• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
ঘানি টেনে তেল বের করা সেই দুদু মিয়া পেলেন গরু সহায়তা
বগুড়া সারিয়াকান্দির ভেলাবাড়ী ইউনিয়নের ছাইহাটা গ্রামের বৃদ্ধ দুদু মিয়াকে (৬২) গরু সহযোগিতা প্রদান করা হয়েছে।  মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বিকেলে এ সহায়তা প্রদান করেছেন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা কর্নেল জগলুল আহসান।  তিনি এ উপজেলার নারচী ইউনিয়নের বাঁশগাড়ি গ্রামের বাসিন্দা। দুদু মিয়া ও তার স্ত্রী হালিমা বেগম দীর্ঘ ৯ বছর ধরে নিজেদের কাঁধে জোয়াল নিয়ে তেলের ঘানি টেনে সরিষা থেকে তেল বের করে অনেক কষ্টে সংসার চালাতেন। এ বিষয়ে গত ১৪ মার্চ আরটিভিতে সরাসরি ভিডিও চিত্র প্রকাশ করা হয়। দুদু মিয়ার আগে ছিল গোয়ালভরা গরু এবং বসতভিটাসহ বেশ কিছু কৃষিজমি। বেশ কয়েকবছর আগে তিনি বাঙালি নদী ভাঙনের শিকার হন। সামান্য জমি কিনে ছাইহাটা গ্রামে বসবাস শুরু করেন। গত কয়েকবছর আগে তার একমাত্র নাতনির দুরারোগ্য রোগের চিকিৎসার জন্য তিনি তার এ ভিটেমাটিও বিক্রি করেন। বিক্রি করেন তার তেলের ঘানি টানা সবগুলো গরু। পরে তিনি নিজেই গরুর বদলে তেলের ঘানির জোয়াল কাঁধে নেন। সারাদিন যা তেল পান তা বাজার বা গ্রামে বিক্রি করে চলতো তার সংসার। এ কাজে তার স্ত্রী হালিমা বেগম তাকে সহযোগিতা করতেন। তিনিও কাঁধে জোয়াল নিয়ে তেলের ঘানি টানতেন। এ বিষয়ে গণমাধ্যমের সংবাদে অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা কর্নেল জগলুল আহসান তাকে একটি গরু কিনে দিয়েছেন এবং তেলের ঘানিটি মেরামত করতে নগদ অর্থ প্রদান করেছেন। বৃদ্ধ দুদু মিয়া বলেন, ‘গরুডা পায়া হামি খুবই খুশি হছি। আল্লাহ যেন কর্নেল সাহেবের ভালোই করেন। আজ থেকে হামার ঘার থেকে জোয়াল নামল। হামার চির ভোগান্তির অবসান হলো। আর হামার নিজের কাঁধে জোয়াল টানা নাগবি নে।’ অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা কর্নেল জগলুল আহসান বলেন, বৃদ্ধ দুদু মিয়াকে এ সহযোগিতা প্রদান করতে পারায় আমিও খুবই খুশি। এতে তার চির কষ্টের অবসান হয়েছে। বেশ কয়েকবছর ধরেই আমি গ্রামের অসহায় মানুষদের সহযোগিতা করার চেষ্টা করছি।
২০ মার্চ ২০২৪, ১৪:৫৫

গভীর সমুদ্র থেকে প্রথমবারের মতো সরাসরি রিফাইনারিতে এলো তেল
প্রথমবারের মতো গভীর সমুদ্র থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল সরাসরি পাইপলাইনের মাধ্যমে রিফাইনারিতে এসেছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বছরে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হবে সরকারের। শুক্রবার (১৫ মার্চ) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।  মন্ত্রনালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গভীর সাগরে স্থাপিত সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) থেকে প্রথমে মহেশখালি পাম্পিং স্টেশনে এবং সেখান থেকে চট্টগ্রামের ইস্টার্ন রিফাইনারিতে (ইআরএল) ৪০ হাজার মেট্রিক টনের বেশি অপরিশোধিত জ্বালানি তেল সফলভাবে পরিবহন করা হয়েছে আজ শুক্রবার। এর মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো গভীর সমুদ্র থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল সরাসরি পাইপলাইনের মাধ্যমে রিফাইনারিতে এলো। বঙ্গোপসাগরের গভীরে স্থাপিত সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে যুগান্তকারী একটি সংযোজন। এর মাধ্যমে সময় ও অর্থ দুটোই সাশ্রয় হবে।  দেশের ক্রমবর্ধমান জ্বালানি তেলের চাহিদা পূরণ এবং জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমদানীকৃত ক্রুড অয়েল ও ফিনিশড প্রডাক্ট স্বল্প সময়ে, স্বল্প খরচে এবং নিরাপদে খালাস করার জন্য ‘ইনস্টলেশন অব সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) উইথ ডাবল পাইপলাইন’ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বছরে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হবে সরকারের। বাংলাদেশ ও চীন সরকারের মধ্যে জিটুজি ভিত্তিতে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) অধীনস্থ কোম্পানি ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।
১৫ মার্চ ২০২৪, ২৩:৫০

৫০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কিনবে সরকার
সরকার স্থানীয়ভাবে ৫০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কিনবে। প্রতি লিটার তেলে দাম পড়বে ১৫৫ টাকা ৯৭ পয়সা।  বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। এ ছাড়া প্রতি কেজি ১০৪ টাকা ৯০ পয়সা দরে ৬ হাজার টন মসুর ডাল ও প্রতি কেজি ১৩৪ টাকা ৫০ পয়সা দরে ৮ হাজার টন চিনি কেনার প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। উল্লেখযোগ্য প্রস্তাবগুলোর মধ্যে রয়েছে, রাশিয়া থেকে ৩ লাখ টন গম আমদানি, যার প্রতি টনের দাম পড়বে ২৮৮ মার্কিন ডলার। সৌদি আরব থেকে ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার আমদানি করা হবে, প্রতি মেট্রিক টন ৫৮১ মার্কিন ডলার দরে। সার আমদানি করা হবে রাশিয়া থেকেও, প্রতি মেট্রিক টন ২৮৯ দশমিক সাত পাঁচ মার্কিন ডলার দরে ৩০ হাজার মেট্রিক টন এমওপি সার।  স্পট মার্কেট থেকে ৪টি উৎসে ৪ কার্গো এলএনজি কিনবে সরকার। পর্যায়ক্রমে প্রতি এমএমবিটিইউ এর দাম ৯ দশমিক সাত পাঁচ, ৯ দশমিক তিন ছয়, ৯ দশমিক চার সাত ও ৯ দশমিক দুই তিন মার্কিন ডলার।  এ ছাড়াও খুলনার রূপসা, মৌলভীবাজারের রাজনগর এবং রাজবাড়ীর গোয়ালন্দতে ২০ বছর মেয়াদি ১০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের প্রস্তাবও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
১৪ মার্চ ২০২৪, ১৫:৫৪

‘ভারতে জ্বালানি তেল পাচারের আশঙ্কা রয়েছে’
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানিয়েছেন, ভারতের চেয়ে দেশের বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কম। এ পরিস্থিতিতে ভারতে জ্বালানি তেল পাচারের আশঙ্কা রয়েছে। শনিবার (৯ মার্চ) বারিধারা লেক পার্কে নারী দিবসের এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। নসরুল হামিদ বলেন, বিশ্ববাজারের সঙ্গে দাম সমন্বয় করায় দেশে সব ধরনের জ্বালানির দাম কমেছে। এক্ষেত্রে পাশের দেশের চেয়ে দাম কম হওয়ায় ভারতে জ্বালানি তেল পাচারের আশঙ্কা রয়েছে।  পাচার রোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সীমান্তে কঠোর নজরদারির সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী। জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী কৃষি মৌসুম সামনে রেখে, গ্যাস বিদ্যুৎ জ্বালানি সরবরাহে যাতে কোনো ঘাটতি না হয়, এ ব্যাপারে সরকার পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে। বিষয়টি জোর মনিটরিং করা হচ্ছে।   এর আগে গত ৭ মার্চ বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে জ্বালানি তেলের দাম কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়।
০৯ মার্চ ২০২৪, ১৮:২০

যেভাবে রমজানে তেল ছাড়া খাবার বানাবেন
রমজান দরজায় কড়া নাড়ছে। এ সময়টাতে ইফতার থেক সেহরিতে কী, খাবেন ঘরের রাঁধুনির জন্য তা একটা চিন্তার বিষয় হয়ে যায়। অন্যদিকে সারাদিন রোজা রেখে ইফতারের সময় তেলে ভাজা খাবার খেলে অনেকের নানান রকমের আসুস্থতায় ভুগতে হয়। কিন্তু মুখরোচক খাবার তৈরি করতে তেল তো লাগবেই। আবার বেশি তেলের খাবার বানাতে গেলে পকেটেও খালি হবে তাড়াতাড়ি। অল্প তেলে রান্না করেও পোষাচ্ছে না, তাহলে উপায়। এরও সমাধান আছে। ডিজিটালের এ যুগে রান্নার জন্য অনেক পদ্ধতি বের হয়েছে। এরমধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে এয়ার ফ্রায়ার। যাকে ভাজা-পোড়া রান্নার আদর্শ যন্ত্র বলা যেতে পারে। এ যন্ত্র দিয়ে ভাজা খাবারগুলো তেল ছাড়াই রান্না করা যায়। রন্ধনশিল্পীরা বলছেন, কেবল ভাজা নয় চাইলে এয়ার ফ্রায়ারে আরও অনেক পদ রান্না করা যায়।  জেনে নিন এয়ার ফ্রায়ারে কী কী রান্না করা যায়- আলু, বেগুন, মাছ তেল ছাড়াই এয়ার ফ্রায়ারে ভাজা যাবে। এছাড়াও চিকেন উইংস বা চিকেন পকোড়াও বানাতে পারেন এয়ার ফ্রায়ারে। চিকেন বা বিফ স্টেক বানাতে পারেন এয়ার ফ্রায়ারে। প্রিহিট করা এয়ার ফ্রায়ারের মধ্যে রসালো চিকেন স্টেক বানিয়ে নেওয়া যায় সহজেই। বাড়িতে তেল আর মাখন কম ব্যবহার করে কেক বানাতে চান। এয়ার ফ্রায়ারে বানাতে পারেন। কুকি, কাপ কেক হোক বা মাফিন তৈরিতে অনেক তেল মাখন লাগে। মাখনের ব্যবহার কমাতে ভরসা রাখুন এয়ার ফ্রায়ারে। এছাড়াও চিকেন ম্যারিনেট করে রেখে কষা তরকারিও রান্না করা যাবে। প্রিহিটেড এয়ার ফ্রায়ারে চাইলে রসালো চিকেন স্টেকও বানানো যায়। মুখরোচক চিকেন উইংগস তৈরি করতে পারেন এয়ার ফ্রায়ারের সাহায্যে।  কিশমিশ, কাজু বা আখরোট এয়ার ফ্রায়ারে দিয়ে একবার শুকিয়ে স্টোর করে রাখতে পারেন। এয়ার ফ্রায়ারে রোস্ট বানিয়ে নেওয়া যাবে। স্বাদে বদল আসবে। যেসব খাবার এয়ার ফ্রায়ারে বানাবেন না- চিজ দেওয়া কোনো খাবার এয়ার ফ্রায়ারে বানাবেন না। চিজ উচ্চ তাপমাত্রায় গলে গিয়ে এয়ার ফ্রায়ারের সঙ্গে লেগে যাবে। যা পরিষ্কার করা কষ্টকর হবে। বার্গার, পাস্তা, পিৎজা এয়ার ফ্রায়ারে বানাবেন না। এয়ার ফ্রায়ারের তাপমাত্রা অনেকটা বেশি থাকায় এগুলো নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
০৩ মার্চ ২০২৪, ১১:৫৬

পাইপ লাইনে জ্বালানি তেল খালাস, সাশ্রয় হবে ৮০০ কোটি টাকা 
আমদানি করা জ্বালানি তেল জাহাজ থেকে দ্রুত ও সাশ্রয়ী খরচে খালাস করার জন্য গভীর সমুদ্রে ডাবল পাইপলাইনের সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) প্রকল্পের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। এর মধ্যে এসপিএম প্রকল্পের আওতায় এবার কক্সবাজারের মহেশখালীর স্টোরেজ ট্যাংক থেকে পাইপলাইনে জ্বালানি তেল চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় পরিবহনের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। মহেশখালী থেকে ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডে (ইআরএল) তেল আসতে সময় লেগেছে ৩০ ঘণ্টা। গত বছরে ১৪ নভেম্বর গণভবন থেকে এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রকল্পটির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  সংশ্লিষ্টরা জানান, ১১ দিনে যে পরিমাণ জ্বালানি তেল খালাস করা যায়, সেটির সময় কমে আসবে মাত্র ৪৮ ঘণ্টায়। প্রকল্প পুরোপুরি বাস্তবায়নের পর লাইটার জাহাজে তেল পরিবহনের প্রয়োজন হবে না। ফলে পরিবহন খরচের প্রায় ৮০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।  গত বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) পাইপলাইনের মাধ্যমে সকাল ৮টায় মহেশখালীর স্টোরেজ ট্যাংক টার্মিনাল থেকে পাম্প শুরু হয়। গতকাল শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টায় ইস্টার্ন রিফাইনারির ৪০ হাজার টন ধারণ ক্ষমতার ট্যাংক টার্মিনালে তেল পৌঁছায়। এ প্রকল্পের অংশ হিসেবে গত বছরের ডিসেম্বরের শুরুতে গভীর সমুদ্র থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে মহেশখালীর স্টোরেজ ট্যাংকে ৬০ হাজার টন ডিজেল নেওয়া হয়েছিল।  ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. লোকমান বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে এসপিএম ব্যবহার করে জ্বালানি তেল আমাদের রিফাইনারিতে নেওয়া শুরু হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় সাগরের তলদেশ দিয়ে দুটি পাইপলাইন বসানো হয়েছে। এই পাইপ দুটির মাধ্যমে মহেশখালীর কুতুবদিয়া চ্যানেলে অবস্থানকারী বড় বড় জাহাজ থেকে তেল সরাসরি রিফাইনারিতে আনা হবে। মো. লোকমান বলেন, এখন থেকে মাদার ওয়েল ট্যাংকার থেকে লাইটারেজ জাহাজে করে রিফাইনারিতে আনতে হবে না। ফলে জ্বালানি রিফাইনারিতে আনতে সময় অনেক কমে আসবে, খরচও কমবে। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছে, গত বছরের ২৬ জুন মহেশখালীর অদূরে গভীর সাগরে স্থাপিত এসপিএম ব্যবহার করে পাইপলাইনের মাধ্যমে জাহাজ থেকে তেল খালাসের পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরুর কথা থাকলেও বিরূপ আবহাওয়ার কারণে তা পিছিয়ে যায়। এরপর গত ৩ জুলাই এমটি হোরে নামক জাহাজ থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে মহেশখালীর কালারমার ছড়ায় স্থাপিত ট্যাংকে তেল পরিবহনের পরীক্ষামূলক কাজ শুরু হয়। এর পাঁচ দিনের মাথায় কারিগরি ত্রুটি দেখা দিলে পাইপলাইনে সরাসরি তেল পরিবহন কার্যক্রম পিছিয়ে যায়। ত্রুটি সারানোর পর বিশেষায়িত বয়া ব্যবহার করে গত ৩ ডিসেম্বর জাহাজ থেকে ৮৩ হাজার টন ক্রুড অয়েল এবং ৭ ডিসেম্বর ৬০ হাজার টন ডিজেল পাইপলাইনের মাধ্যমে মহেশখালীর স্টোরেজ ট্যাংকে নেওয়া হয়।  জ্বালানি বিভাগের প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের ক্রমবর্ধমান জ্বালানি তেলের চাহিদা পূরণ এবং জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমদানীকৃত ক্রুড অয়েল ও ফিনিশড প্রডাক্ট স্বল্প সময়ে, স্বল্প খরচে এবং নিরাপদে খালাস করার জন্য ‘ইনস্টলেশন অব সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) উইথ ডাবল পাইপলাইন’ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বাংলাদেশ ও চীন সরকারের মধ্যে জিটুজি ভিত্তিতে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) অধীনস্থ কোম্পানি ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। প্রায় সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকার এ প্রকল্পে চীনের এক্সিম ব্যাংক ঋণ দিচ্ছে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা। গভীর সাগরে নোঙর করা মাদার ভ্যাসেল থেকে লাইটারেজ না করে পাইপলাইনের মাধ্যমে জ্বালানি তেল খালাসের জন্য সরকার ৫ হাজার কোটিরও বেশি টাকা ব্যয়ে ‘ ইন্সটলেশন অব সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং উইথ ডাবল পাইপলাইন’ শীর্ষক একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করে। কক্সবাজারের কুতুবদিয়ার অদূরে গভীর সমুদ্রে নির্মাণ করা হয় ‘সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং’। সেখান থেকে ইস্টার্ন রিফাইনারি পর্যন্ত অব শোর এবং অন শোর মিলে মোট ২২০ কিলোমিটার ডাবল পাইপলাইন স্থাপন করা হয়। এর মধ্যে ১৪৬ কিলোমিটার অফ শোর পাইপলাইন এবং ৭৪ কিলোমিটার অন শোর পাইপলাইন রয়েছে। প্রকল্পের আওতায় পাইপলাইন ছাড়াও মহেশখালীতে এক লাখ ২৫ হাজার টন ক্রুড অয়েল ৮৩ হাজার টন ডিজেল সংরক্ষণের ট্যাঙ্ক নির্মাণ করা হয়েছে। বিদেশ থেকে আমদানি করা ক্রুড অয়েল ও ডিজেল ওই দুটি ট্যাঙ্কে সংরক্ষণ করে সেখান থেকে প্রয়োজন অনুযায়ী দুটি পাইপলাইনের একটি দিয়ে ইস্টার্ন রিফাইনারিতে ক্রুড অয়েল পাঠানো হবে। আরেকটি পাইপলাইন দিয়ে ডিজেল পাঠানো হবে পদ্মা অয়েল কোম্পানি, যমুনা অয়েল কোম্পানি ও মেঘনা পেট্রোলিয়ামের পতেঙ্গা গুপ্তখালের প্রধান ডিপোতে। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের (বিপিসি)কর্মকর্তারা জানান, পাইপলাইন চালু হলে অবিশ্বাস্য কম সময়ে কুতুবদিয়া থেকে পতেঙ্গায় জ্বালানি তেল পৌঁছে যাবে। এতে সময় ও অর্থ দুটোই সাশ্রয় হবে। বছরে অন্তত ৮০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। তিনি বলেন, এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে জ্বালানি তেল পরিবহনের সেকেলে ধারণা পাল্টে বিশ্বমানে উন্নীত হবে। বছরের পর বছর বহির্নোঙরে নোঙর করা মাদার ভ্যাসেল থেকে লাইটারেজ করে তেল পরিবহন করা হয়েছে। এখন সেই খরচটি পুরোপুরি বেঁচে যাবে। অন্যদিকে একটি জাহাজ থেকে তেল খালাস করতে আগে ১৫ দিন সময় লাগত, তা এখন ৩৬ থেকে ৪৮ ঘণ্টায় নেমে আসবে।
০২ মার্চ ২০২৪, ১৫:০১

১৭৪ কোটি ৬৬ লাখ টাকার সয়াবিন তেল কেনার প্রস্তাব অনুমোদন
স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ১ কোটি ১০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার অনুমতি দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এই তেল কিনতে মোট খরচ পড়বে ১৭৪ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। সেই হিসেবে প্রতি লিটারে খরচ পড়বে ১৫৮ দশমিক ৭৯ টাকা। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুযারি) এটি ছাড়াও মোট ১২টি প্রস্তাব অনুমোদন পেয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। সভা শেষে অনুমোদিত প্রস্তাবগুলোর বিস্তারিত তুলে ধরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান বলেন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ১৬৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকায় ৫০ হাজার মেট্রিক টন গম আমদানি করা হবে। প্রতি মেট্রিক টনের দাম পড়বে ৩০৩ দশমিক ১৯ মার্কিন ডলার। সেইসঙ্গে ৮ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল আমদানি করা হবে, যার মোট দাম পড়বে ৮৩ কোটি ১২ লাখ টাকা। এছাড়া জিটুজি পদ্ধতিতে ২৫৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকায় ৪০ হাজার মেট্রিক টন সার আমদানি করা হবে সৌদি আরব থেকে। প্রতি মেট্রিক টন সারের দাম পড়বে ৫৭৬ ডলার। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জানান, ১৪ হাজার ২৫০টি কমিউনিটি ক্লিনিকের জন্য ওষুধ কেনা হবে, যার দাম পড়বে ১৪৯ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাস নির্মাণে ১৮৯ কোটি ৫৭ লাখ টাকার একটি প্রকল্পও অনুমোদন পেয়েছে আজকের সভায়। এছাড়া, এলএনজি আমদানির সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।  
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:৫১

রমজানের আগেই দাম বাড়ছে বিদ্যুতের 
আসন্ন মার্চ থেকে আরেক দফা বাড়ানো হচ্ছে বিদ্যুতের দাম। এই দফায় দাম বাড়বে ৫ শতাংশ। এ বিষয়ে আগামী সপ্তাহেই প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে বলে জানা গেছে। একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি কার্যকর হতে পারে আগামী মাস থেকেই। এতে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দামের সঙ্গে দেশেও ওঠানামা করবে জ্বালানি তেলের দাম।  এছাড়া বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের দামও বাড়ানো হবে। তবে আবাসিকে গ্যাসের দাম অপরিবর্তিত থাকবে।   আইএমএফের কাছ থেকে নেওয়া ঋণের শর্ত হিসেবে দেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত পুরোপুরি ভর্তুকিমুক্ত করার প্রয়াস হিসেবে রমজান শুরুর আগেই এ পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।   মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য দেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেছেন, বিদ্যুতের দাম গ্রাহক পর্যায়ে বাড়লেও গ্যাসের দাম শুধু বিদ্যুৎ উৎপাদনেই বাড়বে।  মূল্যবৃদ্ধির কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয়ে গেছে ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়নের কারণে। আগে ডলার ৭৮ টাকায় পাওয়া যেত, এখন প্রায় ১২০ টাকার মতো হয়ে গেছে। প্রতি ডলারে প্রায় ৪০ টাকার মতো খরচ হচ্ছে। এতে বিশাল ঘাটতি তৈরি হয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির দাম অপরিবর্তিত থাকলেও ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে দাম সমন্বয় জরুরি হয়ে পড়েছে।  তবে প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, বড় গ্রাহকদের জন্য দাম বাড়ানো হবে যাতে কম ব্যবহারকারীরা ভর্তুকি মূল্যে বিদ্যুৎ পায়। জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয়ের বিষয়ে নসরুল হামিদ বলেন, মার্চ মাস থেকেই আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে যুক্ত করা হবে জ্বালানি তেলের দাম। নতুন দর মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকেই কার্যকর হবে। আইএমএফের কাছ থেকে নেওয়া ঋণের শর্ত হিসেবে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত পুরোপুরি ভর্তুকিমুক্ত করতে হবে। সরকারও এ ভর্তুকি থেকে বেরিয়ে আসতে দীর্ঘদিন ধরে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় আসন্ন রমজানের আগেই বিদ্যুতের দাম বাড়ছে।
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:২৪

ঠান্ডায় বাচ্চাকে ঘুমানোর সময় ভারী কিছু চাপা দিচ্ছেন, যা বলছেন চিকিৎসকরা
শীতের এবার কোনও ঠিকঠিকানা নেই। তাপমাত্রা কখন কি অবস্থায় থাকবে তা বোঝার যেনো কোন সুযোগই নেই। কখনও এক ধাক্কায় চারদিকে জমে যাওয়ার মতো ঠান্ডা, কখনও আবার এমন আবহাওয়া, গরম কালকেও হার মানায়। এ আবহাওয়ায় শিশুদের অবস্থা বেশ কাহিল। সর্দি-জ্বর লেগেই আছে। এমন সময় একেবারে সদ্যোজাত শিশুদের যত্নের সময় নানা রকম চিন্তায় থাকেন অভিভাবকরা। গোসল করানো থেকে গরম-জামা পরানো, নানা বিষয় নিয়েই বাড়ির বড়দের মনে থাকে বিভিন্ন চিন্তা। অনেক অভিভাবক জানেন না শিশুকে ঘুম পাড়ানোর নিরাপদ উপায় কী হতে পারে। অনেকেই আবার নানা রকম ভুলও করেন যা সদ্যোজাত শিশুদের জন্য অনেক বিপদেরও কারণ হতে পারে।  জেনে নিন বিষয়গুলো-  >> অনেকেই সর্দি-কাশিতে ওষুধ না দিয়ে গরম তেল মালিশ করেন। অভিভাবকদের অনেকেরই ধারণা, বুকে-পিঠে তেল মালিশ করে দিলে বুঝি সর্দি উঠে যাবে। না, তা একেবারেই নয়। এতে সর্দি কাশি ভালো হওয়ার ক্ষেত্রে কোনও উপকার হয় না। >> যারা সরিষের তেল মাখাতে চান বাচ্চাকে, তাদের মনে রাখতে হবে, সব তেল শিশু শরীরের উপযুক্ত নয়। একবার বাচ্চার র‍্যাশ হয়ে গেলে কষ্ট কিন্তু কমার বদলে বেড়ে যাবে। >> প্রতিদিন গোসল করাতে না চাইলেও অল্টারনেটিভ দিনে শরীর স্পঞ্জ করা প্রয়োজন। একদম সদ্য জন্মানো শিশুকে প্রতিদিন গোসল করান অনেকেই। তবে নতুন মায়েরা সবসময় দক্ষভাবে সদ্যোজাতকে গোসল করাতে পারেন না। হালকা গরম পানি দিয়ে শিশুর গা স্পঞ্জ করা যেতে পারে।  >> লেপ-কম্বল চাপা দেওয়া যায় সদ্যোজাতকে? উত্তর হবে না। এতে খেয়াল না রাখলে যে কোন বিপদ ঘটতে পারে। কম্বল চাপা দিলে যদি বাচ্চার কষ্ট হয়, তাহলে সে তো মুখ ফুটে বলতে পারবে না। বরং লেপ, কম্বলের ভারে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে যেতে পারে। যাকে বলে সিট (SID : Sudden Infant Deaths)।  >> শিশুকে লেয়ারে পোশাক পরাতে হবে। অর্থাৎ বিশাল একটা মোটা কিছু না পরিয়ে একাধিক পোশাক স্তরে স্তরে পরানো যেতে পারে তাপমাত্রা অনুসারে। তাহলে কতটা ঠান্ডা পড়ল, তা ভেবেই বাচ্চাকে ভীষণ ভারী কিছু পোশাক বা জামার ওপর জামা পরিয়ে দেবেন না। >> যিনি শিশুর যত্ন করছেন তিনিই বুঝে নেবেন শিশুর কি শীত লাগছে নাকি মোটা মোটা জামাকাপড়ের নিচে সে ঘেমে গিয়েছে। তা বুঝে জামা পরাতে হবে বা খুলে দিতে হবে। 
৩১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:০৯

টিসিবির জন্য কেনা হচ্ছে তেল ও মসুর ডাল
রাষ্ট্রীয় বিপনন সংস্থা টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারী ১ কোটি পরিবারের কাছে ভর্তুকি মূল্যে বিক্রির জন্য ৩৯১ কোটি ১৯ লাখ টাকার রাইস ব্রাণ অয়েল এবং মসুর ডাল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে ১ কোটি ২০ লাখ লিটার রাইস ব্রাণ অয়েল এবং ২০ হাজার টন মসুর ডাল রয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা শেষে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়। সভায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তিনটি প্রস্তাব টেবিলে উপস্থাপন করা হয়। অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, স্থানীয়ভাবে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে (ডিপিএম) ১ কোটি ২০ লাখ লিটার (+৫%) রাইস ব্রান তেল ক্রয় করার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে। টিসিবি কর্তৃক ৩টি লটে ১ কোটি ২০ লাখ লিটার রাইস ব্রান তেল সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ক্রয়ের জন্য স্থানীয় ৩টি প্রতিষ্ঠান (১) মজুমদার প্রোডাক্টস লি. (২) মজুমদার ব্রান অয়েল মিলস লি. এবং (৩) আলী ন্যাচারাল অয়েল মিলস অ্যান্ড অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কাছ থেকে দরপ্রস্তাব চাওয়া হলে প্রতিষ্ঠান ৩টি দরপ্রস্তাব দাখিল করে। টিইসি কর্তৃক দরপ্রস্তাব ৩টি পরীক্ষান্তে রেসপনসিভ হয়। দরপ্রস্তাবের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসি কর্তৃক নেগোসিয়েশনের মাধ্যমে সুপারিশকৃত (১) মজুমদার প্রোডাক্টস লি., (২) মজুমদার ব্রান অয়েল মিলস লি. এবং (৩) আলী ন্যাচারাল অয়েল মিলস অ্যান্ড অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লি.-এর কাছ থেকে ১ কোটি ২০ লাখ লিটার রাইস ব্রান তেল ১৮৯ কোটি ৬০ লাখ টাকায় সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। অর্থ মন্ত্রণালয় আরও জানায়, ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ১০ হাজার (+৫%) মে. টন মসুর ডাল ক্রয় করার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে ক্রয় কমিটি। টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারী ১ কোটি পরিবারের কাছে ভর্তুকি মূল্যে বিক্রির লক্ষ্যে ১০ হাজার টন মসুর ডাল ক্রয়ের জন্য আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে মাত্র ১টি দরপ্রস্তাব জমা পড়ে। দরপ্রস্তাবটি কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়। দরপ্রস্তাবের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসি কর্তৃক সুপারিশকৃত রেসপনসিভ একমাত্র দরদাতা প্রতিষ্ঠান উমা এক্সপো প্রা. লিমিটেড, ভারত -এর কাছ থেকে ১০ হাজার মে. টন মসুর ডাল প্রতি কেজি ১০১.১৩ টাকা হিসেবে সর্বমোট ৯৬ কোটি ১৪ লাখ টাকায় ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ২০২৩-২৪ অর্থবছরে স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ১০ হাজার (+৫%) মে. টন মসুর ডাল ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারী ১ কোটি পরিবারের কাছে ভর্তুকি মূল্যে বিক্রির লক্ষ্যে ১০ হাজার মে. টন মসুর ডাল ক্রয়ের জন্য স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে ২টি দরপ্রস্তাব জমা পড়ে। ২টি দরপ্রস্তাবই কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়। দরপ্রস্তাবের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসি কর্তৃক সুপারিশকৃত রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান (১) রায় অ্যাগ্রো ফুড প্রোডাক্টস লিমিটেড, বগুড়া; এবং (২) নাবিল নাবা ফুডস লিমিটেড, ঢাকা-এর কাছ থেকে ১০ হাজার টন মসুর ডাল প্রতি কেজি ১০৫.৪৫ টাকা হিসেবে সর্বমোট ১০৫ কোটি ৪৫ লাখ টাকায় ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:০১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়