• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
লক্ষ্মীপুরে তাপদাহ, হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা
লক্ষ্মীপুরে প্রচণ্ড গরমে ডায়রিয়া ও সর্দি কাশিসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন মানুষ। লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালসহ উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে রোগীর সংখ্যা আগের তুলনায় বেড়েছে। স্বাভাবিকের চেয়ে দ্বিগুণ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক মানুষ বেশি অসুস্থ হচ্ছেন। পেটের পীড়া, ঠান্ডাজ্বর, কাশি, সর্দি, ডায়রিয়া নিউমোনিয়া, পানি শূন্যতা, শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। এদিকে রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় দেখা দিয়েছে শয্যা সংকট। সিট না পেয়ে বারান্দায় শুয়ে আছেন ডায়রিয়া ওয়ার্ডের অধিকাংশ রোগী, শিশু ওয়ার্ডেও একই চিত্র। মৌসুমি এসব রোগে আক্রান্তদের চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. অরুপ পাল জানান, গত তিন দিনে সদর হাসপাতালে প্রায় ৩০০ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে ডায়রিয়া, জ্বর, ঠান্ডা ও শ্বাস কষ্টের রোগীই বেশি। হাসপাতালে বেডের তুলনায় রোগী বেশি ভর্তি থাকলেও সাধ্যমতো চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি আরও জানান, প্রচণ্ড রোদ ও গরমে শিশুদের যথাসম্ভব বাসায় রাখার চেষ্টা করতে হবে। খুব বেশি প্রয়োজন না হলে কোনোভাবেই যেন তাদের বাইরে বের করা না হয়। কারণ, গরমে বাচ্চারাই সবচেয়ে বেশি অসুস্থ হয়।
৬ ঘণ্টা আগে

তীব্র গরমে বছরে ১৯ হাজার শ্রমিকের মৃত্যু
বিশ্বজুড়ে তীব্র গরম ও তাপদাহে প্রায় ১৯ হাজার শ্রমিকের মৃত্যু হচ্ছে। এ সময় কর্মক্ষেত্রে আহত হচ্ছেন দুই কোটিরও বেশি শ্রমজীবী মানুষ। সোমবার (২২ এপ্রিল) আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) প্রকাশিত ‘জলবায়ু পরিবর্তনের পরিপ্রেক্ষিতে কর্মক্ষেত্রে সুরক্ষা ও স্বাস্থ্য নিশ্চিতকরণ’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। এতে বলা হয়, বিশ্বের ৭০ শতাংশের বেশি শ্রমিক জলবায়ু পরিবর্তনজনিত গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে। এমনকি কর্মক্ষেত্রে বিদ্যমান যে সুরক্ষা ও স্বাস্থ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা (ওএসএইচ) রয়েছে তা এই ঝুঁকি সামলাতে যথেষ্ট নয়। তাপদাহ ছাড়াও শ্রমিকদের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের নানা প্রভাব রয়েছে। এসব প্রভাব শ্রমিকদের ওপর ‘বিপদের পাহাড়’ সৃষ্টি করছে। তারা বিভিন্ন ধরনের মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছেন। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে কর্মীদের মধ্যে স্বাস্থ্যগত যেসব ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে তার মধ্যে রয়েছে ক্যানসার, কার্ডিওভাসকুলার রোগ, শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত সমস্যা, কিডনি অকেজো হওয়া এবং মানসিক সমস্যা। এতে আরও বলা হয়েছে, প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী কীটনাশকের বিষক্রিয়ায় ৩ লাখ, কর্মক্ষেত্রের বায়ুদূষণে ৮ লাখ ৬০ হাজার, সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মিতে ১৮ হাজার ৯৬০ জন এবং পরজীবী ও প্রাণী থেকে মানুষের দেহে আসা রোগে আরও ১৫ হাজার ১৭০ জনের মৃত্যু হচ্ছে। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা বলেছে, তীব্র গরমে কাজ করা শ্রমিকরা কিডনির চরম অসুখে ভুগছেন। এতে করে কৃষিখাতে কাজ করা শ্রমিকদের মধ্যে মৃত্যুর হার বেশি দেখা যাচ্ছে। আইএলওর ওএসএইচ টিমের প্রধান মানাল আজ্জি বলেছেন, এটি স্পষ্ট যে, জলবায়ু পরিবর্তন এরই মধ্যে শ্রমিকদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করেছে। এসব সতর্কতা আমাদের আমলে নেওয়া উচিত। তাই জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিরোধী নীতি গ্রহণের সময় আমাদের অবশ্যই শ্রমিকদের পেশাগত সুরক্ষা ও স্বাস্থ্যের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। শুধু নীতি গ্রহণ নয়, পাশাপাশি কাজও করতে হবে। শ্রমিকদের জন্য নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর কাজের পরিবেশ আইএলওর মৌলিক নীতিমালার মধ্যেই রয়েছে। সুতরাং আমাদের সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে হবে। প্রতিবেদনটিতে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বর্তমানে বিভিন্ন দেশের কর্মকাণ্ডও তুলে ধরা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে নতুন আইন, প্রবিধান এবং নির্দেশিকা সংশোধন বা তৈরি করা। একই সঙ্গে কাজের পরিবেশে উন্নত করতে জলবায়ু প্রশমন কৌশল গ্রহণ করা।  
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ২২:৫৮

বিদ্যুৎ উৎপাদনে নতুন রেকর্ড
দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড হয়েছে। সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত ৯টায় ১৬ হাজার ২৩৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপপ্রধান তথ্য অফিসার মীর মোহাম্মদ আসলাম উদ্দিন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে দেশব্যাপী চলছে তীব্র তাপদাহ। এই মুহূর্তে বিদ্যুৎ বিভাগ জনজীবনে স্বস্তি বজায় রাখতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদনে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। উল্লেখ্য, এর আগে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড ছিল গতকাল রোববার ১৫ হাজার ৬৬৬ মেগাওয়াট।
২২ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৩৩

চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি
কয়েক দিন ধরে চুয়াডাঙ্গায় অব্যাহত রয়েছে তাপপ্রবাহ। হাসপাতালে বাড়ছে গরমজনিত ও পানিবাহিত রোগীর সংখ্যা। সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেল ৩টার দিকে চুয়াডাঙ্গা জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপদাহের কারণে হিট অ্যালার্ট জারি করেছে জেলা প্রশাসন। খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হতে নিষেধ করা হচ্ছে।   এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান। তিনি বলেন, আরও কয়েক দিন এমন তাপমাত্রা অব্যাহত থাকতে পারে। তবে এখনই বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই। রাত ও দিনের তাপমাত্রার মধ্যে খুব বেশি পার্থক্য নেই। দিনের বেশির ভাগ সময় প্রখর তাপে উত্তপ্ত থাকছে চুয়াডাঙ্গা।  চুয়াডাঙ্গা শহর ঘুরে দেখা যায়, দিনের বেলায় সাধারণ মানুষ বাইরে কম বের হচ্ছেন। শ্রমজীবী মানুষেরা বের হলেও ফাঁকা রাস্তায় কর্মহীন হয়ে পড়েছেন তারা। তাই প্রশান্তির খোঁজে গাছের নিচে ছায়াযুক্ত স্থানে জিরিয়ে নিচ্ছেন অনেক শ্রমজীবী মানুষ। এদিকে তীব্র তাপদাহে জনসাধারণকে সচেতন করতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় মাইকিং করে পথচারী ও এলাকাবাসীকে সতর্ক করছে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন। খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হতে নিষেধ করা হচ্ছে। শিশু ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে অনুরোধ করা হচ্ছে।
২২ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৫৬

চলমান তাপদাহ প্রসঙ্গে যা জানালেন পরিবেশমন্ত্রী
শহরাঞ্চলে পরিকল্পনা অনুযায়ী বনায়ন করা গেলে তাপমাত্রা ৩ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান। পরিবেশমন্ত্রী বলেন, শহরাঞ্চলে পরিকল্পনা অনুযায়ী বনায়ন করা গেলে তাপমাত্রা ৩ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। সেটা নিয়ে আমাদের পরিকল্পনা আছে। তিনি বলেন, বিভিন্ন দেশে তাদের প্রতিশ্রুতি মোতাবেক তাপ প্রশমন করছে না। যেটা প্যারিস চুক্তিতে বলা হয়েছে তার চেয়ে বেশি। এর ওপরে আমাদের নিয়ন্ত্রণ নেই। গত কয়েক বছর ধরে আমরা নগর বনায়ন চালু রাখতে পারিনি। এখন থেকে আমরা এটা নিয়ে কাজ করব। তিনি আরও বলেন, ঢাকায় প্রথমবারের মতো বসছে জাতিসংঘ জলবায়ু অভিযোজন সম্মেলন ন্যাশনাল অ্যাডাপটেশন প্ল্যান এক্সপো ২০২৪। ২২ থেকে ২৫ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠেয় এ সম্মেলনে বিশ্বের ১০৪টি দেশের ৩৮৩ জন প্রতিনিধি অংশ নেবেন। চার দিনব্যাপী এ সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরিবেশমন্ত্রী বলেন, সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ঘোষণা দেবেন। সেটা হচ্ছে সারাবিশ্বে প্রথমবারের মতো একটা ক্লাইমেট ডেভেলপমেন্ট পার্টনারশিপ আমরা করছি। অর্থাৎ উন্নয়নকে আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের চশমা দিয়ে দেখব। আগে আমরা উন্নয়ন নিয়ে ভাবতাম, তারপরে এটার নানান মাত্রা নিয়ে ভাবতাম। এখন সবকিছুই জলবায়ু পরিবর্তনের চশমা দিয়ে দেখব আমরা।
২১ এপ্রিল ২০২৪, ২১:৪৭

তীব্র তাপদাহে খেটে খাওয়া মানুষের পাশে ডিএমপি
তীব্র তাপদাহে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। মানবিক সহায়তা হিসেবে ডিএমপির বিভিন্ন থানা পুলিশ সুপেয় পানি বিতরণ করছে। ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানের নির্দেশনার পর এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে। শনিবার (২০ এপ্রিল) দিনব্যাপী রাজধানীর তেজগাঁও, ধানমন্ডি, উত্তরখান, ডেমরাসহ কয়েকটি থানা এলাকায় চলে এই কার্যক্রম। যা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তেজগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন গণমাধ্যমকে বলেন, প্রচণ্ড তাপদাহে যখন জনজীবন বিপর্যস্ত তখন ডিএমপি কমিশনারের নির্দেশক্রমে তেজগাঁও থানা এলাকায় অসহায় ও শ্রমজীবী মানুষের মাঝে সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা হয়। তাপদাহ যতদিন চলবে আমরাও আমাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাব। এর আগে শুক্রবার ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের জন্য ছাতা, ঠান্ডা পানি, স্যালাইনসহ বিভিন্ন সামগ্রী দেন ডিএমপি কমিশনার। এ সময় তিনি সাধারণ নগরবাসীর সেবায় সকলকে পাশে থাকার আহ্বান জানান। এরপরই থানা পুলিশ খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষকে ঠান্ডা পানির বোতল,  ভ্রাম্যমাণ পানির ট্যাঙ্ক স্থাপন ও লেবু বা শরবত খেতে দিচ্ছেন।
২১ এপ্রিল ২০২৪, ২০:৫৯

বাগেরহাটে তীব্র তাপদাহ, জনজীবনে স্থবিরতা
বাগেরহাট জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপদাহ। গত দুদিন ধরে প্রখর রোদে জেলার জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী মানুষেরা।  বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে জেলার মোংলা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা চলতি মৌসুমে এ জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। মঙ্গলবারও মোংলায় ৪০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ২৭ শতাংশ।  এই অবস্থায় লোকজন জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না। জনজীবনে দেখা দিয়েছে স্থবিরতা। লোজজন সড়কে বের না হওয়ায় কড়া রোদ থেকে বাঁচতে রিকশাচালকসহ শ্রমজীবীরা অনেকে গাছের ছায়ায় আশ্রয় নিতে দেখা গেছে। তীব্র তাপদাহে কৃষকরা খেতে কাজ করতে পারছে না। মোংলা আবহাওয়া অফিসের প্রধান আবহাওয়াবিদ মো. হারুন অর রশিদ জানান, ঈদের পর থেকেই মোংলাসহ বাগেরহাটের তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। গত দুদিন ধরে বাগেরহাটের ওপর দিয়ে তীব্র তাপদাহ বয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টি না হলে আগামী কয়েক দিন তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে বলেও জানান এই আবহাওয়াবিদ। 
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ২২:৫৩

আবহাওয়া নিয়ে নেই সুসংবাদ, তীব্র তাপদাহ আরও বাড়তে পারে
দেশের একটি বিভাগ ছাড়া সব বিভাগেই বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপদাহ। এরকম তাপদাহ আগামী তিনদিন অব্যাহত থাকতে পারে। এরপর তাপদাহ আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।  বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আবহাওয়াবিদ একেএম নাজমুল হক। তিনি বলেন, আবহাওয়া নিয়ে সহসাই কোনো সুসংবাদ নেই। দেশের ওপর দিয়ে চলমান মৃদু ও মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। এদিকে বুধবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চলমান তাপপ্রবাহের মধ্যে চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে।  এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। আবহাওয়াবিদ একেএম নাজমুল হক স্বাক্ষরিত পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এছাড়া চুয়াডাঙ্গা ও বাগেরহাট জেলা সমূহের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেট ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু কিছু জায়গা থেকে প্রশমিত হতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকাল থেকে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) পর্যন্ত চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে।  এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বিরাজমান তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি দেশের কিছু কিছু জায়গা হতে প্রশমিত হতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। শুক্রবার সকাল থেকে শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল পর্যন্ত সিলেট বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। 
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:০০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়