইসলামিক ক্যালেন্ডার আল-হিজরাতে লিপ ইয়ারে ১২তম মাসে জুল হিজ্জাতে একটি অতিরিক্ত দিন যোগ করা হয়েছে। তবে এ পদ্ধতিটি ত্রুটিমুক্ত নয়। কারণ গণনার জন্য ব্যবহৃত ছয় ঘণ্টা আর প্রকৃত ৫ ঘণ্টা, ৪৮ মিনিট এবং ৪৬ সেকেন্ডের মধ্যে পার্থক্য আছে। কেন প্রতি চার বছর অন্তর লিপ ইয়ার হয়? সূর্যের চারদিকে পৃথিবীর একবার ঘুরতে ৩৬৫.২৫ দিনের একটু কম সময় লাগে। তাই চার বছর পর পর লিপ ইয়ার ধরলে প্রতি ৪০০ বছরে ৩ দিন অতিরিক্ত দিন ধরা হয়ে যায়। এ সমস্যার সমাধানে প্রথমে সিদ্ধান্ত হয়, যেসব বছরে ০০ থাকবে সেসব বছর লিপ ইয়ার থেকে বাদ যাবে। কিন্তু এতেও সমাধান না হওয়ায় সিদ্ধান্ত হয়, যেসব বছরে ০০ থাকবে এবং ৪০০ দ্বারা বিভাজ্য নয়, তাদের লিপ ইয়ারের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে। যেমন- ১৯০০ সাল লিপ ইয়ার নয়, কিন্তু ২০০০ সাল লিপ ইয়ার। লিপইয়ার কেন প্রয়োজনীয়? একটি সৌর ক্যালেন্ডারের এক বছরে পৃথিবী সূর্যের চারপাশের বৃত্তাকার কক্ষপথে প্রদক্ষিণ করে। পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘুরতে সময় নেয় ৩৬৫ দিন, ৫ ঘণ্টা, ৪৮ মিনিট এবং ৪৬ সেকেন্ড। একটি সাধারণ বছর এভাবেই ৩৬৫ দিনে শেষ হয়। অতিরিক্ত প্রায় ছয় ঘণ্টা চার বছরে ২৪ ঘণ্টা হয়। এই ২৪ ঘণ্টা হলো পৃথিবীর একবার নিজের অক্ষের চারিদিকে ঘোরার সময়। সেই হিসাবে অতিরিক্ত সময় বা ২৪ ঘণ্টা চতুর্থ বছরে ফেব্রুয়ারি মাসে অতিরিক্ত দিন হিসেবে যুক্ত হয়। এটি করা না হলে ফসলের চক্র এবং ঋতু পরিবর্তনের সময় ধীরে ধীরে বদলে যাবে। যা মানুষের সময় নির্ধারণের কৌশলকে বিভ্রান্তির দিকে পরিচালিত করবে। যদি ক্যালেন্ডারে প্রতি চার বছর অন্তর সময়ের সেই ছোট সংশোধন না করা হয় তবে ধীরে ধীরে ঋতুগুলোর সঙ্গে তারিখের আর সামঞ্জস্য থাকবে না। ক্যালেন্ডারে দেখানো গ্রীষ্মকালে প্রকৃতপক্ষে শীতকাল পড়বে। এর মারাত্মক প্রভাব পড়বে কৃষিতে। কৃষকেরা ক্যালেন্ডার দেখলে ফসলের মৌসুম নিয়ে বিভ্রান্ত হবেন।  বিশ্বের অন্যান্য ক্যালেন্ডারে সময় গণনা ঠিক রাখার নিজস্ব উপায় রয়েছে। ইহুদি ক্যালেন্ডার চাঁদ ও সূর্য উভয়কে বিবেচনায় রেখে করা হয়। এই ক্যালেন্ডারে প্রতি ১৯ বছরের মধ্যে সাতবার একটি করে পুরো মাস যোগ করা হয়। বিশেষ পার্বণ যেন প্রতি বছর একই সময় আসে তা নিশ্চিত করতে মাঝে মধ্যে এই ক্যালেন্ডারে একটি লিপ মাস যোগ করা হয়।    ইসলাম ক্যালেন্ডার আরও অনন্য। এটি চাঁদের পর্যায়গুলো অনুসরণ করে ও কোনো অতিরিক্ত দিন যোগ করে না। যেহেতু একটি চন্দ্র বছর মাত্র ৩৫৫ দিন দীর্ঘ, তাই ইসলামি ক্যালেন্ডারের তারিখগুলো প্রতি বছর সৌর ক্যালেন্ডারের তুলনায় ১০ থেকে ১১ দিন এগিয়ে আসে।  উদাহরণস্বরূপ, রমজান মাস ইসলামিক বা হিজরি ক্যালেন্ডারের নবম মাস। চলতি ২০২৪ সালে রমজান ১১ মার্চ থেকে ৮ এপ্রিল পর্যন্ত হতে পারে। যেখানে গত বছর রমজান ছিল ২৪ মার্চ থেকে ২২ এপ্রিল। একই ভাবে ২০২৫ সালে ১ থেকে ১৯ মার্চ পর্যন্ত এবং ২০২৬ সালে ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৯ মার্চ রমজান মাস পড়তে পারে।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:২৩

‘আর ১০ সেকেন্ড থাকলে মারা যেতাম’ 
বাসে সিট ধরাকে কেন্দ্র করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক শিক্ষার্থীকে গলাটিপে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।  এ ঘটনায় শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) প্রক্টরের কাছে বিচার চেয়ে আবেদন করেছে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী।  আবেদনপত্রে তিনি বলেন, আমার মনে হয়েছিল আমি আর ৯/১০ সেকেন্ড থাকলে মারা যেতাম। ভুক্তভোগী বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। অভিযুক্ত দুই শিক্ষার্থী হলেন উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের রতন রায় ও রিহাব রেদওয়ান। ভুক্তভোগী জানান, গত ২২ ফেব্রুয়ারি ক্যাম্পাস থেকে কুষ্টিয়া শহরে যাওয়ার জন্য দুপুর তিনটার বাসে উঠি। আমার বন্ধু আমার জন্য দুইটা সিট ধরে। আমি একটা সিটে বসলাম অন্য সিটটিতে উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের ১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রতন রায়কে বসতে দেই। কিছুক্ষণ পরে সে নিচে গিয়ে কয়েকজন বন্ধু/বান্ধবী নিয়ে আসে এবং আমাকে বলে ওপাশে চাপেন। আমি অন্য সিটে যেতে অস্বীকৃতি জানালে তারা আমাকে জোরাজোরি করে। একপর্যায়ে তারা আমাকে বলে ওই তোর সেশন কত রে? আমি বলি সেশন কেন ভাই পুরো পরিচয় দিব? তৎক্ষণাৎ সে আচমকা সে আমার গলাটিপে ধরে। তার সঙ্গে তার বন্ধু রিহাব রেদওয়ান আমার চোখে আঙ্গুল ঢুকায় দেয়। আমি হাত সরানোর চেষ্টা করছিলাম কিন্তু ওরা কিছুতেই ছাড়ছিল না পরে আমি সিট থেকে উঠে গেলাম তারপরেও ছাড়ে নাই। পরে আমার কথা বলা বন্ধ হয়ে যায়। বাসের সবাই চিল্লাফাল্লা শুরু করে তারা আমাকে ছাড়িয়ে নেই। আমার মনে হয়েছিল আমি আর ৯/১০ সেকেন্ড থাকলে মারা যেতাম। অভিযুক্ত রতন রায় ঘটনাটি অস্বীকার করে বলেন, বাসে সিটে বসা নিয়ে একজনের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়েছিল। তবে সে যে অভিযোগ দিয়েছে সেটা মিথ্যা। আমি ওই ছেলের গলাটিপে ধরিনি। সিটে বসা নিয়ে আমার সঙ্গে বেয়াদবি করায় আমার বন্ধু রেদওয়ান ওর শার্ট ধরে টান দিয়েছিল। পরে সে বাসের উপরে চলে গেলে ঘটনা মীমাংসা হয়ে যায়।   আরেক অভিযুক্ত রিহাব রেদওয়ান বলেন, সিটে বসা নিয়ে বেয়াদবি করায় রতন উচ্চস্বরে সেশন জানতে চাইলে ওই ছেলে রতনকে হাত দিয়ে সরায় দেয়। এতে এক পর্যায়ে কথা কাটাকাটি হয়। পরে ওই ছেলে ওখান থেকে উঠে বাসের দ্বিতীয় তলায় চলে যায়।  ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বলেন, আমার সঙ্গে যা ঘটেছে এতে আমি আতঙ্কিত। গলাটিপে ধরায় আমার গলায় ক্ষত হয়ে গেছে। বিচার চেয়ে আমি প্রক্টরের কাছে অভিযোগ দিয়েছি। আমি প্রশাসনের নিকট ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে অভিযুক্তদের বিচার দাবি জানাচ্ছি।  বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাৎ হোসেন আজাদ বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। ক্যাম্পাসের সার্বিক বিষয়ে আজ একটি মিটিং আছে। সেখানে এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৩৬

পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা থাকলে সাংবাদিক : প্রেস কাউন্সিল চেয়ারম্যান
বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নিজামুল হক নাসিম বলেছেন, কারা সাংবাদিক, তাদের যোগ্যতা কী হবে–এসব নিয়ে সাংবাদিক সমাজসহ বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে দীর্ঘ আলাপ-আলোচনা শেষে নীতিমালা হয়েছে। সিদ্ধান্ত হয়েছে, সাংবাদিক শুধু ওয়ার্কিং জার্নালিস্ট নয়। সম্পাদক ও প্রকাশক, সবাই সাংবাদিকের আওতায় পড়বেন। সোমবার(১৯ ফেব্রুয়ারি) শেরপুর সার্কিট হাউস মিলনায়তনে ‘গণমাধ্যমে হলুদ সাংবাদিকতা প্রতিরোধ ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা’শীর্ষক কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন। প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বলেন, দেশে অনেকে দীর্ঘদিন ধরে সাংবাদিকতা করছেন। কিন্তু অধিকাংশই নন-গ্র্যাজুয়েট। উচ্চ মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক পাস আছে। তার নিচেও আছে। কিন্তু পত্রপত্রিকায় লেখালেখিতে তারা বেশ ভালো। কাজেই তাদেরও সাংবাদিক হিসেবে গণ্য করা হবে। তবে পাঁচ বছর কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে কর্মরত প্রতিষ্ঠানের নিয়োগপত্র ছাড়া সাংবাদিক হিসেবে গ্রহণ করা সম্ভব নয়।   অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. মুক্তাদিরুল আহমেদের সভাপতিত্বে কর্মশালায় সাংবাদিকতার নীতিমালা ও প্রেস কাউন্সিল প্রণীত আচরণবিধি নিয়ে বক্তব্য দেন কাউন্সিলের সচিব (অতিরিক্ত সচিব) শ্যামল চন্দ্র কর্মকার।    প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান আরও বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান পাস হওয়ার মাত্র ১৪ মাসের ভেতরে ১৯৭৪ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু প্রেস কাউন্সিল আইন করেন। এর মাধ্যমে তিনি সাংবাদিকদের উঁচু স্তরে নিয়ে গেছেন। সাংবাদিকদের জন্য সম্মানজনক পরিবেশ তৈরি করেছেন।
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০১:৫৫

শেখ হাসিনা না থাকলে দেশের শান্তি বিনষ্ট হতো : তথ্য প্রতিমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার শক্তিশালী নেতৃত্ব না থাকলে অনেকের ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তে দেশের শান্তি বিনষ্ট হতো। তার কারণেই আমরা সব ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত মোকাবিলা করে দেশের শান্তি বজায় রাখতে পেরেছি। বুধবার (৩১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় মিরপুর হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার সাড়ে তিন বছরের মাথায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে আবার দেশের দখল নিয়েছিল মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তি। স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির প্রেতাত্মারা এখনও দেশের আনাচে-কানাচে ঘাপটি মেরে লুকিয়ে রয়েছে। সুযোগ পেলেই তারা মাথাচাড়া দেয়। তাদের বিপক্ষে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। তিনি বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধারা এ দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাদের হাত ধরে এদেশ স্বাধীন হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ডাকে বীর মুক্তিযোদ্ধারা ঝাঁপিয়ে না পড়লে এ দেশকে আমরা হানাদার মুক্ত করতে পারতাম না। বাংলাদেশ স্বাধীন না হলে এখনও আমাদের দাসত্ব করতে হতো। মোহাম্মদ আরাফাত বলেন, নতুন প্রজন্মের কাছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাঁথা তুলে ধরতে হবে। তাদের বোঝাতে হবে এত সহজে আমরা স্বাধীনতা পাইনি। তাহলে তারা স্বাধীনতাকে এত সহজে অন্য কারও হাতে হরণ করতে দেবে না। তিনি আরও বলেন, এই যুগেও আমাদের একেক জনের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তৈরি হতে হবে। যেকোনো পরিস্থিতিতে দেশের শত্রুর বিপক্ষে শক্তভাবে দাঁড়াতে হবে। দেশের শত্রুদের বিরুদ্ধে শক্তভাবে দাঁড়াতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে।
৩১ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:৪৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়