• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
২০২৬ সালের মধ্যে তিস্তা সংকট মিটে যাবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জানিয়েছেন, আশা করি ২০২৬ সালের মধ্যে তিস্তা নদীর পানি বণ্টন চুক্তি নিয়ে প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে চলমান সংকট মিটে যাবে। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) কলকাতায় বাংলাদেশ উপদূতাবাস আয়োজিত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারত সরকারের নয়, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে তিস্তা। আলোচনা হয়েছে, ভারতের জাতীয় নির্বাচনের পর একটা সমাধানে পৌঁছাতে পারবো। তাদের সঙ্গে ২০২৬ সাল পর্যন্ত গঙ্গা চুক্তিও আছে। আশা করি এর মধ্যেই পানি চুক্তির সমাধান হবে। তিস্তা চুক্তি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে বাংলাদেশের আলোচনার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিষয়টি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়, আমাদের কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে বিজনেস করতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য সরকারের সঙ্গে বোঝাপড়া করবে। অপর একটি প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ অংশে তিস্তার উপরে ব্যারেজ নিয়ে আলোচনা হয়নি, এটি নিয়ে আমরা চিন্তাভাবনা করছি।  ভারতের সঙ্গে আমাদের খুব আত্মিক এবং উষ্ণ সম্পর্ক রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে সেই সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে।  মিয়ানমার সীমান্তে দেশটির রক্ষীদের অনুপ্রবেশের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিষয়টি সমাধানে কিভাবে একযোগে কাজ করা যায় এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের কীভাবে ফেরত পাঠানো যায়, সেসব বিষয়েও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। ভারতের সঙ্গে ৪০ বছরের বেশি পুরোনো ছিটমহল সমস্যা যখন আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে পেরেছি, টাঙ্গাইল শাড়ির সমস্যার সমাধানও হয়ে যাবে বলে জানান তিনি। এসময় কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াসসহ মিশনের অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:১৮

তিস্তা চুক্তি নিয়ে ভারতের সঙ্গে ফের আলোচনা করবে বাংলাদেশ
ভারত সফরে তিস্তা পানি বণ্টন চুক্তি নিয়ে এবার আলোচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন। তিনি বলেন, একই সঙ্গে দুই দেশের আঞ্চলিক সম্পর্ক বৃদ্ধি, সীমান্ত, ভিসা জটিলতা নিয়ে আলোচনা হবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ভারত সফরে এসব আলোচনা হবে। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সীমান্তে গুলিতে বিজিবির সদস্য নিহতের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে বিএসএফ। বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন। সেহেলী সাবরীন বলেন, লিবিয়াতে আটক আরও ১৩৯ জন বাংলাদেশি নাগরিকদের বাংলাদেশে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে। সাবরীন জানান, মিয়ানমারে চলমান সংঘাতে নতুন করে যেন কোনো অনুপ্রবেশ না ঘটে সে বিষয়ে বিশেষভাবে নজর রাখা হচ্ছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে সেহেলী সাবরীন বলেন, মিয়ানমারের রাখাইনে চলমান সংঘাত দেশটির অভ্যন্তরীণ বিষয়। তবে সংঘাতে বাংলাদেশ বা বাংলাদেশিরা যেন কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এবং নতুন কোনো অনুপ্রবেশ না ঘটে সে বিষয়ে বিশেষভাবে নজর রাখা হচ্ছে। তিনি বলেন, দেশটিতে আমাদের দুটি কূটনৈতিক মিশন রয়েছে। মিশন দুটির কর্মকর্তারা সার্বিক বিষয়ে পর্যবেক্ষণ করছেন। একই সঙ্গে প্রয়োজনে দেশটির সরকারের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন। তিনি আরও বলেন, বিদ্যমান পরিস্থিতি এবং সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে মন্ত্রণালয় সরকারের সব কর্তৃপক্ষ এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে ঢাকাস্থ মিয়ানমার দূতাবাসের সঙ্গে নিবিড় ও তড়িৎ যোগাযোগ রক্ষা করছে। সেই সঙ্গে আমাদের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সঙ্গে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে।
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:১২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়