• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
তালাক দেওয়ায় শরীরে আগুন, স্বামীর পর মারা গেলেন স্ত্রী
নরসিংদীর রায়পুরার মরজালে তালাক দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পেট্রোল ঢেলে আগুন দেওয়ার ঘটনায় স্বামীর মৃত্যুর দুদিন পর চিকিৎসক স্ত্রী লতা আক্তারের (৩২) মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান স্বামী খলিলুর রহমান (৪০)। লতা আক্তারের চাচা ফারুক মিয়া বলেন, মরদেহ বাড়ি নিয়ে আসা হবে এবং নিয়ম অনুযায়ী পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে। নিহত লতা আক্তার জেলার রায়পুরা উপজেলার মরজাল ইউনিয়নের ব্রাহ্মণেরটেক গ্রামের মফিজ উদ্দিনের মেয়ে। তিনি ঢাকার গুলশান এলাকার শাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজ থেকে পাস করা চিকিৎসক। নারায়ণগঞ্জের একটি বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। তার সাবেক স্বামী খলিলুর রহমান গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার বেলাশী গ্রামের আতর আলী বেপারীর ছেলে। নিহতের স্বজন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চিকিৎসক লতা আক্তার ও খলিলুর রহমানের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরে গোপনে তারা বিয়ে করেন। তবে খলিল তথ্য গোপন করে বিয়ে করায় দুইমাস আগে তাকে তালাকনামা পাঠান লতা আক্তার। তারপরও খলিল তাকে নিয়ে সংসার করতে চান। এনিয়ে উভয়ের মতামতের ভিত্তিতে গ্রামে সালিশ বসে। সেখানেও খলিলুর রহমানের সঙ্গে সংসার করতে আপত্তি জানান লতা আক্তার। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে লতা আক্তারের বাবার বাড়ি মরজাল এসে ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন খলিলুর রহমান। পরে স্ত্রী ও নিজের গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে দরজা ভেঙে উভয়কে ঘর থেকে দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করেন। লতা আক্তারকে প্রথমে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় রেফার করেন। খলিলুর রহমানকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। রায়পুরা থানার উপপরিদর্শক আলমগীর হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় লতা আক্তারের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পেয়েছি। ঘটনার পর পর লতার পরিবারের পক্ষ থেকে সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দেওয়া হয়েছিল।
০১ মার্চ ২০২৪, ০৮:৩৭

তালাক দেওয়ায় নারী চিকিৎসকের গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন
নরসিংদীতে লতা আক্তার (২৭) নামে এক নারী চিকিৎসকের শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়েছেন তার সাবেক স্বামী। আগুনে ওই চিকিৎসকের ৮০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে জেলার রায়পুরা উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে। ওই চিকিৎসকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসক লতার খালু মো. ফরহাদ হোসেন বলেন, শাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করে লতা নারায়ণগঞ্জে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত। দুই বছর আগে খলিলুর রহমান নামের এক ছেলেকে ভালোবেসে বিয়ে করেন লতা। বিয়ের পর জানতে ওই ছেলে একজন ড্রাইভার। এরপর তাকে তালাক দেয় লতা। এরই জের ধরে বাসায় এসে লতার গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়ে পালিয়ে যান খলিলুর। লতার প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতাল, অবস্থার অবনতি হলে ঢাকায় বার্ন ইনস্টিটিউটে আনা হয়। ওই নারী চিকিৎসকের শরীরের ৮০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মো. তরিকুল ইসলাম। বর্তমানে তাকে জরুরি বিভাগের অবজারভেশনে রাখা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। আমরা বিষয়টি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জকে জানিয়েছি। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, নরসিংদীর রায়পুরা থেকে এক নারী চিকিৎসক দগ্ধ হয়ে এসেছেন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৫৮

বাসররাতে স্বামী জানলেন স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা, রাতেই তালাক
চাঁদপুর মমিন মিয়া বিয়ের পর বাসর রাতেই জানলেন তার স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা। পরে সেই রাতেই স্থানীয়ভাবে পরীক্ষা করে অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে স্ত্রীকে তালাক দিলেন তিনি।  শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে বিয়ে এবং বিচ্ছেদের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মো. সেলিম। এর আগে, গত ২ ফেব্রুয়ারি জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়নের উত্তর সকদিরামপুর গ্রামের কৈ বাড়িতে বিয়ে হয় মমিন ও ওই তরুণীর।  মো. সেলিম বলেন, মেয়ের বাবা একজন দিনমজুর। তার ৪ মেয়ে। এই মেয়ে তৃতীয়। বড় দুই মেয়ের বিয়ে হয়েছে। আরও একজন ছোট মেয়ে আছে। ওই মেয়ের পুরান বাজারে বিয়ে হয়েছে জানতে পেরেছি। এরপর মেয়ের বাবা আমাকে গত কয়েকদিন আগে বাজারে যাওয়ার পথে জানিয়েছেন তার মেয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে। তখন তিনি তার বাড়ির লিটন নামে এক যুবকের নাম বলেন। এসব বিষয়ে আমি চেয়ারম্যানকে অবগত করতে এবং আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দিই। এদিকে ঘটনার পর ওই নববধূ গণমাধ্যমকে বলেন, বিভিন্ন সময়ে লিটন, ইলিয়াছ মাস্টার, শিমুল ও এলাকার রনি নামে যুবকরা তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেছেন। যে কারণে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। বর মমিনের মা ছালেহা বেগম গণমাধ্যমকে জানান, তার ছেলে ঢাকায় একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে কাজ করে। ছেলের বিয়ের আগে এমন কোনো তথ্যই তাদের জানা ছিল না। বিয়ের রাতে ছেলের বউয়ের এমন পরিস্থিতি দেখে তারা বিস্মিত হয়ে পড়েন। পরে রাতেই তাকে প্রাথমিকভাবে পরীক্ষা করে অন্তঃসত্ত্বা নিশ্চিত হন। ওই রাতেই ছেলে তালাক দেয়। পরদিন ৩ ফেব্রুয়ারি শহরের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আবারও পরীক্ষা করেন এবং সেখানে আল্ট্রাসনোগ্রাম করে রিপোর্ট পান ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। পরে মেয়ের পরিবার এসে তাকে ওইদিনই নিয়ে যায়। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিন স্বপন মিয়াজী জানান, এই ধরনের ঘটনার বিষয়ে আমাকে কেউ জানায়নি। আমি লোকমুখে শুনেছি। মেয়ের বাবা দিনমজুর ও বিভিন্ন মাধ্যমে ধর্ষণের বিষয়ে যাদের নাম বলেছে তারা অনেকটা বখাটে ধরনের। কিন্তু ধর্ষণে জড়িত আছে কিনা বলতে পারবো না।
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০৩

চাঁদপুরে স্ত্রীকে তালাক দিয়ে সন্তানকে বিক্রির অভিযোগ  
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে সালিস বৈঠকের মাধ্যমে স্ত্রীকে তালাক দিয়ে ৯ মাসের এক শিশুসন্তানকে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ওই ব্যক্তির নাম ইকবাল মুন্সী। সন্তানকে ফিরে পেতে এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন শিশুটির মা নয়ন বেগম। তবে দুই সপ্তাহেও সন্তানকে ফিরে পাননি তিনি। থানায় লিখিত অভিযোগসূত্রে জানা যায়, প্রায় দুই বছর আগে ফরিদগঞ্জ উপজেলার বাসারা গ্রামের ইকবাল মুন্সির সঙ্গে একই উপজেলার পূর্ব দায়চারা গ্রামের নয়ন বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের দাবিতে এবং বিভিন্ন অজুহাতে মারধর করতেন ইকবাল। এর মধ্যে তাদের ইসরাত জাহান নামের এক মেয়ে হয়। পারিবারিক কলহের এক পর্যায়ে গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর সালিসি বৈঠক হয়। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নয়ন বেগমের কাছ থেকে তালাক দেওয়ার খালি স্ট্যাম্পে সই রাখার অভিযোগ আছে। পরে জোর করে ৯ মাসের শিশু ইসরাতকে মায়ের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয় ইকবালের পরিবারের লোকজন।  নয়ন বেগম জানান, আমার স্বামী আমাকে যৌতুকের জন্য বিভিন্ন সময়ে মারধর করত। সুখের আশায় সালিসকারীদের কাছে বিচার দিলেও উল্টো আমাকে তালাক দিতে বাধ্য করে। এমনকি তারা আমার সন্তানকেই কোল থেকে ছিনিয়ে নেয়। পরে আমি জেনেছি, আমার সন্তানকে চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার ওয়ারুক গ্রামে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয় আমার স্বামী ইকবাল মুন্সি। আমি আমার সন্তানকে ফিরে পেতে চাই। নয়ন বেগমের স্বামী ইকবাল মুন্সি মুঠোফোনে জানান, নয়ন বেগমের সঙ্গে সালিসি বৈঠকের মাধ্যমে তার তালাক হয়ে গেছে। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সুমন, আশু, জামাল, আবু তাহের, ফারুক হোসেন ও বাবুল নামের ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে তালাকের পর শিশুসন্তানকে তার জিম্মায় দেওয়া হয়। সন্তান বিক্রির যে অভিযোগ থানায় করা হয়েছে, সেটি সঠিক নয়। তিনি তার এক খালাতো বোনের কাছে সন্তানকে লালনপালন করতে দিয়েছেন বলে দাবি করেন।  এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ উপজেলার সুবিদপুর পূর্ব ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সুমন সোমবার দুপুরে জানান, ‘শুনেছি, শিশুটিকে পালক দেওয়া হয়েছে। বিক্রির বিষয় আমি জানি না। সুবিদপুর পূর্ব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন জানান, প্রথম সালিসে আমি থাকলেও পরের বৈঠকে ছিলাম না। শিশুটির মা শিশুটিকে নেবে না বলায় শিশুটিকে তার বাবার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জেনেছি। পরে কী হয়েছে, সেই বিষয়ে আমি জানি না। অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফরিদগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মাহফুজ। সন্তান বিক্রির বিষয়ে তিনি বলেন, শিশুটির বাবাকে খবর দিয়েছি আসার জন্য। তিনি এলে শিশুটিকে উদ্ধার করা হবে।    ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সাইদুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি জানান, এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। তবে অভিযোগ হলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
২২ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:২১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়