• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
উপজেলা নির্বাচন / বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন তারা
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে সারাদেশের ১৫০টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) থেকে প্রচারে নামতে পারবেন প্রার্থীরা। সোমবার (২২ এপ্রিল) ছিল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। এদিন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা সরে দাঁড়ানোয় তিন উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ কয়েকজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন। জানা গেছে, মাদারীপুরের শিবচর, নোয়াখালীর হাতিয়া, মুন্সীগঞ্জ ও ফেনীর পরশুরাম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একজন করে প্রার্থী থাকায় তিনজনই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার পথে। সোমবার (২২ এপ্রিল) তিন পদে অন্য সব প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তিন প্রার্থী বিজয়ের পথে রয়েছেন। নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মো. সেলিম মিয়া ও ফাহিমা আক্তার নামে দুইজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এদের মধ্যে ফাহিমা আক্তার সোমবার (২২ এপ্রিল) প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিএম আতাউর রহমান (আতাহার) ও মো. মনিরুজ্জামান মনির মনোনয়নপত্র দালিখ করলেও মো. মনিরুজ্জামান মনির প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন। ফলে বিএম আতাউর রহমান (আতাহার) একক প্রার্থী হওয়ায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ের পথে। একইভাবে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আয়শা সিদ্দিকা ও শিফাতুন হক অহনা দুইজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করলেও শিফাতুন হক অহনা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন। ফলে এই পদেও আয়শা সিদ্দিকা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার পথে। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আহমেদ আলী বলেন, শেষ দিনে শিবচর উপজেলায় কয়েকজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। যে কারণে তিন পদে তিন জন প্রার্থী থাকায় ভোটগ্রহণ হবে না। তিনজনই বিজয়ের পথে। তবে এখনই আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেওয়া না গেলেও তারাই মূলত নির্বাচিত। এদিকে এদিকে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় এভাবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তিন প্রার্থীর জয়কে ‘সাজানো নাটক’ বলছেন স্থানীয় ভোটাররা। সোমবার (২২ এপ্রিল) মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষদিন প্রতিদ্বন্দ্বী ৩ প্রার্থীর হঠাৎ সরে যাওয়ায় এবং ভোটদান থেকে বঞ্চিত হওয়ায় আক্ষেপ করেছেন স্থানীয়রা। তাদের মতে, পাতানো নির্বাচন থেকে ঘরের তিন প্রার্থী সরে দাঁড়ানোয় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হচ্ছে না শিবচরে। এমন পাতানো নির্বাচন থেকে প্রার্থীদের সরে আসতে হবে। এতে জনগণের সঙ্গে প্রার্থীর সম্পর্ক ও জবাবদিহিতার জায়গা নষ্ট হচ্ছে। নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে তিনজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। তারা হলেন-স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলীর ছেলে আশিক আলী, স্ত্রী আয়েশা ফেরদাউস ও জাতীয় পার্টির নেতা মুশফিকুর রহমান। সোমবার (২২ এপ্রিল) আশিক আলী ছাড়া বাকি দুজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। হাতিয়া উপজেলা পরিষদের বাকি দুটি পদে একজন করে প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের বিষয়ে মুশফিকুর রহমান বলেন, তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ। ফলে তার পক্ষে মাঠে দৌড়ঝাঁপ করে নির্বাচন সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। তাকে চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরেও যেতে হবে। তাই তিনি তার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন। ফেনীর পরশুরাম উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থীর মধ্যে দুজন সোমবার (২২ এপ্রিল) মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। এতে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ফিরোজ আহমেদ মজুমদার। প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন উপজেলা পরিষদের তিনবারের চেয়ারম্যান ও পরশুরাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন মজুমদার ও উপজেলার বক্সমাহমুদ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হাসেম চৌধুরী। ভাইস চেয়ারম্যান পদের চারজনের মধ্যে তিনজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। বর্তমানে একক প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন পরশুরাম উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক নুর মোহাম্মদ শফিকুল হোসেন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন ইকরামুল করিম মজুমদার, নজরুল ইসলাম ও আবদুল রসুল মজুমদার। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেত্রী শামসুন নাহার পাপিয়া। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন নিলুফা ইয়াসমিন। এদিকে মুন্সীগঞ্জ সদরে মনোনয়ন দাখিলকারী চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদের তিন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। এদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে আনিস উজ্জামান, ভাইস চেয়ারম্যান পদে নাজমুল হাসান সোহেল এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে হাসিনা গাজী ছাড়া আর কোনো প্রার্থী নেই। যদিও ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আরও একজন করে মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন কিন্তু তারা পরে তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেয়। সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৬টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মুন্সীগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বশির আহমেদ। তিনি বলেন, চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী ছিলেন গতবারের উপজেলা চেয়ারম্যান আনিস উজ্জামান। এ ছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুই জন করে প্রার্থী মনোনয়ন পত্র দাখিল করলেও পরবর্তীতে একজন ভাইস চেয়ারম্যান ও অপর একজন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেওয়ায় এতে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আর কোন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় তারা নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। 
৯ ঘণ্টা আগে

তারা কি শিল্পী সমিতিকে গার্মেন্টস সমিতি বানাতে চায়, প্রশ্ন ডিপজলের
প্রতারণা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে জেল ফেরত হেলেনা জাহাঙ্গীরকে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সদস্যপদ দিয়েছে ইলিয়াস কাঞ্চন ও নিপুণের নেতৃত্বাধীন কমিটি। এমনকি সমিতির সদস্য হওয়ার জন্য একজন শিল্পীর যে যোগ্যতা লাগে (ন্যূনতম পাঁচটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে অবিতর্কিত চরিত্রে অভিনয় করতে হয়) তা তার ছিল না। তারপরও হেলেনা জাহাঙ্গীরকে সমিতির সদস্য পদ দেওয়া হয়েছে। এখন তিনি ১৯ এপ্রিল অনুষ্ঠিতব্য শিল্পী সমিতির নির্মাচনে কলি-নিপুণ পরিষদে কার্যকরী সদস্য পদে নির্বাচন করবেন। সম্প্রতি হেলেনা জাহাঙ্গীর সাংবাদিকদের বলেছেন, আমার গার্মেন্টস কারখানা আছে। সংস্কৃতি অঙ্গনের যাদের চাকরি লাগবে, তাদের আমি চাকরি দিতে পারব। এ জন্য কলি-নিপুণ পরিষদের যে অফার ছিল তা লুফে নিয়েছি। শিল্পীদের গার্মেন্টসে চাকরি দেওয়া হবে তার এ মন্তব্যে চলচ্চিত্রাঙ্গণে সমালোচনা শুরু হয়েছে। এ সমালোচনা যতটা না হেলেনা জাহাঙ্গীরের হচ্ছে, তার চেয়ে বেশি হচ্ছে কলি-নিপুণ পরিষদের। কারণ, হেলেনা জাহাঙ্গীরকে কলি-নিপুণ পরিষদ থেকে শিল্পীদের গার্মেন্টসে চাকরি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এ ব্যাপারে চলচ্চিত্রের মুভিলর্ডখ্যাত ডিপজল তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, প্রথমত হেলেনা জাহাঙ্গীরকে আমি চিনি না। তিনি সিনেমা করেছেন বলে আমার জানা নেই, চলচ্চিত্রে কোনোদিন দেখিনি। তিনি যদি শিল্পীদের গার্মেন্টসে চাকরি দেওয়ার কথা বলে থাকেন, তা কোনোভাবেই একজন শিল্পীর কথা হতে পারে না। কারণ, যিনি শিল্পী হয়েছেন, তিনি অভিনয়ের জন্যই শিল্পী হয়েছেন। এটা তার পেশা-নেশা। একজন শিল্পী না খেয়ে থাকলেও সে শিল্পী। এখানেই তার রিজিক। আল্লাহ যাকে যেখানে রিজিক দিয়েছেন, সে সেখান থেকেই রিজিক পাবে। যিনি গার্মেন্টসে কাজ করেন, রিকশা চালান, ব্যবসা করেন, চাকরি করেন, তার সেখানেই রিজিক। শিল্পীরও অভিনয়ের মাধ্যমে রিজিক আসে। তবে শিল্পীদের পেশাটা অন্যদের চেয়ে আলাদা। শিল্পী কাজ না করলেও সে শিল্পী। এর বাইরে তার যাওয়ার সুযোগ খুব কম। হেলেনা জাহাঙ্গীর যে কথা বলেছেন, তা শিল্পীদের জন্য অবমাননাকর। আমি বলছি না, গার্মেন্টসে কাজ করা খারাপ। অবশ্যই সেটা ভালো। তবে যার যেটা পেশা নয়, সে অন্য পেশায় গিয়ে তা করতে পারবে না। হেলেনা জাহাঙ্গীর কি অভিনয় করতে পারবে? পারবে না। আর শিল্পী সমিতি তো আর গার্মেন্টস শ্রমিকদের সংগঠন নয় যে, সদস্যদের গার্মেন্টসে চাকরি দেবে। ডিপজল বলেন, এটা কেমন কথা! কোথায় সিনেমা নির্মাণ করে শিল্পীদের কাজে লাগাবে, তা না, অন্য পেশায় শিল্পীদের কাজে লাগাতে চায়। তাহলে, শিল্পী সমিতি ও শিল্পীদের কাজ কি? কলি-নিপুণ পরিষদ এমন অফার হেলেনা জাহাঙ্গীরকে দেয় কী করে! তারা যদি তাকে সিনেমা বানানোর অফার দিয়ে শিল্পীদের কাজের ব্যবস্থার কথা বলত, তাহলে একটা কথা হতো। আমি তাদের অভিনন্দন জানাতাম। যদিও গত বছর ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেল ছয়টি সিনেমা বানাবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, নির্বাচিত হওয়ার পর সেই প্রতিশ্রুতি তারা পালন করেনি। এবার শিল্পীদের গার্মেন্টসে চাকরি দেয়ার কথা বলছে! হেলেনা জাহাঙ্গীরের কথা শুনে প্রশ্ন জেগেছে, কলি-নিপুণ পরিষদ কি শিল্পী সমিতিকে গার্মেন্টস সমিতি বানাতে চায়? আমি গার্মেন্টস শিল্পের প্রতি সম্মান রেখে বলছি, একজন শিল্পী হিসেবে এমন কথায় আমি লজ্জিত। যারা শিল্পী তারা যদি গার্মেন্টসে চাকরি করতে চাইত, তাহলে সিনেমায় আসত না। গার্মেন্টস বা অন্য পেশায় কাজ করত।
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৪৮

‘আমাকে কেনার মতো ধনী এখনও তারা হননি’
দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির দাপুটে অভিনেতা প্রকাশ রাজ। ক্যারিয়ারে অসংখ্য হিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি বৈচিত্র্যময় চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন এই অভিনেতা। তবে খলনায়ক চরিত্রে অভিনয় করে বেশ খ্যাতি কুড়িয়েছেন প্রকাশ। শুধু অভিনয় নয়, রাজনীতির মাঠেও বিচরণ রয়েছে প্রকাশ রাজের। ২০১৭ সালে প্রকাশ রাজের সাংবাদিক বন্ধু গৌরি লঙ্কেশকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এরপর নরেন্দ্র মোদির কড়া সমালোচনা করেন এই অভিনেতা।  পরবর্তীতে সময়ের সঙ্গে বিজেপিবিরোধী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন তিনি। এমনকি ২০১৯ সালে স্বতন্ত্র থেকে লোকসভা নির্বাচনে অংশ নিয়েও পরাজিত হন প্রকাশ রাজ। কিছুদিন ধরে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে— সেই বিজেপিতেই নাকি যোগ দিতে যাচ্ছেন প্রকাশ রাজ। বিশেষ করে গতকাল এই বিষয়টি নিয়ে জোর চর্চা হয়েছে নেটদুনিয়ায়। অবশেষে এ নিয়ে মুখ খুললেন প্রকাশ রাজ। গতকাল এক্সে একটি পোস্ট শেয়ার করে প্রকাশ রাজ লেখেন, ‘আমার মনে হয়, তারা চেষ্টা করেছে। তারা উপলদ্ধি করেছে, আমাকে কেনার মতো ধনী (আদর্শিক) তারা না। আপনারা কী মনে করেন বন্ধুরা!’ প্রকাশ রাজকে নিজেদের দলে নেওয়ার জন্য বেশ কিছু রাজনৈতিক দলই চেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু তাতে নারাজ এই অভিনেতা। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছিলেন প্রকাশ রাজ। সে সময় অভিনেতা বলেছিলেন, ‘আমার কাছে তিন-তিনটি রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে লোকসভা ভোটের প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব এসেছে। আমি সাফ না করে দিয়েছি। কারণ ওরা আমাকে চেয়েছিল, আমার রাজনৈতিক দর্শন বোঝার চেষ্টাই করেনি। আমি এসবের ফাঁদে পড়তে চাই না। প্রসঙ্গত, ১৯৮৮ সালে কন্নড় ভাষার চলচ্চিত্রের মাধ্যমে রুপালি পর্দায় পা রাখেন প্রকাশ রাজ। কন্নড়, তামিল, তেলেগু, মালায়ালাম, হিন্দি ও ইংরেজি ভাষার অসংখ্য চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। পাশাপাশি নিজের অভিনয়গুণে একাধিকবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও অর্জন করেছেন প্রকাশ রাজ।  সূত্র : নিউজ ১৮
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৩২

আবাসিক হোটেলে থেকে বাসাবাড়িতে চুরি করেন তারা
সিরাজগঞ্জ শহরের একটি আবাসিক হোটেল থেকে সংঘবদ্ধ চোর চক্রের চার সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ।  শুক্রবার (৫ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সিরাজগঞ্জ সদর থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিরাজগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজওয়ানুল ইসলাম।  আটককৃতরা হলেন- মাদারীপুর জেলার পুনিয়া গ্রামের শাহজাহান আলীর ছেলে মো. জাকির হোসেন (৫২), ইব্রাহিম হাওলাদারের ছেলে মো. আতিয়ার রহমান (৪০), গুরুয়াপাড়া গ্রামের মৃত ইউসুফ ব্যাপারীর ছেলে মো. রফিক ব্যাপারী (৩৭) ও ঝিনাইদহ জেলার বিত্তিরাণী নগর ঘোষপাড়ার মনোরঞ্জন বিশ্বাসের ছেলে সাধন কুমার বিশ্বাস (৪৫)। এদের মধ্যে সাধন কুমার চোরাই মালামাল ক্রয় করতেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজওয়ানুল ইসলাম বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্টেশন রোডের আল হামড়া আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে ওই ৪ জনকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে চুরির বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। তিনি আরও বলেন, শহরের বিভিন্ন বাসা ও দোকানে চুরি করার জন্য চোর দল ওই আবাসিক হোটেলে অবস্থান করে। আটককৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা সিরাজগঞ্জ শহরের সুবিধাজনক বাসাবাড়িতে বা দোকান থেকে চুরি করার জন্য দলভুক্ত হয়ে অবস্থান করছিল। তাদেরকে যেন কেউ সন্দেহ না করে এ জন্য শহরের অনুন্নত মানের হোটেলে ব্যবসায়ী পরিচয় দিয়ে কক্ষ নিয়ে অবস্থান করে থাকে এবং চুরি করে বেড়ায়।  মো. রেজওয়ানুল ইসলাম বলেন, তারা বগুড়ার একটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাড়িতেও চুরি করেছেন। তার হাত ঘড়ি ও অন্যত্র থেকে চুরি করা স্বর্ণের চেইনসহ বিভিন্ন চোরাই মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়াও চোরাই কাজে ব্যবহৃত তালা ভাঙার চাইনিজ কাটার, হাতুড়ি, স্বর্ণালংকার মাপার ডিজিটাল স্কেল, নাট খোলার সেলাইসহ নানান প্রকার সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। ঈদকে সামনে রেখে তাদের আরও অনেক চুরির পরিকল্পনা ছিল। তিনি আরও বলেন, আমাদের ইতোমধ্যেই ঈদকে সামনে রেখে এমন সংঘবদ্ধ চোরদের ধরতে বিশেষ অভিযান চলছে। এরই মধ্যে ২০ জনের মতো চোরকে ধরে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। আটক এই চারজনকেও আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।  এ সময় সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিরাজুল ইসলাম, পরিদর্শক (অপারেশন) সুমন কুমার দাস, উপপরিদর্শক ব্রজেশ্বর বর্মণসহ থানা পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তা ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। 
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৫২

ইফতার খাইয়ে আমার বদনাম করছেন তারা : নিপুণ
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৯ এপ্রিল। ফলে নির্বাচনী প্রচারণা এবং প্যানেল গোছানো নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। ইতোমধ্যে নিজেদের প্যানেল ঘোষণা করেছেন মিশা সওদাগর ও মনোয়ার হোসেন ডিপজল। এফডিসিতে প্রতিদিনই  শিল্পী ও কলাকুশলীদের ইফতার করাচ্ছেন তারা। তবে অভিনেত্রীর দাবি—  ইফতার খাইয়ে নাকি তার নামে বদনাম করছে প্রতিপক্ষ। অন্যদিকে মিশা-ডিপজলের বিপরীতে মাহমুদ কলিকে সভাপতি করে সম্ভাব্য প্যানেল ঘোষণা করেছেন চিত্রনায়িকা নিপুণ। নিপুণ বলেন, নির্বাচন করতে গিয়ে এখন পর্যন্ত আমার গিবত গাওয়া ছাড়া অন্য কোনো বাধা পাইনি। এখন আমি দেখছি ইফতার খাইয়ে খাইয়ে আমার বদনাম করা হচ্ছে। কিন্তু এটাই বুঝতে পারছি না— কেনই বা ইফতার খাওয়াচ্ছেন, আর কেনই বা আমার বদনাম করছেন তারা? আসন্ন নির্বাচনে সম্ভাব্য প্যানেল ঘোষণা করে চিত্রনায়িকা বলেন, যারা আজীবন সদস্য  তারা নির্বাচন করতে পারবে না, এই নিয়মটা আছে। তবে নিয়মটা হলো, যিনি নির্বাচন করবেন তাকে আজীবন সদস্যপদ বাতিল চেয়ে আবেদন করতে হবে এবং চাঁদা পরিশোধ করতে হয়। আমার সভাপতি প্রার্থী সেই নিয়মগুলো পালন করেছেন। তিনি আরও বলেন, এফডিসির জন্য পুরা বিশ্ব আমাকে চেনে। আমি অনেক কিছু পেয়েছি। আমার মনে কোনো আক্ষেপ নেই। আমার কাছে মনে হয় এই নির্বাচনটা করা আমার খুব দরকার। কারণ, শিল্পীদের স্বার্থ রক্ষা পায়।   
৩১ মার্চ ২০২৪, ১০:১০

যে কারণে অনন্ত আম্বানির বিয়ের অনুষ্ঠানে যাননি তারা
অনন্ত আম্বানি আর রাধিকা মার্চেন্টের প্রি ওয়েডিংয়ে হাজির ছিলেন বলিউডের প্রায় সব তারকা। এমনকি রিয়ান্না, মার্ক জুকারবার্গ, বিল গেটসও গিয়েছিলেন সেখানে। তবে বলিউডের কিছু তারকাকে দেখা গেল না সেখানে। আম্বানিদের অনুষ্ঠানে যাননি হৃতিক রোশন। মনে করা হচ্ছে, পেশীতে চোট পাওয়ার কারণে যেতে পারেননি তিনি। অনুষ্ঠানের একদিন আগেই ক্রাচ নিয়ে একটি পোস্ট শেয়ার করে অভিনেতা জানিয়েছিলেন, পেশীতে চোট পেয়েছেন। অনুষ্ঠানে করণ জোহরের অনুপস্থিতি সকলের মনে প্রশ্ন তৈরি করেছে। গত বছর রাধিকা-অনন্তের এনগেজমেন্টে দেখা গিয়েছিল তাকে। কিন্তু প্রি-ওয়েডিংয়ে কেন তিনি নেই, আপাতত সেই উত্তর জানার চেষ্টায় ভক্তরা। আম্বানিদের প্রি-ওয়েডিংয়ে প্রিয়াঙ্কা চোপড়াও আসেননি। যদিও গিয়েছিলেন অভিনেত্রীর মা মধু চোপড়া। ধারণা করা হচ্ছে নতুন সিনেমার শুটিং নিয়ে ব্যস্ততার কারণে ভারত যেতে পারেননি প্রিয়াঙ্কা। ‘ভুল ভুলাইয়া থ্রি’ ছবির শুটিং নিয়ে ব্যস্ত থাকার কারণে আম্বানিদের অনুষ্ঠানে যেতে পারেননি কার্তিক আরিয়ানও। উপস্থিত ছিলেন না কৃতি শ্যাননও। সামনেই তাকে দেখা যাবে ‘ক্রু’ ছবিতে। অনুষ্ঠান শুরুর আগের দিনও আম্বানিদের প্রশংসা করেছেন কঙ্গনা। কিন্তু প্রি ওয়েডিংয়ে দেখা যায়নি এই অভিনেত্রীকে। কাজলকেও দেখা যায়নি আম্বানিদের অনুষ্ঠানে। যদিও অজয় দেবগণ ও তার মেয়ে নাইসা উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানে। অনন্ত-রাধিকার প্রি ওয়েডিংয়ে ছিলেন না বিরাট কোহলি ও আনুশকা শর্মা। বিরাট-আনুশকার দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম হয়েছে লন্ডনে ফেব্রুয়ারি মাসে। দম্পতি এখনও ইংল্যান্ডে আছেন বলেই জানা গেছে।
০৫ মার্চ ২০২৪, ১৯:২১

যে কারণে কপালের টিপ সরিয়ে পরছেন তারা
সোশ্যাল মিডিয়াজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে নারীদের কপালের বাঁকা টিপের সেলফি। না, এটি কোনো ট্রেন্ড নয়। চলছে নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ‘Odd Dot Selfie’। বাঙালি নারীর সাজসজ্জায় টিপের ব্যবহার কারও অজানা নয়। নারীর চিরাচরিত এই টিপই এবার হয়ে উঠেছে নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ভাষা। ‘আমার প্রতিবাদের ভাষা #OddDotSelfie’ স্লোগানে চলছে এই অভিনব প্রতিবাদ যাতে সাড়া দিয়েছেন দেশখ্যাত অভিনয় শিল্পী ও ইনফ্লুয়েন্সাররা।  সম্প্রতি ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে সেলফি পোস্ট করে এই প্রতিবাদ শুরু করেন তারা। কপালের মাঝখান থেকে টিপ একটু সরিয়ে সেলফি তুলে #OddDotSelfie লিখে পোস্ট করেন নিজ নিজ ওয়ালে। তারা নারীদের আহ্বান জানান সেলফি ও হ্যাশট্যাগসহ প্রতিবাদে যোগ দিতে। এরপর এটি ছড়িয়ে যেতে থাকে সাধারণ মানুষের মাঝেও। ইনফ্লুয়েন্সার নাজিবা নওশিন বলেন, আমরা নারীরা মন ভালো থাকলে টিপ পরি। এটি আমাদের কালচার। কপালের সেই টিপ সরিয়ে দিয়ে নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে আমরা এবার প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এ বিষয়ে জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও সমাজকর্মী সারা যাকের বলেন, আমাদের দেশের নারীরা প্রতিদিন ঘরে বাইরে নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। কিন্তু সেই অনুপাতে এটা নিয়ে কোনো প্রতিবাদই হচ্ছে না। সবাই মিলে সোচ্চার হওয়ার এখনই সময়। শুধু নিজের জন্য নয়, আশেপাশে কোনো নারীকে নির্যাতিত হতে দেখামাত্র প্রতিবাদ করা উচিত। পরিবারে নারীর প্রতি সহিংসতা যেমন বাড়ছে তেমনি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অনলাইনে এই হয়রানির মাত্রা বেড়েছে। কিন্তু কোনো প্রতিবাদ দেখা যাচ্ছে না। যেকোনো নির্যাতনের শিকার হলে নারীরা বেশির ভাগ সময় তা মুখ বুজে সহ্য করে নেন। কিন্তু নারীর প্রতি সহিংসতা নারীরা মুখ খুললেই বন্ধ হবে। তাই আমি এই প্রতিবাদে যোগ দিয়েছি, জানান প্রতিবাদে অংশগ্রহণকারী নাট্যকর্মী ফৌজিয়া করিম অনু।
০৪ মার্চ ২০২৪, ১৯:১৯

বোরকা পরে পর্যটকদের ব্ল্যাকমেইল করতেন তারা
কক্সবাজার হোটেল মোটেল জোনে পর্যটকদের টার্গেট করে ছিনতাই, ব্ল্যাকমেইলিং, মাদক ব্যবসা, মাদক সেবনসহ অসামাজিক কার্যকলাপে সক্রিয় থাকার অভিযোগে অভিযান চালিয়ে একটি চক্রের ২৫ সদস্যকে আটক করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। আটককৃতদের মধ্যে ৯ জন নারী ও ১৬ জন পুরুষ রয়েছে। তারা কক্সবাজারের মহেশখালী, ঈদগাঁও, সাতকানিয়া ও লক্ষ্মীপুরের বাসিন্দা।  শনিবার (২ মার্চ) ভোর রাতে এ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোন। ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান। তিনি জানান, আটককৃত নারী-পুলিশ সংঘবদ্ধ চক্র। তারা কক্সবাজার আগত পর্যটকদের টার্গেট করে কৌশলে তাদের আস্তানায় নিয়ে গিয়ে আটকে রেখে সর্বস্ব লুট করে নেয়। ইতোপূর্বে পর্যটকদের নিরাপত্তা ও পর্যটন জোনকে অপরাধ মুক্ত করতে এ বোরকা বাহিনীকে আইনের আওতায় আনতে ট্যুরিস্ট পুলিশ তাদের নিজস্ব গোয়েন্দা দিয়ে নজরদারি বৃদ্ধি করে। দীর্ঘ তৎপরতায় অবশেষে এ বোরকা বাহিনীর আবিষ্কার করতে পেরেছি আমরা এবং তাদের গোপন আস্তানার সন্ধান পেয়েছি।  তিনি জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তাঁর নেতৃত্বে একটি টিম মোটেল জোনের কলাতলী লাইট হাউজ এলাকা সংলগ্ন আবাসিক কটেজ জোন এলাকায় সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় বাহিরে তালাবদ্ধ একটি সাইনবোর্ড বিহীন কটেজে (যা বোরকা বাহিনী গোপন আস্তানা হিসেবে ব্যবহার করে) অভিযান চালিয়ে নারী-পুরুষসহ বাহিনীর ২৫ সদস্যকে আটক করা হয়।  আটককৃতরা হলেন চকরিয়ার উওর কাহারিয়া ঘোনা এলাকার নুরুল আলমের পুত্র মো. ইউনুস, কক্সবাজার শহরের কলাতলীর আব্দুল আজিজের পুত্র ইমাম হোসেন, চকরিয়ার ভরামহুরী এলাকার ফেরদৌস আহমদের পুত্র মো. রুবেল, শহরের কলাতলীর আবুল কালামের পুত্র মো. রাব্বি, লক্ষীপুর  লামচর এলাকার মো. হারুনের পুত্র মো. বিপ্লব, কিশোরগঞ্জের সরওয়ার জাহানের পুত্র ইয়াহিয়া, চট্টগ্রাম সাতকানিয়ার বাবুল বড়ুয়ার পুত্র বিপুল বড়ুয়া, চট্টগ্রাম সাতকানিয়ার মৃত অরবিন্দ বড়ুয়ার পুত্র জনপ্রিয় বড়ুয়া, চট্টগ্রাম সাতকানিয়ার মৃত অসীম বড়ুয়ার পুত্র সবুজ বড়ুয়া, মহেশখালীর আব্দুল মোনাফের পুত্র রুবেল, চট্টগ্রাম লোহাগড়ার জাহিদ মোল্লার পুত্র তামিম মোল্লা, নোয়াখালীর বালুচরা এলাকার জাকির হোসেনের পুত্র রিফাত, শহরের নাজিরারটেকের আমান উল্লাহর পুত্র শওকত ওসমান, চট্রগ্রাম আনোয়ারার আবু সৈয়দের পুত্র মো. লোকমান, চকরিয়ার বদরখালীর জামাল উদ্দিনের পুত্র ফোরকান, সিরাজগঞ্জের শরীফ সলঙ্গা এলাকার আব্দুস সামাদের পুত্র মো. নান্নু, গাজীপুর টংগীর মজিবুর হোসেনের মেয়ে নোহা জাহান, ময়মনসিংহ ফরাজিবাড়ি এলাকার মনির হোসেনের স্ত্রী নূরী, ঈদগাঁ পূর্ব নাপিতখালির বেলালের মেয়ে জোবাইদা আক্তার, উখিয়ার জয়নাল উদ্দিনের মেয়ে তানিয়া আক্তার, ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানার সম্রাট আহমেদের মেয়ে আফরিন আক্তার, চট্টগ্রাম বাঁশখালীর আব্দুল মজিদের মেয়ে ঝিনুক, ঈদগাঁও বাঁশখালীর আলী হোসেনের মেয়ে শারমিন, গাজীপুর চৌরাস্তা এলাকার আজগর আলীর মেয়ে ফাতেমা ও ঢাকা মুগদা থানা এলাকার রমজানের মেয়ে নিলা।  এ সময় আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ট্যুরিস্ট পুলিশের ডিআইজি আপেল মাহমুদ।
০২ মার্চ ২০২৪, ২০:৩২

‘যারা সরকার পরিবর্তন করতে চায়, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে তারা যুক্ত’
বাজারে সিন্ডিকেট থাকার কথা স্বীকার করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, যারা সরকার পরিবর্তন করতে চায়, এই সিন্ডিকেটের সঙ্গে তারাও যে যুক্ত, সেটিও কিন্তু সঠিক। তারা কারণে-অকারণে এই লোভাতুর সিন্ডিকেট দিয়ে বিভিন্ন পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করে বিভিন্ন অজুহাতে।  শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে সংবর্ধনা, মেজবান ও মিলনমেলা-২০২৪ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। অতীতে পেঁয়াজের সংকট তৈরি করা হয়েছিল উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সংকটের মুখে বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হলো। আবার যখন বাজার পেঁয়াজে সয়লাব হয়ে গেছে, তখন স্টোরেজ থেকে সেই পচা পেঁয়াজ ফেলে দেওয়া হয়েছে। এই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে আমাদের সরকার সব ব্যবস্থা নেবে। ভারত থেকে পেঁয়াজ আসার বিষয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ভারত থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ দেশে আসছে। রোজার আগে কিছু পেঁয়াজ বাজারে ঢুকবে। কাজেই বাজার মোটামুটি স্থিতিশীল আছে। কেবল পাইকারি বিক্রেতা নয়, খুচরা বিক্রিতাদের মধ্যেও একটু বেশি মুনাফা করার প্রবণতা দেখা দিয়েছে। আমরা এটির বিরুদ্ধে জনগণকে সচেতন হতে বলেছি। সরকারও সর্বাত্মক ব্যবস্থা নেবে। তিনি বলেন, আমরা দেখেছি, একটি কোল্ড স্টোরেজের ভেতর থেকে দেড় লাখ ডিম উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমরা নির্বাচনি ইশতিহারে বাজার নিয়ন্ত্রণের কথা বলেছিলাম। দ্রব্যমূল্য যাতে মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকে, সেটিই আমাদের অন্যতম অগ্রাধিকার। আমরা এই সরকারের যাত্রার শুরু থেকে সেটিকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছি। আপনারা দেখেছেন, বাজার মোটামুটি স্থিতিশীল আছে।
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৪৪

বাসযাত্রীর ওপর বমি করে যেভাবে সব ছিনিয়ে নিতেন তারা
রাজধানীতে যাত্রীবাহী বাসে ছিনতাইয়ের ঘটনায় সুমন আল হাসান (২৯) ও আবুল হোসেন (৪০) নামে দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এরপর জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে এসেছে তাদের ছিনতাইয়ের অভিনব কৌশল। রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সামনের সড়ক থেকে গত শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, গ্রেপ্তাররা চিহ্নিত ছিনতাইকারী। তারা দীর্ঘদিন ধরে বাসের ভেতর যাত্রীর ওপর বমি করে ‘বিশেষ কৌশলে’ টাকা ছিনতাই করে আসছিল। এর ফলে বেশ কিছু বাসের চালক ও হেলপার তাদেরকে চেনে। তারা এই ছিনতাইকারীদের সহযোগিতা করত এবং নিরাপদে বিভিন্ন স্থানে নামিয়ে দিত। এর বিনিময়ে তাদেরও নির্দিষ্ট একটি ভাগ দেয় এসব ছিনতাইকারীরা। তিনি বলেন, তাদের গ্রুপে ৫ জন সদস্য রয়েছেন। তারা বিভিন্ন বাসে উঠে কৃত্রিম জটলা সৃষ্টি করেন। এরপর নির্দিষ্ট একজনকে টার্গেট করেন। প্রথমে কয়েকজন তাকে ঘিরে ধরেন। এরপর একজন তার উপর বমি করে দেন। এসময় ওই ব্যক্তি কিছুটা অস্বস্তি বোধ করলে বাকি দুইজন কৌশলে তার পকেট থেকে টাকা, মোবাইল হাতিয়ে নেন। এক্ষেত্রে কেউ যদি তাদের কাউকে দেখে ফেলে বা ধরে ফেলে, তখন বাকি সদস্যরা ওই ব্যক্তিকেই ছিনতাইকারী বলে মারধর করেন এবং পালিয়ে যান। আর কেউ ধরা খেলে বাকি সদস্যরা ছুরির ভয় দেখিয়ে পালিয়ে যান। পুলিশ কর্মকর্তা মহসীন বলেন, শুক্রবার রাতে একই কায়দায় বাসে ওঠে ‘বমি পার্টির’ সদস্যরা। তাদের একজন এক যাত্রীর মাথায় বমি করে দেন। এরপর চক্রের বাকি সদস্যরা ওই ব্যক্তির পকেট থেকে ২০ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এসময় এক ছিনতাইকারীকে ধরে ফেলেন ভুক্তভোগী। এতে ভুক্তভোগীকেই মারধর শুরু করেন ছিনতাইকারীরা। এক পর্যায়ে অন্য যাত্রীরা এগিয়ে এলে চক্রের তিনজন পালিয়ে যান। আর সুমন ও আবুল ধরা পড়েন। তাদের কাছ থেকে ছিনতাই করা ২০ হাজার টাকা ও দুটি ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে।
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:২৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়